বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্ট জিতেছে তাসকিন বললেন
বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্ট জিতেছে তাসকিন বললেন কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ এই মাঠে ২১২ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। এবার উইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৮৭ রানের। তবে টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঘুর্ণিতে উইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮৫ রানে। বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্ট জিতেছে ১০১ রানে। ২০০৯ সালের পর প্রথম অর্থাৎ ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ম্যান অব দা সিরিজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে দু’জনকে। তবে একটি ট্রফি তো আর দু’জনকে ভাগ করে দেওয়া যায় না। জেডেন সিলস সৌজন্য দেখিয়ে তাসকিন আহমেদকে বললেন ট্রফি রেখে দিতে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাতে বেজায় খুশি। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগে দুই দফায় সিরিজ-সেরা হয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতেও হয়েছেন একবার। টেস্টেই কেবল শূন্যতা ছিল। এবার সেটিও হয়ে গেল। প্রথম টেস্টের তো দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিংয়ে ছয় উইকেট শিকার করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার পান ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ। ম্যাচে পান আট উইকেট। জ্যামাইকায় এত উইকেট পাননি। তবে তিনটি উইকেট নিয়ে দলের দারুণ জয়ে ভূমিকা রাখেন ঠিকই। সঙ্গে প্রাপ্তি সিরিজ সেরার পুরস্কার। পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশের সিরিজ ড্র করতে পারা এবং সেখানে সিরিজ-সেরা হয়ে তাসকিনের খুশি ছুঁতে চাইল আকাশ। তিনি বলেন, “এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দল ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে আমরা মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং আল্লাহতায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ হিসেবে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগে থেকেই চোট তার নিত্য সঙ্গী। এখনও তিনি বেশ চোটপ্রবণ। অনেকবার পুনবার্সনের কষ্টদায়ক ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়য় তাকে যেতে হয়েছে। সবশেষ এই কাঁধের চোট কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতেও অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, “আশা করি, মেনি মোর টু কাম। কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে (অবস্থা)। আশা করছি এমন আরও অর্জন হবে সামনে। তাসকিন আরও বলেন, “আমি খুবই খুশি। যদিও কাজটা সহজ ছিল না। কাঁধের অবস্থা বাজে ছিল। স্রষ্টার কৃপায় এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি এখন ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে। আশা করি, মেনি মোর টু কাম।
বাংলাদেশ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নতুন মুখ আমির
বাংলাদেশ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে নতুন মুখ আমির বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সবশেষ ইংল্যান্ড সিরিজের দল থেকে দুটি পরিবর্তন এনেছে তারা। দলে নতুন মুখ হিসেবে আছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার আমির জাঙ্গো। এছাড়া ডাক পেয়েছেন জাস্টিন গ্রিভস। দুজনই ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেয়েছেন। সুপার ফিফটি ওডিআইতে ৭ ইনিংসে ৮৯.২০ গড়ে সর্বোচ্চ ৪৪৬ রান করেন আমির। তালিকার ঠিক পরেই আছেন গ্রিভস। পাঁচ ইনিংসে ১৩৩.৬৬ গড়ে ৪০১ রান করেন এই অলরাউন্ডার। তাদের দুজনকে জায়গা দিতে সরে দাঁড়াতে হয়েছে হেইডেন ওয়ালশ জুনিয়র ও জুয়েল অ্যান্ড্রুকে।
বোলারদের পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাওয়াশ আয়ারল্যান্ড
বোলারদের পারফরম্যান্সের পর ব্যাটিং দৃঢ়তায় বাংলাওয়াশ আয়ারল্যান্ড বোলারদের দারুণ পারফরম্যান্সের পর শারমিন আক্তার সুপ্তা ও ফারজানা হকের ব্যাটিং দৃঢ়তায় আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয়ে নিয়ে মাঠ ছাড়ল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। এ জয়ের ফলে ওয়ানডে সিরিজ ৩-০ ব্যবধানে আইরিশদের হোয়াইটওয়াশ করেছে লাল-সবুজের দল। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে আজ টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নামা সফরকারীরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে বকটি উইকেট হারিয়ে ১৮৫ রানেই থেমে যায়। জবাবে বাঘিনীরা ১২.৩ ওভার হাতে রেখেই ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়। তাতেই নিশ্চিত হয়ে যায় অতিথিদের বাংলাওয়াশ। আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজটি ছিল উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ। সব ম্যাচ জেতায় পাকিস্তানকে টপকে এক ধাপ উপরে উঠে বাংলাদেশ ১৯ পয়েন্ট নিয়ে এখন টেবিলের ৭ নম্বরে আছে। পরের সিরিজটি আগামী জানুয়ারিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাঠে।
অস্ট্রেলিয়ার ইয়ান রেডপাথ ক্রিকেটার না ফেরার দেশে
অস্ট্রেলিয়ার ইয়ান রেডপাথ ক্রিকেটার না ফেরার দেশে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড তার দখলে। তবে মারকুটে ছিলেন কোনোকালেই। তার ব্যাটিং ছিল ধৈর্য্যের অন্যতম প্রতীক। দুই দশক অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার মাতিয়ে রাখা সাবেক ওপেনার ইয়ান রেডপাথ না ফেরার দেশে চলে গেছেন। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। ষাট ও সত্তর দশকে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ওপেনিংয়ের চেনা মুখ ছিলেন রেডপাথ। ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৫ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬ টেস্ট ও ৫ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি ইয়ান ও গ্রেগ চ্যাপেলের সময়ে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী অধিনায়কও ছিলেন। রেডপাথ অস্ট্রেলিয়ার সবশেষ অপেশাদার ক্রিকেটার। তিনি অস্ট্রেলিয়া রুলস ফুটবল দলের হয়ে খেলেন বলে ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ক্রিকেট থেকে ম্যাচ ফি নিতেন না। ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানিয়েছে, তিনিই অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলে খেলা সর্বশেষ অপেশাদার ক্রিকেটার। টেস্ট অভিষেকে তিনি সেঞ্চুরির খুব কাছে গিয়েও থেমেছেন, করেছিলেন ৯৭ রান। সেঞ্চুরি পেতে লেগেছে পাঁচ বছর। ১৯৬৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিডনি টেস্টে পেয়েছেন প্রথম সেঞ্চুরি। যদিও পরের ৭ বছরে সেঞ্চুরি করেছেন আরো ৭টি। টেস্ট ক্যারিয়ারে করেন ৪৭৩৪ রান। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এক ওভারে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি এখন পর্যন্ত তারই। ১৯৬৯-৭০ মৌসুমে অরেঞ্জ ফ্রি স্টেটের নিল রোসেনডর্ফের এক ওভারে ৪ ছক্কা ২ চারে ৩২ রান নিয়েছিলেন তিনি। ২০২৩ সালে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে জায়গা পান তিনি। রেডপাথের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। তাদের চেয়ারম্যান মাইক বেয়ার্ড বলেছেন, “ইয়ান সবার ভালোবাসার এবং সম্মানের মানুষ, তার মৃত্যুতে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সবাই গভীর শোকাহত। ইয়ান ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের সেরা সময়ের চমৎকার ওপেনিং ব্যাটার।
জয় শাহ ৩৬ বছর বয়সেই আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে
জয় শাহ ৩৬ বছর বয়সেই আইসিসি চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ঘোষণা এসেছিল আগেই। তবে আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয় শাহকে। ধারণা করা হচ্ছিল, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সমস্যার কারণে মসনদে বসছেন না তিনি। কিন্তু সেটি মিথ্যা প্রমাণিত হলো। আজ আনুষ্ঠানিকভাবে মাত্র ৩৬ বছর বয়সেই আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব শুরু করেছেন জয় শাহ। আজ এক বিবৃতিতে জয় শাহকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। এর আগে গত আগস্টে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আইসিসির স্বাধীন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন জয় শাহ। আইসিসি বোর্ডের মনোনীত একমাত্র প্রার্থী ছিলেন জয় শাহ। তাই আনুষ্ঠানিক নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। ২০১৯ সালের অক্টোবর মাস থেকে বিসিসিআই সচিবের দায়িত্ব পালন করছেন জয় শাহ। তাছাড়া ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) প্রধানও তিনি। এবার দায়িত্ব শুরু করতে যাচ্ছেন আইসিসি প্রধান হিসেবে। আজ থেকেই দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। জয় শাহ আইসিসির সর্বকনিষ্ঠ চেয়ারম্যান। এছাড়া পঞ্চম ভারতীয় হিসেবে আইসিসির প্রধান হয়েছেন তিনি। তার আগে এই দায়িত্ব পালন করেছেন জাগমোহন ডালমিয়া, শারাদ পাওয়ার, এন শ্রিনিবাসন ও শাশাঙ্ক মানোহার। আইসিসির চেয়ারম্যান হয়ে জয় শাহ জানালেন নারী ক্রিকেটের দিকে বেশি নজর দেওয়ার কথা। এছাড়া ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক গেমসেও নজর রাখার কথা জানান তিনি। জয় শাহ বলেন, ‘আমি আইসিসির চেয়ারম্যান হিসেবে বসতে পেরে গর্বিত এবং আইসিসির কর্মকর্তাদের কাছে কৃতজ্ঞ আমার উপর ভরসা রাখার জন্য। এটা ক্রিকেটের জন্য দারুণ সময় কারণ আমরা ২০২৮ সালে অলিম্পিকের জন্য তৈরি হচ্ছি। ফলে বিশ্বে আরও বেশি করে সমর্থক আমাদের সঙ্গে যোগ দেবে। নারী ক্রিকেট নিয়ে জয় শাহ বলেন, ‘মেয়েদের ক্রিকেটের উন্নতিতে আমাদের আরও গতি বাড়াতে হবে। বিশ্বমঞ্চে ক্রিকেটের সেই ক্ষমতা আছে। আইসিসি টিম ও সদস্য দেশগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি।
খেলবেন তামিম ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে
খেলবেন তামিম ভারতের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে জাতীয় দল থেকে এখন অনেকটাই দূরে তামিম ইকবাল। কবে নাগাদ ফিরবেন, তাও অজানা। তবে ক্রিকেটের সঙ্গেই থাকছেন এই ডানহাতি ওপেনার। এবার ভারতের লক্ষ্ণৌ ভিত্তিক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টে নাম লিখিয়েছেন তিনি। বিগ ক্রিকেট লিগ (বিসিএল) নামে ওই টুর্নামেন্টের ড্রাফট হয়েছে। যেখানে তামিমকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭ লাখ ৮৯ হাজার টাকা) কিনেছে এমপি টাইগার্স। এই দলে তামিম সতীর্থ হিসেবে পাচ্ছেন দিলশান মুনাবিরা, নামান ওঝা, স্টুয়ার্ট বিনি, অমিত মিশ্রকে। বিসিএলে খেলবে ছয়টি ফ্র্যাঞ্চাইজি। এমপি টাইগার্স বাদে বাকি পাঁচ দল হলো- সাউদার্ন স্পার্টান্স, রাজস্থান রেগালস, নর্দার্ন চ্যালেঞ্জার্স, ইউপি ব্রিজ স্টার্স ও মুম্বাই মেরিনস। টুর্নামেন্ট কবে নাগাদ মাঠে গড়াবে, তা এখনো জানা যায়নি। এই টুর্নামেন্টে খেলার কথা রয়েছে- ইরফান পাঠান, সুরেশ রায়না, শেখর ধাওয়ান, তিলকারত্নে দিলশান, হার্শেল গিবদ, লেন্ডল সিমন্সের মতো সাবেক তারকা ক্রিকেটাররা। প্রসঙ্গত তামিম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে আছেন প্রায় ১৫ মাস ধরে। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল) ও বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছেন তিনি। এমনকি ২০২৪ সালে তার নেতৃত্বেই বিপিএলের শিরোপা জেতে ফরচুন বরিশাল। নতুন আসরেও একই দলের হয়ে খেলবেন তিনি। তার আগে এনসিএল টি-টোয়েন্টি দিয়ে তামিমের ফেরার কথা রয়েছে।
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা-৩৬’ উন্মোচন
বিপিএলের মাসকট ‘ডানা-৩৬’ উন্মোচন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) একাদশ আসর শুরু হতে যাচ্ছে আগামী ৩০ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে আজ বিশেষ এক আয়োজনে বিপিএলের মাসকট ‘ডানা-৩৬’ উন্মোচন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। „ মাসকট উন্মোচনের অনুষ্ঠানটি ছিল যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের উৎসব ২০২৫’-এর অংশ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আরও ছিলেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, এবং বিসিবির অন্যান্য কর্মকর্তারা। এই আয়োজন পরিণত হলো যেন সাবেক এবং বর্তমান ক্রিকেটারদের মিলনমেলায়। বাংলাদেশ জাতীয় দলের বর্তমান অধিনায়ক নাজমুল শান্ত থেকে শুরু করে সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম। তাদের সবাইকে দেখা গেছে খোশ গল্পে মেতে উঠতে। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নারী ক্রিকেট দলের সদস্যরাও। ‘ডানা-৩৬’ নামক মাসকটটি সাম্প্রতিক ছাত্র-নাগরিক আন্দোলন এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে ডিজাইন করা হয়েছে। এই মাসকটটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার চেতনা এবং ক্রীড়ামোদীদের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার প্রতীক হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে। এই পায়রার মাসকটটিকে স্বাধীনতার চেতনার সাথে মেলবন্ধন ঘটানোর জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা খেলাধুলার একটি অপরিহার্য অংশ এবং ক্রিকেট সংস্কৃতিরও একটি মূল প্রতিপাদ্য বিষয়। পায়রাকে শান্তি এবং স্থিতিস্থাপকতার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়, যা একটি জাতির শক্তি এবং ঐক্যকে প্রতিফলিত করে। আগামী ২৩ ডিসেম্বর মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। একই ধরনের অনুষ্ঠান ২৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে এবং ২৭ ডিসেম্বর সিলেট জেলা স্টেডিয়ামেও আয়োজন করা হবে বিপিএলের একাদশ আসর শুরু হবে ৩০ ডিসেম্বর এবং চলবে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের টুর্নামেন্টে অংশ নেবে সাতটি দল- ঢাকা ক্যাপিটালস, চিটাগং কিংস, দুর্বার রাজশাহী, ফরচুন বরিশাল, খুলনা টাইগার্স, রংপুর রাইডার্স, এবং সিলেট স্ট্রাইকার্স।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় বাংলাদেশের প্রথম ওয়ানডেতে রেকর্ড গড়ে জিতেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও আইরিশদের পাত্তা দিলো না নারী দল। মিরপুর শেরে বাংলায় ৫ উইকেট আর ৩৭ বল হাতে রেখে সফরকারী দলকে হারিয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজ এক ম্যাচ বাকি থাকতেই নিজেদের করে নিয়েছে স্বাগতিকরা। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে একই ভেন্যুতে ২ ডিসেম্বর। শেরে বাংলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিল আয়ারল্যান্ড নারী দল। কিন্তু সুলতানা খাতুন, স্বর্ণা আক্তারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৬ উইকেটে ১৯৩ রানেই আটকে যায় আইরিশদের ইনিংস। অধিনায়ক অ্যামি হান্টার ৮৮ বল খেলে ৮ বাউন্ডারিতে ৬৮ রান করেন। ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট ৩৭ এবং লরা ডেলানি খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। বাংলাদেশের সুলতানা খাতুন ৩২ রানে ২ উইকেট শিকার করেন। নাহিদা আক্তার সমান রান খরচায় নেন একটি উইকেট। ভীষণ মিতব্যয়ী ছিলেন স্বর্ণা আক্তার। ৪ ওভারে মাত্র ৬ রান দিয়ে একটি উইকেট তুলে নেন তিনি। ১৯৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ওপেনার ফারজানা হকের ৫০ (৮৯ বলে), শারমিন আক্তারের ৪৩ (৬৩), অধিনায়ক নিগার সুলতানার ৩৯ বলে ৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস এবং শেষদিকে স্বর্ণা আক্তারের ২৯ বলে অপরাজিত ২৯ রানের ইনিংসে সহজ জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
আয়ারল্যান্ডকে বেশিদূর যেতে দিলো না বাংলাদেশ
আয়ারল্যান্ডকে বেশিদূর যেতে দিলো না বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিততে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের খুব বেশি চ্যালেঞ্জ নিতে হচ্ছে না। বোলাররা লক্ষ্য নাগালে রেখেছেন। ব্যাটিং করতে নেমে আয়ারল্যান্ড ৫০ ওভার ৬ উইকেটে ১৯৩ রান করেছে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় আইসিসি ওমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের আরো ২ পয়েন্ট নিশ্চিত করার বড় সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। প্রথম ম্যাচ জিতে আয়ারল্যান্ডকে চাপে রেখেছিল বাংলাদেশ। অতিথিরা সিরিজ বাঁচাতে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে বড় স্কোরের কথা বলেছিলেন। কিন্তু ব্যাটিং সেভাবে হয়নি বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে। বোলাররা খুব বেশি উইকেট নিতে না পারলেও চাপে রেখেছিলেন। তাতে আয়ারল্যান্ডের স্কোর বেশিদূর যায়নি। আয়ারল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেছেন অ্যামি হান্টার। তিনে নেমে ৮৮ বলে ৮ চারে ইনিংসটি খেলেন। এছাড়া ওরলা প্রেডাগোনিস্ট ৩৭ এবং লওড়া ডেনলি ৩৩ রান করেন। শেষ দিকে উনা রেমোন্ডহেয়র ২১ রানে আয়ারল্যান্ড দুইশর কাছাকাছি স্কোর করে। বাংলাদেশের সফল বোলার স্পিনার সুলতানা খাতুন। ৩২ রানে ২ উইকেট নেন তিনি। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন নাহিদা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তার। দুই দল অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা প্রথম ওয়ানডেতে ২৫২ করে ম্যাচ জিতেছিল অনায়াসে। আজকের লক্ষ্যটা একেবারেই নাগালে। এক ম্যাচ হাতে রেখে বাংলাদেশ সিরিজ জিততে পারে কিনা সেটাই দেখার।
এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের দাপুটে জয়ে
এশিয়া কাপ শুরু বাংলাদেশের দাপুটে জয়ে জয়ে দিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ মিশন শুরু করেছে বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট হাতে সেঞ্চুরির দেখা পান অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম। এরপর বোলারদের নৈপুণ্যে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৪৫ রানে হারিয়েছে যুবা টাইগাররা। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। দলের পক্ষে আজিজুল তামিম করেন সর্বোচ্চ ১৩৩ বলে ১০৩ রান। এছাড়া কালাম সিদ্দিকি করেন ১১০ বলে ৬৬ রান। আফগানদের পক্ষে আব্দুল আজিজ, নুরিস্তানি ওমরজাই ও খাতির স্টানিকজাই নেন ২টি করে উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানে উইকেট হারায় আফগানিস্তান। ১৯ বলে ৮ রান করে আউট হন উজাইরুল্লাহ নিজাই। এরপর মাহবুব খান ও ফয়সাল খান মিলে শুরু ধাক্কা সামাল দেন। ৪৫ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৬৬ রানে ৫৩ বলে ১৬ রান করে ফিরে যান মাহবুব। তবে ক্রিজে আসা নাসির খানকে সঙ্গে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখেন ফয়সাল। ৫০ রানের জুটি গড়েন তারা। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি তুলে নেন ফয়সাল। তবে দলীয় ১১৬ রানে ৫৮ বলে ৫৮ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। তার বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আফগানিস্তান। ৬০ বলে ৩৪ রান করে আউট হন নাসির খান। এরপর আর কোনো ব্যাটার সুবিধা করতে পারেননি। ইকবাল হোসেন ইমন ও আল ফাহাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৭ ওভার ৫ বলে ১৮৩ রানে অলআউট হয় আফগানরা। ইকবাল ও ফাহাদ নেন ৩টি করে উইকেট।