জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত

জরায়ু নিয়ে কোন বয়স থেকে মেয়েদের সতর্ক হওয়া উচিত ওজন বেশি বা স্থূলত্ব রয়েছে এমন মহিলাদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার আশঙ্কা বেশি এমন কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে চিকিৎসকরা বলছেন, ওজন বেশি মানেই সিস্ট হবে, তা নয়। জরায়ুতে সিস্ট বা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। তাই ঝুঁকির কারণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকাই জরুরি। ওভারিয়ান সিস্ট কী? ‘ওভারিয়ান সিস্ট’ মূলত ডিম্বাশয়ের ভিতরে থলির মতো মাংসল পিণ্ড, যার ভিতরে রক্ত বা তরল পদার্থ থাকতে পারে। চিকিৎসক মল্লিনাথ মুখোপাধ্যায়ের মতে, সিস্ট মানেই ক্যানসার নয়। এটি একটি টিউমার জাতীয় বৃদ্ধি, যা ম্যালিগন্যান্ট (ক্যানসারযুক্ত) অথবা বিনাইন (ক্যানসারহীন) হতে পারে। তবে যদি সিস্টের দেওয়াল পুরু হয় এবং কোষের অনিয়মিত বিভাজন শুরু হয়, তখন তা ক্যানসারের ঝুঁকি তৈরি করে। কোন বয়স থেকে ঝুঁকি বাড়ে? বয়ঃসন্ধিকাল থেকে মেয়েদের জরায়ুতে সিস্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ সময়ের সিস্ট তাড়াতাড়ি সেরে যায়। কিন্তু রজোনিবৃত্তির পর (menopause-এর পর) সিস্ট হলে তা বিপজ্জনক হতে পারে, কারণ এ সময়ে শরীরে ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এই হরমোনের পরিবর্তনের কারণেই সিস্ট মারাত্মক আকার নিতে পারে এবং অনিয়মিত রক্তপাতের ঝুঁকি তৈরি হয়। ওভারিয়ান সিস্টের ঝুঁকি যাদের বেশি : যাদের পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (PCOS) রয়েছে যাদের এন্ডোমেট্রিওসিস আছে হরমোন থেরাপি নেওয়া মহিলারা ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ আছে এমন নারীরা অন্য কোনো ক্যানসারের চিকিৎসা যেমন রেডিয়োথেরাপি বা কেমোথেরাপি নিয়েছেন স্তন ক্যানসারের ওষুধ ব্যবহারকারীরা সম্ভাব্য জটিলতা ও চিকিৎসা ডিম্বাশয়ের সিস্ট থাকলে ডিম্বাণু পরিপক্ব হতে বা বেরোতে সমস্যা হয়, ফলে গর্ভধারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সিস্ট বিনাইন হয় এবং ওষুধের মাধ্যমেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। ক্যানসারের সম্ভাবনা থাকলে CA-125 টেস্ট, আলট্রাসাউন্ড এবং প্রয়োজনে সার্জারি করা হয়। তবে প্রতিটি সিস্টের অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হয় না অনেক ক্ষেত্রেই ওষুধ ও নিয়মিত পর্যবেক্ষণই যথেষ্ট। চিকিৎসকদের পরামর্শ : ১৪ বছর বয়সের পর থেকেই মেয়েদের নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা জরুরি। মাসিক অনিয়ম, তলপেটে ব্যথা, ওজন বেড়ে যাওয়া বা মুখে ব্রণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। রজোনিবৃত্তির পর অনিয়মিত রক্তপাত হলে দ্রুত গাইনোকলজিস্টের কাছে যেতে হবে। চিকিৎসকদের মতে, সচেতনতা ও নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা থাকলে ওভারিয়ান সিস্ট বড় কোনো সমস্যা নয়, বরং সময়মতো ধরা পড়লে সহজেই নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি !

বাজ অলড্রিনের ক্যামেরায় ধরা পড়ে মানবজাতির প্রথম মহাকাশ সেলফি ! মহাকাশ অনুসন্ধানের ইতিহাসে ১৯৬৬ সাল একটি অনন্য অধ্যায়। ওই বছরই প্রথমবারের মতো একজন নভোচারী মহাকাশে নিজের ছবি তোলেন—যা ইতিহাসে স্থান পায় পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে। এই ঐতিহাসিক ছবিটি তুলেছিলেন মার্কিন নভোচারী এডউইন ই. ‘বাজ’ অলড্রিন জুনিয়র, জেমিনি–১২ মিশনের সময়। জেমিনি–১২ মিশনটি ১৯৬৬ সালের ১১ নভেম্বর মহাকাশে পাঠানো হয়, মহাকাশযানের ডকিং (সংযুক্তকরণ) কৌশল পরীক্ষা করার জন্য। অভিযানে কমান্ডার ছিলেন জেমস এ. লভেল জুনিয়র, আর পাইলট ছিলেন বাজ অলড্রিন। ১৩ নভেম্বর অলড্রিন তার তিনটি স্পেসওয়াকের (মহাশূন্যে হাঁটা) দ্বিতীয়টিতে অংশ নেন, যার সময়কাল ছিল ২ ঘণ্টা ৬ মিনিট। মূলত দৃশ্যমান তারকাক্ষেত্রের ছবি তোলাই ছিল তার দায়িত্ব। কাজের ফাঁকেই তিনি স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজের একটি ছবি তোলেন—যা পরবর্তীতে পৃথিবীর বাইরের প্রথম সেলফি হিসেবে স্বীকৃতি পায়। ছবিতে অলড্রিনকে দেখা যায় গভীর মহাকাশের পটভূমিতে, তার স্পেসস্যুট ও হেলমেটের প্রতিফলনে মহাকাশযান ও পৃথিবীর অংশও দেখা যায়। পরবর্তীতে অলড্রিন অ্যাপোলো–১১ অভিযানে চন্দ্রাভিযানেও অংশ নেন এবং জানান, তার ঝুলিতে এই ‘প্রথম সেলফি’ একটি গর্বের অর্জন। ছবিটি তোলার সময় অলড্রিন ব্যবহার করেছিলেন একটি বিশেষ আলট্রাভায়োলেট (ইউভি) ক্যামেরা, যা তৈরি করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও নভোচারী কার্ল হেনাইজ। ইউভি বিকিরণ (অদৃশ্য আলোর রশ্মি) পরিমাপের জন্য বিশেষ লেন্স ও ফিল্টার ব্যবহৃত হয়েছিল, যেন অন্য বিকিরণগুলো বাদ দেওয়া যায়। জেমিনি–১২ মিশনে ব্যবহৃত আসল ইউভি ক্যামেরাটি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের স্মিথসোনিয়ান ন্যাশনাল এয়ার অ্যান্ড স্পেস মিউজিয়ামে সংরক্ষিত আছে। মানব মহাকাশ অভিযানের ইতিহাসে এটা এক স্মারক হিসেবে বিবেচিত।

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা !

অস্ট্রেলিয়ায় মিলল ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর প্রাচীন কুমিরের ডিমের খোসা ! অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে এক ভেড়ার খামারের পেছনের উঠোনে প্রায় ৫ কোটি ৫০ লাখ বছর পুরোনো কুমিরের ডিমের খোসা পাওয়া গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এগুলো সম্ভবত প্রাগৈতিহাসিক ধরনের কুমির ‘ড্রপ ক্রোক’-এর। তারা গাছে উঠে শিকার ধরত বলে ধারণা করা হয়। এই আবিষ্কারটি সম্প্রতি জার্নাল অব ভার্টিব্রেট প্যালিয়োনটোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ডিমের খোসাগুলো ‘মেকোসুকাইন’ নামের এক বিলুপ্ত কুমির প্রজাতির। তারা অস্ট্রেলিয়ার অভ্যন্তরীণ জলাশয়ে বাস করত। অস্ট্রেলিয়া তখন ছিল অ্যান্টার্কটিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত এক মহাদেশের অংশ। গবেষণার সহলেখক ও ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলসের জীবাশ্মবিজ্ঞানী প্রফেসর মাইকেল আর্চার বলেন, ড্রপ ক্রোক ধারণাটা অদ্ভুত শোনালেও, কিছু কুমির হয়তো চিতাবাঘের মতো গাছ থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ে শিকার ধরত। এই প্রজাতির কুমিরের দৈর্ঘ্য প্রায় পাঁচ মিটার পর্যন্ত হতো। তারা ৩৮ লাখ বছর আগের আধুনিক লবণপানির বা মিঠা পানির কুমিরের আগের যুগের বাসিন্দা ছিল। ডিমের খোসাগুলো বহু দশক আগে পাওয়া গেলেও সম্প্রতি স্পেনের বিজ্ঞানীদের সহায়তায় বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আগের কিছু গবেষণায় পাওয়া যায়, প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ বছর আগেও মেকোসুকাইন কুমিররা বেঁচে ছিল এবং তাদের কিছু ছিল আধা-গাছে ওঠা বা আংশিক গাছে বসবাসকারী ‘ড্রপ ক্রোক’। প্রফেসর আর্চার ১৯৮০-এর দশক থেকে কুইন্সল্যান্ডের মারগন এলাকায় গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এ জায়গাটি এখন অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে পুরনো জীবাশ্ম আবিষ্কারের স্থানগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত। গবেষক ড. মাইকেল স্টেইন জানান, এই প্রাচীন বনভূমিতেই পাওয়া গেছে বিশ্বের সবচেয়ে পুরনো গান গাওয়া পাখি, অস্ট্রেলিয়ার প্রথম দিকের ব্যাঙ ও সাপ, দক্ষিণ আমেরিকান বংশের ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন বাদুড়ের জীবাশ্ম। আর্চার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৮৩ সালে আমরা সেখানে গিয়ে স্থানীয় কৃষকের দরজায় কড়া নেড়ে বলেছিলাম—আমরা কি একটু খনন করতে পারি? তারা হাসিমুখে বলেছিল, ‘অবশ্যই।’ তারপর থেকেই একের পর এক অবাক করা আবিষ্কার আসছে, এবং আমরা জানি, এখনো অনেক রহস্য মাটির নিচে লুকিয়ে আছে। এই আবিষ্কার শুধু প্রাচীন প্রাণিবিজ্ঞানের নতুন দিগন্ত খুলেই দেয়নি, বরং লক্ষ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রাণজগৎ কতটা বৈচিত্র্যপূর্ণ ও চমকপ্রদ ছিল দেখিয়েছে। সূত্র : বিবিসি

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ !

সবুজ-লাল আলোয় রঙিন রাতের আকাশ ! সূর্যের শক্তিশালী বিকিরণে সৃষ্ট বিরল প্রাকৃতিক দৃশ্য নর্দার্ন লাইটস (Aurora Borealis) এবার দেখা গেছে দক্ষিণাঞ্চল পর্যন্ত। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস, আলাবামা, জর্জিয়া এবং এমনকি উত্তর ফ্লোরিডা থেকেও এই মনোমুগ্ধকর আলোকরেখা দেখা গেছে মঙ্গলবার রাতে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য থেকে নির্গত একাধিক শক্তিশালী বিকিরণ বা করোনাল মাস ইজেকশন পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে আঘাত হেনেছে। এই বিকিরণগুলো বায়ুমণ্ডলের উচ্চস্তরে থাকা বিদ্যুতায়িত কণার সঙ্গে সংঘর্ষে রঙিন আলোর সৃষ্টি করেছে। ফলে আকাশজুড়ে সবুজ, লাল ও বেগুনি রঙের ঢেউয়ের মতো আলো ছড়িয়ে পড়েছে। এই সৌরঝড়কে জি-৪ (G4) পর্যায়ের ‘গুরুতর ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার। পাঁচ ধাপের স্কেলে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মাত্রা। আগামী দুই রাতেও এমন ঝড় অব্যাহত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। জি-৪ মাত্রার ঝড়ে সাধারণত বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ভোল্টেজ নিয়ন্ত্রণ সমস্যা, জিপিএস সিগন্যাল বিভ্রাট, এবং রেডিও ও স্যাটেলাইট যোগাযোগে সাময়িক বিঘ্ন ঘটতে পারে। তবে এইবারের ঝড়টি এখন পর্যন্ত শুধু আকাশে চমৎকার আলোর প্রদর্শনী ঘটিয়েছে, বড় কোনো ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। স্পেস ওয়েদার বিশেষজ্ঞ শন ডাল জানিয়েছেন, সূর্যের সক্রিয় দাগের একটি বড় গুচ্ছ থেকে আরও শক্তিশালী বিকিরণ বুধবার দুপুর নাগাদ পৃথিবীতে পৌঁছাতে পারে। এতে আগামী রাতগুলোতেও দক্ষিণাঞ্চলে আলোর এই নাচ দেখা যেতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সৌরঝড়ের প্রভাবে সৃষ্ট এই নর্দার্ন লাইট কেবল মনোমুগ্ধকর দৃশ্যই নয়, বরং এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় মানব সভ্যতা যত উন্নতই হোক না কেন, প্রকৃতি ও সূর্যের প্রভাবের বাইরে নয়।

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৫ হাজার পিস মাদকদ্রব্য জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির অভিযানে সাড়ে ৫ হাজার পিস মাদকদ্রব্য জব্দ শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে ইয়াবা ও নেশাকারক ট্যাবলেট জব্দ করেছে বিজিবি। তবে এ অভিযানে কেউ আটক হয়নি। বিজিবি জানায়, গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চকপাড়া বিওপির একটি বিশেষ টহল দল শাহাবাজপুর ইউনিয়নের উপচকপাড়া গ্রামের উনিশবিঘা নামক এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মালিকবিহীন ৫ হাজার ৫৪০ পিস ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল নেশাকারক ট্যাবলেট জব্দ হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯বিজিবি মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, অভিযানকালে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরকারবারিরা পালিয়ে যায়। অভিযানে জব্দ মাদকদ্রব্য শিবগঞ্জ থানায় জমা করা হয়েছে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করেছে ডাকাত দল

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুলিশ কর্মকর্তাকে কুপিয়ে আহত করেছে ডাকাত দল চাঁপাইনবাবগঞ্জে ডাকাতদের ধারাল অস্ত্রের আাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন সদর থানার আমনুরা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (এসআই) নুরুল ইসলাম। গতকাল রাত সোয়া ১১টার দিকে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের আমনুরা বাইপাস সড়কের মারিয়াপাড়া এলাকায় ঘটনাটি ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র। জানা গেছে, রাত ১১টার দিকে থানায় ‘৯৯৯’ হটলাইন থেকে কল আসে মারিয়াপাড়া এলাকায় ফাঁকা সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে ১০/১২ জনের একদল ডাকাত। খবরটি আমনুরা ক্যাম্পে জানানো হলে নিয়মিত টহলে থাকা এসআই নুরুল ইসলাম মোটরসাইকেলে একজন এএসআইকে এবং একটি অটোরিক্সায় ৪ জন কনষ্টেবলকে সাথে নিয়ে ঘটনাস্থলের দিকে রওনা দেন। প্রথমে মাটরসাইকেলে এসআই নুরুল ঘটনাস্থলে পৌঁছামাত্র ধারাল অস্ত্র নিয়ে তাঁর উপর আক্রমন করে ডাকাতরা। এর মধ্যেই অটোরিক্সায় থাকা পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছুলে ডাকাতরা ধানক্ষেতের মধ্যে দিয়ে পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার পরে ওই ডাকাত দল আমনুরা থেকে রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালাগামী ওই সড়কে গভীর রাত পর্যন্ত ডাকাতি করে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ – ওসি শাহিন আকন্দ জানান, ঘটনার পর এসআই নুরুলকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ জানান, পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে। এ ব্যাপারে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিবাহ ও শিশু নির্যাতন রোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নে “বাল্যবিবাহ রোধ ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে জনসচেতনতামূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার সদর থানার পুলিশ অফিসার মুনজুর রহমান। মুনজুর রহমান। ঝিলিম ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাসুম পারভেজের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ার চেঞ্জ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক উত্তম মন্ডল, আমনুরা আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কুদরতে খোদা, ঝিলিম ইউনিয়নের পরিবার পরিকল্পনা কর্মী বারকাতুল্লাহ, কে. এম. উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মুখলেসুর রহমান, দরগাপাড়া জামে মসজিদের খতিব আবদুল হামিদসহ অন্যরা। সভায় বক্তারা বলেন, বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সহিংসতা ও নারীর প্রতি বৈষম্য সমাজ থেকে দূর করতে হলে পরিবার, বিদ্যালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত প্রচেষ্টা জরুরি। তাই সচেতন সমাজই পারে নিরাপদ ও সহিংসতামুক্ত প্রজন্ম গড়ে তুলতে। শেষে উপস্থিত সবাই বাল্যবিবাহ ও শিশুনির্যাতনমুক্ত সমাজ গঠনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ফিফটিতে টাইগারদের দাপট

জয়ের সেঞ্চুরির সঙ্গে দুই ফিফটিতে টাইগারদের দাপট সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরিকে টেনে ডাবল সেঞ্চুরির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন মাহমুদুল হাসান জয়। মুমিনুল হকও আছেন সেঞ্চুরির পথে। তার আগে সেঞ্চুরি মিস করেছেন সাদমান ইসলাম। তবু সবমিলিয়ে সিলেট টেস্টে দ্বিতীয় দিনটা পুরোই বাংলাদেশের দখলে। আয়ারল্যান্ডের প্রথম ইনিংসের ২৮৬ রানের জবাবে টাইগাররা দিন শেষ করেছে ৮৫ ওভারে মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ৩৩৮ রান করে। জয় ১৬৯ আর মুমিনুল ৮০ রানে অপরাজিত আছেন। এরই মধ্যে বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ৫২ রানের। এর আগে দিনের শুরুতে আয়ারল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ২৮৬ রানে। স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ ৩ উইকেট, আর হাসান মুরাদ ও তাইজুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট। ফাস্ট বোলার হাসান মাহমুদও ছিলেন দারুণ, তুলে নেন ২ উইকেট। আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যাট হাতে লড়েছেন পল স্টার্লিং (৬০) ও কেড কার্মাইকেল (৫৯), তবে দলের বাকিরা বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে দারুণ সূচনা পায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার মাহমুদুল হাসান জয় ও সাদমান ইসলাম শুরু থেকেই দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। প্রথম উইকেট জুটি যোগ করে ১৬৮ রান। যেখানে সাদমান খেলেন ৮০ রানের ইনিংস। এরপর মুমিনুলকে সঙ্গে নিয়ে জয় গড়ে তোলেন আরেকটা শতরানের জুটি। দিনের শেষ বিকেলে আয়ারল্যান্ডের বোলারদের ক্লান্ত করে তোলেন এই দুই ব্যাটার। ৮৫ ওভারের খেলায় বাংলাদেশের রানরেট প্রায় ৪, যা টেস্টের হিসেবে বেশ দ্রুতগতির। জয় ২৮৩ বলে ১৪টি চার ও ৪টি ছয়ে ১৬৯ রানে অপরাজিত, মুমিনুল ১২৪ বলে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৮০ রানে অপরাজিত আছেন।

শাহরুখপুত্র মোট কত সম্পত্তির মালিক?

শাহরুখপুত্র মোট কত সম্পত্তির মালিক? তার প্রথম পরিচয় তিনি বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খানের পুত্র। তবে কাজেও আরিয়ান নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন। ২৮ বছর পূর্ণ করলেন আরিয়ান খান। বলিউডে এই মুহূর্তে সবচেয়ে আলোচিত নাম। প্রথম পরিচালিত কাজ ‘দ্য ব্যাড্স অফ বলিউড’ নিয়ে চর্চাও তুঙ্গে। পর্দার পিছনে থাকলেও অভিনেতা হিসাবেও নাকি বেশ ভালো আরিয়ান। তবে শুধু সৃজনশীলতা নয়। ব্যবসায়িক দিক নিয়েও যথেষ্ট সচেতন তিনি। ২৮ বছর বয়সি আরিয়ানের সম্পত্তির পরিমাণ সেটাই প্রমাণ করে। বলিউডে কাজের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে আরিয়ানের। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারের সংখ্যা ৩০ লক্ষের বেশি। সেখান থেকেও আয় করেন তিনি। ২০২৩ সালে বাবার সঙ্গে জোট বেঁধে পোশাকের একটি ব্র্যান্ডও চালু করেছিলেন তিনি। সেখানে জ্যাকেটের দাম ২ লক্ষ রুপি, টি-শার্টের দাম ২৪ হাজার রুপি এবং হুডি পাওয়া যায় ৪৫ হাজার রুপিতে। সম্প্রতি এই ব্র্যান্ডের আওতায় উচ্চ মানের মদও বাজারে এনেছেন শাহরুখ পুত্র। সেই ব্র্যান্ডের প্রচার করেছেন ‘দ্য ব্যাড্‌স অফ বলিউড’ সিরিজের মধ্যে। আরিয়ানের গাড়ির সম্ভারও বড়। সেখানে অডি, মার্সিডিজ, বিএমডব্লিউ। এর সঙ্গে দিল্লির বিলাসবহুল এলাকায় ৩৭ কোটি টাকার একটি বাড়িও রয়েছে তার। বর্তমানে তিনি ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। ১৯৯৭ সালের ১২ নভেম্বর জন্ম আরিয়ানের। পড়াশোনা করেছেন মুম্বাইয়ের ধীরুভাই অম্বানী আন্তর্জাতিক স্কুল থেকে। শোনা যাচ্ছে, ওটিটি মঞ্চে সাফল্যের পরে এ বার বড় পর্দার সিনেমা পরিচালনায় হাত দিতে চলেছেন আরিয়ান।

মারা গেছেন অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড

মারা গেছেন অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড অস্কার মনোনীত মার্কিন অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড মারা গেছেন। গতকাল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার পাম স্প্রিংসে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। তার প্রয়াণে শোক জানিয়েছেন হলিউডের সহকর্মীরা ও ভক্তরা। অভিনেত্রীর মুখপাত্র মাইকেল গ্রিন সংবাদমাধ্যমকে তার মৃত্যু সংবাদটি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গত অক্টোবরে গোসল করার সময় পড়ে গিয়ে পাঁজর ও পায়ে আঘাত পান স্যালি। এরপর হাড়ের সংক্রমণ রক্তপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়ে, যা তার শারীরিক অবস্থাকে আরও জটিল করে তোলে। পাশাপাশি তিনি স্মৃতিভ্রংশজনিত (ডিমেনশিয়া) সমস্যায়ও ভুগছিলেন। নিউইয়র্কে জন্ম নেওয়া স্যালি কার্কল্যান্ড অভিনয়জীবন শুরু করেন অফ–ব্রডওয়ে প্রোডাকশন ও অ্যাভান্ট–গার্ড থিয়েটারের মাধ্যমে। ১৯৮৪ সালে ‘ফেইটাল গেমস’ সিনেমায় প্রথমবার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে তার ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরে যায় ১৯৮৭ সালের ‘আনা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এই ছবির জন্য তিনি অস্কারে সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পান এবং গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার জেতেন। ‘আনা’ ছাড়াও স্যালি কার্কল্যান্ড অভিনয় করেছেন ‘জেএফকে’, ‘ব্রুস অলমাইটি’, **‘হোপ ফর দ্য হলিডেজ’**সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে। পাশাপাশি তিনি টেলিভিশন সিরিজেও নিয়মিত অভিনয় করতেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে স্যালি কার্কল্যান্ড হলিউডে ‘ঝলমলে স্বর্ণকেশী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন—তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ও বহুমাত্রিক অভিনয় তাঁকে আজও স্মরণীয় করে রেখেছে।