হজ নিয়ে শঙ্কা ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দুষছেন এজেন্সি মালিকরা

19

আজ বুধবার ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ শঙ্কার কথা জানান তারা।এবারের হজ ব্যবস্থাপনায় নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে জানিয়ে হজ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন অপারেটিং হজ এজেন্সির মালিকরা। তারা বলছেন, হজ ব্যবস্থাপনায় ৮০ শতাংশ কাজ শেষ হলেও এখনো বাকি কাজ আটকে আছে। ফলে নির্ধারিত সময়ে হজে যাওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর এ জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়কে দুষছেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এখনো বাংলাদেশের সকল হজ যাত্রীর মিনার জোন চূড়ান্ত হয়নি। পূর্ণাঙ্গ ও ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা হয়নি। এ ছাড়া এখনো হজ অফিস থেকে মুনাজ্জিমদের ভিসা দেয়নি তারা। অনেক এজেন্সির সৌদি অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হয়নি, হজে যাওয়ার আগে টিকা নেওয়ার কথা বলা হলেও কোনো হাসপাতালে টিকা পৌঁছয়নি। সেই সঙ্গে সৌদি ই-হজ সিস্টেমে ভিসার অপশনও এখনো চালু হয়নি। এজেন্সি মালিকদের দাবি, হজ ইস্যুতে অব্যবস্থাপনার নেপথ্যে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অবহেলা বা দায়িত্বহীনতা রয়েছে। ফলে এসব জটিলতা তীব্র আকার ধারণ করছে। এ ছাড়া মন্ত্রণালয়ের কিছু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মক্কা হজ মিশনের কিছু কর্মকর্তার অবহেলা বা দায়িত্বহীনতায় জটিলতা বেড়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সমস্যা সমাধানে হজ এজেন্সিকে হুমকি নয়, প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ করলে এ জটিলতা দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে। এ সময় এজেন্সি মালিকরা হজ ব্যবস্থাপনার সকল প্রতিবন্ধকতা দ্রুত নিরসনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ কামনা করে আট দফা দাবি জানান। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাংলাদেশি সকল হাজির মিনার জোন নির্ধারণ করে ই-হজ সিস্টেমে আপডেট, ফাইনাল ফ্লাইট শিডিউল ঘোষণা ও অপারেটিং সকল এজেন্সির হজযাত্রী অনুপাতে টিকিট নিশ্চিত করা, অপারেটিং এজেন্সির মোনাজ্জেমদের জন্য মোনাজ্জেম ভিসার দ্রুত ব্যবস্থা করা অথবা মিশন ভিসা শুধু বাড়ি ভাড়ার কাজে ব্যবহারের ঘোষণা দিয়ে পরবর্তী সময়ে অন্যান্য বছরের ন্যায় মোনাজ্জেমদের জন্য বারকোড ভিসার বিষয়টি নিশ্চিত করা। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন আল কাবা হজ এজেন্সির এইচ এম বরকতউল্লাহ, এম সেতারা ট্রেডের সেলিম হোসেন আজাদী, মহসিন উদ্দীন, মাসুদুর রহমান প্রমুখ।