নতুন সব গান নিয়ে আসছেন জেনস সুমন

নতুন সব গান নিয়ে আসছেন জেনস সুমন একটা চাদর হবে’ গান দিয়ে নব্বইয়ের দশকে শ্রোতাদের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন সংগীতশিল্পী জেনস সুমন। দীর্ঘ ১৬ বছরের বিরতির পর গেল বছর নতুন গান নিয়ে ফেরেন তিনি। প্রকাশিত হয় তার কণ্ঠে ‘আসমান জমিন’। এরপর থেকে নিয়মিত গান প্রকাশ করছেন এ শিল্পী। সম্প্রতি সুমনের গাওয়া নতুন ও পুরোনো সাতটি গান নিয়ে জি সিরিজ প্রকাশ করেছে একটি অডিও জুকবক্স। এতে রয়েছে ‘আসমান জমিন’, ‘যদি ভাবো তুমি’, ‘সুস্মিতা’সহ পাঁচটি নতুন গান ও দুটি পুরোনো গান। জেনস সুমন বলেন, ‘আগে একসঙ্গে অ্যালবাম প্রকাশ হতো। এখন একেকটা গান আলাদা আলাদা বের হয়, যা অনেকের কাছে খুঁজে পাওয়া কঠিন। তাই এক জায়গায় গানগুলো শোনার সুবিধার জন্যই জুকবক্স প্রকাশ করা হলো। অডিওর পর এবার ভিডিও জুকবক্সের প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। আগামী মাসে গান জানালা ইউটিউব চ্যানেল থেকে প্রকাশ হবে এই জুকবক্স। সেখানে ইতিমধ্যে তিনটি গান প্রকাশিত হয়েছে। আরও একটি নতুন গান যোগ করে সেটি প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। ফেরার অনুভূতি নিয়ে সুমন বলেন, ‘এটা আমার কাছে যেন পুনর্জন্ম। আবার নতুন করে গান শুরু করতে পেরে মনে হচ্ছে আমি একেবারে নতুন শিল্পী। সংগীতচর্চায় যা যা দরকার চেষ্টা করছি সবকিছু করার। বর্তমান প্রজন্মের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে চান এ শিল্পী। তিনি জানান, ‘আমরা নব্বইয়ের দশকের শিল্পী। তাই আমাদের গানে সে সময়ের ছাপ থাকে। এরপরও তরুণদের চাহিদা মাথায় রেখে চেষ্টা করছি টেকনো, আরএনবি, হিপহপ ঘরানায় কাজ করার। এরই মধ্যে চারটি গান তৈরি হয়েছে। তিনি জানান, তার গান দুটি প্রকাশ করবে জি সিরিজ। অন্য দুটি আসবে গান জানালা থেকে।

হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন?

হানিয়া কেন ঢাকায় আসছেন? জনপ্রিয় পাকিস্তানি অভিনেত্রী হানিয়া আমির ঢাকায় আসছেন। ‘মুক পেয়ার হুয়া থা’, ‘মেরে হামসাফার’, ‘আনা’, ‘দিলরুবা এর মতো জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করে খ্যাতি পান করেন। তার খ্যাতি কেবল পাকিস্তানেই নয়, ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও অসংখ্য ভক্তের মন জয় করেছেন হানিয়া। ফলে তার আগমনের খবরে উচ্ছ্বসিত ভক্ত-অনুরাগীরা। হানিয়া আমিরের ঢাকা সফর নিয়ে অন্তর্জালে চর্চা চলছে। প্রশ্ন উঠেছে, তার ঢাকা সফর নিয়ে। সব সংশয় দূর করে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভিডিও বার্তায় হানিয়া আমির বলেন, “হাই বাংলাদেশ, আমি হানিয়া। আমি সানসিল্কের সঙ্গে ঢাকায় আসছি। অনেক মজা হবে, সঙ্গে ছোট্ট একটা সারপ্রাইজ থাকছে। পাকিস্তানে সানসিল্কের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে কাজ করছেন হানিয়া আমির। সানসিল্কের আয়োজনেই তার বাংলাদেশ সফর। আয়োজকেরা জানিয়েছেন, সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির নতুন ব্ল্যাক শাইন ফর্মুলা এসেছে। এর প্রচারণার অংশ হিসেবে হানিয়ার বাংলাদেশ সফর। সফরকালে বেশ কয়েকটি ইভেন্টে অংশ নেবেন হানিয়া। ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করেন হানিয়া আমির। ২০১৬ সালে ‘জানান’ সিনেমার মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর তার প্রাণবন্ত ব্যক্তিত্ব, আকর্ষণীয় চেহারা এবং অসাধারণ ফ্যাশন সেন্সের কারণে খুব দ্রুতই তরুণ প্রজন্মের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। বর্তমানে পাকিস্তানের অন্যতম সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত এবং সর্বাধিক অনুসরণীয় তারকাদের একজন হানিয়া। চলতি বছর ‘সর্দারজি থ্রি’ সিনেমার মাধ্যমে ভারতীয় চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটেছে হানিয়ার। গত ২৭ জুন মুক্তি পায় পাঞ্জাবি ভাষার এই সিনেমা। এই সিনেমায় নূর চরিত্র অভিনয় করে দুই দেশে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছেন হানিয়া। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন দিলজিৎ।

বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির

বাংলাদেশে আসছেন হানিয়া আমির পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির। তিনি কমেডি চলচ্চিত্র ‘জানান’ এর মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর নিজের অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। এরপর টেলিভিশন নাটক ‘ফির ওহি মহব্বতে’ অভিনয় শুরু করেন। এই নাটকগুলোর জন্য তিনি ‘হাম অ্যাওয়ার্ড ফর বেস্ট টেলিভিশন সেনসেশন ফিমেল’ পুরস্কার লাভ করেন। পাশাপাশি আমির বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্র ‘পারওয়াজ হ্যায় জুনুন’ এবং পাঞ্জাবি কমেডি চলচ্চিত্র ‘সর্দারজি ৩’ -এর মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করেন। অভিনয়ের পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও বেশ সরব রয়েছেন। এর মাধ্যমে সে দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের দর্শকদের মাঝেও ব্যাপর জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। যেখানে ফানি ভিডিও থেকে শুরু করে নান্দনিক ছবি শেয়ার করে থাকেন। হানিয়ার ইনস্ট্রাগামে ভক্ত-অনুরাগীর সংখ্যা ১৮.৮ মিলিয়ন। তরুণ প্রজন্মের কাছে একাধারে স্টাইল আইকন ও অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে পরিচিত। ১৯৯৭ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে জন্মগ্রহণ করা এ অভিনেত্রী খুব অল্প সময়েই তিনি প্রাণবন্ত অভিনয় ও উচ্ছ্বল ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে দর্শকদের মনে স্থান করে নেন। তিনি জনপ্রিয় নাটক ‘তেরে বিন’ -এ মীরাব চরিত্রে অভিনয় করে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও ‘পিয়ার কে সাদকে’, ‘ইনকার’ এবং ‘দিল না উমীদ তো নয়ি’ -এর মতো নাটকে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

