ব্রিটিশ রক ও ব্লুজ গায়ক ক্রিস রি আর নেই

ব্রিটিশ রক ও ব্লুজ গায়ক ক্রিস রি আর নেই ব্রিটিশ রক ও ব্লুজ গায়ক-গীতিকার ক্রিস রি আর নেই। তিন দিন আগে শরীরে অসুস্থতার পর মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিনি ‘ড্রাইভিং হোম ফর ক্রিসমাস’ এবং ‘দ্য রোড টু হেল’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান করেছেন। ক্রিস রি’র পরিবার জানায়, ‘অসীম দুঃখের সঙ্গে আমরা আমাদের প্রিয় ক্রিসের মৃত্যু ঘোষণা করছি। দীর্ঘ নয় মাসের অসুস্থতার পর তিনি আজ হাসপাতালে শান্তিপূর্ণভাবে প্রয়াত হয়েছেন। এসময় তার পরিবার পরিজনেরা ঘিরে ছিল। রিয়া ৩৩ বছর বয়সে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। পরে তার অগ্ন্যাশয় অপসারণ করান। অসুখের বিরুদ্ধে লড়ে তিনি মোট নয়টি অস্ত্রোপচারের সম্মুখীন হন। ২০১৬ সালে স্ট্রোক হওয়ার এক বছর পর তিনি ‘দ্য রোড সঙ্গস ফর লাভার্স’ লাইভ ট্যুর চালিয়ে গেছেন। ২০১৭ সালে অক্সফোর্ডের নিউ থিয়েটারে এক কনসার্টের সময় তিনি স্টেজে অচেতন হয়ে পড়েন। মিডলসব্রোতে জন্ম নেওয়া এই সংগীতশিল্পী ১৯৭৮ সালে তার বিখ্যাত ক্রিসমাস গান রচনা করেন। সেটি দশ বছর পর প্রকাশিত হয়। ২০০৭ সাল থেকে প্রতি বছর উৎসবের সময় চার্টে দেখা যায় গানটি। চলতি বছরে গানটি ক্রিসমাস চার্টে ১৩তম স্থানে রয়েছে। এমঅ্যান্ডএস ফুডের ক্রিসমাস বিজ্ঞাপনেও কমেডিয়ান ডন ফ্রেঞ্চের সঙ্গে দেখানো হয়েছে গানটির ভিডিও। ক্রিস রি ২৫টির বেশি স্টুডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে ‘দ্য রোড টু হেল’ (১৯৮৯) এবং ‘অবের্জ’ (১৯৯১) অ্যালবাম যুক্তরাজ্যের অ্যালবাম চার্টে প্রথম স্থান অর্জন করে। তিনি স্ত্রী জোয়ান এবং দুই কন্যা জোসেফিন ও জুলিয়াসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন।

কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার প্রযোজক মারা গেছেন

কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার প্রযোজক মারা গেছেন কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার সুবাদে ঢাকাই চলচ্চিত্র পেয়েছে দুই তারকা অভিনয়শিল্পী সালমান শাহ ও মৌসুমীকে। আনন্দমেলা সিনেমা লিমিটেডের ব্যানারে তৈরি এই সিনেমার অন্যতম প্রযোজক সুকুমার রঞ্জন ঘোষ মারা গেছেন। গত সোমবার ২২ ডিসেম্বর ভোরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী মাহবুব গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। ধানমন্ডির বাসায় অবস্থানকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মুন্সিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্যও ছিলেন সুকুমার রঞ্জন ঘোষ। এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিবেশক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। চলচ্চিত্রশিল্পে তার অবদান ছিল অনন্য ও স্মরণীয়। চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি মনে করছে, তার মৃত্যুতে দেশের চলচ্চিত্রশিল্পে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে। তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে সংগঠনটি।‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ ছাড়াও সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে‘স্বজন’, ‘আমার ঘর আমার বেহেশত’, ‘লড়াই’, ‘অমর সঙ্গী’, ‘বিয়ের ফুল’সহ বেশ কিছু ব্যবসাসফল সিনেমা। সুকুমার রঞ্জন ঘোষ স্ত্রী, এক পুত্র, দুই কন্যাসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মেহজাবীন-আদনান মালদ্বীপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন

মেহজাবীন-আদনান মালদ্বীপে মুগ্ধতা ছড়াচ্ছেন দীর্ঘ ১৩ বছরের লুকোচুরি আর প্রেমের গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্মাতা আদনান আল রাজীবের গলায় মালা পরিয়েছেন ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। বিয়ের পর থেকেই এই তারকা দম্পতিকে নিয়ে ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। বর্তমানে তারা যে সুখের জোয়ারে ভাসছেন, তার নতুন প্রমাণ মিলল সুদূর মালদ্বীপে। ব্যস্ত শিডিউল থেকে কিছুটা বিরতি নিয়ে এই জুটি এখন অবস্থান করছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি মালদ্বীপে। সেখানে কাটানো একান্ত মুহূর্তের কিছু মনোমুগ্ধকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করেছেন মেহজাবীন। ছবিগুলোতে দেখা যায়, সমুদ্রের নীল জলরাশির পাশে দাঁড়িয়ে একে অপরের সান্নিধ্য উপভোগ করছেন তারা। কোনো ছবিতে নীল দিগন্তের দিকে তাকিয়ে আছেন, আবার কোনোটিতে মিষ্টি হাসি ভক্তদের হৃদয়ে দোলা দিচ্ছে। তবে কেবল সমুদ্রবিলাসই নয়, মেহজাবীন-আদনান মেতেছেন সাইকেলিংয়েও। চোখে রোদ চশমা আর ক্যাজুয়াল পোশাকে সাইকেলে চড়ে রিসোর্টের চারপাশ ঘুরে দেখার মুহূর্তগুলোও ক্যামেরাবন্দী করেছেন তারা। মেহজাবীনের শেয়ার করা সেই অ্যালবামটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসার পরপরই সেটি ভাইরাল হয়ে যায়।

টম ক্রুজের নতুন সিনেমা ‘ডিগার’

টম ক্রুজের নতুন সিনেমা ‘ডিগার’ হলিউড অভিনেতা টম ক্রুজ ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজে ইথান হান্ট হিসেবে দীর্ঘ যাত্রা শেষ করেছেন চলতি বছরের মে মাসে। এরপর তিনি শুরু করেছেন নতুন অধ্যায়– মেক্সিকান নির্মাতা আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতুর সিনেমা ‘ডিগার’-এ। এখানে টম ক্রুজকে দেখা যেতে পারে কমেডি চরিত্রে। সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে সিনেমাটির শিরোনাম, পোস্টার ও টিজার। ওয়ার্নার ব্রস ও লিজেন্ডারি প্রযোজিত ডিগার মুক্তি পাবে ২০২৬ সালের ২ অক্টোবর। গল্পের বিস্তারিত এখনও গোপন। তবে ওয়ার্নার ব্রর্সের দেওয়া সংক্ষিপ্ত বিবরণে বলা হয়েছে, ডিগার রকওয়েল হলেন পৃথিবীর সবচেয়ে ক্ষমতাধর মানুষ, যিনি নিজের ছড়িয়ে দেওয়া এক ভয়াবহ বিপর্যয় সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়ার আগেই নিজেকে মানবজাতির ‘ত্রাতা’ প্রমাণ করতে মরিয়া অভিযানে নামেন। এদিকে ছয় মাস ধরে যুক্তরাজ্যে শুটিং হওয়া ‘ডিগার’ দিয়ে আবারও ইংরেজি ভাষার ছবিতে ফিরছেন অস্কারজয়ী পরিচালক আলেহান্দ্রো গঞ্জালেস ইনারিতু। ‘দ্য রেভেন্যান্ট’-এর পর এটিই তাঁর প্রথম ইংরেজি ভাষার পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা। ছবিটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করছেন ইনারিতু নিজেই, সহ-প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন টম ক্রুজ। যুক্তরাজ্যে ছয় মাস ধরে শুটিং হয়েছে। টম ক্রুজের সঙ্গে এ সিনেমায় আরও থাকছেন সান্ড্রা হুলার, জন গুডম্যান, মাইকেল স্টুলবার্গ, জেসি প্লেমন্স, সোফি ওয়াইল্ড, রিজ আহমেদ ও এমা ডার্সি প্রমুখ। সূত্র: ভ্যারাইটি

কেন তামান্নাকে বাদ দেন ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার পরিচালক আইটেম গান

কেন তামান্নাকে বাদ দেন ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার পরিচালক আইটেম গান আইকনিক ড্যান্স নাম্বারের সমার্থক হয়ে উঠেছেন দক্ষিণী সিনেমার অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া। ‘স্ত্রী টু’ সিনেমায় ‘আজ কি রাত’, শাহরুখ খানপুত্র আরিয়ান খানের ‘দ্য বা***ডস অব বলিউড’ ওয়েব সিরিজে ‘ঘফুর’ শিরোনামের গানে তার নাচের হিল্লোল কেউই ভোলেননি। বক্স অফিস কাঁপানো ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার ‘শরারাত’ গানেও তামান্নাকে নেওয়ার কথা ছিল; সর্বশেষ তা হয়নি। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার কোরিওগ্রাফি করেছেন বিজয় গাঙ্গুলি। ‘শরারাত’ আইটেম গানে তামান্না ভাটিয়াকে নেওয়ার প্রস্তাব দেন বিজয়। কিন্তু তা প্রত্যাখ্যান করেন পরিচালক আদিত্য ধর। পরে গানটিতে নেওয়া হয় অভিনেত্রী আয়েশা খান ও ক্রিস্টল ডি’সুজাকে। পরিচালক কেন তামান্নাকে বাদ দিলেন তা নিয়ে কথা বলেছেন বিজয় গাঙ্গুলি। ফিল্মি জ্ঞানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিজয় গাঙ্গুলি বলেন, “দুজন মেয়েকে (অভিনেত্রী) চূড়ান্ত করার জন্য অডিশন নেওয়ার ফলে অনেক অপশন তৈরি হয়েছিল। এরপর জানতে চাওয়া হয়, তামান্না ভাটিয়ার নাম ভেবেছিলেন কি না? জবাবে বিজয় গাঙ্গুলি বলেন, “আমার মাথায় তিনি (তামান্না) ছিলেন। আমি তার নাম প্রস্তাব করেছিলাম। কিন্তু আদিত্য স্যার এ বিষয়ে খুব পরিষ্কার সিদ্ধান্তে ছিলেন। তিনি গানটি এমনভাবে তৈরি করতে চাননি যাকে মানুষ ‘আইটেম সং’ বলেন; যা গল্প থেকে আলাদা হয়ে যায়। ‘শরারাত’ গানে একদল নৃত্যশিল্পী পারফর্ম করেন। এ বিষয়ে বিজয় বলেন, “গানে যদি শুধু একজন মেয়ে থাকতেন, তাহলে পুরো মনোযোগ গল্প থেকে সরে যেত। এ কারণে এখানে একজন নয়, দু’জন মেয়ে আছেন। সব আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু কোনো একজন মানুষকে নিয়ে হোক, তা আদিত্য স্যার চাননি। তামান্না যদি থাকতেন, তাহলে আলোচনা তাকে নিয়েই হতো, গল্প নিয়ে নয়। খানিকটা ব্যাখ্যা করে বিজয় গাঙ্গুলি বলেন, “রণবীর সিং ও সারা অর্জুনের বিয়ের রিসেপশনের দৃশ্যটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সেখানে নাচের বাইরেও অনেক কিছু ঘটছিল। আদিত্য গল্প থেকে এক মুহূর্তের জন্যও সরে যেতে চাননি। তাই ‘শরারাত’ গানটিকে ‘জাস্ট আ কাট-টু সং’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ‘শরারাত’ গানটি মুক্তির পর দর্শকদের মাঝে দারুণ সাড়া ফেলেছে। ১১ দিনে ইউটিউবে গানটির ভিউ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৫ কোটি। আর ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। তামান্না অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ওডেলা টু’। গত ১৭ এপ্রিল প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। তেলেগু ভাষার সিনেমাটি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ে। বর্তমানে হিন্দি ভাষার চারটি সিনেমার কাজ তামান্নার হাতে রয়েছে। এগুলো হলো ‘রোমিও’, ‘রেঞ্জার’, ‘ভিভ্যান’। তাছাড়া নাম ঠিক না হওয়া আরেকটি সিনেমার কাজ এই অভিনেত্রীর হাতে রয়েছে।

