বাবার পদক পেলেন সুবর্ণা মুস্তাফা

263

২০০৩ সালে গোলাম মুস্তাফার প্রয়াণের পর থেকে গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ ‘একুশের প্রথম প্রহর উদ্যাপন’ এবং ‘গোলাম মুস্তাফা স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আসছে। ধারাবাহিকভাবে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে গত বছর এই পরিষদ আবৃত্তির প্রেরণা পুরুষ গোলাম মুস্তাফার নামে ‘গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদক’ প্রবর্তন করে। গত বছর ১০ আবৃত্তিজনকে বিশেষ এই পদকে ভূষিত করা হয়। সেই ধারাবাকিতায় এবারও ১০ জনকে এই সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। এবার ৯ জনের সঙ্গে গোলাম মুস্তাফার যোগ্য উত্তরসূরি সুবর্ণা মুস্তাফাকেও এই পদকে ভূষিত করা হয়। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে সন্ধ্যা ছয়টায় আবৃত্তির পুরোধা ব্যক্তিত্ব ১০ আবৃত্তিজনের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই গোলাম মুস্তাফার পথিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রধান অতিথি সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিশেষ অতিথি নাসির উদ্দিন ইউসুফ এবং সুবর্ণা মুস্তাফা। অনুষ্ঠানে বাবাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সুবর্ণা মুস্তাফা। বাবার নামের পদকে ভূষিত হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অবশ্যই এটা গর্বের বিষয় যে আমার বাবার নামের পদক আমিও পেয়েছি। যারা আমাকে এই পদকে ভূষিত করেছেন তাদের প্রতি আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ এবং এমন বাবার কন্যা হিসেবে বাবার নামে পদক পাওয়াটা আমার জীবনের সর্বশেষ্ঠ প্রাপ্তি। ধন্যবাদ বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ। অনুষ্ঠানে আরো যারা গোলাম মুস্তাফা আবৃত্তি পদকে ভূষিত হয়েছেন তারা হচ্ছেন আবৃত্তিজন খান জিয়াউল হক, তারিক সালাহউদ্দিন মাহমুদ, এস এম মহসীন, রুহুল আমিন প্রামাণিক, নিরঞ্জন অধিকারী, কাজী মদিনা, ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী আরিফ (মরণোত্তর) ও রণজিত রক্ষিত। এদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকার চেক, উত্তরীয় ও পদক প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য ‘বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ’র সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আহ্কাম উল্লাহ্।