চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ২ জন ও বহির্বিভাগে ৩ জন এবং গোমস্তাপুরে ২ জন শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৫ জন। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ, ২ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রোগী রয়েছেন। অন্যদিকে জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৩ জনকে। তাদের মধ্যে ১ জন পুরুষ ও ২ জন মহিলা রোগী ছিলেন। এছাড়া ১ জন পুরুষ রোগীর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ভর্তি আছেন ৩ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ৭৮৭ জন। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হচ্ছে ১ হাজার ২৪৬ জন।
গোমস্তাপুরে মাসকালাইয়ের বীজ ও সার বিতরণ

গোমস্তাপুরে মাসকালাইয়ের বীজ ও সার বিতরণ গোমস্তাপুরে কৃষি প্রণোদনার মাসকলাইয়ের বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। আজ সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে কৃষকদের মধ্যে এগুলো বিতরণ করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাকলাইন আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ওয়াসিম আকরাম, উপজেলা প্রকৌশলী আছাবুর রহমান, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম, হিসাবরক্ষন কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামসহ উপকারভোগী কৃষকরা। উল্লেখ্য, ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে খরিপ-২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় মাস কলাইয়ের আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য ১ হাজার ৫০ জন প্রান্তিক কৃষকে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়। এরমধ্যে একজন কৃষককে ৫ কেজি মাসকলাই বীজ, ১০ কেজি ডিএপি ও ৫ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হয়।
১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট

১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফুটবল শুধু একটি খেলায় নয়— একটি উন্মাদনার নাম। কোনো খেলোয়াড় যখন একটি গোল করেন তখন দর্শকরা উল্লাসে মেতে ওঠেন। এখনো সারা বিশ্বে ফুটবলেরই দর্শক বেশি। একসময় এই ফুটবলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাও অনেক এগিয়ে ছিল, সুনাম ছিল। খেলা দেখতে মাঠের দুই পাশে দর্শদের উপচেপড়া ভিড়ও হতো। কিন্তু হালে আর তেমনটা দেখা যায় না। তবে ফুটবলের সেই হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থা যৌথভাবে জেলা প্রশাসক গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করেছে। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ জানিয়েছেন, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে ফুটবলের জমজমাট এই আসর। তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের উদ্বাধন করবেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী। টুর্নামেন্টের প্রতিটি খেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেডিয়ামে (নতুন স্টেডিয়াম) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে অনুষ্ঠিত হবে। টুর্নামেন্টে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা, শিবগঞ্জ উপজেলা, গোমস্তাপুর উপজেলা, নাচোল উপজেলা ও ভোলাহাট উপজেলা দল অংশগ্রহণ করবে। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল পাবে ১ লাখ ও রানারআপ দল ৫০ হাজার টাকার প্রাইজমানি পাবে। এছাড়া প্রতিটি দলকে ৩০ হাজার টাকা করে অংশগ্রহণের জন্য দেয়া হবে। আজ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতিমূলক সভায় জেলা প্রশাসক এইসব তথ্য জানান। জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাকিব হাসান তরফদার, তথ্য অফিসার রূপ কুমার বর্মন, জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা আবু জাফর মাহমুদুজ্জামানসহ উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিভিন্ন সরকারি দপ্তর প্রধানসহ টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্যরা। উল্লেখ্য, এর আগে ৬ সেপ্টেম্বর থেকে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। পরে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এদিকে টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। আজ উপজেলা পর্যায়ে খেলোয়াড় বাছাইয়ের জন্য নাচোল উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আন্তঃইউনিয়ন ফুটবল প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদ মাঠে দিনব্যাপী ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। এসময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুলতানা রাজিয়া, নেজামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল হক, নাচোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, কসবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকারিয়া আল মেহেরাব, বিআরডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল উদ্দিন খাঁন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুলাল হোসেনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারী, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩

সারাদেশে ডেঙ্গুতে ৩ জনের মৃ*ত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩৬৩ গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময় সারাদেশে ৩৬৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৮৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৫০ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭০ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫৬ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৫৬ জন, খুলনা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৫ জন, রাজশাহী বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৬ জন ও সিলেট বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) একজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের এ যাবত ৩১ হাজার ৬৩১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৩৩ হাজার ৩০৯ জন। এর মধ্যে ৫৯ দশমিক আট শতাংশ পুরুষ ও ৪০ দশমিক দুই শতাংশ নারী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। চলতি বছরের এ যাবত ডেঙ্গুতে ১৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন এবং ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৫৭৫ জনের। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে এক হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়। পাশাপাশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট হওয়া ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না

মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট হওয়া ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না মানবতাবিরোধী মামলায় চার্জশিট গঠন হওয়া কোনো ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেছেন, এমনকি তারা সরকারি কোনো পদেও থাকতে পারবে না। আজ রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন শেষে এসব কথা বলেন তিনি। শফিকুল আলম বলেন, আরেকটা বড় ডিসিশন ছিল, আইসিটি মামলায় যারা মানবতা বিরোধী অভিযুক্ত হবেন তারা আর কোনো ইলেকশন করতে পারবেন না। অধ্যাদেশটির মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইম ট্রাইব্যুনাল অ্যাক্ট ১৯৯৭ এ নতুন সেকশন ২০সি যুক্ত করা হয়েছে। নতুন সংযোজিত ধারা অনুযায়ী কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে উক্ত আইনের মানে আইসিটি লয়ের সেকশন ৯১ এর অধীনে আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্র ফরমাল চার্জ দাখিল হলে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। একইভাবে তিনি স্থানীয় সরকার পরিষদ বা প্রতিষ্ঠা সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা বহাল থাকার অযোগ্য হবেন। এমনকি প্রজাতন্ত্রের চাকরিতে নিয়োগ পাওয়া বা অন্য কোনো পাবলিক অফিসে অধিষ্ঠ হওয়ার অধিষ্ঠিত হওয়ার অযোগ্য হবে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই ৫ সবজি

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এই ৫ সবজি ডায়াবেটিস শারীরিক অবস্থা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ওষুধ এবং নির্দিষ্ট খাদ্যতালিকা উভয়েরই প্রয়োজন। ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ সবজি ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ডায়াবেটিস-বান্ধব খাদ্যতালিকায় সঠিক সবজি বেছে নিতে হবে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে, প্রদাহ কমায় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন ৫টি সবজি সম্পর্কে- ১. ব্রোকলি ব্রোকলি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে উপকারী সবজি। কারণ এতে ভিটামিন সি, এ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে ফাইবার রয়েছে। ব্রোকলিতে থাকা ফাইবার কার্বোহাইড্রেট হজমকে ধীর করে দেয়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে বাধা দেয়। ব্রোকলিতে পাওয়া অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের সঙ্গে সালফোরাফেন প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে কাজ করে, যা সাধারণত ডায়াবেটিস রোগীদের প্রভাবিত করে। নিয়মিত ব্রোকলি খেলে তা হৃদযন্ত্র ভালো রাখে এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে, কারণ ডায়াবেটিস রোগীদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ২. পালং শাক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পালং শাক ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার সহ তিনটি অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে এবং তাদের ইনসুলিন প্রতিক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। পালং শাকে পাওয়া ম্যাগনেসিয়াম ইনসুলিনের কার্যকারিতা উন্নত করতে সক্ষম, যা রক্তে শর্করার ঘনত্ব কমাতে সাহায্য করে। পালং শাকের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, সেইসঙ্গে শরীরের প্রদাহ কমায়। পালং শাকে কার্বোহাইড্রেট এবং ক্যালোরির পরিমাণ ন্যূনতম হওয়ায় এটি রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। ৩. বাঁধাকপি বাঁধাকপিতে থাকা ভিটামিন সি এবং ফাইবারের পরিমাণ ডায়াবেটিস রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করার সঙ্গে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষা করে। বাঁধাকপির হজম প্রক্রিয়া রক্তপ্রবাহে সুগারের শোষণকে ধীর করে দেয়। বাঁধাকপিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। ডায়াবেটিস রোগীরা নিশ্চিন্তে বাঁধাকপি খেতে পারেন, কারণ এতে খুব কম কার্বোহাইড্রেট থাকে। ৪. অ্যাসপারাগাস অ্যাসপারাগাসের কম ক্যালোরিযুক্ত উপাদান এবং এর খাদ্যতালিকাগত আঁশের মিলিত মিশ্রণ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য চমৎকার। অ্যাসপারাগাসে থাকা ফাইবার হজম প্রক্রিয়া ধীর করে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, অন্যদিকে এর ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান উন্নত বিপাকীয় স্বাস্থ্য এবং সামগ্রিক সুস্থতায় সহায়তা করে। অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে শরীর সুরক্ষা পায়, কারণ অ্যাসপারাগাসে প্রচুর ভিটামিন সি এবং ই থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যাসপারাগাস খাওয়ার ফলে ইনসুলিন ব্যবস্থাপনা উন্নত হতে পারে। ৫. গাজর গাজরে দুটি প্রধান পুষ্টি উপাদান থাকে যা হলো, ডায়েটারি ফাইবার এবং ভিটামিন এ সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন। গাজরে থাকা ডায়েটারি ফাইবার রক্তের মাত্রা ধীর করে দেয়, যা ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে শর্করার বিপজ্জনক বৃদ্ধি এড়াতে সাহায্য করে। গাজরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ফ্রি সুগার শোষণ থেকে রক্ষা করে, যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে। গাজরের গ্লাইসেমিক সূচক কম র্যাডিক্যালে থাকে এবং সেইসঙ্গে পুরো শরীর জুড়ে প্রদাহ কমায়।
মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি?

মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়াকে নিয়ে কী বলেছিলেন ঋষি? প্রয়াত অভিনেতা ঋষি কাপুর। তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার মৃত্যুর আগে হবু বউমা আলিয়া ভাটকে নিয়ে যে কথাগুলো বলেছিলেন, তা সম্প্রতি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। আলিয়া ভাটের জন্মদিনে তাকে স্মরণ করে সেই পুরনো স্মৃতি সামনে এনেছেন অনেকে।কাপুর পরিবারের ঐতিহ্য মেনে চলচ্চিত্রে প্রবেশ করলেও, ঋষি কাপুর নিজের অভিনয় গুণে দর্শকদের হৃদয়ে এক বিশেষ জায়গা করে নিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি তার ছেলে রণবীর কাপুরের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে প্রায়শই কথা বলতেন। ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে রণবীরের সম্পর্ক নীতু কাপুর মেনে নিতে পারেননি। তবে আলিয়া ভাটের ক্ষেত্রে চিত্রটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। রণবীরের মা নীতু কাপুর আলিয়াকে মন থেকে স্বাগত জানিয়েছিলেন এবং ঋষি কাপুরও আলিয়ার অভিনয়ের মুগ্ধ ভক্ত ছিলেন। ২০১৮ সালে একটি সাক্ষাৎকারে ঋষি কাপুর ভারতীয় সিনেমার বর্তমান অবস্থা এবং তরুণ প্রজন্মের অভিনেতাদের নিয়ে কথা বলছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কোন অভিনেতা তাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করেছেন। কোনো দ্বিধা ছাড়াই ঋষি কাপুর তখন আলিয়া ভাটের নাম নিয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘আলিয়া ভাটের মতো একজন অভিনেত্রীর প্রশংসা করতেই হয়, যিনি হাইওয়ে এবং রাজি-এর মতো চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন। এই অল্প বয়সে একটি পুরো চলচ্চিত্রকে নিজের কাঁধে বহন করা খুবই কঠিন এবং কেবল একজন দক্ষ অভিনেতাই এটি করতে পারেন। এছাড়াও, এই ধরণের চরিত্র পাওয়ার জন্যও একজনকে যথেষ্ট ভাগ্যবান হতে হবে। আলিয়া ভাগ্যবান এবং অবশ্যই তার প্রতিভাও আছে।’ আলিয়া ভাট এবং রণবীর কাপুরের প্রেম তখন সবেমাত্র শুরু হয়েছিল। প্রায় পাঁচ বছর প্রেম করার পর, ঋষি কাপুরের মৃত্যুর দুই বছর পর ২০২২ সালে এই জুটি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা

ডাঙ্কি-সুলতানকে পেছনে ফেলে আয়ের শীর্ষে সাইয়ারা চলতি বছরের সবচেয়ে আলোচিত হিন্দি সিনেমা ‘সাইয়ারা’ মুক্তির সাত সপ্তাহ পর থিয়েটার থেকে বিদায় নিয়েছে। নবাগত তারকা আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার এই ছবি বক্স অফিসে রীতিমতো ঝড় তুলেছে এবং একাধিক রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। সিনেমাটি ৪৮ দিন ধরে হলে প্রদর্শিত হয়েছে, আর শুধু ভারতেই এর আয় দাঁড়িয়েছে ৩২৯.২৫ কোটি রুপি। এর মাধ্যমে ‘সাইয়ারা’ ভারতের ১৪তম সর্বোচ্চ আয়কারী হিন্দি সিনেমা হিসেবে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। ছবিটি সালমান খানের ‘সুলতান’ (৩০০ কোটি), সঞ্জয় লীলা বনসালীর ‘পদ্মাবত’ (৩০২ কোটি) এবং কার্তিক আরিয়ানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ (২৬০ কোটি)-এর মত জনপ্রিয় সিনেমাগুলোকে পেছনে ফেলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও ‘সাইয়ারা’র দাপট ছিল চোখে পড়ার মত। কোনো সুপারস্টার না থাকা সত্ত্বেও ছবিটি আয় করেছে ১৯.৫ মিলিয়ন ডলার, যা নিঃসন্দেহে একটি বড় সাফল্য। সব মিলিয়ে বিশ্বব্যাপী ছবিটির মোট আয় ৫৭০ কোটি রুপি। এই বিশাল অঙ্কের আয়ের ফলে ‘সাইয়ারা’ এই বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ভারতীয় সিনেমার তকমা পেয়েছে। ৫৭০ কোটি রুপি আয়ের কারণে ‘সাইয়ারা’ শাহরুখ খানের ‘ডাঙ্কি’ (৪৫৫ কোটি), সালমান খানের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ (৫৫৮ কোটি), রণবীর কাপুরের ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ (৪৩১ কোটি), এবং সর্বকালের ব্লকবাস্টার ‘থ্রি ইডিয়টস’ (৪৬০ কোটি) ও ‘চেন্নাই এক্সপ্রেস’ (৪২২ কোটি)-এর মতো ছবিকে ছাড়িয়ে গেছে। মোহিত সুরি পরিচালিত এবং ওয়াইআরএফ সিইও অক্ষয় বিধানী প্রযোজিত এই ছবিতে একজন মেজাজী গায়ক (আহান) এবং একজন গীতিকারের (অনীত) প্রেমের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন রাজেশ কুমার, বরুণ বাদোলা, শাদ রান্ধাওয়া, গীতা আগ্রওয়াল শর্মা, আলম খান এবং শান গ্রোভার। ছবিটি সমালোচক ও দর্শক—উভয়ের কাছ থেকেই দারুণ প্রশংসা পেয়েছে।
মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর!

মোনালি ঠাকুরের সংসারে ভাঙনের সুর! বিদেশি প্রেমিক সুইজারল্যান্ডের রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ী মাইক রিচারেরকে বিয়ে করেছিলেন ভারতের বাঙালি গায়িকা মোনালি ঠাকুর। এবার শোনা যাচ্ছে, ভেঙে যাচ্ছে তাদের সংসার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, মোনালি-মাইক রিচার দাম্পত্য জীবনে কঠিন সময় পার করছেন। সম্ভবত তারা বিচ্ছেদের দিকে এগোচ্ছেন। যদিও এ নিয়ে কোনো বক্তব্য দেননি মোনালি কিংবা মাইক। গত বছর মোনালির মায়ের মৃত্যুর আগে স্পষ্ট হয় মোনালি-মাইকের সম্পর্ক ঠিক নেই। স্বামীর সঙ্গে সব ছবি মুছে ফেলেন গায়িকা। সম্পর্কে ফাটল ধরেছে তা বুঝতে কারো বাকি ছিল না। সামাজিকমাধ্যমে মাইককে অনুসরণ করেন না মোনালি। এই দম্পতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, এই কয়েক বছরে তাদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে; দম্পতি হিসেবে এখন আর কেউ তাদের নিয়ে কথা বলে না। দীর্ঘ দূরত্বের বিয়ে সাধারণত এই ধরনের পরিণতির মুখোমুখি হয়। মাইকের সঙ্গে মোনালি প্রেম করছেন এ খবর সবাই জানতেন। কিন্তু গোপনে সাতপাকে বাঁধা পড়েন তারা; যা পুরোপুরি আড়ালে রেখেছিলেন মোনালি। ৩ বছর পর গোপন বিয়ের খবর জানান এই গায়িকা। ২০১৭ সালে বিয়ে করেন মোনালি ও মাইক। এক সাক্ষাৎকারে এই গায়িকা বলেছিলেন, আমার বিয়ের খবরটি শুনে অনেকেই হয়তো কষ্ট পাবেন কারণ ইন্ডাস্ট্রির অনেক বন্ধুই বিষয়টি জানেন না এবং তাদের আমন্ত্রণও জানানো হয়নি। আমরা চাইছিলাম অনুষ্ঠান করে ঘোষণা দিব কিন্তু এভাবেই তিন বছর পার হয়ে গেছে। মাইকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনা বর্ণনা করে মোনালি বলেছিলেন, সুইজারল্যান্ডে ঘুরতে গিয়ে মাইকের সঙ্গে আমার পরিচয়। তখনই আমাদের প্রেম হয়ে যায়। শুধু মাইকের সঙ্গে নয়, তার পরিবারের সঙ্গেও আমার সুসম্পর্ক। ২০১৬ সালের ক্রিসমাস ইভে একটি গাছের নিচে মাইক আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, সেখানেই আমাদের প্রথম দেখা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গেই হ্যাঁ বলেছিলাম। জনপ্রিয় অভিনেতা-গায়ক শক্তি ঠাকুরের কন্যা মোনালি ঠাকুর। বাবার পথ অনুসরণ করে একই অঙ্গনে পা রাখেন তিনি। বলিউডের অনেক সিনেমার গানে প্লেব্যাক করেছেন মোনালি ঠাকুর। তার গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলো হলো ‘জারা জারা টাচ মি’, ‘গুডনাইট’, ‘খুদায়া খায়ের’, ‘গোলামাল’ প্রভৃতি। এছাড়া বলিউডের সিনেমায় অভিনয়ও করেছেন মোনালি।
গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন

গানই আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন: সাবিনা ইয়াসমিন বাংলা গানের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলাদেশের সংগীতাঙ্গনে ‘গানের পাখি’ বলেই ডাকা হয় তাকে। সুরের জাদুতে এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। ১৯৫৪ সালর ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সাবিনা ইয়াসমিনের জন্ম। বাবার চাকরির সুবাদে বেড়ে উঠেছেন নারায়ণগঞ্জে। তার পৈতৃক বাড়ি সাতক্ষীরায়। পরিবারে সংগীতের চর্চা ছিল, তাই ছোটবেলা থেকেই গানের সঙ্গে তার সখ্য। পাঁচ বোনের মাঝে চার বোনই গান করেছেন। এই গানের মানুষ আজ ৭১ বছর পূর্ণ করলেন। এক জীবনে অনেক কিছুর সাক্ষী সাবিনা ইয়াসমিন। জীবন থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এই শিল্পী। জীবনের কোন মুহূর্তগুলো সবচেয়ে বেশি শিখিয়েছে, তা জানতে চাওয়া হয় শিল্পীর কাছে। জবাবে সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, “সত্যি বলতে আমার সংগীতজীবনে কঠিন মুহূর্ত আসেনি। আল্লাহর রহমতে খুব ভালোভাবে এত দূর এসেছি, এতটা সময় কাটিয়েছি। মাঝেমধ্যে ব্যক্তিগত জীবনে কঠিন কিছু মুহূর্ত যে আসেনি, তা নয়। ওই সময়টায় গানই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে। গান আমার আনন্দ, দুঃখ, জীবন—সব।” সাবিনা ইয়াসমিনের বাবা রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন। তার মা মুর্শিদাবাদে সে সময়ের প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ ও ওস্তাদ কাদের বক্সের কাছে গান শিখতেন। তার বড় বোন ফরিদা ইয়াসমিন ও ফৌজিয়া ইয়াসমিন দুর্গাপ্রসাদ রায়ের কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীতের তালিম নেন। সাবিনা ইয়াসমিন ও নীলুফার ইয়াসমিন তাদের সঙ্গে বসতেন। তার মা তাকে তালিমে সহায়তা করতেন, হারমোনিয়াম বাজিয়ে সঙ্গ দিতেন। মাত্র সাত বছর বয়সে প্রথম মঞ্চে গান করেন। পরবর্তীতে ওস্তাদ পি সি গোমেজের কাছে টানা ১৩ বছর শাস্ত্রীয় সংগীতে তালিম নেন সাবিনা ইয়াসমিন। ১৯৬৪ সালে বেতারে ছোটদের গানের অনুষ্ঠান ‘খেলাঘর’-এ অংশ নেন সাবিনা ইয়াসমিন। এ অনুষ্ঠানে তার প্রথম সম্মানী ছিল ১০ টাকা। সিদ্ধেশ্বরী উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াকালীন তার প্রতিবেশীর বাড়িতে আলতাফ মাহমুদ আসেন। ওই সময়ে আলতাফ মাহমুদ চলচ্চিত্রে সংগীতায়োজন করতেন। সাবিনা ইয়াসমিনের মা আলতাফ মাহমুদকে অনুরোধ করেন, মেয়েকে চলচ্চিত্রের গানে সুযোগ দেওয়ার। পরে আলতাফ মাহমুদ ‘আগুন নিয়ে খেলা’ (১৯৬৭) চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন। এটি ছিল সাবিনা ইয়াসমিনের প্রথম চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক। সিনেমাটি পরিচালনা করেন আমজাদ হোসেন। পরবর্তী চার দশকে রীতিমতো দাপটের সঙ্গে গান করেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংখ্যা কিংবা জনপ্রিয়তা দুই দিক দিয়েই বরাবরই এগিয়ে ছিলেন তিনি। সংগীত ক্যারিয়ারে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছে—‘তুমি আমার মনের মানুষ’, ‘তুমি আমার কত চেনা’, ‘কী দিয়া মন কাড়িলা’, ‘ও সাথীরে’, ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, ‘তুমি যে আমার’, ‘সে যে কেন এলো না’, ‘তুমি চাঁদের জোছনা নও’, ‘এই মন তোমাকে দিলাম’, ‘কী জাদু করিলা’, ‘শুধু গান গেয়ে পরিচয়’, ‘আমার ভাঙা ঘরে ভাঙা চালা’, ‘এই পৃথিবীর পরে’ প্রভৃতি। তা ছাড়া দেশাত্মবোধক গান কণ্ঠে তুলে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। তার গাওয়া কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানের মধ্যে রয়েছে—‘জন্ম আমার ধন্য হলো’, ‘সব কটা জানালা’, ‘সেই রেললাইনের ধারে’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ’, ‘একটি বাংলাদেশ’, ‘মাগো আর তোমাকে’ প্রভৃতি। দীর্ঘ সংগীত ক্যারিয়ারে কত হাজার গান কণ্ঠে তুলেছেন তার সঠিক হিসাব করা মুশকিল। এর সঠিত তথ্য সাবিনা ইয়াসমিন নিজেও দিতে পারেন না। তবে ধারণা করা হয়— দশ হাজারের বেশি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। দেড় হাজারের অধিক চলচ্চিত্রের গান কণ্ঠে তুলেছেন এই শিল্পী। ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য সুরকার আর. ডি. বর্মণের সুরে গান করেছেন সাবিনা ইয়াসমিন। কিশোর কুমার, মান্না দের সঙ্গে ডুয়েট গেয়েছেন তিনি। আবার মরমী শিল্পী আব্দুল আলীম থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের উঠতি শিল্পীদের সঙ্গেও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন। সংগীতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৯৬ সালে স্বাধীনতা পদক এবং ১৯৮৪ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন সাবিনা ইয়াসমিন। বাংলা চলচ্চিত্রের গান গেয়ে গায়িকা হিসেবে সবচেয়ে বেশি পরিচিত তিনি। এ পর্যন্ত চৌদ্দবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এই শিল্পী।