ব্রেক্সিট আলোচনায় আরো ‘কঠোর’ হতাম: ট্রাম্প

342

ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার (ব্রেক্সিট) আলোচনায় থাকলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে’র তুলনায় আরো ‘কঠোর’ হতেন বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্রিটিশ আইটিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে একথা বলেন ট্রাম্প। সাক্ষাৎকারটি গত রোববার প্রচারিত হওয়ার আগেই এর বিশেষ অংশ প্রকাশ করেছে বিবিসি।
ট্রাম্পের দাবি, তিনি ২০১৬ সালের জুনে ইউরোপী ইউনিয়ন ত্যাগের প্রশ্নে যুক্তরাজ্যে গণভোটের ফল আগে থেকেই অনুমান করতে পেরেছিলেন এবং ব্রেক্সিটের কারণে ইইউ যতটা ভেঙে পড়বে বলে ভেবেছিলেন ততটা হয়নি। ট্রাম্প ওই বছরই যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। ব্রেক্সিট আলোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী মে ‘সুবিধাজনক অবস্থানে’ আছেন কিনা- সাক্ষাৎকারে এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমি যেভাবে আলোচনা করি এটি কি সেভাবে হচ্ছে? না, যেভাবে আলোচনা শুরু হয়েছে, আমি হলে সেভাবে করতাম নাৃ আমার মনোভাব ভিন্ন হত।
তিনি কি ভিন্ন আচরণ করতেন এমন প্রশ্ন করা হলে ট্রাম্প বলেন, আমি বলতাম (ব্রেক্সিটের কারণে) ইউরোপীয় ইউনিয়ন যতখানি ভেঙে পড়ার কথা ছিল তারা ততটা ভেঙে পড়েনি। আমি হলে বেরিয়ে আসার জন্য আরো কঠোর অবস্থান নিতাম। টেরিজা মে’র ব্রেক্সিট আলোচনা নিয়ে যুক্তরাজ্যে বিতর্ক আছে। তার সরকার নরম অবস্থান নিয়ে ব্রেক্সিট আলোচনা চালাতে চাইছে এবং এতে করে নামমাত্রভাবে হলেও ইইউ’য়ে যুক্তরাজ্যের থেকে যাওয়ার ঝুঁকি আছে বলে মনে করেন ইইউ বিরোধীরা। এ বিতর্কের মধ্যে মে’ কে নিয়ে ট্রাম্প যে মন্তব্য করলেন তাতে করে ব্রেক্সিটপন্থিদের কাছ থেকে ‘কঠোর ব্রেক্সিট’ আলোচনা চালানোর জন্য বাড়তি চাপে পড়তে পারেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে, বিতর্কিত একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ‘ব্রেক্সিট’ নিয়ে মত বিনিময়ের জন্য ব্রেক্সিট বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে পারে বেক্সিটপন্থিরা। আবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ট্রাম্পের সঙ্গে মে’র সফল বৈঠকের পর তাকে নিয়ে ট্রাম্পের ওই মন্তব্য মে’র জন্য নতুন আরেকটি ধাক্কা বলেও মনে করতে পারেন কেউ কেউ। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের পর মে-ই প্রথম বিশ্ব নেতা যিনি তার সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। শুরুতে উভয়ে নেতার মধ্যে ‘সুসম্পর্ক’ ধারণা করা হলেও সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তা মলিন হয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের একটি চরম-ডানপন্থি সংগঠন থেকে মুসলিম বিরোধী একটি ভিডিও টুইটারে পোস্ট করার পর ট্রাম্প তা রিটুইট করলে মে তার তীব্র সমালোচনা করেন। কড়া ভাষায় মে’ কে তিরস্কার করে ট্রাম্প তার জবাব দেন।
যদিও ট্রাম্প পরে বলেন, তিনি জানতেন না ভিডিওটি চরম-ডানপন্থি সংগঠনের পোস্ট করা এবং এটি সত্যি হলে তিনি ক্ষমা চাইতে প্রস্তুত আছেন।