ভাষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বাইসাইকেলে এলেন ভারতের ৮ নাগরিক

92

বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও দূষণমুক্ত পরিবেশের জন্য বাইসাইকেল চালিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশ ভ্রমণে এসেছেন পশ্চিমবঙ্গের ৮ নাগরিক। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে বাংলা ভাষার প্রতি ভালবাসা আর শ্রদ্ধা জানাতে বাংলাদেশে ভ্রমণে এসেছেন তারা। চলতি মাসের ১৪ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে তারা বাংলাদেশের উদ্দেশে রওনা হন। ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলী প্রদেশের চন্দননগর থেকে তারা এই যাত্রা শুরু করেন।

১৫ ফেব্রুয়ারি রানাঘাট দর্শনা হয়ে আলমডাঙ্গা দিয়ে কুষ্টিয়া প্রবেশ করেন তারা। ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুঠিবাড়ি দর্শন করে কুষ্টিয়ার শিলাইদহ ঘাট হয়ে নদীপথে প্রবেশ করেন জেলা শহর পাবনায়। যাত্রাকালে তারা কুষ্টিয়া শহরের লালনসাঁইয়ের মাজার পরিদর্শন করেন।

ভারতের গঙ্গা যা বাংলাদেশ পদ্মা নদী বলে পরিচিত, সেই পদ্মার বিশাল ধুলোমাখা চরের বালু পথে বাইসাইকেল চালিয়ে সন্ধ্যার পরে মূল শহরে প্রবেশ করেন। এসময় স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা তাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

এসময় কাশিনাথপুর নগরবাড়ি ঘাট হয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রবেশ করে ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফিরবেন নিজ দেশে।

‘ইন্দোবাংলা বাইসাইকেল র‌্যালি’ নামে এই সংগঠনের এটা বাংলাদেশে চতুর্থবারের মতো ভ্রমণ।

এবারের যাত্রাকাল ও ভ্রমণের গাইড ও দলপ্রধান হিসাবে রয়েছেন দলের একমাত্র নারী সদস্য মহুয়া ব্যানার্জি। তাকে সার্বিক সহযোগিতা করছেন তার স্বামী শিক্ষক শৈবাল ব্যানার্জি। এছাড়া এবারের যাত্রাতে যারা এসেছেন তাদের মধ্যে দুইজন ব্যবসায়ী ও ৬ জন শিক্ষক রয়েছেন। বাংলাদেশ ভ্রমণে নতুন যে সকল সদস্য এবার এসেছেন তারা হলেন, শিক্ষক শ্রীকান্ত মন্ডল, শিক্ষক প্রণব মাইতি, শিক্ষক প্রসেনজিৎ সরকার, শিক্ষক রমজান আলী, ব্যবসায়ি অঞ্জন দাস ও সত্যব্রত ভান্ডারী।

ভ্রমণদলের সমন্বয়ক শৈবাল ব্যানার্জি বলেন, বাংলা ভাষাভাষী মানুষ ও দুই বাংলার মধ্যে একটি মেলবন্ধন তৈরি করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। এই ভ্রমণে দুইদেশের সীমান্তের কাঁটাতারারের বেড়া কোন বাঁধা বা সমস্যা নয়। বাংলা ভাষার প্রতি ভালোবাসা ও ১৯৫২ সালে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের একটি প্রয়াস।

দশদিনের এই বাইসাইকেল ভ্রমণ যাত্রাকালে বিভিন্ন জেলা শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো পরিদর্শনসহ সাধারণ মানুষের সাথে তারা সংযোগ স্থাপন করবেন। এরপরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদবেদীতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের ভ্রমণ।