৫৭ ধারার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আগস্টে : আইনমন্ত্রী

285

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আইসিটি অ্যাক্ট বিতর্কিত ৫৭ ধারা বাতিল করে তা প্রস্তাবিত ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রতিস্থাপন করা হবে নাকি একেবারে বাতিল করা হবে সে বিষয়ে আগস্টে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। রোববার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান। ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের খসড়া চূড়ান্ত করতে আইন মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠিত এ সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম উপস্থিত ছিলেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সভায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করেছি। আলাপ আলোচনায় আমরা অনেক কিছু নিয়ে এসেছি, যেগুলো সম্বন্ধে আজকের মিটিংয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তিনি বলেন, তিনজন বসে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আলাপ আলোচনা করে যেসব কথা বেরিয়েছে, সেটার একটা রূপরেখা করে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের মধ্যে সেগুলো এনে আগামী আগস্ট মাসে এটার একটা চূড়ান্ত ড্রাফট নিয়ে আবার মিটিংয়ে বসবো। ওই মিটিংয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেব। আনিসুল হক বলেন, সেখানে ৫৭ ধারা সম্বন্ধেও আমাদের সিদ্ধান্ত আপনারা পাবেন। কিন্ত এখন আমরা কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হইনি বলেই এর বেশি আর কিছু বলতে চাই না। আইনমন্ত্রী আগে বলেছিলেন, আইসিটি আইনে ৫৭ ধারা থাকছে না। কিন্তু ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের ১৯ ধারায় ৫৭ ধারাটাই ঘুরেফিরে রয়ে গেছে। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, আমি তো আপনাদের বলেছি, আমরা এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়নি। আপনারা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি জানতে পারবেন। আইসিটি অ্যাক্টের ৫৭ ধারায় যেসব মামলা হচ্ছে তা নিয়ে সভায় কোনো পর্যবেক্ষণ ছিল কি না- জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো কথাবার্তা এই মিটিংয়ে বলিনি। তবে তিনি বলেন, আমি আগেও বলেছি ৫৭ ধারায় যে মামলাগুলো হয়েছে, সেগুলোতে সংবাদিকরা (হয়রানির শিকার) কিংবা বাকস্বাধীনতার ব্যাপারে যদি কোনো ইয়ে (হরণ) করা হয়ে থাকে, সেখানে তদন্তকারী সংস্থা সেটা দেখবে। এসময় পাশে বসা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আনিসুল হক বলেন, সচিবও আমার সঙ্গে একমত বোধহয়, আমরা অত্যন্ত স্ক্রটিনাইজ করব ইনভেস্টিগেশনের সময়, যাতে কোনোভাবে নির্দোষ কোনো সাংবাদিক এটায় (৫৭ ধারায়) সাজা না পায় বা হয়রানি না হয়। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই মামলায় (৫৭ ধারার) চার্জশিট দেওয়ার আগে একটা তদন্ত হয়। সেই তদন্তটা অত্যন্ত সুষ্ঠু হবে, এটা আমি আপনাদের আশ্বস্ত করতে পারি। সভায় অন্যদের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব শহিদুল হক, বিটিআরসির মহাপরিচালক (সিস্টেম অ্যান্ড সার্ভিসেস) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এমদাদ উল বারী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।