মারা গেছেন সংগীতশিল্পী দীপ 

মারা গেছেন সংগীতশিল্পী দীপ  র‍াস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ। আজ সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।

রোজা শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন

রোজা শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম গ্ল্যামার গার্ল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের পত্নী রোজা আহমেদ। নিজের স্টাইল দিয়ে আবারও চলে এলেন আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। নিয়মিত ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। এবার রঙিন শাড়িতে ছবি দিয়ে ভক্তদের নজর কাড়লেন এই মেকওভার আর্টিস্ট। এর আগে তাহসান পত্নীকে ওয়েস্টার্নে কিংবা টপসে, কখনো ট্রাডিশনাল স্যালোয়ারে বা গাউনে দেখা গেছে। শাড়িতেও ধরা দিয়েছিলেন এই সুন্দরী। তবে বিয়ের শাড়িতেই দেখা মিলেছিল প্রথম। এবার ভিন্নভাবে, আকর্ষণীয় লুকে শাড়িতে দেখা গেল তাকে। রোজা আহমেদ প্রায়ই ভক্তদের মাঝে তার স্টাইলিশ লুক শেয়ার করে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুটি নতুন ছবিতে নিজেকে ধরা দিলেন তিনি। ছবিতে দেখা গেছে, হালকা ধাঁচের একটি হলুদ শিফন শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন রোজা। শাড়িটির মূল জমিন হলুদাভ হলেও এতে রয়েছে গোলাপি ও অন্যান্য শৈল্পিক ছোঁয়া, যা এটিকে একটি নান্দনিক রূপ দিয়েছে। এর সঙ্গে মিলিয়ে পরেছেন একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের ভি-নেক ব্লাউজ। সাজে রেখেছেন স্নিগ্ধতার ছোঁয়া; স্মোকি চোখ আর ন্যুড লিপস্টিকে হয়ে ওঠেন আকর্ষণীয়। সঙ্গে খোলা চুলে তার সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে গেছে বহুগুণ। দুটি ছবির একটিতে এক হাত চুলে দিয়ে আনমনা ভঙ্গিতে পোজ দিয়েছেন রোজা, অন্যটিতে মৃদু হাসিতে তাকিয়ে আছেন অন্যদিকে। রঙিন শাড়িতে তার এই মোহনীয় রূপ আর মনোমুগ্ধকর চাহনি ভক্তদের মন যে রাঙিয়ে দিয়েছেন, তা বলা বাহুল্য। ছবি দুটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তরা শুধু তার রূপের প্রশংসা করছেন। একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সত্যিকারের সৌন্দর্য’।আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনাকে পরীর মতো লাগছে।’ কেউ কেউ তার রঙিন শাড়ির সৌন্দর্যেরও আলাদা করে প্রশংসা করেছেন। চলতি বছর দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর মূলত আলোচনায় আসেন রোজা আহমেদ। ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি রোজার শিক্ষাগত অর্জনও সমানভাবে প্রশংসনীয়। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন তিনি। কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জনের পর নিউইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’। তার এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত।

অভিনেতা সিদ্দিক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন

অভিনেতা সিদ্দিক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলশানে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সামিউল ইসলাম তার আবেদনে উল্লেখ করেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে সিদ্দিকুর রহমান ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এ তথ্য যাচাই বাছাই করছে পুলিশ। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান অভিনেতা সিদ্দিকুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি সিদ্দিককে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। গত ২৯ এপ্রিল বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সিদ্দিককে আটক করেন। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে। এরপর তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হাসি হাসলেন যারা

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসব শেষ হাসি হাসলেন যারা ডাউনটাউন শহরের শরৎ মানেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিআইএফএফ)। উৎসবের ৫০ বছরের যাত্রা শেষে এবারের আসর ছিল এক ঐতিহাসিক আয়োজন। প্রায় ৭০টিরও বেশি দেশ থেকে আসা ২৯১টি চলচ্চিত্রের ১২০০-এর বেশি প্রদর্শনী আর শতাধিক প্রিমিয়ার নিয়ে টিআইএফএফ রূপ নিয়েছিল এক বৈশ্বিক মিলন মেলায়। শহরের আকাশ ছুঁয়ে থাকা আলোকসজ্জা আর উৎসবমুখর পরিবেশের পাশাপাশি লালগালিচায় জ্বলে উঠেছেন দ্যুতি ছড়ানো তারকারা। এ বছর ঝলমল করেছে ডোয়াইন জনসন, এমিলি ব্লান্ট, গিয়েরমো দেল তোরো, রিয়ান জনসন, জাহ্নবী কাপুর, ক্লোয়ি ঝাও, পার্ক চ্যান-উক, পল মেসকাল, জেসি বাকলি, এমিলি ওয়াটসনসহ আরও অনেক বিশ্বখ্যাত তারকার উপস্থিতিতে। লালগালিচার এই উজ্জ্বল মুহূর্তগুলো শুধু টরন্টোকেই নয়, পুরো চলচ্চিত্র দুনিয়াকে মনে করিয়ে দিয়েছে–সিনেমা এখনও মানুষের স্বপ্ন, আবেগ আর ভালোবাসার সবচেয়ে বড় সংযোগ। বিশ্বের অন্যান্য চলচ্চিত্র উৎসবের থেকে টিআইএফএফের ব্যতিক্রমী দিক হচ্ছে এতে দর্শকদের পছন্দকে সবচেয়ে বেশি মূল্যায়ন করা হয়। এবারের আসরেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। উৎসবে রজার্স উপস্থাপিত পিপলস চয়েস অ্যাওয়ার্ড জিতেছে ক্লোয়ি ঝাও-এর ‘হ্যামনেট’ সিনেমা। আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা হয়েছে পার্ক চ্যান-উকের ‘নো আদার চয়েস’, ডকুমেন্টারি বিভাগে ব্যারি অ্যাভরিচের ‘দ্য রোড বিটুইন আস: দ্য আলটিমেট রেসকিউ’ এবং মিডনাইট ম্যাডনেস বিভাগে জয়ী হয়েছে ম্যাট জনসনের ‘নিরভান্না দ্য ব্যান্ড দ্য শো দ্য’ সিনেমাটি। পিপলস চয়েসে সেরা যারা দর্শক ভোটে নির্ধারিত পিপলস চয়েস পুরস্কার সবসময়ই উৎসবের মূল আকর্ষণ। উৎসবের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারও এটি। এবার রানারআপ হয়েছে গিয়েরমো দেল তোরোর ফ্রাঙ্কেনস্টাইন এবং রিয়ান জনসনের ওয়েক আপ ডেড ম্যান: এ নাইভস আউট মিস্ট্রি। আন্তর্জাতিক বিভাগে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে যথাক্রমে জোয়াকিম ট্রিয়ারের সেন্টিমেন্টাল ভ্যালু এবং নীরজ ঘাইওয়ানের হোমবাউন্ড। পিপলস চয়েসে সেরা ফ্রান্সের ‘টু দ্য উডস’ শর্ট কাটস বিভাগে সেরা আন্তর্জাতিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্বাচিত হয়েছে স্পেন ও যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ প্রযোজনা টক মি। কানাডিয়ান শর্ট ফিল্মে জয়ী হয়েছে দ্য গার্ল হু ক্রাইড পার্লস এবং প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত অ্যানিমেটেড শর্ট ফিল্ম বিভাগে সেরা হয়েছে ফ্রান্সের টু দ্য উডস। আন্তর্জাতিক সমালোচক ও নেটপ্যাক পুরস্কার পেলেন যারা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র সমালোচকদের ফিপ্রেসচি পুরস্কার জিতেছে লুসিয়া অ্যালেনার ইগলেসিয়াসের ফোরাস্তেরা। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জন্য প্রদত্ত নেটপ্যাক অ্যাওয়ার্ড গেছে ভারতীয় নির্মাতা জিতাঙ্ক সিংহ গুর্জরের ইন সার্চ অব দ্য স্কাই (বিমুক্ত)-এর ঝুলিতে। কানাডিয়ান চলচ্চিত্র বিভাগের সেরারা কানাডিয়ান চলচ্চিত্র বিভাগেও এসেছেন নতুন প্রতিভারা। বেস্ট কানাডিয়ান ডিসকভারি অ্যাওয়ার্ড জিতেছে সোফি রমভরীর ব্লু হেরন। বেস্ট কানাডিয়ান ফিচার ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে জাকারিয়াস কুনুকের উইক্সারিংগিটার (রং হাজব্যান্ড)। প্ল্যাটফর্ম অ্যাওয়ার্ড উৎসবের প্রতিযোগিতামূলক বিভাগ প্ল্যাটফর্ম অ্যাওয়ার্ডে সেরা হয়েছে ভ্যালেন্টিন ভাসিয়ানোভিচের টু দ্য ভিক্টরি! ব্যতিক্রমী ভিজ্যুয়াল আর দারুণ বর্ণনার জন্য প্রশংসিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। সম্মানসূচক উল্লেখ পেয়েছে জর্জ প্যালফি’র হেন। এবারের উৎসবে অংশ নেওয়া ২৯১টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ২০৯টি নতুন ফিচার, ৬টি পুনর্নির্মিত ক্ল্যাসিক, ১০টি প্রাইমটাইম সিরিজ, আর ৬৬টি শর্ট ফিল্ম। এবারের উৎসবে লালগালিচা যেন ছিল এক উৎসবময় দিগন্ত, যেখানে শুধু চলচ্চিত্রই নয় তারকারাও আলো ছড়িয়েছেন। দ্যুতি ছড়িয়েছেন ক্লোয়ি ঝাও, পার্ক চ্যান-উক, গিয়েরমো দেল তোরো, রিয়ান জনসনসহ যারা প্রধান পুরস্কারজয়ী। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন পল মেসকাল, জেসি বাকলি, যারা হ্যামনেট-এ অভিনয়ের জন্য নজর কাড়েন। বড় বড় উদ্বোধনী গালা ও প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন সিড্রি জিমেনেজ, ক্লেয়ার ডেনিস, অলিবিয়র আসায়াসসহ অনেক আন্তর্জাতিক পরিচালক তারকারা, যারা তাদের নতুন প্রিমিয়ার ফিল্মগুলো নিয়ে প্রকাশ্যে এলেন। লালগালিচার র্যা ম্পে ঝলসে উঠেছিল পোশাক, রুচি, সাদাসিধে অনুভূতির সংমিশ্রণ–সিনেমার, শিল্প মানুষের মিলন মেলা।

অমি নোয়াখালী-বরিশালের ভাষা জানা অভিনেত্রী খুঁজছেন

অমি নোয়াখালী-বরিশালের ভাষা জানা অভিনেত্রী খুঁজছেন জমে উঠেছে ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫। প্রচারে থাকা এই সিরিয়ালের জন্য দুজন নতুন মুখ (অভিনেত্রী) খুঁজছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। যারা নোয়াখালী ও বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শী তারা এতে প্রাধান্য পাবেন। এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে নির্মাতা অমি জানান, দুজন অভিনেত্রী দরকার। চরিত্র ১-এর বয়স ১৮ থেকে ২৫ বছর, উচ্চতা ৫ ফুট ২ থেকে ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি; নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষায় পারদর্শীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। চরিত্র ২-এর বয়সও একই, উচ্চতা একই সীমা; বরিশালের আঞ্চলিক ভাষাভাষীদের অগ্রাধিকার। আগ্রহী শিল্পীরা নিজেদের যোগাযোগের তথ্যসহ ভিডিও বাইট পাঠাতে পারবেন ই-মেইল ([email protected]) বা হোয়াটসঅ্যাপ (01868 407 133) নম্বরে। ভিডিও পাঠানোর শেষ সময় ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫। এর মধ্যেই এই ঠিকানায় সঠিক তথ্য পাঠানোর অনুরোধ করেন তিনি। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ সিজন ৫ আরও বেশি জনপ্রিয় করার জন্য এরই মধ্যে বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি। এরই মধ্যে ‘নেহাল’ চরিত্রে তৌসিফ মাহবুবের প্রত্যাবর্তন হয়েছে। এর পাশাপাশি আরও কিছু চরিত্র যেমন ‘নতুন কাজের মেয়ে’ বা ‘পাগলা সুজন’র মতো চরিত্র আনা হয়েছে যা এবারের পর্বগুলোতে বিনোদনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিবে বলে আশাবাদী নির্মাতা অমি। কাজল আরেফিন অমির পরিচালনা ও চিত্রনাট্যে নির্মিত এই সিজনে প্রধান চরিত্রগুলোর মধ্যে আছেন মারজুক রাসেল, জিয়াউল হক পলাশ, চাষী আলমের পাশাপাশি এবার যুক্ত হয়েছেন তৌসিফ মাহবুব। এছাড়াও আগের মতোই থাকছেন শিমুল শর্মা, লামিয়া লাম ও পাভেল।

হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন

হুমা কুরেশি প্রেমিকের সঙ্গে বাগদান সারলেন অনেক দিন ধরে গুঞ্জন উড়ছে, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে প্রেম করছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। যদিও তারা এ সম্পর্কের কথা কখনো স্বীকার করেননি। এবার জানা গেল, দীর্ঘ দিনের কথিত প্রেমিক রচিতের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন হুমা কুরেশি। হুমা-রচিতের ঘনিষ্ঠজন হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, “হুমা তার দীর্ঘ দিনের প্রেমিক, অভিনয় প্রশিক্ষক রচিত সিংয়ের সঙ্গে বাগদান সম্পন্ন করেছেন। হুমা ও রচিতের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়, তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, গায়িকা আকাসা সিংয়ের শেয়ার করা একটি ছবিকে কেন্দ্র করে। এ ছবির ক্যাপশনে আকাসা লেখেন, “এক টুকরো এই স্বর্গের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। দারুণ একটি রাত কেটেছে। এ ঘটনার কিছুদিন পর, হুমা ও রচিতকে একসঙ্গে দেখা যায় সোনাক্ষী সিনহা ও জহির ইকবালের বিয়েতে, দুজনেই সেদিন পরেছিলেন গোলাপী রঙের পোশাক। তাদের রসায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো এবং ভক্তরা দ্রুত অনলাইনে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেন এই রহস্যময় ব্যক্তিটিকে (রচিত) নিয়ে। সম্প্রতি, রচিতের ঘনিষ্ঠ একজনের জন্মদিন উদযাপনের সময় আবারো তাদের একসঙ্গে দেখা যায়, যা তাদের বাগদান নিয়ে জল্পনা আরো বাড়িয়ে তোলে। তবে বাগদান নিয়ে নানা চর্চা চললেও টুঁ-শব্দটি করেননি হুমা কিংবা রচিত। রচিত সিংহ একজন নামকরা অভিনয় প্রশিক্ষক। রচিত সিং ওয়ার্কশপ নামে তার নিজস্ব প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে ১০০টিরও বেশি কর্মশালা পরিচালনা করেছেন রচিত। তার কর্মশালায় অংশ নিয়েছেন গুলশন দেবাইয়া, ইমাদ শাহ, কুণাল কাপুর, পূজা হেগডে, হর্ষবর্ধন রানে, অমৃতা সুবাস, সহানা গোস্বামী, অহনা কুমারা, রণবীর সিং, বরুণ ধাওয়ান, ভিকি কৌশল, অনুশকা শর্মা, অনীত পড্ডা, শানায়া কাপুরের মতো অভিনয়শিল্পীরা। এর আগে পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার মুদাসসার আজিজের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করেছেন বলিউড অভিনেত্রী হুমা কুরেশি। দীর্ঘ ৩ বছর সম্পর্কে ছিলেন তারা। ২০২২ সালের শেষের দিকে জানা যায়, ভেঙে গেছে এই সম্পর্ক।

নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা

নেপালে সরকার পতনের ঘটনায় আলোচনায় বলিউডের মালা সিনহা নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। এ নাম ঘোষণা হতেই আবারও আলোচনায় বলিউডের প্রয়াত অভিনেত্রী মালা সিনহা। কারণ, অনেক বছর আগে সুশীলার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি মালা সিনহাকে বহন করা বিমান ছিনতাই করেছিলেন! ১৯৭৩ সালের ১০ জুন। বিরাটনগর থেকে কাঠমান্ডুর পথে উড়ছিল রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইনসের একটি কানাডায় নির্মিত ১৯ আসনের টুইন অটার বিমান। বিমানে যাত্রীদের মধ্যে ছিলেন বলিউড তারকা মালা সিনহা ও তার স্বামী, নেপালি অভিনেতা সি পি লোহানি।বিমানের ককপিট দখল করেন নেপালি কংগ্রেসের তিন তরুণ কর্মী দুর্গা প্রসাদ সুবেদি, নাগেন্দ্র ধুঙ্গেল ও বসন্ত ভট্টরাই। পুরো পরিকল্পনার নেপথ্যে ছিলেন গিরিজা প্রসাদ কৌরালা, যিনি পরে নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন। তখন সদ্য জেল থেকে ছাড়া পাওয়া সুবেদি ছিলেন কৌরালার ঘনিষ্ঠ সহযোগী। এই ছিনতাইয়ের মূল লক্ষ্য ছিল রাজতন্ত্রবিরোধী সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য অর্থ জোগাড় করা। বিমানে সরকারের ৩০ লাখ রুপি বহন করা হচ্ছিল। ক্রুর সঙ্গে অল্প সময়ের টানাপোড়েন শেষে ছিনতাইকারীরা বিমানের পাইলটকে বাধ্য করেন ভারতের বিহারের ফরবিশগঞ্জে ঘাসের মাঠে নামাতে। সেখানে আগেই অপেক্ষা করছিলেন আরও পাঁচ সহযোগী, তাদের মধ্যে ছিলেন পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া সুশীল কৌরালা। ছিনতাইকারীরা বিমানের ভেতর থেকে নগদ টাকাভর্তি তিনটি বাক্স নামিয়ে নেন। এরপর অন্য যাত্রীদের নিয়ে বিমানটি আবার উড্ডয়ন করে। টাকা ট্রাকে করে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সুশীলা ভারতে পড়াশোনার সময়ই বারানসির বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএইচইউ) দুর্গা সুবেদির সঙ্গে পরিচিত হন। সুবেদির সেই অতীত এখন আবার আলোচনায়।

কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন

কোটিপতি তানিয়া স্বামীকে বসিয়ে খাওয়াবেন সারাজীবন নতুন করে আলোচনায় এলেন ভারতের গোয়ালিয়রের তরুণ উদ্যোক্তা ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েনসার তানিয়া মিত্তাল। মহাকুম্ভ সফরের একটি ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাতারাতি ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হন তিনি। এবার বলিউড অভিনেতা সালমান খানের জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস ১৯’-এ অংশ নিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন। তবে এবার প্রশংসার চেয়ে বেশি সমালোচনার শিকার হচ্ছেন এসেছেন এই উঠতি তারকা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি বিগ বসের মঞ্চে এসে তানিয়া মিত্তাল জানান, তার রয়েছে ২৬ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল বাড়ি এবং তার অধীনে কাজ করেন প্রায় ৮০০ কর্মী। তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তার জন্য রয়েছে অসংখ্য দেহরক্ষী। নিজেকে একজন কোটিপতি বলেও দাবি করেন। তবে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানো তার একটি পুরনো সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি একেবারেই ভিন্ন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছিলেন। নিউস্কুপ-কে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে তানিয়া জানিয়েছিলেন, বেকার পুরুষকেও বিয়ে করতে তার আপত্তি নেই। এমনকি স্বামীর জন্য রান্না করা কিংবা তার পা ছুঁয়ে প্রণাম করতেও রাজি তিনি। সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানি না আদর্শ সঙ্গী আদৌ এই পৃথিবীতে আছেন কিনা। তবে যদি থাকেন, তিনি বেকার হলেও সমস্যা নেই। আমি প্রকাশ্যে তার পা ছুঁতে রাজি। আমার বিশ্বাস, সম্পর্কে বড়-ছোট বলে কিছু নেই। নিজেকে ‘হতাশ প্রেমিকা’ আখ্যা দিয়ে তানিয়া তার প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে কাটানো সময়ের কথা স্মরণ করেন। তার কথায়, ‌‘আমি এমনই ছিলাম যে আমার বয়ফ্রেন্ড খাওয়া শেষ করলে তার হাত মুছিয়ে দেওয়ার জন্য গরম তোয়ালে এনে দিতাম। আমি জানি, বিয়ের পর আমার স্বামীর ক্ষেত্রেও একইভাবে করব। আমি চাই, তিনি যেন নিজেকে রাজা মনে করেন। তার কাছে বিয়েতে ধনী স্বামীর খোঁজ করাটা কোনও অগ্রাধিকার নয়। এ বিষয়ে তানিয়ার ব্যাখ্যা, ‘আমার তিনটি কারখানা আছে। আমি এমন কাউকে চাই না, যে আমার জন্য রোজগার করবে। বরং আমি মনে করি, পুরুষরা চায় সংসারে নিশ্চিন্ত থাকতে। তাই আমি রোজগারও করব, আবার স্বামীর জন্য রান্নাও করব। তিনি বলেন, ‘আমি ঘরের সব কাজ জানি। আমার মতে, নারীবাদের নামে আমরা স্বামীদের ছাপিয়ে যেতে শুরু করেছি, যা একদমই ঠিক নয়। দেবী সীতাও তো ভগবান রামের চরণ ছুঁয়েছিলেন।একই সাক্ষাৎকারে তানিয়া আরও জানিয়েছেন, জীবনের একটা সময় তিনি সত্যিই ধনী মানুষকে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। তখন তিনি এমন একজনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন, যিনি ছিলেন আর্থিকভাবে বেশ স্বচ্ছল। তার ভাষ্যে, ‘আমি ভেবেছিলাম, যদি আমার ব্যবসা না চলে তবে তাকেই বিয়ে করব। কিন্তু এর আগেই তিনি সম্পর্ক ভেঙে দেন। তার মতে, আমি নাকি সুন্দর নই।

নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন

নুসরাত ফারিয়া অবশেষে গ্রেফতার ইস্যুতে মুখ খুললেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় গত মে মাসে গ্রেফতার হয়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া। আকস্মিক এ ঘটনায় শোবিজ অঙ্গনে দেখা দিয়েছিল বিস্ময় ও ক্ষোভ। তবে মাত্র দুই দিন পরই জামিনে মুক্তি পান তিনি। কারাগার থেকে বেরিয়ে সমর্থন ও পাশে থাকার জন্য সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন ফারিয়া। সে সময় এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন এটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ ও সংবেদনশীল সময়। এরপর প্রায় চার মাস তিনি এ নিয়ে আর কোনো মন্তব্য করেননি। অবশেষে হত্যাচেষ্টা মামলায় জামিনের পর গ্রেফতার প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খুললেন এই অভিনেত্রী।নিউইয়র্কভিত্তিক বাংলা গণমাধ্যম ‘ঠিকানা’-এর বিশেষ অনুষ্ঠান ফ্রাইডে নাইট উইথ জায়েদ খান-এ ফারিয়া বলেন, ‘এ রকম কিছু হবে আশা করিনি। কখনো দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। যার জীবন স্কিন কেয়ার, মেকআপ, একটু ঘোরাফেরা, শপিং করা, পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো, বন্ধুদের সঙ্গে কোথাও ভালো খেতে যাওয়া, এই ছোট ছোট জিনিস নিয়ে যে খুশি তার জীবনে এত জটিলতা! কী করবো না করবো এগুলো নিয়ে যখন চিন্তা করতে হয় তখন ভীষণ হতাশ হই। এরপর ফারিয়া বলেন, ‘আমি মনে করি, এটাকেই বড় হওয়া বলে। পরিস্থিতি মানুষকে বড় করে। আমার মনে হয় পুরো ঘটনাতে আমি অবশ্যই মানসিকভাবে বড় হয়েছি। এবং ওইটার (গ্রেফতার) পর এটা আমার প্রথম সাক্ষাতকার। আমি কোথাও কথা বলিনি। এমন না যে আমি কথা বলতে চাইনি। আমি এখনো কথার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত নই। অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, আমার সঙ্গে যেটা হয়েছে, সেটা অন্য কারো সঙ্গে হতে পারত। অনেকের সঙ্গেই হয়তো বা হচ্ছে, হবে। আমি এ বিষয়ে জানি না। তবে আমি ভাগ্যবান। আমার কাজের মাধ্যমে গোটা দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। যাদের দোয়া ভালোবাসার কারণে আমি আজকে আপনার (জায়েদ খান) সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আমার পরিবার, বাবা-মা, ভাই-বোন তাদের সবার দোয়া এবং ভালোবাসার কারণে কঠিন সময় পার করতে পেরেছি। হত্যা মামলায় জামিনের অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাইট ক্যামেরা, অ্যাকশনের জগতে নুসরাত। অভিনেত্রীর কথায়, ‘তার (গ্রেফতার) ঠিক ১০-১৫ দিন পর থেকে আমি আবার কাজ করা শুরু করেছি। তবে পুরো ঘটনাটা আমাকে একটা জিনিস শিখিয়ে দিয়েছে, কোনো কিছুই স্থায়ী নয়। জীবন খুবই অস্থায়ী, অনিশ্চয়তা ভরা। যেকোনো সময় যেকোনো কিছু হতে পারে। এ জন্য নিজেকে মানসিকভাবে তৈরি থাকতে হবে। তুমি যদি সৎ থাকো তাহলে পৃথিবীর কোনো খারাপ শক্তি তোমাকে আটকে রাখতে পারবে না। তোমাকে বিপদের সম্মুখীন করবে কিন্তু সেই বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তা নিজেই তোমাকে বাঁচিয়ে নিয়ে আসবেন। এটা আমার জীবন থেকে পাওয়া সবচেয়ে বড় শিক্ষা। সবশেষে দর্শক, সংবাদকর্মী এবং সহকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘আমি আমার দর্শকদের কাছে কৃতজ্ঞ কারণ, তারা যেভাবে একসাথে হয়ে আমার জন্য কথা বলেছেন। আমার মিডিয়ার সহকর্মীরা, সাংবাদিক ভাই-বোনেরা, জন্মের পর থেকে এখন অবধি যাদের চিনি প্রত্যেকটা মানুষ আমার জন্য কথা বলেছেন, কেঁদেছেন। শিল্পী নুসরাত ফারিয়া হিসেবে আমার মনে হয় না এর থেকে বড় অর্জন পাওয়ার আছে।

ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে

ফরিদা পারভীন শেষবারের মতো কুষ্টিয়ার পথে লালন সংগীতের মধ্য দিয়ে নিজেকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। পেয়েছিলেন লাখো ভক্ত শ্রোতার ভালোবাসা।জন্ম নাটোরে হলেও এই শিল্পীর শৈশব-কৈশোরের অনেকটা সময়ই কেটেছে কুষ্টিয়ায়। এছাড়াও লালনের গান করায় শিল্পীর অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে শহরটিতে। যেখানে যেতেন, প্রাণ ভরে স্বস্তির সময় কাটাতেন। রোববার ১৪ সেপ্টেস্বর শেষবারের মতো ফরিদা পারভীন যাচ্ছেন কুষ্টিয়ায়। তবে আগের যাওয়া আর আজকের যাওয়ার মধ্যে যোজন যোজন ফারাক! হ্যাঁ, নিথর দেহে শেষবারের মতো কুষ্টিয়ায় যাচ্ছেন তিনি। লাশবাহী গাড়িতে চড়ে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে রওনা হয়েছেন এই শিল্পী। সঙ্গে রয়েছেন পরিবারের সদস্য ও কিছু আত্মীয়-স্বজন। শনিবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১০টায় প্রয়াত হন দেশের কিংবদন্তী লালন সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। এরপর হাসপাতালে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে ফরিদা পারভীনের শেষ ইচ্ছের বিষয়ে তার সন্তানরা বলেছিলেন, ‘আম্মার ইচ্ছে ছিল নানা-নানীর কবরে শায়িত হবেন। এছাড়া যখন আম্মা মাঝে চলাফেরা করতে পারতেন তখন উনি কুষ্টিয়া যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কুষ্টিয়াতে নিয়ে যেতে পারি নাই। এছাড়া তার কোনও উইশ ছিল না। শিল্পীর ইচ্ছে অনুযায়ী কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে শায়িত করা হবে। তবে তার আরেক ইচ্ছে অপূর্ণই রয়ে গেল, জীবদ্দশায় শেষবার যাওয়া হয়নি সেখানে, যাচ্ছে তার নিথর দেহ। এর আগে রোববার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ ফরিদা পারভীনকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বৃষ্টির কারণে কিছুটা সময় বিলম্ব করে দুপুর ১২টার পর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রাখা হয় শিল্পীর মরদেহ। এদিন মুষলধারে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে প্রিয় শিল্পীকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছুটে আসেন অগুণতি মানুষ। সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হয় তার নামাজে জানাজা। জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়িতে করে শিল্পীর মরদেহ কুষ্টিয়ায় পথে রওনা হয়েছে। ফরিদা পারভীনের মরদেহ কুষ্টিয়া পৌঁছানোর পর সেখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর কুষ্টিয়া পৌর কবরস্থানে বাবা-মায়ের কবরে ফরিদা পারভীনকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হবে। প্রসঙ্গত, ফরিদা পারভীন বেশ কিছু দিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কিডনি সমস্যা ও ডায়াবেটিসসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন তিনি। কিডনি ডায়ালাইসিস চলছিল সপ্তাহে দুদিন করে। তবে মাঝেমধ্যে অবস্থার অবনতি হত তার। চলতি বছরে তিন দফায় হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে তাকে। সর্বশেষ গেল ২ সেপ্টেম্বর মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফরিদা পারভীনকে। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালে নেওয়ার পরই নিয়ে যাওয়া হয় আইসিইউতে। পরে তাকে লাইফ সাপোর্টেও নেওয়া হয়। সেখান থেকে আর ফেরানো গেল না তাকে।