সাদিয়া আয়মান নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন

সাদিয়া আয়মান নতুন পরিচয়ে হাজির হচ্ছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান নাটকের পাশাপাশি ওটিটি কনটেন্ট এবং সিনেমাতেও নিয়মিত অভিনয় করে চলেছেন। এবার এ অভিনেত্রী নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি জানিয়েছেন, একটি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন তিনি। এর মধ্যে দুই পর্বের শুটিংও করেছেন।সাদিয়া আয়মান বলেন, একটি পডকাস্টে উপস্থাপনার কাজ করছি। নাম ‘কানেকশন আনলকড’। কাজটি করে ভীষণ আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি। তিনি বলেন, রেকর্ডিং শেষ করা দুই পর্বে স্বাগত জানিয়েছিলাম চারজন অতিথিকে। যারা প্রত্যেকেই তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে জনপ্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিত্ব। এ অভিনেত্রী বলেন, আমি সবসময় নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী এবং এমন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালোবাসি, যা আমাকে ব্যক্তিগত ও পেশাগতভাবে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যায়। তিনি বলেন, আমাকে এ শোয়ের উপস্থাপক হিসাবে নির্বাচন করার জন্য এবং পুরো যাত্রায় সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। উল্লেখ্য, অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান নাটকের পাশাপাশি সিনেমা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন। এরই মধ্যে তার অভিনীত দুটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। এ ছাড়া ইমরাউল রাফাত পরিচালিত টু বি ওয়াইফের মাধ্যমে টেলিভিশন নাটকে অভিষেক হয়। শিহাব শাহীন পরিচালিত মায়াশালিক-এর জন্য সেরা অভিনেত্রীর বিসিআরএ পুরস্কার অর্জন করেন এবং গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত কাজলরেখা সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় তার অভিষেক হয়।
শ্রেয়া ঘোষাল নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাবেন

শ্রেয়া ঘোষাল নারী বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মাতাবেন ভারতে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে অসমের গুয়াহাটিতে। সেখানে পারফর্ম করবেন বলিউড গায়িকা শ্রেয়া ঘোষাল। এ ছাড়া বিশ্বকাপের অফিসিয়াল সংগীত ‘ব্রিং ইট হোম’–ও গেয়েছেন তিনি। আইসিসি জানিয়েছে, ভারত বনাম শ্রীলংকা ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে মহিলাদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। গুয়াহাটিতে ম্যাচের আগে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাইবেন শ্রেয়া ঘোষাল। এর আগে ২০২৫ আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেও গান গেয়েছেন তিনি। সুরের জাদুতে ক্রিকেটপ্রেমীদের মন জিতে নিয়েছিলেন তিনি। ১২ বছর পর ভারতের মাটিতে বসছে নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। গুয়াহাটি ছাড়াও ইন্দোর, বিশাখাপত্তনম ও নবি মুম্বাইয়ে ম্যাচ হবে। তবে পাকিস্তান তাদের সব ম্যাচ খেলবে শ্রীলংকায়। আগে বিশ্বকাপের উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল বেঙ্গালুরুতে। কিন্তু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর আইপিএল জয়ের উৎসবে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনার পর বেঙ্গালুরু থেকে ম্যাচ সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, দর্শক টানতে বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইসিসি। ম্যাচের টিকিটের সর্বনিম্ন দাম রাখা হয়েছে। টিকিট বিক্রি চলছে দুই ধাপে—প্রথম ধাপ শুরু হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর, চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর থেকে দ্বিতীয় ধাপ শুরু হবে।
ফের কি বাবা হয়েছেন তাহসান?

ফের কি বাবা হয়েছেন তাহসান? দাঁড়িয়ে আছেন সংগীতশিল্পী তাহসান খান। তার পরনে পাঞ্জাবি, মুখে মাস্ক। নবজাতক একটি শিশুকে তার কাছে ধরে রেখেছেন এক ব্যক্তি। খুব মনোযোগ দিয়ে শিশুটিকে দেখছেন তাহসান। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি স্থিরচিত্রে এমন দৃশ্য দেখা যায়। বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও পেজ থেকে ছবিটি শেয়ার করা হয়েছে। একজন ক্যাপশনে দাবি করেন—“দ্বিতীয়বারের মতো বাবা হলেন তাহসান খান, প্রথমবারের মতো মা হলেন রোজা আহমেদ।” আরেকজন লেখেন, “পুত্রসন্তানের বাবা হলেন তাহসান খান।” অন্য একজন দাবি করেন, “আবারো কন্যা সন্তানের বাবা হলেন তাহসান।” এরপর থেকে শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন তাহসান-রোজা আহমেদ দম্পতি। চলতি বছরের ৪ জানুয়ারি পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তার স্ত্রীর নাম রোজা আহমেদ, তিনি পেশায় একজন মেকআপ আর্টিস্ট। তাদের বিয়ের বয়স ৮ মাস ১ দিন। এর ফলে তাহসানের বাবা হওয়ার খবরটি আরো বেশি মুখরোচকে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সত্যি কি বাবা হয়েছেন এই শিল্পী? সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ও খবর নিয়ে যখন জোর চর্চা চলছে, ঠিক তখন মুখ খুলেছেন তাহসান খান। খবরটি ভিত্তিহীন দাবি করে এই শিল্পী বলেন, “এই ছবিটা তিন বছর আগের এবং কোলের শিশুটা আমার এক ছোট ভাইয়ের। তখন ওর বাচ্চাকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। এটা তখনকারই ছবি। এ খবর পুরোটাই ভিত্তিহীন। ২০০৬ সালের ৭ আগস্ট রাফিয়াথ রশিদ মিথিলার সঙ্গে বিবাবহবন্ধনে আবদ্ধ হন তাহসান খান। ২০১৩ সালের ৩০ জুলাই তাদের ঘর আলো করে আসে কন্যা আইরা তাহরিম খান। ২০১৭ সালে ১১ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন এই দম্পতি। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে মিথিলা ওপার বাংলার পরিচালক সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেও একা ছিলেন তাহসান। দীর্ঘ দিন একা থাকার পর পরিচয় হয় রোজা আহমেদের সঙ্গে। পরিচয়ের চার মাসের মাথায় বিয়ে করেন এই জুটি। তাহসানের দ্বিতীয় হলেও রোজার এটি প্রথম বিয়ে। দাম্পত্য জীবনে দারুণ সময় পার করছেন এই যুগল।
লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আইসিইউ থেকে কেবিনে

লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আইসিইউ থেকে কেবিনে দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতায় ভুগছেন দেশবরেণ্য লালনসংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন। গত ২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ডায়ালিসিস করানো হয় তার। ডায়ালিসিসের পর তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন থেকে এ শিল্পী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। বেসরকারি হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিকিৎসক আশীষ কুমার চক্রবর্তী ফরিদা পারভীনের শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে গণমাধমের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি জানান, আজ (৫ সেপ্টেম্বর) দিনের যেকোনো সময় আইসিইউ থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হবে ফরিদা পারভীনকে। তবে তার শারীরিক অবস্থা কিছুটা জটিল। কিডনি জটিলতার পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্টসহ আরও নানা সমস্যা আছে। আমরা প্রয়োজনীয় সব ধরনের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছি। তার সুস্থতার জন্য সব ধরনের চেষ্টা চালাচ্ছি। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ফরিদা পারভীন। ফুসফুসের সমস্যা ছাড়াও ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি ও থাইরয়েড জটিলতা রয়েছে তার। বমি ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থা আরও জটিল আকার ধারণ করেছে। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে লালনসংগীতে তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।
মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি?

মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি? প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়া ভাটকে নিয়ে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আলিয়া ভাটের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে সেই পুরনো স্মৃতি সামনে এনেছেন অনেকে।কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য মেনে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও, ঋষি কাপুর নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তার ছেলে রণবীর কাপুরের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়শই কথা বলতেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক নীতু কাপুর মেনে নিতে পারেননি। তবে আলিয়া ভাটের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। রণবীরের মা নীতু কাপুর আলিয়াকে মন থেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং ঋষি কাপুরও আলিয়ার অভিনয়ের মুগ্ধ ভক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ঋষি কাপুর ভারতীয় সিনেমার বর্তমান অবস্থা এবং তরুণ প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন অভিনেতা তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন। কোনো দ্বিধা ছাড়াই ঋষি কাপুর তখন আলিয়া ভাটের নাম নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আলিয়া ভাটের মতো একজন অভিনেত্রীর প্রশংসা করতেই হয়, যিনি হাইওয়ে এবং রাজি-এর মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এই অল্প বয়সে একটি পুরো চলচ্চিত্রকে নিজের কাঁধে বহন করা খুবই কঠিন এবং কেবল একজন দক্ষ অভিনেতাই এটি করতে পারেন। এছাড়াও, এই ধরণের চরিত্র পাওয়ার জন্যও একজনকে যথেষ্ট ভাগ্যবান হতে হবে। আলিয়া ভাগ্যবান এবং অবশ্যই তার প্রতিভাও আছে।’ আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের প্রেম তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর প্রেম করার পর, ঋষি কাপুরের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০২২ সালে এই জুটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা

ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত হিন্দি সিনেমা ‘সাইয়ারা’ মুক্তির সাত সপ্তাহ পর থিয়েটার থেকে বিদায় নিয়েছে। নবাগত তারকা আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার এই ছবি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এবং একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সিনেমাটি ৪৮ দিন ধরে হলে প্রদর্শিত হয়েছে, আর শুধু ভারতেই এর আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৯.২৫ কোটি রুপি। এর মাধ্যমে ‘সাইয়ারা’ ভারতের ১৪তম সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি সালমান খানের ‘সুলতান’ (৩০০ কোটি), সঞ্জয় লীলা বনসালীর ‘পদ্মাবত’ (৩০২ কোটি) এবং কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ (২৬০ কোটি)-এর মত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোকে পেছনে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘সাইয়ারা’র দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। কোনো সুপারস্টার না থাকা সত্ত্বেও ছবিটি আয় করেছে ১৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ছবিটির মোট আয় ৫৭০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের আয়ের ফলে ‘সাইয়ারা’ এই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমার তকমা পেয়েছে। ৫৭০ কোটি রুপি আয়ের কারণে ‘সাইয়ারা’ শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ (৪৫৫ কোটি), সালমান খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ (৫৫৮ কোটি), রণবীর কাপুরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (৪৩১ কোটি), এবং সর্বকালের ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ (৪৬০ কোটি) ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (৪২২ কোটি)-এর মতো ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। মোহিত সুরি পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ সিইও অক্ষয় বিধানী প্রযোজিত এই ছবিতে একজন মেজাজী গায়ক (আহান) এবং একজন গীতিকারের (অনীত) প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রাজেশ কুমার, বরুণ বাদোলা, শাদ রান্ধাওয়া, গীতা আগ্রওয়াল শর্মা, আলম খান এবং শান গ্রোভার। ছবিটি সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের কাছ থেকেই দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।
মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর!

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর! বিদেশি প্রেমিক সুইজারল্যান্ডের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মাইক রিচারেরকে বিয়ে করেছিলেন ভারতের বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুর। এবার শোনা যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মোনালি-মাইক রিচার দাম্পত্য জীবনে কঠিন সময় পার করছেন। সম্ভবত তারা বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি মোনালি কিংবা মাইক। গত বছর মোনালির মায়ের মৃত্যুর আগে স্পষ্ট হয় মোনালি-মাইকের সম্পর্ক ঠিক নেই। স্বামীর সঙ্গে সব ছবি মুছে ফেলেন গায়িকা। সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তা বুঝতে কারো বাকি ছিল না। সামাজিকমাধ্যমে মাইককে অনুসরণ করেন না মোনালি। এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, এই কয়েক বছরে তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে; দম্পতি হিসেবে এখন আর কেউ তাদের নিয়ে কথা বলে না। দীর্ঘ দূরত্বের বিয়ে সাধারণত এই ধরনের পরিণতির মুখোমুখি হয়। মাইকের সঙ্গে মোনালি প্রেম করছেন এ খবর সবাই জানতেন। কিন্তু গোপনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা; যা পুরোপুরি আড়ালে রেখেছিলেন মোনালি। ৩ বছর পর গোপন বিয়ের খবর জানান এই গায়িকা। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মোনালি ও মাইক। এক সাক্ষাৎকারে এই গায়িকা বলেছিলেন, আমার বিয়ের খবরটি শুনে অনেকেই হয়তো কষ্ট পাবেন কারণ ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুই বিষয়টি জানেন না এবং তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমরা চাইছিলাম অনুষ্ঠান করে ঘোষণা দিব কিন্তু এভাবেই তিন বছর পার হয়ে গেছে। মাইকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা বর্ণনা করে মোনালি বলেছিলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে মাইকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখনই আমাদের প্রেম হয়ে যায়। শুধু মাইকের সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক। ২০১৬ সালের ক্রিসমাস ইভে একটি গাছের নিচে মাইক আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, সেখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাঁ বলেছিলাম। জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক শক্তি ঠাকুরের কন্যা মোনালি ঠাকুর। বাবার পথ অনুসরণ করে একই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি ঠাকুর। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘জারা জারা টাচ মি’, ‘গুডনাইট’, ‘খুদায়া খায়ের’, ‘গোলামাল’ প্রভৃতি। এছাড়া বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন মোনালি।
গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ‘গানের পাখি’ বলেই ডাকা হয় তাকে। সুরের জাদুতে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালর ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জে। তার পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। পরিবারে সংগীতের চর্চা ছিল, তাই ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। এই গানের মানুষ আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন। এক জীবনে অনেক কিছুর সাক্ষী সাবিনা ইয়াসমিন। জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এই শিল্পী। জীবনের কোন মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি শিখিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় শিল্পীর কাছে। জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সত্যি বলতে আমার সংগীতজীবনে কঠিন মুহূর্ত আসেনি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালোভাবে এত দূর এসেছি, এতটা সময় কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন কিছু মুহূর্ত যে আসেনি, তা নয়। ওই সময়টায় গানই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গান আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন—সব।” সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তার মা মুর্শিদাবাদে সে সময়ের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে গান শিখতেন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নেন। সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন তাদের সঙ্গে বসতেন। তার মা তাকে তালিমে সহায়তা করতেন, হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গ দিতেন। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে টানা ১৩ বছর শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান ‘খেলাঘর’-এ অংশ নেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ অনুষ্ঠানে তার প্রথম সম্মানী ছিল ১০ টাকা। সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশীর বাড়িতে আলতাফ মাহমুদ আসেন। ওই সময়ে আলতাফ মাহমুদ চলচ্চিত্রে সংগীতায়োজন করতেন। সাবিনা ইয়াসমিনের মা আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করেন, মেয়েকে চলচ্চিত্রের গানে সুযোগ দেওয়ার। পরে আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটি ছিল সাবিনা ইয়াসমিনের প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তী চার দশকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে গান করেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংখ্যা কিংবা জনপ্রিয়তা দুই দিক দিয়েই বরাবরই এগিয়ে ছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে—‘তুমি আমার মনের মানুষ’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘কী দিয়া মন কাড়িলা’, ‘ও সাথীরে’, ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, ‘তুমি যে আমার’, ‘সে যে কেন এলো না’, ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’, ‘এই পৃথিবীর পরে’ প্রভৃতি। তা ছাড়া দেশাত্মবোধক গান কণ্ঠে তুলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার গাওয়া কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে—‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘সব কটা জানালা’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ’, ‘মাগো আর তোমাকে’ প্রভৃতি। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে কত হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন তার সঠিক হিসাব করা মুশকিল। এর সঠিত তথ্য সাবিনা ইয়াসমিন নিজেও দিতে পারেন না। তবে ধারণা করা হয়— দশ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। দেড় হাজারের অধিক চলচ্চিত্রের গান কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী। ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার, মান্না দের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। আবার মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উঠতি শিল্পীদের সঙ্গেও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এ পর্যন্ত চৌদ্দবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।
চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী

চুমু খেলেন মিমি-শুভশ্রী দুর্গাপুজা মানেই কলকাতা শহরজুড়ে রঙ, আলো, আর তারকাদের ঝলক। আর সেই উত্সবের আবহে এবার এক অনন্য মুহূর্ত উপহার দিলেন টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী— মিমি চক্রবর্তী এবং শুভশ্রী গাঙ্গুলী। একজন রাজ চক্রবর্তীর সাবেক প্রেমিকা, অন্যজন পরিচালকের স্ত্রী। অতীতের জটিলতা, গসিপ, আর টলিপাড়ার কানাঘুষোকে পিছনে ফেলে, তারা একসঙ্গে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে। রাজকে ভুলে দুই সুন্দরী ডুবলেন ব্র্যোম্যান্সে। মিমির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা শোনা গেল শুভশ্রীর গলায়, এদিকে রাজের স্ত্রীর গালে আনন্দে চুমু খেলেন তার প্রাক্তন। ঘটনাটি ঘটেছে একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে। মেকআপ ভ্যানে তোলা একটি রিল ইতোমধ্যে ঝড় তুলেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়, সেখানে শুভশ্রীকে বলতে শোনা গেছে, ‘বলিউডে যদি দীপিকা থাকে, আমাদের আছে মিমি। শুভশ্রীর মন্তব্যের পর মিমি আবার আবেগপ্রবণ হয়ে পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে অভিনেত্রীর গালে চুমু খান। এই দৃশ্য দেখে অবাক নেটপাড়া। ভিডিওটি দেখে অনেকে মন্তব্য করেছেন, একটা সময়ে রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে মিমির সম্পর্ক ছিল টলিপাড়ার ওপেন সিক্রেট, আর আজ প্রাক্তন প্রেমিকের স্ত্রী শুভশ্রীর সঙ্গে এমন রসায়ন? তবে এর আগে এক ফ্রেমে কখনও দেখা যায়নি মিমি-শুভশ্রীকে। একবার একটি মিউজিক ভিডিওতে একসঙ্গে কাজ করলেও, তখনও শুটিং হয়েছিল আলাদা আলাদা। কিন্তু এবার সব দূরত্ব পেরিয়ে, দুর্গাপুজার স্পেশ্যাল শুটে একসঙ্গে ক্যামেরার সামনে এলেন তারা— একই কোম্পানির হয়ে ধরা দিলেন এক ফ্রেমে।‘গৃহপ্রবেশ’-এর পর ‘ধূমকেতু’- এই মুহূর্তে টলিপাড়ায় শুভশ্রী ঝড় তুলেছেন। তবে পুজায় মুক্তি পাচ্ছে মিমির ‘রক্তবীজ ২’ , যেখানে অভিনেত্রীকে দেখা যাবে বিকিনি লুকে। শুভশ্রী আগেই প্রশংসা করেছেন মিমির ফিটনেস ও স্টাইলের, বলেছিলেন ‘ওকে কুর্নিশ জানাই।
সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন

সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন উপমহাদেশের লালনসংগীতের বরেণ্য শিল্পী ফরিদা পারভীন। গতকাল রাতে কয়েকবার বমি করেছেন। প্রয়োজনীয় সকল পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখা হয়েছে। এদিকে, ফরিদা পারভীনের অসুস্থার বিষয়টি বিবেচনা করে তার চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় অর্থ সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ফরিদা পারভীনের চিকিৎসা যতটা ভালোভাবে করা সম্ভব তা-ই চেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়-সহ, বেশ কয়েকজন উপদেষ্টাবৃন্দ আমাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন, আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজে জানায়, শিল্পী ফরিদা পারভীন আগেই থেকে অসুস্থ ছিলেন। তার ফুসফুস আক্রান্ত, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি এবং থাইরয়েডের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত কিছু সমস্যা ছিল। বর্তমানে তিনি কয়েকবার বমি ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। তার অবস্থা কিছুটা জটিল। সংগীতাঙ্গনে অনন্য অবদান রাখা ফরিদা পারভীনের অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত ও সহশিল্পীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। সবাই তার সুস্থতা কামনায় প্রার্থনা করছেন। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন তিনি। সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে ফরিদা পারভীন লালন সংগীতে তালিম নেন। সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ফরিদা পারভীন ১৯৮৭ সালে একুশে পদক পান। শিশুদের লালন সংগীত শিক্ষার জন্য ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি গানের স্কুল গড়ে তুলেছেন তিনি।