চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধ্বংস করা হল প্রায় ৮ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য

237

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৩ বিজিবি ও ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন কর্তৃত বিভিন্ন সময়ে আটককৃত প্রায় ৮ কোটি টাকার মাদক দ্রব্য আটক করা হয়েছে। আজ মহানন্দা ব্রীজ সংলগ্ন বারঘোরিয়া বাজার মাঠে এসব মাদক দ্রব্য জন সমূক্ষে ধংস করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিজিবির রাজশাহী সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেন মুশফিকুর রহমান মাসুম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক, রহনপুর ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্টে কর্ণেল এস এম সালাহ উদ্দিন পিবিজিএম, ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্টে কর্ণেল সাজ্জাদ সারোয়ার পিএসসি, পুলিশ সুপার টিএম মোজাহিদুল ইসলাম বিপিএম, পিপিএম, জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক আনিছুর রহমানসহ স্থানীয় ও বিভিন্ন পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মীবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে মোট ৭ কোটি ৯৪ লক্ষ ৭ হাজার টাকা মূল্যের মাদক দ্রব্য ধংস করা হয়। এই সব মাদক দ্রব্যের মধ্যে ছিল, ২,৫৩৯ বোতল এবং ১৩০ লিটার মদ, ৫৪,২৩২ বোতল এবং ৭লিটার ফেন্সিডিল, ২২ কেজি ৩৯০গ্রাম এবং ২২২ পুরিয়া হেরোইল, ১৪ কেজি ২০০ গ্রাম গাঁজা, ২৭,৫০২ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট, এবং ৩৬৯ পিচ নেশা জাতীয় ইঞ্জেকশন।  অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, আমি মাদক গ্রহণ করি না। কী কারনে করিনা? ১. আমি শুকুরের মাংস খাই না, একিই কারণে আমি মাদক গ্রহণ করি না। ২. যিনি মাদক গ্রহণ করেন তার সামাজিক মর্যদা থাকে না, তার পরিবার পরিজন, প্রতিবেশি, গ্রামবাসী, মহল্লাবাসী, তার কমিউনিটির সবাই তাকে খারাপ চোখে দেখে। আমি আমার সম্মান নষ্ট করতে চাই না এজন্য আমি মাদক গ্রহণ করি না। ৩. আপনারা জানেন আমাদের এক সমকর্মী পুলিশ কর্মকর্তা ছিলেন উনার মেয়ে ঐশি। এই মেয়েটি মাদকাসক্ত হয়ে তার বাবা-মা দুজকেই হত্যা করেছে। আমি আমার পরিবারে এই রকম ঘটনা চাই না। যার কারনে আমি মাদক গ্রহণ করিনা। ৪. আপনারা আজকে যে মাদকগুলো দেখতে পাচ্ছেন সেগুলো সব বিদেশ থেকে নিয়ে আসা। এগুলো উৎপাদিত হয়েছে বিদেশে, বিভিন্ন চোরাই পথে আমাদের দেশে এসেছে। যেগুলোর মূল্য হুন্ডির মাধ্যমে উৎপাদন কারীর দেশে চলে গেছে। এটা দেশে অর্থনীতির জন্য অনেক বড় ক্ষতি। আমি আমার দেশকে ভালবাসি এ কারনে আমি মাদক গ্রহণ করিনা। এসময় উপস্থিত জনসাধারণের উদ্যোশে তিনি বলেন, আপনারা কী আমার সাথে আছেন? এসময় উপস্থিত জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের সাথে একাত্ততা প্রকাশ করলে সবাইকে মাদক বিরোধী শ্লোগান দেয়ান।
এসময় জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক আরো জানান, আমার জেলা প্রশাসন থেকে জেলার সমন্বয় সভায় এবং আইন শৃংক্ষলা সভায় সাবার সাথে আলোচনা করে একটি সীদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যারা সরকারি দপ্তরে কাজ করি এই জেলায়, আমরা সবাই মাদক গ্রহন করি কী করি না। এটি নিশ্চিত করার জন্য সবার ড্রোপ টেস্ট করা হবে। এতে জেলা সিভিল সার্জন আমাদের সহায়তা করবেন। এটি করে যখন নিশ্চিত হব যে, আমার অফিসে কেউ মাদক গ্রহন করে না। তখন আমরা অফিসে একটা সাইনবোর্ড লাগিয়ে লিখা হবে। “আমার অফিস মাদকমুক্ত। এই রকম করে প্রত্যেকটি অফিস মাদকমুক্ত হয় তাহলে আমার জেলার জন্য অনেক ভাল হবে, অনেক সুনামের হবে সম্মানের হবে। একই ভাবে এখানে যারা আছি সবাই যদি আমাদের পরিবাবকে মাদক মুক্ত রাখতে পারি। তাহলে সন্তুষ্ট হতে পারবেন, আত্মতৃপ্তি পাবেন যে আমার পরিবার মাদকমুক্ত। পর্যায়ক্রমে সমাজ, ইউনিয়ন, উপজেলা এবং সবশেষে আমাদের জেলাকে মাদকমুক্ত করতে পারব। এজন্য সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলার মাধ্যমে সবাইকে এগিয়ে আসার আহব্বান জানন জেলাপ্রশাসক