পরিবারে শোকের ছায়া ‘পিছে তো দেখো’ খ্যাত শিশু তারকা আহমাদের

পরিবারে শোকের ছায়া ‘পিছে তো দেখো’ খ্যাত পাকিস্তানের শিশু তারকা আহমাদের পিছে তো দেখো, পিছে দেখো’-এই এক সংলাপের মাধ্যমে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া পাকিস্তানের জনপ্রিয় শিশু তারকা আহমাদ শাহর ছোট ভাই উমর শাহ মারা গেছে। গতকাল আহমেদ শাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। ক্ষুদে তারকা আহমাদ ভাই হারানোর বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে জানায়। সে এক পোস্টে লিখেছে, ‘সবাইকে অবগতির জন্য জানানো হচ্ছে যে, ‘আমাদের পরিবারের ছোট্ট নক্ষত্র উমর শাহ মহান আল্লাহর কাছে ফিরে গেছে (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। সবার কাছে বিনীত অনুরোধ, আপনারা তাকে স্মরণ করবেন এবং আমাদের পরিবারকে প্রার্থনায় রাখবেন। আহমাদ শাহর ‘পিছে তো দেখো’ ভাইরাল ভিডিওর মাধ্যমে রাতারাতি তারকা বনে যায় তাদের পুরো পরিবার। তার ছোট ভাই উমর শাহ ও আবু বকরও পরে তার সঙ্গে যোগ দেয় এবং তারা একসঙ্গে ভক্তমহলে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সিয়াসাতের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, উমর শাহর মৃত্যু পরিবারটির জন্য দ্বিতীয় ক্ষতি। গত বছরই আহমাদের বোন আয়েশাও মারা যান। পরিবারটি এখনো সেই শোক কাটিয়ে উঠার আগেই আরেক সদস্য উমর শাহ মারা গেল। জানা গেছে, উমর শাহ হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। সে বমি করেছিল এবং তা ফুসফুসে প্রবেশ করে। প্রসঙ্গত, আহমাদ শাহ সুন্দর আচরণের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে মিম সেনসেশন হয়ে উঠেছিল। পরবর্তী সময় ‘এআরওয়াই ডিজিটাল শো’ এবং ‘জিতো পাকিস্তান’-এ অভিনয় করে। উমরের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে ভক্ত এবং অন্য তারকারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন।

তৌসিফ ও তিশা স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন

তৌসিফ ও তিশা স্টেপ ফুটওয়্যারের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড স্টেপ ফুটওয়্যার গতকাল (১৪ সেপ্টেম্বর, শনিবার) রাজধানীর ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে এক বর্ণাঢ্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করেছে তাদের বিশেষ ‘Signature Event’। অনুষ্ঠানে দেশের দুই জনপ্রিয় তারকা অভিনেতা ও মডেল তৌসিফ মাহবুব এবং তানজিন তিশা আনুষ্ঠানিকভাবে স্টেপ ফুটওয়্যার-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তিবদ্ধ হন। স্টেপ ফুটওয়্যারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির। এই উদ্যোগ ব্র্যান্ডটিকে এই প্রজন্মের সাথে আরও দৃঢ় এবং ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করবে। অনুষ্ঠানে স্টেপ ফুটওয়্যার উন্মোচন করেছে তাদের দশটি নতুন ও আকর্ষণীয় পণ্য, যা ফ্যাশন ও আরামের জগতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে প্রত্যাশা করা হয়। অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির। স্টেপ ফুটওয়্যার-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জনপ্রিয় অভিনেতা।

হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন মাহিকা শর্মা

হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন মাহিকা শর্মা ভারতের জাতীয় দলের ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মডেল মাহিকা শর্মার। বিষয়টি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে। যদিও সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তারা। তবে গুঞ্জন ঘিরে কৌতূহল যখন তুঙ্গে তখনই প্রশ্ন উঠেছে কে এই মাহিকা শর্মা? সম্প্রতি একটি পোস্টে হার্দিক ও মাহিকার কয়েকটি ছবি প্রকাশ পায়, যেখানে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, দু’জন একে অপরকে ইনস্টাগ্রামে ফলো করেছেন- এমন প্রমাণও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। একই সময়ে তাদের দু’জনকে আলাদা আলাদা পোস্টে এক ধরনের বাথরোব পরা অবস্থায় ছবিও শেয়ার করতে দেখা যায়। তাদের প্রেমের গুঞ্জন আরও বাড়িয়ে দেয় এশিয়া কাপের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে দুবাইয়ের স্টেডিয়ামে মাহিকার উপস্থিতি। মাহিকা শর্মা একজন তরুণ মডেল ও অভিনেত্রী। তিনি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সক্রিয়। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি নেভি চিলড্রেন স্কুল, নয়াদিল্লিতে পড়াশোনা করেন। এরপর ২০১৮ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গুজরাটের পণ্ডিত দীনদয়াল পেট্রোলিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি ও ফাইন্যান্সে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এর মাঝেই ২০২০-২০২১ সালে এক বছর যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিউনিটি সাইকোলজি পড়েছেন। ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদনে জানা যায়, মাহিকা শর্মা কয়েকটি ছবিতে ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে অরল্যান্ডো ভন আইন্সিডেলের ‘ইনটু দ্য ডাক’ এবং ওমং কুমারের ‘পিএম নরেন্দ্র মোদি’ সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়া ভিভো ও ইউনেক্লো-এর মতো বড় ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে কাজ করেছেন মাহিকা। ফ্যাশন দুনিয়ায় তিনি ভারতের খ্যাতনামা ডিজাইনার অনিতা ডোংরে, রিতু কুমার, তরুণ তাহিলিয়ানি, মণীশ মালহোত্রা ও অমিত আগরওয়ালের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২০ সালে নাতাশা স্তানকোভিচকে বিয়ে করেছিলেন হার্দিক। ২০২৩ সালে তাদের ঘরে আসে পুত্রসন্তান। তবে ২০২৪ সালেই দাম্পত্যজীবন ভেঙে যায়। এরপরই হার্দিকের সঙ্গে জেসমিন ওয়ালিয়ার প্রেমের খবর ছড়ায়। তাদের একসঙ্গে ছুটি কাটাতে দেখা গিয়েছিল, জেসমিনকে নিয়মিত মাঠেও দেখা যেত। কিন্তু কয়েক মাস পরেই ভেঙে যায় সেই সম্পর্কও। এবার হার্দিকের সঙ্গে নাম জড়ালো মাহিকার।

হিট নায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন

হিট নায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন হিট নায়িকা হয়েও থাকতেন বস্তিতে। করুণ একটা জীবন যাপন করেছেন তিনি। অবশেষে সাঙ্গ হলো সেই জীবনের ঘানি টানা। ঢাকাই সিনেমার নব্বইয়ের দশকের চিত্রনায়িকা বনশ্রী মারা গেছেন। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর সকাল মাদারীপুর জেলার শিবচড় উপজেলা সাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যবরণ করেন। তিনি জানান, চিত্রনায়িকা বনশ্রী বেশকিছু অসুখে ভুগছিলেন। আজ তিনি মারা গেছেন। আজই বাদ আসর তাকে মাদারীপুর দাফন করা হবে। সনি রহমান বলেন, ‘বনশ্রী আপার ভাইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি উনি গত পাঁচদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার হৃদরোগ, কিডনির সমস্যাসহ একাধিক ব্যাধি ছিল। তিনি চলে যাওয়ার আগে অনেক কষ্ট করেছেন। এক সন্তান রেখে গেছেন। তার রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।তিনি জানান, আজ বাদ আসর শিবচর পৌরসভা গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। শিবচরের মাদবরের চর ইউনিয়নের মেয়ে বনশ্রী। ইউনিয়নের শিকদারকান্দি গ্রামে জন্ম তার। বাবা মজিবুর রহমান মজনু শিকদার ও মা সবুরজান রিনার দুই মেয়ে ও এক ছেলের মধ্যে বনশ্রী বড়। সাত বছর বয়সে পরিবারের সঙ্গে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমা দিয়ে রুপালি পর্দায় অভিষেক ঘটে বনশ্রীর। নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনের বিপরীতে ছবিটি ব্যবসা সফল হয়। পরিচিতি পান বনশ্রী। এরপর আরও গোটা দশেক সিনেমায় অভিনয় করেন। নায়ক মান্না, আমিন খান, রুবেলের বিপরীতেও নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন বনশ্রী। রুপালি পর্দার মতো জীবনও হয়ে ওঠে আলো ঝলমল। তবে খুব বেশিদিন সেই সুখ সয়নি বনশ্রীর কপালে। ১৯৯০-এর শেষে বনশ্রীর আলো-ঝলমল জীবনে ঘটল ছন্দপতন-ছিটকে গেলেন চলচ্চিত্রজগৎ থেকে। এরপর একে একে হারালেন বিত্ত-বৈভব। ঠাঁই হলো বস্তিতে। একসময় তার কাছ থেকে ছিনতাই হলো মেয়ে শ্রাবন্তী। অর্থের অভাবে ছোট ছেলেটিকে রাখলেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের সংস্থায়। শহুরে জীবনের নানা চড়াই-উৎরাই শেষে তিনি ফিরে এসেছেন নিজ এলাকা মাদারীপুরের শিবচর উপজেলায়। নানান জায়গায় ঘুরে অবশেষে ঠাঁই মিলেছে আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘরে। ছেলে মেহেদী হাসান রোমিওকে নিয়ে থাকছেন সেখানেই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া ২০ লাখ টাকার সুদ দিয়ে চলছে তার সংসার।

মারা গেছেন সংগীতশিল্পী দীপ 

মারা গেছেন সংগীতশিল্পী দীপ  র‍াস্টফ ব্যান্ডের ভোকাল আহরার মাসুদ মারা গেছেন। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ভক্তদের কাছে দীপ নামে পরিচিত ছিলেন আহরার মাসুদ। আজ সকাল ৮টায় ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। তবে এ শিল্পীর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। রাস্টফ ব্যান্ডের ফেসবুক পেজে দীপের মৃত্যুর খবর জানিয়ে লেখা হয়, “এমন এক বেদনাদায়ক মুহূর্তে সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়া বা কোনো শব্দ খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। প্রিয় ভোকালিস্ট, বন্ধু ও সহযাত্রী আহারার ‘দীপ’ মাসুদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের স্তম্ভিত করেছে। আমরা শোকে ভেঙে পড়েছি, এখনো অবিশ্বাসের ভেতর ডুবে আছি। গত রাতেই তিনি আমাদের ছেড়ে চিরবিদায় নিয়েছেন। দীপের শূন্যতা ব্যাখ্যা করে লেখা হয়, “তার পরিবার, বন্ধু ও প্রিয়জনদের প্রতি আমাদের অন্তরের সমবেদনা ও প্রার্থনা। আপনাদের মতো আমরাও এই অপূরণীয় ক্ষতি বোঝার চেষ্টা করছি, চেষ্টা করছি দীপের অসাধারণ প্রতিভাকে সম্মান জানাতে এবং তার চেয়েও বড় কথা—মানুষ হিসেবে তিনি আমাদের কাছে যে অমূল্য ছিলেন, তাকে স্মরণ করতে। এই কঠিন সময়ে সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে পরিবার ও কাছের মানুষদের ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন এবং তার আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করুন। শান্তিতে ঘুমাও, দীপ। তোমার শূন্যতা চিরকাল বেদনাময় হয়ে থাকবে।তরুণদের কাছে জনপ্রিয় আরেকটি ব্যান্ড পাওয়ারসার্চও দীপের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে। ব্যান্ডের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে লেখা হয়েছে, “স্মরণ করছি আহরার মাসুদ দীপকে। কিছুক্ষণ আগে আমরা হারিয়েছি আমাদের প্রিয় ভাই, ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং এক সত্যিকারের শিল্পীকে। এক্লিপস, কার্ল, ক্যালিপসো ও সবশেষ রাস্টফ ব্যান্ডের অবিস্মরণীয় কণ্ঠ আহরার মাসুদ দীপ আমাদের মাঝে আর নেই। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। পাওয়ারসার্চ আরো লেখেন, “আহরার মাসুদ দীপ শুধু একজন ভোকালিস্টই ছিলেন না, তিনি ছিলেন শক্তি, সৃজনশীলতা আর আবেগের প্রতীক, যিনি তার চারপাশের সবাইকে অনুপ্রাণিত করেছেন; একই সাথে তার অত্যন্ত নমনীয় ব্যবহার, যা সবাইকে তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষীই করে ফেলত! শান্তিতে থাকো ভাই, তুমি সব সময় আমাদের গল্পের অংশ হয়ে থাকবে।

রোজা শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন

রোজা শাড়িতে মুগ্ধতা ছড়ালেন দেশের শোবিজ অঙ্গনের অন্যতম গ্ল্যামার গার্ল জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের পত্নী রোজা আহমেদ। নিজের স্টাইল দিয়ে আবারও চলে এলেন আলোচনায়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সরব তিনি। নিয়মিত ব্যক্তিগত বিষয় শেয়ার করেন ভক্তদের সঙ্গে। এবার রঙিন শাড়িতে ছবি দিয়ে ভক্তদের নজর কাড়লেন এই মেকওভার আর্টিস্ট। এর আগে তাহসান পত্নীকে ওয়েস্টার্নে কিংবা টপসে, কখনো ট্রাডিশনাল স্যালোয়ারে বা গাউনে দেখা গেছে। শাড়িতেও ধরা দিয়েছিলেন এই সুন্দরী। তবে বিয়ের শাড়িতেই দেখা মিলেছিল প্রথম। এবার ভিন্নভাবে, আকর্ষণীয় লুকে শাড়িতে দেখা গেল তাকে। রোজা আহমেদ প্রায়ই ভক্তদের মাঝে তার স্টাইলিশ লুক শেয়ার করে থাকেন। এর ধারাবাহিকতায় রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে দুটি নতুন ছবিতে নিজেকে ধরা দিলেন তিনি। ছবিতে দেখা গেছে, হালকা ধাঁচের একটি হলুদ শিফন শাড়িতে নিজেকে সাজিয়েছেন রোজা। শাড়িটির মূল জমিন হলুদাভ হলেও এতে রয়েছে গোলাপি ও অন্যান্য শৈল্পিক ছোঁয়া, যা এটিকে একটি নান্দনিক রূপ দিয়েছে। এর সঙ্গে মিলিয়ে পরেছেন একটি উজ্জ্বল হলুদ রঙের ভি-নেক ব্লাউজ। সাজে রেখেছেন স্নিগ্ধতার ছোঁয়া; স্মোকি চোখ আর ন্যুড লিপস্টিকে হয়ে ওঠেন আকর্ষণীয়। সঙ্গে খোলা চুলে তার সৌন্দর্য যেন আরও বেড়ে গেছে বহুগুণ। দুটি ছবির একটিতে এক হাত চুলে দিয়ে আনমনা ভঙ্গিতে পোজ দিয়েছেন রোজা, অন্যটিতে মৃদু হাসিতে তাকিয়ে আছেন অন্যদিকে। রঙিন শাড়িতে তার এই মোহনীয় রূপ আর মনোমুগ্ধকর চাহনি ভক্তদের মন যে রাঙিয়ে দিয়েছেন, তা বলা বাহুল্য। ছবি দুটি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তা সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। ভক্তরা শুধু তার রূপের প্রশংসা করছেন। একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘সত্যিকারের সৌন্দর্য’।আরেকজন মন্তব্য করেছেন, ‘আপনাকে পরীর মতো লাগছে।’ কেউ কেউ তার রঙিন শাড়ির সৌন্দর্যেরও আলাদা করে প্রশংসা করেছেন। চলতি বছর দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খানের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর মূলত আলোচনায় আসেন রোজা আহমেদ। ব্যক্তিগত জীবন ও পেশাগত সাফল্যের পাশাপাশি রোজার শিক্ষাগত অর্জনও সমানভাবে প্রশংসনীয়। নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে কসমেটোলজিতে পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন তিনি। কসমেটোলজি লাইসেন্স অর্জনের পর নিউইয়র্কের কুইন্সে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘রোজাস ব্রাইডাল মেকওভার’। তার এই উদ্যোগ স্থানীয়ভাবে যেমন জনপ্রিয়, তেমনি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত।

অভিনেতা সিদ্দিক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন

অভিনেতা সিদ্দিক পুলিশকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গুলশানে ফার্নিচার দোকানের কর্মচারী পারভেজ বেপারী হত্যা মামলায় গত ৩ সেপ্টেম্বর অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রোববার ১৪ সেপ্টেম্বর তিন দিনের রিমান্ড শেষে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করা হয়। এ সময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার এসআই সামিউল ইসলাম তার আবেদনে উল্লেখ করেন, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদকালে সিদ্দিকুর রহমান ওই হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। এ তথ্য যাচাই বাছাই করছে পুলিশ। সোমবার ১৫ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান অভিনেতা সিদ্দিকুরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামি সিদ্দিককে পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে জেল হাজতে আটক রাখা একান্ত প্রয়োজন। গত ২৯ এপ্রিল বেইলি রোড দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক সিদ্দিককে আটক করেন। মারধর করে রমনা মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয় তাকে। এরপর তাকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করে রমনা মডেল থানা পুলিশ।