২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু

২১ আগস্ট গ্রেনেড মামলায় খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল শুনানি শুরু ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামিকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্র পক্ষের আপিলের ওপর শুনানি শুরু হয়েছে। আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। আসামি পক্ষে রয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১ ডিসেম্বর ওই রায় দেন। ১৯ ডিসেম্বর রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। গত ১ জুন হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক, সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে দুটি মামলা হয়। তদন্ত শেষে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১১ জুন দেওয়া অভিযোগপত্রে বিএনপি নেতা আবদুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন ও হুজি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ ২২ জনকে আসামি করা হয়। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। দুই বছর তদন্তের পর ২০১১ সালের ৩ জুলাই ৩০ জনকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে এ মামলায় মোট আসামির সংখ্যা হয় ৫২। মোট ৫২ আসামির মধ্যে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও মুফতি হান্নান এবং তার সহযোগী শাহেদুল ইসলাম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড অন্য মামলায় কার্যকর হয়। তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় এ মামলার আসামির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৯ জনে। এ ঘটনার মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর দেওয়া বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন- লুৎফুজ্জামান বাবর, আব্দুস সালাম পিন্টু, তার ভাই মাওলানা তাজউদ্দিন, হুজির সাবেক আমির ও ইসলামিক ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক মাওলানা শেখ আবদুস সালাম (কারাগারে মারা যান), কাশ্মীরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ ভাট, আবদুল মালেক ওরফে গোলাম মোস্তফা, মাওলানা শওকত ওসমান, মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান, মাওলানা আবু সাঈদ ওরফে ডা. জাফর, আবুল কালাম আজাদ ওরফে বুলবুল, মো. জাহাঙ্গীর আলম, হাফেজ মাওলানা আবু তাহের, হোসাইন আহমেদ তামিম, মঈন উদ্দিন শেখ ওরফে মুফতি মঈন, মো. রফিকুল ইসলাম, মো. উজ্জ্বল, এনএসআইয়ের সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুর রহিম (কারাগারে মারা যান), হানিফ পরিবহনের মালিক বিএনপি নেতা মোহাম্মদ হানিফ। পরিকল্পনা ও অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে হত্যা করার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তারেক রহমান, খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক উপদেষ্টা হারিছ চৌধুরী, বিএনপি নেতা কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ, হুজি সদস্য হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, শাহাদাৎ উল্লাহ ওরফে জুয়েল, মাওলানা আবদুর রউফ (কারাগারে মারা যান), মাওলানা সাব্বির আহমেদ, আরিফ হাসান ওরফে সুমন, আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম মাওলাদার, মো. আরিফুল ইসলাম, মহিবুল মুত্তাকিন ওরফে মুত্তাকিন, আনিসুল মুরছালিন ওরফে মুরছালিন, মো. খলিল ওরফে খলিলুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলম বদর, মো. ইকবাল ওরফে ইকবাল হোসেন, লিটন ওরফে মাওলানা লিটন, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই, রাতুল আহমেদ ওরফে রাতুল বাবু। তাদের দণ্ডবিধির ৩০২/১২০খ/৩৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজি) মো. আশরাফুল হুদা ও শহুদুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ভাগনে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার, ডিজিএফআইয়ের মেজর জেনারেল (অব.) এটিএম আমিন, ডিএমপির সাবেক উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) খান সাঈদ হাসান, আরেক সাবেক উপ-কমিশনার (পূর্ব) ওবায়দুর রহমান খান, সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক খোদা বক্স চৌধুরী, সিআইডির সাবেক বিশেষ সুপার মো. রুহুল আমিন, সাবেক এএসপি আবদুর রশিদ, সাবেক এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমানকে দুই বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আরেকটি ধারায় খোদা বক্স চৌধুরী, রুহুল আমিন, আবদুর রশিদ ও মুন্সি আতিকুর রহমানকে তিন বছর করে কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। গত বছরের ৩১ অক্টোবর আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শুরু হয়। এরপর গত ১ ডিসেম্বর দুটি মামলায় রায় দেন হাইকোর্ট।
নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির ত্রৈ-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বাশিস) এর ত্রৈমাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকাল ১১টায় দিয়ারা ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয় হল রুমে সমিতির সভাপতি তাজাম্মুল হক এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। নাচোল উপজেলা শাখা পক্ষ থেকে সমিতির অন্তর্ভুক্ত সদস্য দিয়াড়া ডিমকইল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মরহুম আলফাজ উদ্দীন এর স্মরনে স্মৃতি চারণ ও দোয়া পরিচালনা করা হয়। আলোচনা শেষে অবসরপ্রাপ্ত ৩জন সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান(মির্জাপুর উচ্চ বিদ্যালয়) মো: রফিকুল ইসলাম,(নাচোল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়) ও মো: ইব্রাহিম খলিল (চন্দ্রসখা উচ্চ বিদ্যালয়) কে সমিতির পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৩৬০০০/-(ছত্রিশ হাজার) টাকা করে অর্থ প্রদান করা হয়। এছাড়াও তাদের সঞ্চয় এর অর্থ দেয়া হয়। এছাড়া মরহুম আলফাজ উদ্দীনের পরিবারকে সমিতির পক্ষ থেকে ৪৮০০০/-আট চল্লিশ হাজার টাকা প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নেজামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, সোনাইচন্ডী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমসহ সমিতির কার্য নির্বাহী কমিটির সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস পালিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে যথাযোগ্য মর্যাদায় জুলাই শহীদ দিবস বুধবার পালিত হয়েছে। প্রত্যুষে সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। জেলা উপজেলা প্রশাসন এসব কর্মসূচির আয়োজন করে। জুলাই আন্দোলনের ওপর নির্মিত দুটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এসময় আলোচনা সভায় অংশগ্রহণকারীদের চোখ ছলছল করে ওঠে। প্রতিনিধিদের পাঠানো সংবাদ : নিজস্ব প্রতিবেদক : সকালে ‘জুলাই শহীদ দিবস-২০২৫’ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ। আব্দুস সামাদ তার বক্তব্যে বলেন, “শহীদ আবু সাঈদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে জুলাই আন্দোলন সফল হয়। তাদের জন্য আমাদের করণীয় আছে। আর তা হলো, জুলাই শহীদরা যে স্বপ্ন নিয়ে আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।” জেলা প্রশাসক ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বলেন— আপনারা তো কোনো কিছু পাওয়ার আশায় আন্দোলন সংগ্রাম করেননি। আপনারা চেয়েছিলেন, একটি বৈষম্যহীন দুর্নীতিমুক্ত নতুন বাংলাদেশ। আমরা যারা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছি, তারা চেষ্টা করছি আপনাদের সেই স্বপ্ন পূরণের। আপনাদের তীব্র আন্দোলনের মুখে ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হয়, আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট হতে না পারে, সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। সেজন্য আমাদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন— পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, সিভিল সার্জন ডা. এ.কে.এম. শাহাব উদ্দিন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. বিপ্লব কুমার মজুমদার, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কামলি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান হোসেনসহ অন্যরা। জুলাই যোদ্ধাদের মধ্যে বক্তব্য দেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা, সাব্বির আহমেদ, আকিব মিঞা, মাহাদি ইসলাম, রাউফুল সিয়াম রাজ ও জুলাই আহত তাহমিদুল হাসান। জুলাই যোদ্ধারা চব্বিশের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের স্মৃতিচারণ করেন। গণমাধ্যম কর্মীদের মধ্যে বক্তব্য দেন— ডাবলু কুমার ঘোষ, ফয়সাল আজম অপু ও সেলিম রেজা। ছাত্রদলের স্মরণ সভা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণ করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ছাত্রদল। বুধবার বিকেলে স্মরণসভার মধ্য দিয়ে তাদের স্মরণ করা হয়। নবাবগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন— জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউসুফ রাজা ও সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সদস্য নাজিব ওয়াদুদ, জাকির হোসেন, আব্দুল রাকিবসহ অন্য নেতৃবন্দ। বক্তারা ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের স্মৃতিচারণ করেন এবং ছাত্রসমাজকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান। অন্যদিকে আমাদের ভোলাহাট প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘জুলাই শহীদ দিবস’ উপলক্ষে বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে উপজেলা মডেল মসজিদে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও জুলাই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীরা উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে জুলাই শহীদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টায় উপজেলা সভাকক্ষে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। গোমস্তাপুর উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির মুন্সি। সভায় বক্তব্য দেন— আলীনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মুহাম্মদ মাসুম, পার্বতীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওয়াসিম আকরাম, গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ওয়াদুদ আলম, আন্দোলনে নিহত শহীদ তারেকের বাবা আসাদুল ইসলাম, উপজেলা প্রেস ক্লাব সভাপতি আতিকুল ইসলাম আজম, ছাত্রদের মধ্যে নাজমুল হক নাজিম ও হিজবুল্লাহ। আলোচনা সভা শেষে জুলাই আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনসহ তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ

বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে বিজিবির ফাঁকা গুলি ১০টি মহিষ জব্দ চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী সীমান্তে চোরাকারবারীদের ধরতে গিয়ে ২ রাইন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। এ সময় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে সেখান থেকে ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। ৫৩ বিজিবির চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল ফাহাদ মাহমুদ রিংকু এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতে বাখের আলী সীমান্তের পদ্মা নদীর আলিমের ঘাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন বিজিবি সদস্যরা। এ সময় সেখানে সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীদের দেখতে পান। চোরাকারবারীরা সংঘবদ্ধ অবস্থায় থাকায় বিজিবি সদস্যরা তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়েন। গুলির শব্দে চোরাকারবারীরা পালিয়ে যান। পরে অবৈধ পথে ভারত থেকে আনা ১০টি মহিষ জব্দ করা হয়। বিজিবি অধিনায়ক বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চোরকারবারীদের বেশি দূর ধাওয়া করতে পারেননি বিজিবি সদস্যরা। ফলে তাদের কাউকে আটক করা যায়নি। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি

নাচোলে শিশুদের মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় আনতে কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির আওতায় এসেডো ও গণসাক্ষরতা অভিযানের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ, গার্লস ফোরাম ও ইয়ুথ গ্রুপের সদস্যদের নিয়ে দুই দিনব্যাপী একটি কর্মশালা শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদের বিআরডিবি হলরুমে জিপিই’র সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মশালায় জানানো হয়— শতভাগ শিশুকে মানসম্মত শিক্ষার আওতায় নিয়ে আসার জন্য নানাবিধ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে এবং নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করার লক্ষে একটি কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। কর্মশালায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এসেডোর নির্বাহী পরিচালক রবিউল আলম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা আফিসার মৃনাল কান্তি সরকার, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার হারুন অর রশিদ, সহকারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার দুলাল উদ্দিন খান, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দুলাল হোসেন, নাচোল ৩নং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সফিকুল ইসলাম, গণসাক্ষরতা অভিযান ঢাকার প্রোগ্রাম ম্যানেজার আব্দুর রউফ, সিনিয়র ডেপুটি ম্যানেজার (ফিন্যান্স অ্যান্ড একাউন্টস) খলিলুর রহমান, প্রোগ্রাম অফিসার সিজুল ইসলাম, এসেডোর ফিন্যান্স অ্যাডমিন ম্যানেজার আজাহার আলী, ফিল্ড কো-অর্ডিনেটর ডেইজী খাতুন ও সুমি খাতুন। বক্তারা বলেন— মানসম্মত শিক্ষার অন্যতম স্তর হলো প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা। যেখানে শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য শারীরিক ও মানসিক যত্ন, উপযুক্ত পরিবেশ ও নিরাপত্তা বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশে শিশুর নিরাপদে বেড়ে ওঠার একটি অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হলো স্কুল হতে ঝরে পড়া ও বাল্যবিয়ে। এ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে শিক্ষা সম্পর্কিত স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের নিয়ে সমন্বিতভাবে কাজ করা যায় এজন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ৮৫ ডেঙ্গু আক্রান্ত : হাসপাতালে ভর্তি ৭৪ জন চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫ জন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ভেতর বিভাগে ৩৫ জন এবং বহির্বিভাগে ৪৮ জন শনাক্ত হয়েছেন। অন্যান্য উপজেলার মধ্যে গোমস্তাপুর ও শিবগঞ্জে ১ জন করে রোগী শনাক্ত হন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭১ জন। তাদের মধ্যে ৩২ জন পুরুষ, ৩২ জন মহিলা ও ৭ জন শিশু রয়েছেন। এছাড়া শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। আর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের বহির্বিভাগে শনাক্তরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এই ২১ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ, ১০ জন মহিলা ও ১ জন শিশু রয়েছেন। অন্যদিকে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ৪ জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন শিশু রয়েছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৩৬ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৫৬২ জনে।
মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ

মা ও শিশুর পুষ্টি ও জলবায়ু উন্নয়নে ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪টি ইউনিয়ন ও সদর পৌরসভায় মোট ১৭শ পরিবারকে ৫ ধরনের ফলজ ও বনজ গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর এরিয়া প্রোগ্রামের উদ্যোগেগতকাল ও আজ মা ও শিশুর অপুষ্টি নিরসন ও জলবায়ু উন্নয়নে (Enough Campaign) এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আওতায় হতদরিদ্রপরিবার, প্রতিবন্ধী পরিবার, ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক নিবন্ধনকৃত শিশুর পরিবার, বিদ্যালয় এবং দরিদ্র আদিবাসী পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়। চারা বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ এরিয়া প্রোগ্রাম ম্যানেজার জেমস বিশ্বাস, ৫টি কর্মএলাকার স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি, গ্রাম উন্নয়ন কমিটির সদস্যগণ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশনের কর্মকর্তাগণ। বিতরণকৃত গাছের মধ্যে রয়েছে আম, সফেদা, মাল্টা, পেয়ারা ও নিম এবং বালিয়াডাঙা, সুন্দরপুর, দেবীনগর, চরঅনুপনগর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মধ্যে এই চারাগুলো বিতরণ করা হয়।
কিয়ারা-সিদ্ধার্থের ঘরে এলো কন্যা সন্তান

কিয়ারা-সিদ্ধার্থের ঘরে এলো কন্যা সন্তান বাবা-মা হলেন বলিউডের তারকা দম্পতি কিয়ারা আদভানি ও সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। মঙ্গলবার বিকেলে (১৫ জুলাই) কন্যা সন্তানের জন্ম দিয়েছেন কিয়ারা। মা ও নবজাতক সুস্থ রয়েছেন। মুম্বাইয়ের স্যার এইচ. এন. রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন হাসপাতাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে ভর্তি রয়েছেন কিয়ারা আদভানি। এ হাসপাতালে কিয়ারার নরমাল ডেলিভারি হয়েছে। তবে রাতের দিকে খবরটি সামনে আসে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় ইনস্টাগ্রামে যৌথভাবে একটি বিবৃতি দিয়েছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ। তাতে এই দম্পতি লেখেন, আশীর্বাদ হিসেবে আমরা একটি কন্যাসন্তান পেয়েছি। আমাদের হৃদয় এখন পরিপূর্ণ। আজীবনের জন্য আমাদের জীবন বদলে গেল। এরপর থেকে ভক্ত-অনুরাগী ও সহকর্মীদের শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসছেন কিয়ারা-সিদ্ধার্থ। ‘শেরশাহ’ সিনেমার শুটিং সেট থেকেই প্রেমের সম্পর্কে জড়ান সিদ্ধার্থ-কিয়ারা। তারপর এ জুটির প্রেম-বিয়ে নিয়ে আলোচনা কম হয়নি। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়সালমীরে সাতপাকে বাঁধা পড়েন সিদ্ধার্থ-কিয়ারা।
ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের

ভারতীয় সিনেমায় জয়া, ঘোর আপত্তি জুঁই বিশ্বাসের দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ওপারেও নিজের প্রতিভার প্রমাণ দিয়েছেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশের অনেক তারকাই এখন কলকাতার সিনেমা, ওয়েব সিরিজে কাজ করছেন। তবে জয়া আহসান সেখানে অনেকটা ব্যতিক্রম। ভারতীয় বাংলা সিনেমার গণ্ডি পেরিয়ে বলিউডেও কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। ভারতীয় সিনেমায় বাংলাদেশি শিল্পীদের কাজ করা নিয়ে আপত্তি তুলেছেন কলকাতা পৌর করপোরেশনের নারী কাউন্সিল জুঁই বিশ্বাস। বিশেষ করে জয়া আহসানের কাজ নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন। জুঁই অভিনেত্রী না হলেও শোবিজ অঙ্গনে পরিচিত মুখ। এই অঙ্গনের তারকাদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) জুঁই তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। তাতে জয়ার কাজ করা নিয়ে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন। জুঁই বলেন, “আমরা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা কী জেগে ঘুমিয়ে আছি? আমাদের শিল্পী, কলাকুশলী, ইভেন্ট অর্গানাইজাররা বাংলাদেশে কাজ করতে পারছেন না, আটক করে রাখা হচ্ছে, অথচ জয়া আহসানকে ভারতে রেড কার্পেট দিয়ে অভিনয়ের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের কোনো শিল্পীর কি প্রতিভা নেই, জয়া যে চরিত্রটি করেছেন সেখানে অভিনয় করার মতো? কেন ভারতীয় জাদুঘরে তার মিউজিক অ্যালবাম রিলিজ হয়?” জুঁইয়ের এই বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো খবরও প্রকাশ করেছে। বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে জুঁই তার ফেসবুকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন। এতে জুঁই বলেন, “এটি সত্যি যে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনায় দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা বাংলাদেশে কাজ করতে গেলে প্রশাসনিক জটিলতা, ভিসা জট বা এমনকি ডিটেনশন-এর মতো ঘটনাও ঘটছে। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক ও দুশ্চিন্তার বিষয়। যদি দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান হয়, তাহলে সেটা দুই-পক্ষের হওয়া উচিত—না যে এক তরফা উদারতা দেখাতে হবে, না এক তরফা বন্ধুত্ব মেনে নিতে হবে।” উদাহরণ হিসেবে আবারো জয়া আহসানকে টেনে আনেন জুঁই বিশ্বাস। তার ভাষায়, “বাংলাদেশ যদি ভারতীয় শিল্পীদের জন্য সুযোগ সীমিত করে রাখে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠবে, ভারত কেন বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য দরজা খোলা রাখছে? জয়া আহসান নিঃসন্দেহে একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রী, কিন্তু প্রশ্নটা প্রতিভার নয়—প্রশ্নটা ন্যায়বিচার ও ভারসাম্যের। যখন ভারতীয় শিল্পীরা সীমাবদ্ধতায় ভোগেন, অথচ বাংলাদেশি শিল্পীরা এখানে বড় সুযোগ পান, তখন তা সবার চোখে বৈষম্য বলে মনে হয়।” প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জুঁই বিশ্বাস বলেন, “এখানে পশ্চিমবঙ্গের অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কি সেই চরিত্রগুলো করতে অক্ষম? অবশ্যই না। তাহলে বারবার বিদেশি শিল্পীদের এমন ‘বাড়তি’ গুরুত্ব দেওয়ার যুক্তি কী? প্রযোজক-পরিচালকরা দেশ বিরোধী কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা উচিৎ নয় কি? যেকোনো শিল্পচর্চা অবশ্যই মুক্ত হওয়া উচিত। কিন্তু তার মধ্যে দেশীয় শিল্পীদের সুযোগ দেওয়াটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। যখন তাদের কাজের সুযোগ বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেওয়া হয় (যেখানে সেই দেশ ভারতীয় শিল্পীদের আটকে দেয়), তখন সেটি দায়বদ্ধতার অভাব বলেই মনে হয়।” প্রতীকী সহযোগিতা নয়, স্থায়ী নীতিগত অবস্থান দরকার বলে মনে করেন জুঁই। তার মতে, “যদি পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারত নিষিদ্ধ করে, তাহলে বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য শর্তহীন মঞ্চ কেন? একতরফা সংস্কৃতিক দান কি আর রাজনীতি বা কূটনীতিতে কার্যকর? এটি নিছকই অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রশ্ন নয়। এটি একটি ‘সফট পাওয়ার’ বা সাংস্কৃতিক ক্ষমতার প্রশ্ন। যখন ভারতের শিল্পীরা অন্য দেশের বাজারে প্রবেশ করতে পারে না, অথচ বিপরীতে সেই দেশের শিল্পীরা ভারতে ব্যবসা, সম্মান এবং সুযোগ পান, তখন এটা কেবল ‘বাণিজ্য’ নয়—ভারসাম্যহীনতা ও আত্মমর্যাদার প্রশ্ন। আমরা উদারতা দেখাচ্ছি—কিন্তু তার মূল্য দিচ্ছে নিজেরাই। উদারতা কূটনৈতিক সম্পর্কের একটি দিক হতে পারে, কিন্তু তার ভিত্তি হওয়া উচিত পারস্পরিকতা। বন্ধুত্ব কাঁধে কাঁধ রেখে চলে, হাঁটু গেড়ে নয়।”
‘দেশে ভিক্ষুক নেই’ মন্তব্য করে পদ হারালেন কিউবার মন্ত্রী

‘দেশে ভিক্ষুক নেই’ মন্তব্য করে পদ হারালেন কিউবার মন্ত্রী ‘কিউবায় কোনো ভিক্ষুক নেই। কিছু মানুষ ভিখারির ছদ্মবেশে সহজে টাকা আয় করার চেষ্টা করছে।’- এমন মন্তব্যের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন কিউবার শ্রম ও সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী মার্তা এলেনা ফেইতো কাবরেরা। বুধবার (১৫ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কিউবার পার্লামেন্টে বক্তব্যকালে শ্রমমন্ত্রী মার্তা দাবি করেন, কিউবায় প্রকৃত অর্থে কোনো ‘ভিক্ষুক’ নেই। যারা ময়লার বিন ঘাঁটাঘাঁটি করেন, তারা এটাকে ‘অর্থ উপার্জনের সহজ উপায়’ ভাবেন বলেই এমন করছেন। তার এই মন্তব্যে কিউবার জনগণ ও প্রবাসী কিউবানরা সমালোচনায় ফেটে পড়েন। সমালোচনা বাড়তে থাকায় বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত হোন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস কানেল। এরপরই শ্রমমন্ত্রী মার্তা পদত্যাগ করেন। ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কিউবা। দেশটিতে চলছে খাদ্য সংকট। দারিদ্রের হার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এমন পরিস্থিতি সত্ত্বেও, চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে পার্লামেন্টে বক্তব্য রাখার সময় মার্তা বলেন, “কিউবায় কোনো ভিক্ষুক নেই। সহজে অর্থ উপার্জনের জন্য ভিক্ষুক হওয়ার ভান করে এমন মানুষ রয়েছে।” কিউবার বাসিন্দারা এই মন্তব্যের জন্য ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়। বলা হয়, সরকার উদাসীন ও মানুষের করুণ অবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন। মানবাধিকার কর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা শ্রম মন্ত্রীর অপসারণ দাবি করেন। তারা এ নিয়ে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করেন। যেখানে বলা হয়, ‘মন্ত্রীর এ মন্তব্য কিউবার মানুষের প্রতি অপমানজনক।’ এরপর কিউবার প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্টে শ্রমমন্ত্রী মার্তার নাম উল্লেখ না করেই তার সমালোচনা করে বলেন, “নেতৃত্বকে সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন। জনগণের বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া যাবে না।’ মন্ত্রী মার্তার পদত্যাগ কিউবান কমিউনিস্ট পার্টি এবং সরকার গ্রহণ করেছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, কিউবার সরকার ভিক্ষুকের সংখ্যা প্রকাশ করে না। তবে দ্বীপদেশটির গভীর অর্থনৈতিক সংকটে ভিক্ষুকের সংখ্যা বেড়েছে বলে মনে করে কিউবার বেশিরভাগ বাসিন্দা।