আমদানির ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে
আমদানির ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল চট্টগ্রাম বন্দরে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চাল চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে মিয়ানমার থেকে আমদানি করা চালের প্রথম চালান এটি। আজ খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জিটুজি ভিত্তিতে মিয়ানমার থেকে এসব চাল আনা হয়। এমভি গোল্ডেন স্টার জাহাজের মাধ্যমে ২২ হাজার মেট্রিক টন আতপচাল এসেছে। জাহাজ থেকে দ্রুত চাল খালাসের কাজ শুরু করা হবে। তবে আমদানি করা চালের নমুনা সংগ্রহ করে ভৌত পরীক্ষা করা হবে এর আগে। এজন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। গতকাল রাতে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৪(৪)- এ উল্লিখিত বিচারকার্য পালনের স্বাধীনতাকে সুসংহতকরণ, অনুচ্ছেদ ৯৫(১)- এ প্রধান বিচারপতির পরামর্শ গ্রহণ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছ প্রয়োগ এবং অনুচ্ছেদ ৯৪(২)(গ)- এর অধীন সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে যোগ্য ব্যক্তির নিয়োগ নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অধ্যাদেশ প্রণয়নপূর্বক আইন ও বিচার বিভাগ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করেছে। এতে আরো বলা হয়, আজ উপদেষ্টা পরিষদ-বৈঠকে লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং-সাপেক্ষে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।
৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল
৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল কৃষি গুচ্ছের দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১২ এপ্রিল সকাল ১১টায় সারাদেশে একযোগে কৃষিগুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। আজ এই তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এডিশনাল রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. ফারুক আহম্মদ। তিনি জানান, গতকাল বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কক্ষে কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। ভর্তি কমিটির সূত্রে জানা যায়, কার্যনির্বাহীর সভায় কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩ শতাংশ, প্রতিবন্ধী কোটা-১ শতাংশ এবং উপজাতি/পার্বাত্যঞ্চলের বাংলাদেশিরা/অনগ্রসর জাতিগোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ কোটা রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয়
বায়ুদূষণে আজও শীর্ষে ঢাকা, দ্বিতীয় স্থানে ভিয়েতনামের হ্যানয় বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজও শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ২৪৩ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। আজ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। আজ বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় আজ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় ২১০ ও ভারতের দিল্লি ১৯১। শহরদুটির বাতাসের মান খুবই অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে। উজবেকিস্তানের তাসখন্ত ও নেপালের কাঠমুন্ডু তালিকায় চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে রয়েছে। শহরদুটির বাতাসের মান ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে।
এইচএমপি ভাইরাস: ৬ ধরনের রোগীকে সতর্কতার পরামর্শ
এইচএমপি ভাইরাস: ৬ ধরনের রোগীকে সতর্কতার পরামর্শ দেশে এইচএমপি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক রোগীর মৃত্যুকে ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে এই অবস্থায় ভাইরাস থেকে বাঁচতে ৬ ধরনের জটিল রোগীকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ৬টি জটিল রোগ হলো-ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি (দীর্ঘস্থায়ী অবরোধক ফুসফুসীয় ব্যাধি), অ্যাজমা ও ক্যান্সার। আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ-ব্লক অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সেমিনারে বক্তারা এসব তথ্য জানান। তারা বলছেন, একাধিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি ছাড়া এই রোগ শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। আর আক্রান্তরা লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিলে এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল ও পুষ্টিকর খাবার খেলে রোগটি ভালো হয়ে যায়। অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, “এইচএমপিভি একটি পুরাতন ভাইরাস। এই ভাইরাসের বিষয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকতে হবে। হাত ধোয়া ও মাস্কের ব্যবহারসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা ও এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউর সব রকমের প্রস্তুতি রয়েছে।” অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও সতর্ক থাকার প্রয়োজন রয়েছে।বিশেষ করে যেসব রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরকে বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।” “এইচএমপিভি নিয়ে আতঙ্ক নয়। এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টি অত্যন্ত জরুরি। ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ না থাকলেও উচ্চমাত্রার ঝুঁকি রয়েছে এমন সব রোগীদের ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের প্রয়োজন রয়েছে। হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস যা সাধারণত মানুষের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি নতুন কোনো ভাইরাস নয়। এটি অন্যান্য ফ্লু যেমন-ইনফুলুয়েঞ্জা রেস্পিরেটরি সিনসাইশিয়ালের মতোই একটি ভাইরাস।সর্বপ্রথম নেদারল্যান্ডে ২০০১ সালে এইচএমপিভি মানুষের শরীরে শনাক্ত হয় এবং বাংলাদেশে প্রথম ২০১৭ সালে এইচএমপিডি সংক্রমণ শনাক্ত হয়।” তিনি বলেন, “এটি আসলে মারাত্মক কোনো ভাইরাস নয়, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তি সাধারণত জ্বর, কাশি, নাক বন্ধ, গলাব্যথা এসব লক্ষণ নিয়ে আসতে পারে, এছাড়া চামড়ায় র্যাশ এবং কখনও কখনও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে যেমন যাদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ, সিওপিডি, অ্যাজমা অথবা ক্যান্সারের মতো জটিল রোগ আছে তাদের বিশেষভাবে সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি আরো বলেন, “ভাইরাসটি সাধারণত আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি ও কাশির ড্রপলেটের মাধ্যমে ছড়ায়, তাই কিছু নিয়মকানুন মেনে চললে খুব সহজেই এই রোগের বিস্তার রোধ করা সম্ভব। যেমন-বাইরে গেলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে, সাবান, পানি দিয়ে ঘন ঘন হাত ধুতে হবে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার সময় টিস্যু দিয়ে মুখ ঢেকে নিতে হবে, আর টিস্যু না থাকলে হাতের কনুই ভাঁজ করে সেখানে মুখ গুঁজে হাঁচি কাশি দিতে হবে, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, জনসমাগম বা ভিড় এড়িয়ে চলতে হবে ইত্যাদি। সাধারণত শীতকাল ও বসন্তকালে এ রোগের সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।” এইচএমপিভি একটি সংক্রামক রোগ এবং যেভাবে এটি ছড়ায়, তার সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে করোনার। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার মতোই হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন এবং স্পর্শের মাধ্যমে ছড়ায় এ রোগটি। তবে, ভাইরাসটিকে নিয়ে এখনই আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে অভিমত চিকিৎসক ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞদের। তারা বলছেন, রোগটিকে প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং এর প্রতিরোধের সঙ্গে করোনা বা কোভিডের প্রতিরোধ ব্যবস্থার সাদৃশ্যও রয়েছে। চীনের যেসব হাসপাতালে এইচএমপিভি রোগীরা ভর্তি হয়েছেন, তাদের চিকিৎসায় নির্দিষ্ট কোনো ওষুধ ব্যবহার না করে প্রচলিত ওষুধই দেওয়া হচ্ছে। রোগটি প্রতিরোধের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, সেগুলো হলো-নিয়মিত দিনে কয়েকবার সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং কোনো কিছু স্পর্শ করার পর হাত ভালোভাবে ধোয়া এবং শারীরিক অসুস্থতা বোধ করলে বাড়িতে অবস্থান করা।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রথম গেজেট প্রকাশ
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের প্রথম গেজেট প্রকাশ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ‘শহীদদের’ তালিকা নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আজ প্রকাশিত প্রথম গেজেটে সারাদেশের ৮৩৪ জন ‘শহীদের’ নাম স্থান পেয়েছে। গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের এটিই প্রথম চূড়ান্ত তালিকা।মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত গেজেটে শহীদের মেডিকেল কেইস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা রয়েছে। এর আগে গত ২১ ডিসেম্বর সরকারের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদ’ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেখানে ৮৫৮ জন শহীদের নামের পাশাপাশি আহতদের তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১ জনের নাম ছিল।
বাংলাদেশে এইচএমপিভিতে প্রথম আক্রান্ত নারীর মৃত্যু
বাংলাদেশে এইচএমপিভিতে প্রথম আক্রান্ত নারীর মৃত্যু দেশে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। মহাখালী সংক্রামক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরিফুল বাশার বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মৃতের নাম সানজিদা আক্তার ( ৩০)। গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরব এলাকায়। ওই নারীর বিদেশ সফরের কোনো ইতিহাস ছিল না। গত ১২ জানুয়ারি সানজিদা এইচএমপিভিতে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। তবে ওই নারী যে এইচএমপিভি ভাইরাসের জন্যই মারা গেছেন, এমনটি বলা যাবে না। ওনার অন্য আরও শারীরিক জটিলতা ছিল, যার জন্য হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যায় বলেও জানান হাসপাতালের তত্ববধায়ক। এইচএমপিভি শনাক্ত হওয়া কারো মৃত্যুর ঘটনা দেশে এটিই প্রথম।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪–এর শহীদদের গেজেট প্রকাশ
জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪–এর শহীদদের গেজেট প্রকাশ জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪–এ শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এটি প্রকাশ করেছে। সেখানে গেজেট প্রকাশের তারিখ লেখা হয়েছে গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি)। সরকারি এ গেজেট অনুযায়ী, ওই গণঅভ্যুত্থানে শহীদের সংখ্যা ৮৩৪। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হরিদাস ঠাকুর স্বাক্ষরিত ওই গেজেটে ‘মেডিকেল কেস আইডি’, শহীদদের নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তবে কে কোথায় এবং কোন তারিখে শহীদ হন, তা গেজেটে উল্লেখ করা হয়নি। জানা গেছে, শহীদ ও আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অধিদপ্তর’ করতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে শহীদদের সংখ্যা ৮৩৪ জন আর আহতদের সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। মূলত এই গণঅভ্যুত্থানের স্মৃতি রক্ষা করতে এবং আহত ও নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে কাজ করবে এই অধিদপ্তর। সরকারের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ‘শহীদ’ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল গত ২১ ডিসেম্বর। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর জুলাই-আগস্টে নিহত এবং আহতদের তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে। যাচাই-বাছাই শেষে বুধবার শহীদদের নাম প্রকাশ করে প্রথম গেজেট হলো।
সংস্কার প্রতিবেদন থেকে তৈরি হবে নতুন বাংলাদেশের চার্টার: ড. ইউনূস
সংস্কার প্রতিবেদন থেকে তৈরি হবে নতুন বাংলাদেশের চার্টার: ড. ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন চারটি সংস্কার কমিশনের প্রধান। তারা হলেন—সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. আলী রিয়াজ, নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান সরফরাজ হোসেন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. ইফতেখারুজ্জামান। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চারটি সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরে একটি বৈঠক হয়েছে। আলোচনার শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন তৈরির গুরু দায়িত্ব পালনের জন্য সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দেন। তিনি বলেন, এটা শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। বহু রকম রিপোর্ট হয়, কমিটি হয়, রিপোর্ট আসে, গ্রহণ করে আনুষ্ঠানিকতা পালন করি। আজকের আনুষ্ঠানিকতা সেটার বহু ঊর্ধ্বে। ড. ইউনূস বলেন, আজকের ঘটনা ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবে। কারণ ইতিহাসের প্রবাহ থেকে এই কমিশনগুলোর সৃষ্টি হয়েছে। একটা ধ্বংসপ্রাপ্ত জাতির হঠাৎ পুনরুত্থান হয়েছে, মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে, সেখান থেকে ইতিহাসের সৃষ্টি। আজকের দিনের এই অনুষ্ঠান সেই ইতিহাসের অংশ। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা সেই ইতিহাস ধারণ করতে পারছি কি না, সামনে নিয়ে যেতে পারছি কি না, সেই ইতিহাসের যে অঙ্গীকার সেই অঙ্গীকার আমরা পূরণ করতে পারছি কি না, আমরা মানুষের মনোভাব, স্বপ্নকে এর মধ্যে ধারণ করতে পেরেছে কি না, সেটা মূল বিষয়। আজকে তার যাত্রা শুরু হলো, সেই ঐতিহাসিক ঘটনা প্রবাহে। একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে এর কাঠামো রচনার কাজ আপনাদের হাতে দিয়েছিলাম কমিশনের মাধ্যমে। আমাদের যে স্বপ্ন আছে এবং সেই স্বপ্নগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পুনরুত্থান হলো, সেই স্বপ্নকে আমরা ধারণ করতে পারছি কি না, সেটাই আমাদের বিবেচ্য বিষয় হবে। এটা এখানে শেষ না, এই অধ্যায় শুরু হলো। স্বপ্ন এবং অভ্যুত্থান পরবর্তী যাত্রা শুরু হলো। ড. ইউনূস আরও বলেন, সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনারা আলোচনার রস তুলে দিলেন। এই আলোচনায় কীভাবে সবাই মতৈক্য হবে, এখান থেকে তৈরি হবে নতুন বাংলাদেশের চার্টার। সেই চার্টার মতৈক্যের ভিত্তিতে হবে। নির্বাচন হবে, সবকিছু হবে কিন্তু ইতিহাসের অংশ হিসেবে চাটার্র আমাদের জাতীয় কমিটমেন্ট। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, সব দল এই চার্টারে সাইন করবে। এটা হবে আমাদের জাতীয় সনদ। যে সনদ বুকে নিয়ে আমরা অগ্রসর হব। যত তাড়াতাড়ি পারি, যত বেশি পরিমাণ পারি, এটা বাস্তবায়ন করতে থাকব। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হবে, এই চার্টারের ভিত্তিতে সেটাও যেন ঐকমত্যের সরকার হয়। এই চার্টারকে আমরা ধরে রাখব। আমরা এর কন্টিনিউটি চাই কাজে, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে রেফারেন্সের বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ
অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে রেফারেন্সের বৈধতা নিয়ে রিট খারিজ সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো রেফারেন্স ও মতামত প্রক্রিয়া নিয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটে আজ এ আদেশ দেন বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ।