দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ পিপিপি প্রকল্পে

327

বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হলেও আসছে বাজেটে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) প্রকল্প বাস্ত্তবায়নে অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। আসছে ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দের পরিমাণ বাড়িয়ে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও চলতি অর্থ বছরে এ খাতে বরাদ্দ দুই হাজার কোটি টাকার মধ্যে মাত্র ৮০০ কোটি টাকার মতো ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। জানা যায়, ২০০৯-১০ অর্থ বছরের বাজেটে প্রথম পিপিপি খাতে বরাদ্দ দেন অর্থমন্ত্রী। তখন এই খাতকে অর্থমন্ত্রী ‘নব উদ্যোগ বিনিয়োগ প্রয়াস’ নামে অভিহিত করেন। প্রতিবছর ৩৯ হাজার কোটি টাকা হিসেবে পাঁচ বছরে ১ লাখ ৯৬ হাজার কোটি টাকা পিপিপি উদ্যোগ থেকে পাওয়া যাবে বলেও তখন তিনি আশা করেছিলেন। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছর পর্যন্ত সাত বছরে পিপিপি খাতে বিনিয়োগ এসেছে এক লাখ ৪২ হাজার কোটি টাকা। সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুযায়ী পাঁচ বছরে অবকাঠামো খাতে তিন লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশাল এ ঘাটতি মোকাবেলায় ২০০৯-১০ অর্থ বছর থেকে পিপিপির ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। তাই টানা সাত বছর সফলতা না এলেও এবারের বাজেটে দুই হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। সর্বশেষ চলতি ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের বাজেটে এ খাতে সরকার ২ হাজার কোটি টাকার বরাদ্দ রাখে। এর আগে কয়েক বছর এ খাতে ৩ হাজার কোটি টাকা করে বরাদ্দ রাখা হয় বাজেটে; কিন্তু এসব অর্থ ব্যয় না হওয়ায় বছর শেষে তা অন্য খাতে ব্যয় করেছে সরকার। পিপিপির আওতায় বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অর্থনেতিক অঞ্চল, পরিবহন, স্বাস্থ্য, জ¦ালানিসহ কয়েকটি খাতে এ পর্যন্ত ৪২টি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। অবকাঠামোর উন্নয়নে বিশ্বজুড়েই পিপিপি জনপ্রিয় পদ্ধতি। সূত্র জানায়, আসন্ন অর্থ বছর থেকে পিপিপির মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্পকে নেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। জানা যায়, ইতোমধ্যেই জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) অনুমোদন পাওয়া আগামী অর্থ বছরের এডিপিতে এ খাতের ১৩ প্রকল্প থাকছে।