অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুপারিশ

অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে চিকিৎসার সুপারিশ দেশের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে আসা মোট রোগীর মধ্যে অতি দরিদ্র ২০ শতাংশ রোগীকে বিনামূল্যে সম্পূর্ণ চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। সোমবার (৫ মে) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে কমিশনের সদস্যরা এ তথ্য জানিয়েছেন। মোট রোগীর ২০ শতাংশের মধ্যে ১০ শতাংশকে সরকারি হাসপাতালে এবং বাকি ১০ শতাংশকে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. সৈয়দ আকরাম হোসেন বলেছেন, চিকিৎসক-ফার্মাসিউটিক্যাল নীতি সম্পর্কিত বিষয়ে কমিশন সুপারিশ করেছে, ওষুধের নমুনা বা উপহার দিয়ে কোনো ধরনের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ থাকবে। তিনি বলেন, অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের সংখ্যা বাড়ানো এবং দুই বছর পর পর এই ওষুধের তালিকা আপডেট করার সুপারিশ করেছে কমিশন। এছাড়াও অত্যাবশ্যকীয় ওষুধ প্রাথমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ভর্তুকি মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। সংবিধান সংশোধনপূর্বক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে একটি মৌলিক অধিকার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা এবং প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা বিনামূল্যে দেওয়ার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। দীর্ঘদিন ধরে দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা ও বৈষম্যের শৃঙ্খলে আটকে থাকা দেশের স্বাস্থ্য খাতকে ঢেলে সাজাতে চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করেছে এই কমিশন। দেশের কোটি কোটি মানুষ এখনো মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। অনেকে চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন। যাদের সামর্থ্য আছে, তারাও বেসরকারি হাসপাতালের চড়া ব্যয়ের কারণে সীমাহীন কষ্টে পড়েন। এই বাস্তবতা বদলাতেই সরকার বড় ধরনের আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের পথে হাঁটতে চায়। স্বাস্থ্যসেবাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদনে স্বাস্থ্যসেবাকে সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব করেছে। একইসঙ্গে প্রস্তাব করা হয়েছে ‘বাংলাদেশ হেলথ সার্ভিস’ নামের একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান গঠনের। এর মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে পরিকল্পনা, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও তদারকি কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সবার জন্য বিনামূল্যে নিশ্চিত করার পাশাপাশি কমিশন ইউনিক হেলথ আইডি ও স্মার্ট হেলথ কার্ড চালুর সুপারিশ করেছে। এই কার্ডের মাধ্যমে প্রতিটি নাগরিকের চিকিৎসা-সংক্রান্ত তথ্য ডিজিটালি সংরক্ষিত থাকবে, যা চিকিৎসা কার্যক্রমকে আরো কার্যকর ও স্বচ্ছ করবে। বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের সেবার মূল্য নির্ধারণ, মান নিয়ন্ত্রণ ও তদারকির সুপারিশ এসেছে কমিশনের প্রতিবেদনে। একইসঙ্গে প্রস্তাব এসেছে, ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি চিকিৎসকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন না, বরং তাদের তথ্য ই-মেইলের মাধ্যমে দিতে হবে। এতে ঘুষ ও অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ব্যবহারের প্রবণতা কমবে বলে দাবি করা হয়। কমিশন জানিয়েছে, প্রতিটি বিভাগে আন্তর্জাতিক মানের একটি করে আঞ্চলিক রেফারেল হাসপাতাল গড়ে তোলা উচিত। পাশাপাশি যেসব হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ মানহীন ও অপ্রাতিষ্ঠানিক, সেগুলো বন্ধ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছে তারা। নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাব প্রতিবেদনে একটি জাতীয় নারী স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট গঠনের প্রস্তাবও এসেছে। একইসঙ্গে অত্যাবশ্যকীয় ওষুধের তালিকা সম্প্রসারণ, ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবেশাধিকার সহজ করার জন্য আলাদা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলা হয়েছে। কমিশনের মতে, এসব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে দুই বছর। এজন্য আইনি সংস্কার, বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়ানোর দিকেও নজর দিতে হবে। ‘মেডিকেল পুলিশ’ নামে বিশেষ ইউনিট গঠনের সুপারিশ হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ নামে প্রশিক্ষিত একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করতে সুপারিশ প্রস্তাব করেছে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাস্থ্যসেবাগ্রহীতার অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য একটি আধুনিক ডিজিটাল অভিযোগ নিষ্পত্তি প্ল্যাটফর্ম গড়ে তুলতে হবে। বিএমডিসি, বিএনএমসি, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল অ্যালাইড হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিলের আইনগত ক্ষমতা ও কাঠামো কার্যকর করতে হবে। পেশাগত অবহেলার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলের অনুমতি ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার করা যাবে না; তদন্ত ও সিদ্ধান্ত ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। হাসপাতাল ও ক্লিনিকে সহিংসতা রোধে ‘মেডিকেল পুলিশ’ নামে প্রশিক্ষিত একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে, যা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ সব স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য মেডিকেল প্রফেশনাল ইন্স্যুরেন্স চালু করতে হবে। এমবিবিএস বা বিডিএস ব্যতীত কেউ ‘চিকিৎসক’ পরিচয়ে রোগী দেখলে, বিএমডিসি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে।

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার দেশের স্বাস্থ্য খাতে দীর্ঘদিন থেকে যেসব সমস্যা রয়েছে তা নিরসনে স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উল্লেখ করে যেসব সুপারিশ এখনই বাস্তবায়নযোগ‍্য তা দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৫ মে) স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার নিকট তাদের প্রতিবেদন পেশ করার পর তিনি এই নির্দেশ দেন। স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের এই প্রতিবেদনকে যুগান্তকারী পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, “স্বাস্থ্য খাতের সমস্যাগুলো বহুদিনের সমস্যা।এর মাধ্যমে আমরা যদি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারি তা হবে যুগান্তকারী ঘটনা।” তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেসব সুপারিশ আশু বাস্তবায়নযোগ‍্য তা নিয়ে সংশ্লিষ্টদের এখনি মনোযোগী হতে হবে।” প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “একটি বড় সমস্যা হচ্ছে ডাক্তারের সংকট, আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে ডাক্তার থাকলেও যেখানে দরকার সেখানে ডাক্তার নেই। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে।” চিকিৎসা ব্যবস্থা বিকেন্দ্রীকরণের ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “এটা ছাড়া সমস্যা নিরসন সম্ভব নয়। চিকিৎসকদের যেখানে পোস্টিং সেখানে থাকাটা নিশ্চিত করতে হবে।” কমিশন প্রধান জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানের নেতৃত্বে এই কমিশনের সদস্যরা তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের জনস্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্য ইনফরমেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ জাকির হোসেন, অধ্যাপক লিয়াকত আলী, ডা. সায়েবা আক্তার; সাবেক সচিব এম এম রেজা, ডা. আজহারুল ইসলাম, ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন, ডা. সৈয়দ আতিকুল হক, ডা. আহমেদ এহসানুর রাহমান এবং শিক্ষার্থী প্রতিনিধি উমায়ের আফিফ। স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের অন্য দুই সদস্য হলেন ডা. নায়লা জামান খান, ডা. মোজাহেরুল হক।

ভোক্তা পর্যায়ে ১৯ টাকা কমিয়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ

ভোক্তা পর্যায়ে ১৯ টাকা কমিয়ে এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ ভোক্তা পর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম কমেছে। মে মাসের জন্য ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ১৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৩১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন যা ছিল ১ হাজার ৪৫০ টাকা। আজ বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন। আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানানো হয়। এছাড়াও গাড়িতে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দামও কমেছে। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৬ টাকা ৪১ পয়সা থেকে কমিয়ে ৬৫ টাকা ৫৭ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন

বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন চীনে চিকিৎসা গ্রহণে আগ্রহী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য চিকিৎসা ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। নতুন ব্যবস্থায় ‘গ্রিন চ্যানেল’ নামে একটি বিশেষ সুবিধা চালু করা হয়েছে, যার মাধ্যমে দ্রুত এবং কম জটিলতায় ভিসা পাওয়া যাবে। আজ দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই উদ্যোগটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির অংশ হিসেবে নেওয়া হয়েছে। গত মার্চে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফরে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে দুই দেশ। দূতাবাস জানায়, নতুন ব্যবস্থার আওতায় চিকিৎসা ভিসার আবেদনকারীরা পূর্বের মতো বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত সনদপত্র জমা দেয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি পাবেন। এখন থেকে অনুমোদিত ট্রাভেল এজেন্সিগুলোই ব্যাংক ডিপোজিট সার্টিফিকেট এবং রক্তের সম্পর্কের গ্যারান্টিপত্র ইস্যু করতে পারবে, যা আবেদনকারীর প্রক্রিয়া সহজ করবে।  

বিবাহের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধান বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল

বিবাহের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধান বাতিল প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশে সন্নিবেশিত বিবাহের প্রলোভন সংক্রান্ত বিধানটি কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে আজ এ আদেশ দেয়। আইন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইশরাত হাসান। গত ২৫ মার্চ জারি করা গেজেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) অধ্যাদেশ- ২০২৫ এ ধারা ৯ (ক) এর পরে নতুন ধারা ৯ (খ) সন্নিবেশিত করা হয়েছে।  

সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ হজযাত্রী

সৌদি আরব পৌঁছেছেন ২২ হাজার ২০৩ হজযাত্রী বাংলাদেশ থেকে গতকাল রাত ২টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ২২ হাজার ২০৩ হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন। মোট ৫৪টি ফ্লাইটে তারা সৌদিতে পৌঁছান। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬৪ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ৫৩৯ হজযাত্রী রয়েছেন। এখন পর্যন্ত ৭৫ হাজার ৫৮০টি ভিসা ইস্যু করা হয়েছে। গতকাল হজ সম্পর্কিত সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হেল্প ডেস্কের তথ্য মতে, ৫৪টি ফ্লাইটের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ২২টি, সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ১৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে। চলতি বছর হজ করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আবরার হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

আবরার হত্যা: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ সাড়ে পাঁচ বছর আগে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনের যাবজ্জীবন বহালের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের স্বাক্ষরের পর ১৩১ পৃষ্ঠার এ রায় প্রকাশ করা হয়েছে। শনিবার (৩ মে) আসামিপক্ষের আইনজীবী এস এম শাহজাহান বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। মৃত্যুদণ্ডের ২০ আসামি হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল (সিই বিভাগ, ১৩তম ব্যাচ), সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রবিন (কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৫তম ব্যাচ), তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অনিক সরকার অপু (মেকানিক্যাল ইঞ্জনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), সাহিত্য সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির (ওয়াটার রিসোর্সেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), ক্রীড়া সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৫তম ব্যাচ), উপসমাজসেবা সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল (বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য মুনতাসির আল জেমি (এমআই বিভাগ), সদস্য মোজাহিদুর রহমান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), সদস্য হোসেন মোহাম্মদ তোহা (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), সদস্য এহতেশামুল রাব্বি তানিম (সিই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), শামীম বিল্লাহ (মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মাজেদুর রহমান মাজেদ (এমএমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর (মেকানিক্যাল, ১৭তম ব্যাচ), মুহাম্মদ মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল জিসান (ইইই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ), এস এম নাজমুস সাদাত (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (এমই বিভাগ, ১৭তম ব্যাচ), মিজানুর রহমান (ওয়াটার রিসোসের্স, ১৬ ব্যাচ), শামছুল আরেফিন রাফাত (মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উপ-দপ্তর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ (কেমিকৌশল) ও এসএম মাহামুদ সেতু (কেমিকৌশল)। যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি হলেন, বুয়েট ছাত্রলীগের সহসভাপতি মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪তম ব্যাচ, সিই বিভাগ), গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক ইসতিয়াক আহমেদ মুন্না (মেকানিক্যাল, তৃতীয় বর্ষ), আইনবিষয়ক উপসম্পাদক অমিত সাহা (সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), সদস্য আকাশ হোসেন (সিই বিভাগ, ১৬তম ব্যাচ) ও মোয়াজ আবু হোরায়রা (সিএসই, ১৭ ব্যাচ)। গত ১৬ মার্চ আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ৫ জনের যাবজ্জীবনের আদেশ বহাল রাখা হয়। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের আবাসিক ছাত্র আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের এক নেতার কক্ষে নিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করা হয়। সেই ঘটনায় ক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে বুয়েট। বুয়েটে নিষিদ্ধ হয় ছাত্র রাজনীতি। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলা বিচারে এসেছিল। দুই পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় আসে, যাতে ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড এবং পাঁচ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। তাদের মধ্যে তিন জন মামলার শুরু থেকেই পলাতক রয়েছেন। বাকি ২২ জনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মুনতাসির আল জেমির কারাগার থেকে পালিয়েছেন। গণঅভ্যুত্থানে সরকারপতনের পর গত ৬ অগাস্ট তিনি গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের দেয়াল ভেঙে পালিয়ে যান। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বুয়েটে বিক্ষোভ দেখান কয়েকশ শিক্ষার্থী। আবরার ছিলেন বুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। মামলার আসামিদের সবাই বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মী। গ্রেপ্তার ২১ জনের মধ্যে আট জন আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আবরারকে কীভাবে ক্রিকেট স্টাম্প আর স্কিপিং রোপ দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল, সেই ভয়ঙ্কর বিবরণ উঠে আসে তাদের জবানবন্দিতে। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সন্ধ্যার পর আবরারকে ওই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। কয়েক ঘণ্টা ধরে নির্যাতনের পর দোতলা ও নিচতলার সিঁড়ির মাঝামাঝি জায়গায় তাকে অচেতন অবস্থায় ফেলে যায় কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী। ভোরে চিকিৎসক এসে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আবরার ফেইসবুকে তার শেষ পোস্টে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের করা কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করেছিলেন। বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাই যে ফেইসবুক পোস্টের সূত্র ধরে ‘শিবির সন্দেহে’ আবরারকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, তা সংগঠনটির তদন্তে উঠে এলে ১২ জনকে বহিষ্কার করা হয়। আবরার ফাহাদ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনে নেমে ১০ দফা দাবি তোলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে বুয়েট শিক্ষক সমিতি ও সাবেক শিক্ষার্থীরাও সমর্থন প্রকাশ করেন। তাদের দাবির মুখে বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ, আবরার হত্যার আসামিদের সাময়িক বহিষ্কার এবং হলগুলোতে নির্যাতন বন্ধে নানা পদক্ষেপ নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবরারকে যে রাতে হত্যা করা হয়, তার পরদিন ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তার বাবা ১৯ শিক্ষার্থীকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন। তদন্তে নেমে পুলিশ এজাহারের ১৬ জনসহ মোট ২১ জনকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচ সপ্তাহ তদন্ত করে তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান ওইবছর ১৩ নভেম্বর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে যে অভিযোগপত্র জমা দেন, সেখানে আসামি করা হয় মোট ২৫ জনকে। অভিযোগপত্র গ্রহণ করে গত ১৮ নভেম্বর পলাতক চার আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। তাদের মধ্যে একজন পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি পরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করে আদেশ জারি হয়। বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। এ মামলার বাদী ও আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর আদালতে সাক্ষ্য দেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ৬০ জন সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। কারাগারে থাকা ২২ আসামি গত ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তিন আসামি পলাতক থাকায় তারা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাননি। এরপর কয়েকজন আসামি নিজেদের পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যও দেন। এ মামলার চার্জ গঠনের সময় শব্দগত ত্রুটি থাকায় ৭ অক্টোবর রাষ্ট্রপক্ষ তা সংশোধনের আবেদন করে। পরদিন ২৫ আসামির বিরুদ্ধে পুনরায় অভিযোগ গঠন করে আদালত। আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পর দুইপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেওয়া হয়। ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ থেকে ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি ৬ হাজার ৬২৭ পৃষ্ঠার ডেথ রেফারেন্স ও মামলার যাবতীয় নথি হাই কোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পাঠানো হয়। এরপর আসামিরা দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিল করেন। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ড‍ দেওয়া হলে তা অনুমোদনের জন্য মামলার যাবতীয় কার্যক্রম উচ্চ আদালতে পাঠাতে হয়। দণ্ডিত আসামিরা উচ্চ আদালতে ফৌজদারি আপিল এবং জেল আপিল করতে পারেন। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি দ্রুত শুরুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। এরপর শুনানি শেষে ১৬ মার্চ আপিলের রায় ঘোষণা করা হয়।

মেট্রোরেলের নির্বিঘ্ন চলাচলে আরো ৫ স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা

মেট্রোরেলের নির্বিঘ্ন চলাচলে আরো ৫ স্টেশনে বিশেষ ব্যবস্থা বৈদ্যুতিক গোলযোগের মতো নানা ত্রুটি দ্রুত সারিয়ে মেট্রোরেল চলাচল নির্বিঘ্ন করতে এখন থেকে পাঁচটি স্টেশনে নিয়মিত থাকছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতদিন শুধু উত্তরার দিয়াবাড়ি ডিপোতেই ছিলেন তারা। এখন শাহবাগ, কারওয়ান বাজার, শেওড়াপাড়া, পল্লবী ও উত্তরা উত্তর স্টেশনেও দায়িত্ব পালন করছেন কারিগরি দলের কর্মীরা। এতে মেট্রোরেলের যেকোনো সমস্যার সমাধান মিলবে সহজেই, ভোগান্তি কমবে যাত্রীদের। মেট্রোরেলে রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল রুটে প্রতিদিন চলাচল করছেন ৪ লাখের বেশি যাত্রী। কিন্তু, অনেক সময় কারিগরি ত্রুটির জন্য বন্ধ হয়ে যায় ট্রেন, বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। এ ধরনের সমস্যা দ্রুত সমাধানে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারুক আহমেদ বলেছেন, এত দিন মেরামতের জন্য নিয়োজিত কর্মীরা বসতেন শুধু দিয়াবাড়ির মেট্রোরেল ডিপোতে। ফলে, ফার্মগেট, শাহবাগ বা মতিঝিলের মতো দূরের স্টেশনে কোনো সমস্যা হলে উত্তরা থেকে সড়কপথে যানজট ঠেলে কারিগরি দলের কর্মীদের ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগত। গত বৃহস্পতিবার থেকে ডিপো ছাড়াও আরো পাঁচটি স্টেশনে এই কর্মীদের থাকা বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে, মেট্রোরেলের নানা অব্যবস্থাপনার কথা তুলে ধরা হলেও তা আমলে নেয়নি বিগত সরকার। যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. এম শামসুল হক বলেছেন, আগামী দিনে মেট্রোরেল চলাচল স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে সঠিক পরিকল্পনা ও জবাবদিহি থাকতে হবে। মেট্রোরেলের এমআরটি সিক্স লাইনে মোট স্টেশন ১৭টি। এর মধ্যে কমলাপুর বাদে বাকি সব স্টেশন চালু আছে।

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ

সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে গত বছরের তুলনায় ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। আজ আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) ২০২৫ সালের সূচকে এ তথ্য প্রকাশ করেছে। ১৮০টি দেশের মধ্যে ৩৩ দশমিক ৭১ স্কোর নিয়ে সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৯তম। ২০২৪ সালের সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। ২০১৮ সালের পর এই প্রথম সূচকে ১৫০-এর ভেতর অবস্থান করছে বাংলাদেশ। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, আইনি, সামাজিক ও নিরাপত্তা সূচকে গত বছরের তুলনায় বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে এবার। আরএসএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোনো সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী হত্যার শিকার হননি। তবে পাঁচ সাংবাদিক গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন।

অনুমতি ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের

অনুমতি ছাড়া হজ পালন না করার অনুরোধ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া হজ পালন না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল হজ ব্যবস্থাপনা, হজযাত্রীদের কল্যাণ এবং বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিবেচনায় দেশে ও সৌদিতে অবস্থানকারী বাংলাদেশিদের প্রতি ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এই অনুরোধ জানানো হয়েছে। আজ ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে চলতি হজ মৌসুমে ভিজিট ভিসায় মক্কা কিংবা সেদেশের পবিত্র স্থানসমূহে অবস্থান না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, হজ বিধিমালা অমান্যকারী ভিজিট ভিসাধারীকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া, পরিবহন করা, সংরক্ষিত হজ এলাকায় প্রবেশে সহায়তা করা ও তাদেরকে হোটেল কিংবা বাড়িতে আবাসনের ব্যবস্থা করা থেকে বিরত থাকতেও বাংলাদেশিদেরকে অনুরোধ করা হয়েছে।