রাতের খাবারের কতক্ষণ পর ঘুমানো উচিত?

রাতের খাবারের কতক্ষণ পর ঘুমানো উচিত? রাতের খাবার খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়া শরীরের জন্য বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। ধীরে ধীরে এতে নানা জটিল অসুখ দেখা দিতে পারে। বদহজম, বুকজ্বালা, অ্যাসিডিটি, অতিরিক্ত ওজন এমনকি স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে। তাই রাতে খাওয়া ও ঘুমের মাঝে ঠিক কতটা বিরতি রাখা প্রয়োজন, তা জানা খুবই জরুরি। হজমে সমস্যা: খাওয়ার পরই শুয়ে পড়লে প্রথমেই ক্ষতি হয় হজমশক্তির। ঘুমের সময় খাবার ঠিকমতো ভাঙতে শরীরকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। নিউট্রিশনিস্ট রূপালী দত্তের মতে, খেয়ে সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে গেলে খাবার ধীরে হজম হয় এবং অন্ত্রে সঠিকভাবে পৌঁছাতে পারে না। ফলে গ্যাস, অ্যাসিডিটি, বুকজ্বালা দেখা দেয়। আবার ঘুমও ঠিকমতো হয় না, আর ঘুম কম হলে ওজন বাড়তে থাকে। ঘুমে ব্যাঘাত: ঘুমানোর কিছুক্ষণ আগে খাবার খেলে ঘুমের মান নষ্ট হয়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে বাড়তি এনার্জি তৈরি হয়, যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ওজন বৃদ্ধি: ধীর হজম ও খারাপ ঘুম দুটিই ওজন বাড়ার প্রধান কারণ। দিনের শেষে মেটাবলিজম ধীরে চলে, ফলে তখন খাওয়া ক্যালরি সহজে বার্ন হয় না। শরীর সূর্যের কার্যক্রমের ছন্দে কাজ করে, তাই তাড়াতাড়ি খেলে পুষ্টিগুণ ভালোভাবে শোষিত হয়। কিন্তু দেরি করে খেলে সেই পুষ্টিগুণ ঠিকমতো না মেটাবলাইজ হয়ে শরীরে চর্বি হিসেবে জমে। বুকজ্বালা ও অ্যাসিডিটি: খাওয়ার পরপরই শুয়ে পড়লে বুকজ্বালা আরও বেড়ে যায়। পেটে চাপ পড়ার ফলে অস্বস্তি ও অ্যাসিডিটি বাড়ে। গবেষণাগুলোতে দেখা গেছে, অ্যাসিডিটি থেকে স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বদহজম থেকে কোলেস্টেরল ও রক্তচাপও বেড়ে যায় যা হার্টের জন্য ক্ষতিকর। খাওয়া ও ঘুমের মধ্যে কতক্ষণ বিরতি রাখা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাতের খাবার ও ঘুমের মধ্যে অন্তত ৩ ঘণ্টা বিরতি রাখা ভালো। এতে বদহজম, বুকজ্বালা এবং ঘুমের সমস্যা কমে। ভরা পেটে ঘুমালে মেটাবলিজম শ্লথ হয়ে যায়, ফলে ওজন বাড়া ও স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ে।
পোশাকে বিজয়ের লাল-সবুজ

পোশাকে বিজয়ের লাল-সবুজ পোশাকে চেতনা ধারণ করার ভাবনাটি নতুন নয়। দুটি রঙের মিশেলে দেশের জন্য ভাবনাকে ফুটিয়ে তুলতে পারা যায় অনায়াসে। তবে পোশাকের নকশা, কাট, ডিজাইন যেমনই হোক, লাল-সবুজ মানেই একটি চেতনা। সব পরিচয় ছাপিয়ে যেখানে বড় হয়ে ওঠে নিজেদের বাংলাদেশি পরিচয়টাই। তাই প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় হাউসগুলো সেজেছে লাল-সবুজে। বিস্তারিত লিখছেন নিশাত তানিয়া লাল-সবুজ রঙটি আজও আমাদের চেতনার প্রতীক, বলছিলেন রঙ বাংলাদেশের কর্ণধার সৌমিক দাশ। এবারও তারা আয়োজন করেছেন বিজয় উৎসবের। এবারের থিম মানচিত্র, পতাকা ও জাতীয় সংগীত। তিনি আরও বলেন, লাল ও সবুজের সমন্বয়ে প্রতিটি পোশাক যেন কথা বলে আত্মবিশ্বাসের, গর্বের, স্বাধীনতার। কটন হাইব্রিড, জ্যাকেট কটনের আরামদায়ক পোশাক রেখেছেন তারা যে কোনো বয়সের ক্রেতাদের জন্য। স্কিন আর ডিজিটাল প্রিন্টের কাজে প্রতিটিতে থাকছে নানন্দিকতার ছোঁয়া। বাংলাদেশের উৎসব আর দিবসভিত্তিক পোশাকে বিজয় দিবস উল্লেখযোগ্য। তাই তো ফ্যাশন হাউসগুলোর ভাবনায় একঘেয়েমি থেকে বেরিয়ে সময়োপযোগী করার তাগিদ থাকে প্রতিটি বিজয় উৎসবেই। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়। বরাবরই ফ্যাশন হাউসগুলো নতুন প্রজন্মকে পোশাকের দিক থেকে করেছে স্বদেশমুখী। তাদের ডিজাইনের একটা বড় অংশজুড়ে রয়েছে দেশাত্মবোধের চেতনা। এবারের বিজয় দিবসে লাল-সবুজের প্রত্যয়ে আবারও সে চেষ্টাই চলছে। মূলত ফ্যাশনের ধারাটা সময়কে ধারণ করে। ফ্যাশন হাউসগুলো ঘুরে দেখা গেল বিজয় দিবস উপলক্ষে ডিজাইন করা শাড়িতে জাতীয় পতাকার লাল-সবুজ রঙের পাশাপাশি আছে কালো, সাদা ও কমলারও নিপুণ সমন্বয়। ফ্যাব্রিক হিসেবে এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ক্রেপ সিল্ক ও হ্যান্ডলুম কটন বা হাতে বোনা সুতি কাপড়। ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় এখন ফ্যাশন স্টাইলের অনুষঙ্গ হিসেবে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। এ ফ্যাশন-স্টাইলে উৎসবী আমেজ থাকলেও তার থেকে বেশি থাকে দেশাত্মবোধ তথা দেশপ্রেম। আর সে কারণেই বিজয়, স্বাধীনতা কিংবা ভাষা দিবসের ফ্যাশনের প্রথম চিত্রকল্প হিসেবে পোশাকে, শোপিসে কিংবা গহনায় উঠে আসে মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্রের চিত্রকর্ম, ’৭১-এর আত্মত্যাগের বাঙালি ধরনটা যেমন হৃদয়ছোঁয়া, মর্মস্পর্শী, আবেগঘন; তেমনি আনন্দময়তার রেশটাও কম নয়। আর এ ফ্যাশন বোধের মর্মকথাটা চিত্রে ও কবিতার পঙ্্ক্তির মাধ্যমে পোশাকে উৎকীর্ণ করার সফল প্রয়াসটা প্রতিবছরের এ বিশেষ দিনগুলোতে করে থাকেন প্রতিষ্ঠিত হাউসগুলোর পক্ষে নিজ নিজ ডিজাইনাররা। এবারের বিজয় দিবসও এর ব্যতিক্রম নয়। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক ডাকটিকিট, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কবিতা, ছবি, আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা ও স্মৃতিসৌধ এবারের আয়োজনের অনুপ্রেরণা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। আমাদের পতাকার রঙ লাল ও সবুজ রঙ পোশাক ডিজাইনে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে। এবারের আয়োজনে শাড়ি, পাঞ্জাবি, মেয়েদের টপস, সালোয়ার-কামিজ, টি-শার্ট পাওয়া যাবে। এ ছাড়া শিশু-কিশোরদের জন্য থাকছে পাঞ্জাবি, শাড়ি, টি-শার্ট, সালোয়ার-কামিজ ইত্যাদি। মহান বিজয়ের এই দিনটি সুন্দরভাবে উদযাপন করার জন্য পোশাকগুলোর মূল্যও তুলনামূলকভাবে কম রাখা হয়েছে।’ শীতের আগমনে এ আয়োজনে বিজয় দিবসে কিছুটা ভিন্নতা আনা হয়েছে। পোশাকগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে মোটা সুতি ও খাদি কাপড়। শাড়ি, থ্রিপিস, ফতুয়া, পাঞ্জাবি, ছেলেমেয়েদের কুর্তা, টি-শার্ট ইত্যাদিতে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশ লেখা এবং লাল-সবুজ রঙের মাধ্যমে উঠে এসেছে দেশীয় ভাবনা। পাশাপাশি দেশীয় সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান এসেছে ডিজাইনের অনুষঙ্গ হিসেবে। কাজের মাধ্যম হিসেবে এসেছে টাইডাই, ব্লক, বাটিক, অ্যাপলিক, ক্যাটওয়াক, স্ক্রিনপ্রিন্ট ইত্যাদি। আর পোশাকের দাম ক্রেতাদের নাগালের মধ্যেই। দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে চলার আত্মপ্রত্যয়ে আপনিও যদি এমন পোশাক পরতে চান, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলো থেকে। রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের বিভিন্ন শোরুমে পাবেন এমন পোশাকের খোঁজ। অনলাইনভিত্তিক কেনাকাটার সুযোগও রয়েছে। চাইলে বানিয়েও নিতে পারেন নিজের পছন্দমতো পোশাক। বিজয় দিবস থিমে আপনার পোশাকটির মূল রঙ হতে পারে সবুজ; বুকে থাকতে পারে লাল নকশা, এমনকি পতাকার লাল বৃত্তটাই। পোশাকের হাতা আর কলারে থাকতে পারে লাল রঙের ব্যবহার। আবার মূল রঙ লাল রেখে সবুজের বৈচিত্র্যময় ব্যবহারও হতে পারে। চাইলে এই রঙের ভিন্নতাটুকু অ্যাপ্লিকের কাজ দিয়েও করিয়ে নিতে পারেন পোশাকে। থাকতে পারে দেশের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো পঙ্ক্তি। জাতীয় সংগীতের লাইন, একাত্তরে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হয়ে ওঠা জর্জ হ্যারিসনের গানের লাইনও লেখা আছে বাজারের কিছু পোশাকে। নারীরা চাইলে লাল রঙের কো-অর্ডের সঙ্গে সবুজ শাল পরতে পারেন কিংবা সবুজ কো-অর্ডের সঙ্গে টকটকে লাল ওড়না বা কটি। আর ব্যান্ডানা তো পথেও বিক্রি করেন পতাকার ফেরিওয়ালারা। পোশাক কিংবা অনুষঙ্গে লাল-সবুজের পরশ রাখা যায় নানাভাবেই। লাল-সবুজের চেতনা অন্তরে নিয়েই হোক সবার পথচলা।
পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা

পাঁচ দিনে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় ৩০৬ কোটি টাকা বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে সিনেমাটির শতাধিক ক্রু সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন, ট্রেইলার মুক্তির পর রণবীরের মারকাটারি উপস্থিতিও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে আদিত্য ধর নির্মিত এ সিনেমার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। অপেক্ষার ইতি টেনে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছেন রণবীর সিং। গত ৫ ডিসেম্বর ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। চলতি বছরে রণবীর সিংয়ের এটিই প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা। প্রিয় তারকার সিনেমার জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় ছিলেন রণবীরের ভক্ত-অনুরাগীরা। বছর শেষে পর্দায় এসে ভক্তদের হতাশ করেননি এই তারকা। চলচ্চিত্র সমালোচক, বক্স অফিস রিপোর্ট অন্তত তেমনই খবর দিয়েছে। দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রেণুকা ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার রেটিং পাঁচে সাড়ে তিন দিয়েছেন। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাকে ‘শক্তিশালী করাচি মাফিয়া থ্রিলার’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, “সিনেমাটির প্রধান অভিনেতা রণবীর সিং ‘সংযত কিন্তু জ্বলন্ত’ পারফরম্যান্স করেছেন; যা চলচ্চিত্রের সামগ্রিক প্রভাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে। সিনেমাটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হলেও বিরক্তিকর মনে হয়নি। কারণ এতে রয়েছে ‘স্টাইলিশ, নিবিড় গাঁথুনির গল্প। আর নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের। হিন্দুস্তান টাইমসের ঋষভ সুরি পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। ‘দীর্ঘ কিন্তু উপাদানে ভরপুর স্পাই ড্রামা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্নার অভিনয়, পাশাপাশি পরিচালক আদিত্য ধরের কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে সমালোচক রেণুকার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করেছেন ঋষভ। কারণ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য অতিরিক্ত ও উপ-কাহিনি কম বলে বর্ণনা করেছেন এই সমালোচক। এনডিটিভির রাধিকা শর্মা পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সমালোচনা করে সিনেমাটিকে ‘একেবারে ভিন্ন আরেকটি চলচ্চিত্রের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন রাধিকা। পিঙ্কভিলার গায়ত্রী নির্মল চলচ্চিত্রটিকে পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৪। তিনি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয়ার্ধ, চিত্রনাট্য, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা করেছেন। যদিও চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন রাধিকা। বক্স অফিসে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার শুরুটা মন্দ হয়নি। বলি মুভি রিভিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বলিউডের ৪৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া সিনেমার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২৪ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ৩৭ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ২১ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ২৪ কোটি রুপি (নিট)। পাঁচ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৭.৮৮ কোটি রুপি (গ্রস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। তবে স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় খানিকটা বেশি। মুক্তির পাঁচ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৮২.৭৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৪.৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা)। ভারতীয় একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। পাকিস্তানের লিয়ারি শহরের ভেতরে ঢুকে অপারেশন চালান তিনি। সত্য-মিথের সীমানা মিলিয়ে সিনেমাটিতে উঠে এসেছে বাস্তব চরিত্রও। অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন আলোচিত গ্যাংস্টার রেহমান ডাকাতের চরিত্রে আর সঞ্জয় দত্তকে দেখা গেছে এসপি চৌধুরী আসলামের ভূমিকায়। এ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সারা অর্জুন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন অর্জুন রামপাল, রাজেশ বেদি, আর. মাধবন, মানব গোহিল প্রমুখ। ২৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন আদিত্য ধর, লোকেশ ধর, জ্যোতি দেশপান্ডে।
আরাধ্যাকে নিয়ে ‘টানাটানি’ যা বললেন ঐশ্বরিয়া

আরাধ্যাকে নিয়ে ‘টানাটানি’ যা বললেন ঐশ্বরিয়া ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন থেকে শুরু করে বিগবি অমিতাভ বচ্চনের কোনো ছবি কিংবা ভিডিও বিনা অনুমতিতে গণমাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে না। ব্যক্তি অধিকার রক্ষার আর্জি জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এ বলিউড অভিনেত্রী ও সাবেক বিশ্বসুন্দরী। বচ্চন পরিবারের পক্ষেই রায় দেন দিল্লির উচ্চ আদালত। এবার সামাজিক মাধ্যমে অভিষেককন্যা আরাধ্যা বচ্চনকে নিয়ে শুরু হয়েছে ‘টানাটানি’। যদিও তার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে বরাবর নীরব থেকেছেন অভিনেত্রী। তবে মেয়ে আরাধ্যাকে নিয়ে নেটিজেনদের মন্তব্যের ছয়লাপ দেখে চুপ থাকতে পারলেন না মা ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন। এ সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলেন, যে কোনো মানুষেরই উচিত নির্দিষ্ট সময়ের পর সামাজিক মাধ্যম থেকে দূরত্ব বজায় রাখা। শুধু তাই নয়, তিনি নিজেও সামাজিক মাধ্যমে খুব মেপে মেপে পোস্ট দেন। আরাধ্যার নাম নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে রয়েছে একাধিক অ্যাকাউন্ট। সেখানে নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে তারকাকন্যার ছবি এবং তাকে নিয়ে নানান পোস্ট। সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে এসে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন বলেন, আরাধ্যার সামাজিক মাধ্যমে কোনো অ্যাকাউন্ট নেই। যেসব প্রোফাইল রয়েছে, তা একেবারেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট। অভিনেত্রী বলেন, আমি জানি, আপনারা আমাকে, আমার স্বামী অভিষেকসহ আমাদের গোটা পরিবারকে ভালোবাসেন। তাই আমাদের নিয়ে আপনাদের আগ্রহ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু যা রটবে তা সবসময় বিশ্বাস করবেন না। আমার মেয়ে আরাধ্যা সামাজিক মাধ্যমেই নেই বলে জানান ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।
সুসংবাদ নয় শাকিব নির্ভরতা অপু বিশ্বাস

সুসংবাদ নয় শাকিব নির্ভরতা অপু বিশ্বাস ঢালিউডের মেগাস্টার শাকিব খান। গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ইন্ডাস্ট্রিকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তবে এই ‘একচ্ছত্র আধিপত্য’ বা শাকিব-নির্ভরতাকে চলচ্চিত্রের জন্য ‘সুসংবাদ’ বলে মনে করেন না চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস। তার মতে, শাকিব খান ছাড়া অন্য কোনো নায়ককে নিয়ে নামি প্রোডাকশন হাউসগুলোর কাজ করতে না চাওয়া ইন্ডাস্ট্রির জন্য অশনিসংকেত। সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে সিনেমার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে এমন খোলামেলা মন্তব্য করেন ঢালিউড কুইনখ্যাত এই অভিনেত্রী। অপু বিশ্বাস বলেন, ‘বিগত অনেক বছর ধরে শুধু শাকিব খানের সিনেমা ছাড়া সেইভাবে প্রোডাকশন হাউসগুলো কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে না। এটা কিন্তু কখনোই সুসংবাদ নয়। আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব যেমন আমাদের, তেমনি নতুন উদ্যোগকেও স্বাগত জানানো উচিত। ‘পজিটিভ বুলিং’ চান নায়িকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে নিয়ে নিয়মিত ট্রল বা বুলিং হওয়ার বিষয়টিও এড়িয়ে যাননি অপু। তবে এ নিয়ে তিনি কোনো অভিযোগ করেননি, বরং সমালোচকদের প্রতি এক ভিন্ন আহ্বান জানিয়েছেন। অপুর ভাষ্যে, ‘আজকে এই সামাজিক ভাইবগুলোর মাধ্যমে আমি একটা কথা বলতে চাই আমাকে নিয়ে অবশ্যই বুলিং করেন, কিন্তু সেটা যেন ‘পজিটিভ বুলিং’ হয়। যে বুলিং বা সমালোচনা থেকে আমরা শিখতে পারি, কাজে সামনে এগিয়ে যেতে পারি।’ দর্শকদের কাছে ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য গণমাধ্যমের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি। নতুনদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান শাকিব-নির্ভরতার এই গৎবাঁধা চিত্র থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যারা সাহস করে নতুন প্রযোজনা সংস্থা নিয়ে আসছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অপু। বিশেষ করে ‘এম কে প্রোডাকশন’-এর উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান তিনি। অপু বলেন, ‘আজকে এম কে প্রোডাকশনকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। যেহেতু ইন্ডাস্ট্রির চিত্রটা এমন যে শাকিব ছাড়া কেউ লগ্নি করতে চায় না, তাই এই অচলায়তন ভাঙতে যারা এগিয়ে আসছেন, তাদের ইনস্পায়ার করা আমাদের প্রত্যেক মানুষের দায়িত্ব।
‘রং নাম্বার’ফারিণের

‘রং নাম্বার’ফারিণের রুবেল আনুশের গল্প ও পরিচালনায় এই সময়ের নাট্যাভিনেত্রী ফারিণ খানকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে বিশেষ নাটক ‘রং নাম্বার’। নাটকটিতে ফারিণ খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন মুশফিক ফারহান। নাটকটি বেশ কিছুদিন আগেই নির্মিত হয়েছে রাজধানীর উত্তরার একটি শুটিং হাউসে। এরই মধ্যে ফারিণের বেশ কিছু নাটক প্রচারে এসেছে। সেসব নাটকে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়েছে। এই নাটক নিয়েও ফারিণ ভীষণ আশাবাদী। ফারিণ বলেন, ‘রং নাম্বার নামে একটি সিনেমা নির্মিত হয়েছিল। এটি নির্মাণ করেছিলেন শ্রদ্ধেয় মতিন রহমান স্যার। অভিনয় করেছিলেন রিয়াজ ভাই এবং শ্রাবন্তী আপু। সিনেমাটি সম্পর্কে আমি অবগত। আর এই রং নাম্বারটি নির্মাণ করেছেন রুবেল আনুশ। তারই গল্প। এর আগে রুবেল আনুশ ভাইয়ের নির্দেশনায় পাঁচ-ছয়টি নাটকে অভিনয় করেছি। তিনি চেষ্টা করেন ভীষণ যত্ন নিয়ে নাটক নির্মাণ করতে। যথারীতি রং নাম্বারের ক্ষেত্রেও ঠিক তাই হয়েছে। যত্ন নিয়েই তিনি নাটকটি নির্মাণ করেছেন। আমি এবং ফারহান ভাই কোনো নাটকে অভিনয় করলে যেকোনো উৎসবেই প্রচার করা হয়। তো আমার মনে হচ্ছে সামনে যেকোনো একটি উৎসবেই নাটকটি প্রচার হবে। হতে পারে তা ইংরেজি নতুন বছর শুরুর উৎসব কিংবা ভালোবাসা দিবস কিংবা ঈদ। কিন্তু যখনই প্রচারে আসুক আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের। এর আগে ফারিণ খান রুবেল আনুশের পরিচালনায় ‘আবদার’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘প্রথম প্রেমের গল্প’সহ আরও কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। কাজল আরেফিন অমির ‘ফিমেল থ্রি’ নাটকে মাত্র ত্রিশ সেকেন্ডের জন্য উপস্থিত হয়েছিলেন ফারিণ। এদিকে ফারিণ অভিনীত সর্বশেষ প্রচারে আসা নাটক হচ্ছে অপু শর্মা নির্মিত ‘মেঘছায়া’ নাটকটি। সাম্প্রতিক সময়ে ফারিণ অভিনীত উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ‘আজান’, ‘ফায়ার ফাইটার’, ‘রূপবান’,‘ মুহূর্ত’, ‘অনুমতি ছাড়া প্রবেশ নিষেধ’, ‘ঠিকানা’, ‘বন্ধুত্ব নাকি ভালোবাসা’, ‘সুইচ’, ‘আহারে জীবন’ ইত্যাদি।
ওমরাহ করলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রাশেদ

ওমরাহ করলেন ক্লোজআপ ওয়ান তারকা রাশেদ ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মো. রাশেদ উদ্দিন ওরফে রাশেদ পবিত্র ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। গত ৮ ও ৯ ডিসেম্বর তারিখে নিজের ফেসবুক ওয়ালে দুটি পোস্টে ছবি ও বার্তাসহ বিষয়টি জানান তিনি। সেখানে ওমরাহ পালনের অভিজ্ঞতা, অনুভূতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন এই সংগীতশিল্পী। সেইসঙ্গে মাকে সঙ্গে নিতে না পারায় আক্ষেপও প্রকাশ করেন তিনি। রাশেদ প্রথমে তার ফেসবুকে ৮ ডিসেম্বর একটি পোস্ট করে জানান, ‘মহান আল্লাহর ইচ্ছায় আমার অনেক বড় একটি স্বপ্ন পূরণ হতে যাচ্ছে। তা হলো ওমরাহ হজের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। মাত্র এক দিনের নোটিশে প্রস্তুতি নিয়েছি। দোয়া চাই। এসময় তিনি আরও লেখেন, ‘মাকে সাথে করে নিয়ে যেতে পারলেই অনেক বেশি ভালো লাগতো। হয়তো খুব শিগগির মা ও সাথে যাবে। মহান আল্লাহর কাছে এই দোয়াটাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশি। বন্ধুবান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার কাছে দোয়ার প্রার্থনা রইলো। আমিও সবার জন্য দোয়া করব ইনশাআল্লাহ। এরপর তিনি ৯ ডিসেম্বর এক পোস্টে লেখেন, ‘গতকাল জেদ্দা এয়ারপোর্টে সৌদি আরব টাইম রাত ৯টা ৩০ মিনিটে পৌঁছে ওমরাহ হজ পালনের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম হেরেম শরীফে এবং খুব সুন্দরভাবে ওমরাহ হজ সম্পন্ন করলাম ভোর ৫টায়। আলহামদুলিল্লাহ আজ জোহরের নামাজের পর রওনা হবো মদিনা মানোয়ারায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজায় জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। সারা পৃথিবীর মানুষের কল্যাণ বয়ে আনুক এই দোয়া করেছি মহান আল্লাহর দরবারে। তার এই পোস্টে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় সিক্ত করছেন ভক্ত-অনুরাগীরা। অনেকে চেয়েছেন দোয়াও।