প্রস্রাবে ইনফেকশন,প্রতিরোধে করণীয়

111

নারীদের প্রস্রাবে ইনফেকশন একটি অতি পরিচিত ঘটনা। প্রস্রাব জমা থাকলে সেখানে সহজেই ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া প্রস্রাবে ইনফেকশনের জন্য দায়ী। নারীদের ক্ষেত্রে সহজেই ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালি থেকে মূত্রথলিতে প্রবেশ করতে পারে। এই ব্যাকটেরিয়া অনেক সময় আসে পায়খানার রাস্তা থেকে। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকার কোনো বিকল্প নেই। সহবাসের পর সহজেই ব্যাকটেরিয়া মূত্রনালিতে প্রবেশ করতে পারে। তাই সহবাসের আগে ও পরে প্রস্রাব করা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা গুরুত্বপূর্ণ। ডায়াবেটিক রোগীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকে। তাই তাদের বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হয়। তাই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

কাদের প্রস্রাবে ইনফেকশন বেশি হয়?

* যাদের ডায়াবেটিস আছে
* যাদের প্রোস্টেটের রোগ আছে (যেমন প্রস্টেটগ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া)
* ক্যাথেটার করার পর
* মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর
* নিউরোলজিক্যাল কোনো রোগ (যেমন-স্পাইনাল কর্ডের সমস্যা)

লক্ষণ

* কাঁপুনি দিয়ে জ্বর
* পিঠের দিকে বা তলপেটে ব্যথা
* বারবার প্রস্রাব হওয়া
* প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া বা ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া
* প্রস্রাবে জ্বালপোড়া
* প্রস্রাব করার পর ব্যথা
* ছেলেদের ক্ষেত্রে বীর্যপাতের সময় ব্যথা।

প্রতিরোধে করণীয়

* অন্য কোনো সমস্যা না থাকলে প্রতিদিন কমপক্ষে দুই লিটার পানি পান করতে হবে
* প্রস্রাব আটকে রাখা যাবে না, নিয়মিত প্রস্রাব করতে হবে
* রাতে শোবার আগে বা সহবাসের পর প্রস্রাব করতে হবে
* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে
* টয়লেট টিস্যু সামনে থেকে পেছনের দিকে ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে এ নিয়ম গুরুত্বপূর্ণ।

চিকিৎসা

* পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খেতে হবে (কমপক্ষে দুই লিটার)
* ইউরিন কালচার পরীক্ষার পর যথাযথ অ্যান্টিবায়োটিক যথাসময় পর্যন্ত খেতে হবে।
* কারো যদি মূত্রনালিতে বা প্রোস্টেটের সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে ইউরোলজিস্টের পরামর্শ নিতে হবে।
* বারবার প্রস্রাবে ইনফেকশন হলে কিডনি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
তাই প্রস্রাবে ইনফেকশন যেন না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে, হলে যথাযথ চিকিৎসা নিতে হবে।

পরামর্শ দিয়েছেন
ডা. মো. মাজহারুল হক তানিম
মেডিসিন, ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