৩৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সামনে ২৯৬ রানের টার্গেট

৩৭ ওভারে শ্রীলঙ্কার সামনে ২৯৬ রানের টার্গেট নাজমুল হোসেন শান্ত সেঞ্চুরির অপেক্ষা করছিলেন, সেটা বোঝা গেল স্পষ্টভাবে। লাঞ্চের পর সেঞ্চুরি করতে সময় নিয়েছিলেন ২২ বল। এরপর ২৫ রান করেছেন মাত্র ৯ বলে। ১২৫ রানে নিজে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়েছেন। দলের স্কোর হয়েছে ২৮৫। এমন সময়েই ইনিংসের ইতি টানেন শান্ত। শ্রীলঙ্কার সামনে টার্গেট ২৯৬। গল টেস্টের ৫ম দিনে খেলা বাকি ৩৭ ওভারের। এরমাঝে অবশ্য বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে। শ্রীলঙ্কা ম্যাচের ফল বের করতে চাইবে নাকি সময় পার করবে, সেটাই দেখার বিষয়। তবে বাংলাদেশ এই মুহূর্তে আগ্রাসী বল করতে চাইবে, সেটা অনেকটাই অনুমেয়। ৫ম দিনের খেলার শুরুতেও ১৮৭ রানের লিড ছিল বাংলাদেশের। অপরাজিত ছিলেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম। দুজনের এদিনের শুরুটা ছিল সাবধানী আর ধীরগতির। সেখান থেকে অবশ্য বাংলাদেশ খুব একটা পিছিয়েও ছিল না। লাঞ্চের আগে বৃষ্টি হানা দেয়। তার ঠিক আগের বলে মুশফিক রানআউট হন ৪৯ রানে। শান্ত তখন সেঞ্চুরি থেকে ১১ রান দূরে। এই একটা সেঞ্চুরিই শান্তর নাম তুলতে পারতো বৈশ্বিক কিংবদন্তিদের রেকর্ডে। শান্ত তাই সাবধানী হয়েই খেললেন। ১১ রান করতে খরচ করেছেন ২২ বল। তবে অপরপাশে স্পিনের দুর্দান্ত সুইংয়ে বোকা হয়ে ফিরতে হয়েছে লিটন কুমার দাস এবং জাকের আলী অনিককে। এরপর নাইম সঙ্গ দিয়েছেন দারুণভাবে। সেঞ্চুরির পর শান্তও ছিলেন আগ্রাসী। শেষ পর্যন্ত স্কোরবোর্ডে বাংলাদেশ জমা করে ২৯৫ রানের বড় এক লিড। দিনের বাকি সময়ে অন্তত হারতে হচ্ছে না এমন আভাস পেয়েই হয়ত ইনিংস ঘোষণা করেন শান্ত।
আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়

আরচ্যারিতে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয় এশিয়ান কাপ আরচ্যারিতে বাংলাদেশের আরচ্যার আব্দুর রহমান আলিফ স্বর্ণ জিতেছেন। ফাইনালে জাপানের মিয়াতা গাকুতোকে ৬-৪ সেট পয়েন্টে পরাজিত করেন আসিফ। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আজ শুক্রবার (২০ জুন) রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টের প্রথম সেটে আলিফ ২৮ স্কোর করেন। তার প্রতিপক্ষ জাপানি আরচ্যার মিয়াতা করেন ২৭ পয়েন্ট। তাতে বাংলাদেশের আলিফ ২-০ সেট পয়েন্টে লিড পায়৷ দ্বিতীয় সেটে আলিফ ২৯ আর জাপানি আরচ্যার ২৮ করলে বাংলাদেশের স্বর্ণ জয়ের সম্ভাবনা বাড়ে। পরের দুই সেটের একটি জিতলে শেষ সেট প্রয়োজন হতো না। বাংলাদেশের আরচ্যার আলিফ তৃতীয় ও চতুর্থ সেটে হেরে যান৷ মিয়াতার ২৮ ও ২৭ স্কোরের বিপরীতে আলিফ করেন ২৭ ও ২৬। ফলে ৪-৪ সেট পয়েন্টে সমতা আসে। পঞ্চম ও শেষ সেট শিরোপা নির্ধারণীতে পরিণত হয়। আলিফ শেষ সেটে ৩০ এর মধ্যে ২৯ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন। জাপানি আরচ্যার মিয়াতা ২৬ পয়েন্ট পেলে আলিফ শেষ সেট জেতেন৷ এতে ৬-৪ সেট পয়েন্টে রিকার্ভ পুরুষ ব্যক্তিগত ইভেন্টে বাংলাদেশের স্বর্ণ নিশ্চিত হয়। আলিফ বাংলাদেশের উদীয়মান রিকার্ভ আরচ্যার। বিকেএসপির এই আরচ্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছেন কয়েক বছর যাবত। এশিয়ান কাপ আরচ্যারির স্বর্ণ জয় তার ক্যারিয়ারের সেরা সাফল্য। তার আগে বাংলাদেশের রোমান সানা এমন কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন৷
নিশাঙ্কার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে হতাশায় বাংলাদেশ

নিশাঙ্কার দেড়শ ছাড়ানো ইনিংসে হতাশায় বাংলাদেশ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেললেন পাথুম নিশাঙ্কা। যদিও দুইশর ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি নিজের ইনিংস। গল টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৩৬৮ রান। কামিন্দু মেন্ডিস ৩৭ ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৭ রানে আগামীকাল খেলতে নামবেন। বাংলাদেশ থেকে ১২৭ রানে এগিয়ে আছে তাদের দল। আজ ৯ উইকেটে ৪৮৪ রান নিয়ে দিন শুরু করা বাংলাদেশ থেমে যায় ৪৯৫ রানেই। ৮৮ বলে ফিফটি হাঁকানো নিশাঙ্কা ১৩৬ বলে পূর্ণ করে নেন দেশের মাটিতে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি। নাঈমের বল সাদমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ৫৪ রানে ফেরেন এই লঙ্কান ব্যাটার। চারে নামা অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস নেমেও ভালো শুরু করেন। নিশাঙ্কাকে সঙ্গ দিয়ে এগোতে থাকেন তিনি। হাসানের দারুণ ডেলিভারিতে স্টাম্প এলোমেলো হয়ে যায় তার। ২৫৬ বলে ২৩ চার ও এক ছক্কায় ১৮৭ রান করে ফেরেন তিনি।
আইনি লড়াইয়ে আবারও হার, ৫৩৯ কোটি রুপি গুনতে হবে বিসিসিআইকে

আইনি লড়াইয়ে আবারও হার, ৫৩৯ কোটি রুপি গুনতে হবে বিসিসিআইকে আইপিএলের দল কোচি টাস্কার্স কেরালার চুক্তি বাতিলের ঘটনায় আবারও বড় ধাক্কা খেলো ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। সাবেক আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজিটির সঙ্গে চলমান মামলায় এবার আদালত বিসিসিআইকে দিতে বলেছেন প্রায় ৫৩৯ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণ। বোম্বে হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়েছে, কোচি ক্রিকেট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩৮৫ কোটি ৫০ লাখ রুপি এবং রন্দেভু স্পোর্টস ওয়ার্ল্ডকে ১৫৩ কোটি ৫৪ লাখ রুপি পরিশোধ করতে হবে বিসিসিআইকে। কোচি টাস্কার্স কেরালার মালিকানা ছিল এই দুই প্রতিষ্ঠানের হাতে। মূলত ২০১৫ সালে এই মামলার জন্য আদালত যেসব সালিশকারীদের নিয়োগ দিয়েছিলেন, তাদের রায়ই এবার বহাল রাখা হয়েছে। ওই রায়ে বিসিসিআইকে প্রাথমিকভাবে ৫৫০ কোটি রুপি জরিমানা করার কথা বলা হয়েছিল। যদিও সে সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিটির পক্ষ থেকে অর্থের বদলে আইপিএলে ফেরার সুযোগ চাওয়া হয়েছিল। বিসিসিআই তখন আপিল করে, যার ফল এসেছে এখন। ২০১০ সালে আইপিএলে অন্তর্ভুক্ত হয় কোচি টাস্কার্স কেরালা। তবে বিতর্কিতভাবে সুযোগ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দলটির বিরুদ্ধে। ২০১১ আসরে অংশ নিলেও একই বছর সেপ্টেম্বরে তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে আইপিএল কর্তৃপক্ষ। মূলত নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফির ১০ শতাংশ। যার পরিমান প্রায় ১৫৬ কোটি রুপি। এই পরিমান অর্থ জমা না দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমগুলোতে তখন জানানো হয়, মালিকানা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এই বিলম্ব ঘটে। এই ঘটনার পর থেকেই শুরু হয় দুই পক্ষের দীর্ঘ আইনি লড়াই, যার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়নি ১৪ বছরেও। বোম্বে হাইকোর্টের সর্বশেষ রায়ের বিরুদ্ধেও বিসিসিআই চাইলে আপিল করতে পারবে। এ জন্য তাদের হাতে সময় আছে ছয় সপ্তাহ।
আবারও রিশাদকে দলে ভেড়াল হোবার্ট

আবারও রিশাদকে দলে ভেড়াল হোবার্ট অস্ট্রেলিয়ার বিগ ব্যাশ লিগে আবারও জায়গা করে নিয়েছেন রিশাদ হোসেন। টানা দ্বিতীয় মৌসুমে এই জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে খেলতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের তরুণ লেগ স্পিনার। আজ মেলবোর্নে অনুষ্ঠিত বিদেশি ক্রিকেটারদের ড্রাফটে দ্বিতীয় ডাকেই তাকে দলে টেনে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেনস। ড্রাফট থেকে শুধু রিশাদই নন, হোবার্ট তাদের স্কোয়াডে যুক্ত করেছে ইংলিশ পেসার ক্রিস জর্ডান ও লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার রেহান আহমেদকেও। আগের মৌসুমেও রিশাদকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট। তবে তখন জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও বিপিএল সামনে থাকায় মাঠে নামা হয়নি তার। বিসিবি ৯ দিনের জন্য ছাড়পত্র দিলেও শেষ পর্যন্ত নানা জটিলতায় অস্ট্রেলিয়া যাওয়া হয়নি রিশাদের। তবে এবার আর শুধু সুযোগ নয়, পূর্ণ মৌসুমের জন্য নিজেকে প্রস্তুত রেখেই নাম লিখিয়েছেন ২৩ ছুঁইছুঁই এই লেগ স্পিনার। বিগ ব্যাশের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল, আসন্ন আসরে পুরো সময় খেলার লক্ষ্যে ড্রাফটে নাম দিয়েছেন রিশাদ। ডিসেম্বরের শেষ দিকে শুরু হতে যাওয়া বিগ ব্যাশের ১৫তম আসরের সময় বাংলাদেশ দলের কোনো আন্তর্জাতিক সিরিজ নেই, এমনটাই দেখা যাচ্ছে আইসিসির এফটিপি সূচিতে। তবে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বিপিএলের পরবর্তী আসর কিছুটা এগিয়ে আনা হতে পারে। ফলে সূচির সংঘাত হলে বিপিএল ও বিগ ব্যাশের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হতে পারে রিশাদকে। গত বছর সাকিব আল হাসানের পর দ্বিতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে সুযোগ পেয়েছিলেন রিশাদ। তবে ড্রাফট থেকে সরাসরি দলে নেওয়া প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। আর সাকিব খেলেছিলেন বদলি হিসেবে। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি এবং ২০১৫ সালে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। রিশাদ নিজের বড় মঞ্চে উত্থান ঘটান ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া আসরটিতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ১৪ উইকেট শিকার করে নতুন রেকর্ড গড়েন তিনি। সেই পারফরম্যান্সের পরই কানাডার গ্লোবাল টি-টোয়েন্টির ডাক পান তিনি। তবে ভিসা জটিলতায় অংশ নিতে পারেননি। এরপর বিগ ব্যাশও মিস করেন। অবশেষে চলতি বছরের পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) দিয়ে বিদেশি লিগে অভিষেক হয় তার। লাহোর কালান্দার্সের হয়ে ৭ ম্যাচে ১৩ উইকেট নিয়ে শিরোপা জয়ে বড় অবদান রাখেন তিনি। এবার বিগ ব্যাশে নিজের প্রাপ্য জায়গা ফিরে পেয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন রিশাদ। যদিও এবারের ড্রাফটে তার সঙ্গে নাম লিখিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শেখ মেহেদী হাসানসহ আরও ১০ জন বাংলাদেশি ক্রিকেটার, তবে কেউই দল পাননি।
গল টেস্ট: বৃষ্টির আগে মুশফিক-লিটনের দাপট

গল টেস্ট: বৃষ্টির আগে মুশফিক-লিটনের দাপট ১৩১তম ওভারের দ্বিতীয় বল। লঙ্কান বোলার মিলান রতœায়েকের বলটি মুশফিকুর রহিমের প্যাডে লেগে বেরিয়ে গেল।সঙ্গে সঙ্গে লেগ বিফোরের আবেদন করল শ্রীলঙ্কা। আম্পায়ার সাড়া না দেওয়ায় রিভিও নিল তারা। এরমধ্যে দৌড়ে ৩টি লেগ বাই পূর্ণ করলেন মুশফিক ও লিটন। রিভিও টিকলো না। কিন্তু এরপরেও গলের আকাশ মেঘে ঢেকে গেল এবং আম্পায়াররা মাঠ ঢেকে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন। আলোক স্বল্পতায় খেলা থেমে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যে মাঠ ঢেকে দেওয়া হলো। দুই দলের খেলোয়াড়রাও বেরিয়ে গেলেন, আর বৃষ্টি শুরু হলো। এ তো গেল বৃষ্টির কথা। এর আগের পুরোটা সময় গল নিজেদের দখলে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। মুশফিক সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছিলেন গতকাল বিকেলেই। আরেক সেঞ্চুরিয়ান নাজমুল হোসেন শান্ত ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করে বিদায় নিলেও মুশফিককে টলাতে পারেনি লঙ্কানরা। ব্যক্তিগত ১৫০ পেরিয়েও বহাল তবিয়তে বোলারদের শাসন করছেন তিনি। ৩২৫ বলে ১৫৯ রান নিয়ে অপরাজিত রয়েছেন মুশি।মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছেন লিটন দাস। ৮৪ বলে ৬১ রান করে ব্যাট করছেন এই ডানহাতি ব্যাটার। দুজনের জুটিতে এখন পর্যন্ত উঠেছে ১১৪ রান। এর আগে শান্তর সঙ্গে মুশির জুটিতে আসে ২৬৪ রান (৪৮০ বলে)। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত গল টেস্টের দ্বিতীয় দিনে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৩০.২ ওভারে ৪ উইকেটে ৪২৩ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে মুশফিকের রেকর্ড, ছুটছেন লিটনকে নিয়ে
গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে মুশফিকের রেকর্ড, ছুটছেন লিটনকে নিয়ে দারুণ এক জুটি ভেঙে শান্ত বিদায় নিলেও অপরপ্রান্তে এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত এক রেকর্ডও গড়েছেন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে গেলেন তিনি। কখনও কোনো বোলিং না করা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ রানের মালিক মুশফিক। গল টেস্টে ১১২তম রান নিয়ে তিনি টপকে গেছেন অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৯৬ ম্যাচে ১৫ হাজার ৪৬১ রান করেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিপার-ব্যাটার। সেই রান ছাড়িয়ে এখন রেকর্ডটি নিজের দখলে নিলেন মুশফিক। আগের দিন টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন শান্ত ও মুশফিক। সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন দুজনেই। ৩ উইকেটে ২৯২ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে বাংলাদেশ। ২৬০ বলে ১৪ চার ও ১ ছক্কায় ১৩৬ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন ব্যাট করতে নেমেছেন শান্ত। আর ১৮৬ বলে পাঁচ চারে ১০৫ রানে ব্যাট করতে নেমেছেন মুশফিক। দিনের শুরুতেই আড়াইশো রানের জুটি পার করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি শান্ত। আসিথা ফার্নান্দোর অফ স্টাম্পের বাইরের বল ড্রাইভ করতে গিয়ে মিড অফে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের তালুবন্দি হন বাংলাদেশের অধিনায়ক। ১৫ চার ও ১ ছক্কায় ২৭৯ বলে ১৪৮ রান করেন তিনি। তার বিদায়ে ভাঙে ৪৮০ বলে ২৬৪ রানের জুটি। ছয়ে নেমে মুশফিককে সঙ্গ দিয়ে দলের সংগ্রহ বাড়াচ্ছেন লিটন দাস। ইতোমধ্যে তাদের জুটিতে পঞ্চাশ পূর্ণ হয়েছে। এর আগে গিলক্রিস্টকে ছাড়িয়ে রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। এখনও অপরাজিত আছেন তিনি।
শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে গলে বাংলাদেশের হাসি

শান্ত-মুশফিকের সেঞ্চুরিতে গলে বাংলাদেশের হাসি ৪৫ রানে তিন উইকেটের পতন, তখন মাত্র ১৭ ওভারের খেলা শেষ। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর টস জিতে ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কি তবে ভুল? দিনের শুরুতে তা মনে হলেও শেষে এসে সঠিকই মনে হচ্ছে। মুশফিকুর রহিমকে সঙ্গে নিয়ে শান্ত নিজেই যে দলের বৈঠা চালালেন। দুজনের সেঞ্চুরিতে ভর করে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গল টেস্টের প্রথম দিন শেষে হাসছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২। শান্ত ১৩৬ ও মুশফিক ১০৫ রানে অপরাজিত আছেন। প্রথম সেশন থেকে দুজনের পথচলা শুরু। কেউই ছাড়েননি হাল। শেষ সেশনে এসে শান্ত-মুশফিক দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। ২০২ বলে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন শান্ত। চার দিকে সমালোচনা চলতে থাকা এই ব্যাটার মেতে ওঠেন বুনো উল্লাসে। এটি তার ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ সেঞ্চুরি। ১১টি চার ও ১টি ছয়ের মারে সাজানো ছিল দুর্দান্ত ইনিংসটি। শান্তকে অনুসরণ করে যেন মুশফিকও তুলে নেন ক্যারিয়ারের দ্বাদশ শতক। ১৭৬ বলে পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। মাত্র ৫টি চারে মুশফিকের সেঞ্চুরি বলে দিচ্ছে কতটা দৃঢ়তার সঙ্গে খেলছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত। খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া শান্ত-মুশফিকের জুটি থেকে আসে ৪৪৩ বলে ৪৭ রান। অথচ দিনের শুরুটা ছিল বাজে। এনামুল হক বিজয় ফেরেন ১০ বলে শূন্য রানে। তার আউটের পর ক্রিজে ওপেনার সাদমান ইসলামের সঙ্গী হন মুমিনুল হক। দুজনে আভাস দেন ঘুরে দাঁড়ানোর। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি। দেখে শুনে খেলতে থাকা সাদমান ৫৩ বলে ১৪ রানে বিদায় নিলে ভাঙে ৩৪ রানের জুটি। সাদমানের বিদায়ের পরই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। এবার বিদায় নেন ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করতে থাকা ব্যাটার মুমিনুল হক। চারটি চারের মারে তার ব্যাট থেকে আসে ৩৩ বলে ২৯ রান। এরপরের গল্প শুধু শান্ত-মুশফিকের। লঙ্কান পেসারদের মুভমেন্টকে মামুলি বানিয়ে প্রথম সেশনে আর কোনো উইকেট দেননি দুজনে। প্রথম সেশনে বাংলাদেশ পায় ৩ উইকেটে ৯০ রান। দ্বিতীয় সেশনে বিনা উইকেটে ৯২ রানের পর তৃতীয় ও সেশনে আসে ১১০ রান তোলে। লংকানদের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন তারিন্দু রত্নায়েকে। ১ উইকেটের দেখা পান আসিথা ফার্নান্দো।
শ্রীলঙ্কায় সিরিজ ড্র করাই বড় অর্জন, মনে করেন হান্নান

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ ড্র করাই বড় অর্জন, মনে করেন হান্নান বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে কাজ করার পর মাঝে এসেছিলেন জাতীয় দলের নির্বাচক হয়ে। সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ঢাকা লিগে কোচিংয়ের অভিষেকেই চ্যাম্পিয়নশিপ অর্জন। নির্বাচকের মতো লোভনীয় পদ হান্নান সরকার ছেড়েছিলেন কোচিং পেশার জন্য। এবার তার কাঁধে অনূর্ধ-১৭ দলের কোচিংয়ের ভার দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নির্বাচক থাকায় জাতীয় দলের পারফরম্যান্স কিংবা মূল্যায়ন তার নখদপর্ণে। এবার তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশ দলের শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে। সাবেক এই ক্রিকেটার মনে করেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট ড্র করাই বড় অর্জন হবে। মিরপুরে সোমবার হান্নান সরকার বলেন, “শ্রীলঙ্কায় খেলা অনেক কঠিন। শ্রীলঙ্কার কন্ডিশনে আমাদের ফলাফলও তেমন আশানুরূপ নয়। তবে আমাদের বেশকিছু অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। টেস্ট দলের হিসেবে ওদের চেয়ে আমাদের খেলোয়াড়রা বেশি অভিজ্ঞ….তাই সিনিয়র খেলোয়াড়রা গাইড করতে পারবে। এই সিরিজটা যে ২-০ তে জিততে হবে এমনটা আমি ভাবি না। আমার কাছে মনে জয় সিরিজটা ড্র করতে পারলে সেটাও একটা অর্জন হবে।“ আগামীকাল থেকে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শান্তর দল দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে মুখোমুখি হবে। দলটির বিপক্ষে মাত্র ১টি টেস্ট জয়ের কীর্তি রয়েছে বাংলাদেশের। আর ৫টি ড্রয়ের বিপরীতে হার ২০টিতে। তার মধ্যে ২০১৩ সালে গল ও ২১ সালে পাল্লেকেলেতে ড্র করেছে বাংলাদেশ। সেই বিবেচনায় হয়তো হান্নান ড্রই বড় অর্জন মনে করেন। হান্নান বলেন, “শ্রীলঙ্কার মাটিতে খেলা সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং। আমাদের পারফরম্যান্সের কথা যদি বলি…শ্রীলঙ্কার সঙ্গে তুলনা করলে আমরা বেশ পিছিয়ে আছি। তবে রেকর্ড দিয়ে তো আর সবসময় বিচার করা যায় না। আসলে টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স নিয়েই তো আলোচনা হচ্ছে…… তবে আমাদের টেস্ট দলটা নিয়ে আশা করতেই পারি। “ আমাদের দলে যারা আছে… সাদমান টেস্ট বিশেষজ্ঞ, মুমিনুল-মুশফিক খেলছে….শান্তও গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড় আমাদের, মিরাজ রয়েছে…..টি-টোয়েন্টির যে পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, সেখানে টেস্টে কিন্তু আলাদা করে চিন্তা করার সুযোগ রয়েছে। কারণ আমাদের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। টেস্টে যারা ভালো করবে বা ভালো খেলোয়াড় রয়েছে…. তারা কিন্তু টি-টোয়েন্টিতে ছিল না। তাই টেস্ট নিয়ে আমি ইতিবাচক চিন্তা করতে চাই। টেস্ট জেতা কঠিন হবে কিন্তু অসম্ভব না“-আরও যোগ করেন হান্নান।
মিরাজ নেই, টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

মিরাজ নেই, টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে গলে আগে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে দশটায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত টস জিতেছেন। তিনি ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জ্বরের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারছেন না স্পিন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। পাথুম নিসাঙ্কা, লাহিরু উদারা, দিনেশ চান্দিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা (অধিনায়ক), কুসল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, প্রবথ জয়সুরিয়া, থারিন্দু রথনায়েক, মিলন রথনায়েক ও অসিথা ফার্নান্দো। সাদমান ইসলাম, এনামুল হক, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, জাকের আলী, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ। ৮ বছর পর গলে বাংলাদেশ সাগর পাড়ের স্টেডিয়াম গল। পৃথিবীর অন্যতম নয়নাভিরাম স্টেডিয়াম। ১৯৯৮ সালে এর যাত্রা শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কেবল দুটি ম্যাচ খেলেছে এই মাঠে। ২০১৩ এবং ২০১৭ সালে। ৮ বছর পর বাংলাদেশ এই মাঠে খেলতে যাচ্ছে। ২০১৩ সালে মুশফিকুর রহিম এই মাঠে প্রথম বাংলাদেশি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডাবল সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ম্যাচটি ড্র করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২০১৭ সালে বাংলাদেশ পারেনি ম্যাচ বাঁচাতে। লম্বা সময় পর গলে ফিরে বাংলাদেশ কেমন করে সেটা দেখার। পিঠাপিঠি অবস্থানে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সবশেষ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে পিঠাপিঠি অবস্থানে ছিল বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কা ১৩ ম্যাচে মাত্র ৫টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট তালিকায় ছিল ছয় নম্বরে। বাংলাদেশ ১২ ম্যাচে মাত্র ৪টিতে জিতেছিল। পয়েন্ট টেবিলে অবস্থান ছিল সাতে। এবার দুই দল নিজেদেরকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে সেটাই দেখার। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন চক্র শুরু আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ বা টেস্ট বিশ্বকাপের চতুর্থ চক্রের খেলা শুরু হচ্ছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার এই টেস্ট সিরিজ দিয়ে। ২০২৫ থেকে ২০২৭ সাল পর্যন্ত নয়টি দেশ এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।