সেতুমন্ত্রীর সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

233

চাঁপাইনবাবগঞ্জে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের শারীরিক সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ সকালে জেলা প্রশাসন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা এ জেড এম নূরুল হক। এসময় সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সুস্থ্যতা কামনা করে তিনি বলেন, আমাদের পদ্মা সেতু হচ্ছে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর পর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর আবদান। তিনি দুইটা ডিপাটমেন্টে কাজ করছেন। রাস্তাগুলোকে চার লেন, মহাসড়কের কাজ এছাড়াও অফিসের কাজ। তার এ অসুখটা অতিরিক্ত চিন্তা ও পরিশ্রমের ফলে হয়েছে। আমি অনেকবার দেখেছি তিনি খাওয়ার ব্যাপারে খুব যতœবান। আমরা তার এই অবস্থা থেকে শিক্ষা নেব। পরিমিত খাবার গ্রহণ করব, চিন্তামুক্ত জীবনযাপন করব। আমাদের সন্ধ্যা ৫টার পর মনে হয় শরীর আর কুলায় না। আধাঘণ্টা চোখ বন্ধ করে ঘুমাব। যাই হোক আমরা তার সুস্থতার জন্য কায়মনোবাক্যে আল্লাহর কাছে মোনাজাত করব ও দোয়া করব। তিনি যাতে সুস্থ হয়ে আমাদের দেশের যে উন্নয়ন কর্মকান্ড সেখানে যোগ দিতে পারেন। উন্নয়ননের ধারা অব্যাহত থাকে। সভায় জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ এসএফএম খায়রুল আতাতুর্ক বলেন, যারা স্ট্রেইসফুল কন্ডিশনে কাজ করেন প্রশাসন যন্ত্রে তাদের হতে পারে। আমাদের গড় আয়ু ৬০ বছর। আমরা দেখেছি ৬০ বছরের পর সাধারণত এ রোগ হয় না। যারা সাধারণ জীবনযাপন করেন, চিন্তামুক্ত থাকেন আল্লাহ তাদের হায়াৎ বেশি দেন। হাট এ্যাটাক ও স্ট্রোক-দুইটা একই রোগ না। হার্ট এ্যাটাক হার্টে হবে আর স্ট্রোকের জন্য ব্রেন মাষ্ট। স্ট্রোক বøাড প্রেসার লাগবে কিন্তু হার্ট এ্যাটাকে কিছুই লাগে না। হার্ট নিজেকে সাপ্লাই দেয় ও রক্ত ছড়িয়ে দেয়। হার্ট সুস্থ থাকলে সাপ্লাই ঠিক থাকে। যখনই আমরা ফাস্টফুড খাই তখনই লিকুইড পাম্প করে না। বা ব্যাড কোলেস্টেরল যা সাধারণ তাপমাত্রায় জমাট থাকে বা আপনি যদি টেনশনে থাকেন বা স্ট্রেইসফুল কন্ডিশনে থাকেন। হার্ট এ্যাটাকের কিছু লক্ষণ আছে-যদি দেখেন হঠাৎ বুকের বাঁ দিকে প্রচন্ড ব্যথা, নিশ্বাস নিতে পারছেন না, বাম হাত ঝিনঝিন করছে, কপাল ঘেমে যাচ্ছে -এইসব লক্ষণ দেখলে বুঝবেন হার্টে সমস্যা হয়েছে। এনজিওগ্রাম করতে হবে। তবে তাৎক্ষণিক যা করবেন তা হলো- ৪-৫ টা ডিসপিরিন বা এ্যাসপিরিন ট্যাবলেট চিবিয়ে খাওয়াবেন বা গুলো খাইয়ে দিবেন, রক্ত চলাচল সচল হবে। তারপর বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিবেন। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের এসব লক্ষণ দেখা নাও দিতে পারে। বংশগত হলে আগেই পরামর্শ নিতে হবে। খাবার দাবারে সচেতন হতে হবে। ভাত মাছ বা মংস এবং সবজি পরিমাণমত খেতে হবে। ১৬০০ ক্যালরি ভাত খেলে ৪০০ ক্যালরি মাছ বা মাংস ও ৪০০ ক্যালরি চর্বি খেতে হবে। আর খাবারের সাথে অতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না সেটা ভেজে বা পুরিয়ে বা কাঁচা। লবণ শরীরে পানি ধরে রাখবে ফলে মেদ বাড়বে। প্রেসার হবে। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করতে হবে। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রুহুল আমিন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নূর মোহাম্মদ, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মঞ্জুরুল হুদা, জেলা তথ্য কর্মকর্তা ওয়াহেদুজ্জামান, আনসার ভিডিপির জেলা কমান্ড্যান্ট এসএম মুজিবুল হক পাভেল ও জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাসহ মসজিদের ইমামগণ। আলোচনা শেষে দোয়া পরিচালনা করেন নবাবগঞ্জ কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান।