বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় যেসব স্থান

80

বিশ্বের সপ্তাশ্চর্য বা সপ্তম আশ্চর্য নিয়ে মানুষের কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকে এসব স্থান তালিকা ধরে ধরে ভ্রমণ করেন। তবে যে কোনো স্থানই কিন্তু এই তালিকায় স্থান পায় না। এই স্থান বা স্থাপনাসমূহকে অবশ্যই হতে হয় ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যগত গুরুত্ব সম্পন্ন।

প্রাচীন বা নতুন যে কোনো স্থাপনাই এই তালিকায় যুক্ত হতে পারে। প্রাচীনকালে হেলেনীয় সভ্যতার পর্যটকেরা প্রথম এ ধরনের তালিকা প্রকাশ করেছিল। সেই থেকে প্রতিটি যুগেই এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই তালিকা কিন্তু একই থাকেনি যুগের পর যুগ। প্রতিবারই কিছু না কিছু বদলেছে। তালিকায় যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন স্থাপনা। সুইজারল্যান্ডের একটি সংস্থা পুনরায় ২০০০ সালে নতুন করে বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের তালিকা (Wonders of the World) তৈরির কাজ শুরু করে, সেই তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। চলুন দেখে নেওয়া যাক সর্বশেষ সপ্তাশ্চর্যের তালিকায় যেসব স্থান রয়েছে তার খবর-

তাজমহল, আগ্রা
নতুন সপ্তম আশ্চর্যের মধ্যে প্রথমেই বলতে হবে আগ্রার তাজমহলের কথা। সাদা মার্বেল পাথরের অপূর্ব এই সৌধ নির্মাণ করেন পঞ্চম মুঘল সম্রাট শাহজাহান। ১৬৩১-এ প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহলকে হারান তিনি। তার স্মৃতির উদ্দেশ্যেই তৈরি হয় তাজমহল।

jagonews24

ক্রাইস্ট দ্য রেডিমারের মূর্তি, ব্রাজিল
ব্রাজিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর রিও ডি জেনিরোতে রয়েছে ক্রাইস্ট দ্য রেডিমারের মূর্তি। যা তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। এই অর্থের পুরোটাই অনুদান হিসেবে সংগ্রহ করা হয়। ১৩০ ফুটের মূর্তিটি দাঁড়িয়ে রয়েছে মাউন্ট কর্কোভাডো পর্বতচূড়ার কোলে। ১৩০ ফুটের মূর্তিটি দাঁড়িয়ে রয়েছে মাউন্ট কর্কোভাডো পর্বতচূড়ার কোলে।

গ্রেট ওয়াল অব চায়না, চীন
প্রাচীন ও নতুন দুই সপ্তম আশ্চর্যের তালিকাতেই জায়গা করে নিয়েছে গ্রেট ওয়াল অব চায়না বা চীনের প্রাচীর। খ্রীস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে বৈদেশিক আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য কুন ও মিং রাজবংশের তরফে এটিকে তৈরি করা হয়। পাঁচিলটির দৈর্ঘ্য প্রায় ৮ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার।

রোমান কলোসিয়াম, ইতালি
আশ্চর্য ঐতিহাসিক নিদর্শন এর পুরনো এবং নতুন দুটো তালিকাতেই জায়গা করে নিয়েছে রোমান কলোসিয়াম। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি স্টেডিয়াম। রোমান সম্রাট নিরোর আমলেই এটি নির্মাণ করা হয়। ইতালির রোম শহরে অবস্থিত এই বৃহৎ উপবৃত্তাকার ছাদবিহীন একটি মঞ্চ। ৫০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন এই মঞ্চ সাধারণত গ্ল্যাডিয়েটরদের প্রতিযোগিতা এবং জনসাধারণের উদ্দেশ্যে প্রদর্শনীর জন্য ব্যবহৃত হত। এখানে প্রতিযোগীকে ক্ষুদার্থ সিংহের সঙ্গে লড়াই করতে হত।

এছাড়াও এই তালিকাতে জায়গা পেয়েছে পেরুর মাচু পিচু, মেক্সিকোর চিচেন ইটজা ও জর্ডনের পেট্রা। আশ্চর্যের নিদর্শন এর তালিকাতে অষ্টম আশ্চর্য হিসেবে পানামা খালকে জায়গা দেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ব্রিটেনিকা, ওয়ার্ল্ড হিস্টোরি