ঢাকায় ১০ মাসে ১৯৮ খুন: ডিএমপি

ঢাকায় ১০ মাসে ১৯৮ খুন: ডিএমপি চলতি বছরে গত ১০ মাসে ঢাকায় ১৯৮টি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।  মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর)  সকালে ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান,  শুধু ঢাকায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ২০টির মতো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বেশিরভাগ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করা হয়েছে। পারিবারিক সহিংসতা, পূর্ব শত্রুতার জের, আধিপত্য বিস্তার এবং অজ্ঞাতনামা নবজাতকের লাশ উদ্ধারও মতো বিষয়ও আছে বলে তিনি জানান।  সর্বশেষ গতকাল সোমবার ঢাকার মিরপুরে দোকানে ঢুকে পল্লবী থানা যুবদলের সদস্যসচিব গোলাম কিবরিয়াকে (৪৭) গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় জড়িত ও অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে প্রকৃত রহস্য উদঘাটন এবং জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এ বছরের শুরুতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে তোফাজ্জল হোসেনকে পিটিয়ে হত্যা, গত ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা, ও গত ৯ জুলাই ঢাকায় লাল চাঁদ ওরফে মো. সোহাগ (৩৯) নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে ও বড় পাথরখণ্ড দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার ঘটনা ছিল সবচেয়ে বেশি আলোচিত।

উগান্ডাকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের

উগান্ডাকে উড়িয়ে বিশ্বকাপ শুরু বাংলাদেশের  জয়ে নারী কাবাডি বিশ্বকাপ শুরু করল বাংলাদেশ। মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে উগান্ডাকে ৪২-২২ পয়েন্টে পরাজিত করেছে। বাংলাদেশের দাপুটে জয়ের আগে শুরুতে লড়াইটা দারুণ করেছে উগান্ডা। তবে প্রথমার্ধে ঠিকই এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১৪-১২ ব্যবধানে এগিয়ে। বিরতির পর অবশ্য উগান্ডাকে লড়াইয়ের সুযোগ দেয়নি বাংলাদেশ। ফলই তার প্রমাণ। দ্বিতীয়ার্ধে উগান্ডার ১০ পয়েন্টের বিপরীতে ২৮ পয়েন্ট নিয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে প্রতিপক্ষকে ৪২-২২ পয়েন্টে হারিয়েছে বাংলাদেশ। দুই অর্ধে দুইবার উগান্ডাকে অলআউট করেন বাংলাদেশের মেয়েরা। ম্যাচসেরা হয়েছেন বাংলাদেশেল স্মৃতি আক্তার। প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নামা স্মৃতি জানিয়েছেন, পরের ম্যাচগুলো জিততে তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তিনি বলেছেন, ‘প্রথম ম্যাচ যেহেতু জিতেছি, পরের গুলোও ইনশাআল্লাহ হবে। এটা আমার প্রথম বিশ্বকাপ। দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। সবাই মিলে বাংলাদেশকে কিছু পদক জয় এনে দেব ইনশাল্লাহ।’ আগামীকাল দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ জার্মানি।

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে থাকছেন সেই ‘বিতর্কিত’ রেফারি

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচে থাকছেন সেই ‘বিতর্কিত’ রেফারি গত জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ২-১ গোলে হারের পর থেকেই ক্ষোভে ফুটছিল বাংলাদেশি সমর্থকরা। ম্যাচের একদম শেষ মুহূর্তে স্পষ্ট পেনাল্টি না দেওয়ায় রেফারির সিদ্ধান্ত নিয়ে তৈরি হয় তীব্র বিতর্ক। ভারত–বাংলাদেশ হাইভোল্টেজ লড়াইয়ে সেই ‘বিতর্কিত’ রেফারির হাতেই উঠছে বাঁশি! আজকের ম্যাচ পরিচালনা করবেন ফিলিপাইনের রেফারি ক্লিফোর্ড পোস্তানিস। ২০১৪ সাল থেকে তিনি ফিফা রেফারি, আর ২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ব্যাজধারীদের মধ্যে সবচেয়ে সিনিয়র পোস্তানিসই।  তার সঙ্গে দুই সহকারীও ফিলিপাইনের, নানোলা ক্রিজমার্ক (ফিফায় ২০১৭ থেকে) এবং লাচিচা জিওভানি (২০১৮ থেকে)। উল্লেখযোগ্য বিষয়, সিঙ্গাপুরের সেই বিতর্কিত ম্যাচেও ছিলেন এই তিনজনই।  সেই ম্যাচের ৯৩তম মিনিটে বাংলাদেশের ফয়সাল আহমেদ ফাহিমকে ডি-বক্সের ভেতর পিছন দিক থেকে স্লাইডিং ট্যাকেল করেন সিঙ্গাপুরের ইরফান নাজিব। কিন্তু পরিষ্কার ফাউলের পরও পোস্তানিস পেনাল্টির বাঁশি বাজাননি। সিদ্ধান্তের সেই ভুল বাংলাদেশের জন্য হয়ে ওঠে নিয়তির আঘাত, আর সমর্থকদের জন্য ক্ষোভের বিস্ফোরণ। তা না হলে যে পাল্টে যেত ম্যাচের ফল।  ম্যাচ পরিচালনার মান নিশ্চিত করতে রেফারিদের ওপর থাকেন এক জন অ্যাসেসর। বাংলাদেশ–ভারত ম্যাচে অ্যাসেসর হিসেবে এসেছেন জর্ডানের নাসের মোস্তফা, যিনি সাবেক ফিফা রেফারি। পুরো ম্যাচ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন ম্যাচ কমিশনার সি থু উইন (মিয়ানমার)। দক্ষিণ এশিয়া থেকেও রয়েছেন একজন কর্মকর্তা, চতুর্থ রেফারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কার কাশুন লাকমাল। ১৩ নভেম্বর ঢাকায় বাংলাদেশ–নেপাল ম্যাচও পরিচালনা করেছিলেন তিনি।

শিশুর মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে

শিশুর মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমাতে ছোটবেলার দুষ্টুমি তো আগেও ছিল, তবে আজকের ‘জেন’, ‘আলফা’ প্রজন্মের বাচ্চাদের নিয়ে বাবা-মায়ের চিন্তা একটু অন্যরকম। রিলস দেখা, গেইম খেলা, কার্টুন সবকিছু এখন মোবাইলের পর্দায় আটকে গেছে। এই আসক্তি তাদের জেদি, অমনোযোগী আর শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয় করে তুলছে। এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারজানা রহমান। তিনি বলছেন, “সন্তানকে স্ক্রিনের নেশা থেকে বের করে আনতে কিছু সাধারণ অভ্যাস বদলই যথেষ্ট। চলুন জেনে নিই কীভাবে সেটা সম্ভব। নিজে প্রথমে মোবাইল থেকে দূরে থাকুন : শিশুর সামনে ফোন হাতে নিয়ে বসে থাকলে সে কী শিখবে? আপনি যদি নিজেই স্ক্রল করতে করতে সময় কাটান, তাহলে সন্তানের কাছে এটাই স্বাভাবিক মনে হবে। তাই সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় ফোন একদম দূরে রাখতে হবে। গল্প করুন, খেলুন, একসঙ্গে রান্না করুন এতেই সে বুঝবে ফোন ছাড়াও জীবন মজার। খাওয়ার সময় মোবাইল একদম নয় : শিশুকে খাওয়ানোর জন্য অনেকে মোবাইল ধরিয়ে দেন। এটা একদম ভুল। এতে খাবারের প্রতি মনোযোগ থাকে না, স্বাদ বোঝে না, এমনকি অতিরিক্ত খেয়ে ফেলতেও পারে। বরং পুরো পরিবার একসঙ্গে বসুন, গল্প করুন, হাসুন। খাবার শেষ হবে, সম্পর্কও মজবুত হবে। ঘরের ভেতর খেলায় ব্যস্ত রাখুন : খেলাধুলায় মগ্ন থাকলে মোবাইলের কথা মনেই পড়ে না। বাইরে নিয়ে যাওয়া সবসময় সম্ভব না হলে ঘরেই নানান খেলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। লুডো, দাবা, পাজল, ব্লক সেট, রং পেন্সিল, গল্পের বই এসব দিয়ে শিশুকে ব্যস্ত রাখতে হবে। সৃজনশীল কাজে আগ্রহী করলে সে নিজেই স্ক্রিন ভুলে যাবে। ধীরে ধীরে স্ক্রিন টাইম কমান : হঠাৎ ফোন কেড়ে নিলে শিশু আরও জেদ ধরবে। তাই ধীরে ধীরে কমাতে হবে।প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিন যেমন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত কার্টুন দেখা, তারপর বন্ধ। নিয়মিত এটা মানলে সে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। একটা স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি হবে, আসক্তিও কমবে। শিশুর মোবাইল আসক্তি কমানো মানে শাস্তি দেওয়া নয়, বরং তাকে বোঝানো যে জীবন ফোনের বাইরেও অনেক রঙিন। একটু ধৈর্য আর ভালোবাসা দিয়ে শুরু করলেই ফল পাওয়া সম্ভব।

ভারত ম্যাচের আগে ভক্তদের যা বললেন হামজা

ভারত ম্যাচের আগে ভক্তদের যা বললেন হামজা নেপালের বিপক্ষে অবিশ্যাস্য বাইসাইকেল কিক আর ‘পানেনকা’ পেনাল্টির পরও শেষ পর্যন্ত জয় পায়নি দল। সে সময় হতাশার কথা জানালেও পেশাদার ফুটবলে কিভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয় তা ভালই জানেন ইংলিশ ক্লাব লেস্টার সিটিতে খেলা এই ফুটবলার। এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিয়ম রক্ষার মর্যাদার লড়াইয়ে ম্যাচের আগে অনুশীলনে সোমবার নিজেদের ঝালিয়ে নিয়েছে দুদলই। জামাল-তারিক কাজির পর হামজা-জায়ান-শমিতদের আগমনে বদলে গেছে বাংলাদেশের ফুটবল। বদলে যাওয়া ফুটবলে উচ্ছ্বাসিত ভক্তদের চাঙ্গা রাখার দায়িত্বও যে তারকা ফুটবলারদের তা আবারও দেখালেন হামজা।  সোমবার (১৭ নভেম্বর) মধ্যরাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ নিয়ে স্ট্যাটাস দেন হামজা। পোস্টে তিনি লেখেন, ‌‌‘বড় ম্যাচের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। আপনাদের সবাইকে দেখার জন্য আর আপনাদের উচ্ছ্বাস অনুভব করার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। ইনশাআল্লাহ।’ দর্শকদের কাছ আজ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে যা দেখতে চেয়েছেন হামজা তা যে তিনি দেখবেন এ নিয়ে তেমন কোন সন্দেহ নেই। কারণ ছয় মিনিটে যে বিক্রি হয়ে গিয়েছে জাতীয় স্টেডিয়ামের সব টিকিট।

৩ নৌকা ও ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড

৩ নৌকা ও ৭৯ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশের ৩টি নৌকাসহ ৭৯ জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে ভারতের কোস্ট গার্ড। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু। আটক জেলেরা ভারতের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে (ইইজেড) অবৈধভাবে মাছ ধরছিল বলে দাবি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।  খবরে বলা হয়েছে, গত ১৫ ও ১৬ নভেম্বর বঙ্গোপসাগরের উত্তরাঞ্চলে আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমান্তরেখা এলাকা থেকে বাংলাদেশি এসব নৌকা ও জেলেদের আটক করে ভারতের কোস্টগার্ড। এ সময় বাংলাদেশের নৌকাগুলো ভারতের জলসীমায় মাছ ধরছিল বলে দাবি করেছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। আটক তিনটি নৌকা এবং জেলেদের পশ্চিমবঙ্গের ফ্রেজারগঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং নৌ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে দেশে ফিরলেন ১৭০ বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় লি‌বিয়ার বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৭০ জন বাংলাদেশি দে‌শে ফি‌রে‌ছেন। মঙ্গলবার ( ১৮ ন‌ভেম্বর) সকা‌ল ৬টার দিকে তারা বুরাক এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ইউ‌জেড২২২-এর মাধ্যমে দে‌শে ফি‌রেছেন। এসব বাংলাদেশিদের বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। তাদের অনেকে লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা তাদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান। জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুর্বিষহ অভিজ্ঞতা সম্ভাব্য সবার সঙ্গে বিনিময় করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধ জানানো হয়। আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে পথখরচা, কিছু খাদ্যসামগ্রী এবং প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। লিবিয়ায় বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মুহাম্মদ খায়রুল বাশার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম তদারকি করেন এবং প্রত্যাবাসিতদের বিদায় জানান। অভিবাসীদের উদ্দেশে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বিদেশে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে বৈধ ও নিরাপদ পথই একমাত্র সঠিক উপায়।’ তিনি প্রত্যেককে দেশে ফিরে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন, সরকারি প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং বৈধ প্রক্রিয়া বিদেশ গমনের বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘অবৈধ অভিবাসন শুধু ঝুঁকিপূর্ণই নয়, বরং ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও জাতীয়ভাবে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। দেশে ফিরে শুধু চাকরির অপেক্ষায় না থেকে নিজেদের অভিজ্ঞতা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা হওয়ার চেষ্টা করতে হবে।

কেন খাবেন মটরশুঁটি

কেন খাবেন মটরশুঁটি শীতকালে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি পাওয়া যায়। শীতকালের বাজার মানে সবজি সমাহার। নতুন আলু থেকে পালং শাক, মুলো কী নেই সেই তালিকায়। তবে শীতকালের সবজির মধ্যে অনেকেরই প্রথম পছন্দ মটরশুঁটি। ফুলকপি আলুর তরকারিতে স্বাদ বৃদ্ধি জন্য হোক, কিংবা গরম গরম ধোঁয়া ওঠা কচুরির পুরে, এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। অনেকে তো আবার মুড়িতে মেখে কাঁচা মটরশুঁটি মেখে খেতেও পছন্দ করেন। কিন্তু রোজ মটরশুঁটি খাওয়া কি ভালো? এতে শরীরে ঠিক কী প্রভাব পড়ে? পুষ্টিগুণেও ভরপুর মটরশুঁটি। শীতকালে যদি প্রতিদিন মটরশুঁটি খাওয়া যায় তবে তা অনেক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। মটরশুঁটি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এতে প্রোটিন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে এবং বি কমপ্লেক্স যেমন থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন এবং ফলিক অ্যাসিড রয়েছে। তাছাড়াও এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজ পাওয়া যায়। আজ তার উপকারিতাগুলো জেনে নিন – রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে : মটরশুঁটিতে থাকা উচ্চমাত্রার অ্যান্ট-অক্সিডেন্ট, ছোট-বড় অসুস্থতা থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখতে কাজ করে। এতে থাকা উচ্চমাত্রার মিনারেল তথা- আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, কপার, ম্যাংগানিজ প্রভৃতি এই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে অবদান রাখে। ত্বকের বলীরেখা প্রতিরোধ করে : মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে অ্যান্টি এইজিং ইফেক্ট, যা ত্বকে সহজে বয়সের ছাপ পড়তে দেবে না। এতে থাকা ফ্ল্যাভনয়েডস ক্যাটেচিন, এপিক্যাটাচিন, ক্যারোটেনয়েড, আলফা ক্যারোটেনয়েড মূলক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমূহ ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াকে ধীরগতি করে দেয় এবং ত্বক সুস্থ রাখতে ও ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস প্রতিরোধ করে : মটরশুঁটিতে থাকা ভিটামিন-কে বয়সকালীন বড় ধরণের রোগ তথা আলঝেইমার ও আর্থ্রাইটিস দেখা দেওয়া থেকে শরীরকে নিরাপদে রাখে। এমনকি নিয়মিত মটরশুঁটি খাওয়ার ফলে আলঝেইমারের রোগীদের নিউরাল ড্যামেজের মাত্রা কমে আসে বেশ অনেকখানি। একদম ফ্রেশ মটরশুঁটি থেকে ভিটামিন-কে পাওয়া যাবে সবচেয়ে বেশি। নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে চিনির মাত্রা : মটরশুঁটিতে থাকে পর্যাপ্ত আঁশ ও প্রোটিন, যার ফলে রক্তে চিনি মেশে ধীরগতিতে। এছাড়া মটরশুঁটিতে বাড়তি চিনি না থাকায়, এই সবজিটি খাওয়ার ফলে কোন সমস্যা দেখা দেয় না। পাশাপাশি রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রনেও ভূমিকা রাখে মটরশুঁটি। চোখের জন্য উপকারী : মটরশুঁটিতে থাকে পরিমিত মাত্রায় লুটেন, ক্যারোটেনিস, জি-জ্যান্থিন নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্ল্যাভনয়েড ও ভিটামিন-এ। এই সকল পুষ্টি উপাদান চোখের সুস্থতা ও সুস্থ দৃশ্তিশক্তির জন্য ভীষণ জরুরি। চুল পড়ার হার কমায় : ভিটামিন-এ ও কে এর সঙ্গে মটরশুঁটি থেকে পাওয়া যাবে ভিটামিন-সি। যা কোলাজেন তৈরিতে অবদান রাখে। চুলের গোড়ার বৃদ্ধির জন্য কোলাজেনের প্রয়োজন হয়। খুব অল্প মাত্রার ভিটামিন-সি এর অভাবের ফলে চুল পড়া ও চুল শুষ্ক হওয়ার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে অনেকখানি। ত্বকের প্রদাহ কমায় : মটরশুঁটিতে রয়েছে ত্বকের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান তথা- ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ফলেট। এই পুষ্টি উপাদানগুলো শরীরের যেকোন অংশের ত্বকের প্রদাহকে দ্রুত কমাতে ও ত্বক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

আবারো শাকিব রাজীব জুটি

আবারো শাকিব রাজীব জুটি টানা তৃতীয়বারের মতো আবারও একসঙ্গে কাজ করলেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ তারকা শাকিব খান এবং দেশের প্রথম সারির বিজ্ঞাপন নির্মাতা আদনান আল রাজীব। কাজের অভিজ্ঞতা ও বোঝাপড়া দুইজনেরই ভালো, ফলে তাদের জুটি বরাবরই বাণিজ্যিকভাবে সফল। ২০১৯ সালে রাজীব পরপর দুটি মুঠোফোনের বিজ্ঞাপন বানিয়েছিলেন শাকিব খানকে নিয়ে-যা প্রচারের পর ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল। সেই সফলতার ধারাবাহিকতায় আবারও একই ফ্রেমে ফিরলেন তারা; নতুন কাজটিও একটি বিজ্ঞাপনচিত্র। এবারের বিজ্ঞাপনটি দেশের জনপ্রিয় একটি প্রসাধনী ব্র্যান্ডের জন্য। শীতের মৌসুম শুরু হওয়ায় ব্র্যান্ডটির প্রচারণা জোরদার করতে শাকিব খানকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শাকিব খানের টিম জানিয়েছে গত দুদিন ধরে বিজ্ঞাপনটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই এটি টেলিভিশনসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে প্রচারে আসবে। শাকিব খানকে নিয়ে প্রথম কাজের সময় রাজীব বলেছিলেন, ‘শাকিব খানের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, তিনি ইতিবাচক কিছু করতে চান। তাঁর মধ্যে দারুণ উদ্যম আছে। আমরাও চেষ্টা করি নতুন কিছু করার। গত কয়েক মাস ধরে শোনা যাচ্ছিল, বিভিন্ন কারণে শাকিব খান ‘রিমার্ক হারল্যান’ কোম্পানি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। মে মাসের পর থেকে তাদের কোনো কাজেই তাকে দেখা না যাওয়ায় বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়। অবশেষে সূত্র নিশ্চিত করেছে-শাকিব খান সত্যিই ওই প্রতিষ্ঠান ছেড়ে দিয়েছেন। এর পরই তিনি অন্য ব্র্যান্ড ও কোম্পানির নতুন বিজ্ঞাপনে কাজ করতে শুরু করেছেন।

মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ হোক শিল্পীদের বিরুদ্ধে ডিপজল

মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ হোক শিল্পীদের বিরুদ্ধে ডিপজল অভিনয় শিল্পীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অভিনেতা মনোয়ার হোসেন ডিপজল। গতকাল ১৭ নভেম্বর তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘শিল্পীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও হয়রানি বন্ধ হোক। শিল্পের অগ্রগতির জন্য শিল্পীদের নিরাপত্তা ও সম্মান নিশ্চিত করা অপরিহার্য। গত রোববার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর বিরুদ্ধে করা তার অপরিচিত এক ব্যক্তির মামলার জামিন নিতে আদালতে যান এবং জামিন নেন। মেহজাবীন জানিয়েছেন, এক অজানা ব্যক্তি ২০২৫ সালের মার্চ মাসে আমার ও আমার ১৯ বছর বয়সী ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত ৯ মাসে আমি এই মামলার কোনো তথ্য পাইনি। কারণ, অভিযোগকারি ব্যক্তি পুলিশকে আমার সঠিক ফোন নম্বর, সঠিক ঠিকানা বা কোনো যাচাইকৃত তথ্য দিতে পারেননি। আমার সাথে ব্যবসা করছিলেন, এমন প্রমাণও দিতে পারেননি। তিনি আমাকে ২৭ লাখ টাকা দিয়েছেন তার কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি। মেহজাবীনের এ বক্তব্য থেকে তার ভক্তদের প্রতীয়মান হয়েছে, তার বিরুদ্ধে যিনি মামলা করেছেন, তা তাকে হয়রানি করতেই করেছে।   এদিকে সম্প্রতি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ-উর-রহমানের আদালতে ডিপজলের ভক্ত হিসেবে পরিচয় দেওয়া এক নারীর স্বামী তার বিরুদ্ধে একটি ‘হত্যাচেষ্টা মামলা’ করেছেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ডিপজলের সাথে আসামি করা হয়েছে তার সহকারী মো. ফয়সালকে। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ডিপজল ও ফয়সালের বিরুদ্ধে মারধর করে অ্যাসিড নিক্ষেপের অভিযোগে গত ৮ জুলাই ৩৫ বছর বয়সী ওই নারী মামলা করেন। আদালত মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তের নির্দেশ দেন। ডিপজলের পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভিত্তিহীন অভিযোগে শুধু হয়রানির জন্য একই ভক্তের পরিবার এসব মামলা করেছে। অথচ ভক্ত যেসব ঘটনার অভিযোগ করেছেন, ওই সময়ে তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে ছিলেন। এখনও তিনি চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে রয়েছেন। তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি ডায়বেটিস, হৃদরোগ, চোখের সমস্যাসহ শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে তাকে দীর্ঘ সময় চিকিৎসাধীন থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। এ কারণে চিকিৎসার জন্য তাকে দেশের বাইরে থাকতে হচ্ছে। এমতাবস্থায় তাকে হয়রানি ও মানসিক ক্ষতি করার জন্য উক্ত ভক্ত একের পর এক মামলা করছে, যা তাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। একজন শিল্পীর বিরুদ্ধে এ ধরনের হয়রানিমূলক মামলা করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটা পুরো শিল্পী সমাজের জন্য ভয় ও আতঙ্কের বলে মনে করছেন শিল্পীরা। ডিপজলের পরিবারের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, ‘আমরা অনুরোধ করব- শুধু ডিপজল নয়, যে কোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগে হয়রানিমূলক মামলা কোনোভাবেই কাম্য নয়।