ভারত আমাদের তেল কিনবে : ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

230

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরও ভারত ইরান থেকে তেল কিনবে এবং দুই দেশের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে বৈঠক শেষে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভেদ জারিফ এ কথা বলেন। গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে ইরান পরমাণু চুক্তি থেকে সরিয়ে নেন এবং দেশটির উপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। এছাড়াও ইরানের তেল রাপ্তানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে ট্রাম্প প্রশাসন দেশটির উপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, যা আগামি ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। ইরানের তেল রাপ্তানির উপর যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞা কোনো দেশ না মানলে ‘কঠোর পরিণতি ভোগ করবে’ বলে নিরাপত্তা পরিষদে হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। বিশ্ববাজারে তেলের দাম স্থিতিশীল রাখতে তিনি ‘অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ’ (ওপেক) কে তেল উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন। ওপেক ভূক্ত দেশ ইরান তৃতীয় বৃহৎ তেল উৎপাদনকারী। তাদের তেল রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেলে বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির আশঙ্কা রয়েছে। ভারত তেল কেনার বিষয়ে কোনো প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে জারিফ বলেন, “আমাদের ভারতীয় বন্ধুরা তাদের অর্থনৈতিক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার লক্ষ্য অনুযায়ী ইরান থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে সবসময়ই নিরপেক্ষ থাকবেন।” চীনের পর ভারত ইরান থেকে সবচেয়ে বেশি তেল আমদানি করে। আর ভারতে তেল সরবরাহকারী দেশের মধ্যে ইরান তৃতীয়। যদিও ভারত এরইমধ্যে ইরান থেকে তেল আমদানি হ্রাস করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ইরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি। বরং এই অর্থ বছরে ভারত সরকার ইরান থেকে তেল আমদানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে। কারণ, তেহরান দেশটিকে প্রায় বিনামূল্যে তেল পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। তাছাড়া তেলের দাম পরিশোধের সময়ও বাড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রথম দফা ইরানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে যে অল্প কয়েকটি দেশ ইরান থেকে তেল কেনা অব্যাহত রেখেছে ভারত তার অন্যতম।
জারিফ বলেন, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় ইরান।