শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের টানা ছয় জয়
শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে রংপুরের টানা ছয় জয় বিপিএলের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে টানা ছয় জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। দারুণ ফর্মে থাকা উড়ন্ত রংপুরকে ১৯৮ রানের টার্গেট দিয়েছিল আগে ব্যাট করা ফরচুন বরিশাল। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত খেলা উপহার দেয় রংপুর। এলেক্স হেলসকে হারানোর ধাক্কা সামলে দেন রংপুরের ওপেনার তাওফিক খান। তাকে সঙ্গ দেন সাইফ হাসান। ইফতেখার আহমেদ ও খুশদিল শাহর ব্যাটে রংপুরের ভিত্তি আরও মজবুত হয়। তাদের ৯১ রানের জুটি রংপুরকে লক্ষ্যের অনেকটা কাছে পৌঁছে দিলেও খেলার রোমাঞ্চ গড়ায় শেষ ওভারের শেষ বল পর্যন্ত। শেষ দিকে অনেকটা অসম্ভব পরিসংখ্যানকে সম্ভব করেছেন রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। ৭ বলে ৩২ রানে দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে দারুণ ছক্কায় দলকে জেতান সোহান। শেষ ওভারে রংপুরের দরকার ছিল ২৬। বরিশাল বল তুলে দিয়েছিল কাইল মায়ার্সের হাতে। পার্ট টাইম বোলার হলেও ১ ওভারে ২৬ রান নেওয়া যেকোনো ব্যাটারের জন্য কঠিনই বটে। সোহান সেই কঠিন কাজটাই করলেন। তার ব্যাটে ভর করেই ৭ ইউকেট হারিয়ে রংপুর তোলে ২০২ রান। যেখানে জয়ের জন্য দরকার ছিলো ১৯৮ রান।
রংপুরকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দিলো বরিশাল
রংপুরকে ১৯৮ রানের লক্ষ্য দিলো বরিশাল দুই ওপেনার করলেন সাবধানী শুরু। তাদের বিদায়ের পর দলকে টেনে নিলেন কাইল মেয়ার্স ও তাওহীদ হৃদয়।শেষদিকে ফাহিম আশরাফ ঝড়ে বড় সংগ্রহই পেয়েছে বরিশাল। সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের মুখোমুখি হয়েছে রংপুর রাইডার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৭ রান করেছে বরিশাল। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায় রংপুর রাইডার্স। ৬১ বলে ৮১ রানের এই জুটি ভাঙে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার হয়ে নাজমুল হোসেন শান্ত ফিরলে। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ব্যাটার এদিন অবশ্য রান করেন।৩০ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৪১ রান করার পর খুশদিলের হাতে ক্যাচ দেন শান্ত। ওই ওভারের প্রথম বলে শান্তকে আউট করার পর শেষ বলে তামিমকে ফেরান কামরুল রাব্বি। ৪ চার ও ২ ছক্কায় ৩৪ বলে ৪০ রান করে আউট হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন তাওহীদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্স। ৩৫ বলে ৫৯ রানের এই জুটি ভাঙেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ১ চার ও সমান ছক্কায় ২৩ রান করে আউট হন তিনি। ৪ বলে ২ রান করে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এরপরই মেয়ার্সের সঙ্গী হন ফাহিম আশরাফ। উইকেটে এসেই ঝড় তোলেন তিনি। ৬ বলে ২০ রান আসে তার ব্যাট থেকে। শেষ অবধি অপরাজিত থেকে ২৯ বলে ৬১ রান করেন মেয়ার্স।
ফেরার বিষয়ে তামিমকে ‘বন্ধুবান্ধব-পরিবারের’ সঙ্গে কথা বলতে সময় দিয়েছেন নির্বাচকরা
ফেরার বিষয়ে তামিমকে ‘বন্ধুবান্ধব-পরিবারের’ সঙ্গে কথা বলতে সময় দিয়েছেন নির্বাচকরা বিপিএলের অনুশীলনে দলগুলোর ঠিকানা সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম। কিন্তু তাতে বুধবার আগ্রহ একদমই কম। সবার চোখ স্টেডিয়াম থেকে মিনিট দশেক দূরত্বের গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল। এখানেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলার বিষয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন নির্বাচকরা। তামিমের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা ছিল অনেকদিন। তবে তাকে যে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলে চান নির্বাচকরা, তাই স্পষ্ট হয় এই বৈঠকের মাধ্যমে। কিন্তু তামিম কি ফিরবেন? এই প্রশ্নের উত্তর অবশ্য দিতে পারেননি প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। বিকেলে ওই বৈঠকশেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণার শেষ সময় ১২ জানুয়ারি। এজন্য তামিমকে কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। প্রধান নির্বাচক বলেন, ‘আগেই হয়তো তামিমের সঙ্গে আমাদের আরেকটু আলোচনা হতে পারতো। যাই হোক, সামনে আমাদের একটা বড় ইভেন্ট আছে। আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কোনো আলোচনাতেই সঙ্গে সঙ্গে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় না। কারণ এটা অনেক বড় একটা সিদ্ধান্ত। ’ ‘তার ঘনিষ্ঠজন, পরিবার, বন্ধু-বান্ধব অনেক সময়, কিংবা তার প্রিয় কোচ অথবা শুভাকাঙ্ক্ষী তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনার একটা ব্যাপার থাকে। সেক্ষেত্রে একটু সময় নেওয়ার তো ব্যাপার এসেই যায়। আমাদের যেহেতু ১২ জানুয়ারির মধ্যে দল ঘোষণা করতে হবে, তার আগেই আমাদেরকে দলটা দিতে হবে বোর্ডের কাছে। আমাদের কাছে মনে হয়েছে সময় আছে, সে সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিক। তাড়াহুড়োর কিছু নেই। ’ প্রায় দেড় বছর মতো সময় ধরে জাতীয় দলের বাইরে তামিম। কিছুদিন আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে আড্ডায় জানিয়েছিলেন, জাতীয় দল থেকে অবসর নিয়েছেন তিনি। বেশ কিছু সাক্ষাৎকারেও তামিম জানিয়েছিলেন, জাতীয় দলে আর ফেরার আগ্রহ নেই। এখন তামিম কি ওই সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন? এমন প্রশ্নের উত্তরও সরাসরি দেননি প্রধান নির্বাচক। তার চাওয়া, কিছু জানানোর থাকলে সেটা যেন তামিমই জানান। লিপু বলেন, ‘তামিম কী করতে চান, সে ব্যাপারে তিনি আগে থেকেই ভেবে রেখেছেন আমার বিশ্বাস। এত বড় খেলোয়াড়। তারপরও কোন একটা কিছুর ক্ষেত্রে কিছু কিছু সময় সংশয় সৃষ্টি হয় তখন পরিবার থেকে, পরিবারকে কে না সম্মান করে! প্রত্যেকেই করে। কাজেই কোন একটা বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার ক্ষেত্রে পরিবারের কাছ থেকে একটা মতামতের বিষয় খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। ’ ‘আমি যদি স্টেটমেন্ট দেই, এটা একটা ঘোষণার মতো হয়ে যাবে তামিমের পক্ষে। আমি ব্যক্তিগতভাবে চাইবো এ ঘটনাটা, ফেরত আসা অথবা না আসা; আপনারা যে দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন; সেটা তামিম ইকবালের কাছ থেকেই আসুক। তিনি যেহেতু তার পরিবারের কাছ থেকে দূরে আছেন, সিলেটে আছেন, চট্টগ্রামে তার পরিবার থাকে; তো সে কারণেই আমার মনে হয় যে এটা ফেয়ার কল। ’
ফাহমিদা-আফিয়ার ব্যাটে সিরিজ টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ
ফাহমিদা-আফিয়ার ব্যাটে সিরিজ টিকিয়ে রাখল বাংলাদেশ চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম দুটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। কিন্তু তৃতীয় টি-টোয়িন্টিতে জয় পেয়েছে তারা। কলম্বোতে আজ এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কা অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিপক্ষে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দল। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০৯ রান সংগ্রহ করে লঙ্কান মেয়েরা। এই রান ২ বল হাতে রেখে তাড়া করে ফেলে বাংলাদেশ। চার ম্যাচ সিরিজে প্রথম জয় পেল তারা। ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। একই মাঠে আগামী বৃহস্পতিবার শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে দুই দল। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ভালো কোনো জুটি গড়তে পারেনি তারা। তবে শেষদিকে হিরুনি হানসিকা ও শাশিনি গিমহানির ২১ বলে ৩৬ রানের জুটিতে একশ পার করে দলটি। হানসিকা ১৯ বলে ২৪ ও গিমহানি ৭ বলে ১৪ রানের ইনিংস খেলেন। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন আনিসা আক্তার সুবহা। এছাড়া নিশিতা আক্তার, ফাহমিদা, জান্নাতুল মাওয়ারাও দারুণ বোলিং করেন। রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। প্রথম দুই বলেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পরপর ফেরেন মোসাম্মত ঈভা ও সুমাইয়া আক্তার সুবর্ণা। এই চাপ সামলে তৃতীয় উইকেটে ৪৩ রানের জুটি গড়েন সাদিয়া ইসলাম ও ফাহমিদা ছোঁয়া। ২৮ বলে ২৪ রান করে সাদিয়া ফিরলে ভাঙে এ জুটি। তবে লড়তে থাকেন ফাহমিদা। ৪২ রান করে ফেরেন তিনি। এরপর ১৩ রান করে সুমাইয়া ফিরলে বাকি কাজটা শেষ করেন ফাহমিদা। ১৮ বলে ২৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন তিনি।
শিবগঞ্জে প্রাইজমানি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চাম্পিয়ন মোবারকপুর ইউনিয়ন
শিবগঞ্জে প্রাইজমানি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চাম্পিয়ন মোবারকপুর ইউনিয়ন শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর প্রিমিয়ার লীগ প্রাইজমানি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে আইয়ান ও আরাফাত ক্রিকেট ক্লাব আয়োজিত শ্যামপুর ইউনিয়ন কাউন্সিল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় কানসাট ইউনিয়ন ক্রিকেট দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় মোবারকপুর ইউনিয়ন ক্রিকেট দল। অনুষ্ঠানে শ্যামপুর স্পোর্টিং ক্লাবের সভাপতি ডা. রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আবু তালেব। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক হায়দারী মাহমুদ মিঞা ও বিশিষ্ট সমাজসেবক নাইমুল ইসলাম অন্যরা। খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলের মাঝে ট্রফি তুলে দেয়া হয়।
তামিম ঝড়ে ডুবল রাজশাহী
তামিম ঝড়ে ডুবল রাজশাহী হাসান মুরাদকে লং অনে উড়িয়ে বাউন্ডারি পার করলেন তামিম ইকবাল। এক লাফে স্কোর ১৬৩ থেকে ১৬৯! গেম ওভার। দেশসেরার ওপেনারের ঝড়ো ইনিংসে ভর করে হাসি ফেরে ফরচুন বরিশাল শিবিরে। দুর্বার রাজশাহীকে উড়িয়ে এক ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেলো ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (৬ জানুয়ারি) টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬৮ রান করে রাজশাহী। তাড়া করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে বরিশাল। তৃতীয় ম্যাচে এটি বরিশালের দ্বিতীয় জয়। অন্যদিকে এক ম্যাচ বেশি খেলে রাজশাহীর এটি তৃতীয় হার। দুবারই হেরেছে বরিশালের কাছে। মাত্র ৪৮ বলে ৮৬ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তামিম। ১১টি চার ও ৩টি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান বরিশাল অধিনায়ক। ফিফটির দেখা পান ২৮ বলে। চলতি আসরের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটি পেলেন এই তারকা ক্রিকেটার। তামিমের হাতে ওঠে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তামিমের সঙ্গে ৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিকুর রহিম। ২৪ বলে এই রান করেন অভিজ্ঞ এই ব্যাটার। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪৫ বলে ৭৬ রান। তাওহীদ হৃদয় ১৪ বলে ১৩ রানে ফিরলে তামিম-মুশফিকের জুটি শুরু হয়। শুরু থেকে এক প্রান্ত আগলে রাখেন তামিম। সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে নামা প্রীতম কুমার ৯ বলে ৩ রান করে ফেরেন শুরুতে। ক্রিজে এসে ঝড়ো ব্যাটিংয়ের আভাস দিলেও ১১ বলে ২৪ রানে থামে কাইল মায়ার্সের ইনিংস। হৃদয়ও সঙ্গ দিতে পারেননি তামিমকে। বাকি কাজটা তামিম সারেন মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে। রাজশাহীর হয়ে দুই উইকেট নেন মোহর শেখ। এর আগে পাওয়ার প্লেতে ৬০ রান তোলার পরও বরিশালকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে পারেনি রাজশাহী। নির্ধারিত ওভার শেষে ১৬৯ রানের লক্ষ্য দিতে পারে তারা। শেষে আকবর আলী ৯ বলে ১৫ ও রায়ান বার্ল ১১ বলে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন। জিসান আলম-মোহাম্মদ হারিসের ওপেনিং জুটি থেকে আসে ৩০ রান। ১৬ বলে ২২ রানে হারিস আউট হলে ভাঙে জুটি। এরপর জিসানের সঙ্গী হন এনামুল হক বিজয়। দুজনে ৫৫ রানের জুটি গড়ে এগোতে থাকেন। জিসান ২৭ বলে ৩৮ রান করেন। অন্য প্রান্তে এনামুল ব্যাটিং করেন ধীরগতিতে। জিসান আউট হলে ইয়াসির আলী এসে ঝড়ো ব্যাটিং করেন। ২৩ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। এনামুল ক্রিজে থাকলেও সুবিধা করতে পারেননি। ৩৫ বলে ৩৯ রান করে ১৯তম ওভারে ফেরেন সাজঘরে। তার এমন ব্যাটিংয়ে চাপে পড়ে দল। এরপর আকবর-বার্ল ইনিংস শেষ করে আসেন। বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন শাহীন শাহ আফ্রিদি। ১টি করে উইকেট নেন তানভীর ইসলাম ও ফাহিম আশরাফ।
দ. আফ্রিকায় হোয়াইটওয়াশে বাংলাদেশের নিচে পাকিস্তান
দ.আফ্রিকায় হোয়াইট ওয়াশে বাংলাদেশের নিচে পাকিস্তান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল আগেভাগেই নিশ্চিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবুও কেপটাউনে নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখল প্রোটিয়ারা। পাকিস্তানকে পাত্তা না দিয়ে ১০ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে তারা। প্রথম ইনিংসে ফলোঅনের পর দ্বিতীয় ইনিংসে দারুণ লড়াই করলেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি পাকিস্তান। তাতে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট টেবিলে বাংলাদেশের নিচে চলে গেছে তারা। ১২ ম্যাচে পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জয় ৪টি করে। দুুই দলই ম্যাচ হেরেছে ৮টি করে। ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে রয়েছে পাকিস্তান। ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সাতে। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া। লর্ডসে খেলা হবে ১১ জুন থেকে ১৫ জুন। দক্ষিণ আফ্রিকার করা ৬১৫ রানের জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৯৪ রান করতে পারে। ফলোঅনে পড়ে দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান ঘুরে দাঁড়িয়ে ৪৭৮ রান করে। তাতে কিছুটা মান রক্ষা হয় তাদের। দক্ষিণ আফ্রিকাকে তারা ৫৮ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়। জবাব দিতে নেমে মাত্র ৭.১ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে দক্ষিন আফ্রিকা। ডেভিড বেডিংহ্যাম ৪৭ ও আইডেন মার্করাম ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪৫ রান করেন অধিনায়ক শান মাসুদ। আগের দিন সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন বাঁহাতি ওপেনার। আজ শুরুটা ভালো হলেও বেশিদূর যেতে পারেননি। ৩৭১ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ১৭ চারে সাজান ইনিংসটি। এছাড়া ভালো শুরুর পর ইনিংস বড় করতে পারেননি রিজওয়ান (৪১) ও সালমান আগা (৩৪)। এছাড়া ছোট ছোট অবদানে পাকিস্তানের রান ৪৭৮ হয়। দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং ভালো হলেও অতিরিক্ত খাতে ৪৪ রান দিয়েছেন বোলাররা। এই রান না হলে তাদের আবার ব্যাটিংয়ে নামতে হতো কিনা সেটাই প্রশ্নের। বল হাতে ৩টি করে উইকেট পেয়েছেন রাবাদা ও মহারাজ। প্রথম ইনিংসে ২৫৯ রানে করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পেয়েছেন রায়ান রিকেলটন। মার্কো জানসেন ৮০ রান ও ১০ উইকেট নিয়ে প্লেয়ার অব দ্য সিরিজের পুরস্কার পেয়েছেন।
রনি-জাকেরের ফিফটির পর জোন্স-জাকের ঝড়
রনি-জাকেরের ফিফটির পর জোন্স-জাকের ঝড় রংপুর রাইডার্সের ‘ঘরের ছেলে’ বলা যায় রনি তালুকদারকে। এবার সেই ঘরের ছেলেকে অবশ্য তাঁবুতে রাখতে পারেনি তারা। দল পাল্টে রনি এখন সিলেট সিক্সার্সের। মুখোমুখি লড়াইয়ে রনি রংপুরের বিপক্ষে কেমন করে সেটাই ছিল দেখার। হতাশ করেননি সিলেটের ডানহাতি ওপেনার। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে পেয়েছেন ফিফটির স্বাদ। ফিফটি ছুঁয়েছেন সিলেটের আরেক ব্যাটসম্যান জাকির হাসানও। দুজনের ফিফটি ছোঁয়া ইনিংসে সিলেট পায় বড় সংগ্রহের ভিত। সেই ভিতের উপর ভর করে শেষ দিকে ঝড় তোলেন অ্যারোন জোন্স ও জাকের আলী। দুজন মাত্র ১০ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়েন। তাতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৪ উইকেটে ২০৫ রানের পুঁজি পেয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঢাকায় প্রথম পর্ব শেষে বিপিএল এখন চায়ের শহর সিলেটে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রান কেমন হয় সেটাই ছিল দেখার। হতাশ করেননি সিলেটের ব্যাটসম্যানরা। ১০.২৫ স্ট্রাইক রেটে তুলেছেন ২০৫ রান। জোন্স ও জাকেরের স্কোরবোর্ডের চিত্র পাল্টে দেন। প্রথমবারের মতো বিপিএল খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেটার জোন্স ১৯ বলে ৩৮ রান করেন ১ চার ও ৪ ছক্কায়। জাকের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন ছক্কায় মাঠ মাতিয়ে তোলেন। মাত্র ৫ বলে ২০ রান করেন চোখের পলকে। এর আগে রনি ৩২ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৪ রান করেন। জাকির ৪ ছক্কায় ৩৮ বলে করেন ৫০ রান। দুজনের কেউই ফিফটির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। তবে আসল কাজটা করে দেন। এছাড়া ওপেনার জর্জ মুনসে ১২ বলে ১৮ ও পল স্টারলিং ১৬ বলে ১৬ রান তুলে রাখেন অবদান। বল হাতে সাইফ উদ্দিন ৩১ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাহেদী ও আফিফ। বিবর্ণ দিন গেছে নাহিদ রানার। ৪ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
লন্ডন পাঠানো হলো সাইমকে
লন্ডন পাঠানো হলো সাইমকে ইনজুরি আক্রান্ত পাকিস্তানের প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান সাইম আইয়ুবকে জরুরিভিত্তিতে লন্ডন পাঠানো হয়েছে। তার সঙ্গে গিয়েছেন সহকারী কোচ আজহার মাহমুদ। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) তার ইনজুরির ধরন বিবেচনা করে দ্রুত এই সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে করে লন্ডনে তার উন্নত চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি বিশেষজ্ঞা চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়া যায়। ইতোমধ্যে তার এক্স-রে ও এমআরআই রিপোর্ট লন্ডনে পাঠানো হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে (০৩ জানুয়ারি, ২০২৫) ইনজুরিতে পড়েন সাইম। সপ্তম ওভারের সময় দৌড়ে বল ধরতে গিয়ে হাঁটুর ইনজুরিতে পড়েন। যদিও আমের জামাল বাউন্ডারি বাঁচান, কিন্তু সাইমকে জরুরি চিকিৎসা দিতে হয়। পরে স্ট্রেচারে করে তাকে মাঠের বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি আর মাঠে ফিরতে পারেননি। স্ক্যান রিপোর্টে দেখা গেছে তার হাঁটুতে চিড় ধরা পড়েছে। সে কারণে দ্বিতীয় টেস্টে আর খেলা হচ্ছে না তার। সাইমের পরিবর্তে ফিল্ডিংয়ে নামানো হয় আব্দুল্লাহ শফিককে। পিসিবি চেয়ারম্যান মোহসীন নাকভি ব্যক্তিগতভাবে সাইমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তার খোঁজ-খবর নিয়ে বলেছেন, ‘‘সাইম আইয়ুব একজন স্ট্রাইলিশ ও অসাধারণ ব্যাটসম্যান। পাকিস্তান ক্রিকেটের সম্পদ সে। তার চিকিৎসার জন্য যা কিছু করা প্রয়োজন সবই করব আমরা।’’ তিনি আশাবাদী আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই সাইম সুস্থ হয়ে ফিরবেন সাইম, ‘‘আমরা আশা করছি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগেই সাইম পরিপূর্ণরূপে ফিট হয়ে উঠবে। তার ইনজুরিটা যদিও চিন্তার বিষয়, কিন্তু আমরা আশাবাদী ও আত্মবিশ্বাসী যে, লন্ডনে সে বিশ্বমানের চিকিৎসাসেবা পাবে।’’ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে আগামী মাসে নিউ জিল্যান্ডে একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ খেলবে পাকিস্তান। সেটাতে সাইম খেলতে পারবেন কিনা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।
কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের সিলেট পর্ব
কাল থেকে শুরু হচ্ছে বিপিএলের সিলেট পর্ব বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ২০২৫ ঢাকার প্রথমপর্ব শেষে সিলেট পর্ব কাল থেকে শুরু হচ্ছে। এরই মধ্যে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। চার-ছক্কার দেশীয় আসর বিপিএল উপভোগ করতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকেট কিনছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। সোমবার থেকে ছয় দিনে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ১২টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবার সর্বনিম্ন ১৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকায় মাঠে বসে খেলা দেখতে পারবেন দর্শকরা। ছয় দিনের মধ্যে পাঁচ দিনই খেলবে স্বাগতিক সিলেট স্ট্রাইকার্স। ইতোমধ্যে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো সিলেটে পৌঁছে অনুশীলন শুরু করেছে। এখন কেবল ক্রিকেট উন্মাদনায় মেতে ওঠার অপেক্ষায় চায়ের দেশ সিলেট। প্রথমদিন বেলা দেড়টায় স্বাগতিকদের খেলা দিয়ে পর্দা উঠবে সিলেট পর্বের। সিলেট মুখোমুখি হবে রংপুর রাইডার্সের। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় ফরচুন বরিশাল খেলবে দুর্বার রাজশাহীর বিরুদ্ধে। বিপিএলের টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে তিনটি বুথে। এছাড়াও অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে শনিবার বিকেল থেকে। বিপিএলের অনলাইনে টিকেট বিক্রয়ের ওয়েব সাইট https://www.gobcbticket.com.bd থেকে দর্শকেরা অনলাইনের টিকিট কিনতে পারছেন। রোববার সকাল ১০ টা থেকে বুথে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বুথে অবশ্য বিকাল তিনটা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু করা হয়েছে। অন্য দুই বুথ আম্বরখানাস্থ মধুমতি ব্যাংক ও রিকাবীবাজারস্থ শিশু একাডেমি থেকে সকাল ১০টা থেকে টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। চারটি ক্যাটাগরিতে ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে দুই হাজার টাকায় কেনা যাবে টিকেট। শহীদ আবু সাঈদ স্ট্যান্ড, পশ্চিম গ্যালারী ও গ্রিণহিল গ্যালারির টিকেট মিলবে ১৫০ টাকায়। ২৫০ টাকায় মিলবে পূর্ব গ্যালারির টিকেট। ক্লাব হাউজের টিকেটের দাম রাখা হয়েছে ৫০০ টাকা। ৬০০ টাকায় মিলবে জিরো ওয়েস্ট জোনের টিকেট। আর ২ হাজার টাকায় পাওয়া যাবে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের টিকেট। রান না হওয়া নিয়ে অতীতের বিপিএলগুলোর সমালোচনা ছাড়িয়ে এবারের বিপিএলে রীতিমতো রান উৎসব হচ্ছে। বিপিএল সিলেট পর্বের সূচি; ৬ জানুয়ারি : সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম রংপুর রাইডার্স, বেলা ১:৩০ ৬ জানুয়ারি : ফরচুন বরিশাল বনাম দুর্বার রাজশাহী, সন্ধ্যা ৬:৩০ ৭ জানুয়ারি : রংপুর রাইডার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস, বেলা ১:৩০ ৭ জানুয়ারি : সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম ফরচুন বরিশাল, সন্ধ্যা ৬:৩০ ৯ জানুয়ারি : ফরচুন বরিশাল বনাম রংপুর রাইডার্স, বেলা ১:৩০ ৯ জানুয়ারি : ঢাকা ক্যাপিটালস বনাম চিটাগং কিংস, সন্ধ্যা ৬:৩০ ১০ জানুয়ারি : দুর্বার রাজশাহী বনাম খুলনা টাইগার্স বেলা ২:০০ ১০ জানুয়ারি : সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস, সন্ধ্যা ৭:০০ ১২ জানুয়ারি : সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম খুলনা টাইগাসর্, বেলা ১:৩০ ১২ জানুয়ারি : দুর্বার রাজশাহী বনাম ঢাকা ক্যাপিটালস, সন্ধ্যা ৬:৩০ ১৩ জানুয়ারি : সিলেট স্ট্রাইকার্স বনাম চিটাগং কিংস, বেলা ১:৩০ ১৩ জানুয়ারি : রংপুর রাইডার্স বনাম খুলনা টাইগাসর্, সন্ধ্যা ৬:৩০