সীতাকুন্ডে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪৫, ১৪ জনের পরিচয় শনাক্ত

219

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের ৮ জন রয়েছেন। বাকি ৩৭ জন সাধারণের মধ্যে ১৪ জনের পরিচয় মিললেও ২৩ জনের স্বজনদের খোঁজ মেলেনি এখনো। অগ্নিদগ্ধে গুরুতর আহত ১২জনকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় নেয়া হয়েছে। আজ বিকেলে অগ্নিকান্ডের ঘটনার আপডেট দেয়া হালনাগাদ বোর্ডে এই তথ্য জানায় সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসন। বিএম কন্টেইনার ডিপোতে থেমে থেমে এখনো আগুন জ্বলছে কন্টেইনারগুলোতে। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিটের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ১টি কোম্পানী যোগ দিয়েছে। এখনো ২৩ জনের পরিচয় মেলেনি বলে চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালকুদার আজ বিকেলে নিশ্চিত করেন। আগুন নেভানোর সময় বিস্ফোরণে প্রাণ গেছে তাদের। দগ্ধ ও আহত হয়ে হাসপাতালে দুই শতাধিক মানুষ ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আজ প্রধানমন্ত্রী এক শোক বার্তায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। সেই সাথে আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দেন।

অন্যদিকে স্মরণকালের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় পৃথক ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।  বিএম ডিপোর ঘটনা তদন্তে টার্মিনাল ম্যানেজারকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এই কমিটিকে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের অপর একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন হয়।

এদিকে অগ্নিকান্ডে হতাহতদের জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সীতাকুন্ডে অগ্নিকান্ডে মৃতদের দাফন ও সৎকার এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য এ অর্থ দেয়া হবে। এছাড়াও অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবারে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ দেয়া হয়।