রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন

রাষ্ট্রীয় সম্মাননা পেলেন সাবিনা ইয়াসমীন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বরেণ্য সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অনুষ্ঠিত হয় শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক বদরুদ্দিন উমর এর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে প্রদর্শিত হয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীনের উপর নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’। এরপর সমবেত নৃত্য ‘গীতিময় সেই দিন চিরদিন বুঝি আর এলো না’ পরিবেশন করেন, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পীবৃন্দ। শিল্পীর জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মফিদুর রহমান। স্বাগত বক্তব্যে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘যার গান শুনে শুনে আমরা সময়ের সাথে আগামীর পথে হেঁটেছি, যার গান প্রাণে শিহরণ এনেছে, আপ্লুত করেছে, অভিভূত করেছে তিনি বাংলা গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমীন। স্বনামখ্যাত এ গুনী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান করতে পেরে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গর্বিত ও আনন্দিত। পরিকল্পনা বিষয়ক উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলা গান মানেই আবেগ, স্মৃতি আর হৃদয়স্পর্শী সুরের এক অনন্ত ভুবন। সেই ভুবনে যদি কারও কণ্ঠ অনায়াসে শ্রোতার হৃদয় ছুঁয়ে যায়, তবে নিঃসন্দেহে তিনি সাবিনা ইয়াসমীন। অর্ধশতকেরও বেশি সময় ধরে সংগীতের আকাশে তার কণ্ঠ ভেসে এসেছে, কখনো চলচ্চিত্রের পর্দা জুড়ে, কখনো বেতার-টেলিভিশনের সুরে, আবার কখনো মানুষের দৈনন্দিন জীবনের মধুর সঙ্গী হয়ে। সাবিনা ইয়াসমীনকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরা, নকিব খান, পার্থ বড়ুয়া, খুরশীদ আলম, রফিকুল আলম ও আবিদা সুলতানা। পরে শিল্পীর একক সংগীতানুষ্ঠানে শ্রোতারা বুঁদ হয়ে যান। শিল্পী একে একে পরিবেশন করেন ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’,‘জন্ম আমার ধন্য হলো’ প্রভৃতি গানগুলো। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নন্দিত অভিনেতা আফজাল হোসেন। বাংলা গানের গৌরব কোকিলকণ্ঠী-খ্যাত বরেণ্য কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমীন ১৯৫৪ সালের ৪ঠা সেপ্টেম্বর এক সাংস্কৃতিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। সংগীতের হাতেখড়ি তার মায়ের কাছে। তিনি এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের মত গান রেকর্ড করেছেন। এর মধ্যে অধিকাংশই চলচ্চিত্রের গান।১৯৮৩ সালে তাকে ভারতের বিশ্ব উন্নয়ন সংসদ ‘সংসদ রত্ন’ উপাধিতে ভূষিত করে এবং ১৯৮৫ সালে তাকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করে। তিনি বাংলাদেশে সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘একুশে পদক’ এবং স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে তিনিই একমাত্র শিল্পী, যিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত শিল্পী হিসেবে ১৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। সম্মাননা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শেষে সাবিনা ইয়াসমীন শুরু করেন দেশের গান দিয়ে, গাইলেন- ‘ও দেশ তোমার জন্য’। একে একে গেয়ে শোনালেন ‘আমি রজনীগন্ধা ফুলের মত’, ‘তুমি ফুলকে বলো চলে যেতে‘, ‘কত সাধনায় এমন ভাগ্য পেলে’র মত জনপ্রিয় গানগুলো।
রুক্মিণীর পরিবারে এলো নতুন ‘অতিথি’

রুক্মিণীর এলো নতুন ‘অতিথি’ টালিউডের প্রেমিক জুটি দীপক অধিকারী দেব ও অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র সবসময়ই সামাজিক মাধ্যমে আলোচনায় থাকেন। আবার এ তারকা জুটি নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে কখনো লুকোছাপা করেন না। পার্টি হোক কিংবা অনুষ্ঠান—সবখানে একসঙ্গে দেখা যায় তাদের। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া দেব-শুভশ্রীর ‘ধূমকেতু’ বক্স অফিসে ভালোই ছাপ ফেলেছে। এর মাঝেই অভিনেতা ‘রঘু ডাকাত’ সিনেমার প্রচার নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। অন্যদিকে রুক্মিণী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বি-টাউনের নিজের জমি শক্ত করার কাজে। এর মধ্যেই রুক্মিণীর পরিবারে এলো নতুন অতিথি। সামাজিক মাধ্যমে একটি ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে— একটি বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন রুক্মিণী। বিএমডব্লিউ ৫ সিরিজের গাড়িটি কিনেছেন তিনি। সাদা রঙা গাড়িটির কলকাতায় অনরোড (ভ্যারিয়েন্ট অনুযায়ী নির্ভর করছে) দাম প্রায় ৮৭.৭৫ লাখ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা। গাড়িটি বাড়িতে আনার সময় শোরুমে গিয়ে তার সামনে দাঁড়িয়ে ফটোসেশন করেছেন এ জুটি। এতসব ব্যস্ততার মাঝেও এ তারকা জুটি সময় কাটাতে ছুটে যান দূরে কোথাও। তবে এরই মাঝে টালিউডে গুঞ্জন— দূরত্ব তৈরি হয়েছে দেব-রুক্মিণীর মধ্যে। যদিও সেই জল্পনায় ইতি টেনেছেন এ তারকা জুটি। সম্প্রতি দেবের বাড়ির গণেশ পূজায় হাজির হয়েছিলেন নায়িকা রুক্মিণী মৈত্র। আবার ‘ধূমকেতু’-র স্পেশাল স্ক্রিনিংয়েও হাতে হাত ধরে এসে বলেছেন— আমি ছিলাম, আছি থাকব।এর মধ্যে অভিনেত্রী পাড়ি দিয়েছেন মায়ানগরী মুম্বাইয়ে। বলিউডে কাজের স্বপ্নপূরণে আপাতত তিনি সেখানকারই বাসিন্দা। দেবও তার পার্টনারের পাশে থাকছেন। কাজের ব্যস্ততার মধ্যেও দেখা করতে হাজির হন মুম্বাই। তবে এ মুহূর্তে অভিনেতা রয়েছেন টালিউডে। ফলে নায়িকাও ফিরেছেন এই শহরে। উৎসবের দিনগুলো এখানে কাটিয়ে ফিরবেন মুম্বাইতে।
সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরলেন জাস্টিন বিবার

সিক্যুয়েল নিয়ে ফিরলেন জাস্টিন বিবার নতুন চমক নিয়ে ফিরেছেন কানাডিয়ান পপ তারকা জাস্টিন বিবার। গেল জুলাইয়ে প্রকাশিত ‘সোয়াগ’ অ্যালবামের সিক্যুয়েল হিসেবে এবার এলো ‘সোয়াগ ২’। দ্য গার্ডিয়ান বলেছে, ‘সোয়াগ ২’ অ্যালবামে যুক্ত হয়েছে একসঙ্গে ২৩টি নতুন গান। এর আগে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১১ জুলাই ‘সোয়াগ’ প্রকাশ করেছিলেন বিবার। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের শেষে লস অ্যাঞ্জেলেসের ওয়েস্ট হলিউড ও বিলবোর্ডে ব্যানার ঝুলতে দেখা যায় ‘সোয়াগ ২’–এর, যা ভক্তদের কৌতূহল আরও বাড়িয়ে দেয়। এরপর ইনস্টাগ্রামে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন অ্যালবামের ঘোষণা দেন বিবার। গত এক মাস ধরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘সোয়াগ ২’–সংক্রান্ত ছবি শেয়ার করছিলেন তিনি। দুই অ্যালবামের নামকরণ নিয়েও ভক্তদের মধ্যে চলছে আলোচনা। ধারণা করা হচ্ছে, এর অনুপ্রেরণা এসেছে ২০১২ সালে প্রকাশিত বিবারের হিট গান ‘বয়ফ্রেন্ড’ থেকে। ‘সোয়াগ ২’-এর প্রযোজনা ও সুর তৈরিতে যুক্ত হয়েছেন একাধিক নামকরা মিউজিক প্রডিউসার ও লেখক, যারা আরএনবি ঘরানায় নতুনত্ব আনতে পরিচিত। টানা চার বছর পর নতুন দুটি অ্যালবাম প্রকাশে উচ্ছ্বসিত ভক্ত ও সহশিল্পীরা। অনেকে শুভকামনা জানিয়ে বলছেন, ব্যক্তিগত সংকট কাটিয়ে গানে ফেরাটা প্রশংসনীয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অসুস্থতা, কনসার্ট স্থগিত আর দাম্পত্য জীবনের টানাপোড়েনের কারণে খবরের শিরোনামে ছিলেন বিবার। অবশেষে ‘সোয়াগ’ এবং ‘সোয়াগ ২’ দিয়ে তিনি আবারো ভক্তদের প্রত্যাশা পূরণ করছেন।
কুদ্দুস বয়াতি তোতলা মেয়েকে বিয়ে করতে বললেন

কুদ্দুস বয়াতি তোতলা মেয়েকে বিয়ে করতে বললেন জনপ্রিয় গায়ক ও লোকশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। সম্প্রতি ফেসবুকে বেশ সরব তিনি। সেখানে রোজ রোজ প্রকাশ করেন অনেক গান, গ্রামীণ জীবনের নানা অভিজ্ঞতার ছবি ও ভিডিও। ব্যঙ্গাত্মক সব স্ট্যাটাসে তুলে ধরেন দেশ ও সমাজের নানান অসঙ্গতির কথা। আজ সোমবার তিনি ফেসবুকে বেশ মজা করে দিয়েছেন একটি স্ট্যাটাস। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে। সেখানে তিনি সংসার জীবনে সুখের স্বার্থে তোতলা মেয়েকে বিয়ে করার পরামর্শ দিয়েছেন। কুদ্দুস বয়াতি লিখেছেন, ‘তোমরা বিয়ে করলে তোতলা মেয়েকেই করবা। ঝগড়া করলে সে এক কথা বলতে বলতে তুমি বেশি কথা শুনিয়ে দিতে পারবা। এই মন্তব্যে কুদ্দুস বয়াতি মূলত নারীর কথার চাপে থাকা স্বামীদের দাম্পত্য জীবনের হাস্যকর পরিস্থিতির ইঙ্গিত করেছেন। তোতলা মেয়ে বলতে তিনি এমন একজনকে বোঝাতে চেয়েছেন যিনি কথা বলতে গিয়েই হঠাৎ থমকে যান অথবা তথ্য ভুলে যান। তখন স্বামী অনেক কথা বলতে পারবেন। পোস্টটিতে কুদ্দুস বয়াতির ভক্ত-অনুরাগীরা বেশ মজা পেয়েছেন। অনেকে করছেন মজার মজার সব মন্তব্য। এর আগে দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি নিয়ে ৩১ আগস্ট ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন তিনি। সেটি ভাইরাল হয়েছে। সেখানে কুদ্দুস বয়াতি লিখেছিলেন, ‘মারামারি, কাটাকাটি দেখে মনে হচ্ছে, ফেব্রুয়ারি আসতে আসতে দেশের ছাল, চামড়া কিছুই থাকবে না।
শার্লিন ভালো ‘আইটেম সং’ এ পারফর্ম করতে চান

শার্লিন ভালো ‘আইটেম সং’ এ পারফর্ম করতে চান স্বামী, সন্তান সংসার নিয়ে ব্যস্ত অভিনেত্রী শার্লিন ফারজানা। প্রায় ছয় বছর তাকে কোনো কাজে দেখা যায়নি। সম্প্রতি অভিনয়ে ফিরেছেন। কাজ করছেন নাটক, বিজ্ঞাপনে এবং মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক সিনেমা ‘জীবন আমার বোন’ এ। শার্লিন নিজেকে প্রস্তুত করছেন বাণিজ্যিক সিনেমার জন্য। এজন্য নাকি অডিশনও দিচ্ছেন তিনি। শার্লিন ফারজানা একটি সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘‘ ভালো আইটেম গান পেলে ‘পারফর্ম করবো। বরবাদ সিনেমার ‘চাঁদমামা’ গানটায় নুসরাতের পারফর্ম দারুণ লেগেছে। আমার যদি ফিগার ঠিক থাকে, আর মানিয়ে নিতে পারি, তাহলে কেন নয়। এই যে দীর্ঘ ৬ বছর অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন শার্লিন, এই সময়টা তাকে কেমন অনুভূতি দিয়েছে, তাও জানিয়েছেন সাক্ষাৎকারে। তিনি বলেন, ‘‘কাজ থেকে দূরে থাকতে খুব আরাম লাগে কিন্তু একটা শূন্যতাও আছে। মনে হয়, আমি যে মাধ্যমটায় কাজ করেছি, যেখানে আমার অবস্থান ছিল, সেটা যেন নেই। শার্লিন জানিয়েছেন, কাজ আর পরিবারের মধ্যে ব্যালান্স করা শিখে গেছেন তিনি।
ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন

ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই আবুল হায়াত যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতের অভিনয় দেখে বড় হয়েছে কয়েকটি প্রজন্ম। এখনও অভিনয় করে যাচ্ছেন তিনি। আশি পার হওয়া মানুষটি সর্বদা প্রাণবন্ত থাকেন আজও। তিন বছর ক্যানসারের সঙ্গে লাড়াই করা মানুষটি আজও অষ্টপ্রহর ডুবে থাকেন কাজে। অসীম প্রাণশক্তিতে ভরপুর এ মানুষটির আজ (৭ সেপ্টেম্বর) জন্মদিন। কে বলবে তিনি ৮১ বছরে পা রেখেছেন! ২০২১ সালে ক্যানসার ধরা পড়ে আবুল হায়াতের। চিকিৎসক, পরিবারের সহায়তা আর নিজের অসীম মনোবলের কারণে তিনি ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছেন। তিনি এখনো মাসের অর্ধেক সময় নাটক নির্মাণ ও অভিনয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিন বছর ধরে ক্যানাসরের সঙ্গে লড়াই করলেও সম্প্রতি বিষয়টি প্রাকাশ্যে এসেছে। গত বছর আত্মজীবনী ‘রবি পথ’ প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘ডাক্তার বললেন, আমার ক্যানসার হয়েছে। আমি জানতে পারলাম, আমি ক্যানসারের রোগী। হাসপাতাল থেকে বাসা পর্যন্ত আর কথা বলতে পারিনি। জীবনের কঠিন সময়ে মানসিক শক্তি ধরে রাখার সব কৃতিত্ব আবুল হায়াত দিয়েছেন স্ত্রী শিরিন হায়াতকে। স্ত্রী সারাক্ষণ তাকে বলতেন, ‘আরে কী হয়েছে। এটা কোনো ব্যাপার নাকি? আমরা আছি, চিকিৎসা করাবো। যেখানে যা লাগে, আমরা করবো। তুমি ভালো হয়ে যাবে। স্ত্রীর অবদানের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবুল হায়াত আরও বলেন, ‘রাতে খাবার খেয়েছি কি খাইনি, জানি না। বিছানায় শুয়ে পড়েছি। অন্ধকারে একা কাঁদছি। হঠাৎ টের পেলাম, উনি (তার স্ত্রী শিরিন হায়াত) পাশে এসে শুয়েছেন। আমি তখনো নিঃশব্দে কাঁদছি। হঠাৎ ওনার একটা হাত আমার গায়ে এসে পড়ল। আমি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠলাম। তখন তিনি বলতেন, “আল্লাহ তায়ালা এই রোগটা তোমাকে কেন দিল, আমাকে দেখতে পেল না?” বলে হাউমাউ করে কেঁদে আমাকে জড়িয়ে ধরলো।’ ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার পর আবুল হায়াতের মেয়েরাও (বিপাশা ও নাতাশা) শক্তি জুগিয়েছেন। স্ত্রীকে সহযোদ্ধা উল্লেখ করে আবুল হায়াত বলেন, ‘সারাটা জীবন আমার সঙ্গে, আমার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা, আনন্দ-সবকিছুতে সে ছিল। আজ আমি এই যে তিনটা বছর ক্যানসারের সঙ্গে যুদ্ধ করছি, শুধু তার কারণে সম্ভব হয়েছে। সে আমার সবচেয়ে বড় সহযোদ্ধা। ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই, যাকে কৃতিত্ব দিলেন আবুল হায়াতগত বছর ২ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে আবুল হায়াতের আত্মজীবনী ‘রবি পথ’র প্রকাশনা উৎসবে অভিনেতা ও তার স্ত্রী শিরিন হায়াত। আবুল হায়াত ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর ভারতের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মতো টিভিপর্দায় তার অভিষেক ঘটে। তারপর থেকে টিভি নাটক, সিনেমা আর বিজ্ঞাপনে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। জনপ্রিয় লেখক হুমায়ুন আহমেদ রচিত অনেক নাটকে আবুল হায়াত অভিনয় করেছেন। ‘মিসির আলি’ চরিত্রে অভিনয় তার একটি বিশেষ কাজ। এর বাইরে ‘আজ রবিবার’, ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’ ধারাবাহিকগুলোতে আবুল হায়াত ছিলেন অনবদ্য। তার বহু খণ্ড নাটকও মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।পরিচালনাতেও সফল আবুল হায়াত। বেশ কিছু খণ্ডনাটক নির্মাণ করে তিনি প্রশংসা পেয়েছেন। তার পরিচালনায় বিটিভিতে ‘জোছনার ফুল’ নাটকটি দর্শকপ্রিয় হয়েছিল। মঞ্চ অভিনেতা হিসেবেও আবুল হায়াত পেয়েছিলেন প্রশংসা। তার বেশ কিছু নাটক নতুনদের সৃষ্টিশীল অভিনয়ে উৎসাহ দেয়। আসাদুজ্জামান নূরের চিত্রনাট্য ও নির্দেশনায় বিদেশি নাটক অবলম্বনে ‘দেওয়ান গাজীর কিসসা’ নাটকটি অন্যতম। ১৯৭৮ সালে এতে অভিনয় করে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছিলেন আবুল হায়াত। আবুল হায়াতের লেখা প্রথম উপন্যাস বের হয় ১৯৯১ সালে, নাম ‘আপ্লুত মরু’। এরই ধারাবাহিকতায় একে একে বের হয় ‘নির্ঝর সন্নিকট’, ‘এসো নীপ বনে’ (তিন খণ্ড), ‘অচেনা তারা’, ‘জীবন খাতার ফুট নোট’, (দুই খণ্ড) ও ‘জিম্মি’। আবুল হায়াত ১৯৭০ সালে মেজ বোনের ননদ মাহফুজা খাতুন শিরিনকে বিয়ে করেন। ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জন্ম নেয় তাদের প্রথম সন্তান বিপাশা হায়াত। ছয় বছর পর জন্ম নেয় নাতাশা হায়াত। তারা দুজনই শোবিজের জনপ্রিয় মুখ।
আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি

আমরা দেড় বছর কারো সঙ্গে কথাই বলিনি ইউটিউবার ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে ঢালিউড অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘির প্রেম নিয়ে কম চর্চা হয়নি। এমনকি অনেকেই ধরেই নিয়েছিলেন যে, আফ্রিদি আর দীঘি হয়তো বিয়েও করে ফেলবেন। তবে বরাবরই দুজনে এ সম্পর্ককে শুধুই বন্ধুত্ব বলে জানিয়েছেন। শেষ পর্যন্ত তৌহিদ আফ্রিদি বিয়ে করেছেন ঠিকই, তবে পাত্রী দীঘি নন, অন্য আরেকজন। এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর এ সমালোচনার মাঝেই পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন।সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় করা একটি হত্যা মামলায় তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেফতার রয়েছেন। তার গ্রেফতারের পরই ব্যাপক আলোচনায় উঠে আসে তার সঙ্গে দীঘির নাম। দীর্ঘদিন পর আফ্রিদির বিষয়ে কথা বললেন অভিনেত্রী দীঘি। দেশের একটি গণমাধ্যমের এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, একটা প্রোগ্রামে তৌহিদ আফ্রিদির সঙ্গে তার পরিচয়ের কথা। তিনি বলেন, সেই প্রোগ্রামে সে অ্যাংকর ছিল। ওখান থেকেই প্রথম দেখা ও পরিচয়। এবং তারপর ওই ইস্যুটা অনেক বেশি ভাইরাল হয়ে যায়। আমরা কেউ রেডি ছিলাম না ওটা ভাইরাল হবে। দীঘি বলেন, আমরা কখনো এ রকম কথা বলিনি। আমি তো বলিনি। আর ও তো আরও বেশি স্ট্রিক্ট ছিল ব্যাপারটাতে এবং একটা মোমেন্ট ছিল যে, যখন ব্যাপারটা অনেক বেশি বেড়ে যায়, শোবিজে অনেক বেশি কথা হয়ে যায়, অনেক বেশি নিউজ হওয়া শুরু করে, তখন এ বিষয়টি নিয়ে আমাদের ফ্যামিলিতে বিব্রতবোধ করে। অভিনেত্রী দীঘি বলেন, কারণ যে বিষয়টি নিয়ে আমরা অবগত না, সেই বিষয়টি আমাদের আশপাশে কেন হবে? এ রকম নিউজ কেন হবে? কারণ আমরা এটার জন্য প্রস্তুত না। এটা খুব পার্সোনাল কথা লিখে ফেলছে। তখন এমন একটা সময় এসেছিল যে, আমরা এক থেকে দেড় বছর কারও সঙ্গে কথাই বলিনি ঠিকমতো। এমনকি দেখা করাও অফ করে দিয়েছি।
নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয়

নতুন আংটি ঘিরে ফের চর্চায় রাশমিকা-বিজয় দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় জুটিগুলোর মধ্যে অন্যতম রাশমিকা মন্দানা ও বিজয় দেবরাকোন্ডা। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বহুবার সংবাদের শিরোনামে এসেছেন। যদিও তাদের সম্পর্ক নিয়ে দু’জনই সবসময় চুপচাপ থেকেছেন। তবে একসঙ্গে ছুটি কাটানোর ছবি আর ঘন ঘন জনসমক্ষে উপস্থিত হওয়া জল্পনাকে বারবার উসকে দিয়েছে। এবার রাশমিকার আঙুলে নতুন আংটি দেখে আবারও নেটদুনিয়ায় গুঞ্জন তুঙ্গে। অনেকেই বলছেন, বাগদান সেরেছেন এই দুই তারকা। সাদা শার্ট, নীল জিনস আর কালো সানগ্লাসে রাশমিকাকে সম্প্রতি দেখা গেছে দুবাই বিমানবন্দরে। এসময় সবার নজর কাড়ে তার আঙুলের আংটি। যদিও একই দিন সন্ধ্যায় এক ইভেন্টে যোগ দিতে গিয়ে ওই আংটিটি আর দেখা যায়নি। ফলে ভক্তদের কৌতূহল আরও বেড়েছে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত নিউ ইয়র্কে একটি অনুষ্ঠানে বিজয়-রাশমিকাকে একসঙ্গে দেখা যায়। দু’জনের ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ানোর ভিডিও ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিজয় ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও শেয়ার করে বিজয় লিখেছিলেন, ‘অপরিসীম সম্মান! স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় তেরঙায় রাঙানো হলো এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিং। এই অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। ভক্তদের সবচেয়ে উচ্ছ্বসিত করেছে প্যারেডের সেই মুহূর্ত, যখন কিছু সময়ের জন্য রাশামকা ও বিজয়কে হাত ধরাধরি করতে দেখা যায়। ফলে তাদের সম্পর্কের গুঞ্জন আরও জোরদার হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, শিগগিরই ‘ভিডি-১৪’ সিনেমায় একসঙ্গে দেখা যাবে রাশমিকা ও বিজয়কে। এর আগে তারা একসঙ্গে অভিনয় করেছেন ‘গীতা গোবিন্দম’ এবং ‘ডিয়ার কমরেড’ ছবিতে। সূত্র: টাইমস নাউ।
আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো

আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো অনেক দিন হলো দেশ ছেড়েছেন ঢালিউড অভিনেতা । দেশ ছেড়ে যাওয়া নিয়ে ন্যূনতম আক্ষেপ নেই এই অভিনেতার। নিজ দেশ ছেড়ে পরবাসী হওয়ার কারণ কী? তিনি দায়ী করেছেন কাজের অভাবকে। ঢালিউডের প্রয়াত শিল্পীদের স্মরণে আজ (৭ সেপ্টেম্বর) রোববার এফডিসিতে আয়োজন করা হয়েছে দোয়া মাহফিল। প্রয়াতদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় সেখানে হাজির হয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রের নতুন পুরাতন শিল্পীদের অনেকে। সেখানেই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন খলনায়ক আহমেদ শরীফ। দেশ ছাড়া প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, দেশে থাকলে তাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো। ঢালিউডের শিল্পীদের এখন কাজের অভাব। বহু সিনেমা হল বন্ধ হয়ে গেছে। সিনেমা নির্মাণ কমে গেছে আশঙ্কাজনক হারে। এ অবস্থায় শিল্পীরা হয়ে পড়েছেন দরিদ্র। আহমেদ শরীফের মতে, শিল্পীদের অনেকে এখন ঠিক মতো দুবেলা খেতেও পারেন না। তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছেন যে নিশ্চিত করে বলবে যে, তার দুবেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি, তাহলে বলতে হবে নেই। মিথ্যা নয়। দেশে এসে অনেকের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই বলছেন শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছেন। দেশে থাকলে আমাকে ভিক্ষা করে খেতে হতো’সাংবাদিকদের সামনে কথা বলছেন আহমেদ শরীফ, আজ বিএফডিসিতে। আহমেদ শরীফ এখন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী। মাঝে