বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

219

ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বরেণ্য সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোর। এবার তার চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে চিকিৎসার জন্য মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করেছে শিল্পীর পরিবার। চিকিৎসা ব্যয় মেটানোর জন্য রাজশাহীতে নিজের ফ্ল্যাটও বিক্রি করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই শিল্পী। চিকিৎসার জন্য আরো টাকা প্রয়োজন। কিন্তু পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব। এমতাবস্থায় এন্ড্রু কিশোরের চিকিৎসায় পূর্ণ সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।আজ রোববার প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আশরাফুল আলম খোকন জানান, শিল্পীর চিকিৎসার পুরো বিষয়টি তদারকির জন্য ইতোমধ্যে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার চিকিৎসার বিষয়টি দেখভাল করছেন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে চিকিৎসা শেষে এন্ড্রু কিশোরের দেশে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু ওই সময়ে দেশে ফেরা হচ্ছে না তার। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এন্ড্রু কিশোরকে ছয় সাইকেলে ২৪টি কেমোথেরাপি দিতে হবে। ইতোমধ্যে ৪ সাইকেলে ১৬টি কেমোথেরাপি দেয়া হয়েছে। পঞ্চম সাইকেলের কেমোথেরাপি দেয়া শুরু হয়েছে। এখন বাকি রয়েছে আরো ৭টি কেমোথেরাপি।

গত ৯ সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন এন্ড্রু কিশোর। তিনি হরমোনজনিত সমস্যায়ও ভুগছিলেন। এ কারণে তার ওজন হ্রাসসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। এড্রেনাল গ্লান্ড বড় হয়ে গিয়েছিল। শুরুতে এই গায়কের সঠিক রোগ নির্ণয় করা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ সিঙ্গাপুরে বায়োপসি রিপোর্টের ভিত্তিতে চিকিৎসকেরা নিশ্চিত হন এন্ড্রু কিশোর ক্যানসারে ভুগছেন।

এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া শ্রোতাপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘বেদের মেয়ে জোছনা আমায় কথা দিয়েছে’, ‘তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’, ‘ভালো আছি ভালো থেকো’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’ প্রভৃতি।