সকলে মিলে প্রতিরোধ করতে হবে যক্ষ্মা : সিভিল সার্জন

147

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. এসএম মাহমুদুর রশিদ বলেন, “সারাদেশে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ১১৪-১১৫ জন যক্ষ্মা রোগী। অথচ এর তেমন কোনো প্রচার নেই। নীরবেই ঘটে যাচ্ছে এ ঘটনা। ঘটনাটি ভয়াবহ। অথচ আমরা এ নিয়ে আতঙ্কিত বোধ করছি না। কিন্তু করোনা মহামারিতে এর থেকে কম মানুষ মারা গেলেও আমরা অনেক বেশি আতঙ্কিত হয়েছি। করোনা প্রতিরোধে অনেক সচেষ্ট হয়েছি। কিন্তু তেমন করে যক্ষ্মাকে নিয়ে ভাবছি না। তবে এও ঠিক যে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগের যে জনবল আছে, তা নিয়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। এজন্য যক্ষ্মা প্রতিরোধে কাজ করছে নানা জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা। বিনামূল্যে পরীক্ষা ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে সরকার। তবুও যক্ষ্মাকে বাগে আনা যাচ্ছে না। দরকার আরো ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা।”
রবিবার জেলাশহরের সাধারণ পাঠাগারে অনুষ্ঠিত যক্ষ্মা সচেতনতাবিষয়ক প্রচারণা কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি।
ইউএসএআইডির পৃষ্ঠাপোষকতায় আইসিডিডিআর’বির পরিচালনায় দিনব্যাপী এ কর্মশালার আয়োজন করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ বন্ধুসভা। এতে অংশ নেয় বন্ধুসভার ২৫ জন বন্ধু।
সিভিল সার্জন আরো বলেন, করোনা মহামারি মোকাবিলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাড়া-মহল্লা, ওয়ার্ড-ইউনিয়ন পর্যায় থেকে কাজ করে সফলতা এসেছে। এ কাজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ মডেল হিসেবে খ্যাতি লাভ করে এবং জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদকও পেয়েছেন। যক্ষ্মা প্রতিরোধে আমরা সে ধরনেরই একটি কর্মসূচি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি। সেটা নিয়ে আলোচনাও হচ্ছে। এ ধরনের কর্মসূচিতে বন্ধুসভা কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
বন্ধুসভার সভাপতি সাঈদ মাহমুদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেনÑ জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জেলা সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার আসহাব শাহরিয়ার, চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আনোয়ার হোসেন। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সহসভাপতি আরাফাত মিলেনিয়াম।
যক্ষ্মা বিষয়ক আলোচনা, চাইল্ড টিবি, এডাল্ট টিবি, ডকুমেন্টারি ও প্রেজেন্টেশন পর্ব পরিচালনা করেন আইসিডিডিআর’বি পরিচালিত ইউএসএআইডি’স অ্যালাইয়েন্স ফর কমব্যাটিং টিবি ইন বাংলাদেশ (এসিটিবি) কার্যক্রমের মেডিকেল অফিসার আহসান তাকিব।
পরে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে পাঁচটি গ্রুপে ভাগ করে কর্মশালায় অর্জিত জ্ঞানের ওপর গ্রুপভিত্তিক আলোচনা করা হয়। শেষে সকলের মধ্যে সনদ বিতরণ করা হয়। সনদ বিতরণ করেন সিভিল সার্জন এসএম মাহমুদুর রশিদ।