মাঠের বাইরের প্রভাব পড়েনি এনামুল-তাসকিনদের ম্যাচে

মাঠের বাইরের প্রভাব পড়েনি এনামুল-তাসকিনদের ম্যাচে মাঠের বাইরে প্রভাব ম্যাচে ফেলতে দেয়নি দুর্বার রাজশাহী। পারিশ্রমিক নিয়ে ঝামেলা হলেও ঠিকই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন এনামুল হক বিজয়-তাসকিন আহমেদরা। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৬৫ রানে হারিয়ে বিপিএলে জয়েও ফিরেছে রাজশাহী। চট্টগ্রামে প্রতিপক্ষের দেয়া ১৮৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১৯ রানে অলআউট হয়েছে সিলেট। বড় লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার বিপরীতে ড্রেসিংরুমের পথ মাপেন দুই ওপেনার রনি তালুকদার ও পল স্টার্লিং। দলীয় ১৩ রানে দুজনই বিদায় নেন। তৃতীয় উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে সেই নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছিলেন জর্জ মুন্সি ও জাকির হাসান। তবে দলীয় ৭১ রানের সময় জাকিরকে আউট করে রাজশাহীকে মোমেন্টাম এনে দেন মার্ক দেয়াল। নিয়মিত বিরতিতে সিলেটের উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের কাজটা সেরেছে তারা। শেষ দিকে ৩১ রান করে শুধু পরাজয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছেন জাকের আলী অনিক। রাজশাহীর ৬৫ রানের জয়ের ম্যাচে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার সানজামুল ইসলাম। ৭ ম্যাচে তৃতীয় জয় রাজশাহীর।

ক্লার্কের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে খুলনার বিপক্ষে চিটাগংয়ের ২০০

ক্লার্কের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে খুলনার বিপক্ষে চিটাগংয়ের ২০০ গ্রাহাম ক্লার্কের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে ৭ উইকেটে ২০০ রান করেছে স্বাগতিক চিটাগং কিংস। টানা চতুর্থ হার এড়াতে খুলনাকে করতে হবে ২০১ রান। আজ জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারকুটে উসমান খানের উইকেট হারায় চিটাগং। ৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তানি ডানহাতি। দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটিতে করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক। এই জুটিতেই বড় পুঁজির ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। ২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হন ইমন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন ক্লার্ক। ৪৮ বলে পূর্ণ করেন সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ইংলিশ ব্যাটার। শেষ দিকে মারকুটে খেলে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন শামীম হোসেন। যদিও আশানুরূপ খেলাটি দেখাতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ হন লং অনে।অধিনায়ক মোহাম্মদ মিথুনের ১০ বলে অপরাজিত ১১ রানে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে চিটাগং। খুলনার হয়ে বল হাতে চমক দেখান দুই পাকিস্তানি; সালমান ইরশাদ ও মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট।

গোমস্তাপুরে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত

গোমস্তাপুরে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে টিভি, ফ্রিজ কাপ টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে রহনপুর এবি মাঠে এই খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ১৪ টি ফুটবল দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনী খেলায় গোমস্তাপুর ফুটবল দল বনাম আলিনগর ফুটবল দল অংশ নেন। এছাড়া অন্য খেলায় চৌডালা ফুটব দল বনাম ফোকলোর আইটি রহনপুর, কাকল কলেজ ফুটবল দল বনাম মেঘনা যুব সংঘ অংশ নেন। উল্লেখ্য, এই এলাকার ফুটবল খেলাকে সামনের দিকে অগ্রসরে ও যুব সমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষার্থে রহনপুর প্রভাতী ফুটবল দল এই টুনার্মেন্টের আয়োজন করে।

আশ্বাসেও ভরসা নেই ক্রিকেটারদের!

আশ্বাসেও ভরসা নেই ক্রিকেটারদের! ‘‘ক্রিকেটাররা অনেকটা… (আশ্বস্ত হয়েছেন টাকা পাওয়ার ব্যাপারে)। কালকে তারা অনুশীলনেও যাবেন। এর চেয়ে ইতিবাচক আর কী হতে পারে। হোপফুলি কালকে পাবেন টাকা। প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। এজন্যই ইতিবাচক ভাইব আছে বলেই আমি আপনাদের সামনে কথা বলতে এসেছি।’’ দুর্বার রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক জটিলতা নিয়ে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে কথাগুলো বলছিলেন বিসিবির পরিচালক মনজুর আলম। বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের মুখপাত্র হিসেবে তিনি গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। মনজুর আলম যখন কথাগুলো বলছিলেন, তখন হোটেলে থাকা ক্রিকেটাররা বিশ্বাস করতে পারছিলেন না বৃহস্পতিবারও তারা বিপিএলের পারিশ্রমিক পাবেন কি না। একাধিক ক্রিকেটারের সঙ্গে কথা বলে রাইজিংবিডি নিশ্চিত হয়েছে, পারিশ্রমিক দেওয়ার যে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, তাতেও বিশ্বাস হচ্ছে না তাদের। দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা পারিশ্রমিক না পাওয়ায় বুধবারের অনুশীলন বাতিল করে সারাদিন হোটেলে কাটিয়েছেন। তাদের অনেককেই চেক দেওয়া হলে, তা বাউন্স হয়ে ফেরত আসায় ‘প্রতারিত’ অনুভব করছেন ক্রিকেটাররা। শুধু পারিশ্রমিকই নয়, খেলোয়াড়রা দৈনিক ভাতাও পাচ্ছেন না ১০ দিন।  পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছে, খেলোয়াড়রা শুক্রবারের ম্যাচ বয়কটেরও হুমকি দিয়েছে। এমন উদ্বুদ্ধ পরিস্থিতিতে বিকেলে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে উড়ে আসেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। সন্ধ্যায় দুর্বার রাজশাহীর মালিক, অফিসিয়ালদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন একাধিক ক্রিকেটার।  ক্রিকেটাররা সভাপতিকে সাফ জানান, পারিশ্রমিক ছাড়া তারা মাঠে নামবেন না। সভাপতি এরপর মালিকের সঙ্গে একান্তে কথা বলে ক্রিকেটারদের আশ্বস্ত করেন, বৃহস্পতিবারই পারিশ্রমিক পেয়ে যাবেন। কিন্তু তাতেও মন গলেনি ক্রিকেটারদের। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় দলের সঙ্গে নেই। কাল যোগ দেবেন। সেখানে এক সিনিয়র ক্রিকেটার পরিস্থিতি সামলে আগামীকাল সকাল ১০টায় অনুশীলনে ফিরতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু আগামীকালও টাকা না পেলে শুক্রবার ম্যাচ খেলবেন কি না, সেই নিশ্চয়তা দেওয়া হয়নি। বিসিবি পরিচালক মনজুর আলমের কথায় সেই ইঙ্গিত পাওয়া গেল, ‘‘আশা করছি কালকের মধ্যে আমরা একটা সুন্দর সমাধানে আসতে পারব। এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট মহোদয় চেষ্টা করছেন টিম অফিসিয়াল, টিম মালিক ও ক্রিকেটারদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে একটা সমঝোতার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে আসতে। সমঝোতা এখনও প্রক্রিয়াধীন। আশা করি কালকের মধ্যে একটা ভালো ফল আসবে। অধিনায়ক ও আরো কয়েকজনের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট মহোদয় কথা বলেছেন। আমার মনে হয়, সেটিও ভালো সমাধানের পথে।’’ ফারুক আহমেদ সশরীরে চট্টগ্রামে হাজির হলেও দুর্বার রাজশাহীর মালিক শফিক রহমান ছিলেন না। তিনি দেশের বাইরে আছে। কাল ফিরবেন বলে খবর। রাজশাহীর খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিকের ইস্যুটি সভাপতি নিজ থেকে তদারকি করবেন, বলেছেন মনজুর আলম। ‘‘প্রায় সমাধান হয়ে গেছে বলা যায়। কালকে মালিক এলে প্রেসিডেন্ট কথা বলে বাকিটা সমাধান হয়ে যাবে। প্রেসিডেন্ট মহোদয় নিজের এখতিয়ারে রেখেছেন। কালকে সমাধানের পর সেটি আরও বিস্তারিত ব্রিফ করবেন তিনি।’’ খেলোয়াড়দের ম্যাচ বয়কটের বিষয়ে বিসিবির পরিচালকের দাবি, ‘‘কারও পক্ষ থেকে নেতিবাচক কোনো (ম্যাচ বয়কট) এটিটিউড আমরা দেখতে পাইনি।’’ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ৩ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি নেওয়ার কথা ছিল বিসিবির। শুরুতে যা ছিল সাড়ে ৮ কোটি টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও তা কমিয়ে দেওয়া হয়। তাতেও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি। অনেকগুলো দল ব্যাংক গ্যারান্টি ছাড়াই মাঠে নেমেছে। যাদের মধ্যে রয়েছে দুর্বার রাজশাহী। বোর্ড ছাড় দেওয়া এমনটা হয়েছে। বোর্ড বর্তমান পরিস্থিতিতে বিব্রত তা বলতে দ্বিধা করলেন না মনজুর আলম, ‘‘আসলে একটু বিব্রতকর।’’ অনিয়ম, অগোছালো আয়োজন মিলিয়ে বিপিএল। সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ দায়িত্ব পাওয়ার পর সেই আয়োজন পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো আশ্বাসেই কাজ হচ্ছে না। বিপিএল এখনও অপরিবর্তিত।

‘ভুল হয়েছে’ বলে কয়েকঘণ্টা পরই অবসর ভাঙলেন ইহসানউল্লাহ

‘ভুল হয়েছে’ বলে কয়েকঘণ্টা পরই অবসর ভাঙলেন ইহসানউল্লাহ পাকিস্তান ক্রিকেটকে অনেক ভক্ত ‘সার্কাস’ বলে থাকেন। প্রায় সময় দেশটির ক্রিকেটে উদ্ভট সব ঘটনা দেখা যায়; সেখান থেকেই এমন মন্তব্য। এই যেমন গেল ২৮ ঘণ্টার মধ্যেই হয়েছে দুটি নাটকের মঞ্চায়ন। যার প্রযোজনায় ছিলেন ইহসানউল্লাহ। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) দল পাননি, তারই প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ইহসানউল্লাহ। এক সাক্ষাৎকারে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর ওপর ক্ষোভও ঝেড়েছেন ইহসানউল্লাহ। এরপর স্থায়ীভাবে পিএসএল বয়কটের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ইহসানউল্লাহ বলেছিলেন, ‘ভালো পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে বাছাই করেনি। এমনকি কেউ আমার সঙ্গে যোগাযোগও করেনি। আমি আর কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলতে চাই না, পিএসএলকে বয়কট করছি।’ কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তের ওপর ২৪ ঘণ্টাও স্থির থাকতে পারেননি ইহসানউল্লাহ। কয়েক ঘণ্টা পরই ইউটার্ন নিয়েছেন। জানিয়েছেন, রাগের মাথায় আবেগতাড়িত হয়ে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এটি ২২ বছর বয়সী তরুণ পেসারের প্রকৃত সিদ্ধান্ত ছিল না। অবসরের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে কাল ‘জিও সুপার’কে ইহসানউল্লাহ বলেন, ‘আপনি জানেন, ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো আমাকে দলে নেয়নি। তাতে পরিবার ও সাধারণ মানুষের কথাতে আমি বিরক্ত হয়েছি। সে কারণে আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্তটি নিয়েছিলাম। পিএসএলের এখনো ৪ মাস বাকি, আমি এ সময়ে কষ্ট করে যাবো, আল্লাহ চাইলে যারা এখন আমাকে নেয়নি, তারা পরে দলে নিতে পারে। সুতরাং পিএসএল থেকে অবসরের কোনো পরিকল্পনা নেই। আবেগতাড়িত হয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’ নিজের ভুলও স্বীকার করেছেন ইহসানউল্লাহ। এর জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন তিনি। পাক তারকা বলেন, ‘পিএসএল শুরু হতে অনেক সময় বাকি, কিছু ঘরোয়া টুর্নামেন্টও সামনে আছে। গতকালের রাতের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর কাছে ক্ষমা চাইছি। রাগের মাথায় সিদ্ধান্ত নিয়ে ভুল করেছি।’ ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করে সবার নজরে আসেন ইহসানউল্লাহ। ২০২৩ সালের পিএসএলে মুলতান সুলতানসের হয়ে খেলেন ডানহাতি এই পেসার। ১৪ ম্যাচে শিকার করেন ২৩টি। ২০২৩ সালের এপ্রিলেই ডাক পান জাতীয় দলে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই সিরিজেই (ওয়ানডে) কনুইয়ের ইনুজরিতে পড়েন তিনি। চোটের সঙ্গে দীর্ঘদিন লড়াই করে গত মাসে ক্রিকেটে ফেরেন ইহসানউল্লাহ। তবে আগের মতো গতিতে বোলিং করতে পারছিলেন না তিনি। যে কারণে এ পেসারের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন মুলতান সুলতানসের মালিক আলী তারিন। তিনি বলেছিলেন, আগের মতো গতিতে ইহসানউল্লাহ বোলিং করতে পারবেন না। এরপরই গণমাধ্যমে এসে বিদ্রোহ করেন ইহসানউল্লাহ। ইহসানউল্লাহ আশা করছেন, তিনি আবার ১৫০ কিলো গতিতে বোলিং করতে পারবেন। সেটি করতে পারলে হয়তো শেষ সময়ে পিএসএলে দলও পাবেন। তরুণ পেসার বলেন, ‘স্পিডগান অনুসারে ঘণ্টায় ১৩০-৩৫ কিলোমিটারে বোলিং করছি, সেটা আসলে টিভিতে যা দেখা যায়, তার ১৪০ কিলোমিটার গতির সমান। এক দিন আগে পেশোয়ারে একটি ম্যাচে আমি আরও গতিতে বোলিং করার চেষ্টা করেছি, সেখানে ঘণ্টায় ১৪২ কিলোমিটারও ছুঁয়েছি। আমি ধীরে ধীরে উন্নতি করার চেষ্টা করবো।’

সিলেটের সামনে ২০৪ রানের লক্ষ্য চিটাগাংয়ের

সিলেটের সামনে ২০৪ রানের লক্ষ্য চিটাগাংয়ের পারভেজ হোসেন ইমন ফেরেন শুরুতেই। তার ব্যর্থতার পর অবশ্য পথ হারায়নি চিটাগাং কিংস। উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্কের জুটিতে তারা পায় বড় রানের ভিত। পরে শেষটা দারুণ করেন মোহাম্মদ মিঠুন ও হায়দার আলী। সিলেটে বিপিএলের ম্যাচে চিটাগাং কিংসের মুখোমুখি হয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান করেছে চিটাগাং। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের চতুর্থ ওভারেই প্রথম উইকেট হারায় চিটাগাং কিংস। ১০ বলে স্রেফ ৭ রান করে আউট হয়ে যান পারভেজ হোসেন ইমন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লিটন দাসের জায়গায় নেওয়া হয় তাকে। আগের দিন লিটন সেঞ্চুরি করলেও ব্যর্থ হন ইমন।  তাকে হারালেও চিটাগাংকে পথ হারাতে দেননি উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্ক। তাদের দুজনের জুটিতে ৩৯ বলে আসে ৬৮ রান। আরিফুল হকের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে উসমান আউট হলে এই জুটি ভেঙে যায়। ৩৫ বলে ৮ চার ও ১ ছক্কায় ৫৩ রান করেন তিনি। গ্রাহাম ক্লার্কও সেঞ্চুরি তুলেই ফেরেন। ৩৩ বলে ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৬০ রান করেন তিনি। শেষদিকে ১৯ বলে ২৮ রান করেন মিঠুন। ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ১৮ বলে ৪২ রান করেন হায়দার আলী।

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন সাকিব-লিটন

বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা, বাদ পড়লেন সাকিব-লিটন সাকিব-লিটনকে ছাড়াই টাইগারদের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। রোববার (১২ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১টার এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি আসন্ন মেগা ইভেন্টটির জন্য বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে। জানা গেছে, চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টাইগারদের নেতৃত্ব দেবেন নাজমুল হোসেন শান্ত। দলে আরও রয়েছেন সৌম্য সরকার, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমদুউল্লাহ রিয়াদ, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাসুম আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান সাকিব ও নাহিদ রানা। এদিন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু দল ঘোষণা করেন। আইসিসির কাছে ১৫ সদস্যের স্কোয়াড জমা দিলেও আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দল পরিবর্তনের সুযোগ থাকবে। আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর্দা উঠবে, যা ৯ মার্চ পর্যন্ত চলবে। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করবে শান্ত বাহিনী।

তামিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে যা বললো বিসিবি

তামিমকে ধন্যবাদ জানিয়ে যা বললো বিসিবি কিছুদিন আগেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফির স্কোয়াডে তামিমকে পাওয়া নিয়ে অপেক্ষার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে সব অনিশ্চয়তা দূর করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন দেশসেরা এই ওপেনার। দেশের ‘সবচেয়ে সুন্দর’ ওপেনিং ব্যাটার উল্লেখ করে তামিমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে বিসিবি। নিজেদের অফিসিয়াল ফেসবুক পোস্টে তামিমের জন্য বার্তা দিয়েছে দেশের ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা। বিসিবি লিখেছে, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর ওপেনিং ব্যাটসম্যানের অবসর ঘোষণায় অসাধারণ একটি অধ্যায়ের সমাপ্তি হয়ে গেল। আইকনিক সেঞ্চুরি থেকে অগণিত অবিস্মরণীয় স্মৃতি, ক্রিকেটভক্তদের মনে আপনার লিগেসি চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।

বড় জয় দিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল শ্রীলঙ্কা

বড় জয় দিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়াল শ্রীলঙ্কা ২১ রান তুলতেই নেই ৫ উইকেট। ঘরের মাঠে নিউ জিল্যান্ডের এমন করুণ দশা শেষ কবে হয়েছিল? ২০২৩ সালের ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিপক্ষে ৬৩ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছিল তারা। কিন্তু পরের ৫ উইকেটে তারা যোগ করতে পারে মাত্র ৩৫ রান। অলআউট হয়েছিল ৯৮ রানে। আজ অবশ্য অকল্যান্ডে শুরুর বিপর্যয়ের পর কিছুটা লড়াই করতে পারে তারা। সবকটি উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করতে পারে ১৫০ রান। শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯০ রানের টার্গেটে তারা গুটিয়ে যায় অল্পতেই। ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ হেরে শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার সূবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করে কিউইরা। প্রথম দুই ম্যাচ জেতায় ওয়ানডে সিরিজ তারা নিশ্চিত করেছে ২-১ ব্যবধানে। যা তাদের ঘরের মাঠে টানা অষ্টম ওয়ানডে সিরিজ জয়। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ২৯০ রান করে। জবাবে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে ২৯.৪ ওভারে অলআউট হন নিউ জিল্যান্ড।

হ্যাটট্রিক হলো না খুলনার, জয়ে ফিরল রাজশাহী

হ্যাটট্রিক হলো না খুলনার, জয়ে ফিরল রাজশাহী হ্যাটট্রিক জয় আর পাওয়া হলো না খুলনা টাইগার্সের। সেই সঙ্গে বিপিএলে তাদের অপরাজিত যাত্রাও থামল। ২৮ রানে হারিয়ে তাদের তিক্ত স্বাদটা দিয়েছে দুর্বার রাজশাহী। টানা তৃতীয় জয় পাওয়ার লক্ষ্যে ১৭৯ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় খুলনা। দলীয় ২৬ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। ওপেনার উইলিয়াম বসিস্টোর ৬ রানের বিপরীতে অধিনায়ক মিরাজ আউট হন ১ রানে। চারে নেমে ৩৩ রান করা আফিফ হোসেন ধ্রুব দলের হাল ধরার চেষ্টা করলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি তিনি। বাঁহাতি ব্যাটারের সঙ্গে হারের ব্যবধান কমাতে ওপেনার নাঈম শেখ করেন ২৪ রান। অন্যদিকে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ১৮ রানের বিপরীতে ১৮ রান করেন নাসুম আহমেদ। ব্যাটিং ব্যর্থতায় পরে ১৫০ রানে অলআউট হয় খুলনা। রাজশাহীর হয়ে বোলিং করা ৭ বোলারই কমপক্ষে একটি করে উইকেট পেয়েছেন। টানা দ্বিতীয় পরাজয়ের পর অবশেষে ২৮ রানের জয় পেয়েছে রাজশাহী। এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে ১৭৮ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান করে দলকে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ হারিস ও জিশান আলম।