ডায়াবেটিস রোগীদের ইফতার ও সেহরি

493

ঐতিহ্যগতভাবেই সিয়াম সাধনার মাস রমজান হওয়া স্বতেও টেবিল ভরা ইফতার, ভাজা আইটেম, সেহরিতে বেশী খাবার গ্রহণের প্রবণতা আমাদের যেন চিরন্তন রূপ। যার ফলে বেশীরভাগ সময়ই দেখা যায় সারা বছরের রুটিনের সাথে রমজানের অমিল থাকার ফলে রোজার মাসে মোটামুটি সুস্থ থাকলেও দেহের যে পরিবর্তন ঘটে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটে রোজা শেষ হবার পর পরই। যেমন ওজন বেড়ে যাওয়া, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে না থাকা, কোলেস্টেরল লেবেল বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। অথচ একটু সচেতন হলেই ইফতার ও সেহরি যেমন আনন্দের সাথে গ্রহণ করা যায় তেমনি দৈহিক বিভিন্ন অনিয়ন্ত্রিত সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ঠিক তেমনি একটি নিয়ন্ত্রণযোগ্য স্বাস্থ্য সমস্যা হচ্ছে ডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস সমস্যায় স্বাস্থ্যকর ইফতার ও সেহরি।

ইফতার
চিনি ছাড়া জাম্বুরা, তরমুজ, পাকা পেঁপে, আনারসের সরবত অথবা জুস, সুপের চেয়ে সামান্য ঘন সবজির নরম খিচুড়ি (আলু ছাড়া), দুটি পেঁয়াজু, দুটি বেগুনি, আধা কাপ হালিম-যে কোন ১টি, ছোলাভাজা ১ টেবিল চামচ, দইবড়া ছোট-১টি, মৌসুমি ফল (আম, কাঁঠাল, ও কলা ব্যতীত) অথবা ফ্রুট ককটেল-১ পরিবেশন।

রাতের খাবার
রুটি ২-৩ পিস ছোট, মিক্সড সবজি পৌণে ১ বাটি, ২ টুকরা মাছ/মাংস ছোট, এবং ঘুমানোর আগে ১ পরিবেশন ফল গ্রহণ করতে পারেন।

সেহরির খাবার
ননিতোলা ১ গ্লাস দুধের সাথে ৪ টেবিল চামচ ওটমিল/কোয়েকার্স ওটস/ছাতু মিশিয়ে জ¦াল দিয়ে ঘন হয়ে আসলে কাস্টার্ডে ব্যবহূত ফল ছোট ছোট (যেমন-আপেল, কমলা, কামরাঙ্গা, আমড়া, আনার, মালটা, পাকা পেঁপে ইত্যাদি) করে কেটে মিশিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। আপেল ছাড়া বাকি ফলগুলো ছোট ছোট করে কেটে রাতেই এয়ার টাইট বক্সে ফ্রিজে রেখে দেয়া যায়। সময় লাগে মাত্র ৫-৭ মিনিট। বাটির পরিমাণ = ১ বাটি = ম্যালামাইনের ছোট সুপের বাটির ১ বাটি।
উপরে উল্লেখিত উপায়ে রোজা পালনে যেমন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে ঠিক তেমনি শরীর সুস্থও থাকবে।