চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে কাল পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সান্ত্বনার জয়ের স্বাদ পেতে কাল পাকিস্তানের মুখোমুখি বাংলাদেশ আগামীকাল রাওয়ালপিন্ডি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায়। গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যে সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। তাই এ ম্যাচটি দু’দলের জন্যই নিয়মরক্ষার। ভারত এবং নিউজিল্যান্ডের কাছে যথাক্রমে ৬ এবং ৫ উইকেটে হেরে যাওয়ায় টুর্নামেন্টে থেকে বিদায় ঘণ্টা বাজে টাইগারদের। গ্রুপ পর্বে প্রথম দুই ম্যাচে হারের লজ্জা পায় স্বাগতিক পাকিস্তানও। নিউজিল্যান্ডের কাছে ৬০ রানে এবং ভারতের কাছে ৬ উইকেটে পরাজিত হয় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন পাকিস্তান। আগেভাগে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য নিজেদের সেরাটা দিতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘সব সময়ই আমরা ম্যাচ জিততে চাই এবং এজন্য আমাদের শতভাগ দেওয়ার চেষ্টা করি।’ সাফল্য পেতে দলের পরিকল্পনা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে চান শান্ত। তিনি বলেন, ‘এটি আরেকটি ম্যাচ এবং (আমরা) দেশের জন্য খেলছি, এটি আমাদের জন্য সবসময় গর্বের বিষয়।’ বাংলাদেশের শেষ ম্যাচে ক্রিকেটাররা নিজেদের সেরাটা উজার করে দেবে বলেই বিশ্বাস করেন শান্ত। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি ছেলেরা ভক্ত-সমর্থক এবং দলের জন্য বিশেষ কিছু করবে। একটি ভালো ম্যাচ হবে আশা করছি।’ শান্তর সাথে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধান কোচ আকিব জাভেদও। তিনি জানান, নিয়ম রক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় ক্ষুধার্ত পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস যোগাতে সহায়ক হবে। তিন দশকের মধ্যে প্রথমবারের মত ঘরের মাঠে আইসিসি ইভেন্ট আয়োজন করতে নেমে সাফল্য পায়নি স্বাগতিক পাকিস্তান। আকিব বলেন, ‘কোন অজুহাত নেই। জীবনে এমন কোনও অজুহাত থাকা উচিত নয়। তবে আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে পারি, খেলোয়াড়রা ভক্তদের চেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছে এবং শেষ ম্যাচে ভালো ফল করতে চায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ দলের এমন অবস্থায় খেলোয়াড়রা মোটেই খুশি নয়, হেরে যাবার পর কেউ খুশি থাকে না। তবে সবাই জয়ের জন্য কঠোর চেষ্টা করে এবং আমরা সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় সিরিজ জিতেছি। প্রতিটি ম্যাচই গর্বের। তাই কাল জয় দিয়ে শেষ করতে চাই।’ এখন পর্যন্ত ওয়ানডে ক্রিকেটে ৩৯ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান। এর মধ্যে বাংলাদেশ মাত্র ৫টিতে জিতেছে এবং ৩৪টিতে হেরেছে। সম্প্রতি ওয়ানডেতে দেখা হয়নি বাংলাদেশ-পাকিস্তানের। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৭ উইকেটে জিতেছিলো টাইগাররা। এছাড়া গত পাঁচ বছরে মাত্র চার ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে দু’দল। শেষ পাঁচ ম্যাচের ২টিতে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান ৩টিতে জয় পেয়েছে। বাংলাদেশ দল : নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, মেহেদি হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, পারভেজ হোসেন ইমন, নাসুম আহমেদ, তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানা। পাকিস্তান দল : মোহাম্মদ রিজওয়ান (অধিনায়ক), বাবর আজম, ইমাম উল হক, কামরান গুলাম, সৌদ শাকিল, তৈয়ব তাহির, ফাহিম আশরাফ, খুশদিল শাহ, সালমান আগা, উসমান খান, আবরার আহমেদ, হারিস রউফ, মোহাম্মদ হাসনাইন, নাসিম শাহ, শাহিন শাহ আফ্রিদি।
মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের উপর ক্ষোভ ঝারলেন ওয়াসিম জাফর

মুশফিক-মাহমুদউল্লাহদের উপর ক্ষোভ ঝারলেন ওয়াসিম জাফর চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের পর বাঁচা-মরার ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের কাছেও হেরেছে টাইগাররা। কিউইদের বিপক্ষে ব্যর্থ ছিলেন দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এই দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটারের সমালোচনা করেছেন ভারতের সাবেক ওপেনার ওয়াসিম জাফর। সিনিয়র ক্রিকেটাররা আইসিসি ইভেন্টে পারফর্ম করতে পারেন না উল্লেখ করে একসময় বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ দলের কোচ জাফর বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র সম্ভবত সাকিবকে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দেখেছি, যেখানে তিনি ব্যতিক্রমী পারফর্মার ছিলেন। আমি জানি না এটি চাপের কারণে হয় কি না, নাকি তারা নিজেরাই অতিরিক্ত চাপ নিয়ে ফেলে, তারা যেন ঠিক পারফর্ম করতেই পারে না।’ ভারতের সাবেক ওপেনার ও বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সাবেক কোচ ওয়াসিম জাফর। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ম্যাচ ডে অনুষ্ঠানে কথা বলতে গিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র নির্ভরতার সমালোচনাই করেছেন জাফর। তিনি বলেন, ‘আজকের শট নির্বাচনও খুব হতাশাজনক ছিল। মুশফিক যে শটটি খেললেন, মাহমুদউল্লাহর সেই বেহিসাবি শট—এটি তো বাঁচা-মরার ম্যাচ ছিল। এ ধরনের ম্যাচে আপনি চান যে তারা সামনে এসে দলকে জেতানোর জন্য খেলুক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, আইসিসি ইভেন্টগুলোতে এটাই বাংলাদেশের গল্প হয়ে দাঁড়িয়েছে।’ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩০০ রান করে যেত বলে মনে করেন জাফর। তিনি বলেন, ‘ওই পিচে সহজেই ৩০০-এর বেশি রান করা যেত। বাংলাদেশের ব্যাটারদের নিজেদেরই দোষ দেওয়া উচিত। বোলারদের কাছে এটা অনেক বেশি চাওয়া যে, তারা নিউজিল্যান্ডকে ২৪০ রানের নিচে অলআউট করবে।’
ব্যর্থ মিডল অর্ডার, ২৩৭ রানের লক্ষ্য কিউইদের

ব্যর্থ মিডল অর্ডার, ২৩৭ রানের লক্ষ্য কিউইদের দুবাইয়ে ভারতের বিপক্ষে টপ অর্ডারের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পায়নি বাংলাদেশ। রাওয়াপিন্ডিতেও অবস্থার খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। তবে এবার ব্যর্থ হয়েছে মিডল অর্ডার। ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যেও অনেকটা সময় হাল ধরে ছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। শেষদিকে ফিফটি ছুঁইছুঁই ইনিংস খেলেছেন জাকের আলী। আর তাতে ভর করে ৯ উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ডের সামনে ২৩৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘গ্রুপ-এ’র ম্যাচে কিউইদের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। ভারতের কাছে হেরে আসর শুরু করা বাংলাদেশের জন্য এটি টিকে থাকার লড়াই। অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডের জন্য সেমিফাইনাল নিশ্চিতের সুযোগ এই ম্যাচ। টস হেরে আজ আগে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের একাদশে দুটি পরিবর্তন এনে মাঠে নেমেছে তারা। সৌম্য সরকার ও তানজিম সাকিবের জায়গায় এসেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও নাহিদ রানা। কিউইদের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটামুটি ভালোই হয় বাংলাদেশের। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান ও শান্ত মিলে তোলেন ৪৫ রান। ২৪ বলে ২৪ রান করে কিউই পেসার মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে কেন উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে তানজিদ বিদায় নিলে প্রথম ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এরপর তিনে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ ১৪ বলে ১৩ রান করে বিদায় নিলে বিপদ বাড়ে। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তাওহিদ হৃদয় ২৪ বলের মোকাবিলায় ৭ রান করতে পেরেছেন। উইকেট পতনের মিছিল সেখানেই থামেনি। প্রথম ২১ ওভারে ৮৬টি ডট দেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। অর্থাৎ ৬৮.২৫ শতাংশ বলে কোনো রান নিতে পারেননি তারা। বিপদ বাড়িয়ে ২৩তম ওভারে ব্রেসওয়েলের বলে স্লগ-সুইপ খেলতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিকুর রহিম (২)। ২৪তম ওভারের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেন শান্ত। এজন্য তাকে খেলতে হয়েছে ৭১ বল। ২৭তম ওভারে আসে আরও এক বড় ধাক্কা। এবার ব্রেসওয়েলের অফসাইডের বাইরের বল ডাউন দ্য ট্র্যাকে তুলে মারতে চেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বল তার ব্যাট ছুঁয়ে শর্ট থার্ডম্যানে থাকা উইলিয়াম ও’রর্কের হাতে জমা হয়। দলীয় ১১৮ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। একদিনে উইকেট পতনের মিছিল, আরেকদিকে মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন শান্ত। কিন্তু তিনিও হার মানেন ৩৮তম ওভারে। ও’রর্কের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরার আগে ১১০ বলে ৭৭ রান করেন শান্ত। এরপর জাকের আলী ও রিশাদ হোসেন মিলে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। তবে ২৫ বলে ২৬ রান করে রিশাদ বিদায় নিলে ভাঙে প্রতিরোধ। অন্যপ্রান্তে জাকের ধরে খেলেন। দলকে ২৩১ রানে রেখে রান আউট হয়ে ফেরার আগে ৫৫ বলে ৪৫ রান করেন তিনি। শেষ ওভারে তাসকিনের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। বল হাতে ৪ উইকেট পেয়েছেন ব্রেসওয়েল। ১০ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ২৬ রান। এটি ওয়ানডেতে তার সেরা বোলিং ফিগার এছাড়া ও’রর্কে ২টি এবং ম্যাট হেনরি ও কাইল জেমিসন ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
রিশাদের বলে আউট, কোহলির লেগ স্পিনে দুর্বলতা নিয়ে যা বললেন গাঙ্গুলী

রিশাদের বলে আউট, কোহলির লেগ স্পিনে দুর্বলতা নিয়ে যা বললেন গাঙ্গুলী সাম্প্রতিক সময়ে কোহলির ফর্ম তার পক্ষে কথা বলছে না। দলের প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে ব্যর্থ হচ্ছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচেও সেই ব্যর্থতার বৃত্ত ভাঙতে পারেননি কোহলি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। টাইগারদের বিপক্ষে ৩৮ বলে মাত্র ২২ রান করেন ডানহাতি এই ব্যাটার, উইকেট বিলিয়ে দেন লেগ স্পিনার রিশাদের কাছে। যা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। তবে কোহলির এই খারাপ সময়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী। ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন, “কোহলি বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার। সে সামর্থ্যবান এবং নিজের সমস্যাটা সমাধান করবে। পুরো ক্যারিয়ারে সে দারুণ করেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৮১টি সেঞ্চুরি করেছে। কোহলির কিছু প্রমাণের প্রয়োজন নেই।” অভিজ্ঞ কোহলি সম্প্রতি অফ-স্টাম্পের বাইরের বলে সমস্যায় পড়ছেন। পাশাপাশি লেগ স্পিনারদের বিপক্ষেও তার দুর্বলতা স্পষ্ট। সর্বশেষ বাংলাদেশ ম্যাচেও লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। তবে গাঙ্গুলীর বিশ্বাস, এই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে কাজ করবেন কোহলি। এ প্রসঙ্গে গাঙ্গুলী বলেন, “পুরো ভারতই এটা নিয়ে কথা বলছে, কিন্তু ওয়ার্ক এথিক্সের দিক থেকে কোহলি সেরা খেলোয়াড়। সে জানে কী করতে হবে এবং সমস্যাটা নিজেই সমাধান করবে।”
