চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্তদের কেন ক্ষতিপূরণ নয় : হাইকোর্ট

488

চিকুনগুনিয়া জ্বর রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও আক্রান্ত রোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে রোববার এ রুল জারি করেন বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি মো. আতাউর রহমান খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রুলে স্প্রে ও যথাযথ ওষুধ ছেটানোর মাধ্যমে এডিস মশা ও অন্যান্য মশা ধ্বংস করতে বিবাদীদের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং সারা দেশের আক্রান্ত এলাকাসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ডাম্পিং স্টেশন পরিষ্কার করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এবং দুই সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। চিকুনগুনিয়ার প্রদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে গত ৪ জুলাই রিট দায়ের করেন সপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুজাউদ্দোলা আকন্দ। রিটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে এই আইনজীবী বলেন, ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের যেসব স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রদুর্ভাব রয়েছে, সেসব স্থানে এ রোগ নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিট আবেদনে। এডিস প্রজাতির এডিস ইজিপ্টি এবং এডিস এলবোপিকটাস মশার মাধ্যমে চিকুনগুনিয়া রোগের সংক্রমণ ঘটে। চিকুনগুনিয়া ভাইরাসটি টোগা ভাইরাস গোত্রের। মশাবাহিত হওয়ার কারণে একে আরবো ভাইরাসও বলে। চিকুনগুনিয়া এক ধরনের ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ। ডেঙ্গু ও জিকা ভাইরাসও এই মশার মাধ্যমে ছড়ায় এবং রোগের লক্ষণ প্রায় একই রকম। এ ধরনের মশা সাধারণত ভোর বেলা অথবা সন্ধ্যায় কামড়ায়। একটি পরিবারের একজন আক্রান্ত হলে মশার মাধ্যমে অন্যদেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। চিকুনগুনিয়া হলে জ্বর ছাড়াও শরীরের গিটে গিটে ব্যথার পাশাপাশি মাথা কিংবা মাংসপেশিতে ব্যথা, শরীরে ঠা-া অনুভূতি, চামড়ায় লালচে দানা, বমি বমি ভাব হতে পারে। লতি বর্ষা মওসুমের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর ঢাকার ২৩টি এলাকাকে এ রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে সরকারের রোগ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইইডিসিআর।