পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

278

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি সমাপনী পিইসিতে পাস করেছে ৯৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও জেএসসিতে ৯৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ পাস করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল কাদের। ইবতেদায়িতে পাসের হার ৯৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর পিইসিতে ৯৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।
এদিকে, ভোলাহাটেও পিইসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা সবদিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে ফলাফলে। ভোলাহাট শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় মোট ৪৭টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১১টি কিন্ডার গার্ডেন ও ৮টি ব্র্যাকের স্কুল থেকে মোট ২ হাজার ১শ’ ৩১জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা অংশ গ্রহণ করে। এর মধ্যে পাশ করেছে ২ হাজার ১০৪জন। এর মধ্যে বালক ৯শ ২৯জন এবং বালিকা ১ হাজার ১৭৫জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে বালক ১শ ১৩জন ও বালিকা ১শ ৬০জন। অপরদিকে ইবতেদায়ী মাদরাসা ১২টি। এর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২শ জন। এর মধ্যে পাশ করেছে ১শ ৯৮জন। বালক ১০১ জন ও বালিকা ৯৭ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে বালক ১জন ও বালিকা ৩জন। পিইসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গণি ও শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, এবারের ফলাফল গত বছরের চেয়ে অনেক ভাল। তবে এবার ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা সর্বদিক দিয়ে ভাল করেছে।
অন্যদিকে, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত জেডিসি পরীক্ষার ফলাফল গতকাল সোমবার ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ফলাফলে জেলায় ৮ জন শিক্ষার্থী এ প্লাস অর্জন করেছেন। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলায় ৪ জন এবং শিবগঞ্জ উপজেলা থেকে ৩ জন ও গোমস্তাপুর উপজেলা থেকে ১ জন এ প্লাস অর্জন করেছেন। ঘোষিত ফলাফলে জানা গেছে, এবার শীর্ষ স্থান অধিকার করেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদরাসা। এ মাদরাসা থেকে এবার ৬২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাস করেছেন এবং ৩ জন এ প্লাস অর্জন করেছেন। অন্যজন এ প্লাস পেয়েছেন নবাবগঞ্জ মহিলা ফাজিল মাদরাসা থেকে। শংকরবাটী হেফজুল উলুম এফকে কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. এমরান আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া, নাচোলে এবছর জেএসসি ও পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭৮জন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানাগেছে, এবছর নাচোল উপজেলায় ২৯টি মাধ্যমিক ও নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষায় ১হাজার ৭শ’ ৮২জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। তার মধ্যে ১ হাজার ৭শ’ ১৮জন কৃতকার্য হয় এবং জিপিএ-৫ পায় ১শ’২১জন। অপরদিকে, ১৬টি মাদ্রাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষায় ৪শ’২২জন অংশ গ্রহণ করে ৩শ’৬৯জন কৃতকার্য হয়। এদিকে, ১শ’২৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ২হাজার ৭শ’২৩জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ২হাজার ৬শ’৫০জন কৃতকার্য হয় এর মধ্যে ৩শ’৫৭জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫পায়। অন্যদিকে, ১৭টি এবতেদায়ী মাদ্রাসা থেকে ২শ’৭৮জন পরীক্ষার্থী পিইসি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে সকলেই কৃতকার্য হয়।