মাশরাফির মতো দেশপ্রেমিক অধিনায়ক আর দেখিনি

191

দুপুরের কড়া রোদেও উচ্ছ্বাসের কমতি নেই সমর্থকের মধ্যে। কানায় কানায় পূর্ণ বলা যায় না। তবে জিম্বাবুয়ের মতো দলের বিপক্ষে দর্শক সংখ্যাটা আলোচনায় আসার মতোই। ৮ মাস পর মিরপুরের শের ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরেছে ক্রিকেট। বাংলাদেশ সমর্থকদের কাছে তাই আগ্রহটাও চোখে পড়ার মতো। তবে কেউ কেউ শুধু ক্রিকেটেই আটকে থাকেন না। ভালোবাসাটা চলে যায় অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা পর্যন্ত।
তেমনই একজন মাহবুব মুর্শেদ জাকল। পেশায় একজন আইনজীবি। ছিলেন ১নং মাইজপাড়া, নড়াইলের চেয়ারম্যান। সেই নড়াইল থেকে ছুটে এসেছেন ক্রিকেটের টানে, সর্বপরি মাশরাফির টানে।
ক্রিকেটটা ছোটবেলা থেকেই পছন্দ। আতহার আলী, আকরাম খানদের ক্রিকেটের খোঁজ রাখলেও, বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাড় সমর্থক ছিলেন না। কখনো ভারত, কখনো পাকিস্তান আবার কখনো ওয়েস্ট ইন্ডিজ সমর্থন করতেন। কিন্তু ২০১৫ সালে মাশরাফির হাতে অধিনায়কত্ব আসার পর অন্য কিছু ভাবার কথা চিন্তাও করেননি। মাশরাফির কথা বলতে বলতে চোখ ছলছল করে ওঠে। বলেন, ‘আইসিসিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসাটা বেড়েছে। কিন্তু কৌশিকের হাতে অধিনায়কত্ব আসার পর তো আর কিছু ভাবারই চিন্তা করিনি। শুধু আমাদের ছেলে বলেই না, মাশরাফির মতো দেশপ্রেমিক আর কোনো অধিনায়কের মধ্যে দেখিনি।’ কথা হলো, পুরান ঢাকা থেকে আসা ছাত্র ফাহাদের সঙ্গে। জানালেন ক্রিকেট ও মাশরাফির প্রতি ভালোবাসার কথা। বলেন, ‘দুদিন আগে থেকে টিকেটের জন্য কত জায়গায় গিয়েছি। বাংলাদেশ ও মাশরাফি ভাইয়ার ঢাকার কোনো ম্যাচ মিস করি না।’