বাংলাদেশের বিপক্ষে দল ঘোষণা ওয়েস্ট উইন্ডিজের

বাংলাদেশের বিপক্ষে দল ঘোষণা ওয়েস্ট উইন্ডিজের বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। গতকাল ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচ চলাকালে দল ঘোষণা করে ক্যারিবিয়ানরা। টেস্ট ও ওয়ানডেতে পারফর্ম করে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি দলে ডাক পেয়েছেন কেসি কার্টি। এছাড়া চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন মারকুটে ব্যাটার জনসন চার্লস। তবে শেরফাইন রাদারফোর্ড ও ওয়ানডে অধিনায়ক শেই হোপকে পাচ্ছে না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বিগ ব্যাশের জন্য এই দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬, ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর হবে টি-টোয়েন্টি সিরিজের তিন ম্যাচ। সবগুলো ম্যাচই অনুষ্ঠিত হবে সেন্ট ভিনসেন্টে।

চট্টগ্রামের দারুণ জয়ের দিনে রোমাঞ্চ ছড়াল খুলনা-বরিশাল

চট্টগ্রামের দারুণ জয়ের দিনে রোমাঞ্চ ছড়াল খুলনা-বরিশাল সিলেটের জিততে তখন প্রয়োজন ৭ বলে ২০, হাতে আছে ১ উইকেট। এমন অবস্থায় আহমেদ শরিফের করা ১৪তম ওভারের শেষ বলটা ছক্কায় উড়িয়ে দিলেন নাঈম আহমেদ। শেষ ওভারে ১৪ রানের সমীকরণেও আশা দেখেছিল সিলেট। তবে ইফরান হোসেনের বলে নাঈম আউট হতেই ১৪ রানের জয়ের আনন্দে মাতে চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামের অনায়াস জয়ের দিনে রোমাঞ্চের সবটা দেখিয়েছে খুলনা ও বরিশাল। ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত খেলেছে দুই দল। তাতে ম্যাচের পরতে পরতে উত্তেজনা ছড়িয়ে ১ রানের জয় পেয়েছে খুলনা। বরিশালের ওপেনার আব্দুল মজিদের মন্থর ব্যাটিংয়ের সঙ্গে দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচটা নিজেদের করে নিয়েছে খুলনা।  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সিলেট আউটার স্টেডিয়ামে খেলতে নামে চট্টগ্রাম ও সিলেট। ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করে তামিম ইকবালের ঝড়ো ফিফটিতে ১৫ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রানের সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম। জবাব দিতে নেমে ১৪.২ ওভারে ১৩৩ রানেই থামে সিলেটের ইনিংস।

তামিমের ঝোড়ো ফিফটিতে জয় চট্টগ্রামের, ১ রানে হার বরিশালের

তামিমের ঝোড়ো ফিফটিতে জয় চট্টগ্রামের, ১ রানে হার বরিশালের এনসিএল টি-টোয়েন্টির দ্বিতীয় দিনে ঝোড়ো হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম ইকবাল। এরপর জিতেছে তার দলও। হাফ সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন বরিশালের আব্দুল মজিদও, তবে তার দল জয় পায়নি। চার উইকেট করে নিয়েছেন সিলেটের খালেদ ও বরিশালের কামরুল ইসলাম রাব্বি। একাডেমি মাঠে সিলেটকে ১২ রানে হারিয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৫ রান করে চট্টগ্রাম। পরে ওই রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভার দুই বল খেলে ১৩৩ রানে অলআউট হয় সিলেট।   এ ম্যাচে চট্টগ্রামের হয়ে ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরি করেন তারকা ক্রিকেটার তামিম ইকবাল। স্রেফ ২৭ বলে অর্ধশত পূর্ণ করেন তিনি। ৮ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৩ বলে ৬৫ রান করে তোফায়েল আহমেদের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি। ১৭ বলে ২৯ রান আসে আরেক ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাট থেকে। ১২ বলে ১৮ রান করেন সাব্বির হোসেন। সিলেটের হয়ে ৩ ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট নেন সৈয়দ খালেদ আহমেদ। রান তাড়ায় নামা সিলেটের হয়ে অনেকটা একাই লড়েন ওপেনার তৌফিক খান তুষার। ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ৩৬ বলে ৭৬ রান আসে তার ব্যাট থেকে। কিন্তু দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তোফায়েল আহমেদ করেন ১১ বলে ১৪ রান। চট্টগ্রামের হয়ে তিন উইকেট করে নেন হাসান মুরাদ ও নাঈম হাসান। মূল মাঠে বরিশালের বিপক্ষে ১ রানে জয় পেয়েছে খুলনা। শুরুতে ব্যাট করে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান করে খুলনা। ওই রান তাড়ায় নেমে পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ৯ উইকেটে ১২৯ রানের বেশি করতে পারেনি বরিশাল। খুলনার হয়ে এই ম্যাচে সর্বোচ্চ রান আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে। ৩৫ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। ৮ বলে ১৭ রান আসে জিয়াউর রহমানের ব্যাটে। ৪ ওভারে ২৩ রান দিয়ে চার উইকেট নেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। রান তাড়ায় নামা বরিশালের হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন ওপেনার আব্দুল মজিদ। ৫৩ বলে ৫১ রান করে আউট হন তিনি। শেষদিকে ২৭ বলে ৪৩ রান করেন মঈন খান। তবে সেটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। খুলনার হয়ে দুই উইকেট করে নেন নাহিদুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান রানা।

বসুন্ধরা সিটিতে প্রদর্শিত হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি

বসুন্ধরা সিটিতে প্রদর্শিত হলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ চারদিক থেকেই। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে এই আয়োজন ঘিরে ছিল দর্শনার্থীদের ভিড়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই তারা এসে কেউ ছবি তুলে, কেউবা সেলফিতে ট্রফির সঙ্গে নিজেকে ফ্রেমবন্দি করে রেখেছেন। ট্রফি ছাড়াও এদিন দুটি মাসকট ছিল। সেগুলোর সঙ্গে ছবি তোলেন দর্শকরা। তাদের জন্য আলাদা করে ছিল গেমিং জোন। তাতে জিততে পারলে দেওয়া হয় পুরস্কারও।  ট্রফি দেখে উচ্ছ্বসিত এক দর্শনার্থী বলেন, ‘আশা করি, বাংলাদেশ একদিন চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে আসবে। আমাদের সামনে ক্রিকেটাররা ট্রফি নিয়ে ঘুরবে। ছাদখোলা বাসে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হবে। ’ এর আগে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফিও প্রদর্শিত হয়েছিল বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে। জনসাধারণ হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল বিশ্বকাপ ট্রফিটি দেখতে। বিশ্বকাপ ফুটবলের ট্রফিও প্রদর্শিত হয়েছিল বসুন্ধরা সিটিতে। এবার এলো চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসে ট্রফিটি। গতকাল কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৩ ডিসেম্বর ট্রফি থাকবে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে হওয়ার কথা রয়েছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসর। যদিও ভেন্যু নিয়ে সংশয় কাটেনি। পাকিস্তানেই হবে নাকি হাইব্রিড মডেলে তা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

দুই ঢাকার জয়ের দিনে সিলেট ও বরিশালের হার

দুই ঢাকার জয়ের দিনে সিলেট ও বরিশালের হার সিরিজ শুরুর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে পরিসংখ্যান ছিল বিব্রতকর। সবশেষ ১১ ম্যাচের একটিও জিততে পারেনি ক্যারিবীয়রা। চলমান সিরিজে সব হিসেবনিকেশ বুঝিয়ে দিতেই যেন নেমেছে তারা। প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয়ের পর এবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখল শাই হোপের দল। বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১০ বছর পর সিরিজও নিজেদের করে নিলো তারা। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ ২০১৪ সালে সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এরপর আর কোনো সিরিজেই সুবিধা করতে পারেনি ক্যারিবীয়রা। এক দশক পর সেই আক্ষেপে প্রলেপ টানল হোপের দল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে ব্যাটিংটা মনমতো করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের ধারেকাছেও যেতে পারেনি। উইন্ডিজের বোলিং তোপে ২২৭ রানেই গুটিয়ে যায় মেহেদি হাসান মিরাজের দল। জবাব দিতে নেমে দাপুটে ব্যাটিংয়ে ৭ উইকেট ও ৭৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ২ উইকেট হারালেও আরিফুল ইসলামের ৪৬ বলে ৯৪ রানের ইনিংসেই মূলত জয়ের দিকে ধাবিত হয় ঢাকা। তার ইনিংসে ছিল ৮টি ছক্কা ও ৬টি চারের মার। এর সঙ্গে শুভাগত হোমের সমান ২টি করে চার-ছক্কায় ১৮ বলে ৩১ রানে ভর করে জয় তুলে নেয় ঢাকা। দিনের অন্য ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে ঝড় তোলেন ঢাকা মেট্রোর টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার।  ইমরানুজ্জামানের ৩৩ বলে ৫৩, নাঈম শেখের ৩৫ বলে ৬৫ ও তাজিবুল ইসলামের ২৫ বলে ৩৬ রানের তিনটি ইনিংসে ভর করে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রানের পুঁজি পায় ঢাকা মেট্রো। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই বিদায় নেন বরিশালের দুই ওপেনার। ওয়ানডাউনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৫২ বলে ৭৭ রানের ইনিংস খেললেও তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হয়নি। শেষদিকে সোহাগ গাজী ৩২ বলে ৪০ করলেও টি-টোয়েন্টির চাহিদা মেটাতে পারেননি। ফলে ১৬২ রানেই থামতে হয় বরিশালকে।

রাতে দেশে ফিরবে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা

রাতে দেশে ফিরবে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা ভারতকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার সেরা হলো যুবা টাইগাররা। গতকাল ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এশিয়া কাপ জয়ের পর আজ রাতে দেশে ফিরবেন ক্রিকেটাররা। সঙ্গে আসবেন কোচিং স্টাফের সদস্যরাও। হযরত শাহাজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে রাত এগারোটায় এসে পৌঁছাবেন যুব দলের ক্রিকেটাররা। এদিকে জুনিয়র টাইগারদের সাফল্যে অভিনন্দ জানিয়েছেন দেশের তারকা ক্রিকেটাররাও। অভিনন্দন বার্তায় অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম লিখেছেন, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমাদের অনূর্ধ্ব-১৯ টিমকে অভিনন্দন।

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ যে কোনো ফরম্যাটেই হোক, ভারতকে হারানোর আনন্দই আলাদা। সেটা সিনিয়র কিংবা জুনিয়র- যে কোনো পর্যায়েই হোক। এবার যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটের ফাইনালে ভারতকে ৫৯ রানের ব্যবধানে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ। দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাট করতে পাঠায় ভারত। ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে বাংলাদেশের ব্যাটাররা খুব বেশি ভালো কিছু উপহার দিতে পারেননি। ৪৯.১ ওভারে ১৯৮ রান করে অলআউট হয়ে যায়। জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের মুখে কোনঠাসা হয়ে যায় ভারতও। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে অলআউট হলো ভারতীয় যুব ক্রিকেট দল এবং সে সঙ্গে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশের যুবারা। বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নেন ইকবাল হোসেন ইমন ও আজিজুল হাকিম। ২ উইকেট দখল করেন আল ফাহাদ। ১টি করে উইকেট নেন মারুফ মৃধা ও রিজান হোসেন। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। দলীয় ১৭ রানের মাথায় ফিরে যান ওপেনার কলিম সিদ্দিকী। তার বিদায়ে অধিনায়ক আজিজুল হাকিমের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অন্য ওপেনার জাওয়াদ আবরার। জাওয়াদ-আজিজুল মিলে প্রাথমিক ধাক্কাটা সামাল দেন। তবে জুটি বড় হয়নি। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ২০ রান করে বিদায় নেন জাওয়াদ। তার বিদায়ের পর আজিজুলের সঙ্গে জুটি বাঁধেন মোহাম্মদ শিহাব জেমস। দুজন মিলে দলকে পঞ্চাশের ঘর পার করান। এই জুটিও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। দলীয় ৬৬ রানের মাথায় তুলে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ধরা পড়েন আজিজুল। তিনি ২৮ বলে করেন ১৬ রান। এরপর শিহাব ও রিজান হোসেন মিলে দারুণ একটা জুটি গড়েন। দুজন মিলে সাবলীল খেলে দলকে নিয়ে আগাতে থাকেন। ১২৮ রানের মাথায় শিহাব ৪০ রান করে বিদায় নিলে ভাঙে এই জুটি। এরপর দ্রুতই বিদায় নেন দেবাশীষ দেবা (১)। দলকে দেড়শ পার করে একই পথ ধরেন ৪৭ রান করা রিজান। তার ৬৫ বলের ইনিংসটিতে ছিল ৩টি চারের মার। রিজানের বিদায়ের পর সামিউন বশির এবং আল ফাহাদও বিদায় নেন দ্রুত। এক প্রান্ত আগলে খেলতে থাকেন ফরিদ হোসেন। তাকে সঙ্গ দেন মারুফ মৃধা। ফরিদ ও মারুফ মিলে দলের চাহিদা অনুয়ায়ী খেলতে থাকেন। দলীয় ১৯৭ রানের মাথায় লেগ বিফোরের ফাঁদে পরে বিদায় নেন ফরিদ। ৪৯ বলে ৩৯ রান করেন তিনি। এরপর আর বড় হয়নি বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন হার্দিক রাজ, যুধাজিত গুহ ও চেতন শর্মা। ১টি করে উইকেট নেন কিরন চরমালি, কার্তিকীয়া ও আয়ুশ মহাত্র। এক বছর আগে, ২০২৩ সালে এই দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামেই স্বাগতিক আরব আমিরাতকে হারিয়ে যুব এশিয়া কাপ ক্রিকেটে প্রথম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো বাংলদেশ।

নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান নাহিদ রানা

নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান নাহিদ রানা ৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ সমতায় শেষ করতে দলের হয়ে বড় ভূমিকা রাখেন বাংলাদেশের তরুণ পেসার নাহিদ রানা। সিরিজ শেষে প্রশংসায় ভাসলেও, নিজের পারফরমেন্সের দিকে আরও মনোযোগ দিতে চান তিনি। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই দারুণ ছন্দে আছেন রানা। বল হাতে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। শুধুমাত্র গতি দিয়েই নয়, লাইন-লেন্থ বজায় রেখে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সুনামও কুড়িয়েছেন রানা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে প্রথম টেস্টে খেলার সুযোগ না পেলেও, দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমেই চমক দেখিয়েছেন রানা। প্রথম ইনিংসে ৬১ রানে ৫ উইকেট নেন তিনি। ২০০৯ সালের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয়ে বড় অবদান রেখেছে  রানার  ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও রানাকে ঘিরে চলছে আলোচনা। তাকে ভবিষ্যতের তারকা হিসাবে মনে করেছেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। রানার প্রশংসা করেছেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও। তবে প্রশংসায় নিজেকের না ভাসিয়ে দিয়ে শেখার দিকে আরও মনোনিবেশ করতে চান রানা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পোস্ট করা একটি ভিডিও বার্তায় আজ রানা বলেন, ‘বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যা চলছে, সেগুলোতে আমি মনোযোগ দেই না। আমি একটি বিষয়ে ফোকাস করছি, মাঠে কিভাবে পারফর্ম করতে হয় এবং কিভাবে দলের জন্য সেরাটা দিতে হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোচদের তত্ত্বাবধানে আছি যারা আমাকে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখাচ্ছেন। আমি বিভিন্ন দেশের কন্ডিশনে খেলে প্রতিদিন নতুন কিছু শিখছি।’ টেস্ট ম্যাচের বিভিন্ন কন্ডিশনে গতি বাড়ানো ও কমানোর পারদর্শীতা দেখিয়েছেন রানা। তিনি বলেন, ‘শেখার কোন শেষ নেই। এখানে আসার পরও আমি শিখেছি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের পিচে কিভাবে বল করতে হয় এবং এখানে কোন লাইন-লেন্থে বল করা উচিত। আমি এখনও শেখার প্রক্রিয়ায় আছি।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার এবং বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের সাথে দেখা করেছেন রানা। ওয়ালশের সাথে তার কথোপকথনের গল্প শেয়ার করেছেন তিনি। রানা বলেন, ‘আমি তার সাথে দেখা করেছি। ওয়ালশ বলেছেন, তুমি যেখানেই থাকেন না কেন, শিখতে থাকো এবং নিজের ফিটনেস ধরে রাখো। জীবনে যেখানেই যাবে, শিখবে। শেখার কোন শেষ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘জ্যামাইকার শেষ ম্যাচের পর কোর্টনি ওয়ালশ আবার নিজের এবং ফিটনেসের যত্ন নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন নতুন নতুন জিনিস শিখো থাকুন, এটা তোমার জন্য উপকারী হবে।’

শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশ

শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচের স্কোয়াড ঘোষণা করল বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড নারী দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ নারী দল। এই সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচের জন্য দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বোর্ড (বিসিবি)।সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের দল থেকে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। অপরিবর্তিত স্কোয়াড নিয়েই সিরিজের শেষ ম্যাচ খেলবে স্বাগতিকরা।সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে ইতোমধ্যেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ তাই স্বাগতিকদের জন্য মান বাঁচানোর লড়াই। তৃতীয় টি-টোয়েন্টির জন্য বাংলাদেশ স্কোয়াড- নিগার সুলতানা জ্যোতি (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন, দিলারা আক্তার, শারমিন আক্তার সুপ্তা, সোবহানা মোস্তারি, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মণি, রাবেয়া, ফাহিমা খাতুন, ফারিহা ইসলাম তৃষ্ণা, জাহানারা আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা, তাজ নাহার, সানজিদা আক্তার মেঘলা।

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ

ব্যাটারদের ব্যর্থতায় সিরিজ হারল বাংলাদেশ প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজে এগিয়ে ছিলো আয়ারল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে সিরিজ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মাঠে নামে তারা। তবে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামে বাঘিনীরা। আগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশকে ১৩৫ রানের টার্গেট আয়ারল্যান্ড। ১৩৫ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৮৭ রানে অল আউট হয় নিগার সুলতানারা। পাওয়ার প্লের সুবিধাটা নিতে পারেনি স্বাগতিকরা। নির্ধারিত ৬ ওভারের আগেই টাইগ্রেসরা ২২ রান তুলতেই হারিয়ে ফেলে চার উইকেট। দলীয় স্কোর বোর্ডে ৫০ রান তুলতে তাদের খরচ হয় ৯ ওভারেরও বেশি। এমন খাদের সামনে চলে আসা দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় ছিলেন শারমিন আক্তার। স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে জুটি গড়ে রান বাড়িয়ে নেন দলের স্কোরবোর্ডে। স্বর্ণা ২০ রান করে আউট হলেও ব্যাট হাতে ক্রিজ আগলে ছিলেন শারমিন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করে ফেরেন তিনি। আর কোনো বড় ইনিংস করতে না পরায় ৮৭ রানেই থেমে যায় স্বাগতিকরা । আজ টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করে দুই আইরিশ ওপেনার গ্যাবি লুইস এবং অ্যামি হান্টার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কেউই। ১৪ রান করে লুইস আউট হলে ২৩ রান করে তাকে সঙ্গ দেন হান্টার। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে রান তুলতে থাকেন ওরালা প্রেন্ডারগাস্ট। ২৫ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলেন এই আইরিশ ব্যাটার। এরপর লরা ডেলানিকে সঙ্গে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন লেয়াহ পল। কিন্তু ১৮তম ওভারে জাহানারার বলে ক্যাচ আউট হন ১৬ রান করা পল। শেষ দিকে ডেলানি ৩৫ রানে আউট আউট হলে, রাহ ফোর্বস ৪ রান এবং রেবেকা স্টোকেলে অপরাজিত ৯ রানে ভর করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৩৪ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পায় আয়ারল্যান্ড। বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট শিকার করেন নাহিদা আক্তার। এ ছাড়াও জাহানারা আলম, জান্নাতুল ফেরদৌস এবং ফাহিমা খাতুন একটি করে উইকেট।