চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১০৭ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৬৪২৩ শিক্ষার্থী পাবে উপবৃত্তি

494

মোবাইল ব্যাংককিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে উপবৃত্তির টাকা পৌঁছানোর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে সরকার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধিন উচ্চ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় সারা দেশেই দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার পথকে সুগম করতেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা। এ প্রকল্পের আওতায় এ বছর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ১০৭ টি কলেজ ও মাদ্রাসায় একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণির ৬ হাজার ৪২৩ জন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবে। উপবৃত্তির এই টাকা মোবাইল ব্যাংককিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পেয়ে যাবে। প্রকল্পভূক্ত উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান প্রধান, জেলা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারদের সাথে উবৃত্তি বিতরণ সংক্রান্ত আলোচনা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উচচ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ন সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারী কথা গুলো বলেন। শুক্রবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রকল্পের বিভিন্ন দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন শ্যামা প্রসাদ বেপারী। তিনি আরও বলেন, আগে উপবৃত্তির টাকা সঠিক ভাবে শিক্ষার্থীরা পেত না, অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা ছিল। তবে মোবাইল ব্যাংককিংয়ের মাধ্যমে এখন খুব দ্রুত কোন সমস্যা ছাড়াই শিক্ষার্থী তার উপবৃত্তির টাকা পেয়ে যাচ্ছে। এতে তার পড়ালেখার খরচ জোগানো সহজ হচ্ছে। এ সময় তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বলেন, আপনারা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন কর্মমুখী শিক্ষার প্রশিক্ষণের উদ্যোগ নিতে পারেন। আপনারা চাইলেই এটি করতে পারেন, এরফলে পড়ালেখার পাশাপাশি ওই শিক্ষার্থী কিছু আয় করার সুযোগ পাবে। উচচ মাধ্যমিক উপবৃত্তি প্রকল্পের পরিচালক যুগ্ন সচিব শ্যামা প্রসাদ বেপারী শিক্ষকদের আরও বলেন, বর্তমান সময় তথ্যপ্রযুক্তির সময়, তাই আপনারা অবশ্যই বিষয়গুলো সম্পর্কে সঠিক ধারণা নিবেন, তা যদি না করেন তবে আপনি পিছিয়ে পড়বেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা সকলেই জনগণের ট্যাক্সের টাকায় বেতন ভাতা নিই, তাই জনগণের সেবক হিসাবে সবসময় নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যেতে হবে। নিজে ভালো হতে হবে, ভালো থাকতে হবে এবং অপরকে ভালো থাকার সুযোগ তৈরী করে দিতে হবে। কোন শিক্ষার্থী যদি বিপথে চলে যায় তবে তার দায়ভার আপনাদেরই নিতে হবে। এ সময় তিনি দেশের উন্নয়নের স্বার্থে সকল ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান, সকল ক্ষেত্রের ইতিবাচক সংবাদ যত বেশি হবে মানুষ তত ইতিবাচক মনোভাবাপন্ন হবে।
জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান, উপ- প্রকল্প পরিচালক শ.ম. সাইফুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার তৌফিকুল ইসলাম।