মাঝে বেড়াতে আসেন দেশে। দেশেরবাড়ি কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। বাংলাদেশে থাকলে তার কী পরিণতি হতো, সে প্রসঙ্গে আহমেদ শরীফ বলেন, ‘আজ যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি, আমাকে হাত পেতে লোকের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতাম, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাবার দিতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও। অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন উল্লেখ করে এই অভিনেতা বলেন, ‘আজ আমি দেখছি, অনেক শিল্পী দেশের বাইরে চলে যাচ্ছেন। শুধু ফিল্মের নয়, টিভিরও অনেক শিল্পী চলে যাচ্ছেন। কারণ, দেশে আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকারও সুযোগ নেই। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, সবার মঙ্গল করুক। সরকারের কাছে আহমেদ শরীফের প্রত্যাশা কী? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগামীতে যদি আমি দেশে আসি, সরকারের কাছে শিল্পীদের জন্য একটা নিশ্চিন্ত জীবন চাইবো। শিল্পীরা যেন একটা ভালো জীবনের নিশ্চয়তা পায়। আহমেদ শরীফ প্রায় আট শতাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন। হারানো দিনের সিনেমা থেকে আধুনিক, প্রায় সব সিনেমায় তাকে পাওয়া যেত খলনায়ক হিসেবে। সেসবের মধ্যে রয়েছে ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’, ‘আঞ্জুমান’, ‘বাংলার নায়ক’, ‘দেনমোহর’, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘ক্ষতিপূরণ’, ‘গোলমাল’, ‘তিন কন্যা’ ইত্যাদি।
দেশে এসেছেন শাবানা

দেশে এসেছেন শাবানা ঢাকাই চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তি শাবানা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। অভিনয়ের পাঠ চুকিয়ে তিনি অনেকটা আড়ালে থাকলেও মাঝে মধ্যে দেশে ফেরেন। এবার এলেন প্রায় পাঁচ বছর পর। কয়েকদিন আগেই তিনি নীরবে ঢাকায় এসেছেন। গণমাধ্যমে সহজে কথা বলতে চান না এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী। বর্তমানে তিনি রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএসের নিজ বাড়িতে উঠেছেন। শাবানা দেশে না থাকলে বাড়িটি খালিই পড়ে থাকে। এর আগে সর্বশেষ ২০২০ সালের জানুয়ারিতে দেশে এসেছিলেন তিনি। তখন জানিয়েছিলেন, সুযোগ হলে আবারও কিছু সিনেমায় কাজ করতে চান। তার স্বামী ওয়াহিদ সাদিকও জানিয়েছিলেন, অনুকূল পরিবেশ পেলে চলচ্চিত্র প্রযোজনা করবেন। তবে সে যাত্রায় তারা ব্যর্থ মনোরথেই যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যান। তার আগে ২০১৭ সালেও দেশে এসেছিলেন শাবানা দম্পতি। ষাটের দশকের শুরুতে এহতেশাম পরিচালিত ‘নতুন সুর’ ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে শাবানার চলচ্চিত্রে অভিষেক। পাঁচ বছর পর নায়িকা হিসেবে তাঁকে পাওয়া যায় ‘চকোরী’ ছবিতে, যেখানে তার বিপরীতে ছিলেন নাদিম। সেখান থেকেই শুরু হয় ঢাকাই সিনেমার এক সোনালি অধ্যায়। অভিনয় জীবনের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় হঠাৎই দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। প্রায় ২৫ বছর ধরে স্বামী, সন্তান ও নাতি-নাতনিকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। দেশে আসেন বিরলভাবে। এবারের মতো পাঁচ বছর পর তাঁর এই প্রত্যাবর্তন আবারও ভক্তদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।