বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচীর শরীরে বসানো হলো পেসমেকার

34

ভারতীয় বাংলা সিনেমার বর্ষীয়ান অভিনেতা সব্যসাচী চক্রবর্তীর শরীরে পেসমেকার বসানো হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সফলভাবে বসানো হয় কৃত্রিম যন্ত্রটি।

নিউজ১৮ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করায় গতকাল সকালে কলকাতার বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সব্যসাচীকে। হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. প্রিয়ম মুখার্জির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ফেলুদা। সব্যসাচীর হার্টে ব্লক ধরা পড়ায় পেসমেকার বসানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। এরপর গতকাল সন্ধ্যায় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পেসমেকার বসানো হয়।

সব্যসাচীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। তার পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনেতার স্বাস্থ্য সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হচ্ছে না। তাদের বক্তব্য, যা বলার চিকিৎসকরাই বলবেন। আপাতত সব্যসাচীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য মেডিক‍্যাল টিম বসানো হতে পারে বলেও এ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

১৯৫৬ সালের ৮ সেপ্টেম্বর ভারতের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন সব্যসাচী। ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন। হংসরাজ কলেজ থেকে বিএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৭৮ সালে দিল্লিতে এএমআই পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। ১৯৮৬ সালে মিঠু চক্রবর্তীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে গৌরব ও অর্জুন নামে দুই ছেলে রয়েছে।

সব্যসাচীর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হচ্ছে: সত্যজিৎ রায়ের ‘ফেলুদা’, সন্দীপ রায়ের ‘বাক্স রহস্য’। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘অন্তর্ধান’। এছাড়াও তার অভিনীত সিনেমা হলো: ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’, ‘তিনকাহন’, ‘হেমলক সোসাইটি’, ‘থানা থেকে আসছি’, ‘রয়েল বেঙ্গল রহস্য’, ‘ল্যাবরেটরি’, ‘গোরস্থানে সাবধান’, ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ প্রভৃতি। অভিনয় ছাড়াও প্রকৃতি-পরিবেশের প্রতি তার ভালোবাসা রয়েছে। তিনি একজন ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার।