লিগ শুরু শেখ রাসেলের দারুণ জয়ে

50

তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে লিগ শুরুর ম্যাচেই গোছালো ও আশাজাগানিয়া ফুটবল খেলেছে শেখ রাসেল। দুই অর্ধেই রক্ষণ সামলে আক্রমণেও ব্যস্ত ছিল দলটি। ম্যাচেত চতুর্থ মিনিটেই শেখ জামালের রক্ষণ কাঁপায় শেখ রাসেল। সোলেমানি ল্যান্ড্রির ক্রস ছয় গজ বক্সে স্লাইডিংয়ে ক্লিয়ার করেন শাকিল হোসেন। এবিজি বসুন্ধরা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই দারুণ জয় তুলে নিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কিংস অ্যারেনায় শনিবার শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ২-১ গোলে হারিয়েছে তারা। সোলেমানি ল্যান্ড্রির গোলে এগিয়ে যাওয়ার পর ব্যবধান বাড়ান গানিউ আতান্দা। জামালের হয়ে ব্যবধান কমান খোলমাতোভ। পরের মিনিটেই অবশ্য গোল পেয়ে যায় শেখ রাসেল। কোডাই লিডার বাড়ানো বল বাম প্রান্তে পেয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন সুমন রেজা, এই স্ট্রাইকার নিজে শট না নিয়ে বাড়িয়ে দেন অন্য প্রান্তে থাকা সোলেমানি ল্যান্ড্রিকে। বুরুন্ডির এই ফরোয়ার্ড কোন ভুল করেনি, অনায়াসে বল জালে পাঠিয় এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে। ১৬ মিনিটে আরেকটা সুযোগ আসে শেখ রাসেলের সামনে কিন্তু জামালের গোলরক্ষক প্রীতমের বীরত্বে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি। নিজেদের অর্ধ থেকে তানভীরের লম্বা করে বাড়ানো বল জামালের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে শাহীন মিয়া বলে পা লাগিয়েছিলেন কিন্তু আগুয়ান প্রীতমের গায়ে লেগে চলে যায় বাইরে। প্রথমার্ধের শেষ মুহূর্তে দশ জনের দলে পরিণত হয় শেখ জামাল। সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন মাহমুদুল হাসান কিরণ। সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ে ছুটছিলেন সারোয়ার জামান নিপু, কিন্তু পেছন থেকে তাকে টেনে ফেলে দেন কিরণ। তাতে লাল কার্ড দিতে কার্পণ্য করেননি রেফারি। মধ্যবিরতি থেকে ফিরেই ব্যবধান বাড়িয়ে নেয় শেখ রাসেল। শাহীন মিয়ার কর্নারে গানিউ আতান্দার হেড গড়িয়ে গড়িয়ে দূরের পোস্টে লেগে জড়িয়ে যায় জালে। পিছিয়ে পড়া জামাল ম্যাচে ফিরতে মরিয়া চেষ্টা চালায়। তাতে দ্রুতই মেলে সাফল্য। ৫৯ মিনিটে ব্যবধান কমানো গোলটি করেন শুকরবেক খোলমাতোভ। এরপর ধীরগতিতে চলতে থাকে ম্যাচ। ৮০ মিনিটে মিতুল মারমার দৃড়তায় রক্ষা পায় শেখ রাসেল। বক্সের ভেতর থেকে ব্লাদিমিরের শট ফিরিয়ে দেন এই গোলরক্ষক। শেষ দিকে জামালকে সমতায় ফেরানোর সুযোগ নষ্ট করেন সেই ব্লাদিমির। বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া দুর্বল শট চলে যায় বাইরে। তাতে আর ম্যাচে ফেরা হয়নি শেখ জামালের। ২-১ গোলের জয় নিশ্চিত হয় শেখ রাসেলের। এর আগে রেফারির সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে কথার লড়াইয়ে নামেন শেখ রাসেলের কোচ ইয়োস্লাভ ত্রেনসভস্কি। তাতে লাল কার্ড দেখেন মেসিডোনিয়ার এই কোচ।