ব্রাজিল সত্যিই ভাগ্যবান

209

ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে সফলতম দল হচ্ছে ব্রাজিল। এ পর্যন্ত পাঁচবার শিরোপা জয়ের স্বাদ নিয়েছে এই দলটি। ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪ ও ২০০২ সালে ঘরে তুলেছিল বিশ্বকাপ ট্রফি। সর্বশেষ ২০০২ সালে বিশ্বকাপ ট্রফির স্বাদ নিয়েছিল নেইমারের ব্রাজিল। যে দলটি সর্বাধিক পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেও, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে রয়েছে শিরোপা ছাড়া। ব্যাপারটা কেমন দেখায়?এবার সবার আগে বাছাইপর্ব পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে নাম লিখিয়েছে ব্রাজিল, বরাবরের মতো টুর্নামেন্টের ফেবারিট হিসেবেই আছে ব্রাজিল ফুটবল দল। রাশিয়া যাওয়ার জন্য ব্রাজিলের বহর ঠিক হয়ে গেছে।
এখন খেলোয়াড়দের কার কী কাজ তা ঠিক করা নিয়ে ব্যস্ত ব্রাজিল কোচ। ব্যস্ত ব্রাজিলের কৌশল ঠিক করা নিয়েও। আর কদিন বাদেই ক্লাবের প্রতিযোগিতা শেষ হয়ে যাবে। এরপর যার যার কাজ বুঝিয়ে দেবেন ব্রাজিল কোচ তিতে। আর তার তালিকায় বেশ কাজ থাকবে গাব্রিয়েল জেসুস এবং রবার্তো ফিরমিনোর জন্য। ব্রাজিলকে গোল এনে দেওয়ার দায়িত্ব যে থাকবে এই দুজনের কাঁধে।ব্রাজিলের শুরুর একাদশে গাব্রিয়েল জেসুস মোটুমুটি নিশ্চিত। তার বদলি হিসেবে নামবেন ফিরমিনো।
তবে দুজনই লিগে দারুণ মৌসুম কাটিয়েছেন। আর তাই জেসুসের ম্যানসিটি কোচ পেপ গান্দিওয়ালা মনে করেন ভাগ্যবান ব্রাজিল। তাদের মতো দুজনকে একসঙ্গে দলে পেয়েছে। গান্দিওয়ালা বলেন, জেসুস আর ফিরমিনোর মতো দারুণ দুজন স্টাইকার পেল ব্রাজিল। আমার মনে হয় দলটি সত্যিই ভাগ্যবান। সিটির হয়ে জেসুস চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১৭ গোল করেছেন। চোটের কারণে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে না থাকলে ম্যাচ এবং গোল দুটিই বেশি পেতেন জেসুস।
অন্যদিকে অলরেডসদের নাম্বার নাইন ফিরমিনোর গোলসংখ্যা ২৭টি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠতে দারুণ অবদান আছে ব্রাজিলিয়ান এই স্টাইকারের। এছাড়া বেশ কিছু গোলেও দারুণ অবদান রেখেছেন তিনি। নেইমারের পাশে দারুণ মানিয়ে নেওয়ার দক্ষতা আছে ফিরমিনোর। এছাড়া ব্রাজিলের আরেক তারকা কৌতিনহোর সঙ্গে লিভারপুলে দীর্ঘদিন একসঙ্গে খেলেছেন তিনি। সবমিলিয়ে তিনিও রাশিয়া বিশ্বকাপের বড় তারকা।