প্রথমবার দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া। মিরপুরে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২১৩ রান করে অজিরা। লক্ষ্য তাড়ায় একেবারে সুবিধা করতে পারেননি ফারজানা হক, মুর্শিদা খাতুনরা। নিগার সুলতানা, সোবহানা মুস্তারি ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হওয়ায় ৯৫ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরার চেষ্টা করেন সোবহানা ও অধিনায়ক নিগার। তবে সোবহানা ১৭ রানে আউট হলে ৪৯ রানে জুটি ভাঙার পর ধ্বস নামে বাংলাদেশের ইনিংসে। ফাহিমা খাতুন, রিতু মনির পর ইনিংস সর্বোচ্চ ২৭ রান করা নিগারও রান আউটে কাটা পড়ে ফেরেন। এতে কোনোরকম শ পার করার আগে অর্থাৎ ৯৫ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস। অজিদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট পান গার্ডনার
মারুফা আক্তারের বলে দলীয় ২৭ রানে হিলি ফেরেন ২৪ রান করে। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের পরের আঘাতটি করেন নাহিদা আক্তার। তাহিলা ব্যাকগ্রাকে দলীয় রান ৫০ হওয়ার আগে ফেরান এই বাঁহাতি স্পিনার। পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়েন অ্যাশলে গার্ডনার ও বেথ মুনি। তবে ফাহিমা খাতুনের ঘূর্ণিতে মুনি ফেরেন ২৫ রানে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অজিদের হাল ধরে এগিয়ে নিতে থাকেন গার্ডনার ও অ্যানাবেল স্যাদারল্যান্ড। ৩২ রান করা গার্ডনারকে এই জুটি ভাঙেন নাহিদা। এতে সালমা খাতুনকে (৫১) টপকে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেটের (৫৩) মালিক এখন তিনি।
সঙ্গীদের আসা যাওয়ার মিছিলে জর্জিয়া ওয়েরেহামের সাথে জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন সাদারল্যান্ড। ওয়ারেহাম ১২ রানে আউট হলে স্কোর বোর্ডে রান যোগ করতে থাকেন সাদারল্যান্ড ও আলানা কিং। শেষ ওভারে ফাহিমার এক ওভারে ২৯ রান তোলে সফরকারীরা। এতে ২১৩ রানের পুঁজি পায় অজিরা। ৩১ বলে ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন আলানা, সালারল্যান্ড করেন ৫৮ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা ও সুলতানা।