ত্বক মসৃণ রাখতে যা করবেন

482

বর্ষাকালে ত্বকে চুলকানি, ব্রণ, ফুসকুড়ি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব চর্মরোগ থেকে পরিত্রাণের জন্য রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদান। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদন অবলম্বনে সেসব প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের নিয়ম এখানে দেওয়া হল। নিম: প্রদাহ, জ¦ালাপোড়া, ভাইরাস, ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া সবকিছুর সঙ্গে লড়াই করার যোগ্য উপাদান রয়েছে নিমে। তাই ফুসকুড়ি, একজিমা, ব্রণ ও সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করতে এটি অত্যন্ত উপকারী। নিম থেতলে পেস্ট বানিয়ে বা নিমযুক্ত সাবান কিংবা তেল ব্যবহারে উপকার মিলবে। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার। বেইকিং সোডা। বেইকিং সোডা। অ্যাপল সাইডার ভিনিগার: এলার্জি, শুষ্ক ত্বক, চুলকানি ইত্যাদি সমস্যা তাড়াতে এটি বেশ উপকারী। ত্বকের চুলকানি আক্রান্ত অংশে এক চা-চামচ অ্যাপল সাইডার ভিনিগার মাখিয়ে রাখতে পারেন। এতে আছে অ্যান্টি-সেপটিক ও ছত্রাক সংক্রমণ রোধকারী গুণ। এছাড়াও ত্বকের অম্লীয় মাত্রা নিয়ন্ত্রণ এবং আর্দ্রতা বাড়াতেও উপকারী অ্যাপল সাইডার ভিনিগার।
বেইকিং সোডা: চুলকানি ও ফুসকুড়ি সারানোর জন্য কার্যকর। এক বালতি পানিতে এক কাপ বেইকিং সোডা গুলিয়ে আধা ঘণ্টা শরীর ভিজিযে রাখলে উপকার মিলবে।
ওটমিল: ওটমিল মেশানো পানি দিয়ে গোসল করলে একজিমা ও ‘সোরিয়াসিস’ বা ফুসকড়িজনীত ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে। কারণ এতে আছে ময়েশ্চরাইজিং ও প্রদাহরোধী উপাদান। গোসলের পানিতে কয়েক কাপ ওটমিল মিশিয়ে তাতে আধা ঘণ্টা শরীর ভিজিয়ে রাখতে হবে।
অলিভ অয়েল: ভিটামিন-ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর এই তেল, যা ত্বকের আর্দ্রতা বাড়ায়, ক্ষয়পূরণ করে এবং ত্বকে প্রাণ ফিরিয়ে আনে। পাশাপাশি চুলকানিও সারায়।
অলিভ অয়েল। অলিভ অয়েল। অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা। অ্যলোভেরা: র‌্যাশ ও চুলকানি থেকে বাঁচতে আক্রান্ত অংশে তাজা অ্যালোভেরা ২০ মিনিট মাখিয়ে রাখতে পারেন। অ্যালোভেরায় আছে প্রদাহ, ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাকের সংক্রমণ রোধকারী গুণাগুণ।
ধনেপাতা: ফুসকুড়ি ও চুলকানির আয়ুর্বেদিক সমাধান ধনেপাতা। ধনেপাতার পেস্ট তৈরি করে ত্বকের আক্রান্ত অংশে এক ঘণ্টা মাখিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সদ্য তৈরি ধনেপাতার সরবত পান করলেও উপকার পাবেন।