ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৪০

ডেঙ্গুতে ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ২৪০ সারাদেশে সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। এসময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৪০ জন ডেঙ্গুরোগী। মারা যাওয়া ব্যক্তি ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪১০ জন এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ১ লাখ ১ হাজার ২৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ২০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫৭ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৯ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩১ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭ জন রংপুর বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৩২০ জন ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৯ হাজার ৭৭২ জন।

গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন

গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আজ প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সাপ্তাহিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়ে। এছাড়া বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বৈঠক শেষে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ তিনটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রেস উইং। সেগুলো হলো-গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন। বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন এবং সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর গুম হওয়া ব্যক্তি অন্যূন ৫ বছর ধরে গুম থাকলে এবং জীবিত ফিরে না এলে ট্রাইব্যুন্যাল তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ডিসাপিয়ার্ড’ বা ‘গুম’ ঘোষণা করতে পারবে। সরকার ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার ট্রাইব্যুনাল’-এর জন্য মানবাধিকার কমিশনের সুপারিশের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পাবলিক প্রসিকিউটর নিয়োগ দিতে পারবে। ভুক্তভোগী বা অভিযোগকারীও ব্যক্তিগত উদ্যোগে ট্রাইব্যুনাল আইনজীবী নিয়োগ করতে পারবেন এবং গুম হওয়া ব্যক্তির স্ত্রী বা তার ওপর নির্ভরশীল পরিবারের কোনো সদস্য কমিশনের পুর্বানুমতি ব্যাতিরেকে গুম হওয়া ব্যক্তির সম্পত্তি ব্যবহার করতে পারবেন। এদিকে, বাংলাদেশ হাওড় ও জলাভূমি সংরক্ষণ অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশে হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন অধিদপ্তরের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব, কর্তৃত্ব ও অধিক্ষেত্র সুস্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা হবে। হাওর ও জলাভূমি এলাকার জীববৈচিত্র্য, পরিবেশ, প্রতিবেশ ও বাস্তুতন্ত্র সংরক্ষণের লক্ষ্যে সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি, হাওর ও জলাভূমি এলাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংরক্ষিত হাওর ও জলাভূমি এলাকা ঘোষণা করার বিধানও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়া হাওর ও জলাভূমি এলাকায় নিষিদ্ধ কার্যক্রমের বিবরণ প্রদান, নিষিদ্ধ কার্যক্রম সংঘটিত হলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করা এবং উক্ত অপরাধের জন্য আরোপনীয় দণ্ডের বিধান করা হয়েছে। হাওর ও জলাভূমি এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নির্ধারিত ব্যতিক্রম সাপেক্ষে অধিদপ্তরের মতামত গ্রহণের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে অন্যান্য কর্তৃপক্ষ/দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়, স্থানীয় অংশীজনদের সম্পৃক্ততা এবং সংরক্ষণ কার্যক্রমে তাদের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিধি, প্রবিধান ও নির্দেশিকা প্রণয়নের ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নে বাংলাদেশের নতুন একটি দূতাবাস স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময় থেকেই সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে বাংলাদেশের পার্মানেন্ট মিশন রয়েছে। বার্নে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেরই দূতাবাস থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশের দূতাবাস না থাকায় জেনেভার পামার্নেন্ট মিশনেই এতদিন ধরে জাতিসংঘ ও দূতাবাসের কাজগুলো সম্পন্ন করা হচ্ছিল। সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী ও কৌশলগত অংশীদার। এসব বিবেচনায় নিয়ে বার্নে বাংলাদেশ দূতাবাস স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একজন রাষ্ট্রদূত, ফার্স্ট সেক্রেটারি, কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারি নিয়োগ দিয়ে দূতাবাসের কার্যক্রম শুরু হবে। এ পর্যন্ত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন অফিস আছে। উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা হয়েছে। হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার বিষয়ে সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান নিয়মিতভাবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন, খোঁজখবর জানাচ্ছেন।বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতকাল সিঙ্গাপুর পৌঁছেছেন। তিনি সরাসরি হাদির চিকিৎসার দেখভাল করছেন। এছাড়া এ বছর মহান বিজয় দিবস সুন্দর ও সুচারুভাবে উদযাপনের জন্য মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

বায়ু দূষণ রোধ বাঁচাতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবন

বায়ু দূষণ রোধ বাঁচাতে পারে দক্ষিণ এশিয়ার ১০০ কোটি মানুষের জীবন দক্ষিণ এশিয়ার ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশ (আইজিপি-এইচএফ) নামে পরিচিত অংশগুলোতে বায়ু দূষণ স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনশীলতার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ক্ষতি করছে। এটি এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুতর উন্নয়ন চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। এই অঞ্চলের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ অস্বাস্থ্যকর বায়ু শ্বাস নেয়, যার ফলে প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের অকাল মৃত্যু হয়। এর ফলে প্রতি বছর এই অঞ্চলে জিডিপির প্রায় ১০ শতাংশ অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়ে থাকে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। ‘পরিবর্তনের নিঃশ্বাস: ইন্দো-গাঙ্গেয় সমভূমি এবং হিমালয়ের পাদদেশে পরিচ্ছন্ন বাতাসের সমাধান’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং বিচারব্যবস্থায় কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে তা দূষণ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করতে, জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করতে এবং শক্তিশালী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থনে অবদান রাখবে। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, নেপাল এবং পাকিস্তানের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত আইজিপি-এইচএফ-এ বায়ু দূষণের মূল উৎস পাঁচটি। এর মধ্যে রয়েছে- রান্না ও গরম করার জন্য কঠিন জ্বালানি পোড়ানো, উপযুক্ত ফিল্টার প্রযুক্তি ছাড়াই জীবাশ্ম জ্বালানি ও জৈববস্তুপুঞ্জ পোড়ানো, অদক্ষ অভ্যন্তরীণ দহন যানবাহন ব্যবহার করা, কৃষকদের ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো এবং অদক্ষভাবে সার ও সার ব্যবস্থাপনা করা, এবং পরিবার ও প্রতিষ্ঠানগুলোর বর্জ্য পোড়ানো। প্রতিবেদনে এমন কিছু সমাধান তুলে ধরা হয়েছে, যা সহজেই গ্রহণ করা এবং এর ব্যবহার বাড়ানো যেতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে- বৈদ্যুতিক রান্না; শিল্প বয়লার, চুল্লি এবং ইটভাটার বিদ্যুতায়ন এবং আধুনিকীকরণ; অ-মোটরচালিত এবং বৈদ্যুতিক পরিবহন ব্যবস্থা; উন্নত ফসলের অবশিষ্টাংশ এবং পশুপালনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; এবং উন্নত বর্জ্য পৃথকীকরণ, পুনর্ব্যবহার এবং নিষ্কাশন। প্রতিবেদনে পরিচ্ছন্ন-বাতাস সমাধানগুলোকে তিনটি পারস্পরিকভাবে তিনটি ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমত, রান্না, শিল্প, পরিবহন, কৃষি এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তাদের উৎসে নির্গমন হ্রাস করে এমন হ্রাস সমাধান। দ্বিতীয়ত, সুরক্ষা ব্যবস্থা যা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে, যাতে পরিষ্কার বাতাসে রূপান্তরের সময় শিশু এবং ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়গুলো সুরক্ষিত থাকে। তৃতীয়ত, নিয়ন্ত্রক কাঠামো, বাজার-ভিত্তিক উপকরণ এবং আঞ্চলিক সমন্বয় দ্বারা সমর্থিত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, যা সময়ের সাথে সাথে বহু-ক্ষেত্র এবং বহু-বিভাগীয় অগ্রগতি বজায় রাখে। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র পরিবেশ অর্থনীতিবিদ মার্টিন হেগার বলেন, “এই প্রতিবেদন থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সমাধানগুলো নাগালের মধ্যেই রয়েছে এবং নীতি ও সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদের জন্য সমন্বিত, সম্ভাব্য এবং প্রমাণ-ভিত্তিক সমাধানগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি বাস্তব রোডম্যাপ প্রদান করে। দক্ষিণ এশীয় উদ্যোগ, পরিবার এবং কৃষকদের জন্য পরিষ্কার প্রযুক্তি এবং অনুশীলন গ্রহণের জন্য এবং সরকারগুলোকে তাদের সমর্থন করার জন্য শক্তিশালী আর্থিক ও অর্থনৈতিক যুক্তি রয়েছে।” সমাধানগুলো কার্যকর করতে দেশগুলোকে সহায়তা করতে প্রতিবেদনটি ‘চারটি-আই’ এর উপর জোর দেয়। সেগুলো হলো:- ইনফরমেশন (তথ্য): পরিকল্পনা এবং জবাবদিহিতার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য এবং নির্ভরযোগ্য তথ্য সরবরাহ করে এমন তথ্য। ইনসেনটিভ (প্রণোদনা): পরিষ্কার বিকল্পগুলোর দিকে আচরণগত এবং বিনিয়োগ স্থানান্তরকে উৎসাহিত করে এমন প্রণোদনা। ইন্সটিটিউশন (প্রতিষ্ঠান): এমন প্রতিষ্ঠান যা কর্মের সমন্বয় সাধন করে, সম্মতি নিশ্চিত করে এবং জাতীয় ও স্থানীয় বাস্তবায়নকে সংযুক্ত করে। ইনফ্রাস্ট্রাকচার (অবকাঠামো): আধুনিক ও দক্ষ শিল্প কার্যক্রমের সাথে পরিচ্ছন্ন শক্তি, পরিবহন এবং বর্জ্য ব্যবস্থা সক্ষম করে এমন অবকাঠামো। দক্ষিণ এশিয়ার পরিবেশ বিষয়ক বিশ্বব্যাংকের অনুশীলন ব্যবস্থাপক অ্যান জিনেট গ্লোবার বলেন, “পরিচ্ছন্ন বায়ু অর্জনের জন্য স্থানীয়, জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে অব্যাহত সহযোগিতা, টেকসই অর্থায়ন এবং শক্তিশালী বাস্তবায়ন প্রয়োজন। একসাথে কাজ করার মাধ্যমে, সরকারগুলো দূষণ কমাতে, লাখ লাখ জীবন বাঁচাতে এবং সকলের জন্য পরিষ্কার বায়ু সরবরাহ করার এই পথ অনুসরণ করতে পারে।

মক্কার কাবা চত্বরে চালু হলো ব্রেসলেট সেবা

মক্কার কাবা চত্বরে চালু হলো ব্রেসলেট সেবা সৌদি আরবের মক্কায় অবস্থিত পবিত্র গ্র্যান্ড মসজিদে শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদে নববির কার্যক্রম তত্ত্বাবধানকারী জেনারেল অথরিটি। এ উদ্যোগের আওতায় মসজিদে প্রবেশের সময় শিশুদের হাতে বিশেষ পরিচয় ব্রেসলেট পরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ব্রেসলেটটিতে শিশুর অভিভাবকের যোগাযোগের তথ্য সংযুক্ত থাকবে। ফলে কোনো শিশু ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেলে বা পরিবারের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লে দ্রুত তার পরিচয় শনাক্ত করে অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হবে। এই ব্যবস্থা একটি সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে চালু করা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতিতে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীরা যাতে দ্রুত ও কার্যকরভাবে কাজ করতে পারেন, সে লক্ষ্যেই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। গ্র্যান্ড মসজিদের কিং আবদুল আজিজ গেট ও কিং ফাহদ গেট (গেট নম্বর ৭৯)-সহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রবেশপথে এসব পরিচয় ব্রেসলেট বিতরণ করা হচ্ছে। সেখানে দায়িত্বরত কর্মীরা অভিভাবকদের প্রয়োজনীয় যোগাযোগ তথ্য সহজে নিবন্ধনে সহায়তা করছেন। বিশেষ করে ওমরাহ মৌসুম ও হজের সময় মুসল্লিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। এ সময় শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব অভিভাবককে এই সেবা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেছে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, এ উদ্যোগের মাধ্যমে একদিকে অভিভাবকদের মানসিক নিশ্চয়তা দেওয়া হবে, অন্যদিকে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানে শিশুদের নিরাপত্তার সর্বোচ্চ মান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

নাইজেরিয়ায় খনি স্থাপনায় হামলা, নিহত ১২

নাইজেরিয়ায় খনি স্থাপনায় হামলা, নিহত ১২ নাইজেরিয়ার প্লাটো রাজ্যের আতোসো গ্রামে একটি খনি স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে কমপক্ষে ১২ জন নিহত এবং তিনজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গ্তকাল স্থানীয় একদল নেতা এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর রয়টার্সের। বেরোম ইয়ুথ মোল্ডার্স-অ্যাসোসিয়েশন (বিওয়াইএম) এর প্রধান ডালিওপ সলোমন মাওয়ান্তিরি বলেছেন, আক্রমণকারীরা (যাদের স্থানীয়রা সশস্ত্র ফুলানি মিলিশিয়া হিসেবে চিহ্নিত করেছে) মঙ্গলবার গভীর রাতে হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশের মুখপাত্র আলফ্রেড আলাবো নিশ্চিত করেছেন যে, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত চলছে। সর্বশেষ এই হামলার ঘটনা ওই অঞ্চলের নিরাপত্তাহীনতার ঘটনাকে আরও স্পষ্ট করে তুলছে। সেখানে জাতিগত ও ধর্মীয় দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিন ধরেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শান্তি পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও সহিংসতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়

প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয় প্রতি বছর নিজ দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন দুই লাখের বেশি ভারতীয়। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নের লিখিত জবাবে এস জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ২০ লাখের বেশি ভারতীয় দেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া পরিসংখ্যান বলছে, ২০২২ সাল থেকে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বেড়েছে। পরিসংখ্যান বলছে, ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ৯ লাখেরও বেশি ভারতীয়। ২০১১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত প্রতি বছর নাগরিকত্ব ত্যাগের সংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৪৫ হাজারের মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। কিন্তু ২০২২ সাল থেকে সংখ্যাটা ২ রাখে পৌঁছায়। কী কারণে নাগরিকত্ব ত্যাগের হার বাড়ল, তার সুস্পষ্ট কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে জয়শঙ্করের মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য, ব্যক্তিগত কারণেই অনেকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করছেন। এই পরিসংখ্যানের সূত্রে ফের আলোচনা শুরু হয়েছে ‘ব্রেন ড্রেন’ তত্ত্ব নিয়ে। যে তত্ত্ব অনুসারে, ভারতের মেধাবী ছাত্র-যুবকরা উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য পশ্চিমা দেশগুলোতে চলে যাচ্ছেন। সত্তরের দশকে ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগের ঊর্ধ্বমুখী হার এই তত্ত্বকে আরও জোরদার করেছিল। ভারত দ্বৈত নাগরিকত্ব (একই সঙ্গে দুই দেশের নাগরিকত্ব) স্বীকার করে না। আমেরিকা, কানাডা কিংবা ব্রিটেনের নাগরিকেরা অন্য দেশের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। ভারতীয়দের অনেকেই কর্মসূত্রে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছেন। সে দেশের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেতে অনেকেই সংশ্লিষ্ট দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। নিয়ম অনুযায়ী, অন্য দেশের নাগরিকত্ব নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের নাগরিকত্ব হারাবেন সেই ব্যক্তি। সামাজিকমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রবাসী ভারতীয়দের একাংশ। তাদের বক্তব্য, তারা স্বেচ্ছায় ভারতের নাগরিকত্ব ত্যাগ করতে চান না। কিন্তু নিয়মনীতির ফাঁসে পড়ে তা করতে বাধ্য হন।

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে পুলিশি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ

নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটিকে পুলিশি সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নির্বাচনী অপরাধ তদন্ত ও সংক্ষিপ্ত বিচার কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিচারকদের নিয়ে গঠিত নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটিকে পুলিশি সহায়তার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির আইন শাখা থেকে নির্দেশনাটি ইতোমধ্যে সব বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ সুপারদের পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নির্বাচনী অনুসন্ধান ও বিচারিক কমিটি নির্বাচনী দায়িত্ব পালনকালে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার স্বার্থে কমিটির কর্মকর্তাদের সহিত পুলিশ বাহিনীর দু’জন অস্ত্রধারী সদস্যকে নিয়োগ করার জন্য সব পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপারকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। এছাড়া কমিটি কোনো অনুসন্ধান বা বিচারকার্য পরিচালনার জন্য কমিটির চাহিদা মতে প্রয়োজনীয় স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়নের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৯১কক (২) মোতাবেক সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার/পুলিশ সুপার/স্থানীয় থানার অফিসার ইনচার্জ/অন্য কোনো আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কমান্ডার/ইনচার্জ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।তথ্য অধিদফতরের (পিআইডি) এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলা একাডেমি পরিচালিত আট পুরস্কার পাচ্ছেন যারা

বাংলা একাডেমি পরিচালিত আট পুরস্কার পাচ্ছেন যারা বাংলা একাডেমি পরিচালিত আটটি বিষয়ের জন্য ২০২৫ সালের পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলা একাডেমি। আগামী ২৭ ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠানটির সাধারণ পরিষদের ৪৮তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ বছর সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন অধ্যাপক মনসুর মুসা (ভাষাভিত্তিক গবেষণার মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। মেহের কবীর বিজ্ঞানসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন খসরু চৌধুরী (প্রকৃতি ও বিজ্ঞান-চর্চায় সামগ্রিক মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন সানাউল হক খান (বাংলা কবিতায় সামগ্রিক মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন হাফিজ রশিদ খান (বিভিন্ন নৃ-গোষ্ঠীর জীবন ও সাহিত্য বিষয়ে গবেষণার মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তারিক আনাম খান (অভিনয়, নাট্য-নির্দেশনায় ও সংগঠক হিসেবে সামগ্রিক অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। আবু রুশ্‌দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন শিবব্রত বর্মন (অনুবাদ-সাহিত্যে অনন্য অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। এছাড়া হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার পাচ্ছেন সফিক ইসলাম। তিনি পুরস্কার পাচ্ছেন ‘গণিতের রাজ্যে আনন্দভ্রমণ’ গ্রন্থের জন্য; এ বইয়ে গণিতকে সহজবোধ্য ও উপভোগ্যভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। তার পুরস্কারের অর্থমূল্য পঞ্চাশ হাজার টাকা। রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন—সুব্রত বড়ুয়া (কথাসাহিত্যে সামগ্রিক অবদানের মূল্যায়নে)। পুরস্কারের অর্থমূল্য দুই লাখ টাকা। অনূর্ধ্ব ৪৯ বছর বয়সী লেখকদের মধ্যে ২০২৪ সালে প্রকাশিত ‘সিসিফাস শ্রম’ গল্পগ্রন্থের মূল্যায়নে রাবেয়া খাতুন কথাসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন আনিসুর রহমান। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। পুরস্কৃতদের ২৭ ডিসেম্বর বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৮তম বার্ষিক সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার দেওয়া হবে।

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২ হাজার ৪২

সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ২ হাজার ৪২ পুলিশের বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় গ্রেফতার হয়েছে ২ হাজার ৪২ জন। আজ পুলিশ সদর দফতর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মামলা ও ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে ১ হাজার ৭৪ জন ও ডেভিল হান্ট ফেইজ-২ এ গ্রেফতার ৯৬৮ জন। অভিযানে একটি শটগান, তিনটি ককটেল, চারটি দেশীয় অস্ত্র, পাঁচটি ককটেল, একটি ম্যাগাজিন, দুইটি বার্মিচ চাকু, একটি এলজি, এক রাউন্ড কার্তুজ, একটি পাইপগান, দুই রাউন্ড গুলি, দুই রাউন্ড কার্তুজ, ১৩ রাউন্ড খালি কার্তুজ, চারটি বিস্ফোরিত গ্যাসসেল, দুইটি অবিস্ফোরিত গ্যাসসেল, একটি বিদেশি রিভলবার, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, ছয় রাউন্ড কার্তুজ, তিন রাউন্ড গুলি ও আটটি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।