ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ রাজ, সোচ্চারমোদির বিরুদ্ধে

ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রকাশ রাজ, সোচ্চার মোদির বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনের পক্ষে দাঁড়িয়ে বলিষ্ঠ কণ্ঠে কথা বললেন ভারতের জনপ্রিয় অভিনেতা প্রকাশ রাজ। তিনি ফিলিস্তিনের মর্মান্তিক এই যুদ্ধাবস্থার জন্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে দায়ী করেছেন। ভারতের তামিলনাড়ুর রাজধানী চেন্নাইয়ে ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ। বিভিন্ন দ্রাবিড়পন্থী রাজনৈতিক নেতা, চলচ্চিত্র তারকা ও ইসলামপন্থী সংগঠনের নেতা এই কর্মসূচির আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশে ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের চলমান সামরিক অভিযানের তীব্র সমালোচনা করা হয়। অভিনেতা প্রকাশ রাজ ছাড়াও এতে যোগ দেন অভিনেতা সত্যরাজ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা ভেত্রিমারনসহ আরো অনেক নেতা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। প্রতিবাদ সমাবেশে প্রকাশ রাজ বলেন, ‘যদি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলাকে রাজনীতি বলা হয় তবে হ্যাঁ, এটি রাজনীতি এবং আমরা কথা বলবই। যুদ্ধ শেষ হবে, নেতারা হাত মেলাবেন এবং চলে যাবেন কিন্তু কোনো এক জায়গায় একজন মা তার ছেলের জন্য, একজন স্ত্রী তার স্বামীর জন্য এবং শিশুরা তাদের বাবার জন্য অপেক্ষা করবে। এটাই হলো সত্য।’ প্রকাশ রাজ ইসরাইল, যুক্তরাষ্ট্র এবং নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে বলেন, ‘ফিলিস্তিনে বর্তমানে যে অবিচার চলছে, তার জন্য শুধু ইসরায়েল নয়, আমেরিকাও দায়ী। আর নরেন্দ্র মোদির নীরবতাও সমানভাবে দায়ী।’ অভিনেতা সত্যরাজ গাজায় চলমান হত্যাকাণ্ডকে অমানবিক ও মানবতাবিরোধী অপরাধ বলে নিন্দা জানান। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কিভাবে গাজায় বোমা ফেলা হয়? মানবতা কোথায়? এমন নৃশংসতা করার পর এসব মানুষ কিভাবে শান্তিতে ঘুমায়?’ চলচ্চিত্র নির্মাতা ভেত্রিমারন ফিলিস্তিনের আগ্রাসনকে পরিকল্পিত গণহত্যা বলে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, ‘গাজায় শুধু আবাসিক এলাকা নয়, স্কুল এবং হাসপাতালেও বোমা ফেলা হচ্ছে। এমনকি জলপাই গাছগুলোও ধ্বংস করা হচ্ছে, যা মানুষের জীবন-জীবিকার একটি উৎস।’

 লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্মরণীয় জুবিনের শোকযাত্রা

 লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্মরণীয় জুবিনের শোকযাত্রা ভারতীয় সংগীতশিল্পী জুবিন গার্গের মৃত্যুতে হতবাগ তার ভক্ত-অনুরাগীরা। সিঙ্গাপুর থেকে তার মরদেহ আসামে পৌঁছানোর পর কার্যত থমকে যায় রাজ্যটি। লাখ লাখ শোকাহত ভক্ত -অনুরাগীরা গুয়াহাটিসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে গিয়ে ভিড় করে; তৈরি হয় ভারতের সাংস্কৃতিক ইতিহাসের অন্যতম স্মরণীয় মুহূর্ত। শহরের রাস্তাগুলো কার্যত অচল হয়ে পড়ে, ভালোবাসার জোয়ারে ভেসে আসা মানুষের স্রোতে, যারা শেষবারের মতো তাদের প্রিয় তারকাকে একনজর দেখতে এসেছিলেন। বিভিন্ন হৃদয় ছোঁয়া উপায়ে শ্রদ্ধা জানায় জুবিনকে। গান, অশ্রু, প্রার্থনা এবং নিঃশব্দ অভিবাদনে—যা প্রতিফলিত করে জুবিন গার্গের প্রতি মানুষের গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। লিমকা বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস জানিয়েছে, জুবিন গার্গের শোকযাত্রায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। এই নজিরবিহীন জমায়েতকে স্বীকৃতি দিয়েছে লিমকা বুক অব রেকর্ডস। আনুষ্ঠানিকভাবে জুবিন গার্গের শোকযাত্রাকে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম জনসমাগম হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এর আগে বিশ্বের তিনজন প্রভাবশালী ব্যক্তি রয়েছেন। যথাক্রমে তারা হলেন—সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন, পোপ ফ্রান্সিস এবং রানি এলিজাবেথ দ্বিতীয়। দিল্লি থেকে গুয়াহাটি বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয় জুবিনের মরদেহ। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) জুবিনের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। এসময় গায়কের স্ত্রী গরিমা গার্গ স্বামীর কফিন জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কেবল গরিমাই নন, জুবিনের অসংখ্য ভক্তকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। গুয়াহাটির প্রতিটি কোণ কান্নায় ভারী হয়ে উঠেছিল, মানুষ মেনে নিতে পারছিল না জুবিনহীন এই বাস্তবতাকে। তবু লিমকার এই স্বীকৃতি জুবিন গার্গকে কেবল আসামের গায়ক, অভিনেতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে নয়, বরং জনগণের এক মহাতারকা হিসেবে চিরস্মরণীয় করে রাখল, যার প্রভাব সীমানা ছাড়িয়ে গেছে। ‘কিং অব হামিং’খ্যাত গায়ক জুবিন গার্গ গত ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মারা যান। নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ফেস্টিভ্যালে যোগ দিতে সিঙ্গাপুর যান জুবিন গার্গ। এ উৎসবের একজন প্রতিনিধি এনডিটিভি-কে বলেন, “স্কুবা ডাইভিংয়ের সময়, জুবিন গার্গ শ্বাসকষ্ট অনুভব করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই তাকে সিপিআর দেওয়া হয়। তারপর দ্রুত তাকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকাল আড়াইটা নাগাদ জুবিনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।” জুবিন গার্গের শেষকৃত্য মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) গুয়াহাটির কামারকুচি এনসি গ্রামে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। ১৯৭২ সালের ১৮ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন জুবিন গার্গ। তিনি একাধারে ছিলেন গায়ক, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার, সংগীত প্রযোজক, অভিনেতা ও চলচ্চিত্র পরিচালক। ১৯৯২ সালে অনুষ্ঠিত যুব মহোৎসব পাশ্চাত্য একক পরিবেশনায় স্বর্ণপদক লাভ করার পর জুবিনের জীবন বদলে যায়। ১৯৯২ সালে অসমিয়া অ্যালবাম ‘অনামিকা’ মুক্তির মাধ্যমে জুবিন পেশাদার সংগীতজগতে প্রবেশ করেন। ২০০৬ সালে ‘গ্যাংস্টার’ সিনেমায় ‘ইয়া আলি’ গান গেয়ে তাক লাগিয়ে দেন জুবিন। তারপর বেশ কয়েকটি সুপারহিট গান উপহার দেন তিনি। পরে বলিউডে খুব একটা কাজ করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে আসামের আঞ্চলিক সংগীত নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন এই শিল্পী।

ইমরান হাশমির সঙ্গে ভাইরাল-নেপথ্যের ঘটনা জানালেন রাঘব

ইমরান হাশমির সঙ্গে ভাইরাল-নেপথ্যের ঘটনা জানালেন রাঘব শাহরুখপুত্র আরিয়ান খানের অভিষেক সিরিজ ‘দ্য ব্যাডস অব বলিউড’ দিয়েই আলোচনায়। মুক্তির পর থেকেই ব্যাপক প্রশংসা কুড়াচ্ছে সিরিজটি। তবে সিরিজটিতে অভিনয় করা ইমরান হাশমি ও রাঘব জুয়েলের একটি দৃশ্য নিয়ে অন্তর্জালে চলছে তুমুল আলোচনা। এবার সেই দৃশ্যের নেপথ্যের ঘটনা শোনালেন রাঘব। সিরিজের গল্প অনুযায়ী, রাঘব অভিনীত চরিত্র পারভেজ ইমরান হাশমীর অন্ধভক্ত। ওই নির্দিষ্ট দৃশ্যটিতে দেখা যাচ্ছে, ইমরান হাশমির সঙ্গে দেখা হওয়া মাত্রই রাঘব গেয়ে উঠেন তার সিনেমার জনপ্রিয় হিট গান ‘কাহো না কাহো’। আর এই দৃশ্যটিই মন কেড়েছে দর্শকের, অন্তর্জালে মুহূর্তেই ভাইরাল। কীভাবে ওই দৃশ্যের জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন রাঘব? অভিনেতার কথায়, ওই দৃশ্যের যে প্রতিক্রিয়া তিনি পাচ্ছেন, তেমনই আশা করেছিলেন। আরিয়ানও তেমনই মনে করেন। রাঘব জুয়েল বলেন, “দৃশ্যটির কারণে ভালো সাড়া পেয়েছি। আমি আর আরিয়ান যদিও এমনটাই আশা করেছিলাম। সিরিজটিতে এই চরিত্রের জন্য প্রচুর খেটেছি এবং নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি। খুব মজাও পেয়েছি।” রাঘব আরো বলেন, “শূট শুরু হলো, ইমরান স্যার এলেন, আমি তো কাঁদতে শুরু করে দিয়েছিলাম! এরপর সেটা এরকম একটা দৃশ্যে পরিণত হলো— খুব মন দিয়ে কাজটা করেছি।” দৃশ্যে তিনি গানের আরবি অংশও নকল করে গাওয়ার চেষ্টা করেছেন। মজার আবহেই ওই দৃশ্য তৈরি হয়েছে, এবং পর্দায় রাঘবের চোখে পানিও দেখা গেছে।

কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন শিল্পকলার মহাপরিচালক হলেন

কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন শিল্পকলার মহাপরিচালক হলেন আজ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন, ১৯৮৯ এর ধারা ৯(২) অনুযায়ী শেখ রেজাউদ্দিন আহমেদ (রেজাউদ্দিন স্টালিন) অন্য কোনো পেশা বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক ত্যাগের শর্তে যোগদানের তারিখ থেকে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক মহাপরিচালক হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মহাপরিচালকের পদ ছাড়েন লিয়াকত আলী লাকী। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর নাট্যনির্দেশক ও গবেষক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদকে দুই বছরের জন্য মহাপরিচালক করা হলেও তিনি চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে ৪ মার্চ একাডেমির সচিব মোহাম্মদ ওয়ারেছ হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক করা হয়। আর গত ১৪ সেপ্টেম্বর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবুল ফয়েজ মো. আলাউদ্দিন খানকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। এক সপ্তাহের ব্যবধানে সেই পদে পূর্ণ দায়িত্ব পেলেন কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। আশির দশকের আলোচিত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন জাতীয় কবিতা পরিষদের সদস্য-সচিব। কবিতায় অবদানের জন্য ২০০৬ সালে তাকে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার দেওয়া হয়।

‘হেরা ফেরির’ প্রযোজক কপিল শর্মার কাছে ২৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চাইলেন

‘হেরা ফেরির’ প্রযোজক কপিল শর্মার কাছে ২৫ কোটি ক্ষতিপূরণ চাইলেন ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এর সঞ্চালক কপিল শর্মা ফের খবরের শিরোনাম হচ্ছেন। নেটফ্লিক্সে প্রচার হওয়া তার শো-র একটি পর্বে জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘হেরা ফেরি’র চরিত্র ‘বাবুরাও’-এর চরিত্র অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। সে কারণে ২৫ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে। আর এ অভিযোগটি তুলেছেন ‘হেরা ফেরি’ সিনেমার প্রযোজক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালা। তিনি উল্লেখ করে বলেছেন, ‘বাবুরাও’ শুধু একটি চরিত্র নয়, হেরা ফেরির মূল আকর্ষণ। পরিচালক বলেন, অভিনেতা পরেশ রাওয়ালের অভিনয়ে চরিত্রটি ইতোমধ্যে তাদের পরিবারের মালিকানাধীন নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক। তাই অনুমতি ছাড়া এর ব্যবহার সরাসরি আইন ভঙ্গের শামিল বলে জানান নাদিয়াদওয়ালা। এ প্রসঙ্গে পরিচালকের আইনজীবী সানা রইস খান বলেন, এটি শুধু কপিরাইট লঙ্ঘন নয়, বরং স্পষ্ট চুরির ঘটনা। এ ছাড়া নেটফ্লিক্স ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়া, কনটেন্টটি সরিয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রযোজক। এর পাশাপাশি আরও অভিযোগ— ২৫ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণ দাবি করা হয়েছে । তবে এ ঘটনায় এখনো কপিল শর্মা কিংবা নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

সংগীত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থহীন

সংগীত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থহীন   বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাস লিখতে গেলে প্রথম দিকে যে নামটি উচ্চারিত হবে, তা হলো অর্থহীন। নব্বই দশকে যাত্রা শুরু করা এই ব্যান্ড একসময় তরুণদের আবেগ, প্রতিবাদ আর স্বপ্নের প্রতীক হয়ে উঠেছিল। ‘এপিটাফ’, ‘চাইতেই পারো’, ‘স্বপ্নগুলো তোমার মতো’, ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’, ‘যদি কোনোদিন’, ‘আমার প্রতিচ্ছবি’, ‘গাইব না’, ‘আমার গল্প’, ‘অদ্ভুত সেই ছেলেটি’, ‘গুটি’, ‘বোকা মানুষটা’র মতো গানগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মকে আন্দোলিত করেছে। সেই উজ্জ্বল পথচলার মাঝে হঠাৎ থেমে যায় তাদের সংগীতচর্চা। ব্যান্ডের প্রাণভোমরা সাইদুস সালেহীন খালেদ সুমন– সবাই যাঁকে ভালোবেসে বেজবাবা সুমন বলে ডাকেন– জীবনের সবচেয়ে কঠিন লড়াই শুরু করেন। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ, একের পর এক অস্ত্রোপচার, বিদেশে দীর্ঘ চিকিৎসা– সব মিলিয়ে যেন অনিশ্চয়তার অন্ধকার নামল অর্থহীনের ওপর। ভক্তরা নতুন গান শুনতে পারছিল না, মঞ্চেও আর তেমন দেখা মিলত না ব্যান্ডটির। তবু সুমন হাল ছাড়েননি। বারবার ভেঙে পড়েছেন, আবার দাঁড়িয়েছেন। যেন ছাই থেকে উঠে আসা ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবার নতুন করে জন্ম নিয়েছেন তিনি। সেই জীবনের প্রতিচ্ছবিই ফুটে উঠেছিল ২০২২ সালে প্রকাশিত অ্যালবাম ‘ফিনিক্সের ডায়েরি’তে। ছয় বছরের বিরতির পর প্রকাশিত এই অ্যালবামের আটটি গান শ্রোতার হৃদয় জয় করে নেয়। প্রতিটি গানেই ছিল বেদনা, সংগ্রাম, আবার আশার আলো; যেন দলটির নিজেদের জীবনের গল্পই উঠে এসেছিল সুর আর কথায়। এর পর থেকে ভক্তদের মনে প্রশ্ন, আবার কবে আসবে সেই ডায়েরির নতুন খণ্ড? সেই অপেক্ষার অবসান ঘটতে চলেছে অবশেষে। ব্যান্ডটি জানিয়েছে, আসছে অক্টোবরেই প্রকাশ পাবে ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-২’। দুই বছর আগে ফেসবুক লাইভে সুমন নিজেই দিয়েছিলেন ইঙ্গিত। সম্প্রতি ব্যান্ডটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয় এক রহস্যময় মোশন পোস্টার। সেখানে আগুনের ভেতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছে এক ফিনিক্স। হঠাৎ প্রচণ্ড বিস্ফোরণে তার সাদা ডানাগুলো আগুনে জ্বলে লাল হয়ে যায়। রক্ত ঝরে, যন্ত্রণা স্পষ্ট। তবু ফিনিক্স থামে না, সামনে এগিয়ে যায়। পোস্টারের শেষে ভেসে ওঠে একটি বাক্য– ‘জীবনে মাঝেমধ্যে পৃথিবীর সবচেয়ে খারাপ মানুষটির সঙ্গেও ভালো কিছু ঘটে।’ এবার ঘোষণা এলো অ্যালবামটি ২০২৬ নয়, বরং ২০২৫ সালের অক্টোবরেই আসছে। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই অর্থহীনপ্রেমীরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন। যদিও এখনও প্রকাশ করা হয়নি কটি গান থাকছে নতুন অ্যালবামে। অর্থহীনের আগের অ্যালবামগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায়, প্রতিটি অ্যালবামই একেকটি সময়কে ধারণ করে। ২০১৬ সালে এসেছিল ‘ক্যান্সারের নিশিকাব্য’, যেখানে সুমনের অসুস্থতার ছায়া গভীরভাবে মিশে ছিল। ২০১৮ সালে ভক্তরা পেয়েছিল ‘কারণ তুমি অমানুষ’ নামে একক ট্র্যাক। কিন্তু পূর্ণাঙ্গ অ্যালবামের জন্য তাদের অপেক্ষা করতে হয়েছিল ২০২২ সাল পর্যন্ত। তারপর এলো ‘ফিনিক্সের ডায়েরি’। এবার তারই ধারাবাহিকতায় ‘ফিনিক্সের ডায়েরি-২’। তাই তো অক্টোবরকে ঘিরে অর্থহীনের পরিকল্পনা শুধু অ্যালবামেই সীমাবদ্ধ নয়; একই মাসে তারা প্রথমবারের মতো সংগীত সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা ছিল, অর্থহীনকে বিদেশের মঞ্চে দেখা। সুমনের অসুস্থতার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। এবার সব বাধা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে নতুন অধ্যায়। সফর শুরু হবে ২৫ অক্টোবর, বোস্টন থেকে। এরপর ধারাবাহিকভাবে ১ নভেম্বর ভার্জিনিয়া, ২ নভেম্বর নিউইয়র্ক, ১৪ নভেম্বর হিউস্টন, ১৬ নভেম্বর ডালাস ও ২২ নভেম্বর ইন্ডিয়ানাতে গাইবেন তারা। আয়োজকরা জানিয়েছেন, আরও কিছু শহরে শো যোগ হতে পারে। পুরো সফরের আয়োজন করছে মিউজিক বাংলা ও ভেরিতাস ইভেন্টস। এই সফর অর্থহীনের জন্য যেমন ঐতিহাসিক, তেমনি ভক্তদের জন্যও বিশেষ। কারণ, প্রবাসীরা শুধু নতুন অ্যালবামের গানই নয়, বরং শুনতে পাবেন সেই চিরচেনা পুরোনো গানগুলো, যা একসময় তাদের কৈশোর-যৌবনের সঙ্গী ছিল। বর্তমানে অর্থহীনের লাইনআপ– সুমন (কণ্ঠ ও বেজ গিটার), মার্ক ডন (ড্রামস) ও এহতেশাম আলী (গিটার)। তিনজনের এই ছোট দলটিই এখন অর্থহীনের নতুন শক্তি।

হলিউড পরিচালক সমিতি সভাপতি হলেন অস্কারজয়ী নোলান

হলিউড পরিচালক সমিতি সভাপতি হলেন অস্কারজয়ী নোলান যে কোনো সমিতি ও গিল্ডের নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের শোবিজে চলে উত্তেজনা, আলোচনা। বিশেষ করে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর নানা সমিতির নির্বাচন ঘিরে সবারই কৌতুহল থাকে তুঙ্গে। সেই তুলনায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের শোবিজ রিলেটেড সংগঠনগুলো খুব একটা আলোচনায় আসে না। এই যেমন সম্প্রতি নির্বাচন হয়ে গেল হলিউডের পরিচালকদের গিল্ডে। আমেরিকার পরিচালক গিল্ডের (ডাইরেক্টর্স গিল্ড অব আমেরিকা) নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার ক্রিস্টোফার নোলান। নির্বাচনের মাধ্যমে তিনি সমন্বয় নিয়েছেন ইউনিয়নের দায়িত্বে। অস্কারজয়ী নোলান তার প্রজন্মের অন্যতম সফল পরিচালক হিসেবে পরিচিত। তিনি গিল্ডের জাতীয় পরিচালকদের বোর্ডের সদস্য ছিলেন। তার পূর্বসূরি লেসলি লিঙ্কা গ্ল্যাটারের জায়গায় তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। তিনি টানা দুই মেয়াদে সভাপতিত্ব করেছেন। নির্বাচনটি অনুষ্ঠিত হয়েছে গেল শনিবার রাতে। এতে ১৬৭ জন প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ নেন। ১৯,৫০০ জনেরও বেশি গিল্ড সদস্যে ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করেছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচনে দুই বছরের জন্য সভাপতি হয়েছেন ক্রিস্টোফার নোলান। তার সঙ্গে জাতীয় সহ-সভাপতি পদে লরা বেলসি ও কোষাধ্যক্ষ পদে প্যারিস বার্কলে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটিতে প্রথম সহ-সভাপতি পদে টড হল্যান্ড, দ্বিতীয় সহ-সভাপতি পদে রন হাওয়ার্ড, তৃতীয় সহ-সভাপতি পদে জিনা প্রিন্স-বাইদউড, চতুর্থ সহ-সভাপতি পদে সাইথ ম্যান, পঞ্চম সহ-সভাপতি পদে মিলিসেন্ট শেল্টন, ষষ্ঠ সহ-সভাপতি পদে লিলি অলসজেভস্কি ও সহকারী সচিব পদে জয়েস থমাস নির্বাচিত হয়েছেন। নোলান নির্বাচিত হওয়ার পর বলেন, ‌‘আমার পেশাগত জীবনের অন্যতম সেরা সম্মান এই নির্বাচনে সভাপতি হওয়ার সুযোগ পাওয়া। আমাদের শিল্পে বিশাল পরিবর্তন ঘটছে। এমন সময় সদস্যরা আমার উপর এই দায়িত্বে আস্থা রেখেছেন বলে আমি কৃতজ্ঞ। আমি প্রেসিডেন্ট গ্ল্যাটারের গত চার বছরের নেতৃত্বের জন্যও ধন্যবাদ জানাই। আশা করি নতুন নির্বাচিত বোর্ডের সঙ্গে মিলিত হয়ে আমাদের সদস্যদের সৃজনশীল ও অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারব। গত চার বছরে ডাইরেক্টর্স গিল্ড নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্যোগে সক্রিয় ছিল। তারা ক্যালিফোর্নিয়ার সিনেমা ও টেলিভিশন কর প্রণোদনা সুবিধা গ্রহণ করা প্রযোজনার সেটে নিরাপত্তা পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার জন্য পাইলট প্রকল্প প্রবর্তনের চেষ্টা করেছিল। এছাড়া গিল্ড ক্যালিফোর্নিয়ার কর সুবিধা সম্প্রসারণের জন্যও লবিং কার্যক্রমে যুক্ত ছিল। চুক্তি আলোচনায় গিল্ড বিদেশি স্ট্রিমিংয়ের আয়ের অংশ সম্প্রসারণে গুরুত্বারোপ করেছে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী, আগামী বছরের শুরুতে ডাইরেক্টর্স গিল্ড প্রধান প্রযোজনা সংস্থা আলায়েন্স ফর মোশন পিকচার অ্যান্ড টেলিভিশন প্রডিউসার্সের সঙ্গে প্রাথমিক আলোচনা শুরু করবে। নোলানের নির্বাচন বিরল এক উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই প্রথম কোনো হাই প্রোফাইল নির্মাতা পেশাগত শীর্ষে থাকা অবস্থায় ইউনিয়নের নেতৃত্ব নিয়েছেন। বিভিন্ন বিষয়ের উপর সিনেমা পরিচালনায় তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন সুপারহিরো সিনেমা ‘ব্যাটম্যান বিগিনস’, ‘দ্য ডার্ক নাইট’, জটিল থ্রিলার ‘ইনসেপশন’, ‘মেমেন্টো’, ‘টেনেট’ এবং ঐতিহাসিক ‘ডাংকার্ক’, ‘অপেনহেইমার’ দিয়ে। ২০২৩ সালের ‘অপেনহেইমার’ সিনেমার জন্য দুটি অস্কার জয় করেন নোলান। নোলানের পরবর্তী বড় প্রকল্প ‘দ্য ওডিসি’। ধারণা করা হচ্ছে এই ছবিটিও বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলবে।

