জয়জয়কার অ্যানিমেশনের

জয়জয়কার অ্যানিমেশনের ২০২৫ সালে হলিউডের বক্স অফিস চিত্রের দিকে তাকালেই স্পষ্ট হয়ে ওঠে–এ বছর অ্যানিমেশনই রাজত্ব করেছে। বাস্তব অভিনেতাদের উপস্থিতিকে ছাপিয়ে অ্যানিমেটেড চরিত্ররাই দর্শকদের সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে। বছরের সর্বাধিক আয় করা সিনেমাগুলোর তালিকা বিশ্লেষণ করলে অ্যানিমেশনের এই দাপট অস্বীকার করার সুযোগ নেই। মাত্র ৮০ মিলিয়ন ডলার বাজেটে নির্মিত চীনা অ্যানিমেটেড ফ্যান্টাসি সিনেমা ‘নে ঝা-২’ বিশ্বজুড়ে আয় করেছে ২ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি, যা একে বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সিনেমার মর্যাদা এনে দিয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডিজনির বহুল প্রতীক্ষিত অ্যানিমেশন ‘জুটোপিয়া ২’, যার আয় ছাড়িয়েছে ১ বিলিয়ন ডলার। তৃতীয় অবস্থানেও রয়েছে ডিজনিরই লাইভ-অ্যাকশন অ্যানিমেশন ‘লিলো অ্যান্ড স্টিচ’। একই সঙ্গে জাপানি অ্যানিমেশন ‘ডেমন স্লেয়ার: কিমেৎসু নো ইয়াইবা–দ্য মুভি: ইনফিনিটি ক্যাসল’ মুক্তির পর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং দর্শকমহলে দারুণ উত্তেজনা ছড়ায়। অ্যানিমেশনের এই জোয়ারের মধ্যেও কিছুটা মুখ রক্ষা করেছে বড় স্টুডিওগুলোর কয়েকটি প্রকল্প। ওয়ার্নার ব্রসের ‘আ মাইনক্রাফট মুভি’ বিশ্বব্যাপী আয় করেছে ৯৫৮ মিলিয়ন ডলার এবং ইউনিভার্সাল পিকচারসের ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড রিবার্থ’ পৌঁছেছে ৮৬৯ মিলিয়ন ডলারে। দুটি ছবিই অল্পের জন্য ১ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক ছুঁতে পারেনি। বছরের মাঝামাঝি সময়ে ব্র্যাড পিট অভিনীত ‘এফ ওয়ান’ এবং ডেভিড কোরেন্সওয়েটের ‘সুপারম্যান’ কিছুটা আলোচনায় এলেও সামগ্রিকভাবে হলিউডে বড় তারকানির্ভর সিনেমাগুলো প্রত্যাশিত প্রভাব ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে। এ বছর আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, হলিউডে তারকাদের স্টারডাম ধীরে ধীরে ম্লান হয়ে যাচ্ছে। ডোয়াইন জনসনের ‘দ্য স্ম্যাশিং মেশিন’ বক্স অফিসে বড় ধরনের ব্যর্থতার মুখে পড়েছে। জেনিফার লরেন্সের ‘ডাই মাই লাভ’ আয় করতে পেরেছে মাত্র সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে আশানুরূপ সাড়া পায়নি জুলিয়া রবার্টসের ‘আফটার দ্য হান্ট’ এবং গ্লেন পাওয়েলের ‘দ্য রানিংম্যান’। এমনকি টম ক্রুজের বহুল আলোচিত ‘মিশন: ইম্পসিবল– দ্য ফাইনাল রেকনিং’ যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ২০০ মিলিয়ন ডলারের গণ্ডিও পেরোতে পারেনি, যা এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য হতাশাজনক বলেই ধরা হচ্ছে। ব্র্যাড পিটের ‘এফ ওয়ান’-এর বক্স অফিস ফলাফলও তাঁর তারকাখ্যাতির তুলনায় অনেকটাই কম। তবে যে কোনো সময়ের তুলনায় ২০২৫ সালে হলিউডে ভৌতিক সিনেমা উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। ৯০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের ‘সিনারস’ বিশ্বব্যাপী আয় করেছে সাড়ে ৩৫০ মিলিয়নের বেশি। অন্যদিকে মাত্র ৩৮ মিলিয়নে নির্মিত ‘ওয়েপনস’ পেরিয়ে গেছে আড়াইশ মিলিয়ন ডলারের মাইলফলক। এই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আগামী বছরগুলোতে হলিউডে হরর ঘরানার সিনেমার সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই ধারণা করা হচ্ছে। এ বছরের আরেকটি বড় আলোচিত ঘটনা হলো– ডিসির কাছে মার্ভেলের পরাজয়। দীর্ঘদিন ধরে মার্ভেলের সুপারহিরো সিনেমাগুলো দর্শকদের মন জয় করে এলেও এবার চিত্রটা বদলেছে। মার্ভেল এ বছর ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা: ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড’, ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোর: ফার্স্ট স্টেপ’ এবং ‘থান্ডারবোল্টস’-এর মতো বড় বাজেটের সিনেমা মুক্তি দিলেও ডিসির ‘সুপারম্যান’-এর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারেনি। বছরের সর্বোচ্চ ব্যবসাসফল সুপারহিরো সিনেমার খেতাব গেছে ‘সুপারম্যান’-এর ঝুলিতে। মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্স যাত্রা শুরুর পর এই প্রথমবার ডিসির কাছে স্পষ্টভাবে পিছিয়ে পড়ল প্রতিষ্ঠানটি।

গান প্রকাশের পর অভিনয় ছাড়ার কারণ জানালেন বিজয়

 গান প্রকাশের পর অভিনয় ছাড়ার কারণ জানালেন বিজয় ৯০ হাজার ভক্ত নিয়ে গান প্রকাশের পর অভিনয় ছাড়ার কারণ জানালেন বিজয় ‘জন নায়াগান’ হচ্ছে বিনোদনজগৎকে বিদায় জানিয়ে রাজনীতিতে নাম লেখা দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেতা থালাপতি বিজয়ের শেষ সিনেমা। মুক্তি পাচ্ছে আগামী বছরের ৯ জানুয়ারি। ছবিটি নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের কমতি নেই। বিজয়কে দেখতে গত শনিবার ২৭ ডিসেম্বর ৯০ হাজার ভক্ত ভিড় করেছেন মালয়েশিয়ার ন্যাশনাল স্টেডিয়াম বুকিত জলিলে। সেখানে সিনেমার গান প্রকাশের আয়োজন ছিল। অনুষ্ঠানে বিজয় বলেন, শ্রীলঙ্কার পর মালয়েশিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় তামিল জনগোষ্ঠীর একটি রয়েছে। মালয়েশিয়ায় অনেক তামিল সিনেমার শুটিং হয়েছে। আমার বন্ধু অজিত অভিনীত ‘বিলা’ ছবিটিও মালয়েশিয়ায় শুট করা হয়েছিল। আমার ‘কাভালান’ ও ‘কুরুবি’ ছবির শুটিংও এখানে হয়েছে। বিজয় অভিনয়কে বিদায় জানালেন বছর খানেক আগে তামিলাগা ভেত্রি কাজাগাম (টিভিকে) নামে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন বিজয়। এরপর তামিলনাড়ু বিধানসভা নির্বাচন করার ঘোষণা দেন এ অভিনেতা। ইতোমধ্যে ‘জন নায়াগান’ এরপর অভিনয় থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিজয়। বিজয় বলেন, মানুষ আমার জন্য সিনেমা হলে এসে দাঁড়ান। সে কারণেই আগামী ৩০ থেকে ৩৩ বছর আমি তাদের জন্য দাঁড়াতে প্রস্তুত। বিজয়–ভক্তদের জন্যই আমি সিনেমা থেকে সরে যাচ্ছি। অভিনয়ের শুরু থেকেই ভক্তদের পাশে পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বিজয় বলেন, প্রথম দিন থেকেই আমি সব ধরনের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছি, এটা পুরোনো গল্প। কিন্তু আমার ভক্তরা শুরু থেকেই টানা ৩৩ বছর ধরে আমার পাশে থেকেছেন। আমি সিনেমায় এসেছিলাম একটি ছোট বালুর ঘর বানানোর স্বপ্ন নিয়ে, আর আপনারা আমাকে একটি প্রাসাদ উপহার দিয়েছেন। তাই যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের জন্য আমিও দাঁড়াব। ভক্তদের কৃতজ্ঞতার ঋণ শোধ করব। তিনি বলেন, জীবনে সফল হতে সব সময় বন্ধুর প্রয়োজন না–ও হতে পারে, কিন্তু শক্তিশালী এক শত্রু দরকার। শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলেই আপনি আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবেন। ভক্তদের উদ্দেশে বিজয় বলেন, ছোট একটি সাহায্য বা ছোট একটি ভালো কাজ ভবিষ্যতে আপনাকে সাহায্য করবে। কাউকে কষ্ট দেবেন না, কাউকে আঘাত করবেন না।

নুসরাত ফারিয়া চমকে দিলেন

নুসরাত ফারিয়া চমকে দিলেন বছরের শেষ মুহূর্ত দারুণ আনন্দেই কাটছে ঢাকাই নায়িকা নুসরাত ফারিয়ার। বেশ কিছুদিন ধরে কানাডা সফরে রয়েছেন নায়িকা। এর মধ্যে জানিয়েছিলেন, দেশটির ওটায়া শহরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তার; জানিয়েছিলেন আমন্ত্রণও। এবার সেই অনুষ্ঠানে পারফর্ম করতে দেখা গেল নুসরাত ফারিয়াকে; নেচে সেখানকার মঞ্চ মাতালেন এই নায়িকা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেন নুসরাত ফারিয়া। তাতে দেখা যায়, সাদা রঙের একটি গ্ল্যামারাস ফ্রিল ড্রেস এবং সাদা বুট পরে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, ওটায়ার প্রেস্টন ইভেন্ট সেন্টারের সেই জমকালো পারফরম্যান্স সেটি; আর ভিডিওটি মুহূর্তেই তার ভক্ত-নেটিজেনদের মাঝে সারা ফেলে বেশ। ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সারদের সাথে তাল মিলিয়ে ফারিয়ার স্টাইলিশ মুভগুলো তার নাচের দক্ষতাও ফুটে ওঠে। এ সময় ফারিয়ার নাচের ভঙ্গি এবং অভিব্যক্তি দর্শকদের মুগ্ধ করলেও কেউ কেউ মজাও নেন। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘অসাধারণ নেচেছেন আপু।’ একজন জায়েদ খানের সঙ্গে তুলনা করে মজা করে লেখেন, ‘জায়েদ খান প্রো। বছরের শেষ সময়টা কানাডায় অবস্থান করছেন ফারিয়া। কখনো টরোন্টো আবার কখনো ওটায়ার পথঘাটে ঘুরে বেড়ানোর ছবি শেয়ার করছেন। এর আগে ওটায়া থেকে শেয়ার করা ফারিয়ার একটি অফ-শোল্ডার কালো গাউন পরা ছবি ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। সেখানে নেটিজেনরা তাকে ‘ক্লিওপেট্রা’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন। কানাডা ভ্রমণের এই আনন্দঘন মুহূর্তে নুসরাত ফারিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খানকেও। বড়দিন এবং নতুন বছরের আমেজ তারা একসাথেই উদযাপন করছেন। গত ২৬ ডিসেম্বর সেই ছবি প্রকাশ করে ফারিয়া লিখেছিলেন, ‘২৭ তারিখ দেখা হবে ওটায়ার প্রেস্টন ইভেন্ট সেন্টারে।’ এরপরই ভক্তরা আশা বাঁধেন, নিশ্চয়ই জায়েদ খানের সঙ্গে জমকালো মঞ্চে একসঙ্গে মাতবেন তারা। যদিও নাচের এই ভিডিওতে জায়েদ খানকে দেখা যায়নি; তাই এক নেটিজেন মন্তব্য করেন, ‘জায়েদ খান কোথায়?’।

জঙ্গীর কথায় বাবুর সুরে ব্যান্ড উৎসব

জঙ্গীর কথায় বাবুর সুরে ব্যান্ড উৎসব  বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীত নিয়ে এক ব্যতিক্রমী ও স্মরণীয় আয়োজন নিয়ে আসছে বাংলাদেশ টেলিভিশন। প্রথমবারের মতো একটি মাত্র সংগীতানুষ্ঠানের জন্য দশটি ব্যান্ড গেয়েছে দশটি সম্পূর্ণ নতুন গান। এই অনন্য উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’। অনুষ্ঠানটি প্রচার হবে বিটিভির পর্দায় আগামী ৩০ ও ৩১ ডিসেম্বর, প্রতিদিন রাত ১০টায়। এই আয়োজনের সবচেয়ে বড় নতুনত্ব হলো, দশটি গানের কথাই লিখেছেন একজন গীতিকার এবং দশটি গানের সুরই করেছেন একজন সুরকার। দেশের ব্যান্ড সংগীতাঙ্গনে এমন সমন্বিত প্রয়াস আগে কখনো দেখা যায়নি। দশটি নতুন গানের কথা লিখেছেন গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী। সুর করেছেন দেশের জনপ্রিয় ব্যান্ড ফিডব্যাকের দলনেতা ও গুণী সুরকার ফুয়াদ নাসের বাবু। একই গীতিকার ও একই সুরকারের সৃষ্টিতে ভিন্ন ভিন্ন ব্যান্ডের কণ্ঠ ও সংগীতায়োজন এই বিষয়টিই ‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’-কে করেছে বিশেষ। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করেছেন গোলাম মোর্শেদ। গ্রন্থনা করেছেন আহমেদ তেপান্তর। এর উপস্থাপনায় দেখা যাবে ফেরদৌস বাপ্পীকে। বিটিভির এই উদ্যোগকে ব্যান্ড সংগীতের জন্য একটি বড় মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। আয়োজকদের মতে, নতুন গান সৃষ্টি ও ব্যান্ড সংস্কৃতিকে এগিয়ে নিতে এই অনুষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। গীতিকার শহীদ মাহমুদ জঙ্গী বলেন, ‘দশটি নতুন গান একসঙ্গে একটি প্ল্যাটফর্মে উপস্থাপন করা বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের জন্য গর্বের বিষয়। এই নান্দনিক ও সাহসী উদ্যোগের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। একই সঙ্গে সুরকার ফুয়াদ নাসের বাবুও এই আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আনন্দ প্রকাশ করেন।‘ব্যান্ড উৎসব ২০২৫’ শুধু একটি সংগীতানুষ্ঠান নয়, বরং এটি নতুন গান তৈরির প্রতি উৎসাহ, ব্যান্ড সংগীতের প্রতি শ্রদ্ধা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি অনুপ্রেরণামূলক উদাহরণ হয়ে থাকবে এমনটাই আশা করছেন সংগীতপ্রেমীরা।

নেটমাধ্যমে ট্রল বিপিএল লুকে তানজিন তিশা

নেটমাধ্যমে ট্রল বিপিএল লুকে তানজিন তিশা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বিপিএল-এর দ্বাদশ আসরের পর্দা উঠেছে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে। গত ২৬ ডিসেম্বর সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহী ওয়ারিয়র্স ও সিলেট টাইটান্সের ম্যাচের পর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মঞ্চ মাতাতে দেখা যায় জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশাকে। তবে পারফরম্যান্সের চেয়েও বর্তমানে আলোচনায় তার ‘বিপিএল লুক’ এবং নেটিজেনদের সমালোচনা। রোববার রাতে সামাজিক মাধ্যমে নিজের সেই বিশেষ লুকের একগুচ্ছ ছবি শেয়ার করেন অভিনেত্রী। ছবিতে তাকে দেখা যায়, রুপালি চুমকি বসানো গ্লিটারি টপস, আর নিয়ন রঙের কার্গো স্টাইলের প্যান্ট। গলায় ছিল পাথরের ভারী নেকলেস এবং কানে ছোট ছোট টপ ইয়ারিংস। এছাড়াও চোখের কোণে স্টোনের ব্যবহার তার লুকে আনে বাড়তি চাকচিক্য। পায়ে ছিল অফ-হোয়াইট রঙের হিলের স্নিকার বুট। তবে তার অধিকাংশ ছবিতেই একটু ভিন্নধর্মী ভঙ্গিতে বসে পোজ দিতে দেখা গেছে। তিশার এই নতুন লুক অধিকাংশেরই মন জয় করতে পারেনি, ফলে সমালোচনা ও কটাক্ষের শিকার হয়েছেন অভিনেত্রী; যার কারণ তার পোশাকের অতিরিক্ত চাকচিক্য ও বসার ভঙ্গি। মন্তব্যঘরে একজন লিখেছেন, ‘আমি তো প্রথমে আপনাকেই বিপিএলের ট্রফি মনে করেছিলাম!’ আবার কেউ কেউ তার ফ্যাশন সেন্স নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘ছাপরি’ বা ‘যাত্রাপালার নায়িকা’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। লুকের পাশাপাশি আরও একটি গুঞ্জন তিশার পিছু ছাড়ছে না। শোনা যাচ্ছে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দিন তাকে নাকি শুরুতে মাঠে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কমেন্ট বক্সে নেটিজেনরা সেই বিষয়টি নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি। যদিও এসব কোনো মন্তব্যের উত্তর দেননি তানজিন তিশা। তবে তিশার অনেক ভক্ত তার প্রশংসাও করেছেন; বিশেষ করে বিপিএল-এর মঞ্চে তার নৃত্য পরিবেশন করে গ্যালারির দর্শকদের বিনোদন দিয়েছেন বলে।

বিশ্বজোড়া ঝড় তোলা অভিনেত্রী ব্রিজিত মারা গেছেন

বিশ্বজোড়া ঝড় তোলা অভিনেত্রী ব্রিজিত মারা গেছেন   ফরাসি অভিনেত্রী-গায়িকা ব্রিজিত বার্দো মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। বিশ্বজুড়ে খ্যাতি অর্জনের পর ব্রিজিত প্রাণী অধিকার আন্দোলনে নিজেকে নিবেদিত করেন। পরে চরম ডানপন্থী রাজনীতিকে প্রকাশ্যে সমর্থক করে পরিচিতি পান। আল জাজিরা এ খবর প্রকাশ করেছে। আজ রবিবার ২৮ ডিসেম্বর ব্রিজিত বার্দো ফাউন্ডেশন অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, ব্রিজিত বার্দো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মারা গেছেন। বিশ্বখ্যাত অভিনেত্রী ও গায়িকা, যে নিজের মর্যাদাপূর্ণ কর্মজীবন ত্যাগ করে প্রাণী কল্যাণ এবং তার ফাউন্ডেশনের জন্য জীবন ও শক্তি উৎসর্গ করেছেন।” তবে ব্রিজিত বার্দো কবে কখন কোথায় মারা গেছেন, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি। ১৯৫৬ সালে ‘অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড ওম্যান’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন ব্রিজিত। সিনেমাটিতে নারীর যৌনতা তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল। এরপর প্রায় ৫০টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন ব্রিজিত। যুদ্ধোত্তর ফরাসি সিনেমার সবচেয়ে পরিচিত মুখগুলোর একজন হয়ে ওঠেন এই অভিনেত্রী। সত্তর দশকের শুরুতে, খ্যাতির শীর্ষে থাকা অবস্থায় ব্রিজিত বার্দো অভিনয় ছেড়ে দেন এবং প্রাণী সুরক্ষার দিকে মনোযোগ দেন। তার এই আন্দোলন অনেকের প্রশংসা কুড়ালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার জনজীবন আরো বিতর্কিত হয়ে ওঠে। কারণ চরম ডানপন্থী রাজনীতি গ্রহণ করে বারবার বর্ণবাদী ও উসকানিমূলক মন্তব্য করেন এই অভিনেত্রী। একসময় ফ্রান্সের কট্টর ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্টের (বর্তমান: ন্যাশনাল র‍্যালি) দীর্ঘদিনের নেত্রী মারিন লো পেনের প্রতি প্রকাশ্যে সমর্থন জানান ব্রিজিত। বছরের পর বছর ধরে বর্ণবিদ্বেষ উসকে দেওয়ার দায়ে ফরাসি আদালত তাকে একাধিকবার দোষী সাব্যস্ত করেন। ২০২২ সালে ফরাসি আদালত ব্রিজিতকে ৪০ হাজার ইউরো জরিমানা করেন। এটি ছিল বর্ণবাদী ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের কারণে তার বিরুদ্ধে নেওয়া ষষ্ঠ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। মুসলিম ও অভিবাসীরা নিয়মিত তার আক্রমণের লক্ষ্য ছিলেন। ১৯৩৪ সালে ফ্রান্সের প্যারিসে জন্মগ্রহণ করেন ব্রিজিত বার্দো। রক্ষণশীল একটি ক্যাথলিক পরিবারে তার বেড়ে ওঠা। প্যারিস কনজারভেতোয়ার থেকে ব্যালে নৃত্যে প্রশিক্ষণ নেন তিনি। কিশোরী বয়সে মডেলিং শুরু করেন। মাত্র ১৫ বছর বয়সে ‘এল’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা করে নেন। এটি তাকে চলচ্চিত্রে প্রথম কাজের সুযোগ এনে দেয়। ১৯৫২ সালে পরিচালক রোজার ভাদিমের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। অভিনয় ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেন ব্রিজিত। তবে সময়ের সঙ্গে গুরুত্ব বাড়তে থাকে তার। ১৯৫৫ সালে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় লাভ করা ‘ডক্টর অ্যাট সি’ সিনেমায় ডার্ক বোগার্ডের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। তবে ব্রিজিতের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ভাদিম পরিচালিত ‘অ্যান্ড গড ক্রিয়েটেড ওম্যান’। এতে অবাধ্য এক কিশোরীর চরিত্রে অভিনয় করে হয়ে ওঠেন আন্তর্জাতিক তারকা। সিনেমাটি ফ্রান্সসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ব্যাপক সাফল্য পায়। কেবল তাই নয়, ব্রিজিতকে ফরাসি চলচ্চিত্রের প্রথম সারির তারকাদের কাতারে তুলে আনে। ষাটের দশকের শুরুতে ব্রিজিত অভিনয় করেন একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ ফরাসি সিনেমায়। হেনরি-জর্জ ক্লুজোর অস্কার মনোনীত সিনেমা ‘দ্য ট্রুথ’, লুই মাল পরিচালিত ‘ভেরি প্রাইভেট অ্যাফেয়ার’ জঁ-লুক গোদারের ‘কনটেম্পট’। দশকের দ্বিতীয়ার্ধে হলিউডের দিকেও পা বাড়ান ব্রিজিত। এ সময় তার উল্লেখযোগ্য সিনেমার মধ্যে রয়েছে‘ভিভা মারিয়া’, ‘শালাকো’।

