বড় ব্যবধানে খুলনার কাছে হারল তামিমের বরিশাল

82

বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে বরিশালের বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে জেমকন খুলনা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলেরও দুই নম্বরে উঠে গেছেন মাহমুুদুল্লাহ-সাকিবের খুলনা। ১৭৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১২৫ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল। খুলনা ম্যাচ জিতেছে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে।

আজ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বরিশালকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় খুলনা। ররিশালের বিপক্ষে এনামুল হক বিজয়ের বদলে ওপেনিংয়ে নেমে ৪২ বলে ৬৩ রানের অনবদ্য ইনিংস খেললেন বাঁহাতি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান জাকির হাসান।

৭৪ রানের লক্ষ্য ব্যাট করতে নেমে ভালোই শুরু করে বরিশাল।  ২৬ বলে ১৯ রান করে শুভাগত হোমের বলে সরাসরি বোল্ড হন পারভেজ। আফিফ হোসেন দুর্ভাগ্যক্রমে মাত্র ৩ রান করেই আউট হন।

এদিকে চমৎকার খেলে যেতে থাকলেও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি তামিম ইকবাল। ২১ বল খেলে ৩২ রান করে সেই শুভাগত হোমের বলেই ধরা দেন তামিম। ইরফান শুক্কুরকে ১৬ রানে বোল্ড করেন সাকিব। এরপর বাকি সবাই আসা-যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন। ২৭ বল খেলে হাসান মাহমুদের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৩ রান করেন তৌহিদ।

১৯.৫ ওভার পর্যন্ত খেলতে পারলেও ১২৫ রানের বেশি করতে পারেনি ফরচুন বরিশাল। ফলে ৪৮ রানের বড় ব্যবধানে জেমকন খুলনার কাছে হারল ফরচুন বরিশাল।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামেন খুলনার জহুরুল ইসলাম ও জাকির হাসান। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস আফিফের শেষ বলে ছক্কা হাঁকান। পাওয়ার প্লেতে খুলনার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১ উইকেটে ৪১ রান। দুই অফস্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ ও আফিফ হোসেনকে দেখেশুনে খেলেন এই জুটি।

আবু জায়েদ রাহীর করা ১২তম ওভারে ৩ বাউন্ডারি হাঁকান জাকির। এতে মাত্র ৩৩ বলে অর্ধশতকে পৌঁছে যান আজই প্রথম সুযোগ পাওয়া জাকির। ইনিংসের ১৫তম ওভারে কামরুল রাব্বির বোলিংয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়েন ইমরুল।

আজও ইনিংস লম্বা করতে পারেননি সাকিব। তানভীর ইসলামের বোলিংয়ে ছক্কা মারতে গিয়ে লংঅনে তৌহিদ হৃদয়ের ক্যাচে পরিণত হন সাকিব। সাজঘরে ফেরার আগে ১০ বলে ১৪ রান করেন তিনি।

সাকিবের আউটের আগের ওভারে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা জাকিরকে ফেরান তাসকিন। ৬৩ রানে থামে জাকিরের ইনিংস। এর পরের উইকেটগুলো খুব দ্রুতই পড়ে। যদিও শেষ ৩ ওভারে ৪২ রান করে খুলনা। ১৪ বলে ২৪ রান করে আউট হন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে ১৭৩ রানে পৌঁছে দেন আরিফুল।

বরিশালের পক্ষে ৩ উইকেট নিয়েছেন কামরুল রাব্বি। তাসকিন ২ উইকেটের জন্য খরচ করেন ৪৩ রান। এ ছাড়া বাঁহাতি তানভিরের শিকার ১ উইকেট।