তার মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার

তার মতো মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার দেশের সীমানা পেরিয়ে ওপার বাংলাতেও সমান জনপ্রিয় জয়া আহসান। আবীর চট্টোপাধ্যায় সঙ্গে তার বন্ধুত্ব বহু পুরোনো এবং ইন্ডাস্ট্রিতে এই জুটির পর্দার রসায়নও দারুণ জনপ্রিয়। সম্প্রতি জয়া আহসানের কথায় আবীর চট্টোপাধ্যায়ের প্রতি তার মুগ্ধতা যেন এক অন্য মাত্রা পেল। জয়া জানান, ইন্ডাস্ট্রিতে বহু মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হলেও আবীর চট্টোপাধ্যায় তাদের মধ্যে অন্যতম ব্যতিক্রমী। তিনি একজন অত্যন্ত নির্ঝঞ্ঝাট মানুষ। জয়ার কথায়, ‘ওর সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশি কাজ। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো, ইন্ডাস্ট্রিতে আমার সবচেয়ে কমফোর্ট জোন আবীর। আমি কখনও দেখিনি ও কোনও আড্ডায় বা কখনও কোথাও কাউকে নিয়ে সমালোচনা করছে। কেউ কষ্ট পেতে পারে এরকম কথা আমি আবীরকে কখনও বলতে শুনিনি। তাই ওর জায়গা আমার জীবনে অনেকটা উপরে। একটু বেশিই সমালোচনাহীন মানুষ। যদিও মাঝেমধ্যেই একটু টক-ঝাল গল্প হলে সকলেরই খুব ভালোলাগে। তবে ওর মধ্যেও নিশ্চয়ই সেটা আছে, নয় সেটা কেউ খুঁজে পায় না। অথবা আমরা দেখতে পাই না। অভিনেত্রীর ভাষ্যে, ‘পুতুল নাচের ইতিকথার জন্য আমরা কিছু দিন আগে যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। ওরে বাবা! আবীর ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে সে যা হলো। আমাদের দিকে আর কে তাকাবে, আমাদের কথা কারও তখন কান দিয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। সকলে শুধু ওর দিকেই তাকিয়ে রয়েছে। মুগ্ধ নয়নে সকলে আবীরকে দেখছে। আমিও দেখছিলাম যে আহা কী অপূর্ব এই দৃশ্য। ওর জন্য অনুরাগীরা কতটা পাগল। এই ভক্তদের সামলে রাখা এবং সবটা এমন যত্নে রাখাও খুব কঠিন কাজ। আবীর খুব সুন্দর মেনটেন করে। তিনি আরও বলেন, ‘আসলে আবীরের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। সংসার এবং কর্মজীবন পাশাপাশি চালিয়ে যাওয়া খুব সহজ কাজ নয়। আবীর খুব সুন্দর ভাবে পরিবারকে প্রাধান্য দিয়ে সংসার জীবনটা মেনটেন করে। শুধু তাই নয়, কাজের জায়গাটাও ব্যালান্স করে। আসলে তার মতো একজন মানুষকে বন্ধু হিসেবে পাওয়া খুব ভাগ্যের ব্যাপার।’জয়ার কথায়, ‘ওর অনুভূতি খুব মন থেকেই আসে সেটা যার জন্যই হোক। এবং এই বিষয়টা কিন্তু ফেক নয়। আমি চাইব ও যেন সারাজীবন এমনই থাকে। আমরা যা করতে পারিনি বা পারি না সেটাই ও অতি যত্নে করে দেখায়। কত অবলীলায় আমরা বলে ফেলি কর্মজীবন ও পরিবার একসঙ্গে সামলানো কঠিন, ও সেটা ভুল প্রমাণ করে দেখিয়েছে বার বার।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে একদিনে আরো ১৬ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ১৬ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে ৭ জন ও বহির্বিভাগে ৫ জন এবং শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১জন, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১জন রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৮ জন রোগী। একই সময়ে ৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ৬ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২ জন ও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ১ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। ভর্তি রোগীদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ১৩ জন, শিবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন, গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩ জন এবং ভোলাহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। সিভিল সার্জন অফিস ও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে আজ এই তথ্য জানানো হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্দা উঠল আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্দা উঠল আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের চাঁপাইনবাবগঞ্জে পর্দা উঠল আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৫ এর। আজ থেকে নতুন স্টেডিয়ামে এই টুর্নামেন্ট শুরু হয়েছে। বিকেলে প্রধান অতিথি হিসেবে এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফ আফজাল রাজন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা ক্রীড়া অফিসার আবু জাফর মাহমুদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষকমণ্ডলী, ক্রীড়া সংগঠক, জেলা ক্রীড়া অফিস, এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। উদ্বোধনী খেলায় কারবালা স্কুল অ্যান্ড কলেজ বনাম নবাবগঞ্জ সিটি কলেজ অংশগ্রহণ করে। খেলায় টাইব্রেকারে ৩-২ গোলে জয়লাভ করে নবাবগঞ্জ সিটি কলেজ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের ব্যবস্থাপনায় এবং যুব ও ক্রীড়া মান্ত্রণালয় অয়োজিত এই টুর্নামেন্টে ১০টি কলেজ ফুটবল দল অংশগ্রহণ করছে। অন্য কলেজগুলো হলো— কৃষ্ণগোবিন্দপুর ডিগ্রি কলেজ, প্রসাদপুর কামিল মাদ্রসা, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ, এশিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নাচোল সরকারি কলেজ, শংকরবাটি হেফজুল উলুম এফ কে কামিল মাদ্রসা, আলিনগর স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং মুশরীভূজা ইউসুফ আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ বললেন শাওন

৩২ নম্বরে বুলডোজার নিয়ে যাওয়া দলকে ‘রাজাকার’ বললেন শাওন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে জুলাই অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার দিন ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফের আনা হয়েছে দুটি বুলডোজার। আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ট্রাকে করে বুলডোজার দুটি নেওয়া হয়। সে সময় ট্রাকের ওপরে হাতে মাইক নিয়ে কয়েকজন তরুণকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের পরিচয় জানতে চাইলে একজন বলেন ‘রেড জুলাই’ নামের একটি সংগঠনের পক্ষ থেকে সেখানে বুলডোজার দুটি আনা হয়েছে। তবে ৩২ নম্বরে যারা বুলডোজার নিয়ে গেছে তাদের রাজাকার আখ্যা দিয়েছেন অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন। দুটি বুলডোজার ধানমন্ডির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এমন শিরোনামের বিবিসি বাংলার একটি সংবাদের কার্ড শেয়ার করে শাওন লিখেছেন, ‘মনের ভয়ই আসল ভয় বুঝেছিস গাধার দল! বারবার ভেঙে, বারেবারে আগুন দিয়েও তোদের ভয় যায়নি… এই ভাঙা বাড়ির প্রতিটা ধূলিকণা যে বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে মিশে আছে সেটাকে কীভাবে অস্বীকার করবিরে রাজাকার বাহিনী!’ ওই পোস্টে শাওন হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন #তুই_রাজাকার ও #ধানমন্ডি_৩২ এর আগে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার পর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে’ ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনার ছয় মাস পূর্তির দিন গত ৫ ফেব্রুয়ারি ‘বুলডোজার মিছিল’ কর্মসূচি থেকে ৩২ নম্বরের বাড়িটি ভাঙা হয়।
আরাধ্যার স্বভাব এমন কেন, জানালেন অভিষেক

আরাধ্যার স্বভাব এমন কেন, জানালেন অভিষেক আরাধ্যার বয়স দেখতে দেখতে ১৪। বলিউডের আলো–ঝলমলে দুনিয়ায় জন্ম হলেও আরাধ্যা বচ্চনকে খুব কমই দেখা যায় ক্যামেরার সামনে। মা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গেই প্রধানত ধরা দেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে নেই তার আলাদা উপস্থিতি। লাজুক, সাদামাটা স্বভাবের এই তারকা-সন্তানকে নিয়ে সম্প্রতি মুখ খুললেন বাবা অভিষেক বচ্চন। এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বলেন, আরাধ্যাকে বিনোদনজগতের সঙ্গে পরিচিত করানোর ক্ষেত্রেও সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন ঐশ্বরিয়া। তার ভাষায়, ‘ওর মা ওকে এই দুনিয়ার সঙ্গে খুব সহজভাবে পরিচয় করিয়েছে। দাদা-দাদি, মা-বাবা- সবারই পেশা এই জগত। কিন্তু কখনোই বিষয়টাকে ওর সামনে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই ও বড় হয়েছে।” তারকা-পরিবার হওয়া সত্ত্বেও মেয়েকে যেন কখনো গ্ল্যামারের ঝলকানি ছুঁয়ে না যায়, সে চেষ্টা সবসময় করেছেন অভিষেক-ঐশ্বরিয়া। অভিষেক বলেন, “আরাধ্যা খুব স্বাভাবিকভাবে বড় হতে থাকা একটা বাচ্চা। এর সম্পূর্ণ কৃতিত্ব আমার স্ত্রীর। তার কারণ, ওর অনুমতিতেই আমি বাইরে কাজ করি, ছবিতে সময় দিই। আর এদিকে ও আরাধ্যার সব খেয়াল রাখে। আরাধ্যাও এই স্বাভাবিক বড় হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটা ভীষণ উপভোগ করে।” বাবার সিনেমা দেখা নিয়ে আরাধ্যার আগ্রহ কতটা? এমন প্রশ্নে অভিষেক হাসতে হাসতেই জানান, ‘ও সবচেয়ে ভালোবাসে খেলতে, স্কুলে যেতে, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে। সিনেমা দেখার প্রতি ওর তেমন আগ্রহ নেই।” আর নিজের কোন ছবি মেয়ের সবচেয়ে পছন্দ-এই প্রশ্ন করতে অভিষেক নিজেই ভয় পান। কারণ, “আরাধ্যা খুব সৎ উত্তর দেবে-যা আমি হয়তো শুনতে প্রস্তুত নই!”
‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে

‘১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা খুঁত বের করবে পশ্চিমবঙ্গের আলোচিত সংগীতশিল্পী পৌষালী ব্যানার্জি। বছরজুড়ে গান নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করেন এই শিল্পী। শীত চলে আসায় স্টেজ শোয়ের ব্যস্ততা আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে কিছু শ্রোতা পৌষালীর পোশাক নিয়ে কটূক্তি করেছেন। এ নিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যম টিভি নাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন এই শিল্পী। পৌষালী ব্যানার্জি বলেন, “আমি আটপৌরেভা শাড়ি পরি। আমি গান গাইছি, অনুষ্ঠান ভালো হচ্ছে, শ্রোতাদের অনেকে নাচছেন, কমিটির মানুষেরা খুশি, তারপরও কিছু তো একটা বলতে হবে। কিছু মানুষ আছেন, যারা খুঁত বের করবেন। তাদের একজনের মন্তব্য ‘আরো রুচিশীল হতে হবে একজন শিল্পীকে।’ এটা শোনার পর আমি নিজের ভিডিও দেখা শুরু করলাম।” শাড়িতে এখন ১৫টি সেফটিপিন ব্যবহার করেন পৌষালী। এ তথ্য উল্লেখ করে গায়িকা বলেন, “আসলে অত খেয়াল থাকে না। কোথায় শাড়ি সামান্য সরে গেল বা কোথাও ব্রার স্ট্র্যাপ একবারের জন্য দেখা গেল বা কোথায় পেটিকোট দেখা গেল। এবার এমন সব মন্তব্য আমার মা পড়েছেন। সর্বনাশের কারণ হলো এটা। মা একদিন বিরাট বকা দিলেন। এগুলো কী, জানতে চাইলেন। বললেন, ‘তুমি দেখতে পাচ্ছ না যে শাড়ির আঁচলটা সামান্য সরে গিয়েছে।’ তাই মায়ের কথা আর শ্রোতাদের কথা এই দুটোর জন্যই আগে ছয়টা সেফটিপিন লাগাতাম; এখন ১৫টা সেফটিপিন লাগাই।” যারা ভুল ধরার তারা ধরবেনই, এমন ভাবনা পৌষালীর। এ গায়িকা বলেন, “মজার কথা হলো, এমন অনেক শ্রোতা আছেন, যারা শুধু ভালো গান শুনতে যান। তারা শুধু আমার গানই শোনেন। কিন্তু কিছু মানুষের লক্ষ্য থাকে, খুঁত বের করা। ১৫টা কেন, ১৫ হাজার সেফটিপিন শাড়িতে লাগালেও, তারা যে খুঁত বের করছেন, সেটা ঢাকা পড়বে না। আমার মা খুবই স্ট্রিক্ট, বাবাও তাই। মা যখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্যগুলো পড়েন, আমাকে বলেন, আরো বেশি সতর্ক হতে; তাই আমাকে বেশি সতর্ক হতে হচ্ছে।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি ও র্যাবের অভিযানে ইয়াবা,ফেনসডিল সহ যুবক গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তে বিজিবি ও র্যাবের অভিযানে ইয়াবা,ফেনসডিল সহ যুবক গ্রেপ্তার চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা সীমান্তে বিজিবি ও র্যাবের পৃথক দুটি অভিযানে ৭৩ বোতল ফেনসিডিল ও ৫৮৮ পিস ইয়াবা জব্দ হয়েছে। এর মধ্যে র্যাবের অভিযানে ইয়াবাসহ সহ সিহাব আলী (২২) নামে এক যুবক গ্রেপ্তার হয়েছে। তিনি শিবগঞ্জের জমিনপুর খাড়োগ্রাম এলাকার মতিউর রহমানের ছেলে। গত রোববার রাতে অভিযানগুলো চালানো হয়। বিজিবি জানায়, সোমবার রাত পৌনে ১২টার দিকে গোপন সূত্রে ফেনসিডিল মজুদের খবর পেয়ে শাহাবাজপুর ইউনিয়নের মোগড়পাড়া কেন্দ্রীয় ঈদগাহ এলাকায় অভিযান চালায় সোনামসজিদ বিওপির একটি বিশেষ টহল দল। অভিযানে ৩টি প্লাষ্টিকের ঝুড়িতে বস্তাবন্দী অবস্থায় দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচারের জন্য মজুদকৃত ৭৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ হয়। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয় নি। আজ সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক (৫৯বিজিবি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলম কিবরিয়া বলেন, মেইন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৮৫/১৫ হতে প্রায় ১ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতরে চালানো ওই অভিযানে জব্দ ফেসসিডিল শিবগঞ্জ থানায় জমা করা হবে। এদিকে র্যাব জানায়, রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চৌকা মনাকা স্বর্ণকারপাড়া হতে বিক্রির জন্য অবস্থানকালে সিহাবকে ৫৮৮ পিস ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সকালে র্যাব-৫ ব্যাটালিয়নের চাঁপাইনবাবগঞ্জ ক্যাম্পের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তার সিহাব মাদক কারবারি। আটকের পর তার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে শিবগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যে দিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উদযাপন করা হয়েছে। আজ সকালে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও ব্রাক স্বাস্থ্য কর্মসূচীর আয়োজনে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিন করে। পরে সিভিল সার্জন কার্যালয় প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য দেন সিভিল সার্জন ডা.এ.কে.এম শাহাব উদ্দীন, সিভিল সার্জন অফিসের মেডিক্যাল অফিসার ডা. ইনজামাম উল হক, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডায়াবেটিক সমিতির প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মন্টু, ব্রাকের জেলা ব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন, এরিয়া ম্যানেজার আব্দুল কুদ্দুসসহ অন্যান্যরা। বক্তরা বলেন, ডায়াবেটিস এখন মহামারীর রুপ নিয়েছে। ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। এটি এখন বৈশ্বিক সমস্যা। অথচ সচেতন হলেই জীবনঘাতি এই রোগ অনেকটা মোকাবেলা সম্ভব। দিবসটি উপলক্ষে সদর উপজেলার বালুগ্রামে স্ক্রিনিং ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়।
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০০৭

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০০৭ সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১ হাজার সাতজন। এ নিয়ে চলতি বছর ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৩৯ জনে এবং শনাক্ত রোগী বেড়ে ৮৬ হাজার চারজনে দাঁড়িয়েছে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৫০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩৫ জন, ঢাকা বিভাগে ২৫৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১৯১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৪২ জন, খুলনা বিভাগে ২৫ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬১ জন, রাজশাহী বিভাগে ৪১, রংপুর বিভাগে পাঁচজন ও সিলেট বিভাগে তিনজন রয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় যে পাঁচজনের মারা গেছেন তাদের মধ্যে দুজনের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এবং একজনের ময়মনসিংহ বিভাগে মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ে এক হাজার ১৭০ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৮২ হাজার ৬১২ জন। ২০২৪ সালে দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ৫৭৫ জনের। এর আগের বছর ২০২৩ সালে ডেঙ্গুতে মারা যান সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭০৫ জন এবং আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন।
বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের

বিপিএল থেকে নাম প্রত্যাহার তামিমের শেষ পর্যন্ত সব গুঞ্জনের অবসান ঘটালেন তামিম ইকবাল নিজেই। এবারকার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) তিনি খেলবেন না। ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তামিম। আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বিপিএল খেলোয়াড় নিলাম (প্লেয়ার্স ড্রাফট) থেকে নিজের নাম তুলে নেওয়ার অনুরোধও তামিম জানিয়ে দিয়েছেন বিসিবির ক্রিকেট অপারেশনস ম্যানেজার শাহরিয়ার নাফিসকে। এই প্রসঙ্গে ক্রিকবাজকে তামিম বলেন, হ্যাঁ, আমি বিপিএলে অংশ নিচ্ছি না। ড্রাফট থেকে আমার নাম বাদ দেওয়ার অনুরোধ করেছি।’ ২০১২ সালে বিপিএল যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতিটি আসরেই মাঠে দেখা গেছে তামিমকে। এমনকি শেষ দুই মৌসুমে ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক হিসেবে দলকে ফাইনালে তুলেছিলেন এবং শিরোপাও জিতিয়েছেন। তবে এবার পরিস্থিতি বদলে গেছে। বোর্ড নির্বাচনের সাম্প্রতিক উত্তাপ, ফিসনেট ইস্যু এবং বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজি না থাকা- সবকিছু মিলিয়ে তার বিপিএলে অংশগ্রহণ ক্রমেই অনিশ্চিত হয়ে উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিলেন, এবারের বিপিএলে তাকে দেখা যাচ্ছে না। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সর্বশেষ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েও শেষ মুহূর্তে সরকারি হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে সরে দাঁড়ান তামিম ইকবাল। সেই ঘটনার পর থেকেই দেশের এই তারকা ওপেনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিশেষ করে বিপিএলে তার অংশগ্রহণ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছিল।