৩ পানীয় ত্বকের বলিরেখা কমাতে পান করুন

৩ পানীয় ত্বকের বলিরেখা কমাতে পান করুন বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে বিরূপ প্রভাব পড়ে। চোখের চারপাশে কালো ছোপ পড়ে, চামড়া ঝুলে যায় আর কপালে চিন্তার ভাঁজ আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে। মূলত অধিক মানসিক চাপ, ডিহাইড্রেশন এবং পুষ্টির অভাবেও ত্বকের বয়স বেড়ে যায়। ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কোলাজেন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এ কারণে ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য হারিয়ে যায়। তবে সঠিক জীবনযাপন ও উপকারী খাদ্যাভ্যাসের অভ্যাস ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে ভূমিকা রাখে। ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফিরে পেতে নিয়মিত কিছু পানীয় পান করুন। বেদানা ও পুদিনার রিফ্রেশনার : বেদানা ও পুদিনা স্বাস্থ্যের যেমন উন্নতি ঘটায়, তেমনই ত্বকের জন্যও উপকারী। বেদানায় পলিফেনল ও ভিটামিন সি রয়েছে, যা ত্বকের কোষকে ক্ষয়ের হাত থেকে সুরক্ষিত রাখে। পুদিনা শরীর ঠান্ডা রাখে এবং হজমে সহায়তা করে। এক বাটি বেদানার রসের সঙ্গে পুদিনা পাতা, পাতিলেবুর রস এবং পানি মিশিয়ে পান করুন। নিয়মিত পানে ত্বক উজ্জ্বল হবে। আদা-হলুদ মিশ্রিত পানীয় : হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করলে উজ্জ্বলতা বাড়ে। আবার হলুদ খেলেও ত্বকের বলিরেখা কমে। কেননা হলুদে থাকে কারকিউমিন, যা ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সহায়ক। আদাও প্রদাহ কমায় এবং একাধিক রোগ প্রতিরোধ করে। কাঁচা হলুদ ও আদা একসঙ্গে মিক্সারে দিয়ে তার জুস বানিয়ে নিন। এটি গরম পানিতে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। গাজর ও কমলালেবুর জুস: শীতে ত্বক ভালো রাখতে পান করতে পারেন গাজর ও কমলালেবুর জুস। কমলালেবুতে থাকা ভিটামিন সি এবং গাজরের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ত্বকের হারানো সৌন্দর্য ফেরাতে সহায়ক। ১টা কমলালেবুর রসের সঙ্গে অর্ধেক গাজর ব্লেন্ড করে রস ছেকে খেয়ে নিন। এর সঙ্গে চিয়া সিডস মিশিয়ে খেতে পারেন।
চলতি বছর যেসব গান মন ছুঁয়েছে শ্রোতার

চলতি বছর যেসব গান মন ছুঁয়েছে শ্রোতার অডিও, সিনেমা, নাটকের বেশ কিছু গান শ্রোতার মাঝে সাড়া ফেলেছে। অডিও গানে যদিও খরা কাটেনি। শীর্ষ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো গান প্রকাশ থেকে এ বছরও দূরেই ছিল। গত কয়েক বছর সিনেমার গানই এসেছে আলোচনায়। অডিও গান বলতে গেলে বিচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ হয়েছে। নাটকের কয়েকটি গান শ্রোতার মাঝে সাড়া ফেলেছে। এ ছাড়া কোক স্টুডিও বাংলার কয়েকটি গান পছন্দ করেছে শ্রোতারা। ২০২৫ সালে প্রকাশিত আলোচিত গান নিয়েই এ আয়োজন এ বছরের প্রশংসিত গান ‘গুলবাহার’। গানের কথা ও সুর করেছেন ঈশান মজুমদার। কণ্ঠ দিয়েছেন ঈশান মজুমদার ও শুভেন্দু দাস শুভ। গানটি প্রকাশ হয়েছে ঈশানের গান ইউটিউব চ্যানেল থেকে। মে মাসে প্রকাশিত এ গানের ভিউ বছর শেষে তিন কোটি ছাড়িয়ে। এ বছরের অন্যতম প্রশংসিত গান ‘কিছু মানুষ মরে যায় পঁচিশে’। সাইফ জোহানের এ গানের ভিউ প্রায় দুই কোটি। গানের কথা, সুর ও গায়কীই গানটির প্রধান শক্তি। নেই কোনো ব্যয়বহুল মিউজিক ভিডিও। লিরিক্যাল ভিডিওর মাধ্যমে সাদামাটাভাবে প্রকাশ হয়েছে। সাইফ জোহানের ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশের পর থেকেই প্রশংসায় ভাসছে গানটি। কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন শিল্পী নিজেই। অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ থেকে প্রকাশিত একটি গান শ্রোতাদের মাঝে আলোড়ন তুলেছে। ‘আমার বন্ধুরও বন্ধু আছে’ শিরোনামের এ গানটি গেয়েছেন পারভেজ খান। গানের কথা লিখেছেন সোহাগ ওয়াজিউল্লাহ। গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন রিমো বিপ্লব। গানের ভিউ দুই কোটি ছাড়িয়ে। ‘রাগের মাথায় কইলে কিছু রাইখো না অন্তরে। ফোক এ গানটি টিকটক, ফেসবুকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। গানটি গেয়েছেন মরিয়ম ইসলাম। গীতিকার ও সুরকার পাগল মোস্তাক, সংগীতায়োজন করেছেন মুন্সি জুয়েল। গানটি প্রকাশ হয়েছে পাগল মোস্তাকের ইউটিউব চ্যানেল থেকে। ২৮ জুলাই প্রকাশিত এ গানের ভিউ ১ কোটি ৪০ লাখ। সৈয়দ অমির সঙ্গে ‘দুই চাক্কার সাইকেল’ গানটি গেয়ে আলোচনায় আসেন কণ্ঠশিল্পী সানজিদা রিমি। এ বছর প্রকাশিত হয় তার কণ্ঠে ‘তুই আমার আলতা চুড়ি না’ গানের মিউজিক ভিডিও। এ গানটি প্রকাশের পর থেকেই শ্রোতার মাঝে ছড়িয়ে যায়। গানের কথা লিখেছেন নূরে আলম মামুন, সুর করেছেন আফনান অন্তর, সংগীতায়োজন করেছেন আহমেদ সজীব। বছরের শুরুতেই প্রকাশিত এ গানের ভিউ ৫ কোটি ছাড়িয়ে। কণ্ঠশিল্পী কোনাল ও নিলয়ের কণ্ঠে প্রকাশ হয়েছে ‘ময়না’ গানের মিউজিক ভিডিও। গানের কথা লিখেছেন আসিফ ইকবাল, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন আকাশ সেন। জুলাই মাসে প্রকাশিত গানটির ভিউ ৬০ লাখ ছাড়িয়ে। ইমরান ও হোমায়রা ইশিকার কণ্ঠে প্রকাশ হয়েছে ‘পারব না তোমাকে ছাড়তে’ গানের মিউজিক ভিডিও। গানের কথা, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান নিজেই। গানটি প্রকাশ হয়েছে ইমরান মাহমুদুলের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল থেকে। আগস্টে প্রকাশিত এ গানের ভিউ প্রায় ৫০ লাখ। গানটি শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। আর কয়েক মাস পরই কোটির ঘর ছাড়িয়ে যাবে। কণ্ঠশিল্পী লুইপার কণ্ঠে প্রকাশ হয়েছে ‘চুড়ি ছাম ছাম’ গানের মিউজিক ভিডিও। সিফাত আব্দুল্লাহর কথায় গানটির সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন তানভীর। এক মাস না হতেই গানটির ভিউ ৪০ লাখ ছাড়িয়ে। সিনেমার গান : এ বছর সিনেমার সবচেয়ে আলোচিত গান ‘বরবাদ’-এর ‘চাঁদমামা’। প্রীতম হাসানের সুর, সংগীতে গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম হাসান ও অদিতি রহমান দোলা। এ সিনেমার আরেক গান ‘মহামায়া’। গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। সোমেশ্বর অলির কথায় গানটির সুর করেছেন খায়রুল ওয়াসী, সংগীতায়োজন করেছেন আমজাদ হোসেন। সিনেমার আরেক আলোচিত গান ছিল ‘লিচুরও বাগানে’। তাণ্ডব সিনেমার এ গানেরও সুর, সংগীতায়োজন করেছেন প্রীতম হাসান। কণ্ঠ দিয়েছেন প্রীতম, জেফার, মঙ্গল মিয়া ও আলেয়া বেগম। রবিউল ইসলাম জীবনের কথায় ইমরান ও কনার কণ্ঠে ‘কন্যা’ গানটি শ্রোতাদের মনছুঁয়ে যায়। এটি ‘জিন-৩’ সিনেমার গান। সুর ও সংগীতায়োজন করেন ইমরান মাহমুদুল। প্রিন্স মাহমুদের সুরে ‘জংলি’ সিনেমার গান ‘বন্ধু গো শোনো’ বছরের প্রশংসিত গান। এ গানটি গেয়েছেন ইমরান ও কনা। এ ছাড়া ইমরান ও কোনালের কণ্ঠে ‘বরবাদ’ সিনেমার ‘মায়াবী’ গানটিও শ্রোতারা পছন্দ করেছেন। নাটকের গান: হাবিব ওয়াহিদ ও ন্যানসির কণ্ঠে নাটকের গান ‘আমার দিনগুলো সব হারিয়ে যায় আঁধারে।’ আহমেদ রিজভীর কথায় গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল। ‘হৃদয়ের কথা’ নাটকের এ গানটি শ্রোতার মন ছুঁয়ে গেছে। গানের ভিউ ২ কোটি ৪০ লাখ ছাড়িয়ে। এ ছাড়া কনা ও সজীব দাসের কণ্ঠে ‘আশিকি’ নাটকের গান ‘যদি মনটা করি চুরি’ গানটিও সাড়া ফেলেছে শ্রোতার মাঝে। গানের কথা লিখেছেন সালাউদ্দিন সাগর, সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সজীব দাস। এ গানের ভিউ ১ কোটি ৭০ লাখ। এ ছাড়া সোমেশ^র অলির কথায় ‘মন দুয়ারী’ নাটকের ‘এত প্রেম এত মায়া’ গানটি শ্রোতাদের পছন্দের তালিকায়। কণ্ঠ দিয়েছেন রেহান রসুল ও অবন্তী সিঁথি। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাজিদ সরকার।
শাকিব খানের সঙ্গে অপু

শাকিব খানের সঙ্গে অপু ঢালিউডের শীর্ষ তারকা শাকিব খানের নতুন সিনেমা ‘প্রিন্স’ নির্মিত হচ্ছে। ছবিটি নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছেই। এই সিনেমায় শাকিবের সঙ্গে অভিনয় করছেন একাধিক তারকা। সেই তালিকায় আছেন অভিনেতা রাশেদ মামুন অপুও। এর আগে ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় এই দুই অভিনেতা একসঙ্গে কাজ করে দর্শকমহলে প্রশংসিত হয়েছিলেন। সেই সফল সহযোগিতার পর ফের বড় পর্দায় তাদের একসঙ্গে দেখা যাবে ‘প্রিন্স’ সিনেমায়। গেল ১১ ডিসেম্বর ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হন অপু। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ‘প্রিন্স’ সিনেমায় শাকিব খান থাকছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। অন্যদিকে রাশেদ মামুন অপু অভিনয় করছেন গল্পের গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। এটি সিনেমার গল্প এগিয়ে নিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। নির্মাতা মনে করছেন, এই চরিত্রের মাধ্যমে অপু আবারও নিজের অভিনয় দক্ষতার প্রমাণ দিতে পারবেন। এর আগে ‘নবাব এলএলবি’ সিনেমায় রাশেদ মামুন অপুর অভিনয় দর্শকদের নজর কাড়ে। শাকিব খানের সঙ্গে তার রসায়ন এবং সাবলীল অভিনয় তখন প্রশংসা পেয়েছিল সমালোচকদের কাছেও। সেই ধারাবাহিকতায় ‘প্রিন্স’ সিনেমাতেও এই দুই অভিনেতার অভিনয় দর্শকদের জন্য বাড়তি আকর্ষণ হয়ে উঠবে বলে আশা করা হচ্ছে। রাশেদ মামুন অপু বলেন, ‘শাকিব খানের সঙ্গে কাজ করা সবসময়ই আনন্দের। তিনি একজন পরিশ্রমী ও পেশাদার অভিনেতা। নতুন সিনেমা ‘প্রিন্স’ দর্শকদের জন্য আলাদা কিছু নিয়ে আসবে। এখানে আমাকে ভিন্ন ধরনের একটি চরিত্রে দেখা যাবে। নির্মাতার সূত্রে জানা গেছে, সিনেমাটির গল্প, নির্মাণশৈলী ও উপস্থাপনায় থাকবে আধুনিকতার ছোঁয়া। শুটিংয়ের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং শিগগিরই নিয়মিত শুটিংয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিনেমাটি নিয়ে বেশ আশাবাদী এবং মুক্তির আগেই ‘প্রিন্স’ ঢালিউডে আলোচনার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আমি সুন্দর নই আমার শরীর ঠিকঠাক নেই রাধিকা আপ্তে

আমি সুন্দর নই আমার শরীর ঠিকঠাক নেই রাধিকা আপ্তে বলিউডের আলোচিত অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে। অভিনয় ক্যারিয়ারে অনেক দর্শকপ্রিয় ও ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বলিউডের রোমান্টিক সিনেমায় অভিনেত্রীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, তা নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। তার ভাষ্য অভিনেত্রীদের সৌন্দর্যের মানদণ্ড ও পর্দায় তাদের আচরণ দেখে গভীরভাবে প্রভাবিত হয়েছিলেন। ফলে কলেজ জীবনে নিজেকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতেন এই অভিনেত্রী। জুমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র ও ক্রিকেট খেলার প্রভাব ব্যাখ্যা করেন রাধিকা আপ্তে। এ অভিনেত্রী বলেন, “আমার মনে হয়, এই দেশে আপনি চান বা না চান, ক্রিকেট ও সিনেমা সবচেয়ে জনপ্রিয় জিনিস, তাই না? এগুলো থেকে মানুষ অনুপ্রেরণা পায়, এগুলোর প্রতি মানুষ আগ্রহী। সুতরাং আপনি চান বা না চান, এগুলো আপনাকে প্রভাবিত করবেই। আপনি যদি আমার মতো ছোট অভিনেত্রী হন অথবা বড় তারকা, সেটা কোনো ব্যাপার না। আপনার প্রভাব আছে আর এর সঙ্গে দায়িত্বও। মনে রাখবেন, আপনি শুধু বলে যেতে পারেন না। তারকাদের প্রভাব ব্যাখ্যা করে রাধিকা বলেন, “আপনার বলা বা না-বলা ছোট ছোট কথার ভিত্তিতে কখনো কখনো মানুষ গড়ে ওঠে। কারণ আমারও ছিল। আমি যেসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রশংসা করতাম, তাদের কারণে অনেক উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। আমার মনে হয়েছিল, আমি সত্যিই এর একটি উদাহরণ। বলিউডে রোমান্টিক সিনেমার গল্পে নারীদের যেভাবে উপস্থাপন করা হয়, সে বিষয়ে কথা বলেন রাধিকা। এ অভিনেত্রী বলেন, “কলেজ জীবনে ভাবতাম, আমি সুন্দর নই আর আমার শরীর ঠিকঠাক নেই। এসব ভাবনার কারণে অনেক কিছুর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারতাম না। সমস্ত রোমান্টিক সিনেমার ট্রেন্ড ছিল ছেলেদের ‘না’ বলা, তারপর ছেলেরা পেছনে পেছনে ঘুরতো, যা দারুণ ছিল। এসব কিছু এবং নারীদের সঙ্গে যেমন আচরণ করা হতো, তাদের যেভাবে দেখানো হতো, তা আমাকে অনেক প্রভাবিত করেছে; আমিও তারই অংশ ছিলাম। তারপর সৌভাগ্যক্রমে, আপনি সবকিছু নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করেন, বুঝতে পারেন এসব বাজে কথা। কিন্তু এর বড় ধরনের প্রভাব থেকেই যায়! তাই আমার মনে হয়, কিছু দায়িত্ব আপনারও থাকে। আপনি নিজেকে রাজনীতি থেকে আলাদা করতে পারেন না।” বলেন রাধিকা। রাজনীতিকে ব্যাখ্যা করে রাধিকা বলেন, “রাজনীতি শুধু নির্বাচন বা রাজনৈতিক দল নিয় নয়; এটি প্রতিদিনের জীবন। সমাজ কীভাবে চলে, আপনি কী ভাবেন, আপনার কী দায়িত্ব, সেসবও।
এভাবে ছবি না তুললেও পারেন রুনা-জয়া

এভাবে ছবি না তুললেও পারেন রুনা-জয়া অভিনেত্রী জয়া আহসান ও রুনা খানের ফটোশুট ঘিরে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা নতুন নয়। এবার তাদের কিছু ছবিকে ঘিরে নিজের মতামত প্রকাশ করলেন অভিনেত্রী ফারজানা চুমকি। একটি ইউটিউব অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে তিনি বিষয়টি নিয়ে খোলামেলা কথা বলেন। সাক্ষাৎকারে নিজের শারীরিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গ টেনে ফারজানা চুমকি বলেন, ‘ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণে আমি ফটোশুট করিনি। কাজ করেছি, কিন্তু ক্যামেরার সামনে আলাদা করে ফটোশুট করার মানসিকতা তখন ছিল না। এ সময় উপস্থাপক ওজন কমানোর প্রসঙ্গে উদাহরণ হিসেবে অভিনেত্রী রুনা খান-এর নাম উল্লেখ করেন। উত্তরে চুমকি বলেন, ‘রুনা খানের বিষয়টা আলাদা। উনি খুব ডেডিকেটেড ছিলেন। ওনার লক্ষ্যই ছিল ওজন কমানো, নিজেকে ফিট করা এবং ফটোশুট করা। আমার মধ্যে সেই রকম চেষ্টা ছিল না, তাই আমি পারিনি। তিনি আরও জানান, বয়স ও পারিবারিক বাস্তবতাও তার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে। বলেন, ‘আমার বয়স হয়েছে, ছেলে বড় হয়েছে। আমি যদি ফটোশুট করি, সেটা আমার মতো করেই করব। জয়া আহসান ও রুনা খানের ফটোশুট নিয়েও নিজের অনুভূতি জানান ফারজানা চুমকি। তার ভাষায়, ‘আমি রুনা খানের ওপর ঈর্ষান্বিত নই। তবে কিছু ছবি দেখলে মনে হয়; এগুলো না করলেও পারতেন। আমি ওনার অভিনয়ের বড় ভক্ত। এ প্রসঙ্গে জয়া আহসান-কে নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘জয়া আপার অনেক ছবি খুব সুন্দর লাগে, আবার কিছু ছবি দেখে ভালো লাগে না। আমরা জয়া আপাকে সাধারণত শালীন একটি ইমেজে দেখে অভ্যস্ত। তাই হঠাৎ কিছু ভিন্নধর্মী ছবি দেখলে সেটি আমাদের কাছে একটু ধাক্কার মতো লাগে। উল্লেখ্য, জয়া আহসান ও রুনা খান দুজনই অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়। তাদের ফটোশুট ও অনলাইন উপস্থিতি প্রায়ই আলোচনার জন্ম দেয়, যা নিয়ে বিনোদন অঙ্গনে ভিন্ন ভিন্ন মতামত উঠে আসে। এদিকে চুমকির এই সাক্ষাৎকারের বক্তব্যকে অনেকে অতিরঞ্জিত করেও মন্তব্যও করেছেন সামাজিক মাধ্যমে। তা নজরে আসে অভিনেত্রীর। সেখানে চুমকির বক্তব্যকে বিকৃত করে উল্লেখ করা হয়, ’জয়া আহসান আর রুনা খানকে নিয়ে ফারজানা চুমকি বললেন, এই আপুরা এই বয়সে এগুলা কেন করেন বুঝিনা। এ নিয়ে এক ফেসবুক পোস্টে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন চুমকি। লেখেন, আমি কাউকে নিয়ে এভাবে কথা বলিনি। জয়া আপা আমার ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। রুনা আমার ছোট বোনের মতো ওর অভিনয় এর ভক্ত আমি। কাউকে আমি ছোট করে কথা বলি নি। আপনারা কেন এভাবে লেখেন। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
নতুন বছরেই ‘গোলাপ’ উপহার দিবেন পরীমণি

নতুন বছরেই ‘গোলাপ’ উপহার দিবেন পরীমণি ঢালিউডের আলোচিত নায়িকা পরীমণিকে নিয়ে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার পালা শেষ হতে চলেছে ভক্তদের। হঠাৎই সুখবর মিললো, আর অপেক্ষা নয় নতুন বছরের শুরুতেই দর্শকদের ‘গোলাপ’ উপহার দিবেন জনপ্রিয় এ নায়িকা। ‘গোলাপ’ নামের নুতন সিনেমাটি নির্মাণের ঘোষণার পর প্রায় ১১ মাস কেটে গেলেও কাহিনি জটিলতায় শুটিং শুরু হয়নি। যা পরীমণি ভক্তদের মন ভেঙে দিয়েছিল। তবে অবশেষে সেই সিনেমা নির্মাণের জট খুলতে শুরু করেছে। সিনেমাটির নির্মাতা সামছুল হুদা জানিয়েছেন, বহুদিনের অপেক্ষার পর ‘গোলাপ’ এবার সত্যিই আসছে ক্যামেরার সামনে। সিনেমায় চিত্রনায়িকা পরীমণির বিপরীতে অভিনয় করবেন অভিনেতা নিরব। জানা যায়, শুটিং পিছিয়ে যাওয়ার নেপথ্যে ছিল গল্প সংশ্লিষ্ট জটিলতা। গল্পের কয়েকটি অংশে পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল, যা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনার পর অবশেষে সমস্যা কাটিয়ে গল্পটি নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। ছোট শহরের রাজনৈতিক বাস্তবতা, উত্তেজনা আর রহস্যকে কেন্দ্র করে নির্মিত হবে ‘গোলাপ’। পরিকল্পনা অনুযায়ী সব ঠিকমতো এগোলে নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতেই সিনেমাটির শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’ রেড সি উৎসবে সেরা পুরস্কার জিতল

