পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে ‘অজুহাত’ মানতে নারাজ বাংলাদেশ

পাকিস্তানের উইকেট নিয়ে ‘অজুহাত’ মানতে নারাজ বাংলাদেশ অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক মানের নয়। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের কোচ মাইক হেসনের পর্যবেক্ষণ এটি। রোববার প্রথম টি-টোয়েন্টি হারের পর হেসন সংবাদ সম্মেলনে এসে উইকেট নিয়ে কড়া মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি ব্যাটিংয়ে নিজেদের ব্যর্থতাও স্বীকার করেছেন। তবে প্রথম ম্যাচে হারের পেছনে হেসনের কাঠগড়ায় ‘উইকেটই’। ম্যাচে দু্যতি ছড়িয়ে একমাত্র ফিফটি তোলা বাংলাদেশের পারভেজ হোসেন ইমন অবশ্য উইকেটে কোনো দোষ খুঁজে পাননি। বরং পাকিস্তানের কোচের অজুহাতকে উড়িয়ে দিয়েছেন। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে পারভেজ হোসেন বলেছেন, ‘‘নাহ, এমন কিছু মনে হয়নি (গ্রহণযোগ্য নয়)। আমরা ১১০ রান করছি ১৬ ওভারে। আমরা যদি ২০ ওভারও খেলতাম ১৬০ রান করতে পারতাম। তো আমার কাছে এমন কিছু মনে হয়নি। হতে পারে ওরা মানিয়ে নিতে পারিনি, আমরা মানিয়ে নিতে চেষ্টা করছি।’’ উইকেট নিয়ে পারভেজের মূল্যায়ন এরকম, ‘‘বোলারদের জন্য মিরপুরের উইকেটে একটু বেনিফিট থাকে এটা স্বাভাবিক জিনিস।’’পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা যেখানে ধীর গতির স্পিনিং উইকেটে খাবি খেয়েছে সেখানে পারভেজ বোলারদের তুলোধুনো করেছেন অনায়েসে। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত এই ক্রিকেটার নিজের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ৩৯ বলে ৫৬ রান করেন ৩ চার ও ৫ ছক্কায়। পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ তুলনামূলক সহজ কিনা জানতে চাইলে বলেছেন,‘‘ভালো করলে সবকিছুই সহজ মনে হয়। না, ওরাও আন্তর্জাতিক খেলছে। ওদেরও অনেক অভিজ্ঞ বোলার আছে।’’ পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯ বছর পর টি-টোয়েন্টিতে জিতেছে বাংলাদেশ। লম্বা সময় পর জয়ে পরাজয়ের গেরো ছুটিয়েছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা সিরিজে পাওয়া আত্মবিশ্বাসই এখানে কাজে লেগেছে বলে বিশ্বাস পারভেজের, ‘‘এমন কোনো আলোচনা হয়নি (৯ বছর পর জয়)। শেষ সিরিজটা ভালো খেলে এসেছি শ্রীলঙ্কা থেকে। সবাই চেষ্টা করছি আত্মবিশ্বাসটা বাড়িয়ে নিতে। সেখানেই আসলে খেলেছি।’’ আগামীকাল একই মাঠে বাংলাদেশের সিরিজ জয়ের মিশন। গত মে-জুনে পাকিস্তানে গিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ। এবার কী বদলা নিতে পারবে বাংলাদেশ?
মিচেল ওয়েনের জাদুকরী অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয়

মিচেল ওয়েনের জাদুকরী অভিষেকে অস্ট্রেলিয়ার দাপুটে জয় একটি অভিষেক কতটা স্বপ্নময় হতে পারে, সেটাই যেন প্রমাণ করে দিলেন মিচেল ওয়েন। ক্যারিবিয়ান সাগরের গর্জনের মাঝেই ব্যাটে-বলে নিজেকে মেলে ধরলেন এই অজি ক্রিকেটার। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৭ বল হাতে রেখেই হারিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে নিলেন হাতে। জ্যামাইকার ঐতিহ্যবাহী স্যাবাইনা পার্কে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৯০ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুটা মোটেও মসৃণ ছিল না অস্ট্রেলিয়ার। ৭৮ রানে হারায় ৪ উইকেট। বিপদে তখন ক্যাঙ্গারুরা। কিন্তু সেখানেই হাল ধরেন অভিষিক্ত ওয়েন ও ক্যামেরন গ্রিন। দুই জনের ব্যাটে উঠে আসে ৮০ রানের ধ্বংসাত্মক জুটি। গ্রিন ২৬ বলে ৫১ রানের ঝড় তুলে ফেরেন। তবে তখনও রানের গতি থামেনি। ওয়েন ছিলেন আরও বিধ্বংসী। মাত্র ২৭ বলে করেন ৫০ রান, যেখানে ছিল ছয়টি ছক্কার মার। টি-টোয়েন্টি অভিষেকে মাত্র তৃতীয় অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে হাফ সেঞ্চুরির কীর্তি গড়লেন তিনি। শেষদিকে বেন ডারশুইস ও শন অ্যাবটের শান্ত নেতৃত্বে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সফরকারীরা। ৩ উইকেটের জয়ে সিরিজে শুভ সূচনা করলো অস্ট্রেলিয়া। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শুরুটা করে দুর্দান্ত। অধিনায়ক শেই হোপ ৫৫ রানে দলকে গতি দেন। পরে রোস্টন চেজ ৬০ ও হেটমায়ার ৩৮ রানের ইনিংস খেলে স্কোরবোর্ডে আনে আতঙ্ক। ১৫ ওভার শেষে যে ইনিংসে ২০০ পেরোনোর সম্ভাবনা ছিল, সেই ইনিংসই থেমে যায় ১৮৯ রানে। কারণ? ডারশুইস নামক ঝড়! ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিবিয়ান মিডল অর্ডারে আঘাত হানেন তিনি। আর শেষ ৫ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ছন্দপতন ঘটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। আন্দ্রে রাসেল, যিনি দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানাবেন, ব্যাট হাতে ছিলেন নিস্প্রভ। মাত্র ৮ রানে থামেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া এখন ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে। তবে এই ম্যাচের কেন্দ্রবিন্দু একটাই, মিচেল ওয়েনের আগমনী বার্তা। যেটি যেন বলে দেয়, অজি ক্রিকেটে এক নতুন নক্ষত্রের উত্থান!
পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ

পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে সর্বশেষ তিন ম্যাচ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের একাদশ থেকে একটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। শরিফুল ইসলামের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। লংকানদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল টাইগাররা। এখন পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ২২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৩টিতে জয় ও ১৯টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), পারভেজ হোসেন, তানজিদ হাসান, জাকের আলি, তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন, রিশাদ হোসেন, মাহেদি হাসান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। পাকিস্তান একাদশ : সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটরক্ষক), হাসান নাওয়াজ, মোহাম্মদ নাওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, সালমান মির্জা ও আবরার আহমেদ।
সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্যে আগামীকাল পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্যে আগামীকাল পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সাফল্য ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে আগামীকাল থেকে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার পর পাকিস্তানের বিপক্ষেও সিরিজ জিততে মরিয়া টাইগাররা। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। সদ্যই শ্রীলংকার মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ ২-১ ব্যবধানে জিতেছে বাংলাদেশ। হার দিয়ে শুরুর পর শেষ দুই ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে লংকানদের বিপক্ষে প্রথমবারের মত সিরিজ জয়ের স্বাদ নেয় টাইগাররা। টি-টোয়েন্টির আগে শ্রীলংকা সফরে ২ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-০ এবং ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ ২-১ ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুই ম্যাচে পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলেছে বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা পারফরমেন্স প্রদর্শন করে সাফল্য আদায় করে নিয়েছে টাইগাররা। কিন্তু সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে পাকিস্তান ভিন্ন দল। টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সাফল্য খুব বেশি নেই।
শিরোপা ধরে রাখতে পারল না রংপুর

শিরোপা ধরে রাখতে পারল না রংপুর টানা তিন জয়ে সবার আগে গ্লোবাল সুপার লিগ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিল রংপুর রাইডার্স। টুর্নামেন্টের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন রংপুর ছিল অপ্রতিরোধ্য। কিন্তু ফাইনালে স্বাগতিক গায়ানা আমাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে তারা পেরে উঠল না। ৩২ রানের জয়ে গায়ানা জিতেছে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় আসরের শিরোপা। কোনো ম্যাচ না হেরে ফাইনালে যাওয়া রংপুর টুর্নামেন্টের শেষ দিনে বাজে সময় কাটাল। রানার্সআপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা দলটিকে। আগে ব্যাটিং করে গায়ানা ৪ উইকেটে ১৯৬ রান করে। জবাবে রংপুর গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। গায়ানার জয়ের নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটার ৩৮ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৬৬ রান করেন।
রাত পোহালে সোহানদের ফাইনাল আগামীকাল

রাত পোহালে সোহানদের ফাইনাল আগামীকাল গায়ানায় চলমান গ্লোবাল সুপার লিগ (জিএসএল) পৌঁছে গেছে শেষ প্রান্তে। শিরোপা ধরে রাখার মিশনে এখন প্রস্তুত ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন রংপুর রাইডার্স। নুরুল হাসান সোহানের নেতৃত্বাধীন দলটি এবারও দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। বাংলাদেশ সময় আগামীকাল ভোর ৫টায় গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে নামবে তারা। এবারের আসরে রংপুর রাইডার্সের অন্যতম চমক ছিল সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা। এই টুর্নামেন্টে সাকিব খেলেছেন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে, কিন্তু সোহান বাহিনীই ছিটকে দেয় সাকিবের দলকে। রংপুর রাইডার্সের স্কোয়াডে রয়েছেন বাংলাদেশের একঝাঁক পরিচিত মুখ। সৌম্য সরকার, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, ইয়াসির আলী চৌধুরী রাব্বি, সাইফ হাসান, রাকিবুল হাসান, খালেদ আহমেদ ও আবু হায়দার রনি। বিদেশি কোটায় আছেন আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান, পাকিস্তানের ইফতিখার আহমেদ, দক্ষিণ আফ্রিকার স্পিনার তাবরাইজ শামসি, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স, যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে খেলা ভারতীয় ক্রিকেটার হারমিত সিং, পাকিস্তানের আকিফ জাভেদ এবং খাওয়াজা নাফি। টুর্নামেন্ট জুড়ে ব্যাট-বলে সমন্বিত পারফরম্যান্সে আলো ছড়ানো রংপুর এখন তাকিয়ে ব্যাক-টু-ব্যাক শিরোপার দিকে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল

টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ঢাকায় পাকিস্তান দল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বুধবার সকালে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম বহর। অধিনায়ক সালমান আলি আগা ছাড়াও ছিলেন ফখর জামান, মোহাম্মদ নওয়াজ, সাইম আয়ুব, আবরার আহমেদ, খুশদিল শাহ ও ফাহিম আশরাফসহ বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফ। করাচি থেকে দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান তারা। দলের বাকি সদস্যদের বিকেলে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে। বাংলাদেশ সফরের আগে করাচিতে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিপক্ষকে নিয়ে যথেষ্ট শ্রদ্ধার কথা বলেন পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান। তার ভাষ্য, ‘বাংলাদেশ যেকোনো কন্ডিশনে ভালো খেলে, নিজেদের মাঠে তো আরও ভয়ংকর। তাদের হোম রেকর্ড ঘাটলেই বোঝা যায়, কত বড় বড় দল এখানে হোঁচট খেয়েছে। আমরা জানি, কাজটা সহজ হবে না। সেই চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখেই প্রস্তুতি নিয়েছি। ’নিজের নেতৃত্ব এবং দায়িত্ব নিয়ে সালমান বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানেই চ্যালেঞ্জ। প্রতিদিনই নতুন কিছু আসবে। জীবন যেমন, ক্যারিয়ারও তেমন ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়েই পথ চলতে হবে। তাই খুব বেশি না ভেবে শুধু খেলার দিকেই মন দিচ্ছি। পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও সুপার জানিয়েছে, বাকি ক্রিকেটাররাও বুধবারের মধ্যেই দলের সঙ্গে ঢাকায় যোগ দেবেন। বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের তিনটি টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই, মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিটি ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সফরে গিয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল বাংলাদেশ দল। এবার ঘরের মাঠে সেই হতাশা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নামবে লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্তরা।
২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের

২৭ রানে অলআউট হয়ে লজ্জার রেকর্ড উইন্ডিজের জ্যামাইকায় দিবা-রাত্রির টেস্টের তৃতীয় দিন বল হাতে আগুন ঝরালেন শততম টেস্ট খেলতে নামা মিচেল স্টার্ক। রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে মাত্র ৯ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং ধসিয়ে দেন অভিজ্ঞ বাঁহাতি এই পেসার। পরে বোল্যান্ড হ্যাটট্রিকে মাত্র ২৭ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস। ২০৪ রানের মাঝারি লক্ষ্য দিয়েও অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ জিতে যায় ১৭৬ রানের ব্যবধানে। টেস্ট ইতিহাসে এর চেয়ে কম রানে অলআউট হওয়ার ঘটনা আছে মাত্র একটি। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে মাত্র ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। প্রায় ৭০ বছর পর অল্পের জন্য সেই রেকর্ডে বসেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের নাম। সেই হিসাবে লজ্জার তালিকায় নিউজিল্যান্ডের পরের স্থানে ঠাঁই পেয়েছে উইন্ডিজ। এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম দুই টেস্ট হেরেছিল যথাক্রমে ১৫৯ ও ১৩৩ রান ব্যবধানে। পেসারদের দাপটের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করেই আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্রে যাত্রা শুরু করল অস্ট্রেলিয়া। জ্যামাইকায় ক্যারিবিয় টপ-অর্ডারে ধস নামিয়ে নিজের প্রথম ১৫ বলেই ৫ উইকেট নিয়ে নেন স্টার্ক। টেস্ট ইতিহাসে এত কম বলে ৫ উইকেট নেওয়ার কীর্তি নেই আর কারও। সব মিলিয়ে ৭.৩ ওভারে ৯ রানে তার শিকার ৬টি। শততম টেস্টে এটিই সেরা বোলিংয়ে রেকর্ড। গোলাপি বলের টেস্টে আগে থেকেই সবার সেরা স্টার্ক। সেই রেকর্ড আরেকটু সমৃদ্ধ করে ২৭ ইনিংসে এখন তার শিকার ৮১ উইকেট। আর কারও ৫০ উইকেটও নেই। ইনিংসে ৫ উইকেট পাঁচবার। আর কারও নেই দুইবারের বেশি। টেস্টে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পাওয়া অস্ট্রেলিয়ার দশম বোলার বোল্যান্ড। নিজ দেশের হয়ে ২০১০ সালে পিটার সিডলের পর তিনিই প্রথম পেলেন হ্যাটট্রিকের দেখা। স্টার্ক ও বোল্যান্ডের তোপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাত ব্যাটসম্যান আউট হন রানের খাতা খোলার আগে। টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো ইনিংসে দেখা গেল এত ব্যাটসম্যানের শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা। আজ ম্যাচের তৃতীয় দিনে উইন্ডিজকে জয়ের জন্য ২০৪ রানের লক্ষ্য দেয় অস্ট্রেলিয়া। ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম ওভারেই তিন উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। মিচেল স্টার্কের সেই ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। ইনিংসের প্রথম এবং নিজের তৃতীয় ওভারে আরও দুই শিকার করেন স্টার্ক। তখন উইন্ডিজের বোর্ডে ৭ রান, নেই ৫ উইকেট। মাত্র ১৫ বলে ৫ উইকেট শিকারে ইতিহাস গড়েছেন স্টার্ক। টেস্টে দ্রুততম ফাইফার এখন এই অজি পেসারের। ১৯ বলে ৫ উইকেট শিকার করে এতদিন রেকর্ডটি ছিল যৌথভাবে- আর্নি টোসাক, স্টুয়ার্ট ব্রড এবং স্কট বোল্যান্ডের। বিশ্বরেকর্ড গড়ে ৪০০ টেস্ট উইকেটের মাইলফলকেও পৌঁছে গেছেন মিচেল স্টার্ক। স্টার্কের ফাইফারের পরের ওভারে আঘাত হানেন জশ হ্যাজলউড। তিনি আউট করেন স্বাগতিক অধিনায়ক রস্তন চেজকে। এরপর ক্ষণিকের জন্য থামে উইকেট বৃষ্টি। তারপর ১৪তম ওভারে বোল্যান্ডের তাণ্ডব। প্রথম তিন বলে তিন উইকেট শিকার করে হ্যাটট্রিক করে বসেন। তখন উইন্ডিজের সংগ্রহ ছিল ২৬ রান। ভাগ্যক্রমে আরেকটি রান পায় উইন্ডিজ। তাই অন্তত নিউজিল্যান্ডের লজ্জা ভাগাভাগি করতে হয়নি। দলীয় ২৭ রানে তাদের দশম উইকেটের পতন ঘটে স্টার্কের গতিতে। ইতিহাস গড়া দিনে ৭.৩ ওভারে ৯ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করে অজি পেসার। উইন্ডিজের সাত ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে।
পরাজয়ের মিছিল পেরিয়ে জয়ের অমৃত স্বাদ

পরাজয়ের মিছিল পেরিয়ে জয়ের অমৃত স্বাদ এতোদিন বাংলাদেশ যা করে এসেছে, আজ তা-ই করলো শ্রীলঙ্কা। যদি এক শব্দে বলতে হয়, শ্রীলঙ্কা এলোমেলো। আর বাংলাদেশ গোছালো। গোছালো সেই পারফরম্যান্সের সুর ধরেই পরাজয়ের মিছিল পেরিয়ে জয়সূর্যর দেখা পেল বাংলাদেশ। ছয় ম্যাচ পর টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ। ক্যান্ডিতে বাংলাদেশ ৮৩ রানে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ এ সমতা ফেরাল। এদিন ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং সবকিছুতেই বাংলাদেশ এ প্লাস। গোল্ডেনও হতে পারত। দুয়েকটি ভুলে হয়েছে। ওগুলো না হলে শ্রীলঙ্কাকে দর্শক বানিয়ে পুরো ম্যাচটিতেই বাংলাদেশের আধিপত্য থাকত। টস হেরে আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ৭ উইকেটে ১৭৭ রান করে। জবাবে শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে যায় ৯৪ রানে। বাংলাদেশের ব্যাটিং ইনিংস ছিল রোলার কোস্টার রাইডের মতো। এই নিচে নামে তো এই উপরে উঠে। পথ হারাতে সময় লাগে না…আবার ছন্দে ফিরতেও সময় নেয় না। ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা একদমই যুৎসই হয়নি। ৭ রানে দুই ওপেনার সাজঘরে। পারভেজ হোসেন ইমন (০) ও তানজিদ হাসান (৫) দ্রুত সাজঘরে ফেরেন। সেখান থেকে বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো শুরু। অফফর্মে থাকা লিটনের সঙ্গী তাওহীদ হৃদয়। শুরুর আক্রমণটা তাওহীদ করেছিলেন। পরে লিটন সব আলো নিজের ওপর নিয়ে নেন। ৫৫ বলে ৬৯ রান যোগ করেন দুজন। ইনিংসের ১২তম ওভারে তাওহীদ ২৫ বলে ৩১ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। মিরাজ এসে টিকতে পারেননি। ২ বলে ১ রান করে একই ওভারে ফেরেন ড্রেসিংরুমে। দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে বাংলাদেশ। কিন্তু শামীম ক্রিজে এসে সেই চাপ গায়ে লাগতে দেননি। প্রতি আক্রমণে গিয়ে রান তুলে ২৭ বরে করেন ৪৭ রান। ৫ চারের সঙ্গে হাঁকান ২ ছক্কা। লিটন ও শামীম পঞ্চম উইকেটে খেলার চিত্র পাল্টে দেন। ৩৯ বলে ৭৭ রান যোগ করেন দুজন। তাতে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে প্রাণ ফিরে পায়। প্রবল চাপে ছিলেন লিটন। রানই পাচ্ছিলেন না। আজ ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছেন। ১২ ইনিংস পর পেয়েছেন ফিফটি। ৫০ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় ৭৬ রান করেন তিনি। শেষ দিকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে কেবল সাইফউদ্দিন যোগ করতে পারেন ৬ রান। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে বিনুরা ফার্নান্দো নেন ৩ উইকেট। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন থুসারা ও থিকসানা। জবাব দিতে নেমে পাওয়ার প্লে’তেই ইউটার্ন শ্রীলঙ্কার। ৩০ রানে তারা হারায় ৪ উইকেট। বাংলাদেশের জন্য ভয়ের কারণ ছিল কুশল মেন্ডিস ও পাথুম নিশাঙ্কার উইকেট। এই জুটি ভাঙে শামীমের থ্রোতে। সরাসরি থ্রোতে শামীম ফেরান মেন্ডিসকে। এরপর শরিফুল ফেরান কুশল পেরেরা ও আভিশকা ফার্নান্দোকে। সাইফ উদ্দিন নেন অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কার উইকেট। ব্যাটসম্যানরা কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। শুরুর সেই ধাক্কা হজমের পর জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দাসুন শানাকা। ৩১ বলে ৪১ রান করেন করেন তারা। কিন্তু মাত্র ৬ বলে ৩ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা আরও বিপদে পড়ে। সেখান থেকে তারা কেউ আর উঠে দাঁড়াতে পারেনি। নিশাঙ্কা ৩২, শানাকা ২০ রান করেন। ১৫.২ ওভারেই শেষ হয়ে যায় লঙ্কানদের ইনিংস। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে রিশাদ ১৮ রানে নেন ৩ উইকেট। ২টি করে উইকেট পেয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও সাইফ উদ্দিন। দলকে বহু প্রত্যাশিত জয় এনে দেওয়ায় ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন লিটন দাস। আগামী ১৬ জুলাই কলম্বোতে হবে সিরিজের শেষ ম্যাচ।
কাজাখস্তানকে ৬-২ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা

কাজাখস্তানকে ৬-২ গোলে হারালো বাংলাদেশের মেয়েরা অনূর্ধ্ব-১৮ উইমেন’স এশিয়া কাপ হকির শেষটা জয়ে রাঙাল বাংলাদেশ। তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাজাখস্তানকে উড়িয়ে বয়সভিত্তিক এই প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে মেয়েরা পেয়েছে ব্রোঞ্জ পদক। চীনের দাঝুতে রোববার স্থান নির্ধারণী ম্যাচে কাজাখস্তানকে ৬-২ গোলে হারায় বাংলাদেশ। টপ-ফোর পুলে নিজেদের শেষ ম্যাচেও কাজাখস্তানের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ম্যাচটি ২-২ ড্র হওয়ায় স্থান নির্ধারণী ম্যাচও তাদের বিপক্ষে খেলতে হয় আইরিন-শারিকাদের। দলের জয়ে হ্যাটট্রিক উপহার দিয়েছেন আইরিন রিয়া। একবার করে জালের দেখা পেয়েছেন শারিকা রিমন, কনা আক্তার ও রাইসা রিশি। শক্তিশালী জাপানের বিপক্ষে ১১-০ গোলে হেরে পুল পর্ব শুরু করে বাংলাদেশ। এরপর উজবেকিস্তান ও হংকংকে হারিয়ে সেরা চারের মঞ্চে ওঠার কীর্তি গড়ে মেয়েরা। টপ-ফোর পুলে অবশ্য বাংলাদেশ দেখাতে পারেনি কোনো চমক। চীনের বিপক্ষে ৯-০ গোলে হারের পর কাজাখস্তানের বিপক্ষে ওই ড্র। একই দিনে ব্রোঞ্জ নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশের ছেলেরা ৫-২ গোলে হেরে যায় মালয়েশিয়ার কাছে।