রংপুর সিটির ভোটে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা ইসির

302

রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোটে নির্বাচন কমিশনের তৈরি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। গতকাল বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে কমিশন সভা শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি। সচিব বলেন, ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই নির্বাচন করার চিন্তা রয়েছে আমাদের। এতে এক বা একাধিক ওয়ার্ডে ডিজিটাইজড ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা রয়েছে। বাংলাদেশের ভোটারদের সঙ্গে ইভিএমের প্রথম পরিচয় ঘটে ২০১০ সালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। এরপর স্থানীয় সরকারের কয়েকটি নির্বাচনে সফলভাবে ইভিএম ব্যবহার হলেও কারিগরি ত্রুটিকে কেন্দ্র করে ইসি-বুয়েট দ্বন্দ্বে এ মেশিন আটকে যায়। এরপর নিজেদের উদ্যোগে ইভিএম তৈরির উদ্যোগ নেয় ইসি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজেদের তৈরি ইভিএম ব্যবহারের ভাবনা থাকলেও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে ইতোমধ্যে সেই উদ্যোগ থেকে সরে এসেছে ইসি। তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোয় তা ব্যবহারের উদ্যোগ তাদের রয়েছে। ২০১২ সালের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো রংপুর সিটি করপোরেশনে ভোট হয়। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের প্রথম সভার পরবর্তী ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে হিসাবে আগামি ২০ অক্টোবর হতে ২০১৮ সালের ১৮ মার্চের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে রংপুরে।
এর আগে ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, কমিশন সভায় নির্বাচন ও ভোটারসহ প্রস্তুতিমূলক সর্বশেষ হালনাগাদ তথ্য উপস্থাপন করা হবে, যাতে পরবর্তী সভায় ভোটের সম্ভাব্য তারিখ নিয়ে পর্যালোচনার সুযোগ থাকে। রংপুর সিটি করপোরেশনে বর্তমানে ভোটার রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৪২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৬৫৯ এবং নারী ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৬২ জন। সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্র ১৯৬টি, ভোটকক্ষ ১ হাজার ১৭৭টি। পাঁচ বছর আগে ভোটার ছিল ৩ লাখ ৫৭ হাজার ৭৪২ জন। এবার দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ভোট হবে এ সিটিতে।