সিনেমা ‘লস্ট ল্যান্ড’ রেড সি উৎসবে সেরা পুরস্কার জিতল সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম রেড সি ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সর্বোচ্চ সম্মান ‘গোল্ডেন ইউসর’ জিতেছে রোহিঙ্গা ভাষার চলচ্চিত্র ‘লস্ট ল্যান্ড’। জাপানি নির্মাতা আকিও ফুজিমোতো পরিচালিত এই ছবিটি সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নিয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ঝলমলে আয়োজনে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ‘গোল্ডেন ইউসর’ পুরস্কারের সঙ্গে নির্মাতা ফুজিমোতো নগদ ১ লাখ ডলার প্রাইজমানি লাভ করেছেন। রোহিঙ্গা ভাষায় নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘লস্ট ল্যান্ড’-এ মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হওয়া বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা শিশুদের জীবন-সংগ্রাম তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে দেখানো হয়, চার বছর বয়সী শাফি এবং তার নয় বছর বয়সী বোন সোমিরা কীভাবে বাংলাদেশে থাকা শরণার্থী ক্যাম্প ছেড়ে মালয়েশিয়ায় পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছানোর জন্য জীবন-মরণ ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা শুরু করে। গোল্ডেন ইউসর প্রদানকালে জুরি প্রধান শন বেকার বলেন, ‘চলচ্চিত্রটি বাস্তুচ্যুত শিশুদের দুর্দশাকে অসাধারণ মানবিকতা ও কবিত্বপূর্ণ তাগিদে তুলে ধরেছে। রেড সি ফেস্টিভ্যালের আগে থেকেই সিনেমাটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হচ্ছিল। এ বছরের ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের হরাইজনস বিভাগে এর বিশ্ব প্রিমিয়ার হয় এবং ছবিটি সেখানে বিশেষ জুরি পুরস্কার জেতে। এছাড়াও, এ বছর এটি এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডসে জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ লাভ করে।
আউটলুক ইন্ডিয়ার চোখে বছরের সেরা ৫ নারী চরিত্র

আউটলুক ইন্ডিয়ার চোখে বছরের সেরা ৫ নারী চরিত্র ভারতীয় চলচ্চিত্রে নারীকেন্দ্রিক গল্প এখন আলাদা গুরুত্ব পাচ্ছে। বলা যায়, চলতি বছরে এই পরিবর্তন আরও স্পষ্ট। গল্পভিত্তিক ছবি, হরর, থ্রিলার, ফেমিনিস্ট ড্রামা এমনকি সুপারহিরোর চরিত্রও এখন নারীশিল্পীদের হাতে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় গণমাধ্যম আউটলুক ইন্ডিয়া বেছে নিয়েছে বছরের নারী অভিনয়শিল্পীদের পাঁচটি সেরা চরিত্র। ১. মোনিকা পানওয়ার, ‘খাউফ’, ‘নিশাঞ্চি ১’ ও ‘নিশাঞ্চি ২’ ২০২৫ সাল এক লাফে মোনিকা পানওয়ারকে শীর্ষ সারিতে নিয়ে গেছে। ‘খাউফ’ সিনেমায় মধু চরিত্রে তিনি সামলেছেন নারীবিদ্বেষ, অতিপ্রাকৃত ভয় ও নারীদের ঐক্যের শক্তি সবই অনায়াস স্বাভাবিকতায়। আবার ‘নিশাঞ্চি’ সিরিজে মঞ্জরী হয়ে হাজির হয়েছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপে শোকাহত অথচ প্রজ্ঞাবান এক মাতৃতান্ত্রিক চরিত্র, যিনি বুদ্ধি ও কর্তৃত্বে নিজের পৃথিবী চালান। এক বছরের মধ্যে এমন বৈচিত্র্য খুব কম অভিনেত্রীই দেখাতে পারেন। ২. কাল্যাণী প্রিয়দর্শিনী, ‘লোকাহ: চ্যাপ্টার ১’ এই সিনেমা কাল্যাণীর অভিনয়ভাবমূর্তি পাল্টে দিয়েছে। পৌরাণিক সুপারহিরো ও ধারালো ভ্যাম্পায়ারের দ্বৈত চরিত্রে তিনি ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সহিংসতা ও নৈতিক সংকটে ভরা এক জগতে। চরিত্রটি ধারণ করেছেন এমন আত্মবিশ্বাসে যে তাঁর অভিনয়গ্রাফ আরও উঁচুতে উঠে গেছে। তীব্রতা আর কোমলতার মেলবন্ধন এই চরিত্রকে কেবল ‘কস্টিউমড হিরোইন’ নয়, বরং এক পরিণত অভিনেত্রীর শক্ত প্রমাণে দাঁড় করিয়েছে। ৩. তৃপ্তি দিমরি, ‘ধড়ক ২’ ‘ধড়ক ২’-এ তৃপ্তি দিমরি নারীর সাহস, কষ্ট ও মর্যাদার লড়াইকে নতুনভাবে তুলে ধরেছেন আন্তঃবর্ণ প্রেমের গল্পে। পূর্বসূরি চলচ্চিত্রকে সম্মান জানিয়ে এই সংস্করণটি এসেছে আরও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে। বিদ্ধি চরিত্রের শান্ত দৃঢ়তা ও অন্তর্নিহিত শক্তি ছবিটিকে স্মরণীয় করে তোলে। ৪. রাশমিকা মন্দানা, ‘দ্য গার্লফ্রেন্ড’ রাশমিকা অভিনীত ভূমা দেবী ইংরেজি বিভাগের ছাত্রী। তাঁর সরলতা কোনও দুর্বলতা নয়; বরং সেই সরলতাকেই ব্যবহার করে বিক্রম তাঁর আত্মপরিচয়ে আঘাত হানে। সেখান থেকেই শুরু হয় ভূমার আত্মোন্মোচন ও পুনর্গঠনের যাত্রা। গল্পটি সচেতনভাবেই ‘অ্যানিমাল’ বা ‘কবীর সিং’-এর মতো অতিপুরুষ-নির্ভর প্রবণতার বিপরীত এখানে গুরুত্ব পেয়েছে দায়বদ্ধতা, অনুভূতি ও ব্যক্তিগত পুনরুদ্ধার। ৫. অঞ্জলি শিবরামন, ‘ব্যাড গার্ল’ এই সিনেমায় রামিয়া চরিত্রে এক বিদ্রোহী, কল্পনাপ্রবণ তরুণীর ভূমিকায় দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন অঞ্জলি শিবরামন। স্বাধীনতা, প্রেম, ব্যর্থতা ও বড় হয়ে ওঠার টানাপোড়েনকে তিনি রঙিন, বেদনাময় ও গভীর মানবিকতায় ফুটিয়ে তুলেছেন। ছবির সঙ্গীতেও তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য যা তাঁকে বছরের অন্যতম ব্যতিক্রমী শিল্পী হিসেবে তুলে ধরেছে।
বোনের বিস্ফোরক মন্তব্য ডিপজলকে নিয়ে

বোনের বিস্ফোরক মন্তব্য ডিপজলকে নিয়ে ঢালিউড সিনেমার জনপ্রিয় খল-অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল এলাকাবাসীর কাছে ‘দানবীর’ খেতাব পেলেও তার বিরুদ্ধে পারিবারিক পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে তার তিন বোনের অভিযোগ ওঠে। পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ এনেছেন অভিনেতার বোনেরা। এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সামাজিক মাধ্যমে এটাকে ‘মিথ্যা অপবাদ’ দাবি করে ডিপজল লিখেছেন আল্লাহই সবকিছুর উত্তম বিচারক। যদি আইন অনুযায়ী তারা মালিক হোন, তবে তাদের প্রাপ্য অংশ অবশ্যই তারা পাবেন। এ খল-অভিনেতার ফেসবুক পোস্টের পর তার বোন পারভীন বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বাবা অনেক প্রোপার্টি রেখে গেছেন। তারা তিন ভাই তিনতলায় থাকে। আমার মাকে নিচতলায় আন্ডারগ্রাউন্ডে দেওয়া হয়েছে। সেখানে কাজের মেয়ে যা রান্না করে দিত, তা খাইত। পারভীন বেগম আরও বলেন, আমার ভাইয়েরা একই বাড়িতে থাকে তিনতলা, চারতলা ও পাঁচতলায়। কখনো কি তাদের বাসা থেকে আমার মায়ের জন্য ভাত দিছে? দেয়নি। আমার তিন ভাইয়ের এক ভাইও বলতে পারবে না আমার মাকে ভাত খাওয়াইছে। তিনি বলেন, আপনারা জিজ্ঞাসা করবেন আপনার মা ছিল কোন ফ্ল্যাটে? আপনি এত মা ভক্ত, আপনি কি আপনার মাকে ফ্ল্যাটে ঢুকাইতে পারছেন? মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আপনার মা কোথায় ছিল, কোন রুমে আপনার মা মারা গেছে? তিনি আরও বলেন, যে ভাই মায়ের জানাজার পড়ে না, ওই ভাই বোনদের দেখবে? সেই ভাই কোনো দিন বোনদের হক ন্যায্যভাবে দেবে? এটা আশা করা যা-ই না। পারভীন বলেন, আমরা ডিপজল ভাইয়ের অংশ চাই না। বাবার অংশ যতটুকু পাই, সেটি চাই। যেগুলো সে করেছে তো করেছেই। তিন ভাই ৪০ বছর ধরে আমার বাবার টাকা খেয়েছে, ওটা নিয়ে আমরা একটা মামলা দিয়েছি। ওটা কোর্ট বুঝবে। দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি আত্মাসাৎ উল্লেখ করে ডিপজলের বোন বলেন, বর্তমান বাজারমূল্য অনুযায়ী, মোট সম্পত্তি আনুমানিক পাঁচ হাজার কোটি টাকা ধরেছি। তিন ভাইয়ের তিন হাজার কোটি। আমাদের চার বোনের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি। অর্থাৎ প্রতিজনের ৫০০ কোটি টাকার সম্পত্তি। পারভীন বেগম বলেন, আমি কী ৫০০ কোটি টাকা সম্পত্তি ভাইদের নামে লিখে দেব? ভুয়া দলিল দেখিয়ে বলছে— বোনেরা লিখে দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা এত পাগল না যে, টিপসই দিয়ে তাদের লিখে দেব। আমাদের চার বোনের দুই হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি তার কাছে। এই ৪০ বছর সম্পত্তি বাবদ কোত্থেকে কত ভাড়া নিয়েছে, আমাদের জানা আছে বলেও জানিয়েছেন ডিপজলের বোন।
বিজয়ের মাসে বড়পর্দায় জয়ার সিনেমা

বিজয়ের মাসে বড়পর্দায় জয়ার সিনেমা বিজয়ের মাসে বড়পর্দায় জয়া আহসান অভিনীত মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সিনেমা ‘নকশী কাঁথার জমিন’ দেখার সুযোগ! দুই বোনের ভালোবাসা, ত্যাগ আর জীবনের টানাপোড়েনের গল্প নিয়ে সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন ‘খাঁচা’ খ্যাত নির্মাতা আকরাম খান। মাটির মানুষ আর মনের গল্পে বোনা এক নকশী কাঁথার স্পর্শ পাওয়া যাবে সিনেমায়। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ দুই বোনের জীবনে যে করুণ পরিণতি নিয়ে আসে তারই আখ্যান ‘নকশীকাঁথার জমিন’। সিনেমাটি গত অক্টোবর থেকে স্ট্রিমিং হচ্ছে দেশের জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিনে। কিন্তু বিজয়ের মাসে সিনেমাটি আবারও বড়পর্দায় দেখানোর উদ্যোগ নিয়েছেন সিনেমা সংশ্লিষ্টরা। ‘নকশী কাঁথার জমিন’ র একটি ইভেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন জয়া আহসান। সেখান থেকে জানা যায়, আগামী ২০ ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় রাশিয়ান কালচারাল সেন্টারে সিনেমাটি দেখানো হবে। বিশেষ এই প্রদর্শনী দেখার আহ্বান জানিয়ে ওই ইভেন্টে বলা হয়, লাখো বাঙালির জীবন দিয়ে অর্জিত মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী শহীদ ও বীরাঙ্গনাদের স্মরণে হাসান আজিজুল হক রচিত বিধবাদের কথা অবলম্বনে মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক আকরাম খান নির্মিত ‘নকশীকাঁথার জমিন’ চলচ্চিত্রের বিশেষ প্রদর্শনী। এই বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য হল ভাড়া এবং আবশ্যিক ইউটিলিটি বিলের খরচ নির্বাহের উদ্দেশ্যে সর্বনিম্ন টিকেট মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রী ১৫০ টাকা এবং পেশাজীবী ২০০ টাকা। আসন নিশ্চিত করতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতেও অনুরোধ জানানো হয়। মুক্তিযুদ্ধে সব হারানো দুই বোন রাহেলা ও সালেহা তাদের এক জীবনের আখ্যানের নকশা তোলে নকশী কাঁথার জমিনে। কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের ‘বিধবাদের কথা’ গল্প অবলম্বনে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা তুলে আনা হয়েছে এই সিনেমায়। সিনেমায় দুই বোনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান ও ফারিহা শামস সেঁওতি। এ ছাড়াও সিনেমাটিতে দুই ভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরেশ যাকের ও রওনক হাসান। তা ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ আরও দুই চরিত্রে আছেন দুই ভাই দিব্য জ্যোতি ও সৌম্য জ্যোতি।