ন্যানসি লন্ডনে ৬ মাসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স শেষ করলেন

ন্যানসি লন্ডনে ৬ মাসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স শেষ করলেন   দেশের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। শুধু গানের জগতেই নয়, ব্যক্তিগত পছন্দের ক্ষেত্রেও বরাবরই মনোযোগী তিনি। সেই পছন্দের জায়গাগুলোর একটি হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইন। বহুদিন ধরেই ঘর সাজানো-গোছানো এবং নান্দনিক বিন্যাসে তার বিশেষ আগ্রহ।নেত্রকোনায় নিজের তৈরি ডুপ্লেক্স বাড়িটির ইন্টেরিয়রও তিনি নিজস্ব রুচি ও পরিকল্পনায় করেছেন। যা তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছেও প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। নিজের আগ্রহকে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতায় রূপ দিতে গত বছর লন্ডনের সুপরিচিত ন্যাশনাল ডিজাইন একাডেমিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হন ‘দ্বিধা’, ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী। ছয় মাসব্যাপী ডিপ্লোমা কোর্সে অংশ নিতে নিয়মিত লন্ডনে যাওয়া-আসা করতে হয়েছে তাকে। ব্যস্ত কনসার্ট, গান রেকর্ডিং, সংসার দেখাশোনার চাপে কোর্সটি শেষ করা ছিল সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ। শিল্পী জানান, তার কোর্সটি এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ন্যানসি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিয়র ডিজাইন আমাকে ভীষণ টানে। এটি আমার কাছে শুধু সৃজনশীলতার জায়গা নয়, বরং মানসিক প্রশান্তিরও উৎস। গান, পরিবার আর বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝেও কোর্সটি শেষ করতে পেরেছি-এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট হাতে পাব। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে আরও পেশাদারভাবে কাজ করার পরিকল্পনাও আছে তার। যদিও সংগীতই তার প্রথম ভালোবাসা, তবুও ইন্টেরিয়র ডিজাইনে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে ঘরবাড়ি সাজানোর মতো সৃজনশীল কাজ করতে চান ন্যানসি। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ন্যান্‌সি নতুন গান ও বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না   অভয়া কাণ্ডের পর থেকেই ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন শুরু হয়। ওই সময় সোহিনী এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে যেভাবে সক্রিয় ও সরব হয়েছিলেন, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন হয়তো অচিরেই তাকে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে। এমন ভাবনার পেছনে কারণও ছিল এর আগেও টলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই একইভাবে সমাজিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। যদিও অভয়া কাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। তবে সম্প্রতি ‘রঘু ডাকাত’ ছবির প্রচারের সময় তৃণমূল নেতার সঙ্গে সোহিনীর নাচের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিনেত্রীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেছিলেন। অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সোহিনী সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে তার যোগদানের ব্যাপারে। সোহিনী বলেন, ‘আমার কাছে যদি প্রস্তাব আসে, আমি তবুও কোনোভাবেই, কোনো অর্থেই, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না। তৃণমূল হোক বা কংগ্রেস, বিজেপি হোক অথবা সিপিএম আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চাই না। আমি যদি কখনো রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে যাই, তাহলে আমার আর কিছু বলার থাকবে না। আমাকে তখন পুরোপুরি চুপচাপ হয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, ছোট ও বড় পর্দার বহু তারকাই সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। একটা সময় শিল্পীরা রাজনৈতিক ব্যাপার থেকে নিজেদের দূরে রাখলেও, এখন সেই ছবিটা অনেকটাই উল্টে গিয়েছে। দেব থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড় তারকারাও এখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন।

প্রভাসকে নিয়ে দুশ্চিন্তা অনুরাগীদের

প্রভাসকে নিয়ে দুশ্চিন্তা অনুরাগীদের   গত সোমবার ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। উত্তর-পূর্ব উপকূলে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দক্ষিণী সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তে থাকে উদ্বেগ। কারণ ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’র বিশেষ প্রদর্শনীতে যোগ দিতে সম্প্রতি জাপানে গেছেন অভিনেতা প্রভাস। প্রভাসের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা না যাওয়ায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। অনেকেই জানতে চান-জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে তিনি ঠিক আছেন তো? অবশেষে ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন তার নতুন ছবি ‘রাজা সাহেব’র পরিচালক মারুতি। আগামী ১২ ডিসেম্বর জাপানে মুক্তি পাচ্ছে ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’। দুটি পর্বই একসঙ্গে মুক্তি পেতে চলায় সেদেশের দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। এই উপলক্ষেই বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে যোগ দিতে সশরীরে সেখানে পৌঁছেছেন প্রভাস। এমন সময় ভূমিকম্পে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে ভক্তদের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। মঙ্গলবার প্রভাসের সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক মারুতি। তিনি জানান, “ডার্লিংয়ের সঙ্গে কথা হলো। ও সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-প্রভাস এখন টোকিওতে নেই।” এক্স-এ পোস্ট করেও ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে জাপান প্রশাসন জানায়, ভয়াবহ কম্পনের পর আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল। প্রথম ধাক্কার পর বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকলেও সেটি পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

১৫ বছর পর ‘থ্রি ইডিয়টস’ -এর সিক্যুয়েল আসছে

১৫ বছর পর ‘থ্রি ইডিয়টস’ -এর সিক্যুয়েল আসছে   বলিউডের বক্স অফিসে ঝড় তোলা সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া সে সিনেমা আজও স্মৃতিতে উজ্জ্বল দর্শকদের। দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার সুখবর এলো, খুব শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবির সিক্যুয়েল। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিচালক রাজকুমার হিরানি নাকি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। এই সিক্যুয়েলে কাস্টিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসছে না। আগের মতোই র‍্যাঞ্চোর ভূমিকায় আমির খান এবং তার বিপরীতে পিয়া শাস্ত্রবুদ্ধি চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা কাপুরকে। অন্যদিকে, র‍্যাঞ্চোর দুই প্রিয় বন্ধু রাজু রস্তোগি ও ফারহানের চরিত্রে ফের জুটি বাঁধছেন যথাক্রমে শরমন যোশি ও আর মাধবন। বর্তমানে চিত্রনাট্যের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম ছবির শেষে নিজের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে র‍্যাঞ্চোর (আমির) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পিয়া (কারিনা কাপুর)। সিক্যুয়েলের গল্প সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে কি না, তা নিয়ে দর্শক মহলে জল্পনা থাকলেও, এটি নিশ্চিত যে নতুন অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হবে তিন বন্ধু। এর সঙ্গে রাজকুমার হিরানি স্পেশাল কৌতুকরসও থাকছে ছবিতে। আসন্ন এই সিক্যুয়েলকে আলোর মুখ দেখাতে আমির খানের সঙ্গে দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিকের কাজও স্থগিত রেখেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। জানা যায়, তিনি অনেক আগেই সিক্যুয়েলের প্ল্যান করলেও সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। জানা গেছে, আগামী ২০২৬ সালেই পর্দায় ফিরতে চলেছেন আমির-কারিনা, শরমন-মাধবনের পুরো দল।

দেশত্যাগের আগে ওমর সানীর ভিডিও বার্তা

দেশত্যাগের আগে ওমর সানীর ভিডিও বার্তা ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। আগের মতো অভিনয়ে নিয়মিত নন। সর্বশেষ ‘ডেডবডি’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে। বর্তমানে তার ব্যস্ততা কাটছে নিজের ব্যবসা ঘিরে। তার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকলেও তিনি দেশে থেকেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ফেসবুক আইডিতে নানা রকম পোস্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেতা। এবার একটু বিরতি নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন ওমর সানী। দেশত্যাগের আগে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) একটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ওমরাহ পালনের উদ্দেশে গেছেন তিনি। ওমর সানী জানান, সোমবার ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানে সৌদি আরবের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এরপর প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করে এই নায়ক। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘নবীর দেশ, মানবদেহের অক্সিজেনের দেশ সৌদি আরব। সেখানে পুরো টিম নিয়ে ওমরাহ পালনের জন্য যাচ্ছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন। ভক্ত ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিওতে ওমর সানী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন খুব শিগগির ফিরে আসতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন। রেখে গেলাম বাংলাদেশকে। ফিরে পেতে চাই বাংলাদেশকে। ভালো থাকবেন সবাই।