২০২৬ সালে নতুন রূপে আসছেন জন্মশতবর্ষ মহানায়ক উত্তমকুমার

২০২৬ সালে নতুন রূপে আসছেন জন্মশতবর্ষ মহানায়ক উত্তমকুমার প্রেক্ষাগৃহ থাকবে, আর সেখানেই ফিরবেন তিনি- বাংলা সিনেমার মহানায়ক উত্তমকুমার। তবে একা নন, তার সঙ্গে থাকবেন সমসাময়িক ও পরবর্তী প্রজন্মের শিল্পীরাও। ২০২৬ সালে উত্তমকুমারের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কলকাতা বইমেলাজুড়ে বিশেষ আয়োজনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আগামী বছরের কলকাতা বইমেলাকে ‘উত্তমময়’ করে তুলতে উদ্যোগী হয়েছে কলকাতারা ‘পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড’। খবর অনুযায়ী, কিংবদন্তিতুল্য নায়ক স্মরণে বইমেলায় বিশেষ এক প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। এই প্রদর্শনীর দায়িত্বে থাকছেন ‘আর্ট অলিন্দ আর্কাইভ’র জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য এবং ‘কলকাতা কথকতা’র চন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, প্রেক্ষাগৃহের আদলে প্রদর্শনীস্থল সাজানোর ভাবনা রয়েছে। সেখানে প্রদর্শিত হবে উত্তমকুমারের লেখা চিঠি, চিত্রনাট্য, সিনেমার স্মরণীয় মুহূর্ত, স্থিরচিত্র, পোস্টার, কাটআউট, সিনেমার টিকিট এবং অভিনেতার ব্যবহৃত পোশাকসহ বিভিন্ন স্মারক। শুধু দৃশ্য নয়, থাকবে শব্দের আবহও। কখনো ভেসে আসবে সত্যজিৎ রায়ের ছবি ‘হীরক রাজা দেশে়’র গান ‘কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়’, কখনো আবার শোনা যাবে টিকিট কাটার কোলাহল-ঠিক পুরনো দিনের প্রেক্ষাগৃহের মতো পরিবেশ। আগামী বছরের কলকাতা বইমেলা শুরু হবে ২২ জানুয়ারি, চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। জ্যোতির্ময়ের কথায়, বিষয়টি এখনো পরিকল্পনার স্তরেই থাকলেও উত্তমকুমারকে একা নয়, তার আগের প্রজন্মের ছবি বিশ্বাস, পাহাড়ি সান্যালের মতো শিল্পীদের পাশাপাশি পরবর্তী প্রজন্মকেও তুলে ধরা হবে। নতুন প্রজন্মকে বাংলা সিনেমার ধারাবাহিক ইতিহাস বোঝাতেই এ প্রয়াস। সেই সূত্রে পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সময়কেও প্রদর্শনীতে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা রয়েছে। ‘সপ্তপদী’ সিনেমাতে বাইকে চেপে উত্তমকুমার ও সুচিত্রা সেনের গান ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’- এই আইকনিক দৃশ্যের আদলে একটি বাইকও প্রদর্শনী প্রাঙ্গণে রাখা হবে। পাশাপাশি, ‘আর্ট অলিন্দ আর্কাইভ’-এর উদ্যোগে প্রকাশ পাবে ‘দ্য গোল্ডেন মোমেন্টস’ নামের একটি বই, যেখানে উত্তমকুমারের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের স্মৃতি ও অভিজ্ঞতা তুলে ধরা হবে। উত্তম-পুত্র গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় স্ত্রী মহুয়া চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মহানায়কের ব্যবহৃত কিছু স্মারক প্রদর্শনীর জন্য দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। কোন কোন জিনিস দেওয়া হবে, তা এখনো চূড়ান্ত নয়। তার সাক্ষাৎকারসহ বিভিন্ন উপাদানও বইমেলায় থাকবে। পাশাপাশি থাকছে আলোচনাচক্র। গত বছরের মতো এ বছরেও তিনি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, পুরো আয়োজনকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে-একটি বিশেষ প্রদর্শনী এবং অন্যটি উত্তমকুমারকে ঘিরে আলোচনা ও স্মৃতিচারণা। বাজবে তার গান। এই বিশেষ অনুষ্ঠানের নাম রাখা হয়েছে ‘অতি উত্তম’। আয়োজনের দায়িত্বে থাকছেন মালবিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্ভাব্য অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, লিলি চক্রবর্তী, অপর্ণা সেনের মতো বিশিষ্টরা।

চমক ওয়েস্টার্ন লুকে অপুর

চমক ওয়েস্টার্ন লুকে অপুর ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম সফল এবং জনপ্রিয় নায়িকা অপু বিশ্বাস। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা উপহার দিয়ে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন দর্শকদের মনে। তবে কেবল রূপালি পর্দায় নয়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বেশ সক্রিয় এই অভিনেত্রী। নিয়মিত বিরতিতে নতুন নতুন লুকে হাজির হয়ে তাক লাগিয়ে দেন ভক্ত-অনুরাগীদের। সম্প্রতি ওয়েস্টার্ন-ফিউশন ফরমাল আউটফিটে ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন তিনি। তার শেয়ার করা একগুচ্ছ ছবিতে দেখা যায়, পরনে শুভ্র সাদা রঙের একটি স্টাইলিশ কোট। কানের দুল আর গলার নেকলেসে ফুটে উঠেছে আধুনিক ও আভিজাত্যের ছাপ। ক্যাপশনে অপু লিখেছেন, ‘তুমি যেমনটা পেতে চাও, নিজেকে ঠিক তেমনভাবেই গড়ে তোলো।’ এদিকে অপুকে গ্ল্যামারাস লুকে দেখে আপ্লুত নেটিজেনরা। মুহূর্তেই ছবির কমেন্ট বক্স ভরে ওঠে প্রশংসায়। অপুর রূপের লাবণ্য আর চোখের মোহময় চাহনি নজর কেড়েছেন। একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘অসাধারণ ছবিগুলো, কারো নজর যেন না লাগে মাশাআল্লাহ আপু।’ আরেক ভক্ত নিজের আবেগ প্রকাশ করে লিখেছেন, ‘আমার হৃদয়ের আয়নাতে শুধু তোমাকেই দেখি। প্রসঙ্গত, অপু বিশ্বাস ‘কোটি টাকার কাবিন’ দিয়ে ২০০৬ সালের পরিচিত পান। এর আগে ‘কাল সকালে’ সিনেমায় পার্শ্ব চরিত্র দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু হয় তার। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। এরপর শাকিব খানের সঙ্গে জুটি বেঁধে নিয়মিত হোন অপু বিশ্বাস।

সবাইকে মুগ্ধ করবো গানে গানে

সবাইকে মুগ্ধ করবো গানে গানে নন্দিত সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরী, যিনি চার দশকেরও বেশি সময় ধরে সমান জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছেন। নিয়মিত গান গেয়ে যাচ্ছেন, স্টেজ শোতেও গানে গানে দর্শককে মুগ্ধ করে যাচ্ছেন। কয়েক মাস বিরতির পর তিনি এরই মধ্যে আবারও কানাডায় গেছেন একটি স্টেজ শোতে সংগীত পরিবেশন করার জন্য। কানাডার ‘জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব টরন্টো’র আহ্বানে তাদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে কানাডার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সংগীত পরিবেশন করবেন সামিনা চৌধুরী। সুদূর কানাডা থেকে বিয়ষটি নিশ্চিত করেছেন সামিনা চৌধুরী। সেখানে সংগীত পরিবেশন শেষে আগামীকাল ২৩ ডিসেম্বর তিনি ঢাকায় ফিরবেন। ঢাকায় ফিরেও বেশ কয়েকটি স্টেজ শোতে সংগীত পরিবেশন করবেন গুণী এই সংগীতশিল্পী। এদিকে কানাডা যাওয়ার আগে বিটিভিতে বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রচারিত ‘অক্ষয় ইতিহাস’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে আরেক গুণী সংগীতশিল্পী আলম আরা মিনুর সুরে গান গেয়েছেন। গানটি লিখেছেন অধরা জাহান। কানাডা সফর ও বিটিভিতে গান গাওয়া প্রসঙ্গে সামিনা চৌধুরী বলেন, ‘সেই ১৯৯৩ সালে প্রথম কানাডায় স্টেজ শোতে গাইতে আসি। এরপর আরও অনেকবার কানাডায় স্টেজ শোতে সংগীত পরিবেশন করতে এসেছিলাম। এবার জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুব চৌধুরী রনি ভাইসহ অ্যাসোসিয়েশনের সবার নিমন্ত্রণে তাদের অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করতে এসেছি। আশা করছি আজকের আয়োজন সব মিলিয়ে ভীষণ সুন্দর হবে এবং আমিও গানে গানে সবাইকে মুগ্ধ করব। আরেকটি কথা না বললেই নয়, মিনু তো সত্যিই অনেক সুন্দর সুর করে। তার সুরের জ্ঞানকে আমাদের কাজে লাগানো উচিত। মূলত তাকে সাহস দিতেই তারই সুরে গানটি গেয়েছি আমি। আমার ভীষণ ভালো লাগে যখন দেখি আমাদের নারী শিল্পীরাও গানের সুর সৃষ্টি করছেন। এটি সত্যিই অনেক অনেক ভালো লাগার বিষয়। আধরা জাহানও একজন গীতিকবি হিসেবে খুব ভালো কাজ করছে। তার জন্যও দোয়া রইল। এদিকে চলতি বছরের শুরুর দিকে কানাডাতেই সামিনা চৌধুরীর সংগীতজীবনের চার দশক উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যাতে সামিনা চৌধুরীকে যথাযথভাবে সম্মান প্রদর্শন করা হয়।

 ছোট ছিলাম, বাচ্চা ছিলাম

 ছোট ছিলাম, বাচ্চা ছিলাম একসময় ছোট ও বড় পর্দার পরিচিত মুখ ছিলেন আফসান আরা বিন্দু। নিয়মিত অভিনয়, আলোচনায় থাকা জুটি আর দর্শকের ভালোবাসা সব ছেড়ে দীর্ঘদিন ছিলেন আড়ালে। প্রায় এক দশক পর হঠাৎ একটি পডকাস্টে এসে নিজের ক্যারিয়ার, বিরতি এবং ব্যক্তিগত জীবনের নানা অজানা অধ্যায় নিয়ে খোলামেলা কথা বললেন এই অভিনেত্রী। ২০০৬ সালে ‘লাক্স–চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন আফসান আরা বিন্দু। সৌন্দর্য ও সাবলীল অভিনয়ের কারণে অল্প সময়েই দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। শুরুর দিকেই তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। এরপর ‘পিরিতের আগুন জ্বলে দ্বিগুণ’, ‘জাগো’ ও ‘এই তো প্রেম’–এর মতো ছবিতে কাজ করে বড় পর্দায় নিজের অবস্থান শক্ত করেন। ‘এই তো প্রেম’ সিনেমায় সুপারস্টার শাকিব খানের বিপরীতে তার অভিনয় তখন বেশ আলোচনায় ছিল। একই সময়ে টিভি নাটকেও নিয়মিত কাজ করে ছোট পর্দায়ও জনপ্রিয়তা পান তিনি। একাধিক নাটকে আরেফিন শুভর সঙ্গে বিন্দুর জুটি দর্শকের কাছে আলাদা গ্রহণযোগ্যতা পায়। পর্দার রসায়নের পাশাপাশি একসময় তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও গুঞ্জন ছড়ায়। কাজের সময় পারস্পরিক বোঝাপড়া ও অভিনয়ের স্বাভাবিকতা দর্শকের মনে জায়গা করে নেয়। তবে ২০১৪ সালের পর হঠাৎ করেই আড়ালে চলে যান বিন্দু। অভিনয় তো বটেই, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছিলেন প্রায় অনুপস্থিত। প্রায় এক দশক পর ২০২৩ সালে ‘উনিশ২০’ নামের একটি ওয়েব ফিল্মে আবারও আরেফিন শুভর সঙ্গে জুটিবদ্ধ হয়ে পর্দায় ফেরেন তিনি। ওয়েব ফিল্মটি দর্শকের প্রশংসা পেলেও এরপর আবারও নীরবতায় ফিরে যান বিন্দু। এই দীর্ঘ বিরতির পর প্রথমবারের মতো পডকাস্টে অতিথি হয়ে কথা বলেন তিনি। মাছরাঙা টেলিভিশন ও রেডিও দিনরাত ৯৩.৬ এফএমের যৌথ আয়োজনে ‘বিহাইন্ড দ্য ফেইম উইথ আরআরকে’ অনুষ্ঠানে নিজের অভিনয়জীবন, বিরতি এবং ব্যক্তিগত নানা প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বিন্দু। আরেফিন শুভর সঙ্গে পর্দার রসায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পর্দায় তার সঙ্গে আমার রসায়ন সত্যিই খুব ভালো। এটা এসেছে আমাদের দুজনের ভালো বোঝাপড়া থেকে।’ শুভসহ যাঁদের সঙ্গে কাজ করেছেন, সবাই সহযোগিতাপূর্ণ ছিলেন বলেও জানান তিনি। দর্শকের এই পছন্দ ‘উনিশ২০’–তেও স্পষ্ট হয়েছে বলে তার ধারণা। প্রেমের গুঞ্জন ভাঙার প্রসঙ্গে সঞ্চালকের প্রশ্নে কিছুটা ইতস্তত হয়ে বিন্দু বলেন, ‘ছোট ছিলাম, বাচ্চা ছিলাম বিপজ্জনক প্রশ্ন!’ পরে যোগ করেন, ‘কেন সম্পর্ক ভেঙে গেল এর উত্তর আমার কাছেও নেই। দুটো মানুষের পথচলা যে একই জায়গায় শেষ হতেই হবে, এমন কোনো কথা নেই। আমরা তখন কাজ নিয়েই এতটা ডুবে ছিলাম যে এর বাইরে কিছু ভাবার সুযোগই হয়নি। ভবিষ্যতে আবার আরেফিন শুভর সঙ্গে কাজ করবেন কি না এ প্রশ্নে বিন্দু স্পষ্ট করে জানান, সুযোগ এলে তার আগ্রহ আছে। পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে আবারও একসঙ্গে কাজ করতে চান তিনি। দীর্ঘ নীরবতার পর এই খোলামেলা উপস্থিতি নতুন করে আলোচনায় এনেছে আফসান আরা বিন্দুকে। নিয়মিত অভিনয়ে তিনি ফিরবেন কি না সে অপেক্ষায় এখন দর্শক।

‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’বক্স অফিসে কত আয় করল

‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’বক্স অফিসে কত আয় করল বিশ্বজুড়ে সিনেমা হলের পর্দা কাঁপাতে শুরু করেছে জেমস ক্যামেরনের বহুল প্রতিক্ষীত সিনেমা ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। সিরিজের তৃতীয় এই কিস্তিটি মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই বক্স অফিসে আধিপত্য বিস্তার করেছে। যদিও উৎসবের কারণে ভ্রমণের ধুম ও পারিবারিক অনুষ্ঠানের ভিড়ে সিনেমাটির আয় পূর্বাভাস থেকে কিছুটা কম হয়েছে, তবুও এর ব্যবসায়িক সাফল্য নিয়ে কোনো সংশয় নেই বিশ্লেষকদের। টুয়েন্টিয়েথ সেঞ্চুরি স্টুডিওজের তথ্যমতে, ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’ উত্তর আমেরিকার বাজারে মুক্তির প্রথম তিন দিনে প্রায় ৮৮ মিলিয়ন ডলার আয় করতে যাচ্ছে। শনিবার এক দিনেই সিনেমাটি ঘরে তুলেছে ২৮ মিলিয়ন ডলার। যদিও আগের কিস্তি ‘অ্যাভাটার: দ্য ওয়ে অফ ওয়াটার’-এর তুলনায় এর শুরুটা কিছুটা ধীর, তবে আন্তর্জাতিক বাজারে সিনেমাটির দাপট চোখে পড়ার মতো। বিশ্বজুড়ে সব মিলিয়ে সিনেমাটির প্রথম সপ্তাহের আয় ৩৪০ থেকে ৩৫০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে চীনে বক্স অফিস চার্টে সিনেমাটি এখনও শীর্ষে রয়েছে, যেখানে এর আয় এখন পর্যন্ত ৫২ মিলিয়ন ডলার। সিনেমাটিতে এবার দর্শকদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছে না’ভিদের নতুন ও ভয়ংকর গোত্র ‘অ্যাশ পিপল’-এর সাথে। সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া থাকলেও সাধারণ দর্শকরা সিনেমাটিকে লুফে নিয়েছেন। দর্শকদের জরিপে এটি ‘এ’ সিনেমা স্কোর পেয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক থেকে জেমস ক্যামেরন আবারও নিজেকে ছাড়িয়ে গেছেন বলে মনে করছেন দর্শকরা। ভিএফএক্স এবং ভিজ্যুয়াল ইফেক্টের প্রশংসা ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এদিকে বক্স অফিসে ‘অ্যাভাটার’-এর রাজত্ব থাকলেও চমক দেখিয়েছে অ্যাঞ্জেল স্টুডিওজের অ্যানিমেশন সিনেমা ‘ডেভিড’। ২১ মিলিয়ন ডলার আয় করে এটি স্টুডিওটির ইতিহাসে সেরা উদ্বোধনী আয়ের রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া লাইন্সগেটের ‘দ্য হাউজমেড’ ১৯ মিলিয়ন এবং প্যারামাউন্টের ‘স্পঞ্জবব মুভি’ ১৭ মিলিয়ন ডলার আয় করে লড়াইয়ে টিকে আছে।