বারী সিদ্দিকীর মরদেহ নেত্রকোনার পথে

498

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টায় স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে বারী সিদ্দিকীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিটিভিতে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে বাংলাদেশ টেলিভিশন প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ নেত্রকোনার উদ্দেশে নেয়া হয়। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে কিংবদন্তী এ শিল্পীর জানাজায় খুব বেশি লোকসমাগম ঘটেনি। দেখা যায়নি তেমন কোনো শিল্পীকে। কেবল সঙ্গীতাঙ্গন থেকে ফকির আলমগীর, নকিব খান, ও ক্লোজআপ তারকা নোলক বাবু আসেন। বারী সিদ্দিকীর দাফন প্রসঙ্গে সাব্বির সিদ্দিকী জানান, নেত্রকোনা সরকারি কলেজ মাঠে বাদ আসর তৃতীয় জানাজা শেষে জেলা সদরের চল্লিশা বাজারের কারলি গ্রামের বাউলবাড়িতে বারী সিদ্দিকীকে দাফন করা হবে। বারী সিদ্দিকী ১৯৫৪ সালের ১৫ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় এক সঙ্গীতজ্ঞ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের কাছে গান শেখায় হাতেখড়ি তার। মাত্র ১২ বছর বয়সেই নেত্রকোনার শিল্পী ওস্তাদ গোপাল দত্তের অধীনে তার আনুষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমান, দবির খান, পান্নালাল ঘোষসহ অসংখ্য গুণীশিল্পীর সরাসরি সান্নিধ্য লাভ করেন। ওস্তাদ আমিনুর রহমান একটি কনসার্টের সময় বারী সিদ্দিকীকে অবলোকন করেন এবং তাকে প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দেন। পরবর্তী ছয় বছর ধরে তিনি ওস্তাদ আমিনুর রহমানের অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। সত্তরের দশকে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ওস্তাদ গোপাল দত্তের পরামর্শে ক্লাসিক্যাল মিউজিকের ওপর পড়াশোনা শুরু করেন। পরবর্তী সময়ে বাঁশির প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেন ও বাঁশির ওপর উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে প্রশিক্ষণ নেন। নব্বইয়ের দশকে ভারতের পুনে গিয়ে পণ্ডিত ভিজি কার্নাডের কাছে তালিম নেন। দেশে ফিরে এসে লোকগীতির সঙ্গে ক্লাসিক মিউজিকের সম্মিলনে গান গাওয়া শুরু করেন।