শাহরুখ বাদ শাকিবকে বেছে নিলেন হানিয়া আমির

শাহরুখ বাদ শাকিবকে বেছে নিলেন হানিয়া আমির পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির এখন ঢাকায়। গত কয়েক দিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্থান ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কখনো পথের ধারে দাঁড়িয়ে ফুচকা-ঝালমুড়ি খাচ্ছেন, আবার কখনো ঘুরে দেখছেন ঐতিহাসিক স্থাপনা। ঢাকায় এসে একেবারেই আপন করে নিয়েছেন শহরটিকে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থাপক সৌমিক আহমেদ তাকে মজার ছলে প্রশ্ন করেন—বলিউড কিং শাহরুখ খান না কি ঢালিউড কিং শাকিব খান, কাকে তার বেশি পছন্দ? উত্তরে হানিয়া হাসিমুখে বলেন, “আমার মনে হয়, তোমরা শাকিব খানকে অনেক বেশি পছন্দ করো, তাই আমারও পছন্দ শাকিব খান। এই উত্তর শুনে উপস্থিত দর্শকরা হাততালি আর উল্লাসে ভরিয়ে তোলেন হলরুম। এর আগে শুক্রবার ভোরে হানিয়া গিয়েছিলেন ঢাকার ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলে। সেখানে তিনি জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর রাফসান দ্য ছোটভাইয়ের সঙ্গে একটি ভিডিও ভ্লগে অংশ নেন। ভ্লগের ফাঁকে ফুচকা, ঝালমুড়ির মতো স্থানীয় খাবার চেখে দেখেন এবং সেই অভিজ্ঞতায় দারুণ খুশি হন। ২০১৬ সালে কমেডি ঘরানার একটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বড় পর্দায় যাত্রা শুরু করেন হানিয়া আমির। একই বছর টেলিভিশন নাটক ‘ফির ওহি মহব্বতে’ অভিনয়ের মধ্য দিয়ে দর্শকদের নজরে আসেন। এই কাজের জন্য তিনি অর্জন করেন হাম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেলিভিশন সেনসেশন (ফিমেল) পুরস্কার। পরে ‘পারওয়াজ হ্যায় জুনুন’ এবং পাঞ্জাবি কমেডি ‘সরদারজি ৩’ চলচ্চিত্র তাকে বাণিজ্যিকভাবে বড় সাফল্য এনে দেয়। প্রাণবন্ত অভিনয় আর সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের কারণে তিনি দ্রুতই পাকিস্তান ও সীমান্তপারের দর্শকদের প্রিয় তারকায় পরিণত হন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও দারুণ জনপ্রিয় হানিয়া আমির। ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারীর সংখ্যা ১৮.৯ মিলিয়নের বেশি। ফানি ভিডিও, নান্দনিক ছবি আর স্টাইলিশ লুক শেয়ার করে তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে শুধু অভিনেত্রী নন, বরং ফ্যাশন আইকন ও অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। কয়েক বছরের মধ্যেই প্রতিভা, প্রাণশক্তি আর উচ্ছ্বল ব্যক্তিত্ব দিয়ে তিনি পাকিস্তান ছাড়িয়ে বাংলাদেশসহ পুরো দক্ষিণ এশিয়ার ভক্তদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।

কাপিল শার্মা শো ও নেটফ্লিক্সকে ২৫ কোটির ক্ষতিপূরণ দাবি

কাপিল শার্মা শো ও নেটফ্লিক্সকে ২৫ কোটির ক্ষতিপূরণ দাবি বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছে নেটফ্লিক্সে প্রচার হওয়া ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’। অভিযোগ উঠেছে, শোয়ের এক পর্বে জনপ্রিয় বলিউড সিনেমা ‘হেরা ফেরি’র চরিত্র ‘বাবুরাও’কে অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগটি তুলেছেন সিনেমার পরিচালক ফিরোজ নাদিয়াদওয়ালা। তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘বাবুরাও’ শুধু একটি চরিত্র নয়, হেরা ফেরির মূল আকর্ষণ। পরেশ রাওয়ালের অভিনয়ে চরিত্রটি ইতোমধ্যেই তাদের পরিবারের মালিকানাধীন নিবন্ধিত ট্রেডমার্ক। তাই অনুমতি ছাড়া এর ব্যবহার সরাসরি আইন ভঙ্গের শামিল। এছাড়াও নেটফ্লিক্স ও অনুষ্ঠান নির্মাতাদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা চাওয়া, কনটেন্টটি সরিয়ে নেওয়া এবং ভবিষ্যতে এমন কাজ আর না করার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার দাবিও জানান পরিচালক। পাশাপাশি ২৫ কোটি রুপির ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়েছে সেই অভিযোগপত্রে। এ প্রসঙ্গে পরিচালকের আইনজীবী সানা রইস খান জানিয়েছেন, এটি শুধু কপিরাইট লঙ্ঘন নয়, বরং স্পষ্ট চুরির ঘটনা। তবে এ ঘটনায় এখনো কপিল শর্মা বা নেটফ্লিক্সের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ঢাকার সংস্কৃতি ও স্বাদের খোঁজে হানিয়া আমির

ঢাকার সংস্কৃতি ও স্বাদের খোঁজে হানিয়া আমির পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির এখন ঢাকায়। সানসিল্কের আমন্ত্রণে গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি ঢাকায় আসেন। ঢাকায় পা রেখেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাংলাদেশি ভক্তদের জানান উষ্ণ অভ্যর্থনা। এরপর থেকেই ভক্তদের কৌতূহল ছিল— কোথায় দেখা যাবে তাকে? ঢাকায় প্রথমবারের মতো পাকিস্তানি অভিনেত্রীর এই সফর ঘিরে ভক্তদের উচ্ছ্বাস যেন তুঙ্গে। গতকাল পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা আহসান মঞ্জিলের সামনে দেখা যায় হানিয়াকে, সেখানে কাটান বিশেষ কিছু মুহূর্ত। আর তা নিজের ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নেন হানিয়া। জানা গেছে, সানসিল্কের একটি বিশেষ ক্যাম্পেইনে অংশ নিতেই সেখানে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তবে শুধু ক্যাম্পেইন নয়, ঢাকার সংস্কৃতি ও স্বাদের সঙ্গেও নিজের পরিচয় করালেন এই তারকা। হানিয়া আমিরের এই ঘোরাঘুরিতে সঙ্গ দিয়েছিলেন বাংলাদেশি জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর ও ফুডভ্লগার ইফতেখার রাফসান, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘রাফসান দ্য ছোটভাই’ নামে পরিচিত। ভাইরাল কিছু ভিডিও ছবিতে দেখা যায়, রাফসানের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন হানিয়া, তাদের একসঙ্গে আহসান মঞ্জিল প্রাঙ্গনে ফুচকা ও ঝালমুড়িও খেতে দেখা যায়। মাটির কাপে দুধ চাও খান তারা। শুধু তাই নয়, ঝালমুড়ি খাওয়ার মুহূর্তটিকে ঘিরে জমে ওঠে আলাপ-আলোচনা। শুধু তাই নয়, একসঙ্গে রিকশায়ও ঘোরেন তারা। এ সময় রাফসানের সঙ্গে হানিয়াকে গল্প করতেও দেখা যায়। আবার, আহসান মঞ্জিলের সিড়িতে দাঁড়িয়ে কয়েকটি পোজ দিয়েও ছবি তোলেন হানিয়া আমির। এ সময় তার সঙ্গে আসা টিম, আয়োজক পক্ষ, অন্যান্য ইনফ্লুয়েনসার ও অতিথিদেরও দেখা যায়। তাদের সঙ্গে একটি গ্রুপ সেলফিও তোলেন হানিয়া। নিজের ইনস্টাগ্রামে একসঙ্গে বেশকিছু ছবি পোস্ট করেন হানিয়া। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন- ‘ব্রেকাপ ঝালমুড়ি’। ছবিগুলোর বেশ কয়েকটিতে দেখা গেছে রাফসানকেও। অন্যদিকে রাফসান নিজের ফেসবুকে হানিয়ার সঙ্গে তিনটি ছবি পোস্ট করে মজার ছলে লিখেছেন, ‘হানিয়া কেন ব্রেকাপ ঝালমুড়ি খেলো?’ সব মিলিয়ে ধারণা করা হচ্ছে, এটি সানসিল্কের একটি সৃজনশীল ক্যাম্পেইনের অংশ! আবার অনেকে বলছেন, এটা রাফসান দ্য ছোট ভাইয়ের নতুন কোনো ভ্লগ আইডিয়া! হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর ঘিরে তার লুক নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে, তেমনি তার ঘোরাঘুরিও মন কেড়েছে ভক্তদের। এদিন হানিয়া আমির পরেছিলেন হালকা বেগুনির ওপর নানা ডিজাইনের কাজ করা সালোয়ার। এছাড়াও এ সময় তার ঘন-কালো চুলও নজর কাড়ে ভক্তদের। যদিও তার বর্তমান এই হেয়ারস্টাইল নিয়ে নানাজন প্রশ্নও তুলেছেন। সব মিলিয়ে ভক্তদের মাঝে বেশ আলোচনায় আছেন এই পাকিস্তানি সুন্দরী। জানা গেছে, আজ শনিবার ঢাকার বিলাসবহুল শেরাটন হোটেলে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হানিয়া। তিনি আশা করছেন, বাংলাদেশের ভক্তদের কাছ থেকে ভালোবাসা পেয়ে এ সফর তার জন্য স্মরণীয় হয়ে উঠবে। এছাড়াও আগামী ২১ সেপ্টেম্বর সানসিল্কের আয়োজিত এক্সক্লুসিভ ফটোশুটে অংশ নেবেন হানিয়া আমির। এরপর ফিরে যাবেন নিজ দেশ পাকিস্তানে। প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। অল্প সময়েই নাটক, চলচ্চিত্র ও ওয়েব কনটেন্টে অভিনয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় মুখ হয়ে উঠেছেন হানিয়া। ২০১৬ সালে ‘জানান’ চলচ্চিত্র দিয়ে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে হানিয়ার। এরপর ‘মেরে হামসাফার’, ‘ফেরি টেল’, ‘দিলরুবা’, ‘আন্না’, ‘কাভি মে কাভি তুম’ ও ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’-এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। রোমান্টিক, কমেডি থেকে চরিত্রভিত্তিক সব ধরনের ভূমিকায় তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। সম্প্রতি ‘সর্দারজি ৩’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক করেছেন হানিয়া। এতে নূর চরিত্রে তার অভিনয় পাকিস্তান ও ভারতে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত অভিনেত্রী হানিয়া, তার ইনস্টাগ্রামে অনুসারী সংখ্যা প্রায় ২ কোটি!