দুস্থ মহিলাদের মধ্যে চেক বিতরণ

419

রুরাল এমপ্লয়মেন্ট এন্ড রোড মেইনটেন্যান্স প্রোগাম-২ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২য় পর্যায়ে নিয়োজিত সদও উপজেলার দুঃস্থ মহিলা কর্মীদের মাঝে ৪০ শতাংশ সঞ্চয়ী হিসাবের চেক প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে আজ সকালে সদর উপজেলা পরিষদ হলরুমে সদর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি থেকে ১০ জন করে সর্বমোট ১৪০ জন নারীর হাতে চেক প্রদান করা হয়। সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মাসুদুর রহমান মাসুদের সভাপতিত্বে চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি হিসেবে উপস্থিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন এলজিইডি”র নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেশুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মোহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান এজাবুল হক বুলি, গোবরাতলা ইউপি চেয়ারম্যান আসজাদুর রহমান মান্নুসহ সুবিধাভোগী দুঃস্থ নারীরা। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার ১৪০ জন নারীর মাঝে প্রত্যেককে ৩৭ হাজার ৯শ ৯৫ টাকা করে সর্বমোট ৫৩ লক্ষ ১৭ হাজার ৩ শত ৪০ টাকা প্রদান করা হয়। প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুলাই থেকে ২০১৭ সালের জুন পযর্ন্ত দুই বছর স্থায়ী ছিল। এলজিইডি”র নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, সরকার জনগণবান্ধব সরকার হওয়ায় গরীবের দিকে সর্বদায় নজর দিয়ে আসছে। সরকারের ঘোষনা ছিল বাংলাদেশে কোন মানুষের ভাত, কাপড়ের অভাব থাকবে না। এসব প্রকল্পের মাধ্যমেই সরকার দারিদ্রমুক্ত, ভিক্ষুকমুক্ত দেশ আমাদেরকে উপহার দিচ্ছে। এসব নারীদের শুধুমাত্র রাস্তাঘাট ঠিক করার কাজেই নিয়োজিত ছিল না। তাদেও অন্যান্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে। সামনের দিনে আরও অন্য কোন প্রকল্প আসলে আবার এসব দুঃস্থ নারীরা কাজ করতে পারবে। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস চেক নিতে আসা দুঃস্থ অসহায় নারীদেও উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কি জানেন? এই প্রকল্পটি কোন সরকার গ্রহণ করেছে? ১৯৯৬ সালে হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর এদেশের অসহায়, দুঃস্থ মা-বোনদেও যেন তাদের স্বামীর দিকে চেয়ে থাকতে না হয়, কর্মক্ষম ও আয়ের ব্যবস্থা করতে, নিজেরাই স্বাবলম্বী হতে পারে এই উদ্দেশ্যে এই প্রকল্পটি গ্রহন করে। এই প্রকল্পটি অথবা অন্য কোন নতুন প্রকল্প চালু হলে আবার আপনাদেও কাজের ব্যবস্থা করবে বর্তমান সরকার। বর্তমানে শেখ হাসিনা সরকার বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, শিক্ষার্থীদের জন্য উপবৃত্তি ইত্যাদি প্রকল্প অব্যাহত রেখেছে। সরকার আরও একটি নতুন প্রকল্প চালু করছে, যাদের জমি আছে, কিন্তু বাড়িঘর করতে পাওে না সরকার তাদেও বাড়ি বানিয়ে দিবে। যেটি ইতোমধ্যে শিবগঞ্জ উপজেলায় চালু হয়েছে। সদর উপজেলাতেও হবে, তবে একটু দেরি হচ্ছে। কারন আমরা সদর উপজেলার জন্য বেশি আবেদন করেছি। দেবীনগর, সুন্দরপুর, ইসলামপুর ইউনিয়নের মানুষদের জন্য সরকার দ্বিতীয় মহানন্দা সেতু করে দিয়েছে। আমি কথা দিয়েছিলাম, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করব, রেললাইন করে দিবো, পৌরসভার উন্নয়ন করব। আমি কথা রেখেছি। এবার আপনাদের পালা। আমাকে তথা শেখ হাসিনা সরকারকে আবারও ভোট দিয়ে বাকি কাজ শেষ করার সুযোগ দিবেন এটাই প্রত্যাশা সকলের কাছে।