কাবাডিতে নেপালকে উড়িয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের

কাবাডিতে নেপালকে উড়িয়ে সিরিজ শুরু বাংলাদেশের পাঁচ দশকেরও বেশি সময় পর কাবাডি টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়ে চমক দেখাল বাংলাদেশ। নেপালকে উড়িয়ে দিয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে গেল মিজানুর রহমান ও রাজিবরা। পল্টনে আজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৫৩-২৯ পয়েন্টে জিতেছে বাংলাদেশ। প্রথমার্ধে আধিপত্য করে ২৮-১১ পয়েন্টে এগিয়ে বিরতিতে যায় স্বাগতিকরা, যা শেষ পর্যন্ত ৫৩-২৯ পয়েন্টে পরিণত হয়। আগামীকাল বাংলাদেশ দ্বিতীয় ম্যাচে কোর্টে নামবে। এরপর ২৫, ২৬ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি হবে বাকি তিনটি ম্যাচ। কাবাডি ফেডারেশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫১ বছর পর নেপালের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে ফের কাবাডি টেস্ট সিরিজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভারতকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ

হৃদয়ের লড়াকু সেঞ্চুরিতে ভারতকে ২২৯ রানের লক্ষ্য দিল বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচে খেলতে নেমে খেই হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। ষষ্ঠ উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে প্রতিরোধ গড়েন তারা। জাকের না পেলেও হৃদয় ঠিকই তুলে নেন সেঞ্চুরি। সঙ্গে বাংলাদেশকে এনে দেন লড়াকু সংগ্রহ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত। ভারতের বিপক্ষে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৪৯.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।ইনিংসের প্রথম ওভারের প্রথম বলে তানজিদ হাসান এক রান নেওয়ার পর বাকি বলগুলোতে কোনো রান করতে পারেননি সৌম্য। শেষ বলে মোহাম্মদ শামির ডেলিভারি তার ব্যাটের কানায় লেগে তালুবন্দি হয় লোকেশ রাহুলের। শূন্য রানে বিদায় নেন বাংলাদেশি ওপেনার। তিনে শান্ত বজায় রাখেন ব্যর্থতার ধারাবাহিকতা। হারশিত রানার আউটসুইংয়ার বাজে কভার ড্রাইভে বিরাট কোহলির হাতে তুলে দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ফেরেন শূন্য রানেই। এউ দুজনে বিদায়ের পর প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেন তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে ব্যর্থ হন তারা। সপ্তম ওভারের দ্বিতীয় বলে শামির বল কাট করতে গিয়ে স্লিপে শুভমান গিলকে ক্যাচ দেন মিরাজ। ১০ বলে ৫ রান করে ফেরেন তিনি। নবম ওভারে আক্রমণে আসেন স্পিনার অক্ষর প্যাটেল। দ্বিতীয় বলেই উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন তানজিদ। ২৫ বলে ২৫ রান করে ফেরেন সাজঘরে। ছয়ে নামা মুশফিক পরের বলে ফের রাহুলের হাতে ক্যাচ তুলে দেন। ফেরেন শূন্য রানে। চতুর্থ বলে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা ছিল অক্ষরের। কিন্ত রোহিত ক্যাচ ছাড়ায় সেটি মিস হয়। শুরুর এই ধাক্কা সামলে ষষ্ঠ উইকেটে জুটি গড়েন জাকের ও হৃদয়। এই উইকেটে ২০৬ বলে ১৫৪ রান যোগ করেন তারা। ৮৭ বলে পঞ্চাশ পূর্ণ করেন জাকের। আর হৃদয়ের লাগে ৮৫ বল। ৪৩তম ওভারে মোহাম্মেদ শামির বল লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন জাকের। ১১৪ বলে ৪ চারে ৬৮ রান করে ফেরেন তিনি। তবে লড়তে থাকেন হৃদয়। ১১৪ বলে তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক। ১১৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ১০০ রানেই থামে হৃদয়ের ইনিংস। এর মধ্যে রিশাদ হোসেন এসে ১২ বলে ১৮ রান করে বিদায় নেন। আর তাসকিনের ব্যাট থেকে আসে ৩ রান। ভারতের পক্ষে ১০ ওভারে ৫৩ রান খরচায় ৫ উইকেট নেন শামি। ৩টি উইকেট নেন হারশিত রানা। আর দুটি উইকেট নেন অক্ষর প্যাটেল।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নেই নাহিদ-রিয়াদ

টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ, নেই নাহিদ-রিয়াদ প্রস্তুতি ম্যাচ ভালো যায়নি বাংলাদেশের। হারতে হয়েছে পাকিস্তান শাহিনসের কাছে। সেই ধাক্কা সামলে আজ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছে বাংলাদেশ দল। প্রথম ম্যাচেই টস ভাগ্য রইল নাজমুল হাসান শান্তর পক্ষে। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক। একাদশে জায়গা হয়নি আলোচিত পেসার নাহিদ রানার। নেই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। এর আগে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে প্রথম কোনো আইসিসি টুর্নামেন্টে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। সেবার ৫ উইকেটের জয়ে পেয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর আর ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়া হয়নি তাদের। গত ১৮ বছরে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে আরও দশ ম্যাচ খেলেও ভারতকে হারাতে পারেনি তারা। ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমি-ফাইনালে ভারতের কাছে হেরেই বিদায় নিয়েছিল বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালেও বাংলাদেশের স্বপ্ন থামিয়ে দিয়েছিল ভারত। এবার সময় হয়েছে সেই আক্ষেপ ঘুচানোর। বাকিটা দেখা যাবে মাঠেই। বাংলাদেশের একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মেহেদী হাসান মিরাজ, রিশাদ হোসেন, জাকের আলী, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। ভারতের একাদশ: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুবমান গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার, লোকেশ রাহুল (উইকেটকিপার), রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, হার্দিক পান্ডিয়া, হর্ষিত রানা, মোহাম্মদ শামি ও কুলদীপ যাদব।
ট্রফির নিরাপত্তায় লাহোর-রাওয়ালপিন্ডিতে ১২ হাজার পুলিশ

ট্রফির নিরাপত্তায় লাহোর-রাওয়ালপিন্ডিতে ১২ হাজার পুলিশ নিরাপত্তায় কোনো রকমের ছাড় দিতে রাজি নয় পাকিস্তান। দীর্ঘ ২৯ বছর পর আইসিসির কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সুযোগ পাওয়ায় তাই কঠোর নিরাপত্তা জোরদার করেছে তারা। শুধু দুই ভেন্যুর জন্যই ১২ হাজার পুলিশ সদস্য মোতায়েনের কথা জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো। পাকিস্তানের সেই দুই ভেন্যু হচ্ছে লাহোর ও রাওয়ালপিন্ডি। পাঞ্জাব প্রদেশে অবস্থিত দুটি ভেন্যুই। দুই শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত করেছে সংবাদমাধ্যমগুলো। পাঞ্জাব পুলিশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ১৮ সিনিয়র অফিসার, ৫৪ ডিএসপি, ১৩৫ পরিদর্শক, ১২ শর বেশি উপপরিদর্শক, এবং ১০ হাজার ৫৫৬ জন কনস্টেবলের সঙ্গে ২০০ বেশি নারী পুলিশ কর্মকর্তা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত থাকবেন। লাহোরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৮ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। এর মধ্যে ১২ সিনিয়র অফিসার, ৩৯ ডিএসপি, ৮৬ পরিদর্শক, ৭০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৬ হাজার ৬৭৩ কনস্টেবল এবং ১২৯ জন নারী পুলিশ। অন্যদিকে রাওয়ালপিন্ডিতে থাকবেন ৫ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য। যার মধ্যে ৬ সিনিয়র অফিসার, ১৫ ডিএসপি, ৫০ পরিদর্শক, ৫০০ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ৪ হাজার কনস্টেবল এবং শতাধিক নারী পুলিশ সদস্য। দেশি-বিদেশি সব খেলোয়াড়, কর্মকর্তা ও দর্শক-সমর্থকদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা জানিয়েছেন পাঞ্জাবের পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজি) উসমান আনোয়ার। সঙ্গে আইজি আরো জানিয়েছেন, খেলোয়াড়দের আবাসস্থল, যাতায়াত পথ এবং স্টেডিয়ামের আশপাশে সার্চ, সুইপ, কম্বিং ও গোয়েন্দাভিত্তিক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আগামীকাল পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হবে। ম্যাচটি হবে করাচিতে। টুর্নামেন্ট শুরুর পরের দিন ভারতের বিপক্ষে দুবাইয়ে প্রথম ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
আঙুলে চোট কুনেমানের তবু পিছাবে না বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা

আঙুলে চোট কুনেমানের তবু পিছাবে না বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক টেস্ট সিরিজ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু কুনেমান। দুই টেস্টে ১৭ দশমিক ১৮ গড়ে ১৬ উইকেট শিকার করে বড় অবদান রেখেছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তবে সিরিজ শেষেই তার বিরুদ্ধে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের অভিযোগ ওঠে, যার ফলে তাকে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে হবে। বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেয়ার আগে কুনেমানের অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শেফিল্ড শিল্ডে একটি ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে তাসমানিয়ার হয়ে খেলতে পারছেন না তিনি। এর প্রধান কারণ হলো তার আঙুলের চোট। তবে এই চোটের কারণে তার বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা পিছিয়ে যাচ্ছে না। তিনি পুরোনো বুড়ো আঙুলের চোট নিয়েই পরীক্ষা দেবেন।
অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিলেন লিটন

অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিলেন লিটন ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না লিটন দাসের। বিশেষ করে গেল বছর জাতীয় দলের জার্সিতে রান খরায় ভুগতে দেখা গেছে টপ অর্ডার এই ব্যাটারকে। সাদা বলের ক্রিকেটে লিটন নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন বারবার। বাদ পড়েছিলেন ওয়ানডের ফরম্যাটের দল থেকেও। সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলেও জায়গা হয়নি তারকা এই ক্রিকেটারের। বিপিএলের শুরুতেও ব্যাট হাতে রান ছিলেন না লিটন। তবে টুর্নামেন্টের শুরুর কয়েক ম্যাচ পরেই ব্যাট হাতে রানে ফেরেন তিনি। করেছিলেন ঝোড়ো এক সেঞ্চুরিও। বিপিএল শেষে নিজ জেলা দিনাজপুরে অবস্থান করছিলেন লিটন। পরিবারের সাথে সময় কাটিয়ে ফেরার পর আজ রোববার মাঠের অনুশীলনেও ফিরেছেন তিনি। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে আজ সকাল থেকেই অনুশীলন করতে দেখা গেছে লিটনকে। ইনডোরে ব্যাট হাতে নিজেকে প্রস্তুতে ব্যস্ত ছিলেন এই ওপেনার। বোলিং মেশিনে করেছেন দীর্ঘক্ষণ অনুশীলন, বড় বড় শট খেলতেও দেখা গেছে লিটনকে। আগামী মাসেই মাঠে গড়াবে এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। গেল বছর আবাহনীর হয়ে খেললেও এবার আকাশী নীল জার্সিতে দেখা যাবে না তাকে। কোন দলে খেলবেন সেটিও এখনো অনিশ্চিত। তার আগেই লিটন ফিরলেন অনুশীলনে।