নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে পুলিশি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে পুলিশি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিকে পুলিশি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির আইন শাখা থেকে নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটির কর্মকর্তাদের সহিত পুলিশ বাহিনীর দু’জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এছাড়া কমিটি কোনো অনুসন্ধান বা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কমিটির চাহিদা মতে প্রয়োজনীয় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়নের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১কক (২) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার/স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ/অন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কমান্ডার/ইনচার্জ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।তথ্য অধিদফতরের (পিআইডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলা একাডেমি পরিচালিত আট পুরস্কার পাচ্ছেন যারা

বাংলা একাডেমি পরিচালিত আট পুরস্কার পাচ্ছেন যারা বাংলা একাডেমি পরিচালিত আটটি বিষয়ের জন্য ২০২৫ সালের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলা একাডেমি। আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ পরিষদের ৪৮তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ বছর সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অধ্যাপক মনসুর মুসা (ভাষাভিত্তিক গবেষণার মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন খসরু চৌধুরী (প্রকৃতি ও বিজ্ঞান-চর্চায় সামগ্রিক মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সানাউল হক খান (বাংলা কবিতায় সামগ্রিক মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন হাফিজ রশিদ খান (বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন ও সাহিত্য বিষয়ে গবেষণার মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারিক আনাম খান (অভিনয়, নাট্য-নির্দেশনায় ও সংগঠক হিসেবে সামগ্রিক অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। আবু রুশ্‌দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন শিবব্রত বর্মন (অনুবাদ-সাহিত্যে অনন্য অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। এছাড়া হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পাচ্ছেন সফিক ইসলাম। তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন ‘গণিতের রাজ্যে আনন্দভ্রমণ’ গ্রন্থের জন্য; এ বইয়ে গণিতকে সহজবোধ্য ও উপভোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার পুরস্কারের অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন—সুব্রত বড়ুয়া (কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। অনূর্ধ্ব ৪৯ বছর বয়সী লেখকদের মধ্যে ২০২৪ সালে প্রকাশিত ‘সিসিফাস শ্রম’ গল্পগ্রন্থের মূল্যায়নে রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আনিসুর রহমান। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। পুরস্কৃতদের ২৭ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৮তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দেওয়া হবে।

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২ হাজার ৪২

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২ হাজার ৪২ পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৪২ জন। আজ পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মামলা ও ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে ১ হাজার ৭৪ জন ও ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এ গ্রেফতার ৯৬৮ জন। অভিযানে একটি শটগান, তিনটি ককটেল, চারটি দেশীয় অস্ত্র, পাঁচটি ককটেল, একটি ম্যাগাজিন, দুইটি বার্মিচ চাকু, একটি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড খালি কার্তুজ, চারটি বিস্ফোরিত গ্যাসসেল, দুইটি অবিস্ফোরিত গ্যাসসেল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, তিন রাউন্ড গুলি ও আটটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।

রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ইসির

রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতের নির্দেশ ইসির ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে সারাদেশে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ইসি সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত পত্র দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনি মালামাল, যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত রয়েছে। নির্বাচনকালীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় উক্ত অফিসসমূহে সংরক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনি মালামালের সুরক্ষাসহ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক মর্মে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন। চিঠিতে আরও বলা হয়, বর্ণিতাবস্থায়, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিস সমূহের নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের সদয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। আজ দুপুরে বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। পরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বার্তায় জানায়, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি কর্তৃক দেশের বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণের জন্য নেওয়া বিভিন্ন উদ্যোগ এবং উদ্যোগগুলোর সফল বাস্তবায়নের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে প্রধান বিচারপতির অক্লান্ত চেষ্টায় বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। এ সময় তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী দিনগুলোতে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান বিচারপতির দেখানো পথ ভবিষ্যতে পথ প্রদর্শকের ভূমিকা পালন করবে। রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতির অবসরোত্তর জীবনের সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। প্রধান বিচারপতি বিচার বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক স্বতন্ত্রীকরণের জন্য তার নেওয়া পদক্ষেপগুলোর বাস্তবায়নে রাষ্ট্রপতির বিশেষ সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বলে ওই বার্তায় উল্লেখ করা হয়।

সচিবালয় আন্দোলনের ঘটনায় ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত

সচিবালয় আন্দোলনের ঘটনায় ১৪ কর্মকর্তা-কর্মচারী সাময়িক বরখাস্ত ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলনের ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সচিবালয়ের ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করায় সরকারি বিধি অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে একাধিক প্রজ্ঞাপন জারি করে এই সাময়িক বরখাস্ত কার্যকর করা হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে। বরখাস্ত হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বাদিউল কবির এবং সহসভাপতি শাহীন গোলাম রাব্বানী ও নজরুল ইসলাম। এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া অন্যরা হলেন— স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রোমান গাজী, অফিস সহায়ক আবু বেলাল, অতিরিক্ত সচিবের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. তায়েফুল ইসলাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র রায়, কর্মচারী ইসলামুল হক ও মো. মহসিন আলী; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক কামাল হোসেন ও মো. আলিমুজ্জামান; অর্থ মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক বিপুল রানা বিপ্লব; তথ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস সহায়ক ও সংযুক্ত পরিষদের প্রচার সম্পাদক মিজানুর রহমান সুমন এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অফিস সহায়ক নাসিরুল হক। উল্লেখ্য, গত ১০ ডিসেম্বর ‘সচিবালয় ভাতা’র দাবিতে আন্দোলন চলাকালে সরকারি কর্মচারীরা অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে প্রায় সাত ঘণ্টা সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশের সহায়তায় রাত সোয়া ৮টার দিকে তিনি সচিবালয় ত্যাগ করেন। পরদিনও আন্দোলন অব্যাহত রেখে সচিবালয়ের রাস্তা অবরোধ করা হলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পর্যায়ক্রমে আন্দোলনকারীদের গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং আদালত তাদের রিমান্ডে পাঠান। প্রসঙ্গত, সরকার দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়ার পরও আন্দোলন অব্যাহত রাখায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করা হলেও আন্দোলনকারীরা কর্মসূচি প্রত্যাহার না করায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থান নেয়।

তানোরে নেশাকারক ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

তানোরে নেশাকারক ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার রাজশাহীর তানোরে ৮০ পিস নেশাকারক ট্যাবলেটসহ মনিরুল ইসলাম নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৫। র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে তানোর থানার জামিন সিদাইর স্কুলপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মনিরুলকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তি একই এলাকার মৃত ইমরান মন্ডলের ছেলে। আটকের সময় মনিরুলের দেহ তল্লাশি করে ৮০ পিস নেশাকারক ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট, ২টি মোবাইল ফোন ও ৩টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। ধৃত মনিরুল ওই এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানায় র‌্যাব। সে দীর্ঘদিন ধরে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে ট্যাপেন্টাডল, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক সংগ্রহ করে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারি বিক্রি করছিল। এ ঘটনায় তানোর থানায় মাদক আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালালমুক্ত ব্যবস্থা গড়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

বিদেশে কর্মী পাঠাতে দালালমুক্ত ব্যবস্থা গড়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার বিদেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে দালাল ও প্রতারণামুক্ত একটি কার্যকর ব্যবস্থা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, প্রাতিষ্ঠানিক দালালচক্র, নথি জালিয়াতি ও কাঠামোগত দুর্বলতার কারণে বাংলাদেশের বৈদেশিক কর্মসংস্থানে গভীর সংকট তৈরি হয়েছে। আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ও জাতীয় প্রবাসী দিবস–২০২৫ উপলক্ষে বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিদেশগমন এখন বিপজ্জনকভাবে দালাল ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অর্থবহ অগ্রগতির কথা বলা যায় না। সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টা থাকা সত্ত্বেও দালালনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মূল কাঠামো এখনো ভাঙা সম্ভব হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংকের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, গ্রামাঞ্চলের নারীরা সন্তানদের বিদেশে পাঠাতে ঋণের জন্য আবেদন করতে গিয়ে প্রথম দালালচক্রের ভয়াবহ বাস্তবতা তার সামনে তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিশ্বের প্রায় সব দেশেই বাংলাদেশ থেকে অভিবাসন কার্যত দালালনিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থার মধ্যেই পরিচালিত হচ্ছে। নথি জালিয়াতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভুয়া কাগজপত্রের কারণে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়, এমনকি কোথাও কোথাও নাবিকদের জাহাজ থেকে নামতে দেওয়া হয়নি। তবে সরকারের উদ্যোগে এসব সমস্যার ধীরে ধীরে সমাধান হচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কিছু দেশের শ্রমবাজার আবারও বাংলাদেশের জন্য খুলছে। বিশ্বে বিপুল শ্রমিক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বড় সুযোগ হারাচ্ছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শুধু জাপানই কয়েক লাখ শ্রমিক নিতে প্রস্তুত। তিনি জানান, আগামী পাঁচ বছরে এক লাখ কর্মী পাঠানোর প্রস্তাব দিলে জাপান তা সঙ্গে সঙ্গেই গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশকে ‘যুবাদের সোনার খনি’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, দেশের প্রায় ৯ কোটি মানুষ ২৭ বছরের নিচে। এই তরুণদের দক্ষ ও সুশাসিত ব্যবস্থার মাধ্যমে বৈশ্বিক শ্রমবাজারে যুক্ত করা গেলে দেশের ভাগ্য বদলে যেতে পারে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে তিন ক্যাটাগরিতে ৮৬ জন প্রবাসী বাংলাদেশিকে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) হিসেবে সম্মাননা দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রবাসী কর্মীদের জন্য বীমা সুবিধা, চিকিৎসা সহায়তা, আর্থিক অনুদান ও বৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়।

ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ে নতুন নীতিমালা, ব্যাংক থেকেই মিলবে টাকা

ছেঁড়া-ফাটা নোট বিনিময়ে নতুন নীতিমালা, ব্যাংক থেকেই মিলবে টাকা ছেঁড়া-ফাটা, পোড়া কিংবা বিভিন্ন কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়া নোটের বিনিময়মূল্য ফেরত দেওয়ার ক্ষেত্রে নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এখন থেকে গ্রাহকরা বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা থেকেই নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে নষ্ট নোটের পূর্ণ মূল্য ফেরত পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট (ডিসিএম) এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করেছে। এতে জানানো হয়, গত ৯ অক্টোবর ‘বাংলাদেশ ব্যাংক নোট প্রত্যর্পণ প্রবিধান, ২০২৫’ কার্যকর হয়েছে এবং এ মাধ্যমে আগের ‘বাংলাদেশ ব্যাংক (নোট রিফান্ড) রেগুলেশন–২০১২’ বাতিল করা হয়েছে। নতুন প্রবিধান অনুযায়ী, জনসাধারণের স্বাভাবিক নগদ লেনদেন নিশ্চিত করতে সব ব্যাংক শাখাকে নিয়মিতভাবে ছেঁড়া-ফাটা, ত্রুটিপূর্ণ ও ময়লা নোটের বিনিময় সেবা দিতে হবে। কোনো শাখা এ সেবা দিতে অনীহা দেখালে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নীতিমালায় নোটকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে— পুনঃপ্রচলনযোগ্য, অপ্রচলনযোগ্য, ছেঁড়া-ফাটা বা ত্রুটিপূর্ণ, দাবিযোগ্য এবং আগুনে পোড়া নোট। এর মধ্যে অপ্রচলনযোগ্য ও ছেঁড়া-ফাটা নোটের ক্ষেত্রে ব্যাংক শাখা থেকেই সম্পূর্ণ বিনিময়মূল্য দেওয়া হবে, যদি নোটের ৯০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্যমান থাকে এবং পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য শনাক্ত করা যায়। দুই খণ্ডে বিভক্ত নোটের ক্ষেত্রে উভয় অংশ একই নোটের কিনা তা নিশ্চিত হতে হবে। প্রয়োজনে নোটের পেছনে হালকা কাগজ সংযুক্ত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে, যাতে নোট যাচাইয়ে সমস্যা না হয়। তবে দাবিযোগ্য নোটের বিনিময়মূল্য ব্যাংক শাখায় সরাসরি দেওয়া হবে না। এসব নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠিয়ে যাচাই শেষে মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এ ক্ষেত্রে ডাক বা কুরিয়ার খরচ গ্রাহককেই বহন করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আবেদন পাওয়ার আট সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে। অন্যদিকে, আগুনে পোড়া নোটের ক্ষেত্রে গ্রাহককে সরাসরি বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকটস্থ কার্যালয়ে গিয়ে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হবে। এ ছাড়া জাল নোট বা একাধিক নোটের অংশ জোড়া দিয়ে তৈরি ‘বিল্ট-আপ’ নোট উপস্থাপন করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সব ব্যাংক শাখাকে দৃশ্যমান স্থানে নোটিশ টানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যেখানে নোট বিনিময়ের শর্ত ও পদ্ধতি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকবে। একই সঙ্গে ছেঁড়া-ফাটা ও দাবিযোগ্য নোট গ্রহণের তথ্য মাসিক ভিত্তিতে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে পরিবীক্ষণ করার নির্দেশও দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।