সাকিবসহ ১৫ জনের বিদেশ যাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা

সাকিবসহ ১৫ জনের বিদেশ যাত্রায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অন্যতম তারকা ক্রিকেটার ও সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন ঢাকার একটি আদালত। গত অক্টোবরে ভারতে সবশেষ বাংলাদেশের হয়ে খেলে আর দেশে ফেরেননি সাকিব আল হাসান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, সমবায় অধিদপ্তরের উপনিবন্ধক মো. আবুল খায়ের, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজি ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম। এদিন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বিদেশ যাত্রার নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।  আবেদনে বলা হয়, তাদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ-আত্মসাতপূর্বক সরকারি বিধি বিধান ও শেয়ার বাজার আইন লঙ্ঘনপূর্বক শত শত কোটি টাকা শেয়ার বাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দেশত্যাগ করে অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বিধায় সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে নিম্নবর্ণিত ব্যক্তিদের বিদেশ গমন রহিতকরণ একান্ত আবশ্যক।  শুনানি শেষে বিচারক তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন।

টাইমড আউট নিয়ে ম্যাথুজ, ‘আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল’

টাইমড আউট নিয়ে ম্যাথুজ, ‘আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল’ ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলার অপেক্ষায় শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। গলে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি দিয়েই বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানতে যাচ্ছেন ম্যাথুজ। প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ বলেই ম্যাথুজের অবসরের আগে অবধারিতভাবে আরেকটি প্রসঙ্গও উঠে আসল, টাইমড আউট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম টাইমড আউট হওয়া ক্রিকেটার ম্যাথুজ। ২০২৩ বিশ্বকাপের মঞ্চে তার বিরুদ্ধে টাইমড আউট নিয়েছিল বাংলাদেশ। দিল্লিতে ওই ম্যাচের পর গণমাধ্যমে বাংলাদেশকে ধুয়ে দিয়েছিলেন ম্যাথুজ। এবার অবসরের নেওয়ার আগে আরো একবার টাইমড আউট নিয়ে কথা বলতে হলো তাকে। যেখানে ম্যাথুজ দাবি করেছেন, তাকে টার্গেট করা হয়েছিল। ক্রিকইনফোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ম্যাথুজ বলেছেন, ‘‘আমি মনে করি ওই সময়ে এটা নিয়ে অনেক কথা বলেছিলাম কারণ আমি খুব রাগ হয়েছিলাম সাথে হতাশও ছিলাম। আমি নিশ্চিত করেই বলছি আমি কোনো ভুল করিনি। যখন আমি ভিডিওটা ম্যাচ রেফারিকে দেখিয়েছিলাম তারাও বুঝতে পেরেছিল কি হয়েছে এবং তারা ভুল বুঝতে পেরেছিল। তবে ম্যাচটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং আমার মনে হচ্ছিল আমাকে টার্গেট করা হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত নই তারা কেন আপিল করতে প্ররোচিত হলো।’’ ‘‘আমি এখনো যেটা মনে করি আম্পায়াদের আরো সম্পৃক্ত হওয়া দরকার ছিল।  আমি যখন ক্রিজে গিয়েছিলাম তখন অবশ্যই দুই মিনিটের সীমা অতিক্রম করতে পারিনি। এটা স্পষ্ট যে আমার হেলমেটটি তখনই ভেঙে গিয়েছিল, মাটিতে পড়ার আগে নয়। তাই আমার রাগ হওয়ার এটা একটা যুক্তিসঙ্গত কারণ ছিল।’’ দিল্লির অরুণ জেটলি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ৩৮তম ম্যাচ চলছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার। সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যাওয়া দুই দল কেবল লড়ছিল চ্যাম্পিয়নস ট্রফির টিকিট নিশ্চিতে। ম্যাচে কোনো বল না খেলেই টাইমড আউট হয়েছেন ম্যাথুজ। সাকিবের বলে সামারাবিক্রমা ৩টা ৪৯ মিনিটে আউট হয়েছিলেন। পরের ২ মিনিটে নতুন ব্যাটসম্যান ম্যাথুজকে পরের বল খেলতে হতো। কিন্তু হেলমেটের উটকো ঝামেলায় খেলতে পারেননি। বাংলাদেশ সেই সুযোগটি নিয়ে ম্যাথুজের আউটের আবেদন করেন। তাতেই মেলে সাফল্য। ক্রিকেটীয় আইনে আম্পায়াররা ম্যাথুজকে আউট দিলেও, বাংলাদেশের আবেদন এবং আম্পায়ারের ভূমিকা নিয়ে প্রবল সমালোচনা হচ্ছে। কেননা ম্যাথুজ সময় মতোই ক্রিজে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুতও ছিলেন। ক্রিজে প্রণাম করে বল খেলার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু মাথার হেলমেট ঠিক করতে গিয়ে স্ট্রিপে টান দিলে তা ছিঁড়ে যায়। ম্যাথুজ নতুন হেলমেট আনার জন্য ড্রেসিংরুমে ইঙ্গিত করেন। বাংলাদেশের অধিনায়ক সাকিব সময় নষ্টের জন্য ম্যাথুজের আউটের আবেদন করেন। পাশেই ছিলেন সহ-অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুতে আম্পায়ার ইরাসমাসের সঙ্গে সাকিবের আলোচনা দেখে মনে হচ্ছিল, টাইমড আউট নিয়ে দুজন কেবল কথা বলছেন। কিন্তু সাকিবের সিরিয়াস আবেদনে ইরাসমাস সঙ্গে থাকা আরেক আম্পায়ার রিচার্ড ইলিংওয়ার্থের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। এ সময়ে বলও দিয়ে দেন আম্পায়ারকে। তাতেই বোঝা যাচ্ছিল, ম্যাথুজের আউট নিয়ে বাংলাদেশ সিরিয়াস। নতুন হেলমেট নিয়ে ম্যাথুজ ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হলেও আম্পায়ার তাকে আউটের সিদ্ধান্ত জানান। তখন ম্যাথুজ বাংলাদেশের অধিনায়কের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান। নিজের প্রতিক্রিয়াও দেখান। কিন্তু সাকিব হাসি দিয়ে তাকে ক্রিকেটের নিয়মের কথা মনে করিয়ে দেন। তাদের আলোচনায় বোঝা যাচ্ছিল, হেলমেটের স্ট্রিপ ছিঁড়ে যাওয়ার দুর্ঘটনার কথাই বলা হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ নিজেদের আবেদনে ছিল স্থির।   ক্রিকেটের নিয়মে এই আউট থাকায় ম্যাথুজ ‘টাইমড আউট’ হন। টাইমড আউট নিয়ে এমসিসি’র আইন যা বলছে, ‘উইকেটের পতন বা একজন ব্যাটসম্যান রিটায়ার্ড হওয়ার পর, নতুন ব্যাটসম্যানকে, সময় না বলা পর্যন্ত, বল খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। বা অন্য ব্যাটসম্যানকে আউট হওয়ার ২ মিনিটের মধ্যে পরবর্তী বল গ্রহণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এই প্রয়োজনীয়তা পূরণ না হলে, নতুন ব্যাটসম্যান আউট হবেন, টাইমড আউট।’

বেঙ্গালুরুতে ভারতের, কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ

বেঙ্গালুরুতে ভারতের, কলম্বোতে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ বাছাই পর্ব পেরিয়ে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ। আট দলের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে হাইব্রিড মডেলে। ভারতের চারটি ভেনু‌্যতে হবে সাত দলের সব ম‌্যাচ। পাকিস্তান নিজেদের ম‌্যাচগুলো খেলবে কলম্বোতে।  ৩০ সেপ্টেম্বর ভারত ও শ্রীলঙ্কার ম‌্যাচ দিয়ে শুরু হবে নারীদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ম‌্যাচটি হবে বেঙ্গালুরুর চিন্নাসোয়ামি স্টেডিয়ামে। একই ভেনু্যতে বাংলাদেশ ও ভারত খেলবে। ২৬ অক্টোবর ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশ পাকিস্তানের বিপক্ষে কলম্বোতে খেলবে ২ অক্টোবর। রাউন্ড রবিন লিগ পদ্ধতিতে আট দলের টুর্নামেন্টে প্রথম পর্বে ম্যাচ হবে মোট ২৮টি। ভারতসহ ২০২২-২৫ আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়নশিপের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপে। অন্য পাঁচ দল হলো- অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, নিউ জিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা। বাছাই পর্ব পেরিয়ে মূল পর্বের টিকেট পেয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। আইসিসি এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি প্রকাশ করেনি। পাকিস্তান পরের ধাপে কোয়ালিফাই করার ওপর নির্ভর করবে নক আউটের ভেনু্য। পাকিস্তান নক আউট পর্বে উঠলে শ্রীলঙ্কায় ম্যাচ হবে। নয়তো নক আউট পর্বের সব ম্যাচই হবে ভারতে। সাম্ভাব্য সূচিও চূড়ান্ত হয়েছে। ২৯ অক্টোবর গৌহাটি কিংবা কলম্বোয় প্রথম সেমিফাইনাল। পরদিন ৩০ অক্টোবর দ্বিতীয় সেমিফাইনাল বেঙ্গালুরুতে। ২ নভেম্বর বেঙ্গালুরু বা কলম্বোয় হবে ফাইনাল। প্রসঙ্গত, সবশেষ আইসিসির ইভেন্ট চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ম্যাচও হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে। পাকিস্তানে বসেছিল সব ম্যাচ। ভারত সফর না করায় তাদের ম্যাচ হয়েছিল দুবাইয়ে।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রে ১২ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রে ১২ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্রে (২০২৫-২৭) ৬ সিরিজে ১২টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। এরমধ্যে তিনটি সিরিজ ঘরের মাঠে, বাকী তিনটি বিদেশের মাটিতে। টাইগারদের সবগুলো সিরিজই দুই ম্যাচের হবে। আগামী ১৭ জুন লংকার মাটিতে দুই ম্যাচের সিরিজ দিয়ে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ আসর শুরু হবে। শ্রীলংকা ছাড়াও এই চক্রে বিদেশের মাটিতে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া দেশের মাটিতে ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলা আছে টাইগারদের। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে (২০১৯-২১) ৭ ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ। ঐ আসরে কোন ম্যাচ জিততে পারেনি তারা। ৬ হারের সাথে ১টি ম্যাচ ড্র করেছিল টাইগাররা। নয় দলের আসরে নবম ও শেষ স্থানে ছিল বাংলাদেশ।  প্রথম আসরে জয়হীন থাকলেও দ্বিতীয় চক্রে (২০২১-২৩) প্রথম জয়ের দেখা পায় বাংলাদেশ। ২০২২ সালের পহেলা জানুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে নিউজিল্যান্ডকে ৮ উইকেটে হারায় টাইগাররা। ঐ আসরে ১২ ম্যাচ খেলে ১টি করে জয়-ড্র এবং ১০টি ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। ফলে নয় দলের মধ্যে টেবিলের তলানিতে ছিল তারা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম দুই আসরে টেবিলের তলানিতে থাকলেও, গতকাল শেষ হওয়া তৃতীয় চক্রে (২০২৩-২৫) নয় দলের মধ্যে সপ্তম হয় বাংলাদেশ। ১২ ম্যাচে ৪ জয় ও ৮ হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। এই চক্রে পাকিস্তানের বিপক্ষে দু’টি, নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১টি করে জয় পায় বাংলাদেশ। চতুর্থ চক্রে বাংলাদেশের মত অন্য আট দলও সমান ছয়টি করে সিরিজ খেলবে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ২২ ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ ম্যাচ খেলবে ইংল্যান্ড। এছাড়া ভারত ১৮টি, নিউজিল্যান্ড ১৬টি, দক্ষিণ আফ্রিকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৪টি করে, পাকিস্তান ১৩টি এবং শ্রীলংকা ১২টি ম্যাচ খেলবে। সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা। চতুর্থ চক্রে ফাইনালসহ মোট ম্যাচ হবে ৭১টি। সর্বমোট সিরিজ হবে ২৭টি।

প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম

প্রথমবার বিগ ব্যাশে বাবর আজম বিশ্ব ক্রিকেটে ব্যাট হাতে বহুবার তোলপাড় করা বাবর আজম এবার অস্ট্রেলিয়ার জমজমাট বিগ ব্যাশ লিগে (বিবিএল) পা রাখতে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন গুঞ্জনের পর অবশেষে এই পাকিস্তানি তারকাকে নিজেদের স্কোয়াডে টেনে নিয়েছে সিডনি সিক্সার্স। নতুন মৌসুমে (২০২৫) তাকে দেখা যাবে গোলাপি জার্সিতে। এটাই বাবরের প্রথমবারের মতো বিগ ব্যাশে খেলার অভিজ্ঞতা হতে যাচ্ছে। সিডনি সিক্সার্সের সঙ্গে তার এই চুক্তিটি হয়েছে প্রি-সাইনিং অপশনের মাধ্যমে, যেখানে প্রতিটি দল আন্তর্জাতিক ড্রাফট শুরুর আগেই একজন বিদেশি ক্রিকেটারকে দলে নিতে পারে। ১৯ জুন শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক ড্রাফটের আগেই সিক্সার্স বাবরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি সম্পন্ন করে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাবরের মতো বিশ্বমানের অভিজ্ঞ একজন টপ অর্ডার ব্যাটারকে পাওয়ার অর্থই হলো দলে গভীরতা ও ভারসাম্য বাড়ানো। এই তারকার সঙ্গে একই দলে থাকছেন স্টিভ স্মিথ, শন অ্যাবটের মতো অভিজ্ঞ অজি খেলোয়াড়রা, যা দলের শক্তিকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে একমাত্র সিডনি সিক্সার্সই ছিল এমন দল, যারা কোনো বিদেশি তারকাকে আগেভাগে দলে নেয়নি। এবার তারা সেই ঘাটতি পূরণ করল বাবরের মতো একজন ক্রিকেট সেনসেশনকে নিয়ে।তবে বাবরের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে অনেকবার। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলে তার জায়গা এখন অনিশ্চিত, ব্যাটেও অনুজ্জ্বল সময় কাটছে। তবু, অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন এই চ্যালেঞ্জ বাবরের জন্য এক নতুন দরজা খুলে দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।চুক্তির পর নিজের প্রতিক্রিয়ায় বাবর জানান, “এটা আমার জন্য দারুণ এক সুযোগ। বিগ ব্যাশ বিশ্বের অন্যতম সেরা টি-টোয়েন্টি লিগ এবং সিডনি সিক্সার্স একটি সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি। এই দলে খেলার সুযোগ পেয়ে আমি গর্বিত। আমি চাই দলের জয়ে অবদান রাখতে, ভক্তদের ভালোবাসা কুড়াতে এবং এই অভিজ্ঞতা আমার পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে।” অস্ট্রেলিয়ায় বাবরের প্রথম আগমনকে ঘিরে ইতোমধ্যেই পাকিস্তানি ভক্তদের মধ্যে উচ্ছ্বাসের জোয়ার বইছে। অনেকেই বলছেন, হয়তো এটাই সেই ‘নতুন শুরু’, যেটা বাবরের ক্যারিয়ার আবার উজ্জ্বল করে তুলতে পারে।

নতুন যাত্রায় পুরনো অভিজ্ঞতার আলোয় পথ চলতে চান মিরাজ

নতুন যাত্রায় পুরনো অভিজ্ঞতার আলোয় পথ চলতে চান মিরাজ বাংলাদেশ ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আজ দায়িত্ব পেয়ে প্রথবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন। সেখানে তিনি কীভাবে কাজ করবেন, নেতৃত্বে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নিতে চান, তরুণদের কিভাবে কাজে লাগাবেন, কোন অভিজ্ঞতা তাকে পথ দেখাবে সেটা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে কথা বলেন নতুন এই অধিনায়ক। নেতৃত্বের অভিজ্ঞতা না থাকলেও দলের হয়ে দীর্ঘদিন খেলার অভিজ্ঞতা মিরাজকে তৈরি করেছে। তিনি জানান, “বাংলাদেশ দলে (ওয়ানডেতে) আমার অভিষেক হয়েছিল মাশরাফি ভাইয়ের অধীনে। আমি (খেলোয়াড় হিসেবে) অনেক অধিনায়ককে পেয়েছি। এটা আমার জন্য ভালো লাগার বিষয় যে তাদের কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পেরেছি। যেটা আমি হয়তো আমার এই অধিনায়কত্বের সময়ে কাজে লাগাতে পারব।” তিনি আরও বলেন, “তারা যেভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতেন, সে জিনিসগুলো আমি অনুসরণ করেছি যে কীভাবে নিতেন। অনেক সময় কঠিন পরিস্থিতিতে শক্তভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয় নিজের। অনেক সময় পক্ষে আসবে, অনেক সময় আসবে না। কিন্তু ওই সিদ্ধান্ত কীভাবে নিচ্ছি, সেটা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ।” নেতৃত্বে যেমন অভিজ্ঞতা গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি গুরুত্বপূর্ণ ভবিষ্যতের জন্য তরুণদের প্রস্তুত করা। সেই দিকটাও ভেবেছেন মিরাজ, “যারা জুনিয়র আছে, তাদেরকে অবশ্যই পারফর্ম করতে হবে ওই পরামর্শগুলো দেব। আমরা যখন প্রথমে ঢুকেছিলাম, বড় ভাইয়েরা আমাদেরকে যেভাবে সাহায্য করেছে, চেষ্টা করব ওভাবে সাহায্য করার জন্য। ড্রেসিংরুমটাকে ওভাবে রাখার জন্য। যেন যেই ড্রেসিংরুমে থাকে না কেন, সে যেন অনুভব না করে আমি একা, আমার সঙ্গে সবাই আছে।”নেতৃত্বের ভার গ্রহণ করে শুধু মাঠের দায়িত্ব নয়, ড্রেসিংরুমের পরিবেশ গঠন ও ভবিষ্যতের জন্য একটি দৃঢ় ভিত্তি তৈরির কথা বললেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এবার দেখার পালা, এই তরুণ নেতার হাতে ওয়ানডে দলে কতটা বদল আসে।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের দুইয়ে আদিল রশিদ

টি-টোয়েন্টি র‌্যাংকিংয়ের দুইয়ে আদিল রশিদ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার পেলেন আদিল রশিদ। টি-টোয়েন্টি বোলারদের আইসিসি র‌্যাংকিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন দ্বিতীয় স্থানে। শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের পেসার জ্যাকব ডাফির পেছনে এখন মাত্র ১৩ রেটিং পয়েন্টে পিছিয়ে আছেন ইংলিশ লেগ স্পিনার। আইসিসির সর্বশেষ সাপ্তাহিক হালনাগাদে দেখা যায়, ডাফির রেটিং পয়েন্ট ৭২৩, আর রশিদের ৭১০। এর আগে ২০২৪ সালের জানুয়ারিতেও টি-টোয়েন্টির শীর্ষ বোলার ছিলেন রশিদ। এবার ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করতে বড় ভূমিকা ছিল তার। শেষ ম্যাচে ৩০ রানে ২ উইকেটের পাশাপাশি আগের দুটি ম্যাচেও একটি করে উইকেট নেন তিনি। এই পারফরম্যান্সে তিনি র‌্যাংকিংয়ে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও ভারুন চক্রবর্তীকে ছাড়িয়ে যান। ইংল্যান্ডের আরেক পেসার ব্রাইডন কার্স তিন ম্যাচে দুটি উইকেট নিয়ে ১৬ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ৫২তম স্থানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার উন্নতি করেছেন ৩ ধাপ, অবস্থান করছেন ৬৬তম স্থানে (যৌথভাবে)। ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়েও এসেছে বড় পরিবর্তন। টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র‌্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছেন অস্ট্রেলিয়ার ট্রাভিস হেড। তবে ইংল্যান্ডের বেন ডাকেট দিয়েছেন সবচেয়ে বড় লাফ। শেষ ম্যাচে ৮৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে এক ধাক্কায় ৪৮ ধাপ এগিয়ে উঠে এসেছেন ১৬তম স্থানে। হ্যারি ব্রুক ৬ ধাপ এগিয়ে এখন ৩৮ নম্বরে। অন্যদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শাই হোপ ১৪ ধাপ উন্নতি করে এখন আছেন ১৫তম স্থানে। শেষ ম্যাচে ৭৯ রান করে র‌্যাংকিংয়ে ৮ ধাপ এগিয়ে ২০তম স্থানে এসেছেন রভম্যান পাওয়েল।

২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরানের অবসর

২৯ বছর বয়সেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পুরানের অবসর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে সবাইকে চমকে দিলেন নিকোলাস পুরান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ হয়ে ওঠা এই বাঁহাতি বোর্ডকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন ইতোমধ্যে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভক্ত-সমর্থকদের জন্য দিয়েছেন আবেগঘন বার্তাও। পুরান এমন সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন, যখন তার সামনে এখনও অনেক বছর খেলার সুযোগ ছিল। সম্প্রতি গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ৩৬ বছর বয়সে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন, হেনরিখ ক্লাসেনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়লেন ৩৩ বছর বয়সে। সেখানে পুরানের বিদায় যেন আরও বেশি প্রশ্ন ছুড়ে দিল ক্রিকেট ভক্তদের মনে। তার বিদায়ের পেছনে কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে অতিমাত্রায় ব্যস্ততাকে। বিশ্বের নানা প্রান্তে বছরজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগে খেলে বেড়ানো এই ব্যাটসম্যান অনেকদিন ধরেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরে ছিলেন। এমনকি চলতি ইংল্যান্ড সফরেও ছিলেন না স্কোয়াডে। তখন দলের অধিনায়ক শাই হোপ বলেছিলেন, আপাতত না খেললেও ভবিষ্যতে পুরানকে বিবেচনায় রাখা হবে। তবে শেষ পর্যন্ত কেবল এই সফর নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের অধ্যায়ই শেষ করে দিলেন পুরান। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি অভিষেক হয়েছিল পুরানের। তবে শুরুটা ছিল হতাশাজনক। তিন ম্যাচ ব্যর্থতার পর তিনি দলের বাইরে চলে যান। এরপর দুই বছরের বেশি সময় অপেক্ষার পর ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামেন আবার। মাঠে ফিরেই নিজেকে প্রমাণ করেন বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে। অল্প সময়ের মধ্যেই হয়ে ওঠেন ক্যারিবিয়ান দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। ধীরে ধীরে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন সীমিত ওভারে দলের সেরা পারফর্মার হিসেবে। টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ, সর্বোচ্চ রান ও সবচেয়ে বেশি ছক্কার মালিক তিনি। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০৬ ম্যাচে ২ হাজার ২৭৫ রান করেছেন, স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৩৯। ক্যারিয়ারে ১৩টি ফিফটি করেছেন, সর্বোচ্চ ইনিংস ৯৮ রানের। ওয়ানডেতে ২০১৯ সালে অভিষেকের পর ৬১ ম্যাচে করেছেন ১ হাজার ৯৮৩ রান, গড় ৩৯.৬৬ এবং স্ট্রাইক রেট প্রায় ১০০। রয়েছে ৩টি সেঞ্চুরি ও ১১টি ফিফটির ইনিংস। মূলত উইকেটরক্ষক হলেও মাঝে মাঝে হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন উইকেটও। ওয়ানডেতে রয়েছে ৬টি উইকেট। নেতৃত্ব দিয়েছেন ওয়ানডেতে ১৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ২৩ ম্যাচে। বিদায়বার্তায় পুরান জানিয়েছেন, অনেক ভাবনার পরই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘অনেক চিন্তা ও ভেবে দেখার পর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ভালোবাসার এই খেলাটি আমাকে এতকিছু দিয়েছে এবং দিয়ে যাবে। আনন্দ, অভিপ্রায়, অবিস্মরণীয় স্মৃতি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করার সম্মান। ’ ‘মেরুন জার্সি গায়ে চাপানো, জাতীয় সংগীতের জন্য মাঠে দাঁড়ানো এবং মাঠে নামার পর নিজের সবটুকু উজাড় করে দেওয়া। এসব আমার জন্য কতটা, তা ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। অধিনায়ক হিসেবে দলকে নেতৃত্ব দেওয়াও ছিল অনেক বড় সম্মান এবং সবসময় তা আমার হৃদয়ের খুব কাছে থাকবে। ’ তিনি আরও জানান, ‘যদিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমার অধ্যায় শেষ হয়ে যাচ্ছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য আমার ভালোবাসা মিইয়ে যাবে না। সামনের পথচলার জন্য এই দল ও এই অঞ্চলের প্রতি আমার কেবল শুভকামনাই থাকবে। ’পুরান অবসরের ঘোষণা দিলেও ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটের ইতিহাস বলে, ভবিষ্যতে বড় কোনো আসর বা বিশ্বকাপে অবসর ভেঙে খেলায় ফেরার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ডোয়াইন ব্রাভো, আন্দ্রে রাসেলদের মতো তাকেও হয়তো আবার দেখা যেতে পারে আন্তর্জাতিক মঞ্চে। তবে আপাতত পুরানের পথচলায় বিশ্রামের ঘোষণা ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের জন্য একটি বড় ধাক্কা, বিশেষ করে যখন তারা আবার ঘুরে দাঁড়াতে চায় বিশ্ব ক্রিকেটে নিজেদের হারানো গৌরব খুঁজে পেতে।

আইসিসি ‘হল অব ফেমে’ একসঙ্গে সাত কিংবদন্তি

আইসিসি ‘হল অব ফেমে’ একসঙ্গে সাত কিংবদন্তি ক্রিকেটের কিংবদন্তিদের সম্মানে অনন্য এক সন্ধ্যা দেখা গেল লন্ডনের ঐতিহাসিক অ্যাবি রোড স্টুডিওসে। ‘আ ডে উইথ দ্য লেজেন্ডস’ শিরোনামে আয়োজনটি স্মরণীয় হয়ে থাকল ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে। আইসিসি তাদের ‘হল অব ফেম’-এ এবার একসঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করল সাতজন কিংবদন্তিকে। সংখ্যায় বেশি বলেই সংস্থাটি এটিকে বলছে ‘মেগা ইনডাকশন। ’ নতুন এই সদস্যরা হলেন: মাহেন্দ্র সিং ধোনি, ম্যাথু হেইডেন, হাশিম আমলা, গ্রায়েম স্মিথ, ড্যানিয়েল ভেটোরি, সারাহ টেইলর ও সানা মির। এর মাধ্যমে আইসিসি হল অব ফেমের মোট সদস্য সংখ্যা দাঁড়াল ১২২ জনে। আগের সদস্য, সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধি ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের ভোটে নির্বাচিত হয় এই তালিকা। সবসময় এমন জমকালো আয়োজন দেখা যায় না আইসিসির পক্ষ থেকে। অনেক সময় ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে সেরে নেওয়া হয় সম্মাননা প্রদান। কিন্তু এবারের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের আগেই জাঁকজমকপূর্ণভাবে হল অব ফেমে স্বাগত জানানো হলো ক্রিকেটের সাত তারকাকে। তাদের নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। মাহেন্দ্র সিং ধোনি তো একাই ইতিহাস! সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি যে ফিনিশারের সংজ্ঞা নতুন করে লিখেছেন, তা এখনো আদর্শ হয়ে আছে অনেক তরুণ ক্রিকেটারের কাছে। একমাত্র অধিনায়ক হিসেবে তিনটি ভিন্ন আইসিসি ট্রফি জেতার রেকর্ডটি আজও অটুট। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ও ২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। এছাড়া ধোনির নেতৃত্বেই ভারত প্রথমবারের মতো শীর্ষে উঠেছিল টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে। কিপার হিসেবে তার প্রতিভা এবং সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যাট হাতে তার ভূমিকা তাকে বানিয়েছে অনন্য এক প্রতীক। ধোনি খেলেছেন ৯০ টেস্ট, ৩৫০ ওয়ানডে ও ৯৮ টি-টোয়েন্টি। হাশিম আমলা ছিলেন রানের কারিগর। উইলো থেকে যেন ছন্দ বের করতেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। দেশের হয়ে প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরির কৃতিত্বও তার। টেস্ট ও ওয়ানডেতে একসময় ছিলেন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। আমলার ক্যারিয়ার সংখ্যার বিচারে যেমন সমৃদ্ধ, তেমনি ছিল মাধুর্যে ভরপুর। তারই সতীর্থ গ্রায়েম স্মিথ ক্রিকেট দুনিয়ায় পরিচিত ছিলেন একাধারে সাহসী অধিনায়ক ও নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান হিসেবে। মাত্র ২২ বছর বয়সে নেতৃত্বের ভার কাঁধে তুলে নেন, আর দক্ষিণ আফ্রিকাকে নিয়ে যান শীর্ষে। টেস্টে সর্বাধিক ম্যাচে অধিনায়কত্ব ও সর্বোচ্চ জয় সংখ্যার রেকর্ড আজও তার দখলে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন ছিলেন দুর্দান্ত ওপেনার। দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য ২০০১ সালে ভারতের মাটিতে দারুণ পারফরম্যান্সের পর নিজের জায়গা পাকাপোক্ত করে নেন। তার ব্যাটিংয়ে ছিল দাপট ও ধারাবাহিকতা। প্রতিপক্ষের জন্য এক আতঙ্ক ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের ড্যানিয়েল ভেটোরি শুধু দলের প্রাণভোমরাই ছিলেন না, ছিলেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ৪ হাজার টেস্ট রান ও ৩০০ উইকেটের ডাবল রয়েছে তার নামের পাশে, যা বলেই দেয় ভেটোরির সুন্দর পারফরম্যান্সের কথা। স্পিনে তার কৌশল, পাশাপাশি নিচের সারিতে ব্যাটিংয়ের কার্যকারিতা নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের জন্য ছিল অমূল্য সম্পদ। নারী ক্রিকেটেও এবার জায়গা পেল দুই তারকা। ইংল্যান্ডের সারাহ টেইলর কিপার হিসেবে গড়েছেন ইতিহাস। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই নিজের জাত চিনিয়ে নারী দলের ব্যাটিং লাইনআপে হয়ে ওঠেন অমূল্য রত্ন। দুটি বিশ্বকাপ জয়ের অংশ তিনি। অন্যদিকে পাকিস্তানের সানা মির নারী ক্রিকেটের পথিকৃত। দেশের হয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। নেতৃত্ব দিয়েছেন পাকিস্তানের নারী দলকে, এনে দিয়েছেন এশিয়ান গেমসের দুটি সোনা।

কোচের বিরুদ্ধে রাজার বর্ণবাদের অভিযোগ

কোচের বিরুদ্ধে রাজার বর্ণবাদের অভিযোগ জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটার সিকান্দার রাজা দেশটির স্থানীয় কোচ ব্লেসিং মাফুওয়ার বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগ করেছেন। মেট্রোপলিটন ক্রিকেট অ‌্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এই অলরাউন্ডার। তার অভিযোগ আমলে নিয়ে সাময়িকভাবে ওই কোচকে বহিস্কার করা হয়েছে। ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ইএসপিএন ক্রিকইনফো এক প্রতিবেদনে এই খবর নিশ্চিত করেছে। রাজার দাবি, মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজাকে ইঙ্গিত করে বর্ণবাদী ও অবমাননাকর মন্তব‌্য করেছিলেন কোচ। যা মোটেও ভালোভাবে নেননি তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিবাদও করেছেন। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার ভাষ‌্য, ‘‘দোষী প্রমাণিত হলে তাকে দিয়ে এমন দৃষ্টান্ত স্থাপন করা হোক যেন বর্তমানে ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কারও এমন অভিজ্ঞতার শিকার না হতে হয়।” গত ১ জুন ওল্ড হারারিয়ান্স স্পোর্টস ক্লাব মাঠের ঘটনা সেটি। ভিনিয়া কাপের ম্যাচে ওল্ড হারারিয়ান্সের হয়ে রাজা খেলছিলেন রেইনবো ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে। ম‌্যাচে রাজার দল ১৪২ রানে জয় পায়। রাজা ৫৬ বলে ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন।  রাজার অভিযোগের পর রেইনবো ক্রিকেট ক্লাবের কোচকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। ক্লাবটির কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ‘‘বর্ণবাদের অভিযোগকে আমরা কখনও হালকা করে নেই না। যত দ্রুত সম্ভব তদন্ত করব আমরা।”