চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ২ তরুন নিহত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে ২ তরুন নিহত চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে ট্রাকের সাথে সংঘর্ষে একই মোটরসাইকেল আরোহি দুই তরুন নিহত হয়েছেন। সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয়, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকাল ৪টার দিকে সার্কিট হাউস মোড়ে সোনামসজিদ স্থলবন্দর মহাসড়কে ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন শহরের পোলাডাঙ্গা জোড়বাগান মহল্লার শাহ আলমের ছেলে রিফাত ও চাঁদলাই জোড়বাগান মহল্লার আশরাফুল ইসলামের ছেলে সোহাগ। রিফাত ও সোহাগ সম্পর্কে আপন মামাতো-ফুপাতো ভাই। সূত্রগুলি জানায়, সার্কিট হাউস মোড়ে মোটরসাইকেলটি দ্রুতগতিতে ব্যস্ততম সোনামসজিদ মহাসড়কে উঠে পড়লে একটি চলন্ত ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন রিফাত। গুরুতর আহত হন সোহাগ। তাকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তার মৃত্যু হয়। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে শহরে তুলকালাম কান্ড ঘটায় বিক্ষুদ্ধ জনতা। পুলিশের কারণেই ঘটনাটি ঘটেছে এমন অভিযোগে কয়েক মিনিটের মধ্যে আগুন দিয়ে সম্পূর্ণ জ্বালিয়ে দেয়া হয়, আধা কিলোমিটার দূরের বিশ্বরোড মোড়ের দ্বিতল আতউল ট্রাফিক বক্স, বক্সের রাখা পুলিশের একটি মোটরসাইকেল। এসময় ঘটনাস্থল মহাসড়কে প্রায় ২ ঘন্টা অবরোধ সৃষ্টি করায় দীর্ঘ যানজটে আটকা পড়ে যানবাহন এবং ভাংচুর ও লুটপাট করা হয় নিকটের সদর থানা পুলিশ ফঁড়ি ও ফাঁড়ির ভেতর অবস্থিত পুলিশ অফিসার্স মেস। জনতার প্রচন্ড ক্ষোভের মুখে এ সময় ঘটনাস্থলগুলো ছেড়ে চলে যায় পুলিশ। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং মরদেহ উদ্ধার করে। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নূরে আলম বলেন, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে। এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওয়াসিম ফিরোজ বলেন, পুলিশ মরদেহ হেফাজতে নিয়েছে। বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলেও পুলিশের কেউ আহত হন নি। ট্রাকটি পালিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
বিশ্বশান্তির ৬ সারথীর মরদেহ আসছে আগামীকাল

বিশ্বশান্তির ৬ সারথীর মরদেহ আসছে আগামীকাল সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ আগামীকাল আনা হচ্ছে স্বদেশে। দেশে ফেরার পর যথাযথ রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ও আনুষ্ঠানিকতায় সম্পন্ন হবে বিশ্বশান্তিতে জীবন দেয়া এ বীরদের জানাযা ও দাফন। গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে বর্বরোচিত সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ জনের মৃত্যু এবং ৯ জন আহত হন। আহত সকলের চিকিৎসা চলছে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। তাদের কয়েকজন এরইমধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকিরা সবাই শঙ্কামুক্ত। বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী কর্তৃক ড্রোন হামলাটি চালিয়েছিল ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের আওতাধীন কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে। ঘটনায় নিহত ৬ শান্তিরক্ষী হলেন- নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মন্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া। আহত শান্তিরক্ষীরা হলেন- কুষ্টিয়ার বাসিন্দা লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান। শহীদ শান্তিরক্ষীদের আত্মত্যাগ বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের অঙ্গীকারের এক উজ্জ্বল ও গৌরবময় নিদর্শন হয়ে থাকবে। জীবন হাতে নিয়ে কেবল দেশে নয়, সমরে-শান্তিতে বিশ্বের তরেও তারা। যার সবশেষ উদাহরণ সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয়জন বীর শান্তিরক্ষী শাহাদতবরণ। জাতিসংঘের পতাকা তলে বিশ্বশান্তি রক্ষার মহান দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রয়োজনে জীবন উৎসর্গের শপথ করেই তাদের সেখানে যাওয়া। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। সুদানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অসাধারণ পেশাদারিত্ব, সাহস আর আত্মত্যাগ দেখল বিশ্ববাসী। আহত আট জনের মধ্যে তিন জন নারী সৈন্য। জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে সর্বোচ্চসংখ্যক শান্তিরক্ষী পাঠানো ১১৯টি দেশের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে বাংলাদেশ। বিশ্বের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের যাত্রা শুরু হয়। ‘নীল হেলমেট’ পরে বিশ্বশান্তিরসারথী হয়ে বাংলাদেশের অভিষেক ১৯৮৮ সালে ইরাক-ইরানে সামরিক পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে। তখন জাতিসংঘের ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক মিশনে ১৫ জন সদস্য পাঠিয়েছিল বাংলাদেশ। এরই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে ১০টি দেশে শান্তির পতাকা হাতে নিয়োজিত তারা। এরই মধ্যে প্রথম বারের মতো ডিআর কঙ্গোতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তিনটি হেলিকপটার মোতায়েন করা হয়েছে। শুরু থেকে সুদানে সর্বশেষ ছয় জন নিহত হওয়া ছাড়াও এ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে বাংলাদেশের ১৬৮ জন শান্তিরক্ষী জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন সেনাবাহিনীর ১৩১ জন, নৌবাহিনীর চার জন, বিমানবাহিনীর ছয় জন এবং পুলিশের ২৪ জন। আহত হয়েছেন ২৭২ জন। শুরু থেকেই বিভিন্ন বৈশ্বিক মিশনে বাংলাদেশের চিকিৎসক, প্রকৌশলীরাও অংশ নিয়েছেন, যা বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের অবদানের একটি দুর্দান্ত স্বীকৃতি। বৈশ্বিক ফোরামে নেতৃত্বের স্মারক। আমাদের জাতীয় ভাবমূর্তির সঙ্গেও সম্পর্কিত। মিশনগুলো অনেক চ্যালেঞ্জে ভরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অনুকূল নয় এমন জলবায়ু, সম্পদের অভাব-সব মিলিয়ে মিশন বাস্তবায়ন। বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর অবদানের জন্য জাতিসংঘসহ বিশ্ব সম্প্রদায় বাংলাদেশের প্রশংসায় ‘শান্তির কূটনীতির মোরসাল’ হিসেবে অভিহিত করেছে। শুধু যুদ্ধবিগ্রহের স্থগিতাদেশ রক্ষা বা সংঘাত প্রতিরোধ নয়, স্থানীয় জনগণের কল্যাণ, পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনে এমন ভূমিকা অন্য অনেক দেশের কোনো বাহিনীই দেখাতে পারেনি। তাদের শিক্ষা, স্কুল নির্মাণ, স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, শিশুদের শিক্ষা প্রসার ও নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের নমুনা শেখার মতো। তাই শিখছে, অভিজ্ঞতা নিচ্ছে। উপলব্ধি করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তি সদস্যরা কেবল অস্ত্রধারী সৈন্য নয়, মানবতার সৈনিকও। নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সময়ের পরিক্রমায় শান্তি রক্ষার ইতিহাসে জাতিসংঘের অন্যতম নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠেছে দেশের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ ও বেসামরিক সদস্যরা। কেবল শান্তি প্রতিষ্ঠা পর্যই তাদের কাজ শেষ নয়। মিশনগুলোতে সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা করা, নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শরণার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষদের সহায়তায় কাজ করে। যুদ্ধপরবর্তী পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট দেশ বা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা আনা, পুনর্গঠন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি বা শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের প্রয়োজন, মানবিক সংকট মোকাবিলাসহ বিভিন্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মোতায়েন করে। সুদান ও দক্ষিণ সুদানের মধ্যবর্তী সীমান্ত অঞ্চল আবেই, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র (সিএআর), সাইপ্রাস, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো (ডিআর কঙ্গো), লেবানন, দক্ষিণ সুদান, উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার বিরোধপূর্ণ অঞ্চল পশ্চিম সাহারা, ইয়েমেন, লিবিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন নানা মাত্রায় কঠিন কাজ। সেই কঠিনের সঙ্গী করে জীবন বিলিয়ে দেয়া শান্তির সারথীদের মরদেহ আগামীকাল স্পর্শ করবে তাদের প্রিয় মাতৃভূমিকে।
নভেম্বরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৮৩ জনের

নভেম্বরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৮৩ জনের নভেম্বর মাসে সারাদেশে ৫৩৪টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪৮৩ জন। আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ৩১৭ জন। এর মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনাতেই নিহত হয়েছেন ১৯৪ জন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ১৬ শতাংশ। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের তথ্যমতে, অক্টোবর মাসের তুলনায় নভেম্বরে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে। অক্টোবরে ৪৮৬টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছিলেন ৪৪১ জন। ওই মাসে প্রতিদিন গড়ে ১৪ দশমিক ২২ জন নিহত হলেও নভেম্বর মাসে তা বেড়ে দৈনিক গড়ে ১৬ দশমিক একজনে দাঁড়িয়েছে। অক্টোবরে সবচেয়ে বেশি, ১৩৭ জন নিহত হয়েছিলেন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নভেম্বর মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১০৬ জন পথচারী এবং ৫৭ জন যানবাহনের চালক ও সহকারী। নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৬৪ জন এবং শিশু ৭১ জন। নিহতদের মধ্যে শিক্ষার্থী ছিলেন ৫৭ জন। এ ছাড়া স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ী ২৩ জন, ওষুধ ও বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় প্রতিনিধি ১৭ জন, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ১৪ জন এবং শিক্ষক ১৩ জন রয়েছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে বিজিবির দিনব্যাপী অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তে বিজিবির দিনব্যাপী অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশাজাতীয় দ্রব্য জব্দ শিবগঞ্জ উপজেলার মনাকষা ইউনিয়নের সীমান্তেবর্তী ঠুঠাপাড়া গ্রামে বিজিবির অভিযানে ৩৭৫ বোতল নেশাজতীয় ভারতীয় চকো প্লাস সিরাপ জব্দ হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ আটক হয় নি। বিজিবি জানায়,গতকাল রাত ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাসুদপুর বিওপির টহল দল অভিযান চালালে, সেখানে একটি ডোবায় ৪টি বস্তায় ভরে পানির নীচে লুকিয়ে রাখা সিরাপগুলো জব্দ করা হয়। গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, এসব সিরাপের মূল্য প্রায় ২ লক্ষ টাকা। সিরাপগুলো শিবগঞ্জ থানায় জমা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এ নিয়ে গতকাল দিনব্যাপী বিজিবির ৩টি পৃথক অভিযানে ৮১২ বোতল ভারতীয় নেশার সিরাপ জব্দ করেছে হয়েছে। এর আগে ভোর ৫টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত দুটি পৃথক অভিযানে বিজিবির মাসুদপুর বিওপির অপর একটি টহল দল ঠুঠাপাড়া গ্রাম থেকে ২৭৮ বোতল চকো প্লাস ও মনাকষা বিওপির একটি টহল দল ১৫৯ বোতল এস্কাফ সিরাপ জব্দ করে।
লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৩৪৫ বাংলাদেশি

লিবিয়া থেকে ফিরলেন ৩৪৫ বাংলাদেশি লিবিয়ায় থেকে আরও ৩৪৫ বাংলাদেশি স্বেচ্ছায় দেশে ফিরেছেন। তাদের বেশিরভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনা ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। এ সময় অনেকেই বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। আজ বুরাক এয়ারের দুটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে, লিবিয়া সরকার ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় এই প্রত্যাবাসন কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, তাদের মধ্যে অনেকেই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার উদ্দেশ্যে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনা ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় প্রবেশ করেছিলেন। অনেকেই বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিমানবন্দরে তাদের স্বাগত জানান এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রত্যাবাসীতদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার আহ্বান জানান। এছাড়া আইওএম প্রত্যেককে পথ খরচ, কিছু খাদ্য ও প্রাথমিক চিকিৎসা সরবরাহ করেছে। লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং আইওএম যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে
মাংসপেশির ক্ষয়রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন

মাংসপেশির ক্ষয়রোগ সম্পর্কে জেনে রাখুন সারকোপেনিয়া বা মাংসপেশির ক্ষয়রোগ হলো বয়সজনিত এমন এক অবস্থা, যেখানে ধীরে ধীরে পেশির ভর, শক্তি ও কার্যক্ষমতা কমে যায়। সাধারণত ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সের পর থেকে এ ক্ষয় শুরু হয় এবং বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তীব্রতাও বাড়তে থাকে। সারকোপেনিয়ার প্রধান কারণ হলো বার্ধক্য। তবে এর সঙ্গে আরও কিছু বিষয় জড়িত। নিয়মিত শারীরিক পরিশ্রম বা ব্যায়ামের অভাব, অর্থাৎ শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা এ রোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। পুষ্টিহীনতা, বিশেষ করে প্রোটিন ও ভিটামিন-ডি’র ঘাটতি সারকোপেনিয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া হরমোনজনিত পরিবর্তন, যেমন- টেস্টোস্টেরন, গ্রোথ হরমোন ও ইনসুলিনের মাত্রা হ্রাস এ রোগের জন্য দায়ী হতে পারে। ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, কিডনি বা ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড বা কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ সেবন এবং শরীরে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থাকলেও সারকোপেনিয়া দেখা দিতে পারে। সারকোপেনিয়া ধীরে ধীরে প্রকাশ পায়। সাধারণত পেশিশক্তি কমে যাওয়া, শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া, বিশেষ করে মাংসপেশি শুকিয়ে যাওয়া, হাঁটার গতি ধীর হয়ে যাওয়া, অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়া এবং দৈনন্দিন কাজে অসুবিধা হওয়া এর প্রধান লক্ষণ। চেয়ার থেকে উঠতে, সিঁড়ি ভাঙতে কষ্ট হওয়া, ভারসাম্য হারানো বা বারবার পড়ে যাওয়ার ঘটনাও এ রোগের লক্ষণ হিসেবে দেখা যায়। সারকোপেনিয়ার নির্দিষ্ট কোনো একক ওষুধ নেই। তবে সঠিক জীবনযাপন ও চিকিৎসার সমন্বয়ের মাধ্যমে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং পেশিক্ষয় কমানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে ব্যায়াম সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে স্ট্রেংথ ট্রেনিং ও রেজিস্ট্যান্স ব্যায়াম অত্যন্ত কার্যকর। ওয়েট ট্রেনিং, রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড এক্সারসাইজ, স্কোয়াট, লাঞ্জ, পুশ-আপ, নিয়মিত হাঁটা ও হালকা দৌড় পেশিশক্তি বাড়াতে সহায়ক। পুষ্টিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, মুরগি, ডিম, ডাল ও দুধজাত খাবার নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত ক্যালরি নিশ্চিত করা জরুরি। প্রয়োজন অনুযায়ী ভিটামিন-ডি, ক্যালসিয়াম ও প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট নেওয়া যেতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী হরমোন থেরাপি উপকারী হতে পারে। মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধির জন্য ইলেকট্রিক্যাল স্টিমুলেশন থেরাপি ও বিভিন্ন থেরাপিউটিক এক্সারসাইজও কার্যকর ভূমিকা রাখে। সারকোপেনিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন অত্যন্ত প্রয়োজন। ধূমপান ও মদ্যপান পরিহার করতে হবে, পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে এবং নিয়মিত শরীরচর্চা ও সক্রিয় জীবনযাপন বজায় রাখতে হবে। প্রতিরোধের ক্ষেত্রে ৪০ বছর বয়স পার হওয়ার পর থেকেই নিয়মিত ব্যায়াম শুরু করা উচিত। প্রতিদিন শরীরের ওজন অনুযায়ী পর্যাপ্ত প্রোটিন (প্রতি কেজি ওজনে ১-১.২ গ্রাম) গ্রহণ করা প্রয়োজন। হাড় ও পেশি শক্ত রাখতে ভিটামিন-ডি এবং ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যেন না থাকে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলো সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা, নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা এবং ফিজিওথেরাপিতে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ডা. এম. ইয়াছিন আলী লেখক : বাতব্যথা ও প্যারালাইসিস রোগে ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞ চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগের ঘোষণা

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের প্রধান নির্বাহীর পদত্যাগের ঘোষণা সংস্থা ও খেলোয়াড়দের সঙ্গে মতবিরোধ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) প্রধান নির্বাহী স্কট উইনিক। তিনি বলেছেন, ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদী দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ অগ্রাধিকার নিয়ে সদস্য সংস্থা ও খেলোয়াড়দের সংগঠনের সঙ্গে মনমালিন্যের কারণেই তার এই সিদ্ধান্ত। আগামী ৩০ জানুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছাড়বেন। অস্ট্রেলিয়া গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্কট উইনিক বলেন, গভীরভাবে ভাবনার পর তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, বিশেষ করে দেশের ক্রিকেটে টি টোয়েন্টি সংস্করণের ভূমিকা নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি কয়েকটি সদস্য সংস্থা ও খেলোয়াড় সংগঠনের সঙ্গে মিলছে না। এ অবস্থায় সংস্থার স্বার্থে নতুন নেতৃত্বের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়াই সঠিক বলে মনে করছেন। বিশ্বকাপে ছেলের অজানা গল্প শোনালেন দিবু মার্তিনেজের বাবাবিশ্বকাপে ছেলের অজানা গল্প শোনালেন দিবু মার্তিনেজের বাবা। দুই বছরের বেশি সময় দায়িত্বে থাকার সময়ে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট উল্লেখযোগ্য সাফল্য পেয়েছে। তার নেতৃত্বে নারী দল টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতে, পুরুষ দল ভারতে টেস্ট সিরিজে জয় পায় এবং চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ওঠে। স্কট উইনিক আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্বে থেকে যদি গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সমর্থন ছাড়া কাজ চালিয়ে যাই, তাহলে সেটা সংস্থার ভেতরে অস্থিরতা তৈরি করবে। সেটি আমি চাই না।’ আর্জেন্টিনা-স্পেন ফিনালিসিমা ফাইনালের দিন-তারিখ ঘোষণাআর্জেন্টিনা–স্পেন ফিনালিসিমা ফাইনালের দিন-তারিখ ঘোষণা দায়িত্ব ছাড়ার পর স্কট উইনিক তার আগের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবেন বলে জানিয়েছেন। স্কট উইনিকের এই ঘোষণা এমন এক সময়ে এলো, যখন নিউজিল্যান্ড নতুন একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি টোয়েন্টি লিগ চালুর পরিকল্পনা করছে। প্রস্তাবিত এই লিগ চালু হলে বর্তমান ঘরোয়া পুরুষ ও নারী টি টোয়েন্টি প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে যাবে। নতুন লিগের চূড়ান্ত অনুমোদন নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে জানুয়ারির মধ্যেই।
পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের

পাকিস্তানের কাছে ৮ উইকেটে হেরে এশিয়া কাপ থেকে বিদায় বাংলাদেশের সেমিফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হেরে এসিসি অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ থেকে বিদায় নিলো বাংলাদেশ। আজ দুবাইয়ের সেভেন স্টেডিয়ামে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ উইকেটে হারিয়ে, ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে পাকিস্তান। নির্ধারিত ২৭ ওভারের ইনিংসে টস হেরে বাংলাদেশ আগে ব্যাট করতে নেমে ২৬.৩ ওভারে ১২১ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে ১৬.৩ ওভারে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১২২ রান করে জয় নিশ্চিত করে করে ফাইনালে ওঠে পাকিস্তানের যুবারা। রোববার ফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে মাত্র ১ রান তুলে একটি উইকেট হারায় পাকিস্তান। তবে দ্বিতীয় ওভারে ২০ রান যোগ করে দ্রুত ম্যাচ শেষের ইঙ্গিত দেয় তারা। এরপর ৮৫ রানের জুটি গড়েন সামির মিনহাস ও উসমান খান। উসমান ২৬ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন সামিউন বশির শিকার হয়ে। তৃতীয় উইকেটে আহমেদ হুসাইনকে নিয়ে সামির ম্যাচ জেতার ইনিংস খেলে আট উইকেটের জয় নিশ্চিত করেন। সামির ৫৭ বলে ৬৯ রান করেন এবং তার ইনিংসে পাকিস্তান মাত্র ১৬.৩ ওভারে জয় নিশ্চিত করে। এই জয়ে তারা এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছে। ম্যাচটি দুবাইয়ে নির্ধারিত সময়ের তুলনায় দেরিতে শুরু হয়। বৃষ্টি ও ভেজা আউটফিল্ডের কারণে ইনিংসের দৈর্ঘ্য ৫০ ওভার থেকে কমে ২৭ ওভারে আসে। টস জিতে পাকিস্তান প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। বাংলাদেশের শুরুটা ছিল খারাপ। দলীয় ২৪ রানে ৪ বলের ব্যবধানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার রিফাত বেগ ও জাওয়াদ আবরার। এরপর অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিম ২৬ বলে ২০ রান করে বিদায় নেন, দলীয় স্কোর ৫৫ রানে পৌঁছায়। এরপর বাকিদের ব্যাটিং ভাঙন ধরতে থাকে। সামিউন বশির ৩৭ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে দলের শেষ অবদান রাখেন। পাকিস্তানের পক্ষে আব্দুল সুবহান চারটি উইকেট ও হুজাইফা আহসান দুটি উইকেট নেন। বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটাররা তৃতীয়বারের মতো ফাইনালের পথে পৌঁছানোর স্বপ্ন পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়।
ফুলকপির পরোটা রেসিপি
ফুলকপির পরোটা রেসিপি শীত মানেই হরেক রকম শাকসবজির বাহার। এর মধ্যে ফুলকপির রয়েছে আলাদা চাহিদা। ফুলকপি দিয়ে নানা পরে রান্না করা যায়। স্বাদ বদলাতে বানাতে পারেন ফুলকপির পরোটা। উপকরণ ডো বা মণ্ড তৈরির জন্য: আটা বা ময়দা ২ কাপ , স্বাদমতো লবণ, ১ চামচ ঘি বা মাখন, পরিমাণমতো পানি পুর তৈরির জন্য : ফুলকপি ১টি (মাঝারি আকারের),আদা কুচি ১ চামচ, কাঁচা মরিচ কুচি ১ চা চামচ,ধনেপাতা কুচি এক মুঠো, গোটা জিরা: ১/২ চা চামচ, লাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়ো ১/২ চা চামচ,চাট মসলা ১ চা চামচ, স্বাদমতো লবণ, ভাজার জন্য তেল বা ঘি যেভাবে তৈরি করবেন : প্রথমে ফুলকপি ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এবার গ্রেটার দিয়ে ফুলকপি মিহি করে গ্রেট করে নিতে হবে (বড় টুকরো যেন না থাকে)। গ্রেট করা কপিতে সামান্য লবণ মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে কপি থেকে অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাবে। এরপর একটি সুতির কাপড়ে বা হাতের চাপে চিপে সেই পানি ফেলে দিন। কড়াইতে সামান্য তেল গরম করে তাতে কপিগুলো দিয়ে দিন। একে একে আদা কুচি, কাঁচা মরিচ, মরিচের গুঁড়ো, গরম মসলা ও চাট মসলা দিয়ে মাঝারি আঁচে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। খুব বেশি ভাজার প্রয়োজন নেই। নামানোর আগে ধনেপাতা কুচি মিশিয়ে দিন। মিশ্রণটি একটি থালায় ছড়িয়ে সম্পূর্ণ ঠান্ডা হতে দিন। গরম অবস্থায় পুর ভরবেন না। এখন আটা বা ময়দায় লবণ ও তেল দিয়ে মেখে একটি নরম ডো তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন, সাধারণ রুটির চেয়ে এই ডো সামান্য নরম হতে হবে। ডো থেকে মাঝারি সাইজের লেচি কেটে বাটির মতো গর্ত করে নিন। মাঝখানে পরিমাণমতো পুর দিয়ে মুখটা ভালো করে বন্ধ করে দিন। পুর ভরা লেচি শুকনো আটা ছড়িয়ে আলতো হাতে বেলে নিন। খুব বেশি চাপ দেবেন না। তাওয়া গরম করে প্রথমে পরোটা এপিঠ-ওপিঠ সেঁকে নিন। এরপর চারপাশ দিয়ে ঘি বা তেল ছড়িয়ে মুচমুচে করে ভেজে তুলে নিন।
অ্যাভাটার বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে ঢাকায় মুক্তি পেল
অ্যাভাটার বিশ্বের সঙ্গে একই দিনে ঢাকায় মুক্তি পেল গল্পবিজ্ঞানের বিস্ময়কর সিনেমা ‘অ্যাভাটার’ নতুন অধ্যায় নিয়ে হাজির হয়েছে। শুক্রবার বিশ্বব্যাপী মুক্তি পেয়েছে জেমস ক্যামেরনের আলোচিত তৃতীয় কিস্তি ‘অ্যাভাটার: ফায়ার অ্যান্ড অ্যাশ’। একই দিনে ঢাকার প্রেক্ষাগৃহেও ছবিটির প্রদর্শন শুরু হয়েছে। সম্প্রতি লন্ডনে সিনেমাটির একটি বিশেষ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রীতিমতো ‘ঝড়’! প্রদর্শনী শেষে সমালোচকদের প্রতিক্রিয়া দেখে বোঝা যায় ক্যামেরন আবারও তার ‘ভিজ্যুয়াল জাদু’তে সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। ২০০৯ সালে প্রথম কিস্তির মাধ্যমে বৈশ্বিক আলোচনায় উঠে আসে ‘অ্যাভাটার’। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২ সালে মুক্তি পাওয়া দ্বিতীয় কিস্তি ‘দ্য ওয়ে অব ওয়াটার’ আয় করে প্রায় ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। নতুন কিস্তিতেও ক্যামেরনের ভিজ্যুয়াল নির্মাণ দর্শককে বড় পর্দার অভিজ্ঞতার দিকেই টেনে নিচ্ছে। নতুন এই সিনেমার কেন্দ্রে সুলি পরিবার। আগের পর্বে নেটেয়ামের মৃত্যু তাদের জীবনে গভীর দাগ রেখে গেছে। সেই শোক, সেই লড়াই তার মাঝেই আসে নতুন বিপদ। এখানে প্রথমবারের মতো দর্শক দেখবে ‘আগুন উপজাতি’, যাদের আবির্ভাবই সিনেমার নতুন উত্তেজনা। মাইকেল লি লিখেছেন ‘এই সিনেমার ভিজ্যুয়াল-অ্যাকশন দাঁড়িয়ে গেছে আলাদা এক উচ্চতায়। অভিনয় দিয়ে সেই উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেছেন স্যাম ওয়ার্থিংটন, জো স্যালদানা, সিগরনি উইভার, স্টিফেন ল্যাং, কেট উইন্সলেটসহ অনেকে। এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর প্যারিসে সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন বলেন, দর্শকরা দেখবেন, সন্তানরা বড় হয়ে নিজেদের পরিচয় খুঁজছে। কারণ, তাদের মা পুরোপুরি নাভি প্রজাতির। আর বাবা অন্য গ্রহ থেকে আসা। এই শংকর জীবন তাদের হাসি-আনন্দের সঙ্গে এক ঝাঁক চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসে।