পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা

পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে সিনেমাটির শতাধিক ক্রু সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন, ট্রেইলার মুক্তির পর রণবীরের মারকাটারি উপস্থিতিও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে আদিত্য ধর নির্মিত এ সিনেমার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। অপেক্ষার ইতি টেনে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছেন রণবীর সিং। গত ৫ ডিসেম্বর ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। চলতি বছরে রণবীর সিংয়ের এটিই প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। প্রিয় তারকার সিনেমার জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় ছিলেন রণবীরের ভক্ত-অনুরাগীরা। বছর শেষে পর্দায় এসে ভক্তদের হতাশ করেননি এই তারকা। চলচ্চিত্র সমালোচক, বক্স অফিস রিপোর্ট অন্তত তেমনই খবর দিয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রেণুকা ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার রেটিং পাঁচে সাড়ে তিন দিয়েছেন। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাকে ‘শক্তিশালী করাচি মাফিয়া থ্রিলার’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, “সিনেমাটির প্রধান অভিনেতা রণবীর সিং ‘সংযত কিন্তু জ্বলন্ত’ পারফরম্যান্স করেছেন; যা চলচ্চিত্রের সামগ্রিক প্রভাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে। সিনেমাটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হলেও বিরক্তিকর মনে হয়নি। কারণ এতে রয়েছে ‘স্টাইলিশ, নিবিড় গাঁথুনির গল্প। আর নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের। হিন্দুস্তান টাইমসের ঋষভ সুরি পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। ‘দীর্ঘ কিন্তু উপাদানে ভরপুর স্পাই ড্রামা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্নার অভিনয়, পাশাপাশি পরিচালক আদিত্য ধরের কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে সমালোচক রেণুকার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করেছেন ঋষভ। কারণ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য অতিরিক্ত ও উপ-কাহিনি কম বলে বর্ণনা করেছেন এই সমালোচক। এনডিটিভির রাধিকা শর্মা পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সমালোচনা করে সিনেমাটিকে ‘একেবারে ভিন্ন আরেকটি চলচ্চিত্রের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন রাধিকা। পিঙ্কভিলার গায়ত্রী নির্মল চলচ্চিত্রটিকে পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৪। তিনি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয়ার্ধ, চিত্রনাট্য, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা করেছেন। যদিও চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন রাধিকা। বক্স অফিসে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার শুরুটা মন্দ হয়নি। বলি মুভি রিভিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বলিউডের ৪৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া সিনেমার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২৪ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ৩৭ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ২১ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ২৪ কোটি রুপি (নিট)। পাঁচ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৭.৮৮ কোটি রুপি (গ্রস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তবে স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় খানিকটা বেশি। মুক্তির পাঁচ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৮২.৭৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৪.৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা)। ভারতীয় একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। পাকিস্তানের লিয়ারি শহরের ভেতরে ঢুকে অপারেশন চালান তিনি। সত্য-মিথের সীমানা মিলিয়ে সিনেমাটিতে উঠে এসেছে বাস্তব চরিত্রও। অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন আলোচিত গ্যাংস্টার রেহমান ডাকাতের চরিত্রে আর সঞ্জয় দত্তকে দেখা গেছে এসপি চৌধুরী আসলামের ভূমিকায়। এ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সারা অর্জুন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন অর্জুন রামপাল, রাজেশ বেদি, আর. মাধবন, মানব গোহিল প্রমুখ। ২৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন আদিত্য ধর, লোকেশ ধর, জ্যোতি দেশপান্ডে।

আরাধ্যাকে নিয়ে ‘টানাটানি’ যা বললেন ঐশ্বরিয়া

আরাধ্যাকে নিয়ে ‘টানাটানি’ যা বললেন ঐশ্বরিয়া   ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন থেকে শুরু করে বিগবি অমিতাভ বচ্চনের কোনো ছবি কিংবা ভিডিও বিনা অনুমতিতে গণমাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এ বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী। বচ্চন পরিবারের পক্ষেই রায় দেন দিল্লির উচ্চ আদালত। এবার সামাজিক মাধ্যমে অভিষেককন্যা আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘টানাটানি’। যদিও তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বরাবর নীরব থেকেছেন অভিনেত্রী। তবে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে নেটিজেনদের মন্তব্যের ছয়লাপ দেখে চুপ থাকতে পারলেন না মা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এ সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলেন, যে কোনো মানুষেরই উচিত নির্দিষ্ট সময়ের পর সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সামাজিক মাধ্যমে খুব মেপে মেপে পোস্ট দেন। আরাধ্যার নাম নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে একাধিক অ্যাকাউন্ট। সেখানে নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে তারকাকন্যার ছবি এবং তাকে নিয়ে নানান পোস্ট। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এসে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বলেন, আরাধ্যার সামাজিক মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। যেসব প্রোফাইল রয়েছে, তা একেবারেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট। অভিনেত্রী বলেন, আমি জানি, আপনারা আমাকে, আমার স্বামী অভিষেকসহ আমাদের গোটা পরিবারকে ভালোবাসেন। তাই আমাদের নিয়ে আপনাদের আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু যা রটবে তা সবসময় বিশ্বাস করবেন না। আমার মেয়ে আরাধ্যা সামাজিক মাধ্যমেই নেই বলে জানান ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

সুসংবাদ নয় শাকিব নির্ভরতা অপু বিশ্বাস

সুসংবাদ নয় শাকিব নির্ভরতা অপু বিশ্বাস   ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এই ‘একচ্ছত্র আধিপত্য’ বা শাকিব-নির্ভরতাকে চলচ্চিত্রের জন্য ‘সুসংবাদ’ বলে মনে করেন না চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তার মতে, শাকিব খান ছাড়া অন্য কোনো নায়ককে নিয়ে নামি প্রোডাকশন হাউসগুলোর কাজ করতে না চাওয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য অশনিসংকেত। সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সিনেমার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এমন খোলামেলা মন্তব্য করেন ঢালিউড কুইনখ্যাত এই অভিনেত্রী। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিগত অনেক বছর ধরে শুধু শাকিব খানের সিনেমা ছাড়া সেইভাবে প্রোডাকশন হাউসগুলো কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে না। এটা কিন্তু কখনোই সুসংবাদ নয়। আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব যেমন আমাদের, তেমনি নতুন উদ্যোগকেও স্বাগত জানানো উচিত। ‘পজিটিভ বুলিং’ চান নায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে নিয়মিত ট্রল বা বুলিং হওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে যাননি অপু। তবে এ নিয়ে তিনি কোনো অভিযোগ করেননি, বরং সমালোচকদের প্রতি এক ভিন্ন আহ্বান জানিয়েছেন। অপুর ভাষ্যে, ‘আজকে এই সামাজিক ভাইবগুলোর মাধ্যমে আমি একটা কথা বলতে চাই আমাকে নিয়ে অবশ্যই বুলিং করেন, কিন্তু সেটা যেন ‘পজিটিভ বুলিং’ হয়। যে বুলিং বা সমালোচনা থেকে আমরা শিখতে পারি, কাজে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’ দর্শকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। নতুনদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান শাকিব-নির্ভরতার এই গৎবাঁধা চিত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যারা সাহস করে নতুন প্রযোজনা সংস্থা নিয়ে আসছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অপু। বিশেষ করে ‘এম কে প্রোডাকশন’-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। অপু বলেন, ‘আজকে এম কে প্রোডাকশনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু ইন্ডাস্ট্রির চিত্রটা এমন যে শাকিব ছাড়া কেউ লগ্নি করতে চায় না, তাই এই অচলায়তন ভাঙতে যারা এগিয়ে আসছেন, তাদের ইনস্পায়ার করা আমাদের প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব।

 ‘রং নাম্বার’ফারিণের

 ‘রং নাম্বার’ফারিণের রুবেল আনুশের গল্প ও পরিচালনায় এই সময়ের নাট্যাভিনেত্রী ফারিণ খানকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘রং নাম্বার’। নাটকটিতে ফারিণ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান। নাটকটি বেশ কিছুদিন আগেই নির্মিত হয়েছে রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং হাউসে। এরই মধ্যে ফারিণের বেশ কিছু নাটক প্রচারে এসেছে। সেসব নাটকে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এই নাটক নিয়েও ফারিণ ভীষণ আশাবাদী। ফারিণ বলেন, ‘রং নাম্বার নামে একটি সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন শ্রদ্ধেয় মতিন রহমান স্যার। অভিনয় করেছিলেন রিয়াজ ভাই এবং শ্রাবন্তী আপু। সিনেমাটি সম্পর্কে আমি অবগত। আর এই রং নাম্বারটি নির্মাণ করেছেন রুবেল আনুশ। তারই গল্প। এর আগে রুবেল আনুশ ভাইয়ের নির্দেশনায় পাঁচ-ছয়টি নাটকে অভিনয় করেছি। তিনি চেষ্টা করেন ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটক নির্মাণ করতে। যথারীতি রং নাম্বারের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। যত্ন নিয়েই তিনি নাটকটি নির্মাণ করেছেন। আমি এবং ফারহান ভাই কোনো নাটকে অভিনয় করলে যেকোনো উৎসবেই প্রচার করা হয়। তো আমার মনে হচ্ছে সামনে যেকোনো একটি উৎসবেই নাটকটি প্রচার হবে। হতে পারে তা ইংরেজি নতুন বছর শুরুর উৎসব কিংবা ভালোবাসা দিবস কিংবা ঈদ। কিন্তু যখনই প্রচারে আসুক আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের। এর আগে ফারিণ খান রুবেল আনুশের পরিচালনায় ‘আবদার’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘প্রথম প্রেমের গল্প’সহ আরও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। কাজল আরেফিন অমির ‘ফিমেল থ্রি’ নাটকে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন ফারিণ। এদিকে ফারিণ অভিনীত সর্বশেষ প্রচারে আসা নাটক হচ্ছে অপু শর্মা নির্মিত ‘মেঘছায়া’ নাটকটি। সাম্প্রতিক সময়ে ফারিণ অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘আজান’, ‘ফায়ার ফাইটার’, ‘রূপবান’,‘ মুহূর্ত’, ‘অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’, ‘ঠিকানা’, ‘বন্ধুত্ব নাকি ভালোবাসা’, ‘সুইচ’, ‘আহারে জীবন’ ইত্যাদি।

ওমরাহ করলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রাশেদ

ওমরাহ করলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রাশেদ   ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মো. রাশেদ উদ্দিন ওরফে রাশেদ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর তারিখে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দুটি পোস্টে ছবি ও বার্তাসহ বিষয়টি জানান তিনি। সেখানে ওমরাহ পালনের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। সেইসঙ্গে মাকে সঙ্গে নিতে না পারায় আক্ষেপও প্রকাশ করেন তিনি। রাশেদ প্রথমে তার ফেসবুকে ৮ ডিসেম্বর একটি পোস্ট করে জানান, ‌‘মহান আল্লাহর ইচ্ছায় আমার অনেক বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তা হলো ওমরাহ হজের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। মাত্র এক দিনের নোটিশে প্রস্তুতি নিয়েছি। দোয়া চাই। এসময় তিনি আরও লেখেন, ‘মাকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারলেই অনেক বেশি ভালো লাগতো। হয়তো খুব শিগগির মা ও সাথে যাবে। মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়াটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে দোয়ার প্রার্থনা রইলো। আমিও সবার জন্য দোয়া করব ইনশাআল্লাহ। এরপর তিনি ৯ ডিসেম্বর এক পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল জেদ্দা এয়ারপোর্টে সৌদি আরব টাইম রাত ৯টা ৩০ মিনিটে পৌঁছে ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম হেরেম শরীফে এবং খুব সুন্দরভাবে ওমরাহ হজ সম্পন্ন করলাম ভোর ৫টায়। আলহামদুলিল্লাহ আজ জোহরের নামাজের পর রওনা হবো মদিনা মানোয়ারায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজায় জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। সারা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণ বয়ে আনুক এই দোয়া করেছি মহান আল্লাহর দরবারে। তার এই পোস্টে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। অনেকে চেয়েছেন দোয়াও।

ন্যানসি লন্ডনে ৬ মাসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স শেষ করলেন

ন্যানসি লন্ডনে ৬ মাসের ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্স শেষ করলেন   দেশের সংগীতাঙ্গনের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যানসি। শুধু গানের জগতেই নয়, ব্যক্তিগত পছন্দের ক্ষেত্রেও বরাবরই মনোযোগী তিনি। সেই পছন্দের জায়গাগুলোর একটি হলো ইন্টেরিয়র ডিজাইন। বহুদিন ধরেই ঘর সাজানো-গোছানো এবং নান্দনিক বিন্যাসে তার বিশেষ আগ্রহ।নেত্রকোনায় নিজের তৈরি ডুপ্লেক্স বাড়িটির ইন্টেরিয়রও তিনি নিজস্ব রুচি ও পরিকল্পনায় করেছেন। যা তার ঘনিষ্ঠজনদের কাছেও প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। নিজের আগ্রহকে প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতায় রূপ দিতে গত বছর লন্ডনের সুপরিচিত ন্যাশনাল ডিজাইন একাডেমিতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন কোর্সে ভর্তি হন ‘দ্বিধা’, ‘পলাশী থেকে ধানমন্ডি’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এই শিল্পী। ছয় মাসব্যাপী ডিপ্লোমা কোর্সে অংশ নিতে নিয়মিত লন্ডনে যাওয়া-আসা করতে হয়েছে তাকে। ব্যস্ত কনসার্ট, গান রেকর্ডিং, সংসার দেখাশোনার চাপে কোর্সটি শেষ করা ছিল সত্যিকারের চ্যালেঞ্জ। শিল্পী জানান, তার কোর্সটি এরইমধ্যে শেষ হয়েছে। বর্তমানে ন্যানসি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে। সেখান থেকে গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ‘ইন্টেরিয়র ডিজাইন আমাকে ভীষণ টানে। এটি আমার কাছে শুধু সৃজনশীলতার জায়গা নয়, বরং মানসিক প্রশান্তিরও উৎস। গান, পরিবার আর বিভিন্ন ব্যস্ততার মাঝেও কোর্সটি শেষ করতে পেরেছি-এটা আমার জন্য অনেক আনন্দের। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি আনুষ্ঠানিক সার্টিফিকেট হাতে পাব। তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে ইন্টেরিয়র ডিজাইন নিয়ে আরও পেশাদারভাবে কাজ করার পরিকল্পনাও আছে তার। যদিও সংগীতই তার প্রথম ভালোবাসা, তবুও ইন্টেরিয়র ডিজাইনে নিজের দক্ষতা ব্যবহার করে ঘরবাড়ি সাজানোর মতো সৃজনশীল কাজ করতে চান ন্যানসি। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে ন্যান্‌সি নতুন গান ও বিভিন্ন স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না

কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না   অভয়া কাণ্ডের পর থেকেই ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সোহিনী সরকারের রাজনীতিতে যোগদানের গুঞ্জন শুরু হয়। ওই সময় সোহিনী এই পুরো ঘটনাটি নিয়ে যেভাবে সক্রিয় ও সরব হয়েছিলেন, তাতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন হয়তো অচিরেই তাকে রাজনৈতিক মঞ্চে দেখা যাবে। এমন ভাবনার পেছনে কারণও ছিল এর আগেও টলিউডের অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রীকেই একইভাবে সমাজিক ইস্যুতে সরব হওয়ার পর রাজনীতিতে যুক্ত হতে দেখা গিয়েছে। যদিও অভয়া কাণ্ডের এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হতে দেখা যায়নি এই অভিনেত্রীকে। তবে সম্প্রতি ‘রঘু ডাকাত’ ছবির প্রচারের সময় তৃণমূল নেতার সঙ্গে সোহিনীর নাচের একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের আলোচনা শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিনেত্রীকে নিয়ে তির্যক মন্তব্যও করেছিলেন। অবশেষে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন সোহিনী সরকার। ভারতীয় গণমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিয়েছেন রাজনীতিতে তার যোগদানের ব্যাপারে। সোহিনী বলেন, ‘আমার কাছে যদি প্রস্তাব আসে, আমি তবুও কোনোভাবেই, কোনো অর্থেই, কোনো রাজনৈতিক দলে যোগদান করতে চাই না। তৃণমূল হোক বা কংগ্রেস, বিজেপি হোক অথবা সিপিএম আমি কোনো রাজনৈতিক দলের অংশ হতে চাই না। আমি যদি কখনো রাজনৈতিক দলের অংশ হয়ে যাই, তাহলে আমার আর কিছু বলার থাকবে না। আমাকে তখন পুরোপুরি চুপচাপ হয়ে যেতে হবে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে, ছোট ও বড় পর্দার বহু তারকাই সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। একটা সময় শিল্পীরা রাজনৈতিক ব্যাপার থেকে নিজেদের দূরে রাখলেও, এখন সেই ছবিটা অনেকটাই উল্টে গিয়েছে। দেব থেকে শুরু করে মিঠুন চক্রবর্তীর মতো বড় তারকারাও এখন সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করছেন।

প্রভাসকে নিয়ে দুশ্চিন্তা অনুরাগীদের

প্রভাসকে নিয়ে দুশ্চিন্তা অনুরাগীদের   গত সোমবার ৮ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে জাপান। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৬। উত্তর-পূর্ব উপকূলে জারি করা হয় সুনামি সতর্কতা। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই দক্ষিণী সিনেমাপ্রেমীদের মধ্যে বাড়তে থাকে উদ্বেগ। কারণ ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’র বিশেষ প্রদর্শনীতে যোগ দিতে সম্প্রতি জাপানে গেছেন অভিনেতা প্রভাস। প্রভাসের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে যোগাযোগ করা না যাওয়ায় দুশ্চিন্তা আরও বেড়ে যায়। অনেকেই জানতে চান-জাপানে ভূমিকম্পের মধ্যে তিনি ঠিক আছেন তো? অবশেষে ভক্তদের আশ্বস্ত করলেন তার নতুন ছবি ‘রাজা সাহেব’র পরিচালক মারুতি। আগামী ১২ ডিসেম্বর জাপানে মুক্তি পাচ্ছে ‘বাহুবলী: দ্য এপিক’। দুটি পর্বই একসঙ্গে মুক্তি পেতে চলায় সেদেশের দর্শকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস। এই উপলক্ষেই বিশেষ স্ক্রিনিংয়ে যোগ দিতে সশরীরে সেখানে পৌঁছেছেন প্রভাস। এমন সময় ভূমিকম্পে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে তাকে নিয়ে ভক্তদের দুশ্চিন্তা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। মঙ্গলবার প্রভাসের সঙ্গে কথা বলেন পরিচালক মারুতি। তিনি জানান, “ডার্লিংয়ের সঙ্গে কথা হলো। ও সম্পূর্ণ নিরাপদে আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো-প্রভাস এখন টোকিওতে নেই।” এক্স-এ পোস্ট করেও ভক্তদের আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এদিকে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সকালে জাপান প্রশাসন জানায়, ভয়াবহ কম্পনের পর আপাতত পরিস্থিতি স্থিতিশীল। প্রথম ধাক্কার পর বড়সড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা থাকলেও সেটি পরে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

১৫ বছর পর ‘থ্রি ইডিয়টস’ -এর সিক্যুয়েল আসছে

১৫ বছর পর ‘থ্রি ইডিয়টস’ -এর সিক্যুয়েল আসছে   বলিউডের বক্স অফিসে ঝড় তোলা সিনেমা ‘থ্রি ইডিয়টস’। ২০০৯ সালে মুক্তি পাওয়া সে সিনেমা আজও স্মৃতিতে উজ্জ্বল দর্শকদের। দীর্ঘ ১৫ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে এবার সুখবর এলো, খুব শিগগিরই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবির সিক্যুয়েল। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরিচালক রাজকুমার হিরানি নাকি ‘থ্রি ইডিয়টস’-এর দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আসার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করেছেন। এই সিক্যুয়েলে কাস্টিংয়ে কোনো পরিবর্তন আসছে না। আগের মতোই র‍্যাঞ্চোর ভূমিকায় আমির খান এবং তার বিপরীতে পিয়া শাস্ত্রবুদ্ধি চরিত্রে দেখা যাবে কারিনা কাপুরকে। অন্যদিকে, র‍্যাঞ্চোর দুই প্রিয় বন্ধু রাজু রস্তোগি ও ফারহানের চরিত্রে ফের জুটি বাঁধছেন যথাক্রমে শরমন যোশি ও আর মাধবন। বর্তমানে চিত্রনাট্যের কাজ একেবারে শেষ পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। প্রথম ছবির শেষে নিজের বিয়ের আসর থেকে পালিয়ে এসে র‍্যাঞ্চোর (আমির) সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন পিয়া (কারিনা কাপুর)। সিক্যুয়েলের গল্প সেখান থেকেই শুরু হচ্ছে কি না, তা নিয়ে দর্শক মহলে জল্পনা থাকলেও, এটি নিশ্চিত যে নতুন অ্যাডভেঞ্চারের মুখোমুখি হবে তিন বন্ধু। এর সঙ্গে রাজকুমার হিরানি স্পেশাল কৌতুকরসও থাকছে ছবিতে। আসন্ন এই সিক্যুয়েলকে আলোর মুখ দেখাতে আমির খানের সঙ্গে দাদাসাহেব ফালকের বায়োপিকের কাজও স্থগিত রেখেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। জানা যায়, তিনি অনেক আগেই সিক্যুয়েলের প্ল্যান করলেও সঠিক সময়ের অপেক্ষায় ছিলেন। অবশেষে সেই অপেক্ষার অবসান। জানা গেছে, আগামী ২০২৬ সালেই পর্দায় ফিরতে চলেছেন আমির-কারিনা, শরমন-মাধবনের পুরো দল।

দেশত্যাগের আগে ওমর সানীর ভিডিও বার্তা

দেশত্যাগের আগে ওমর সানীর ভিডিও বার্তা ঢাকাই সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় নায়ক ওমর সানী। আগের মতো অভিনয়ে নিয়মিত নন। সর্বশেষ ‘ডেডবডি’ সিনেমায় দেখা গিয়েছিল তাকে। বর্তমানে তার ব্যস্ততা কাটছে নিজের ব্যবসা ঘিরে। তার পরিবারের সবাই দেশের বাইরে থাকলেও তিনি দেশে থেকেই ব্যবসা সামলাচ্ছেন। ব্যবসায়িক ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ফেসবুক আইডিতে নানা রকম পোস্ট দিয়ে আলোচনায় আসেন এই অভিনেতা। এবার একটু বিরতি নিয়ে সৌদি আরবে গেছেন ওমর সানী। দেশত্যাগের আগে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেতা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) একটি স্ট্যাটাসে তিনি জানান, ওমরাহ পালনের উদ্দেশে গেছেন তিনি। ওমর সানী জানান, সোমবার ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতের ফ্লাইটে বাংলাদেশ বিমানে সৌদি আরবের উদ্দেশে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেছেন। এরপর প্রায় দেড় মিনিটের একটি ভিডিও আপলোড করে এই নায়ক। ভিডিওতে তিনি বলেন, ‘নবীর দেশ, মানবদেহের অক্সিজেনের দেশ সৌদি আরব। সেখানে পুরো টিম নিয়ে ওমরাহ পালনের জন্য যাচ্ছি। আপনারা সবাই দোয়া করবেন, আল্লাহ যেন আমাদের ওমরাহ কবুল করেন। ভক্ত ও দেশবাসীর উদ্দেশে ভিডিওতে ওমর সানী বলেন, ‘বাংলাদেশে যেন খুব শিগগির ফিরে আসতে পারি। আপনারা দোয়া করবেন। রেখে গেলাম বাংলাদেশকে। ফিরে পেতে চাই বাংলাদেশকে। ভালো থাকবেন সবাই।