শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ

357

শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। আজ বিকেলে জেলা শহরের পৌরসভার পার্শে অবস্থিত বিদ্যালয় ভবনের ৩য় তলায় শিক্ষার্থীদের হাতে কম্বল তুলে দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আইসিটি, শিক্ষা, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং তথ্য ও অভিযোগ শাখা খাদিজা বেগম, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নার্গিস সুলতানা, শিশু কল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্যরা। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় বিদ্যালয়ের ১২৫জন শিক্ষার্থীদের মাঝে এই কম্বল বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই দিনের বেলায় বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে এবং বিকেল ৪টা থেকে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। তাদের প্রত্যেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান। কম্বল বিতরণী অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তোমরা সবাই বিভিন্ন কাজের সাথে জড়িত। কিন্তু আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থায় তোমাদের আসলে কাজের সাথে জড়িত হবার সুযোগ ছিল না। তোমাদের এখন উচিত ছিল পুরোপুরি লেখাপড়ার সাথে যুক্ত থাকার। কিন্তু কোন না কোন ভাবে তোমরা কাজের সাথে যুক্ত হয়ে গেছ। কাজের সাথে জড়িয়ে যাবার পরেও সরকার কিন্তু তোমাদের এখন লেখাপাড়া করার সুযোগ করে দিয়েছে। তোমাদের মধ্য থেকে লেখাপড়া করে এই স্যারদের (সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট) মত হতে হবে। আমরা চাই এতো কম বয়সে আর কেউ যেন কর্মজীবি না থাকুক। সরকার কিন্তু সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। তোমরাই কিন্তু এক সময় ভবিষ্যদের হাল ধরবে। আমরা চাই কেউ বিপথে যাবে না, কেউ কোন অপ্রিতিকর কাজের সাথে যাবে না। তোমাদের মধ্যে এখানে যারা নারী রয়েছো তাদের অনেক সময় বাল্যবিয়ে দিয়ে দেয়া হয়। এই রকম হলে তোমরা কিন্তু আমাদের জানাবে। তোমার কাজ হচ্ছে এখন লেখাপড়া করা, নিজেকে এখন আরো সুন্দর ভাবে গড়ে তোলা। বিয়ে করে সংসারের হাল ধরার বয়স তোমাদের এখনো আসেনি। তোমরা এখন খেলাধুলা করবে, তোমাদের কোন কাজ থাকলে করবে, আর বাকি যে সময়টুকু লেখাপড়া করবে। আমরা কিন্তু এটায় চাই। আর এই বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ আমরা কাজ করে যাচ্ছি।