সাশ্রয় ১৪৫ কোটি ডলার বন্ড সুবিধার অপব্যবহার কমেছে অর্ধেক

53

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বলছে, এর ফলে অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকেই প্রায় ১৪৫ কোটি ডলার সাশ্রয় হয়েছে। গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) বন্ড সুবিধার আওতায় কাঁচামাল আমদানিতে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব ছাড় দিয়েছিল সরকার। চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বন্ড সুবিধার অপব্যবহার প্রায় ৫০ শতাংশ কমেছে। রপ্তানিমুখী শিল্পে কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কাস্টমসের তথ্য অনুসারে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে আমদানিকৃত কাঁচামাল এবং তা থেকে তৈরি পণ্য রপ্তানির মধ্যকার ব্যবধান ২২ শতাংশে নেমে এসেছে, যার আর্থিক মূল্য ১ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার বা ১৬ হাজার কোটি টাকা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ৪০ শতাংশ এবং তার আগের অর্থবছরে ছিল ৪৫ শতাংশ। ইতিবাচক এ ধারার জন্য সফলভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের কথা জানান কাস্টমস বিভাগের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, কাস্টমস বিভাগের সফটওয়্যার– এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড (ASYCUDA World) এর মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্য পরীক্ষা ও নজরদারি করতে পারছে এনবিআর। এতে এনবিআরের তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের সক্ষমতা বেড়েছে। গত অর্থবছরের (২০২২-২৩) প্রথম প্রান্তিকে বন্ড সুবিধায় বিভিন্ন ধরণের কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ মেট্রিকটনের কিছু বেশি, এবং একই সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৩০ হাজার টন। অর্থাৎ একই সময়ে আমদানি ও রপ্তানির ব্যবধান ছিল প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টন। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ১০ লাখ ১৮ হাজার টন এর কাছাকাছি আমদানি হয়েছে এবং রপ্তানি হয়েছে ৮ লাখ টনের কাছাকাছি, যা আমদানি ও রপ্তানির এ ব্যবধান কমে আসাকেই নির্দেশ করছে।