৪০ মিনিট বিরতির পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক

৪০ মিনিট বিরতির পর মেট্রোরেল চলাচল স্বাভাবিক মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে প্যারাজাম্পের কারণে ৪০ মিনিটের স্বল্প বিরতির পর মেট্রোরেল এখন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। একইসঙ্গে সরকারি ছুটির দিন হলেও ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সময়সূচি অনুযায়ী, আজ রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত উত্তরা উত্তর স্টেশন এবং ১০টা ১০ মিনিট পর্যন্ত মতিঝিল স্টেশনে ট্রেন চলাচল করবে। আজ দুপুরে ডিএমটিসিএলের উপপ্রকল্প পরিচালক (গণসংযোগ) মো. আহসান উল্লাহ শরীফি ঢাকা পোস্টকে এসব তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় একটি প্যারাজাম্পে অংশ নেওয়া প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার জন্য বেলা ১১টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মোট ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল। এরপর আবার আগের মতোই ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। এখন স্বাভাবিকভাবেই নির্ধারিত সময় পরপর ট্রেন চলাচল করছে। আজ সরকারি ছুটির দিন কতক্ষণ মেট্রোরেল চলাচল করবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শনিবার ও অন্যান্য সব সরকারি ছুটির দিনের জন্য আমাদের সময়সূচি নির্ধারিত। সে অনুযায়ী আজ উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে ৬টা ৩০ মিনিটে৷ সর্বশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ৯টা ৩০ মিনিটে৷ আর মতিঝিল স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছেড়েছে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে৷ আর সবশেষ ট্রেন ছাড়বে রাত ১০টা ১০ মিনিটে। উল্লেখ্য, ডিএমটিসিএলের নিয়ম অনুযায়ী নিয়মিত দিনে (শুক্রবার ছাড়া) সকাল ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ২০ মিনিট পর্যন্ত, এবং শুক্রবার রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত যেকোনো স্টেশন থেকে সিংগেল জার্নি টিকিট কেনা ও এমআরটি বা র্যাপিড পাস টপ-আপ করা যাবে। তবে শুক্রবার শুধু উত্তরা উত্তর স্টেশনে বিকাল ২টা ৪৫ মিনিট থেকে এবং মতিঝিল স্টেশনে বিকাল ৩টা ৫ মিনিট থেকে এই সেবা চালু হয়। আর রাত ৯টা ২০ মিনিটের পর সব টিকিট অফিস ও মেশিন বন্ধ হয়ে যায়।
বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-চীন

বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানালো যুক্তরাষ্ট্র-ভারত-চীন বাংলাদেশকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন। আজ পৃথক বার্তায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর ঢাকার দূতাবাস বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানায়। মার্কিন দূতাবাসের বার্তায় বলা হয়, এই বিজয় দিবসে, আমরা ১৯৭১ সালের সেই সাহসী বাংলাদেশিদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি ও সম্মান জানাচ্ছি, যাদের আত্মত্যাগ বাংলাদেশের স্বাধীনতার পথকে সুগম করেছে। চীনের বার্তায় উল্লেখ করা হয়, মহান বিজয় দিবসে বাংলাদেশের জনগণকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা। আসুন বিজয়ের প্রেরণায় একসাথে সবার জন্য একটি সমৃদ্ধ ও সুরক্ষিত ভবিষ্যৎ গড়ে তুলি। ভারতীয় হাইকমিশনের বার্তায় বলা হয়, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা বাংলাদেশের জনগণকে জানাচ্ছে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা। এ ছাড়া, পৃথক পৃথক বার্তায় যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, সুইজারল্যান্ড ও সুইডেন বাংলাদেশকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে।
সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আজ সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি), বিটিভি নিউজ ও বাংলাদেশ বেতার একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করবে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা

বিজয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি বিজিবি মহাপরিচালকের শ্রদ্ধা মহান বিজয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী। আজ সকালে ঢাকার পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরের ‘সীমান্ত গৌরব’-এ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি। এ সময় বিজিবির একটি সুসজ্জিত চৌকস দল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করে। এর আগে, দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী সকালে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরসহ সারাদেশে বিজিবির সব রিজিয়ন, প্রতিষ্ঠান, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক পুষ্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
মহান বিজয় দিবস আজ

মহান বিজয় দিবস আজ আজ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস। এ বিজয় দিবস বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের একটি দিন। এ বছর এ দিনটিতে বাঙালি জাতির বিজয়ের ৫৪ বছর পূর্ণ হলো। ১৯৭১ সালের এদিনে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম হানাদার মুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের আত্মদান আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম ও ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি। বাঙালি জাতি তার অধিকার আদায়ে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় উজ্জীবিত হয়ে উঠে। ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্য দিয়েই স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের পথে এগিয়ে নিয়ে যায় জাতি। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের মধ্য দিয়ে ১৯৪৭ সালে ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতা লাভ করলেও ভ্রান্ত দ্বিজাতির তত্ত্বের ভিত্তিতে যে অসম পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয় তার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা হয় বাঙালি জাতিকে। পাকিস্তান রাষ্ট্রের শুরু থেকে বাঙালি জাতির ওপর শুরু হয় বৈষম্য, শোষণ, অত্যাচার নির্যাতন। অর্থনৈতিক, সরকারি চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য সব দিক থেকে বঞ্চিত হতে থাকে বাঙালি তথা এ ভূখণ্ডের মানুষ। পাকিস্তানের এই শোষণ বঞ্চনা আর অত্যাচার নির্যাতনের বিরুদ্ধে বাঙালি সোচ্চার হতে থাকে এবং ধাপে ধাপে পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে উঠতে থাকে। বাঙালির এই আন্দোলনের এক পর্যায়ে নেতৃত্বে আসেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাঙালির এই আন্দোলনকে তিনি নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে পরিণত করেন। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণে শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী অপারেশন সার্চ লাইট নামে বাঙালিদের হত্যা যজ্ঞে মেতে উঠে। এরপর ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা দেন শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় মহান মুক্তিযুদ্ধ। স্বাধীনতার ঘোষণায় সারা দিয়ে সর্বস্তরের বাঙালি মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। কৃষক, শ্রমিক, চাকরিজীবী ছাত্র, শিক্ষক, যুবক, নারী, সাংস্কৃতিক কর্মী, পেশাজীবী মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নেয়। আধুনিক অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে নামে এবং জীবন দেয়। জীবনের নিশ্চিত ঝুঁকি নিয়ে বাংলার দামাল ছেলে, মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসিকতা ও বীরত্বের সঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের মানুষের পাশে সার্বিক সহযোগিতা দিয়ে এগিয়ে আসে প্রতিবেশী দেশ ভারত। সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ এবং কোটি বাঙালিকে আশ্রয় দিয়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। ওই সময় পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়নও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন দিয়ে সরাসরি বাংলাদেশের পক্ষ নেয়। বিশ্ব জনমতও গড়ে উঠতে থাকে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালির সাহসিকতার কাছে পরাজয় মেনে নিতে বাধ্য হয়। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া যৌথবাহিনীর কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মসমর্পণ করে। এর মধ্য দিয়ে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে নতুন রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। ১৬ ডিসেম্বর বীর বাঙালির বিজয় দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ উৎসবমুখর পরিবেশে বিজয় দিবস উদযাপন করেন।
সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিংয়ে বাংলাদেশের

সর্বাধিক পতাকা হাতে প্যারাস্যুটিংয়ে বাংলাদেশের বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫৪ বছর উপলক্ষে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা নিয়ে সর্বাধিক প্যারাস্যুটিং করে বিশ্বরেকর্ড করেছে বাংলাদেশ। এতে ৫৪ জন প্যারাট্রুপার পতাকা হাতে স্কাই ডাইভিং করেন। আজ বেলা ১২টার দিকে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে এই প্যারাস্যুটিং করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। এতে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন বাহিনী প্রধান, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। ‘টিম বাংলাদেশ’ এর ৫৪ জন প্যারাট্রুপারের এই পতাকাবাহী স্কাইডাইভ প্রদর্শন বিশ্বের সর্ববৃহৎ পতাকা-প্যারাশুটিং প্রদর্শনী। এটি একটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড। ১২ হাজার উচ্চতা থেকে এই ফ্রি ফল জাম্পে অংশ নেওয়া এই ৫৪ জন হলেন- সেনাবাহিনীর ৪৬, নৌ বাহিনীর ৫, বিমান বাহিনীর ২ জন এবং বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন। ৪৯ থেকে ৫৪ নম্বরধারী ফ্রি ফল জাম্পাররা সুদানে নিহত ৬ জন শান্তিরক্ষীদের নাম বুকে ধারণ করেন। এই ফ্রি ফল জাম্পের সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন এবং ড্রপ জোন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম এম ইমরুল হাসান। এছাড়া তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে মহান বিজয় দিবসের এই অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমানবাহিনী পৃথকভাবে ফ্লাই-পাস্ট প্রদর্শন করে। এখানে একটি বিশেষ বিজয় দিবস ব্যান্ড শো আয়োজন করা হয়।
বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা

বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি-প্রধান উপদেষ্টা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে স্বাধীনতার জন্য জীবন উৎসর্গকারী বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। বীর শহীদদের শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ সূর্যোদয়ের সময় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অপর্ণ করেন রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টা। প্রথমে সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর কিছুক্ষণ পর সকাল ৬টা ৫৬ মিনিটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস। রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে গার্ড অব অনার প্রদান করে সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিক এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। ১৬ ডিসেম্বর প্রত্যুষে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবস উদযাপন শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষে সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মিশনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনায় আলোকসজ্জা করা হয়েছে। ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়ক দ্বীপগুলো জাতীয় পতাকাসহ ব্যানার, ফেস্টুন এবং রঙিন পতাকা দিয়ে সাজানো হয়েছে।
মঙ্গলবার ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

মঙ্গলবার ৪০ মিনিট বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামীকাল মঙ্গলবার ৪০ মিনিট মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। আজ সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দর এলাকায় প্যারা জাম্প অনুষ্ঠিত হবে। প্যারাট্রুপারদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগামী ১৬ ডিসেম্বর দুপুর ১১টা ৫০ মিনিট থেকে ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকবে। যাত্রীদের যাত্রীসেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
পোস্টাল ভোটে আগ্রহ প্রবাসীদের, নিবন্ধন ৪ লাখ ছাড়াল

পোস্টাল ভোটে আগ্রহ প্রবাসীদের, নিবন্ধন ৪ লাখ ছাড়াল ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসী ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করেছেন ৪ লাখ ৫ হাজার ৪৩৮ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩ লাখ ৭৯ হাজার ৪০৭ জন এবং নারী ২৬ হাজার ৩১ জন। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ইসির ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নিবন্ধিত প্রবাসী ভোটারদের সংশ্লিষ্ট ঠিকানায় ব্যালট পেপার পাঠানো শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৯ ডিসেম্বর এ কার্যক্রম শুরু হয়। এবারই প্রথমবারের মতো আইটি-সমর্থিত পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে ইসি। এ ব্যবস্থায় প্রবাসী ভোটারদের পাশাপাশি আইনি হেফাজতে থাকা ব্যক্তি এবং ভোট গ্রহণের দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিরাও ভোট দিতে পারবেন। এজন্য নির্ধারিত অ্যাপে নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। গত ১৯ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে, চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা, চীন, মিশর, মোজাম্বিক, লিবিয়া, মরিশাস, হংকং, ব্রাজিল, উগান্ডা, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, লাইবেরিয়া, বতসোয়ানা, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, আলজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, তানজানিয়া, সোমালিয়া, ঘানা, গিনি, মরক্কো, দক্ষিণ সুদান, চিলি, সিয়েরা লিওন, ইকুয়েডর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, গাম্বিয়া, পেরু, জিম্বাবুয়ে, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশে প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন কার্যক্রম চলছে। ইসি জানিয়েছে, অ্যাপে নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের ঠিকানায় ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালট পাঠানো হবে। ভোটাররা ব্যালটে ভোট প্রদান শেষে নির্ধারিত ফিরতি খামে তা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন।
হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়ল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স

হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে উড়ল এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরে উদ্দেশে রওনা দিয়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুর ১টা ৫৫ মিনিটে তাকে বহনকারী এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়। ইনকিলাব মঞ্চ জানায়, পাশে থাকাার জন্য ওসমান হাদির দুই ভাইও সিঙ্গাপুর গেছেন। এর আগে, সোমবার বেলা পৌনে ১টার দিকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে ওসমান হাদিকে নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্স হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে রওনা দেয়। সেখানে থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা হয় হাদিকে। গত শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) জুমার পর ঢাকার মতিঝিল এলাকায় গণসংযোগ করে ফেরার পথে তার ওপর গুলি চালায় সন্ত্রাসীরা। হাদি তখন অটো রিকশায় ছিলেন। ওই অবস্থা চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে মুখঢাকা এক অস্ত্রধারী তার ওপর হামলা চালায়। হাদির ওপর হামলার ঘটনা রবিবার গভীর রাতে রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বলেছে, হাদির পরিবারের সম্মতি নিয়ে এই মামলা করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব। অবশ্য গুলি চালানোর জন্য মূল অভিযুক্ত ও তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলের চালককে এখনো গ্রেপ্তার করা যায়নি। সোমবার রাজধানীতে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন হাদির ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে কর্মসূচি পালন করছে।