শিবগঞ্জ উপজেলার চারটি এলাকায় বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করেছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর। এতে বজ্রপাতে প্রাণহানি কমে আসবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের। সম্প্রতি উপজেলার মনাকষা, পাঁকা, জালমাছমারী ও সোনামসজিদ স্থলবন্দর এলাকায় চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন জুয়েল বলেন, গত বছরে বজ্রপাতে একসঙ্গে ১৬ জনের মৃত্যু ঘটনার পর এলাকার মানুষ আতঙ্কিত ছিলেন। বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপনের পর স্বস্তি পেয়েছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, ৩০ লাখ ৯০ হাজার টাকা ব্যয়ে উপজেলায় চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। তবে উপজেলাটি বড় হওয়ায় চারটি বজ্রনিরোধক যন্ত্রে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। তিনি আরও জানান, এ যন্ত্রের কারণে অন্তত ১০০ মিটারের মধ্যে কোনো বজ্রপাত হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। যন্ত্রটি কতগুলো বজ্রপাত ঠেকাতে পেরেছে সেটি মোবাইলে ফোনে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখা যাবে। এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুল জানান, বজ্রনিরোধক যন্ত্রটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল। দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ রয়েছে। পর্যায়ক্রমে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় এ যন্ত্র স্থাপন করা হবে।