১০ম গ্রেডে উন্নীত হলেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকেরা

১০ম গ্রেডে উন্নীত হলেন প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকেরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। প্রাথমিক ও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আজ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান বেতন স্কেল-২০১৫ অনুযায়ী বর্তমান গ্রেড-১১ (স্কেল: ১২৫০০/-৩০২৩০/-) থেকে ১০ম গ্রেড (স্কেল: ১৬০০০-৩৮৬৪০/-) (গেজেটেড কর্মকর্তা)-এ উন্নীত করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে এ আদেশ কার্যকর হবে। এদিকে মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে সরকার এ মঞ্জুরি জ্ঞাপন করেছে। সব প্রধান শিক্ষককে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সরকারি আদেশ জারির তারিখ থেকে ১৮ মাসের মধ্যে প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের হেসিক ট্রেনিং ফর প্রাইমারি টিচার্স (বিটিপিটি) প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবেন। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।

কারাতে প্রতিযোগিতায় মাদককে ‘না’ বললেন প্রতিযোগীরা

কারাতে প্রতিযোগিতায় মাদককে ‘না’ বললেন প্রতিযোগীরা ‘খেলাধুলায় বাড়ে বল, ‘মাদক ছেড়ে খেলতে চল’, ‘মাদক নয় হোক জীবনের জয়’ এমন সব স্লোগানকে বুকে ধারণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকবিরোধী কারাতে প্রতিযোগিতা-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে জেলা প্রশাসন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয় এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসানের সভাপতিত্বে মাদকবিরোধী কারাতে প্রতিযোগিতায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. আমিনুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মো. একরামূল হক, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকরামূল হক নাহিদ। এসময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জুডো, কারাতে, বক্সিং অ্যাকাডেমির সদস্য ছাড়াও কারাতেপ্রেমী দর্শক ও অভিভাবকগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রতিযোগিতায় উপস্থিত দর্শক ও কারাতেদের মধ্যে উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা যায়। অনুষ্ঠান শেষে ছয়টি গ্রুপের মধ্যে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ১৮ জনকে মাদকবিরোধী মেডেল ও শিক্ষা উপকরণ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠান শেষে মাদকবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করানো হয়। মাদকের বিরুদ্ধে এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে আহ্বান জানানো হয়।

শিবগঞ্জ সীমান্তে ২ বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ ম্যাগজিন সহ; ২৯ টি ভারতীয় চোরাই স্মার্টফোন জব্দ

শিবগঞ্জ সীমান্তে ২ বিদেশী পিস্তল, ৫ রাউন্ড গুলি, ৪ ম্যাগজিন সহ; ২৯ টি ভারতীয় চোরাই স্মার্টফোন জব্দ শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে বিজিবির দুই পৃথক অভিযানে ২টি বিদেশী পিস্তল,৫ রাউন্ড গুলি,৪টি ম্যাগজিন এবং ২৯টি চোরাই ভারতীয় স্মার্টফোন জব্দ হয়েছে। তবে এসব অভিযানে কেউ আটক হয় নি। আজ সকাল সাড়ে ৬টা এবং বেলা সাড়ে ১১টায় অভিযান দুটি পরিচালনা করা হয়। আজ বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল কাজী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিজিবি সীমান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা সূত্রে সীমান্ত হতে ৯০০ গজ দেশের ভেতরে রাঘববাটি এলাকা দিয়ে সীমান্ত চোরচালানের মাধ্যমে অস্ত্রআসার সম্ভাবনার খবর জানা যায়। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় সে অনুযায়ীরাঘববাটি এলাকায় অভিযান শুরু হয়। অভিযানকালে সন্দেহভাজন এক ব্যাক্তি বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে স্থান ত্যাগ করতে চাইলে বিজিবি তাকে আটকের চেষ্টা করে। এ অবস্থায় তিনি সাথের ব্যাগ ফেলে সীমান্তের দিকে দৌড়ে পালিয়ে যান। পরে টহলদল ব্যাগটি তল্লাশী করে ওইসব অস্ত্র, গুলি জব্দ করে। অধিনায়ক মুস্তাফিজ আরও বলেন,এর মাত্র এক সপ্তাহ আগে গত ১৫ ডিসেম্বর একই সীমান্তে একটি বিশেষ অভিযানে ৪টি বিদেশী পিস্তল, ২৪ রাউন্ড গুলি ও ৯টি ম্যাগজিন জব্দ করে বিজিবি। এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯বিজিবি মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, আজ সকাল সাড়ে ৬টায় গোপন খবরের ভিত্তিতে কিরনগঞ্জ বিওপির একটি টহলদল মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৭৮/২ এস হতে প্রায় ২ কিলোমিটার দেশের ভেতরে বিনোদপুর ইউনিয়নের ছিয়াত্তরবিঘি গ্রামের একটি আমবাগানে অভিযান চালায়। অভিযানে মালিকবিহীন ২৯টি চোরাই ভারতীয় স্মার্টফোন জব্দ হয়। তবে এ সময় চোরচালানীরা ঘন কুয়াশার সূযোগে পালিয়ে যায়। জব্দ ফোনগুলো কাস্টমসে জমা করা হবে বলেও জানান অধিনায়ক কিবরিয়া।

পলশায় সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ প্রয়াসের

পলশায় সম্মাননা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণ প্রয়াসের আজ বিকেলে জেলার সদর উপজেলার পলশা আলিম মাদ্রাসা হলরুমে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সমৃদ্ধি শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রের বিজয়ী ছাত্র-ছাত্রী কৈশোর কর্মসূচির কিশোর-কিশোরী উন্নয়নে যুবসমাজ কার্যক্রমের যুবক-যুবতীরা অংশগ্রহণ করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন— পলশা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মো. আবু বক্কর, প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মো. ইমরান আলী, ইউনিট-১ গোবরাতলার ম্যানেজার মোহন কুমার, উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারী উপজেলা কর্মসূচি সমন্বয়কারী মো. মজলুম ইসলাম, সমৃদ্ধি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. খলিল উদ্দিনসহ স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও শিক্ষকবৃন্দ। অনুষ্ঠানে উন্নয়নে যুবসমাজ কার্যক্রমের আওতায় ফুটবল খেলায় চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি ও ক্রেস্ট দেয়া হয়। এছাড়া শ্রেষ্ঠ প্রবীণ ৩ জন, শ্রেষ্ঠ সন্তান ৩ জন, যুব নারী ৩ জন, যুব পুরুষ ৩ জন, মেন্টর ১৪ জনকে সম্মাননা দেয়া হয়।

বিপিএলের আগমুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করলেন ৩ বিদেশি ক্রিকেটার

বিপিএলের আগমুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করলেন ৩ বিদেশি ক্রিকেটার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) আসন্ন দ্বাদশ আসর শুরুর আর স্রেফ তিন দিন বাকি। নতুন আসর শুরুর আগমুহূর্তেই চট্টগ্রাম রয়্যালসের তিন বিদেশি ক্রিকেটার টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করেছেন। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি এবার নিলামের আগে সরাসরি চুক্তিতে দেশীয় দু’জন শেখ মেহেদী, তানভীর ইসলামের সঙ্গে পাকিস্তানের লেগস্পিনার আবরার আহমেদকে দলে ভিড়িয়েছিল। আবরারসহ তিনজন সরে গেলেন বিপিএল থেকে। আবরার ছাড়া বাকি দু’জন হচ্ছেন– আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং ও শ্রীলঙ্কার নিরোশান ডিকভেলা। তবে স্টার্লিং ও ডিকভেলা বিপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন নিজ দেশের ক্রিকেট বোর্ডের ছাড়পত্র না পাওয়ায়। এ ছাড়া এনওসি পেলেও বিপিএলে খেলা অনিশ্চিত পাকিস্তানি স্পিনার আবরারের। তার এনওসি-ও স্থগিত করতে যাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় থাকায় আবরারকে বিপিএলে খেলতে চাচ্ছে না পিসিবি। সবমিলিয়ে নতুন আসর শুরুর আগে বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে বড় ধাক্কা খেতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম ফ্র্যাঞ্চাইজি। অল্প সময়ের মাঝেই তাদের বিকল্প ক্রিকেটার দলে নিতে হবে। আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেটে পর্দা উঠবে বিপিএলের নতুন আসরের। প্রথম দিনেই হবে দুটি ম্যাচ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রাম রয়্যালস নিজেদের মিশন শুরু করবে নোয়াখালী এক্সপ্রেসের বিপক্ষে। সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হবে।

গোমস্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা

গোমস্তাপুরে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভা গোমস্তাপুরে উপজেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে উপজেলা সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন— সহকারী কমিশনার (ভূমি) উম্মে সালমা রুমি, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বারিক, উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আছহাবুর রহমান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ, কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন হোসেন, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, রহনপুর ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সোহরাব, আলীনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম মোহাম্মদ মাসুম, চৌডালা ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া হাবিব, রাধানগর ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, বোয়ালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল, উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ মহাতাব আলী, উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজমসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা। মাসিক সভায় আইনশৃঙ্খলাসহ উপজেলার সার্বিক বিষয়ে আলোচনা ও পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ২ তরুন নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ২ তরুন নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে একই মোটরসাইকেল আরোহি দুই তরুন নিহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয়, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকাল ৪টার দিকে সার্কিট হাউস মোড়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের পোলাডাঙ্গা জোড়বাগান মহল্লার শাহ আলমের ছেলে রিফাত ও চাঁদলাই জোড়বাগান মহল্লার আশরাফুল ইসলামের ছেলে সোহাগ। রিফাত ও সোহাগ সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। সূত্রগুলি জানায়, সার্কিট হাউস মোড়ে মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে ব্যস্ততম সোনামসজিদ মহাসড়কে উঠে পড়লে একটি চলন্ত ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রিফাত। গুরুতর আহত হন সোহাগ। তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শহরে তুলকালাম কান্ড ঘটায় বিক্ষুদ্ধ জনতা। পুলিশের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে এমন অভিযোগে কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয়া হয়, আধা কিলোমিটার দূরের বিশ্বরোড মোড়ের দ্বিতল আতউল ট্রাফিক বক্স, বক্সের রাখা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল। এসময় ঘটনাস্থল মহাসড়কে প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ সৃষ্টি করায় দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে যানবাহন এবং ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় নিকটের সদর থানা পুলিশ ফঁড়ি ও ফাঁড়ির ভেতর অবস্থিত পুলিশ অফিসার্স মেস। জনতার প্রচন্ড ক্ষোভের মুখে এ সময় ঘটনাস্থলগুলো ছেড়ে চলে যায় পুলিশ। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নূরে আলম বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও পুলিশের কেউ আহত হন নি। ট্রাকটি পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্বশান্তির ৬ সারথীর মরদেহ আসছে আগামীকাল

বিশ্বশান্তির ৬ সারথীর মরদেহ আসছে আগামীকাল সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ আগামীকাল আনা হচ্ছে স্বদেশে। দেশে ফেরার পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতায় সম্পন্ন হবে বিশ্বশান্তিতে জীবন দেয়া এ বীরদের জানাযা ও দাফন। গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জনের মৃত্যু এবং ৯ জন আহত হন। আহত সকলের চিকিৎসা চলছে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। তাদের কয়েকজন এরইমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকিরা সবাই শঙ্কামুক্ত। বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক ড্রোন হামলাটি চালিয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে। ঘটনায় নিহত ৬ শান্তিরক্ষী হলেন- নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া। আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- কুষ্টিয়ার বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে। জীবন হাতে নিয়ে কেবল দেশে নয়, সমরে-শান্তিতে বিশ্বের তরেও তারা। যার সবশেষ উদাহরণ সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন বীর শান্তিরক্ষী শাহাদতবরণ। জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গের শপথ করেই তাদের সেখানে যাওয়া। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সুদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ দেখল বিশ্ববাসী। আহত আট জনের মধ্যে তিন জন নারী সৈন্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠানো ১১৯টি দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের যাত্রা শুরু হয়। ‘নীল হেলমেট’ পরে বিশ্বশান্তিরসারথী হয়ে বাংলাদেশের অভিষেক ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তখন জাতিসংঘের ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ১০টি দেশে শান্তির পতাকা হাতে নিয়োজিত তারা। এরই মধ্যে প্রথম বারের মতো ডিআর কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপটার মোতায়েন করা হয়েছে। শুরু থেকে সুদানে সর্বশেষ ছয় জন নিহত হওয়া ছাড়াও এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৩১ জন, নৌবাহিনীর চার জন, বিমানবাহিনীর ছয় জন এবং পুলিশের ২৪ জন। আহত হয়েছেন ২৭২ জন। শুরু থেকেই বিভিন্ন বৈশ্বিক মিশনে বাংলাদেশের চিকিৎসক, প্রকৌশলীরাও অংশ নিয়েছেন, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের অবদানের একটি দুর্দান্ত স্বীকৃতি। বৈশ্বিক ফোরামে নেতৃত্বের স্মারক। আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তির সঙ্গেও সম্পর্কিত। মিশনগুলো অনেক চ্যালেঞ্জে ভরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনুকূল নয় এমন জলবায়ু, সম্পদের অভাব-সব মিলিয়ে মিশন বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবদানের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রশংসায় ‘শান্তির কূটনীতির মোরসাল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। শুধু যুদ্ধবিগ্রহের স্থগিতাদেশ রক্ষা বা সংঘাত প্রতিরোধ নয়, স্থানীয় জনগণের কল্যাণ, পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনে এমন ভূমিকা অন্য অনেক দেশের কোনো বাহিনীই দেখাতে পারেনি। তাদের শিক্ষা, স্কুল নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, শিশুদের শিক্ষা প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নমুনা শেখার মতো। তাই শিখছে, অভিজ্ঞতা নিচ্ছে। উপলব্ধি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তি সদস্যরা কেবল অস্ত্রধারী সৈন্য নয়, মানবতার সৈনিকও। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সময়ের পরিক্রমায় শান্তি রক্ষার ইতিহাসে জাতিসংঘের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে দেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক সদস্যরা। কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা পর্যই তাদের কাজ শেষ নয়। মিশনগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করা, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তায় কাজ করে। যুদ্ধপরবর্তী পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা, পুনর্গঠন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজন, মানবিক সংকট মোকাবিলাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে। সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চল আবেই, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (সিএআর), সাইপ্রাস, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো), লেবানন, দক্ষিণ সুদান, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ অঞ্চল পশ্চিম সাহারা, ইয়েমেন, লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন নানা মাত্রায় কঠিন কাজ। সেই কঠিনের সঙ্গী করে জীবন বিলিয়ে দেয়া শান্তির সারথীদের মরদেহ আগামীকাল স্পর্শ করবে তাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে।

নভেম্বরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৮৩ জনের

নভেম্বরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৮৩ জনের নভেম্বর মাসে সারাদেশে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৩ জন। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩১৭ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। অক্টোবরে ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৪৪১ জন। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৪ দশমিক ২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দৈনিক গড়ে ১৬ দশমিক একজনে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি, ১৩৭ জন নিহত হয়েছিলেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০৬ জন পথচারী এবং ৫৭ জন যানবাহনের চালক ও সহকারী। নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৬৪ জন এবং শিশু ৭১ জন। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন ৫৭ জন। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ী ২৩ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ১৪ জন এবং শিক্ষক ১৩ জন রয়েছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে বিজিবির দিনব্যাপী অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে বিজিবির দিনব্যাপী অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্তেবর্তী ঠুঠাপাড়া গ্রামে বিজিবির অভিযানে ৩৭৫ বোতল নেশাজতীয় ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপ জব্দ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয় নি। বিজিবি জানায়,গতকাল রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাসুদপুর বিওপির টহল দল অভিযান চালালে, সেখানে একটি ডোবায় ৪টি বস্তায় ভরে পানির নীচে লুকিয়ে রাখা সিরাপগুলো জব্দ করা হয়। গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এসব সিরাপের মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। সিরাপগুলো শিবগঞ্জ থানায় জমা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ নিয়ে গতকাল দিনব্যাপী বিজিবির ৩টি পৃথক অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশার সিরাপ জব্দ করেছে হয়েছে। এর আগে ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত দুটি পৃথক অভিযানে বিজিবির মাসুদপুর বিওপির অপর একটি টহল দল ঠুঠাপাড়া গ্রাম থেকে ২৭৮ বোতল চকো প্লাস ও মনাকষা বিওপির একটি টহল দল ১৫৯ বোতল এস্কাফ সিরাপ জব্দ করে।