সৌদিতে জায়েদ খান ওমরাহ পালন করতে

সৌদিতে জায়েদ খান ওমরাহ পালন করতে বহুদিন ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সেখানে বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত আছেন। এরই মাঝে নতুন এক খবর দিলেন জায়েদ খান। জানালেন, প্রথমবারের মতো ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গেছেন। গত সোমবার ৮ ডিসেম্বর ১০ দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সৌদি আরবের উদ্দেশ্যে উড়াল দেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করে জায়েদ খান বলেন, “আপনারা সবাই জানেন, আমি নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ি এবং সব রোজা রাখি। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল ওমরাহ পালন করব। অবশেষে আমার সেই কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। দীর্ঘ সময় ধরে দেশের বাইরে রয়েছেন জায়েদ খান। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত বাংলা সংবাদপত্র ‘ঠিকানা’-য় নিয়মিত উপস্থাপনা করছেন। তারকাদের নিয়ে তার এই অনুষ্ঠান ইতোমধ্যে বেশ আলোচিত। রাইজিংবিডি.কম

তোপের মুখে গায়িকা নেহা কক্কর

তোপের মুখে গায়িকা নেহা কক্কর বলিউডের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা কক্কর তার একটি লাইভ স্টেজ পারফরম্যান্সকে কেন্দ্র করে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। সম্প্রতি একটি কনসার্টে গান গাওয়ার সময় নেহার অঙ্গভঙ্গি এবং নিজের শরীরে পানি ঢালার একটি ভিডিও নেটমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কেউ একে ‘সাহসী পারফরম্যান্স’ বললেও অনেকে একে ‘অশোভন’ ও ‘সস্তা জনপ্রিয়তা পাওয়ার চেষ্টা’ বলে মন্তব্য করেছেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, নেহা কক্কর লেপার্ড-প্রিন্টের একটি আঁটসাঁট পোশাকে মঞ্চে গান গাইছেন। পারফরম্যান্সের এক পর্যায়ে তিনি একটি পানির বোতল তুলে নেন এবং নিজের শরীরের উপরিভাগে ঢেলে দেন। এই দৃশ্যটি সামাজিক মাধ্যমে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। নেহার এই বিশেষ কোরিওগ্রাফি ঘিরেই মূলত বিতর্কের সূত্রপাত। টিকটক ও ইনস্টাগ্রামে ইতোমধ্যে ভিডিওটি ১ কোটির বেশি মানুষ দেখেছেন। নেটদুনিয়ায় সমালোচনার ঝড় এই ঘটনায় নেটনাগরিকদের একাংশ নেহার কঠোর সমালোচনা করছেন। অনেকের মতে, একজন কণ্ঠশিল্পী হিসেবে গানের চেয়ে শরীরী প্রদর্শনীতেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। সমালোচকদের একজন লিখেছেন, ‘সুরের রানি থেকে এমন পর্যায়ে নেমে আসা দুঃখজনক।’ অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, ‘ভাইরাল হওয়ার নেশায় নিজের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছেন নেহা।’ তবে নেহার ভক্তরা বরাবরের মতোই তার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাদের মতে, এটি কেবলই মঞ্চের উন্মাদনা এবং আন্তর্জাতিক মানের পারফরম্যান্সের অংশ। পুরোনো বিতর্ক নেহা কক্করের এমন বিতর্কিত কাণ্ড এবারই প্রথম নয়। এর আগেও মঞ্চে বেলি ডান্স বা সাহসী অঙ্গভঙ্গি করে তিনি একাধিকবার আলোচনায় এসেছেন। যদিও বরাবরই তিনি নিজের এই ‘সাহসী’ ইমেজ বজায় রাখতে পছন্দ করেন, তবে এবারের ঘটনাটি সামাজিক রুচিবোধের প্রশ্নে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

মিশা সওদাগর শিল্পীদের দেশ ছাড়ার কারণ জানালেন

মিশা সওদাগর শিল্পীদের দেশ ছাড়ার কারণ জানালেন শোবিজের অনেক তারকা শিল্পীরাই সাম্প্রতিক সময়ে পাড়ি জমাচ্ছেন বিদেশে। কেউ স্থায়ীভাবে সেখানেই বসবাস শুরু করেছেন, কেউ আবার দেশে এসে সীমিত পরিসরে কাজ করছেন। শিল্পীদের এই দেশ ছাড়ার প্রবণতা নিয়ে মুখ খুললেন চলচ্চিত্রশিল্পী সমিতির সভাপতি ও জনপ্রিয় অভিনেতা মিশা সওদাগর। মিশা সওদাগর জানান, কাজের সংকটই তারকাদের বিদেশে যাওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। অভিনেতার কথায়, ‘কাজ না থাকলে শিল্পীদের কী করার আছে? একসময় দিনে চার-পাঁচটা সিনেমার কাজ করেছি। সকাল ৭টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত শুটিং চলতো। এখন সেই এফডিসি প্রায় বন্ধ। যে শিল্পীরা দেশ ছেড়েছেন, তাদের কি কারও মন চাইছিল? অমিত হাসান, মৌসুমী, ইমন, আলেকজান্ডার বোসহ অনেকেই চলে গেছে। মাহিয়া মাহিও এখন যুক্তরাষ্ট্রে। কাজ থাকলে তারা কেউই যেত না। অনুষ্ঠানের নিজের কথাও উল্লেখ করেন এই অভিনেতা। তার পরিবার স্থায়ীভাবে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে। তিনিও বছরের বড় একটা সময় থাকেন সেখানে। শিল্পীদের জীবনযাত্রার চাপ নিয়ে মিশার ব্যাখ্যা, ‘শিল্পীদের কাজ থাকুক বা না থাকুক, অনেক কিছুই মেইনটেইন করতে হয়। চেহারা, পোশাক, গাড়ি, মোবাইল, ঘরের পরিবেশ- সবকিছুতেই একটা মান ধরে রাখতে হয়। আমরা কাজ করি পরিবারের জন্য, বেঁচে থাকার তাগিদে। কিন্তু কাজই যদি না থাকে, ইনকাম যদি বন্ধ হয়ে যায়, তখন একজন শিল্পী কী করবে। তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে গেলে অন্তত স্থায়ীভাবে কাজ পাওয়া যায়, পরিবার নিয়ে টিকে থাকা যায়। তাই অনেকেই বাধ্য হয়ে দেশ ছাড়ছেন। এটা তাদের দোষ নয়, পরিস্থিতির চাপ। মিশা সওদাগরের মতে, স্থানীয় চলচ্চিত্র শিল্পে কাজের পরিমাণ বাড়লেই তারকারা আবার দেশে ফিরে আসবেন।

ঐশ্বরিয়ার আবেগঘন বক্তব্য কান উৎসবে মেয়ের হাঁটার স্মৃতি নিয়ে

ঐশ্বরিয়ার আবেগঘন বক্তব্য কান উৎসবে মেয়ের হাঁটার স্মৃতি নিয়ে কান চলচ্চিত্র উৎসবের লাল গালিচায় মা-মেয়ের সেই ভাইরাল মুহূর্ত এখনো ভোলেননি ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। অনেক বছর আগে কানেই সবার মন জয় করা সেই ছোট্ট আরাধ্যার আবেগঘন স্মৃতিই আবার সামনে আনলেন ‘বিশ্বসুন্দরী’। সম্প্রতি সৌদি আরবে চলচ্চিত্র উৎসবে এসে পুরোনো দিনে ফিরে গেলেন তিনি। ঐশ্বর্য জানান, ছোট থেকে মায়ের সঙ্গে কান উৎসবে যাওয়ার কারণে আরাধ্যার কাছে বিশ্বের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ এ আয়োজন যেন নিজের ঘরবাড়ির মতোই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। আরাধ্যার সেই ভাইরাল ভিডিওটির কথাও তুলে আনেন তিনি- যেখানে রেড কার্পেটে মায়ের ঠিক পাশেই হাঁটতে দেখা গিয়েছিল তাকে। অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘মানুষ ভাবে, আরাধ্যার ছবি তোলার জন্যই তাকে গাউন পরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আদৌ তা নয়। ও তো তখন একদম ছোট্ট মেয়ে- রূপকথা পড়ে, দেখে। তাই তার কাছে ব্যাপারটা ছিল- মা কেন এমন গাউন পরে? কেন এত সাজগোজ? ফলে ও মনে করেছে, আমরা যেন রূপকথার চরিত্র! সেই কারণেই এটা তার কাছে ছিল খেলাধুলার মতো মজা। ঐশ্বরিয়ার আরও জানান, সেই সময়কার নেপথ্যের মুহূর্তগুলো ছিল ভীষণ উপভোগ্য। “আমি রেড কার্পেটের জন্য প্রস্তুত হচ্ছি, আর পাশে আরাধ্যা বলে চলেছে- ‘মা, এটা দেখো… ওটা দেখো।’ পুরো টিম তখন নিজের কাজে ব্যস্ত। একসময় ও আমার পাশ দিয়ে হাঁটছিল, আমি ওর হাত ধরে রেখেছিলাম। চাইছিলাম না ও দূরে চলে যাক, কারণ ও খুব আনন্দ পাচ্ছিল” বলেন তিনি। মা-মেয়ের এই স্নিগ্ধ রসায়নই পরে পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় ধরা পড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। এখনো সেই মুহূর্ত স্মরণ করলে আবেগে ভেসে যান অভিনত্রেী।

৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক!

৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন হৃতিক! ২০০০ সালে ‘কাহো না পেয়ার হ্যায়’ সিনেমাটি মুক্তির পর রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে যান বলিউড অভিনেতা হৃতিক রোশন। প্রথম ছবিতেই তার আকাশছোঁয়া সাফল্য এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, মাত্র এক মাসের মধ্যে তার কাছে প্রায় ৩০ হাজার বিয়ের প্রস্তাব এসেছিল। সম্প্রতি ভারতীয় একটি জনপ্রিয় টক শো-তে অংশ নিয়ে অভিনেতা নিজেই তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকের সেই উন্মাদনার কথাই শোনালেন। ভক্তদের ভিড় সামলাতে নাকি বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করেছিলেন হৃতিক। জানান, প্রথম সিনেমাটি সুপারহিট হওয়ার পর তার বাড়ির সামনে প্রতিনিয়ত ভক্তদের ভিড় লেগে থাকত। বিশেষ করে তরুণী ও তাদের অভিভাবকরা হৃতিকের সঙ্গে দেখা করার জন্য অধীর অপেক্ষায় থাকতেন। জানান, প্রতিদিন সকালে জানালার পর্দা সরালেই হৃতিক দেখতেন বাড়ির প্রধান ফটকে দীর্ঘ লাইন। ভক্তদের এই ভিড় এড়িয়ে নিজের প্রেমিকা সুজান খানের সঙ্গে দেখা করতে হৃতিককে মাঝেমধ্যে বাড়ির পেছনের দরজা ব্যবহার করতেন। সাফল্য ও ব্যক্তিগত জীবন পর্দায় সুপুরুষ চেহারা, নাচ এবং অভিনয়ের জাদুতে হৃতিক তখন ভারতীয় তরুণ প্রজন্মের কাছে ‘গ্রিক গড’ হিসেবে পরিচিতি পান। তবে সেই বিপুল জনপ্রিয়তার মাঝেই তিনি তার বাল্যবন্ধু সুজান খানের সঙ্গে প্রণয় বজায় রাখেন। ভক্তদের হৃদয় ভেঙে ২০০০ সালেই অভিনেতা সঞ্জয় খানের কন্যা সুজানকে বিয়ে করেন তিনি। ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তার জনপ্রিয়তায় তার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি।