নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা

নাচোলে গুণীজন সংবর্ধনা ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা নাচোলে চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশন নাচোল শাখার উদ্যোগে “গুণীজন সংবর্ধনা ও স্বেচ্ছাসেবী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বিকেলে নাচোল উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে নাচোল ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সভাপতি মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নাচোল উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নাচোল মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ওবাইদুর রহমান, গোলাবাড়ী আদর্শ কলেজের অধ্যক্ষ গাজিউল হক, নাচোল কলেজের অবসরপ্রাপ্ত প্রভাষক(রসায়ন) আমেনা খাতুন লাইলী, প্রভাষক শফিকুল আলম, লেখক আলাউদ্দিন বটু, চাঁপাই ব্লাড ডোনেট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা খাইরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার ফয়সাল আজম অপু সহ অন্যরা। এছাড়াও গুণীজনের মধ্য থেকে দেন সাংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব বীরেন সরকার, আল্পনা শিল্পী দেখন বর্মন প্রমূখ। আলোচনা শেষে নাচোল উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গুণীজনকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধুসভার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বন্ধুসভার উদ্যোগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জে বুধবার দুপুরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার জেলা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৮০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে আমলকি, ছাইতন, বহেরা, চালতা, হরিতকি গাছের চারা বিতরণ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বন্ধুসভার বন্ধুরা। এসময় রোপণকৃত চারার যত্ন নিতে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ দেয়া হয়। দুপুর পৌনে ১টার দিকে বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে এসব গাছের চারা তুলে দেয়া হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন— বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন-অর-রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা জহিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাসরুফা খাতুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাফিউল হাসান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ হাসান, পরিবেশ ও সমাজকল্যান সম্পাদক রাকিবুল হাসান বিশাল, বন্ধু উৎস আসেফ, আহমেদ ওয়ালিদসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকবৃন্দ। গাছ বিতরণ শেষে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন— বিদ্যালয়ের প্রধান হারুন-অর-রশিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা চাঁপাইনবাবগঞ্জে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে নিকাহ নিবন্ধনকারীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বেলা ১১ টা থেকে জেলা রেজিস্ট্রারের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। গণউন্নয়ন কেন্দ্র’র ইউএসডিওএস ফাইট স্লেভারি অ্যান্ড ট্রাফিকিং-ইন-পারসনস (এফএসটিআইপি) প্রজেক্টের আওতায় এই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা রেজিস্ট্রার নাজির আহমেদ জীবন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন— জেলা জাতীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপরিচালক সাহিদা আখতার, সদরের সাব-রেজিস্ট্রার সাদেকুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন— জেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল বারীসহ অন্যরা। সভা পরিচালনা করেন গণউন্নয়ন কেন্দ্রের রাজশাহী অফিসের প্রকল্প কর্মকর্তা চন্দনা সরকার। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ গণউন্নয়ন কেন্দ্রের ফারজানা শারমীন। বক্তারা মানবপাচার ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন— বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে মা-বাবাকেই প্রথমে সচেতন হতে হবে। আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে, সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

ভোলাহাটে মহানন্দা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

ভোলাহাটে মহানন্দা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার মহানন্দা নদী থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দুপুর ১টার দিকে উপজেলার দলদলী ইউনিয়নের মহানন্দা নদীর ফহরম ঘাট থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. বাবু বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ফরহম ঘাটে মরদেহটি মহানন্দা নদীর পাড়ে দেখে স্থানীয়রা জানালে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে নিশ্চিত হয়ে পুলিশকে মুঠোফোনে জানাই। খবর পেয়ে পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে। স্থানীয় এক মুদি দোকানদার মো. শামীম রেজা জানান, অজ্ঞাতনামা মরদেহটি মহানন্দা নদীর ভারতের দিক থেকে ভেসে এসেছে। মরদেহটি ২২/২৩ বছরের পুরুষ মানুষের মনে হচ্ছে। পরনে প্যান্ট ও গায়ে গেঞ্জি ছিল বলে দেখতে পেয়েছেন বলে জানান। ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে। এরপর ময়নাতদন্তের জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

নাচোলে চার্জে দেয়া অটোরিক্সায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু

নাচোলে চার্জে দেয়া অটোরিক্সায় বিদ্যুতায়িত হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়া মা মরাফেলা গ্রামের মো. আলমগীরের স্ত্রী হাওয়া বেগম (৪২) ও মেয়ে আয়েশা বেগম (২২)। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার নেজামপুর ইউনিয়নের মরাফেলা গ্রামে এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নাচোল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আলমগীরের বাড়িতে ব্যাটারিচালিত একটি অটোচার্জার ভ্যানে মঙ্গলবার রাতে চার্জে দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ে। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অটোভ্যান থেকে লাইন সরাতে গেলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন হাওয়া বেগম। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মেয়ে আয়েশা বেগমও স্পৃষ্ট হন। তাদের শব্দ পেয়ে ছেলের স্ত্রী ধরতে গেলে তাকেও বিদ্যুৎ শক করলে তিনি সেখানে ছিটকে পড়ে যান। তখন তিনি তার শ্বশুর আলমগীরকে ডাক দেন। ঘর থেকে এসে দেখেন স্ত্রী ও মেয়ে ঘটনাস্থলেই মরে পড়ে আছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওসি।

নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার কসবা ইউনিয়নের পুরাতন কাজলা নামক স্থানে বুধবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন যাবৎ ভারসম্যহীন বয়স্ক এই নারীকে কাজলা বাজার ও তার আশপাশে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। এলাকাবাসী জানান, পুরাতন কাজলার রেলক্রসিং থেকে প্রায় ২০০ গজ দূরে লাইনের পাশে ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় এই অজ্ঞাত বয়স্ক নারীর মরদেহটি দেখতে পেয়ে রেল পুলিশকে খবর দেন তারা। আমনুরা রেলওয়ে ইনচার্জ এসআই আইনুল হক জানান, রাজশাহী থেকে রহনপুরগামী মহানন্দা এক্সপ্রেস ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়েছে। মহিলাটির আনুমানিক বয়স প্রায় ৬৫ বছর। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করি। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি ইউডি মামলা হবে বলে জানান আইনুল হক।

নাচোলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতামূলক সেশন 

নাচোলে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে সচেতনতামূলক সেশন  চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল খ ম সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও মুন্সি হযরত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের নিয়ে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিষয়ে পৃথক সচেতনতামূলক সেশন পরিচালিত হয়েছে। সেশন পরিচালনা করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা মেডিকেল অফিসার (এমসিএইচএফপি) ডা. নোশীন ইয়াসমিন। এ সময় তিনি বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যের সংজ্ঞা ও গুরুত্ব, শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন, নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর খাবার, যৌন সংক্রমণ রোগ ও প্রতিরোধ, ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি ও পরিচ্ছন্নতা, স্থানীয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভূমিকা ও সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াসের কনিষ্ঠ সহকারী পরিচালক ফারুক আহমেদ, যুব সংগঠন বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সাত্তার, স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রতিষ্ঠান সম্পাদক আব্দুর রহমান মানিক। বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ ও প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির সহযোগিতায় সেশনের আয়োজন করে নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন— উপজেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়কারী শ্যামল বর্মন, সদস্য নাবিউল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, প্রিয়াঙ্কা প্রামাণিক, ঈশিতা খাতুন, প্রয়াসের মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক, অফিসার শাহরিয়ার শিমুল, সহকারী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইমদাদুল হক।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ চাঁপাইনবাবগঞ্জ রেলস্টেশন এলাকায় ছিন্নমূল শিশুদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে আন নাসিহা ফাউন্ডেশন। বুধবার বিকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রেলস্টেশন এলাকায় এই উপকরণ বিতরণ করা হয়। শতাধিক শিশুর হাতে খাতা, কলম, পেন্সিলসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ তুলে দেওয়া হয়। শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. ইনজামাম উল হক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন— চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিটি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন— আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জজ কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নূরে আলম সিদ্দিকী আসাদ, আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের পিআরও কর্মকর্তা সেলিম রেজাসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। আন নাসিহা ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধিরা জানান, ভবিষ্যতেও তারা সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কল্যাণে এমন কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত

চাঁপাইনবাবগঞ্জে নতুন করে ২৩ জনের ডেঙ্গু সনাক্ত চাঁপাইনবাবগঞ্জে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ২৩ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালের আন্তঃবিভাগে শনাক্ত হয়েছেন ১১ জন এবং বহির্বিভাগে ১১ জন ও ভোলাহাটে ১ জন শনাক্ত হন। বর্তমানে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি আছেন ২০ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৫ জন পুরুষ, ১৩ জন মহিলা ও ২ জন শিশু রয়েছেন। একই সময়ে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে ৪ জনকে। এই ৪ জনের মধ্যে ৩ জন পুরুষ ও ১ জন মহিলা রয়েছেন। এছাড়া অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২ জন পুরুষ রোগীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। অন্যদিকে শিবগঞ্জে ১ জন ও গোমস্তাপুরে ২ জন ও ভেলাহাটে ১ রোগী ভর্তি আছেন। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ৭৪৩ জনে। একই সময়ে বহির্বিভাগে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১ হাজার ২১৩ জনে। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতাল ও সিভিল সার্জন অফিসের ডেঙ্গুবিষয়ক প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বুধবার এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নাচোলে জনবল সংকটে ব্যাহত চিকিৎসা সেবা

নাচোলে জনবল সংকটে ব্যাহত চিকিৎসা সেবা চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সংকট থাকায় ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা। আবার চিকিৎসক থাকলেও কাঙ্ক্ষিত সেবা না পাওয়ার অভিযোগ রয়েছে রোগীদের। জানা যায়, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জনের বিপরীতে ৯ জন চিকিৎসক থকলেও ৩ জন দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। সার্জারি ও জুনিয়র কনসালটেন্ট চিকিৎসক না থাকায় বছরের পর বছর ধরে অপারেশন থিয়েটারে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে অর্ধ কোটি টাকার আধুনিক যন্ত্রপাতি। এছাড়া হাসপাতালের ওয়ার্ডে নিরাপদ খাবার পানি সরবরাহ না থাকায় বাইরে থেকে খাবার পানি সংগ্রহ করতে হয় রোগীদের। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে নাচোলবাসী। বাধ্য হয়ে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চিকিৎসা নিতে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ করে নিঃস্ব হচ্ছেন মধ্য ও নিম্নবিত্ত পরিবারগুলো। নাচোল উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২ লাখ। এছাড়াও সুবিধাজনক যোগাযোগ ব্যবস্থা ও নিকটবর্তী হওয়ার কারণে পার্শ্ববর্তী গোমস্তাপুর ও নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রোগীরা চিকিৎসা নিতে আসেন নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও ডা. আব্দুস সামাদ জানান, বহির্বিভাগ ও অন্তঃবিভাগ মিলে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। তিনি আরো বলেন, বেশ কিছু রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় চিকিৎসা না পেয়ে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ২০২৪ সালের মাঝামাঝি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের উন্নয়ন ও শয্যাসংখা বৃদ্ধির পাশাপাশি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে ঠিকই; কিন্তু প্রয়োজনীয় সংখ্যক জুনিয়র কনসালটেন্ট পদায়ন না করায় চিকিৎসা সেবার কোনো উন্নয়ন ঘটেনি। ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল কাঠামোতে ২৪ জন চিকিৎসকের পদ থাকলেও নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চলতি বছরের কর্ম তালিকায় দেখা যায় চিকিৎসক রয়েছেন মাত্র ৯ জন। তার মধ্যে ডা. এ.এফ.এম আজিম আনোয়র সহকারী সার্জন (কোড নং- ১৪১৭৪৯) চলতি বছর ২৭ জানুয়ারি যোগদান করলেও তিনি অনুপস্থিত থাকেন। এছাড়াও ৩টি ইউনিয়ন সাবসেন্টারে ৩ জন সহকারী সার্জনের পদ থাকলেও ২টি পদ শূন্য রয়েছে এবং একটিতে ডা. সাদিয়া রহমান (কোড নং-১৪৫৮৬৯) যোগদান করলেও তিনি প্রেষণে কর্মরত রয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এছাড়া সার্জারি, গাইনি, অর্থোপেডিকস, কার্ডিওলজি, চক্ষু, নাক-কান-গলা, চর্ম ও যৌন বিভাগ থাকলেও এসব পদে কোনো চিকিৎসক নেই। এছাড়া পরিসংখ্যানবিদ, সহকারী নার্স, মেডিকেল টেকনলোজিস্ট (ফিজিওথেরাপি), হেলথ এডুকেটর এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্র্রেণীর ২৫ জন কর্মচারীও নেই। অপর দিকে জরুরি উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনে হাসপাতালের রোগী স্থানান্তরের জন্য অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে মাত্র একটি। আবার জ্বালানি তেল সরবরাহ না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স পরিষেবা ঠিকমতো পাচ্ছেন না রোগীরা। এ ব্যাপারে মেসার্স হোসেন পেট্রোলিয়ামের ব্যবস্থাপক আব্দুল কাদের বলেন, গতবছর মে মাস থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কাছে জ্বালানি তেল সরবরাহ বাবদ ১৭ লাখ ৮৫ হাজার ৮৩ টাকা বকেয়া রয়েছে। তিনি আরো বলেন, কর্তৃপক্ষকে বারবার তাগাদাপত্র দেয়া হলেও বকেয়া পরিশোধ না করায় জ্বালানি তেল সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। এসব বিষয়ে সদ্য যোগদানকৃত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) ডা. মিজানুর রহমান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে হাসপাতালের বিদ্যমান সংকট উত্তরণে চেষ্টা করব। এ অবস্থায় নাচোল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পদায়ন, অ্যাম্বুলেন্স ও অন্যান্য লজিস্টিক সাপোর্ট বাড়ানো এবং ডায়াগনস্টিক বিভাগের আধুনিকীকরণসহ অপারেশন থিয়েটার চালুর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন নাচোলবাসী।