ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আজ হাসপাতালে নতুন রোগী ১১৪

ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, আজ হাসপাতালে নতুন রোগী ১১৪ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় একজন প্রাণ হারিয়েছেন। এ সময় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১১৪ জন ডেঙ্গুরোগী। আজ স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। চলতি বছর এ নিয়ে ডেঙ্গুতে ৬১ জন মারা গেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চলতি বছরের ১৮ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১৬ হাজার ৩৯৫ জন। এর মধ্যে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ ও ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবৎ ১৫ হাজার ১১৭ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।

 নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: আসিফ

নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান: আসিফ ছাত্র-জনতার গৌরবোজ্জ্বল জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে আয়োজিত প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান ইতিহাসের এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়। এই অভ্যুত্থান দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। আজ সকালে রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতীকী ম্যারাথনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের সেই মহান আত্মত্যাগীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি এবং তরুণ প্রজন্মকে সেই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছি। ছাত্র-জনতার জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জুলাই-যোদ্ধাসহ আন্দোলনে আহত ও নিহত পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে প্রতীকী ম্যারাথনের আয়োজন করা হয়।

ঢাকায় বাতাসের মান ৬০ স্কোর নিয়ে ‘সহনীয়’

ঢাকায় বাতাসের মান ৬০ স্কোর নিয়ে ‘সহনীয়’ বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় ঢাকা ৩৯ নম্বর স্থানে রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ৬০ স্কোর নিয়ে ঢাকার বাতাসের মান ‘সহনীয়’ পর্যায়ে রয়েছে। আজ বেলা ১২টার দিকে বাতাসের মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউএয়ারের সূচক থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বায়ুদূষণে বিশ্বের শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা ১৭৬। এরপরেই রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা ১৫৩, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা ১৫৩, ব্রাজিলের সাও পাওলোর স্কোর ১৫১। এসব শহরের বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে রয়েছে।

তথ্য জালিয়াতি করলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা

তথ্য জালিয়াতি করলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা মার্কিন ভিসাপ্রার্থীরা ভুয়া নথিপত্র দাখিল বা তথ্য গোপন করলে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি হতে পারে। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলাও দায়ের হতে পারে। আজ ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব বিষয়ে সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। দূতাবাস জানায়, কনস্যুলার অফিসাররা ভিসা জালিয়াতি ও প্রতারণার নতুন নতুন কৌশল এবং ভুয়া নথিপত্র তৈরির প্রযুক্তি সম্পর্কে সবসময় জানেন। তথ্য গোপন করা বা ভুয়া কাগজপত্র দাখিল করা গুরুতর অপরাধ। এর ফল হতে পারে আজীবনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এবং ফৌজদারি মামলা।  

ঢাকায় গাছের অক্সিজেন যোগান ৫ শতাংশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি

ঢাকায় গাছের অক্সিজেন যোগান ৫ শতাংশ, বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশুদ্ধ বাতাস ও অক্সিজেন মানুষের জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। কিন্তু বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ শহর ঢাকা বর্তমানে মারাত্মক বায়ুদূষণ ও অক্সিজেন ঘাটতির মুখোমুখি। একদিকে শহরজুড়ে গাছ কাটা ও নির্মাণকাজ চলছে ব্যাপকভাবে, অন্যদিকে ধূলিকণা, ধোঁয়া, ও বিষাক্ত গ্যাসে ঢাকার বাতাস হয়ে উঠছে বিপজ্জনক। ফলে নগরবাসী মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। ঢাকার আয়তন প্রায় ৩০৬ বর্গকিলোমিটার এবং জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৩ লাখ (২০২২ সালে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো-বিবিএসের তথ্য)। এটি দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম শহর। জনঘনত্বের দিক থেকে ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোর মধ্যে অন্যতম, যেখানে প্রতি বর্গকিলোমিটারে প্রায় ২৩ হাজার লোক বসবাস করে। ঢাকা শহরের প্রশাসনিক কাঠামো দুই ভাগে বিভক্ত। ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন প্রায় ১৯৬.২২ বর্গকিলোমিটার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আয়তন প্রায় ১০৯.২৫ বর্গকিলোমিটার। দুই সিটিতে (৫৪+৭৫) ১২৯টি ওয়ার্ড রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনে ১ কোটির বেশি মানুষ বসবাস করলেও এই বিপুল জনসংখ্যার বিশুদ্ধ অক্সিজেন যোগান দেওয়ার জন্য নেই পর্যাপ্ত গাছপালা। ১৯১৭ সালের পরিকল্পনায় বলা হয়েছিল, ঢাকা হবে একটি বাগানের শহর। কিন্তু অপরিকল্পিত নগরায়ন, আবাসন ও জনসংখ্যার চাপে ঢাকা শহর থেকে সবুজ, মাঠ ও জলাশয় হারিয়ে গিয়েছে। ঢাকা নগরের আওতায় ছোট বড় মিলিয়ে মাত্র ৪৮টি উদ্যান ও প্রায় ২৫টি খেলার মাঠ রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব উদ্যান দখল, অবহেলা বা অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনার কারণে অকেজো হয়ে পড়েছে। সরকারের বন বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সংস্থা ইউএস ফরেস্ট সার্ভিসের করা এক বৃক্ষ জরিপ (২০২০) থেকে জানা যায়, ঢাকা সিটি কর্পোরেশনে ছোট–বড় প্রায় ১৩ লাখ গাছ রয়েছে। ১৩ লাখ গাছের মধ্যে ঢাকা উত্তরে রয়েছে ৬ লাখ ৮২ হাজার ৬০০টি, আর ঢাকা দক্ষিণে আছে ৬ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ গাছ। ঢাকায় প্রতি সাতজনের বিপরীতে রয়েছে মাত্র একটি গাছ। তথ্যে জানা যায়, একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ দৈনিক ৫৫০ লিটার অক্সিজেন গ্রহণ করে। সেই হিসেবে মহানগরে প্রায় ১ কোটি মানুষের জন্য দৈনিক প্রায় ৫৫০ কোটি লিটার অক্সিজেন প্রয়োজন। কিন্তু ঢাকা মহানগরের গাছপালাগুলো মিলে দৈনিক যোগান দিতে পারে মাত্র ১৮ কোটি লিটার, যা প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩-৫ শতাংশ। বাকি অক্সিজেন আসছে বাইরে থেকে অথবা উৎপাদনশীল গাছের পরিবর্তে কিংবা দূষণপূর্ণ বাতাস থেকে। বাতাসে সাধারণভাবে প্রায় ২১ শতাংশ অক্সিজেন থাকে, যা শহর ও গ্রামের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য করে না। কিন্তু পার্থক্য হয় বাতাসের বিশুদ্ধতায়। শহরের বাতাসে ধুলাবালি, ধোঁয়া, ও বিষাক্ত গ্যাস বেশি মিশে থাকে, যা শ্বাস নেওয়াকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। দূষণের কারণ অপরিকল্পিতভাবে নগরায়ন, বহুতল ভবন, মার্কেট, কংক্রিট স্থাপনায় নির্বিচারে গাছ কাটা হচ্ছে। ফলে সবুজায়ন কমছে, সেই সাথে অক্সিজেনের মাত্রা ও কমছে। ঢাকা ও এর আশেপাশে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে ওঠা অসংখ্য অবৈধ ইটভাটা ও ফ্যাক্টরি থেকে পিএম ২.৫ (প্রতি ঘনমিটার বায়ুতে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা-পিএম ২.৫) উপস্থিতিসহ বিষাক্ত কালো ধোঁয়া বাতাসে কার্বন মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড ছড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে অক্সিজেন। ঢাকার অক্সিজেন দূষণের প্রধান কারণ হলো মেয়াদোত্তীর্ণ ও ফিটনেসবিহীন গাড়ির নির্গত কালো ধোঁয়া, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি বায়ুতে মিশে যায়। ঢাকার বাইরে থেকে আসা হাজার হাজার ট্রাক ও দূরপাল্লার যানবাহনের ধুলা ও ধোঁয়ার পাশাপাশি আন্তঃসীমান্ত বায়ুদূষণের জন্য এখানকার বায়ু দূষিত হয়ে পড়ে। মহানগর এলাকায় পরিচ্ছন্নতা ব্যবস্থাপনা খুবই দুর্বল। খোলা ডাস্টবিন, লেক, পুকুর, ড্রেনেজের নর্দমা ও আবর্জনার পচনশীল গন্ধযুক্ত গ্যাস বাতাসে বিষ মিশিয়ে দেয়। তাছাড়া দীর্ঘদিন খোঁড়াখুঁড়ি ও নির্মাণকাজের সামগ্রী রাস্তায় পড়ে থাকা ধুলা বাতাসকে দূষিত করে পিএম ১০/পিএম ২.৫-এর পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫ ও পিএম ১০-এর উপস্থিতি। এর ফলে প্রায় দিনই দূষিত তালিকায় রয়েছে ঢাকা। পিএম ২.৫ ও পিএম ১০ হলো বাতাসে ভাসমান অতিক্ষুদ্র বস্তুকণার মাপ। এই কণাগুলো মানুষের ফুসফুসে প্রবেশ করে নানা ধরনের শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত সমস্যা সৃষ্টি করে এবং দীর্ঘমেয়াদে মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। অক্সিজেন সংকটে স্বাস্থ্যঝুঁকি বিশুদ্ধ অক্সিজেন সংকটে মানুষকে বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বৈশ্বিক বায়ুদূষণের ঝুঁকি বিষয়ক ‘দ্য স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার-২০১৯’ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের যে পাঁচটি দেশের শতভাগ মানুষ দূষিত বায়ুর মধ্যে বসবাস করে, তার মধ্যে একটি বাংলাদেশ। বায়ু দূষণজনিত মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশ পঞ্চম। দূষিত বায়ুর কারণে ২০১৭ সালে দেশে মারা গেছে ১ লাখ ২৩ হাজার মানুষ। সেন্টার ফর রিসার্চ অন অ্যানার্জি অ্যান্ড ক্লিন এয়ারের (সিআরআইএ) এক গবেষণার তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বায়ুদূষণের প্রভাবে প্রতি বছর পাঁচ হাজার ২৫৮ শিশুসহ এক লাখ দুই হাজার ৪৫৬ জন মানুষের অকালমৃত্যু হচ্ছে। একই কারণে প্রতি বছর নয় লাখ মায়ের অপরিণত গর্ভধারণ হচ্ছে এবং প্রায় সাত লাখ কম ওজনের শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। আর এ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে প্রতিবছর ছয় লাখ ৭০ হাজার রোগী জরুরি বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন যার ফলে সম্মিলিতভাবে বছরে ২৬ কোটি ৩০ লাখ কর্মদিবস হারাচ্ছে। আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্রের (আইসিডিডিআরবি) গবেষণায় দেখা যায়, গর্ভাবস্থায় কম বায়ুদূষণের শিকার মায়েদের তুলনায় অধিক বায়ুদূষণে ভোগা মায়েদের ‘প্রিটার্ম বার্থ’ (সময়ের আগে জন্মদান) ও কম ওজনের বাচ্চা প্রসবের ঝুঁকি অনেক বেশি। জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের (নিপসম) তথ্য মতে, দূষিত অক্সিজেনের অভাবে শিশুদের মধ্যে হাঁপানি ও নিউমোনিয়ার হার বেড়েছে ২৮ শতাংশ। প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের ঝুঁকি ৩ গুণ বেড়েছে। কর্মক্ষম মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন স্লিপ ডিসঅর্ডার, মানসিক অবসাদ, ক্লান্তি ইত্যাদিতে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্য মতে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি বছর ঢাকায় বায়ুদূষণে প্রায় ১৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়। স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্ট বিশেষজ্ঞ কনসালট্যান্ট ডা. মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাবে মানুষ পালমোনারি হাইপারটেনশন, তীব্র শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, সিওপিডি ও হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। তবে প্রতিদিন সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শ্বাসকষ্টের রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। রোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে এই রোগ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার উপায় জানতে চাইলে ডা. রিয়াজ বলেন, প্রথমত আমাদের ঘনবসতি এলাকাগুলোকে পরিকল্পনা মাফিক আবাসিক এলাকা হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের ভেতরের কলকারখানাগুলোকে পরিবেশবান্ধবভাবে গড়ে তোলা। বেশি বেশি সবুজায়ন কর্মসূচি করতে হবে। কঠোর আইন প্রয়োগ করে কালো ধোঁয়া থেকে রাজধানীকে মুক্ত করতে হবে। তাহলেই আমরা বিশুদ্ধ অক্সিজেন পাব। নগরের বাসিন্দারাও রোগমুক্ত থাকবে। মহাখালী জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. এটিএম কামরুল হাসান বলেন, দূষিত বায়ু গ্রহণের ফলে ফুসফুস ক্যান্সার, প্রসাবের থলির ক্যান্সারসহ অনেক ক্যান্সার বাতাসে মিশ্রিত কার্সিনোজেন লেড, ক্রমিয়াম হয়ে থাকে। এই রোগগুলো থেকে মুক্তি পেতে রাষ্ট্র, সমাজ ও ব্যক্তি এই তিন পর্যায়ে উদ্যোগ নিতে হবে। ব্যক্তি পর্যায়ে মাস্ক ব্যবহার করা, ধূমপান পরিহার, পুষ্টিকর খাবার খাওয়া। সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে বনায়ন কর্মসূচি পালন এবং রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে দূষণের বিরোধী কর্মসূচির উদ্যোগ নিলে অনেকটাই কমে আসবে বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ। বিশুদ্ধ অক্সিজেন সংকট থেকে উত্তরণে উপায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি দূষিত অক্সিজেন থেকে রক্ষা

প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনি নোটিশ

প্রাথমিকের ৬৫ হাজার প্রধান শিক্ষককে দশম গ্রেডে উন্নীত করতে আইনি নোটিশ দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে উন্নীত করতে সরকারের পাঁচ সচিব বরাবর আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ছিদ্দিক উল্ল্যাহ মিয়া রেজিস্ট্রি ডাকযোগে গতকাল আইনসচিব, জন প্রশাসনসচিব, শিক্ষাসচিব, অর্থসচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষাসচিব বরাবর এ নোটিশ পাঠান। সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকদের পদের সংখ্যা প্রায় ৬৫। নোটিশে প্রধান শিক্ষকদের বিষয়ে সাত দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তা না হলে বিষয়টি আদালতের নোটিশে আনা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে তা কার্যকর করা হয়নি। পরে ৪৫ জন প্রধান শিক্ষক হাইকোর্টে রিট করেন। ওই রিট নিষ্পত্তি করে ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ১০তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যায় রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আপিল খারিজ হলে পরে রিভিউ করা হয়। এ বছরের ১৩ মার্চ সেটিও খারিজ হয়। এরপর ৪৫ জন প্রধান শিক্ষককে গত ৭ জুলাই ১০ম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। অথচ এর সংখ্যা প্রায় ৬৫ হাজার। সবাই মামলা না করলেও বাকি প্রধান শিক্ষকদেরও রায় অনুযায়ী সমান সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের তা না দেওয়ায় লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছি। আশা করি, এই নোটিশ পাওয়ার পর তাদের ১০তম গ্রেড ও দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা দিতে উদ্যোগ নেবে সরকার।

২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আসামি পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর ওই রায় দেন। ১৯ ডিসেম্বর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২। মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। এ ঘটনার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম (কারাগারে মারা যান), কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জ্বল, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম (কারাগারে মারা যান), হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ। পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ (কারাগারে মারা যান), মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু। তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর দুটি মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট।

পাঁচ বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে

পাঁচ বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে দেশের পাঁচটি বিভাগে তুলনামূলক বেশি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টিও হতে পারে। বুধবার (১৬ জুলাই) এমন পূর্বাভাসে দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়াবিদ একেএম নাজমুল হক জানিয়েছেন, ঝাড়খন্ড এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি বর্তমানে বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় ও অন্যত্র মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল পর্যন্ত দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা ১-২ ডিগ্রি সে. বাড়তে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে সারাদেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। শনিবার (১৯ জুলাই) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রোববার (২০ জুলাই) সকাল থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনের আবহাওয়ায় বৃষ্টিপাতের প্রবনতা বৃদ্ধি পেতে পারে।

নৌকা প্রতীক ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিল ইসি

নৌকা প্রতীক ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিল ইসি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ‘নৌকা’ প্রতীক ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১৬ জুলাই) ইসি সচিব আখতার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কমিশনের নির্দেশনায় দলটির প্রতীক সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি আদালতের আদেশে দলটির নিবন্ধন স্থগিত করে ইসি৷ এরপর প্রতীকের তালিকা থেকে নৌকা বাদ দেওয়ার দাবি তোলে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি।মঙ্গলবার রাতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন-অভিশপ্ত নৌকা মার্কা কোন বিবেচনায় আবার শিডিউলভুক্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠালেন। সস্প্রতি নির্বাচনী প্রতীকের তালিকা সংশোধন করে ১১৫টি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। এতে নৌকা প্রতীকও রাখা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এনসিপি আপত্তি জানায়।

পাঁচ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত

পাঁচ যুগ্ম কমিশনারসহ এনবিআরের ৮ কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ( এনবিআর) কর বিভাগের পাঁচ যুগ্ম কর কমিশনার ও তিন উপ- কর কমিশনার সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা পৃথক প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সাময়িক বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তারা হলেন: কর অঞ্চল-২ এর যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন, কর অঞ্চল-১৫ এর মুরাদ আহমদ, কুষ্টিয়া কর অঞ্চলের মোহাম্মদ মোরশেদ উদ্দিন, নোয়াখালী কর অঞ্চলের মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা ও কক্সবাজারের কর অঞ্চলের যুগ্ম কর কমিশনার আশরাফুল আলম প্রধান এবং উপ-কর কমিশনার শিহাবুল ইসলাম, কুমিল্লার উপ-কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিল ও রংপুরের নুসরাত জাহান শমী।