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নির্মাতা

খাদ্যে বিষক্রিয়ায় হাসপাতালে নির্মাতা খাদ্যে বিষক্রিয়ায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন টালিউডের নির্মাতা সুদেষ্ণা রায়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সুদেষ্ণা রায়ের দীর্ঘদিনের সহযোগী ও সহ-পরিচালক অভিজিৎ গুহ জানিয়েছেন, পরশু রাত থেকেই তিনি অসুস্থ বোধ করছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসকদের মতে, তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে শিগগিরই তাকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করা হতে পারে। জানা গেছে, সম্প্রতি কিছুদিন শান্তিনিকেতনে ছিলেন সুদেষ্ণা রায়। সেখান থেকে ফেরার পরই তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ক্রিয়েটিনিনের মাত্রাও বেশি। এ কারণেই চিকিৎসকরা আপাতত আইসিইউতেই তাকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই জন্মদিন কাটাতে হয়েছে পরিচালককে। এমন সময়ে সহকর্মী, শিল্পী ও শুভানুধ্যায়ীরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি দ্রুত আরোগ্য কামনা করছেন।

মিম তাড়াহুড়ো নেই ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করি

মিম তাড়াহুড়ো নেই ভালো কাজের জন্য অপেক্ষা করি বিদ্যা সিনহা মিম। চিত্রনায়িকা ও মডেল। বর্তমানে সামাজিক মাধ্যমে দেখা যায় তাঁর ভ্রমণ, রঙিন মুহূর্ত আর ব্র্যান্ডের প্রচারণায় ঝলমলে উপস্থিতি। কখনও পাহাড়ের কোলে, কখনও সমুদ্রের ধারে, কখনও আবার স্বামীর সঙ্গে নির্ভার সময় সব মিলিয়ে জীবন উপভোগের ছবিই বেশি চোখে পড়ে। বড়পর্দায় তাঁকে দেখা যাচ্ছে কম। এরই মধ্যে এসেছে নতুন কাজের খবর। সেসব নিয়েই কথা হয় তাঁর সঙ্গে। সামাজিক মাধ্যমে আপনাকে খুব আনন্দে ভরা জীবন যাপন করতে দেখা যায়। খুব ঘোরাঘুরি করছেন মনে হয়? পারিবারিকভাবে আমি একজন সুখী মানুষ। কাজ না থাকলে আমি আমার পরিবার নিয়ে আনন্দে মেতে থাকি। আমি ঘুরতে ভালোবাসি। কাজের ফাঁকে তাই সময় পেলেই আমি আর সনি (স্বামী সনি পোদ্দার) ঘুরতে বেরিয়ে পড়ি। কোনো কোনো ভ্রমণে বাবা-মাকেও নিয়ে যাই। ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে শেয়ার করি। ভালো লাগে। আপনার ঘোরাঘুরির খবর ফেসবুকে সবাই দেখছেন। কাজের খবর তো জানাচ্ছেন না? কয়েকদিন আগেই তো নতুন কাজের খবর দিলাম। চরকির একটি অরিজিনাল ফিল্মে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার খবর। নির্মাণ করবেন কাজী আসাদ। কাজটি সম্পর্কে যদিও এখন এর বেশি কিছু বলা যাবে না। শুধু এটুকু বলব, এটা আমার জন্য নতুন ধরনের একটি জার্নি। দর্শক আমাকে যে গ্ল্যামার লুকে দেখে অভ্যস্ত, সেখান থেকে একটু ভেঙেই চরিত্রটা আসবে। এটা দিয়েছেন ওটিটি ফিল্মের খবর। সিনেমার খবর কোথায়? সেটাও আছে। তবে এখন কিছুই জানাতে পারব না। সময় হলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানই সব জানাবে। আমাদের মুখ খোলা বারণ আছে। রাজশাহীতে ‘মালিক’ নামে একটি সিনেমার শুটিং শেষ করলে ফিরলেন? সিনেমাটির শুটিং শুরু করেছি। তবে শেষ করা হয়নি। রাজশাহীতে শুরু হলেও শেষ হবে ঢাকায়। অ্যাকশন টাইপ সিনেমা এটি। এর বেশি কিছু বলতে পারব না। পরিচালক-প্রযোজকরা বিস্তারিত জানাবেন। কিন্তু ‘পরাণ’ সিনেমার পর আপনাকে এমনভাবে আর পাওয়া যাচ্ছে না! কীভাবে পাওয়া যাবে বলুন। সিনেমার প্রস্তাব তো অনেক আসে, কিন্তু মানসম্মত সিনেমা কয়টা পাই? যেগুলো পাই সেগুলো যদি একের পর একটা করতে থাকি তখন দর্শকরা নেতিবাচক বলতে থাকবেন। এ রকম কাজ আমি করব না। আমি মনে করি, বছরে ডজনখানেক নিম্নমানের সিনেমা করার চেয়ে কোনো সিনেমা না করা ভালো। এই যে দর্শক আপনাকে এখনও ‘পরাণ’-এর অভিনেত্রীর মতো দেখতে চায়, এ প্রত্যাশা কি চাপ তৈরি করে? চাপ নয়, বরং দায়িত্ব তৈরি করে। দর্শক আমাকে ভালোবেসেছেন বলেই তো প্রত্যাশা করেন। সেই প্রত্যাশা নষ্ট করার কোনো মানে হয় না। সিনেমার ক্ষেত্রে সবকিছু আমার মনমতো হতে হবে–গল্প, চরিত্র, নির্মাতা। তবেই কাজ করব। ‘পরাণ’-এর পর ‘দামাল’ ও ‘অন্তর্জাল’ করলেন, কিন্তু দর্শক বলছে, ওই মিমকে পাওয়া যায়নি। আমি বুঝি দর্শক কী বলতে চায়। ‘পরাণ’ একটি বিশেষ সিনেমা, বিশেষ চরিত্র। এমন কাজ বারবার আসে না। কিন্তু তাই বলে আমি থেমে নেই। আমি অপেক্ষা করছি ঠিক সময়ের জন্য। শুনেছি সম্প্রতি বেশ কয়েকটি চিত্রনাট্য পড়েছেন? হ্যাঁ, গত কয়েক মাসে অর্ধডজনের মতো সিনেমার স্ক্রিপ্ট পড়েছি। আনন্দের কথা হলো, এর মধ্যে বেশ কয়েকটির গল্প আমার ভালো লেগেছে। কয়েকজন নির্মাতার সঙ্গে কথাও চলছে। দু-একটিতে সাইনও করেছি। শিগগিরই ঘোষণা আসবে। তাহলে বলা যায়, ২০২৬ সালটা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে? অবশ্যই। ২০২৬ সালে আরও কিছু কাজের ঘোষণা আসবে। দর্শকদের একটু অপেক্ষা করতে বলব। যখন আসব, ভালো কিছু নিয়েই আসব। সিনেমা কম হলেও বিজ্ঞাপন ও ব্র্যান্ডিংয়ে আপনাকে দারুণ ব্যস্ত দেখা যায়। হ্যাঁ, আমি মডেল হিসেবেও নিয়মিত কাজ করছি। দেশের অনেক বড় ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি। প্রতি মাসেই নতুন নতুন বিজ্ঞাপনের শুট থাকে।

নাজনীন হাসান খান নেপালে তিন নাটক নির্মাণ করলেন

নাজনীন হাসান খান নেপালে তিন নাটক নির্মাণ করলেন জনপ্রিয় নির্মাতা নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় ও রাজীব মণি দাসের রচনায় নেপালের মনোরম লোকেশনে চিত্রায়িত হয়েছে তিনটি বিশেষ নাটক। নেপালে নির্মিত নাটকগুলো হলো- ‘হানিমুন’, ‘ভালোবাসার অন্তর্ধান’, ও ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। এর মধ্যে অন্যতম কমেডি ঘরানার নাটক ‘প্যারায় আছে দুলাভাই’। হিমালয় কন্যা নেপালের নান্দনিক দৃশ্যের সাথে পারিবারিক মান-অভিমান ও হাস্যরসের মিশেলে তৈরি হয়েছে নাটকটির নাটকের কাহিনিতে দেখা যায়, দুলাভাই তার স্ত্রী, শ্যালক ও শালিকাসহ সদলবলে নেপালে বেড়াতে যান। কিন্তু সেখানে গিয়েও স্ত্রীর শাসন থেকে তার রেহাই মেলে না। সামান্য উনিশ-বিশ হলেই স্ত্রী রেগে যান, যা দুলাভাইয়ের জন্য চরম অস্বস্তির বা ‘প্যারা’র কারণ হয়ে দাঁড়ায়। পরিস্থিতির চরম পর্যায়ে দুলাভাই হঠাৎ নিখোঁজ হন। নাইটক্লাব থেকে শুরু করে বিভিন্ন বারে খুঁজেও তাকে পাওয়া যায় না। একপর্যায়ে গাইডের কথায় পরিবারের ধারণা হয়, সংসারের প্যারা সইতে না পেরে দুলাভাই হয়তো সন্ন্যাসী হতে হিমালয়ে চলে গেছেন। স্বামীকে ফিরিয়ে আনতে স্ত্রী হিমালয়ের পথে হাঁটা ধরেন, কিন্তু ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসেন। গল্পের শেষে দেখা যায় এক মজাদার টুইস্ট। সারাদিন সবাই যাকে হন্যে হয়ে খুঁজেছে, সেই দুলাভাই আসলে হোটেল রুমেই ঘুমাচ্ছিলেন। চিলে কান নিয়েছে শুনে কানে হাত না দিয়েই চিলের পেছনে ছোটার মতো এক হাস্যকর পরিস্থিতির অবতারণা হয় এই নাটকে। এর মাঝেই দুলাভাইকে খুঁজতে গিয়ে বেয়াই ও বেয়াইনের মধ্যে গড়ে ওঠে মধুর প্রেমের সম্পর্ক। পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘নেপাল যেন পটে আঁকা ছবির মতো সুন্দর। এখানকার লোকেশনের বৈচিত্র্য এবং স্থানীয় মানুষের সহযোগিতা শুটিংয়ের জন্য চমৎকার পরিবেশ তৈরি করেছে’। দর্শকদের নির্মল বিনোদন দিতেই নাটকটি নির্মাণ করা হয়েছে।

নুসরাত ফারিয়া কানাডায় মঞ্চ মাতালেন

নুসরাত ফারিয়া কানাডায় মঞ্চ মাতালেন কানাডার ওটায়া শহরে একটি অনুষ্ঠানে নেচে মঞ্চ মাতালেন ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। রোববার দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে একটি ছোট ভিডিও প্রকাশ করেন অভিনেত্রী। সেখানে দেখা যায়, সাদা রঙের একটি গ্ল্যামারাস ফ্রিল ড্রেস এবং সাদা বুট পরে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন ফারিয়া। ধারণা করা হচ্ছে, ওটায়ার প্রেস্টন ইভেন্ট সেন্টারের সেই জমকালো পারফরম্যান্স সেটি; আর ভিডিওটি মুহূর্তেই তার ভক্ত-নেটিজেনদের মাঝে সারা ফেলে বেশ। ব্যাকগ্রাউন্ড ড্যান্সারদের সাথে তাল মিলিয়ে ফারিয়ার স্টাইলিশ মুভগুলো তার নাচের দক্ষতাও ফুটে ওঠে। এ সময় ফারিয়ার নাচের ভঙ্গি এবং অভিব্যক্তি দর্শকদের মুগ্ধ করলেও কেউ কেউ মজাও নেন। এক ভক্ত লিখেছেন, ‘অসাধারণ নেচেছেন আপু। বছরের শেষ সময়টা কানাডায় অবস্থান করছেন ফারিয়া। কখনো টরোন্টো আবার কখনো ওটায়ার পথঘাটে ঘুরে বেড়ানোর ছবি শেয়ার করছেন। এর আগে ওটায়া থেকে শেয়ার করা ফারিয়ার একটি অফ-শোল্ডার কালো গাউন পরা ছবি ভক্তদের মাঝে বেশ সাড়া ফেলে। সেখানে নেটিজেনরা তাকে ‘ক্লিওপেট্রা’র সঙ্গেও তুলনা করেছেন। কানাডা ভ্রমণের এই আনন্দঘন মুহূর্তে নুসরাত ফারিয়ার সফরসঙ্গী হিসেবে দেখা গেছে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়ক জায়েদ খানকেও। বড়দিন এবং নতুন বছরের আমেজ তারা একসাথেই উদযাপন করছেন।